[সামহোয়্যারইনব্লগ এ প্রকাশিত...২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৬]
রবীন্দ্রনাথের গান ও কবিতার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো যে,কোন কোন মূহুর্তে কোন বিশেষ গান বা কবিতা কে বড় বেশি নিজের বলে মনে হয়।যেন এই মূহুর্তে এই পৃথিবীতে এই গানটিকে শুধু আমারি সবচাইতে বেশি প্রয়োজন।
আমার খুব প্রিয়, খুব সুন্দর দুইজন মানুষ আছে।একজন হলো 'পূর্ব বাংলার অরাজক কালের স্বপ্নবাজ যুবক' ,আরেকজন হলো তার কঙ্কাবতী-গান গেয়ে বৃষ্টি নামানো প্রজাপতি মেয়ে। আমার এক বিশেষ দিনে ,রবিঠাকুরের এই গানটা একান্তই আমার নিজের জন্য লেখা বলে মনে হচ্ছিলো। স্বপ্নময় দুই প্রিয় মানুষের বিশেষ দিনে তাই ধার করা এই ছোট্ট উপহার..
"বলি ও আমার গোলাপবালা, বলি ও আমার গোলাপবালা
তোল মু'খানি, তোল মু'খানি কুসুমকুঞ্জ কর আলা।
বলি, কিসের শরম এত সখী, কিসের শরম এত সখী?
পাতার মাঝারে লুকায়ে মু'খানি কিসের শরম এত বালা?
ঘুমায়ে পড়েছে ধরা সখী,ঘুমায় চন্দ্রতারা
প্রিয়ে, ঘুমায় দিগ্বালারা সবে, ঘুমায় জগত যত।
বলিতে মনের কথাটি, এমন সময় কোথা প্রিয়ে?
তোল মু'খানি, আছে যে আমার প্রাণের কথা কত!
আমি এমন সুধীর স্বরে সখী, কহিব তোমার কানে
প্রিয়ে, স্বপনের মত সে কথা আসিয়ে পশিবে তোমার প্রাণে তবে।
মু'খানি তুলিয়ে চাও সুধীরে মু'খানি তুলিয়ে চাও
সখী,একটি চুম্বন দাও
গোপনে,একটি চুম্বন দাও।
বলি ও আমার গোলাপবালা,বলি ও আমার গোলাপবালা..."
যদিও চারপাশে অনেক আঁধার,অনেক পুঁতিগন্ধ-তবুও আমাদের এই বেঁচে থাকা এখনো অনেক অনেক সুন্দর ।প্রিয় যুবক-যুবতী,পৃথিবীর যাবতীয় সৌন্দর্য্য তোমাদের সাথী হোক..
মন্তব্য
নতুন মন্তব্য করুন