জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি ৪০০ বৃক্ষ নিধনের পরিকল্পনা নিয়েছেন কতৃপক্ষ। ঢাকার এত কাছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাস একটি চমত্কার পাখি অভয়ারণ্য যেখানে বছরের যে কোন সময়ে প্রচুর পাখির দেখা মেলে আর শীতকালে যোগ হয় পরিযায়ী পাখির। প্রচুর মিশ্র ধরণের গাছপালা এবং নিরুপদ্রব পরিবেশ এই পাখিপ্রাচুর্যের কারণ।
গাছগুলো নাকি ম্যাচুওর হয়ে গেছে তাই নাকি তাদের কেটে ফেলতে হবে। অথচ পরিণত গাছই পাখিদের প্রকৃত আবাস। ওখানে গাছচোর নেই, চেয়ারম্যন মেম্বার নেই, বনবিভাগ নেই তবুও গাছ কাটার এই উদ্দোগ সত্যিই দুঃখজনক।
সামনে লম্বা ছুটি, সেই সুযোগেই না কি এই অপকর্মটি গোপনে সমাধা করা হবে।
মন্তব্য
ছবির ক্যপশনটা কেন যেন আসে নি:
জাবির বাসিন্দা অরিয়েন্টাল স্কপস্ আউল - ছবি লেখক
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
ধুরো !
চারদিকে এতো গাছ কাটাকাটি আর ভাল্লাগে না।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বাংলাদেশএ কর্তৃপক্ষ জিনিস টা কোন কিছু তৈরি কারার থেকে মনে হয় কাটাকাটি আর ভাঙ্গাভাঙ্গিতে ওস্তাদ , ভাল কিছু হলে তো আরও কথা নেই।
নিবিড়
প্রতিবাদ করা উচিত সবার......
পরিকল্পিত ভাবে বৃক্ষনিধন অনেক দেশেই হয়ে থাকে। পরিণত গাছ কাটা যেতেই পারে যদি সেটা পরিবেশের স্বার্থে করা হয়। কিন্তু একটি বিশ্বিবদ্যালয়ে সে অবস্থা হতে পারে বলে আমার মনে হয়না। আমরা প্রতিবাদই করতে পারি। দেশের অনেক বড় বড় সমস্যা আছে যেগুলো ছাপিয়ে গাছের প্রতি দরদ দেখানোটাও এখন একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কিন্তু মানুষের স্বার্থেই এদের রক্ষা করা দরকার সেটাও যেন আমরা ভুলতে বসেছি।
ঘটনার নিন্দা জানাই।
প্রকৃতিপ্রেমিকের কথাটা এক অর্থে সত্যি। আমাদের জীবনে এত সমস্যা যে গাছের প্রতি মায়া মমতা দেখালে হয়তো দু কথা শুনে আসতে হবে। কিন্তু গাছ না থাকার ফল কী হতে পারে, তা তো আমরা ঢাকাবাসী এখন হাতে নাতে টের পাচ্ছি। কাজেই যে যা বলুক, আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই দেশে এখন এত বেশি প্রতিবাদের প্রয়োজন যে প্রতিবাদ ভাতা চালু করা উচিত। উফ... টায়ার্ড লাগে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই কাজটিকে রাজনৈতিক চাল হিসেবেই দেখছি। এই ইস্যুটি বর্তমান যৌননিপীড়নের অভিযোগে জোরালোভাবে অভিযুক্ত শিক্ষকের যথোপযুক্ত শাস্তি দাবির আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেবার জন্যে ওয়ার্মকালার হিসেবে কাজ করবে, আবার এদিকে দৃষ্টি না দিলে আলগোছে শ'চারেক গাছ কেটে পরিবেশ জলাঞ্জলি দিয়ে টাকা পকেটান্তরিত হবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
রথ দেখা ও কলা বেচা যাকে বলে।
"কতৃপক্ষ" শব্দটাকে "রাজাকার" শব্দের মতই গালি হিসাবে ব্যবহার শুরু করতে হবে দেখছি!!!
কী ব্লগার? ডরাইলা?
তবুও প্রতিবাদ করতে হবে....
কতৃপক্ষের কাছে পিটিশন গেছে কয়েক শত...
কাল ১৭ই সেপ্টেম্বর সব প্রতিবাদী মিলে এক মানববন্ধন হবে জাবি ক্যাম্পাসে সকাল ১১ টায়। পরে সাক্ষরিত প্রতিবাদলিপি দেওয়া হবে ভিসির কাছে.....
মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
:.:::....:..::..:.::...:.:.:...:.:..:..:::....::..:...:..:.:.:....:..:.:.:.:.
To see Photos Visit: www.sirajul.com
তবুও প্রতিবাদ করতে হবে।
পরিকল্পিত গাছ কাটার পদ্ধতিটি ঠিক ভাল জানিনা, তবে আমার মনে হয় - পরিকল্পিত গাছ কাটার মানে এই নয় যে ৫০০টার মধ্যে ৪০০টি গাছ একসাথে কেটে ফেলতে হবে। প্রকৃতিবিদ যদি বিষয়টি বুঝিয়ে দিতেন তাহলে বুঝতে সুবিধা হত। নিশ্চয় ১০টি ২০টি করে গাছ কাটাটাই স্বাভাবিক। প্রয়োজন হলে জাবিতে এভাবেও কয়েক বৎসর সময় নিয়ে ৪০০ গাছ কাটা যেতে পারে।
অগ্নি
http://agnisetu.blogspot.com
জানিনা আপনি আমাকেই উদ্দেশ্য করে প্রশ্নটা করেছেন কী-না। যাহোক, পরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা ব্যাপারটা এরকম:
১. যে গাছ বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে গেছে, যার অস্তিত্ব অন্যগাছের অস্তিত্বকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে সে গাছ কাটা যায়, কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
২. কিছু কিছু এগ্রেসিভ স্পিসিজ আছে যেগুলোকে পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারিভাবে ঘটা করে বিনষ্ট করা হয়। আমাদের দেশে সেই কনসেপ্ট অনেকেই জানেনা।
৩. বিশাল বিশাল বনভূমিতে ভারসাম্য রক্ষার জন্যও অনেক সময় পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষনিধন করা হয়। সেটা সেসব দেশের জন্যই প্রজোয্য যেখানে বনভূমির বিশালত্বের কারণে এটা সম্ভব। যেমন কানাডা এত টিম্বার উৎপাদন করে যে বনের এক স্থান থেকে গাছ কেটে নিয়ে আবার সেস্থানে ঘুরে আসতে আসতে সেখানের গাছগুলো পরিণত হয়ে যায়। তাদের বনভূমি এত বড় বলেই সেটা সম্ভব হয়, যেটা আমাদের দেশে হওয়ার কথা নয়।
আমার মন্তব্যটা আবার পড়লেই হয়তো ব্যাপারটা লক্ষ্য করবেন। যাহোক, জয় তো হলই-- আপাতত গাছ না কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দেখা যাক কতদিন এটা ঠিক থাকে।
বিডিনিউজ২৪ এর খবর:
নতুন মন্তব্য করুন