'আওয়ামি চরিত্র' পড়ে 'জামাতি চরিত্র' পড়ার ব্যাপারে কয়েকজন মন্তব্যকারী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ফেয়ারনেসের খাতিরে সেটা করা যেতেই পারে।
ভাষা
লেখার ভাষার ব্যাপারে প্রথমে কিছু বলে নেয়া ভাল। আমার লেখায় বাংরেজির প্রভাব আছে। কিছু ক্ষেত্রে বেশি, কিছু ক্ষেত্রে কম।
জোনাথান ফ্র্যানজেন আমার খুব প্রিয় লেখক। বার্নস এ্যান্ড নোবেলস এর মিট দ্য রাইটার্স সিরিজে ফ্র্যানজেনের একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম। দেখলেই বোঝা যায় ফ্র্যানজেন কি পরিমান - 'সৎ' একজন লোক। বুকের ভিতর থেকে কথাগুলো বের হয়ে আসে। না, ফ্র্যানজেন সব কথা খুব দরদ দিয়ে বলেন সেটা না। কিন্তু সততার সাথে বলেন। এবসোলিউট এ্যান্ড ব্রুটাল ট্রুথ যাকে বলে, হয়তো।
এর আগে আমার কিছু লেখায় আমি দেখানোর চেষ্টা করেছি আমরা কেন 'সচেতন চিন্তা' বা 'কনশাস থট' করতে চাই না। এটা কষ্টকর কাজ। আমাদের চিন্তার জ্বালানি আবার দৈহিক, আর আমাদের মস্তিষ্ক খুবই রিসোর্স-হাংরি একখান জিনিস। অফিসে কাজ করতে গিয়ে আমি নিজে পরিষ্কার টের পাই যে জটিল চিন্তার ক্যাপাসিটি দিন যেতে যেতে কমতে থাকে। এগুলো এড়ানোর উপায় নেই তা না; অনেক বড় একটি উপায় হল রিচুয়ালাইজ করে ফেলা, বা 'ক্রীড়া' হিসেবে নেয়া। পল গ
এই বিষয়টি নিয়ে আমার বরাবরই খুব আগ্রহ ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমার মাথায় সারাক্ষণই এ নিয়ে যুদ্ধ চলতে থাকে, বেশ স্ট্রাগল করি, হয়তো তাই। সেদিন ড্যানিয়েল গিলবার্ট উপস্থাপিত পিবিএস ডকুমেন্টারি 'দিস ইমোশনাল লাইফ'-এ এ নিয়ে খুব ভাল একটা আলোচনা দেখলাম। তখনই ইচ্ছা করছিল এ নিয়ে লেখতে, কিন্তু নানা কারণেই লেখা হয়নি।
আমার বহুদিনের স্বপ্ন মোবাইল দিয়ে বাংলা লিখতে পারা। গুগলের এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের মায়াবি কিবোর্ড নামক ফ্রি এপ্লিকেশনটি সেই স্বপ্নকে বাস্তব রুপ দিলো। অজস্র ধন্যবাদ সে কারণে মায়াবির স্রষ্টাকে!!
যাই হোক, আমি এমনিতেই এন্ড্রয়েডে নতুন। কিবোর্ডটায় এখনো অভ্যস্ত নই। বাংলা সফটওয়্যারটিতেও নতুন। এদ্দূর লিখতে গিয়ে মোটামুটি ২০ মিনিট লেগে গেল। প্রথম দিকের ব্লগিং এর একটা আমেজ পাচ্ছি।
৬
মাইকেল ক্রাইটন কেমব্রিজের মেপল এভিনিউতে একটা এ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। স্ত্রীকে তিনি হাই স্কুল থেকেই চিনতেন। তার স্ত্রী ব্র্যান্ডেইস বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইল্ড সাইকোলজিতে লেখাপড়া করছিলেন।
৪
[এ পর্যায়ে এসে ক্রাইটন কিছুটা বিরক্তই হলেন। তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন জিনিসটা কোনদিকে যাচ্ছিলো।]
[ডক্টর গেলারকে] "আপনি কি বলতে চান? Do you think that I, uh, want to have sex with her?"
গেলার: "আমি জানি না। তুমি আমাকে বলো।"
"না। আমি চাই না।"
"তাহলে তোমার চিন্তার কি আছে?"
"আমি চিন্তিত না তো কিছু নিয়ে।"
"তুমি মাত্র আমাকে বললে তুমি নিশ্চিত না তুমি ওকে সামলাতে পারবে কি না।"
১
মাইকেল ক্রাইটন ডাক্তারি পড়তে চাননি। ডাক্তারি পড়ার সময়ই ছদ্মনামে উপন্যাস লিখে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বোঝাই যাচ্ছিলো বেশিদিন ডাক্তারি পড়া হবে না। লেখাতেই টান। শেষদিকে বলে শেষ করার একটা আগ্রহ কেবল।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন রোটেশন করানো হতো। ক্রাইটনের একটা রোটেশন পড়েছিল ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের সাইক ওয়ার্ডে।
২
নাসিম তালেবের 'দ্য ব্ল্যাক সোয়ান' বইখান পড়ে আমার মনে হয়েছে, ব্যাটা যদি দু'লাইন পর পর অর্থনীতিবিদদের গালি না দিতো, আর নোবেল পুরষ্কারকে 'নো বেইল' পুরষ্কার না বলে বেড়াতো, পুরষ্কারখানা তার নিজের হলেও হতে পারতো!
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে ডেভিড ব্রুকসের একটি প্রবন্ধ পড়ে edge.org এর সাথে পরিচিত হলাম। তারপর গত কয়দিন ধরে রাত-বিরাত ওটাই পড়ছি।