আমার প্রিয় নায়িকা সুচিত্রা সেনের ৮০তম জন্মদিনে অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

শেখ নজরুল এর ছবি
লিখেছেন শেখ নজরুল [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ০৭/০৪/২০১০ - ৯:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিংবদন্তী-নায়িকা সুচিত্রা সেন সম্পকে কিছু অজানা তথ্য জানতে জানতে আর জানা হলো না।
ভারতীয় একটি চ্যানেলে মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ফাইফ দেখার সুবাদে গেস্ট বিচারক হিসেবে উপস্থিত হওয়া রাইমা, রিয়া এবং মুনমুন সেন সযত্নে মীরের প্রশ্নগুলো এড়িয়ে গেলেন। এটি অবশ্য নতুন কিছু নয়। সেই ১৯৭৮ সাল থেকে সুচিত্রা সেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। দীর্ঘ ৩২ বছর রাইমা, রিয়া, মুনমুন সেন আর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া আর কেউ তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন এমন কথা বলতে পারবেন না। তার স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার কী কারণ? কী রহস্য?- একেক জন এক-এক ভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ তার এই নির্বাসন গ্রেটা গার্বোর নির্বাসনের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু সত্যিকার কারণ আজও অজানা। এখানেই হয়তো সুচিত্র সেন- দর্শকের ভালোবাসায় চির-অম্লান।

রমা দাসগুপ্ত। নামটির সঙ্গে মনে পড়ে ‘পথে হলো দেরী’ চলচ্চিত্রের কথা। উত্তম কুমার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বারবার রমা রমা নাম উচ্চারণ করছিলেন। যার সঙ্গে জুটি বেধে সুচিত্রা সেন বাঙালির ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন, আরাধ্য হয়েছেন অথচ তার সত্যিকার নামটি উচ্চারণের ডাবিংয়ে উত্তম কুমার কণ্ঠ দিতে পারেননি। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না, রমা রমা ডাকটি উত্তম কুমারের নিজের কণ্ঠের নয়। এই ডাকে কণ্ঠ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন বাংলা গানের আর এক কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। যে নামের সঙ্গে আমরা পরিচিত নই, সেই রমা দাসগুপ্তই পরবর্তী সময়ে সুচিত্রা সেন হয়ে বাঙালীর হৃদপিণ্ডের লাব-ডাব শব্দটিকে অসম্ভব বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

পিতা স্কুল শিক্ষক করুণাময় দাসগুপ্ত এবং মা ইন্দিরা দাসগুপ্ত-এর পঞ্চম সন্তান এবং তৃতীয় কন্যা সুচিত্রা সেন। ১৯৪৭ সালে দিবানাথ সেনের সঙ্গে সাতপাঁকে বাধা পড়েন তিনি। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও পরবর্তীতে অভিনয়ে সুখ্যাতি পান। মুনমুন সেনের দুই কন্যা রিয়া এবং রাইমা সেনও সুনামের সঙ্গে অভিনয় করছেন।

সুচিত্রা সেন ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যামে রুপালী পর্দায় অভিসিক্ত হন। দুর্ভাগ্যক্রমে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়নি। এ বছরই তিনি মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে অভিনয় করেন। ছবিটি ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা পায়। শুরু হয় উত্তম সুচিত্রার হিরন্ময় অধ্যায়। উত্তম-সুচিত্রা প্রায় বিশ বছর বাঙালী হৃদয়ের আরোধ্য জুটি হিসেবে ভালোবাসায় সিক্ত হন। তিনি বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তিতূল্য অভিনেত্রীর স্বীকৃতিও অর্জন করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্রের রোমান্টিক জুটি হিসেবে উত্তম-সুচিত্রা’র উপমা খুঁজেপাওয়া অসম্ভব। ধ্রুপদ ধারার অভিনয়েও সুচিত্রার সুখ্যাতি সুবিস্তৃত। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী যিনি সর্বাগ্রে মস্কো চলচিত্র উৎসবে ‘সাত পাঁকে বাধা’ ছবির জন্য ১৯৬৩ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেন।

সুচিত্রা সেনের অভিনীত চলচ্চিত্র ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ (১৯৫৩), ‘ওরা থাকে ওধারে’ (১৯৫৪), ‘অগ্নিপরীা’ (১৯৫৪), ‘শাপমোচন’ (১৯৫৫), ‘সবার ওপরে’ (১৯৫৫), ‘সাগরিকা’ (১৯৫৬), ‘পথে হলো দেরী’ (১৯৫৭), ‘হারানো সুর’ (১৯৫৭), ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ (১৯৫৯), ‘শপ্তপদী’ (১৯৬১), ‘বিপাশা’ (১৯৬২), ‘চাওয়া পাওয়া’ ‘সাত পাঁকে বাধা’ (১৯৬৩), ‘হাসপাতাল’, ‘শিল্পী’ (১৯৬৫), ‘ঈন্দ্রণী’ (১৯৫৮), ‘রাজলèী ও শ্রীকান্ত’ (১৯৬৩), ‘সূর্যতোরণ’ (১৯৫৮), ‘উত্তর ফাল্গুনি’ (১৯৬৩) [উত্তর ফাল্গুনি চলচ্চিত্রটি পরবর্তীকালে হিন্দিতে ‘মমতা’ (১৯৬৬) নামে পুনচিত্রায়ণ করা হয়।] ‘গৃহদাহ’ (১৯৬৭), ‘ফরিয়াদ’, ‘দেবী চৌধুরাণী’ (১৯৭৪), ‘দত্তা’ (১৯৭৬), ‘প্রনয়পাশা’, ‘প্রিয় বান্ধবী’, ‘আলো আমার আলো’, হিন্দি ছায়াছবি ‘দেবদাস’ (১৯৫৫), ‘মুসাফির’ (১৯৫৭), ‘চম্পাকলি’ (১৯৫৭), ‘বোম্বেকা বাবু’ (১৯৬০)সহ প্রতিটি চলচ্চিত্র অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জণ করে। বিশেষভাবে উত্তম কুমারের সঙ্গে অভিনীত ‘সপ্তপদী’, ‘পথে হলো দেরী’, ‘হারানো সুর’, ‘চাওয়া-পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সাগরিকা’, ‘শিল্পী’র জনপ্রিয়তা আজও কোন বাংলা চলচ্চিত্র অতিক্রম করতে পারেনি।

সুচিত্রা সেন বসন্ত চৌধুরী, সৌমিত্র চট্টপাধ্যায়ের সঙ্গেও অভিনয় করে সফলতা পেয়েছেন। বসন্ত চৌধুরীর সঙ্গে অভিনীত চলচ্চিত্র ‘দ্বীপ জ্বেলে যাই’ (১৯৫৯) দেখে চোখের জল ফেলেননি এমন দর্শক হয়তো খুঁজেপাওয়া যাবে না। বিমল রায় পরিচালিত সুচিত্রা সেন অভিনীত প্রথম হিন্দী চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’ (১৯৫৫) সে সময় অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায়।

গুলজার পরিচালিত ‘আন্ধি’ (১৯৭৪) ছবিতে তিনি রাজনৈতিক নেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেন। ইন্দিরা গান্ধির রাজনৈতিক দর্শণে অনুপ্রাণিত হয়ে এই চরিত্রে অভিনয় করলেও ইন্দিরা গান্ধির প্রধান মন্ত্রিত্বকালীন জরুরি অবস্থার কারণে ছবিটি পর্দায় নিষিদ্ধ করা হয়। ষাট ও সত্তর দশক পর্যন্ত তার অভিনীত প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্র জনপ্রিয়তার শীর্ষধারা অব্যাহত রাখে। তিনি ১৯৭৮ সালে অভিনয় থেকে অবসর নেন। শেষ হয় এই মহানায়িকার ২৫ বছরের বর্ণিল অভিনয় জীবন। অবসরের পর তিনি সাধারণ মানুষের অগচরে চলে যান এবং রামকৃষ্ণ মিশনে কাজ করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন।

রুপালী পর্দাখ্যাতি হারালেও উত্তম কুমারের সংগে তার অভিনীত ছবিগুলো আজও জনপ্রিয়তার শীর্ষধারায় বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রদর্শিত হয় এবং মানুষকে টিভির সামনে পিনপতন নীরবতার মধ্যে মোহবিষ্ট করে রাখে। তিনি ২০০৫ সালে অস্কার পুরস্কার মর্যদায় লাইফ টাইম অ্যাচিফমেন্ট দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু অন্তরাল থেকে বের হয়ে মানুষের সামনে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সরাসরি পুরস্কার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে পুরস্কার থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু সুচিত্রা সেনকে সম্মানিত করার জন্য ভারতবাসীর ইচ্ছাটি ঊবে যায়নি। ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ফালকে পুরস্কার প্রদানের আটত্রিশ বছরের নিয়ম বদলানোর চিন্তা-ভাবনা ছিল। ততকালীন তথ্য মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি বিষয়টি নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছিলেন। নিয়ম বদলানো সম্ভব হলেও বাঙালির ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকা মহানায়িকা সুচিত্রা সেন শেষ পর্যন্ত নিয়ম ভেঙে পুরস্কার গ্রহণে সম্মত হননি।

আমার প্রিয় নায়িকা সুচিত্রা সেন বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল। অথ্যত কালই ছিলো তার ৮০তম জন্মদিন। তাঁর জন্য অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

কঃ
সুচিত্রা সেন তাঁর সময়ের সেরা ছিলেন নিঃসন্দেহে। তারপরেও উত্তম কুমার যেমন আজও স্বমহিমায় উদ্ভাসিত, সুচিত্রাকে সেই মাপের মনে হয় নি কখনো আমার। বরং তাঁর অভিনয় খানিকটা আরোপিত ঠেকে আমার কাছে।

খঃ
অভিনেত্রী হিসেবে মুনমুন সেনের সুখ্যাতি বিষয়ে আমি সন্দিহান। একই কথা খাটে রিয়া সেনের বেলায়ও। রাইমাকে বরং বেশ বুদ্ধিদীপ্ত আর প্রতিভাসম্পন্ন মনে হয় আমার।

গঃ
সুচিত্রা সেনের আত্মগোপন যদিও তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার, কিন্তু এ ব্যাপারটা আমি ইতিবাচকভাবে দেখি না। এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। উপযুক্ত ব্যাখ্যা পেলে আমার মত বদলাতে পারে।

ঘঃ
ফাইফ > ফাইভ, চলচিত্র > চলচ্চিত্র, কিংবদন্তিতূল্য > কিংবদন্তিতুল্য, খুঁজেপাওয়া > খুঁজে পাওয়া, অগ্নিপরীা > অগ্নিপরীক্ষা, ঈন্দ্রণী > ইন্দ্রাণী, রাজলèী > রাজলক্ষ্মী, মোহবিষ্ট > মোহাবিষ্ট,
অ্যাচিফমেন্ট > অ্যাচিভমেন্ট, ঊবে > উবে, ততকালীন > তৎকালীন , দাশমুন্সি > দাশ মুন্সি,
অথ্যত > অদ্য

এগুলো লেখকের ভুল নয়। প্রুফ রিডারের ভুল। পোস্ট করার আগে রিভিউ দেখে নিলে এমন হতো না নিশ্চয়ই।

ঙঃ
আপনার প্রিয় নায়িকার জন্মদিনের পোস্টে এমন সমালোচনায় আহত বোধ করে থাকলে আমি দুঃখিত। ভালো থাকবেন। হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শেখ নজরুল এর ছবি

সহজ স্বীকার- ভুল আমারই। আমি আহত হইনি। বিদ্যুত-সমস্যার কারণে তাড়াহুড়া করতেই হয়তো এমনটি বেশি হয়েছে। ক্ষমাপ্রার্থী আপনাদের মনযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টিতে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন দিয়ে পড়া এবং গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

মূলত পাঠক এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো। সুচিত্রা সেন অনেকের প্রিয়, অনেকের নন, কিন্তু তাঁর উপস্থিতির অভিঘাত থেকে কারোরই মুক্তি নেই।

আরো কয়েকটা বানান: সাত পাকে বাঁধা, অর্জন, পুনর্চিত্রায়ণ, সপ্তপদী, প্রণয়পাশা, দর্শনে, দীপ জ্বেলে যাই (গোটা দ্বীপ একটা জ্বালিয়ে দেওয়া ভালো কথা নয়, কী বলেন?)।

প্রিয়রঞ্জন বোধ হয় দাশমুন্সি-ই লেখেন এক সাথে, কাজেই ওটা বাদ যেতে পারে।

আন্ধি নিয়ে বিতর্ক হলেও ওটাকে রাজনৈতিক দর্শনে অনুপ্রাণিত ছবি বলা উচিত নয়, কাঠামোর মিল থাকলেও ওটা শেষ পর্যন্ত রোমান্টিক বিষয়েই সীমাবদ্ধ ছিলো। চেলারা লাফালাফি করলেও শ্রীমতি গান্ধী ঐ নিষেধের বিষয়টা সমর্থন করেন নি।

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, পাঠকদা। দাশমুন্সি'র ব্যাপারে নিশ্চিত না হয়েই মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত।

সুচিত্রা সেন অনেকের প্রিয়, অনেকের নন, কিন্তু তাঁর উপস্থিতির অভিঘাত থেকে কারোরই মুক্তি নেই।

সহমত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শেখ নজরুল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। বানানের বিষয়ে সমস্যাটা একবার বলেছি। আবারও দুঃখিত।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

মূলত পাঠক এর ছবি

আরে মশয় এতো দুঃখ পাইয়েন না। দুঃখ দিলাম ভাবলে আর তো ভুল ধরা যায় না, তাইলে তো সব মজাই মাটি!

শেখ নজরুল এর ছবি

দুঃখিত আর দুঃখ পাওয়া এক কথা নয়। ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

‘পথে হলো দেরী’ থেকে:

শেখ নজরুল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ছবিটি শেয়ার করার জন্য।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

তারানা_শব্দ এর ছবি

হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

শেখ নজরুল এর ছবি

কেবল হাসলেন! কিছু বললেন না?
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

তাসনীম এর ছবি

গত বিশ বছর সুচিত্রার কোন ছবি দেখেছি বলে মনে পড়ে না, তবুও সুচিত্রা সেন আমারো প্রিয়, ভালো লেগেছে আপনার পোস্ট। সুচিত্রা ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন, এটা আমারও কামনা।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

শেখ নজরুল এর ছবি

এমনটি হতেই পারে। এ জন্য জোর দিয়ে আমার বিষয়টি পরিস্কার করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

তাসনীম এর ছবি

একসময় প্রচুর দেখা হত উত্তম-সুচিত্রার ছবি। গত বিশ বছর দেখা হয়ে উঠে নি। কিন্তু সুচিত্রা আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন, এখনো আছেন। মূলোদার কথার সাথে একমত, পছন্দ হোক না হোক, বাংলা চলচ্চিত্রে সুচিত্রা এখনো রিলেভেন্ট।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

মণিকা রশিদ এর ছবি

সুচিত্রা সেনকে কেন যেন আমার কোনোদিনই ভালো লাগতো না। বিশেষ করে তার সংলাপ বলার ধরণ প্রচন্ড আনরোমান্টিক লাগতো। অবশ্য আমার মায়ের খুব পছন্দের অভিনেত্রী। মা এই পোস্ট পড়ে খুশি হতেন।
____________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ

----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand

শেখ নজরুল এর ছবি

আপনার মায়ের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা রাখছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

মৃত্তিকা এর ছবি

সুচিত্রা সেন আমারও অসম্ভব প্রিয় একজন অভিনেত্রী। বলতে পারেন আমাদের পুরো পরিবারেরই প্রিয় হাসি তাঁর অধিকাংশ ছবিই একসাথে বসে দেখেছি। অনেকবছর পর দেখলাম "সাত পাকে বাঁধা"- কিন্তু আজও একই অনুভুতি দেয়।

তাঁর আত্মগোপন থাকার কারণ খুব সম্ভবত আমাদের মতন দর্শকদের হৃদয়ে নিজের অস্তিত্বটুকু অবিকল সেরকম ধরে রাখার চেষ্টা।

অভিনয় বা সৌন্দর্য- কোনটির ক্ষেত্রেই মুনমুন সেন বা রিয়া সেন পারেননি সুচিত্রার বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে। সেদিক থেকে রাইমা সেন অনেকটা পেরেছেন। এটা আমার পর্যবেক্ষণ।

শেখ নজরুল এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন এবং ভালোলাগার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করছি।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সুচিত্রা-ভক্তদের হাতে মার খাবার ভয়ে আমার বক্তব্য চেপে গেলাম। তবে মূলত পাঠকের বক্তব্যর সাথে একমত। পোস্টের জন্য কবিকে ধন্যবাদ। জন্মদিনে "নায়িকা সুচিত্রা সেন"কে শুভেচ্ছা।

রামকৃষ্ণ মিশনে কাজ করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন

এই বাক্যটি বুঝিনি। কেউ যদি নিজের ঘরে আবদ্ধ থাকে, বাইরের কারো সাথে কথা না বলে; তাহলে মিশনে টাকা দেয়া ছাড়া মিশনের আর কোন কাজে তার পক্ষে জীবন উৎসর্গ করা সম্ভব তা আমার বোধগম্য নয়। একটু বুঝিয়ে দেবেন প্লিজ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শেখ নজরুল এর ছবি

অংকের মতো ভুল ধরলে কেমনে পারি রে ভাই।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ইয়ে মানে আমিও ঠিক সুচিত্রা ভক্ত নই... তবে তার সব সিনেমা দেখার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি... হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

শেখ নজরুল এর ছবি

এটা কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়! ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সুচিত্রা সেনের অভিনয় আমারো কিছুটা আরোপিত লাগে। তবে আমার কেন যেন মনে হয় এটা এখনকার চোখে দেখা বলেই। তখন হয়তো এটাই প্রয়োজন ছিলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শেখ নজরুল এর ছবি

ক্ষমা করবেন সুচিত্রা সেন। আমি ছাড়া এখানে কারও আপনার অভিনয় ভালো লাগলে না।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

বিকল্প এর ছবি

"অস্কার পুরস্কার মর্যদায় লাইফ টাইম অ্যাচিফমেন্ট দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন"। এই তুলনাটা কী যৌক্তিক। আপেল আর কমলার তুলনা মনে হলো। সুচিত্রা সেন কিন্তু আমারো প্রিয়।

শেখ নজরুল এর ছবি

পুরস্কারের তুলনা কিন্তু হচ্ছে। হয়তো এখানে মাত্রাটা একটু বেশি হয়েছে। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

লাবণ্য [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয়েছে উত্তম কুমারের অভিনয় প্রতিভা সুচিত্রা সেনের চেয়ে বেশী। তারপও জুটি হিসাবে কিন্তু উত্তম -সুচিত্রাকেই সবচেয়ে ভালো লাগে। অভিনয়ের গুণ, কিংবা চলচিত্রের মান, কিংবা সুন্দর গল্প, কিংবা ক্যারিশ্‌মা যাই বলেননা কেন, উত্তম-সুচিত্রার সিনেমা হলে এখনও দেখতে বসে যাই, আগে যতবারই দেখিনা কেন।

শেখ নজরুল এর ছবি

মনের মতো মন্তব্য পেলাম। অনেক কৃতজ্ঞতা।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।