বিষণ্ন বর্ষায় জন্মে নির্মলেন্দু গুণের প্রিয় ঋতু বসন্ত। সংগ্রামই সত্য, সংগ্রামই সুন্দর- এই সত্যে বিশ্বাসী নির্মলেন্দু গুণের কবিতা। নির্মলেন্দু গুণ স্বাধীনতার কবি। স্বপ্ন বিনির্মাণের দক্ষ কারিগর তিনি। ঈর্ষণীয় কবিতাসমৃদ্ধ জীবন তার। নাগরিক সমস্যার বাস্তব পেক্ষাপট অত্যন্ত সফলভাবে তিনি তার কবিতায় তুলে ধরেছেন। সেখান থেকে অনবরত উদগীরিত হয়েছে টচকা বমির কালসেটে ফেনাইল। এর প্রতীকী রূপ আমরা তার কবিতায় সহজেই পেয়ে যাই।
নির্মলেন্দু গুণ; কবিতার জন্যই জন্ম যার। নিজের হাতে আপন হৃৎপিণ্ড খামচে কবিতার উৎসমুখে সযত্নে রেখেছেন, সঙ্গোপনে নয়, প্রকাশ্যে। হৃৎপিণ্ড খোয়া গেছে ঠিকই কিন্তু কবিতা তাকে বিমুখ করেনি। তিনি স্বয়ম্ভু হয়েই বিবেকের উপলব্ধিতে মানুষের অধিকার প্রাপ্তির বিষয়টি তার কবিতা সফলভাবে তুলে ধরেছেন।
পঁচাত্তরের পনের আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তিনি সামরিক শাসনকে উপেক্ষা করে লিখেছিলেন- ‘আমি কারও রক্ত চাইতে আসিনি’। নির্মলেন্দু গুণের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়। কাব্যগ্রন্থের এবং মঞ্চে পঠিত প্রতিটি কবিতা সে সময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। তার আলোচিত কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’, ‘না প্রেমিক না বিদ্রোহী’, ‘আগে চাই সমাজতন্ত্র’, ‘দূর হ দুঃশাসন’, ‘মুঠোফোনের কাব্য’, ‘কামকানন’ উল্লেখযোগ্য। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ তার কাব্যজীবন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবান্বিত হয়। খণ্ড খণ্ড অতীতকে তিনি অখণ্ডরূপে সমসাময়িক রূপে উপস্থাপন করেছেন তার প্রতিটি কবিতায়। যে কবিতা কখনও হয়ে উঠেছে আমাদের যাপিত জীবনের হাহাকার কখনো বা বিদ্রোহের বীর রসসিক্ত শাণিত উপলব্ধি।
নির্মলেন্দু গুণের কবিতা সাধারণ মানুষের সংগ্রামের দিগচিহ্নিত মাইক্রোস্কোপ। প্রেম আর দ্রোহের মিলিত অনুভব যা আমাদের হৃদয় সরবরে লাল পদ্ম হয়ে ফুটে ওঠে বৃষ্টিহীন দাবদাহেও। সংগ্রামের কবিতা আর নির্মলেন্দু গুণ যেন এক এবং অভিন্ন সত্তা। আর কোনো কবির পক্ষে লেখা সম্ভব ছিল না- ‘একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে/লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে/ ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে-/ কখন আসবে আসবে কবি? কখন আসবে আসবে কবি?/ .. / শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে/ অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।/ তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল/ হৃদয়ে লাগিল দোলা,/ ......................../ কে রোধে তাঁহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে শোনালেন তাঁর/ অমর কবিতাখানি :/ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম;/ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’(স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো)।
নির্মলেন্দু গুণ তার কবিতায় সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম কারণ তিনি কবিতাকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পান না। মৃত্যুভয় যার পৌনঃপুনিক অংশও নয়। অনেক জনপ্রিয় কবিদের মধ্যে সেই সাহসের আকাল লক্ষণীয়। নির্মলেন্দু গুণ গণমানুষের কবি। শ্রমিক সমার্থক, কৃষকের স্বপ্নময় চোখের সমান বয়সি, তাই তিনি অবলীলায় তার কবিতায় কৃষকের কথা বলেছেন। যুদ্ধ আর মানবতার অবয়ে নির্মলেন্দু গুণের কণ্ঠ এবং কলম সর্বোচ্চ উচ্চকিত হয়েছে। তার মানবিক অনুভূতি স্বদেশ অতিক্রম করে বিশ্বে ব্যাপৃত হয়েছে।
মুক্ত প্যালেস্টাইনের জন্য তার অন্তরাত্মা রক্তাক্ত হয়েছে। তিনি তার কবিতার অন্তর্গত শক্তিকে তাদের চূড়ান্ত বিজয়েই ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। একইভাবে কবি ভিয়েতনামের সেই নাপাম বোমা পতনের ভয়াবহ এবং নৃশংস দৃশ্য ভুলতে পারেননি। তবে তিনি সাম্রাজ্যবাদীদের ধিক্কার জানিয়েছেন আশাবাদী মননে। ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুথান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ সবই তার জীবন-উপলব্ধ অধ্যায়। তিনি দুঃশাসনের বিপে দাঁড়িয়েছেন নিজস্ব চেতনায়। তবু বারবার দুঃশাসনের কবলে পড়েছে স্বাধীন ভূখণ্ড। তিনি বলতে বাধ্য হয়েছেন-‘দূর হ দুঃশাসন’।
প্রেমিক-কবি নির্মলেন্দু গুণ। অসংখ্য প্রেমের কবিতা লিখেছেন তিনি। কিন্তু প্রেমের সঙ্গে কষ্টের অনুষঙ্গ মিশিয়ে পাঠককে এক ভয়ংকর রহস্যময়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন। আমরা তার নীরাকে ভুলতে পারি না। যখন স্বয়ম্ভু সুন্দর কবিতায় আমরা তার অন্যরকম এক প্রেমকে আবিষ্কার করি। বেঞ্জামিন মোলয়াসির প্রতি নির্মলেন্দু গুণের ভালোবাসা বর্ণনাতীত। দৃঢ়ভাবে তিনি বিশ্বাস করেন, তার মৃত্যু কবিতাকেই চিরকালীন সমৃদ্ধি আর তাকে অমরত্ব দিয়েছে। তিনি তাকে সারা বিশ্বের কবি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। নির্মলেন্দু গুণের কবিতা তার সংগ্রাম দীর্ঘ জীবনেরই অংশ। আর কবিতার বিষয়বস্তু আত্মা থেকে উৎসারিত দীর্ঘ বোধের সরব উচ্চারণ। তিনি মহাশূন্যে অবস্থান করেও পৃথিবীকে স্পষ্ট দেখতে পান। অনবরত রাজপথে হেঁটে কালো কালো বিটুমিনের গলিত শরীরের বাস্তবতা উপলব্ধি করেছেন অথচ ঘরে ফিরেই ঘরবিমুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। যে ঘরে আলো নেই, বসন্তের হাওয়া নেই; সেই ঘরের জন্য ভাড়া দিয়ে ফতুর হবার বিষয়টি তিনি কখনোই মেনে নিতে পারেননি।
তিনি লিখেছেন- ‘আপনারা কি আমাদের সেইসব ঘরে/ ফিরে যেতে বলবেন,/ যেখানে ছিন্ন মলিন শাড়ি পরে/ স্রেফ ভর্ৎসনা করবার জন্য অপেক্ষা করে/ আমাদের এক সময়ের প্রিয় বধূরা?’/ (আমরা রাজপথে কেন) নির্মলেন্দু গুণের মন বিচিত্রাশ্রয়ী হলেও তিনি প্রকৃত থিতু হয়েছেন কবিতায়। পরাবাস্তবতার বিষয়টি তার কবিতায় এসেছে অদ্ভুতভাবে। তার প্রিয় পাঠকদের অটোগ্রাফ দেবার সঙ্গে তিনি টাকার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের স্বাক্ষর করার বিষয়টি মেলাতে চেয়েছেন। কখনো কখনো মনে প্রশ্ন জাগে কবি কি স্ববিরোধী? যদি সত্য হয় তা কি মানুষের প্রয়োজনে? এটিই বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। স্ববিরোধিতার মধ্যে নিজের আত্মসমর্পণে কবি এক সময় হয়ে ওঠেন সার্বজনীন। নির্মলেন্দু গুণ সেই সার্বজনীন কবি।
মন্তব্য
কবি নির্মলেন্দু গুণ নয়া দিগন্তে কেন লিখছেন বলতে পারেন?
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আমি ওনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, উনি বলেছিলেন- আমার চিন্তা চেতনার প্রকাশ যদি তারা করতে পারে তবে আমার অসুবিধা কী? অবশ্য এটি আমার মনপুত হয়নি। আপনার মতো আমিও কষ্ট পেয়েছি পাই সে জন্য। কী করার!
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
হ, ওনার কোনো অসুবিধা নাই। যে ভাড়া দিবে উনি তারই হয়ে ভাড়ায় খাটবেন।
দোষ আমাদের ভালোবাসার। আবিদ আজাদ একজন ডানপন্থী তাই হয়তো লিখেছিলেন- 'ভালোবাসা তুই বড় রাজাকার !'
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
এইটা তো ঢঙের কথা।
আপনার কি মনে হয় বাংলা কবিতা এখনো ঢঙের স্তরে প্ইড়া আছে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ঢং তো একটা আছে তবে আগের স্তরের ভেদ্য হয়েছে কিনা তা প্রশ্নবিদ্ধ
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
উনাকে বলবেন অল্পবিদ্যার কিছু মানুষ উনার কবিতা না পড়েই লোকমুখে গুণকীর্তন শুনে উনার পূজা করে থাকে। এই হুজুগে কবিপ্রেমীরা পূর্বাপর না জেনেই যখন দেখবে নির্মলেন্দু গুণ এবং আরো অনেক প্রথিতযশা কবি সাহিত্যিক নয়া দিগন্তে অক্লেশে লিখছেন তখন তারা ধরে নেবে জামাতী পণ্য ব্যবহার আসলে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী নয়। বুদ্ধিজীবীরাই যদি চিন্তা ভাবনা ছেড়ে দেন তাহলে আর আম জনতাকে দোষ দিয়ে কী লাভ?
আরেকটা ব্যাপার আছে। প্রাচীন রাজারাজরা, সুলতান, সম্রাটদের দরবারে সভাকবি থাকতেন যাদের কাজ ছিলো শাসকবর্গকে সাহিত্যসুখ যোগানো। রাজা কবিকে পালন করতেন কড়ি ফেলে, কবি রাজার সেবা করতেন কাব্যরচনা করে। দরিদ্র কবির নিজ সাহিত্যপ্রতিভা বিকাশের এ ছাড়া কোন গত্যন্তরও ছিলো না। দেশের রাজনীতিতে ভূমিকা পালনের তো প্রশ্নই ওঠে না। নয়া দিগন্ত বা তার সমগোত্রীয় পত্রিকায় যারা লিখছেন তাদের অবস্থান এসব সভাকবির মতই। সভাকবিরা অন্তত দেশ উদ্ধারের বাণী দিতেন না। এরা তাও দিচ্ছেন।
নির্মলেন্দু গুণদের সময় হয়েছে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেয়ার। তারা কি স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করবেন নাকি জামাতীদের সভাকবি হবেন? শান্তিপ্রিয় কবিরা হয়তো বিদ্বেষ ভয় পান। পারলে উনাদের বলবেন শান্তিপ্রিয়তা মেরুদন্ডহীনতার কাব্যিক নাম।
শৈশবে একটা কথা পড়েছিলাম, "দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য"। আপনিও পড়েছেন নিশ্চয়ই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ভালোবাসার কোন চরিত্র নেই রে ভাই। উনার কবিতা আমার প্রিয়, তাই উনি আমার প্রিয় কবি।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
ভাইরে, একমত হইতে পারলাম না, নিজামী বা গোলাম আযম ভালো কবিতা লিখলে কি তারাও আপনার প্রিয় কবি হবেন?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
আইচ্চা সাইব্বাই - ব্যক্তিগত একটা প্রশ্ন করি - এরশাদ দাদুর কবিতা কেমুন লাগে? রবীন্দ্রনাথের পর সম্ভবত ওনার লেখাই বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে - একেবারে ফালাইয়া দেবার মতন না
এক কথায় অনননন্য
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
এতো কাছাকাছি ভাবা বোধ হয় ঠিক হচ্ছে না। সেটা কি সম্ভব?
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতার সাথেই শুধু আমার পরিচয় ছিল। আমি তাঁকে চিনি স্বাধীনতা,সংগ্রাম আর প্রেমের কবি হিসাবে। খুবই শ্রদ্ধা করি তাঁর অকুণ্ঠ স্বর। নয়া দিগন্ত আমি পড়িনি এবং তাদের রাজনৈতিক অবস্থান সম্মন্ধে জানতাম না। জেনে দুঃখ পেলাম। কিন্তু একই সাথে প্রশ্নও জাগছে মনে, একজন কবিকে কখন কোন পরিস্তিতিতে ঘাতক দালালদের ভাড়া খাটতে হয়? সেই লজ্জা আর ধিক্কার কি কবির একার প্রাপ্প? লজ্জা কি রাষ্ট্র এবং পাঠকেরও নয়?
ভালোবেসে বিপদে পড়েছি। কিছুটা উদ্ধার করেছেন; তা না হলে পানিতে ঢুবে মরতে হতো।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
নজরুল ভাই,
ভালোবেসে বিপদে পড়েননি, ভালোবাসতে তো দোষ নেই, দোষ হবে যদি তাদের দোষটা না ধরে দেন
আপনার অবশ্যই জানা আছে, গুণ দা যে সংখ্যায় লিখেছিলো সেখানে কবীর চৌধুরী, আনিসুজ্জামানের লেখাও ছিলো। কেন যে এটি হলো ভাবতেই অবাক লাগে। উনি আমার প্রিয় কবি। তার হয়তো অনেক কারণ আছে। কিন্তু ওনার নয়া দিগন্তে লেখা-লেখিকে আমি ঘৃণা করি। এই প্রবন্ধ আর আপনাদের সকল গঠনমূলক মন্তব্য আমি তাকে সরাসরি দেবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
গুণকে বেশ্যা লেখক ভাবতে আমি এখনও নারাজ, যদিও নয়া দিগন্তে তাঁর লেখা আমিও মানতে পারি নি। গুণ আমারো অন্যতম প্রিয় কবি। আমিও আহত উনার নয়া দিগন্তে লেখা নিয়ে।
গুণ একজন সাহসী কবি। মুজিব হত্যার বছর দুয়েক পরে বাংলা একাডেমিতে দাঁড়িয়ে উনি "আমি কারও রক্ত চাইতে আসিনি" কবিতাটি পড়েন। সেই সময় অতিবড় মুজিব ভক্ত মুজিবের নাম মুখে আনবেন না। বহু লোক আঁতকে উঠেছিল ওই কবিতা শুনে। উনার "আত্মকথা ১৯৭১" পড়লেও উনার সম্বন্ধে বোঝা যায়।
বুঝতে পারি দিনের শেষে কবিকেও গ্যাস, পানি, ইলেট্রিক বিল আর বাজারের খরচ দিতে হয়। তারপরও দুঃখ লাগে, মিলিটারি সরকার যা পারেনি, এই মার্কেটপ্লেস তাঁকে সেই পণ্য বানিয়ে ফেলেছে।
শেখ নজরুল সাহেব, আশা করব আপনি উনার ভক্তদের হতাশা উনাকে জানাবেন। আপনার লেখার জন্য ধন্যবাদ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনাদের ক্ষোভের কথা জানিয়েছি। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে আশাকরি।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
নারে ভাই, নয়াদিগন্তে লেখা নিয়ে যা জেনেছি, তাতে মনটা সত্যিই খারাপ। কবিতা আমার কম পড়া হয়, এর মধ্যেও গুণ আমার পছন্দের কবিদের একজন। হতাশ আমি।
হতাশা কাটাতেই হবে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
কবিকে একটি প্রশ্ন কি করতে পারবেন যে তার চিন্তা চেতনা দিয়ে স্বাধীনতার দালালদের বিরোধী একটি কবিতা লিখলে নয়া দিগন্ত তা ছাপবে কিনা ?
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো পয়েন্ট। কিন্তু এনারা যার নুন খান তার বদগুন গাইতে পারবেন কি?
নয়া দিগন্তে গুন দার লেখা কেও মেনে নিতে পারে না। তবে তাদের গুণ গাইবেন না এটি বলা যেতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
গুণদা আমার প্রিয় কবি। সেই প্রিয়-এর মধ্য থেকে তার ভালোটুকু আমি গ্রহণ করেছি। এর বেশি কিছু না। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
ওই ভুল নয়াদিগন্ত করবে না। ওদের মস্তিস্ক স্বাধীনতা শক্তিপক্ষের চেয়ে অনেক উর্বর।
আপনার অবশ্যই জানা আছে, গুন দা যে সংখ্যায় লিখেছিলো সেখানে কবীর চৌধুরী, আনিসুজ্জামানের লেখাও ছিলো। কেন যে এটি হলো ভাবতেই অবাক লাগে। উনি আমার প্রিয় কবি। তার হয়তো অনেক কারণ আছে। কিন্তু ওনার নয়া দিগন্তে লেখা-লেখিকে আমি ঘৃণা করি। এই প্রবন্ধ আর আপনাদের সকল গঠনমূলক মন্তব্য আমি তাকে সরাসরি দেবো।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
একটু ভিন্নতর জিজ্ঞাসা: আমার প্রাণপ্রিয়া আমাকে বাঁচানোর জন্যেই আমার প্রতিপক্ষের অঙ্কশায়িনী হলেন কিংবা আমার প্রিয়ার প্রাণ রক্ষার জন্য অপারেশনের টাকা যোগাড় করতে আমি হোটেলে স্ট্রিপটিজের চাকরি নিলাম।
তা কোন দৃষ্টিতে মানুষ দেখবে? কাজেই এখানে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গীই কিন্তু সর্বস্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে না।
অতএব বলতে পারি, এক সময় ভালোবেসে যাঁরা কবিকে নির্গুণ বলতেন বাস্তবতা এখন বলছে নির্গুণ সত্যিই গুণহীন।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
ভালো বলেছেন।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আচ্ছা নজরুল ভাই, আপনার আসলে কাকে ছাড়তে কষ্ট হবে বেশি? নির্গুণকে নাকি নয়া দিগন্তকে?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
নয়া দিগন্তকে তো ধরি নাই যে ছাড়তে হবে। তবে গুণ দা আমার প্রিয় কবি। ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
তিনি আমার ও প্রিয় ছিলেন।
সাপের মাথার মনি সব মানুষ সংগ্রহ করতে পারে না।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
সেই প্রিয়তার কথা বলেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
উনি আমারো প্রিয় কবিদের একজন। কিন্তু নয়া দিগন্তে ওনার লেখায় দারুণ কষ্ট পেয়েছি।
নয়া দিগন্তের সঙ্গে আমি নির্মলেন্দু গুণ-কে গ্রহন করতে পারব না। যে অনেকগুলো কবিতা পড়তে গিয়ে আমার অন্তরাত্মায় অন্যরকম জাগরণ অনুভব করতাম, সেসব কবিতাকে এখন আমার ভন্ড মনে হয়...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আপনার বিশ্বাসে শ্রদ্ধা থাকলো।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
প্রিয় কবিতা প্রিয় থাকে কি, যদি কবি স্বয়ং অপ্রিয় হয়ে ওঠেন?? ব্যক্তি যখন শ্রদ্ধা হারান তখন তার সৃষ্টির রঙও ফিকে ঠেকে...
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কবিতা তো প্রিয় থাকতেই পারে। সেই কবিতার জন্য কবিও। এর প্রমান আপনার কাছেও আছে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
পোস্ট পড়লাম, তার থেকে বেশী করে পড়লাম মন্তব্য। মন্তব্য চলে গেছে সোজা নয়া দিগন্ত ও নির্গুণের অপ্রিয় অবস্থানের দিকে। আমিও জানতাম না উনি ওখানে লিখছেন। ব্যক্তিগত ঘৃণার কথা থাক। কবির অনেক কবিতাকে আমি বুকের মধ্যে লালন করি ভালবেসে...সেসব কবিতা নয়া দিগন্তের সাধ্য কি সরিয়ে দেয়!
মধুবন্তী
দাদার সঙ্গে আমার কথা হয়। সে সময় আমি প্রশ্ন করেছিলাম-কী উত্তর দিয়েছিলো তা তো লিখেছি। তিনি আমার প্রিয় কবি-এটিই বড়কথা। আমি রাজনীতি খুববেশি বুঝি না। তবে দাদাকে আমি যতবড়ো জানি তাতে এতে কিছু হয় না।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আপনি তাঁর বইয়ের যে তালিকা দিলেন, সেখানে সম্ভবত একটা ভুল আছে। আপনি লিখেছেন "না প্রেমিক না বিদ্রোহী" কিন্তু বইটির নাম যতদূর মনে পড়ে "না প্রেমিক না বিপ্লবী"।
বইটি হাতের কাছে নেই, তাই ক্রস চেক করতে পারছি না বলে সম্ভবত বললাম। কিন্তু আমি মোটামুটি নিশ্চিত আমি ভুল করছি না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ভুল সংশোধন করে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
লেখাটি ভাল হয়েছে। নয়া দিগন্তে লিখলেই বলে দোষ হয়ে যাবে? মন্তব্য গুলো দুঃখজনক
ধন্যবাদ আপনাকে।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
গত কয়েকদিন ধরে দেখছি। এ জাতীয় মন্তব্য কেন যেন "যাচাই করা হয়নি" দের কাছ থেকেই আসে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
জনাব মডারেটরের বেতন বন্ধ করে দেয়া দরকার
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
হ কুতুবি ভাই, দুক্ষে হাউমাউ কান্দোন আইসা পড়লো
কষ্ট পেলাম।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আপনার ন্যাকামি দেখে আবারও চোখ ভিজে গ্যালো রে ভাই।
আপনার কিসে চোখ ভেঁজে না-জানালে একবার অন্তত সেই চেষ্টা করতাম।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
কষ্ট পাইলেন ক্যান?
গুণ নয়াতে লিখছে এই কারণে নাকি হিমু ভাইয়ের সারকাজম ধরতে পারেন নাই এই দুখ্খে
মুরুক্ষু মানুষ তো তাই কিসে যে কষ্ট পাই সেটাই বুঝি না।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
হ... দুক্ষে আমার চোক্ষে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গইড়াইয়া কান্দার ইমো নাই?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
চোক্ষে কী............................?
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
সহজ জিনিসটা অনেকেই দেখি সহজে বোঝেনা। নয়াতে লিখলেই খারাপ হয়ে যাবে সেটা কি বলা হচ্ছে? এখানে খারাপ না খারাপের ব্যাপার কেন আসে? এটা তো বিবেকের প্রশ্ন। দেশে লেখার জায়গার কি এতই অভাব? একজন রাজাকারের তোষণকারী যদি নয়াতে লেখে তাহলে কোন প্রশ্ন ওঠেনা, প্রশ্ন হল যারা তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লেখক তারা কেন ওখানে লিখবে। তাদের বিবেকে কি কিছুই বাধেনা?
প্রশ্নটা রেখে গেলাম সব অতিথিদের কাছে।
ঠিক পিপিদার এই প্রশ্নটাই আমার প্রশ্ন।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
কবিকে নিয়ে একটা গল্প শুনেছিলাম জুবাযেরের কাছে। তখন যাদুঘরের রক্ষক (না ভক্ষক?) ছিলেন, হক সাহেব।(এনামুল হক)
একদিন কবি এলেন হক সাহেবের কাছে একটা ব্রাউন পেপারের প্যকেট হাতে নিয়ে। প্যকেটটা হক সাহেবকে দিয়ে বল্লেন,
"এইটা রেখে পাঁচশোটা টাকা দেন।"
"এইটার মধে্য কী?"
"খুলে দ্যাখেন।"
হক সাহেব প্যাকেট খুলে দেখলেন, ওটার ভেতর একটা ছেঁড়া পান্জাবী।
কবি বল্লেন, "টাকার খুব দরকার তাই আপনাকে খুব সস্তায় দিলাম। আমি মরে গেলে এসব তো যাদুঘরে রাখবেনই, তখন আমার এই ছেঁড়া পান্জাবীই আপানাকে অনেক টাকা দিয়ে জোগাড় করতে হবে।"
আজকের এই বিতর্কে জুবয়েরের অবস্হান কী হতো আমি জানিনা। তবে আমি জানি কবি নির্মলেন্দু গুণ 'ওর' খুব প্রিয় একজন কবি ছিলো। আমার জীবনের অনেক অন্তরঙ্গ মুহুর্তে 'ও' নির্মলেন্দু গুণের কবিতা আবৃতি করতো।।
--------------------------------------------------------------------------------
হয়তো এটিই শেষ মন্তব্যের জবাব দেওয়া। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, অনেক প্রশ্নের জবাব না দিতে পারার জন্য। দ্বিতীয়ত ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কবি নয়া দিগন্তে লিখে ক্ষমার অযোগ্য অন্যায় করেছেন-অন্তত প্রিয় পাঠকের কাছে তবুও তিনি আমার প্রিয় কবি হবার জন্য।
আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, একটি অজানা অথচ স্পর্শকাতর বিষয় শেয়ার করার জন্য। আপনি যেখানে থাকুন ভালো থাকবেন। নিরাপদে থাকবেন। আমি শ্রদ্ধেয় জুবায়েরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যেখানে থাকুন তিনি এবং তাঁর আত্মা শান্তি লাভ করুক।
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
যা বুঝলাম, নির্মলেন্দু গুণের নয়াদিগন্তে বিক্রয় হওয়া বিষয়ে আপনার কোনো স্পষ্ট অবস্থান নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
'চারপাশে বৃষ্টি ঝরছে; অথচ কী এক উলম্ব রোদে- সটান দাঁড়িয়ে আছি সারাদিন। বৃষ্টি চুরি হচ্ছে, মেঘও সন্ত্রস্থ; তবু অদ্ভূদ নিঃশ্চুপ আমি। বৃষ্টি নয় বরং চুরির কৌশলই মুগ্ধ করছে আমাকে.....।'
শেখ নজরুল
শেখ নজরুল
আমি নবাগত, তাই হয়ত আমার আমার কথাটা একটু বেখাপ্পা শোনাবে, এবং অনেক পরেও হয়ে যাচ্ছে তারপরও পড়ে যখন ফেলেছি না বলে পারছিনা। কবিরা যদি নয়া দিগন্তে লেখে এদিকের ( স্বাধীনতার পক্ষের ) লোকেরা চটবে। অন্যদিকে কবি যদি সরকারী কোন সাহায্য পুষ্ট কোন কাজ করেন তাহলে ওদিকে ,( যারা ইসলামী মূল্যবোধর ধারক ও বাহক) তাদের তো কলম তৈরি হয়েই আছে।
কবি কথায় যাবেন বলুনতো......................................
নতুন মন্তব্য করুন