নষ্ট মেয়ে ও হিডেন ক্যাম বিষয়ক মন্তব্য পোস্ট

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০০৮ - ৮:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পরিবর্তনশীলের " নষ্ট মেয়ে " হতে খেকশিয়ালের "হিডেন ক্যাম " বিষয়ক অনুপ্রেরণা। অতঃপর আমার এই মন্তব্য পোস্ট। ভেবেছিলাম চেপে যাবো। এই বিষয়ে বেশী পারঙ্গমতা দেখাতে গিয়ে হবু শশুরের নজরে পড়ে বিবাহ ভেঙ্গে যাবে কিংবা পাত্রী পক্ষ অখুশী হবে এই সম্ভাবনা মেনেই মন্তব্য পোস্ট।

খুব অপেক্ষায় ছিলাম অন্যকারো মাধ্যমে আমার কথা গুলো বলা হয়ে যাক, কিন্তু দুই দিনে খেয়াল করলাম কিছু অপূর্ণতা রয়ে গেছে। যুক্তি গুলো আরো জোড়ালো হওয়া দরকার ছিলো।
নিষিদ্ধ এই গোপন ক্যমেরায় ধারণ করা ভিডিও চিত্রগুলোর দর্শক চীর কালই ছিলো থাকবেই। তবে স্থান কাল পাত্র ভেদে হয়তো এর রুপগত পরিবর্তন আসবে। এক সময় অনেকেই যারা রসময় গুপ্ত, ল্যাডি চ্যার্টালিজ লাভার কিংবা প্রেম লীলার নিয়মিত পাঠক ছিলেন, বোধদয় হবার পর অনেকেই হয়তো এই বই পড়া বাদ দিয়েছেন, তাই বলে যে নতুন পাঠক সৃষ্টি হয়নি সে কথা আমরা বলতে পারছিনা । নীল ক্ষেতে এই বইয়ের চাহিদা বরং দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনি একবার কিংবা দুই বার হিডেন ক্যামেরায় ধারণকরা ভিডিও চিত্র দেখে যারা বিবেকের তাড়ণায় এই দৃশ্য আর দেখবেনা বলে পণ করেছেন , অন্যদিকে কিন্তু এই বিষয়টিকে পুঁজি করে নতুন করে ব্যবসা করবার ফাঁদ পাতছেন এমন লোকের সংখ্যাও কম না। তাই এটি আপনি কিংবা আমি একবার দুই বার দেখে থেমে যাবো এমনটা ভাবলে , সবাই যদি একবার করে দেখে তার সংখ্যাটা সহজেই অনুমান করা যাবে।

আর আমাদের দেশে সামাজিক ব্যবস্থার কথা অনেকেই বলেছেন, আমি একটু যোগ করছি, যেখানে একটা ছেলে ১৮ বছর বয়স হলেই যৌনতার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে থাকে, মেয়েরা হয়তো ১৩/১৫ বছরে শারীরীক পরিবর্তনের বিষয়টি খেয়াল করে সেখানে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা একটা ছেলেকে চাকুরী পাবার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৩০/৩২ বছর পর্যন্ত শারীরীক স্পর্শ থেকে দূরে রাখতে সমর্থন করে যা মেডিক্যাল সায়েন্স কখনই সমর্থন করেনা । তখন ছেলেরা হিন্দী গানে নায়িকাদের এক ছলাৎ বুকের অংশ কিংবা এক টিকেটে দুই ছবি দেখে বাথরুম টয়লেটে দৌড়া দৌড়ী করে, তাদের কে খুব সহজেই আমরা নৈতিকতার বন্ধনে আবদ্ধ রেখে হিডেন ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি দেখা থেকে বিরত রাখতে পারবো না । তেমনি পারবোনা বিবাহ বহিভূত সম্পর্ক হতে দূরে রাখতে। তাছাড়া গ্লোবালাইজেশনের যুগে সংস্কৃতির মিশ্রনে মানুষ সামজিক প্রতিবন্ধকতা গুলোকে পাশ কাটিয়ে অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে।

তর্কের যেখানে শুরু,পিন্টু সুমন দিয়েই শুরু করি। জনপ্রিয় এই দুটি চরিত্রকে খেকশিয়াল কখনও পশু কখনও বা শুয়োর বলে অভিহিত করেছেন। এবং সর্বশেষ প্রস্তাব এসেছে এদের মুখোশ উম্মোচনে আম্রিকা কানাডায় চিরুনি অভিযান চালানো হবে, তাদের কু-কৃতীর নজীরকে স্বরণীয় করতে সচলের ব্যনার করা হবে...

সেই প্রশ্নের উত্তরে যাবার আগে একটু বলে নেই। বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাটির মধ্যে যে দেহ ব্যবসা অন্যতম এটি নিশ্চই আমার সাথে অনেকেই স্বীকার করবেন। সেই সাথে যে কোন নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি যে মানুষের একটা জন্মগত আকাঙ্খা আছে সেটিকেও নিশ্চই অস্বীকার করবেনা অনেকেই। তাহলে কেন অযথা পিন্টু সুমনদের বিষয়টাকে বড় করে আমাদের নিজেদের ভুলগুলোকে ঢাকতে চাইছি??

এখন ঢাকার টিএসসিতে,নজরুলের মাজারে , জগন্নাথ হলের সামনে কিংবা ফুলার রোডে যত কাপলকে সন্ধ্যার পরে আলো আধারে ভালোবাসা বিনিময় করতে দেখা যায় আজ থেকে দশ বছর আগে এতটা দেখা যেতোনা কারন তখন ছেলেদের হলে মেয়েদের অবাধ যাতায়াতের নিয়ম ছিলো। এই ব্লগের অনেক সিনিয়র শিক্ষাথীরা হয়তো আমার সাথে একমত হবেন। শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের টয়লেট.হলের গেষ্টরুমে কিংবা ভোর বেলা ক্লাস রুমে আপত্তিকর অবস্থায় খুব কমই পাওয়া যেত। তখনও হিডেন ক্যাম আসেনি। গত এক দশকে প্রযুক্তির কল্যানে এই দৃশ্যটি ধারনের পিছনে আধুনিক বিপনন ব্যবস্থাই দায়ী। এবং রাস্তা ঘাটে ,মাঠে ময়দানে কিংবা রিক্সার হুড তুলে যাবতীয় যা কিছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়ছে অতৃপ্ত যৌন্ চাহিদাকে সংযত করতে না পারা এবং ছেলেদের হলে মেয়েদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়া অনেকগুলো কারনের মধ্যে অন্যতম। চলতি মাসে ঢাকা গিয়ে দেখেছি ফুলার রোডে এক ব্যক্তির পার্ট টাইম কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে, তার কাজ হলো সন্ধ্যার পর একটা মাইক হাতে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘোষনা দেয়া
" সন্ধ্যার পর এই রাস্তায় বসা নিষেধ"

যে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম, উন্নত বিশ্বে হিডেন ক্যামে দৃশ্য ধারণের জন রীতিমত পয়সা দিয়ে লোক নিয়োগ দেয়া হয়, পর্নগ্রাফীর নায়ক নায়িকাদের বলে দেয়া হয় তোমরা এমন ভাব করবে যেন দর্শক এই ভিডিও দেখে বুঝে এটি হিডেন ক্যমেরায় ধারন করা হয়েছ। অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছে করে এক ক্যমেরায় বাজে ফ্রেম ধরে বুঝানো হয় যে এটি হিডেন ক্যমেরায়, কখনও টয়লেটে কখনও সাইবার ক্যাফে , ক্লাস রুমে কিংবা লিফটে..আসলে বস্তুত পক্ষে সব কৌশলের পেছনে কাজ করেছে আধুনিক বাজার ব্যবস্থা।

যত নতুন আইডিয়া তত বাজার গরম, এখানে আবেগের কোন সুযোগ নাই। নেই মানবিক ব্যপার। একজন পর্ন ব্যবসায়ীর কাছে কুমারী নারীর শরীর নিছক পন্য ছাড়া কিছু নয়।

যে সকল পিণ্টু সুমনরা বেতন ভুক্ত কর্মচারী তাদের কে বিভাবে রুখবেন?? তাদের নামেও কি পোষ্টার ব্যনার লিফলেট তৈরী হবে ?? এই সমস্ত শ্রমজীবীরা সব সময়ই হিডেন থাকে। কখনও হোটেলের বয় -বেয়ারা, কখনোও মহিলা হোষ্টেলের আয়া কিংবা কেয়ারটেকার কখনওবা সাইবার ক্যফের সাথে সংশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশাপাশি হলিউড বলিউডের তারকারাও জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কতজন পিন্টু সুমনকে বয়কট করবেন ?? আর বয়কটের বিষয়টা আসবে প্রচারিত কিংবা প্রকাশিত হবার পর তাইনা ? তাহলে সহজ বুদ্ধিই হলো সেলফ কনট্রোল। অযথা চোখের জল ফেলে জাত কুল গেলো এইসব মায়া কান্না কেঁদে কি লাভ ?

আপনার প্রেমিককে আপনি ভালোবাসলেন, তার সাথে বিয়ের আগে আপনি কতটা আন্তরিক হবেন সেটি আপনার ব্যপার। হীডেন ক্যামেরায় এমন ঘটনার ঘটনা প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে ,সেই খবর আপনার কাছে ও আছে। আপনার দূর্বলতার সুযোগ আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা নিতে পারে, এই শংকাটি আপনার মনের ভেতর থেকে থাকলে আগে থেকেই প্রস্তুতিটা নেয়া ভালো নয়কি??

ঠক বাছতে গা উজার না করে বরং নিজেরা সতর্ক হলেই ল্যাঠা চুকে যায়, এক্ষেত্রে বরং হিডেন লীলেন ভাইয়ের মতো দরকারী পোস্ট কিংবা মন্তব্য আসলে সর্তক হবার সুযোগ পাওয়া যাবে।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি
শামীম এর ছবি

আপ ভালা তো জগৎ ভালা ... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

না শামীম ভাই, আপনি ভালো হইলেও জগত ভালো না, এইজন্যেই সাবধানতাটা জরুরী ... ................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

এই ধরণের একটা কথা আমিও গত পোস্টে বলার চেষ্টা করছিলাম জনগণ মনে হয় বুঝে নাই ...

পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত ...

ভিকটিমদেরই সচেতন হতে হবে আগে ... এক্ষেত্রে লীলেন ভাইয়ের টিপ্সগুলি খুব কাজের ... আর মেয়েদেরকে একটু সাবধান হতে হবে যাতে বয়ফ্রেন্ড খেলাচ্ছলেও কোন ভিডিও না করে (যাকে শরীর দেয়া যায় তাকে সন্দেহ করা সহজ না, তারচেয়ে বরং মোবাইলটা অনিচ্ছাসত্ত্বেও অন্য কারো হাতে পড়তে পারে, এভাবে ভাবাটাই ভালো) ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল বলসো। তবে এখানে আরো কিছু ব্যাপার আছে। যুগ বেশি দ্রুত এগিয়ে যাওয়াও একটা নিয়ামক। যাক, পরে কমেন্টানো যাবে এটা নিয়ে। আগে এই খবিস ফিল্টারটার ইন্টারফিয়ারেন্স কমায় নেই!! মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার পোস্টখানিতে আমি করেছিলাম কিছু প্রশ্ন , মন্তব্যে এলো নানা মত আর প্রতিকার, 'কি করিলে কি করা হইবে কি হইলে কি বুঝা যায়, আর কি ব্যবস্থা নিলে কি প্রতিকার করা যাইতে পারিত' এরকম অনেক পোস্ট আসে । অনেকে প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেউ কেউ আমাকে প্রশ্ন করে বসলেন, ব্যাপারটা এরকম যে 'হিহি চান্দু, তোমার মতলবটা কি? তোমার দিল হাসা তো?' আমি ভাই সমাজের ছোটখাট সামান্য একজন মানুষ, মনে হয় যা খারাপ তারে খারাপ বলা উচিত, দেরী করে হলেও বলি, ঈশ্বর দার বর্ণপরিচয় পড়ে বড় হইসি । এতো বিশাল একটা ব্যবসা কিভাবে দূর করা যায় তাঁর জন্য বৃথা কান্নাকাটিই করতে পারি তবে তা হয়ত এই পর্যন্তই । এইটা আপনাদের কাছে মায়াকান্না ও লাগতে পারে , তবে তাতে আমার কিছু যায় আসে না, কারন আমি নিজে জানি আমি কি । কুকুররে কুকুর শুয়োর রে শুয়োর না বলার দিন শেষ, কারন এতে যারা যারা চিনে না তারা চিন্তে পারে, তাদের গালি দিলে মনও ভাল থাকে, গালির যথার্থ প্রয়োগ করতে পেরে । এর প্রতিকারে সঠিক সঙ্গী নির্বাচন, লীলেন ভাই এর কশন্স সবই দরকারী, সবই মানি । এটুকুই হাসি

- খেকশিয়াল

থার্ড আই এর ছবি

কুকুররে কুকুর শুয়োর রে শুয়োর না বলার দিন শেষ, কারন এতে যারা যারা চিনে না তারা চিন্তে পারে, তাদের গালি দিলে মনও ভাল থাকে,

কুকুরের ছবি আঁকিয়া নিচে যদি লিখিয়া দিতে হয় ইহা কুকুর তাহা হইলে চিত্রকর তাকে বলিব কেন?? আর শুকরকে নিকৃষ্ট পশু বলিয়া বিশাল গদা লইয়্যা শুকর নিধনে না নামিয়া নিজের ভিতরের পশুকেই দমন করার পক্ষে আমি।

প্রত্যেক মানুষের ভেতরে পাশবিক ও মানবিক গুনাবলি রয়েছে। মানবিক গুনাবলিগুলোকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ হয়ে উঠে তেরেসাঁ কিংবা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল , আর পাশবিক গুনাবলিকে কাজে লাগিয়ে কেউ হয়ে উঠে সুমন কিংবা পিন্টু ভাই। এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন কোন পথে যাবেন।

আপনি প্রশ্ন করেছেন বলেই তো আমরাও আমাদের মতামত জানাতে পেরেছি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহাহা গদা লইয়া শুকর কুকুর নিধনে কাজ নাই, কুকুর শুকর খুবই নিরীহ প্রাণী, ইহাদের দ্বারা উহাদের দেখাইলে ইহাদেরই অপমান হয় মানি । ছবি আকিয়া নিচে লেখিয়া দিতে হয় মনে অনেক কষ্ট লইয়া, লিখিয়া দিলেও অনেকে বুঝেন না (!), ইহাই বলিতে চাহিয়াছিলাম । আর আপনার কথায় একমত, নিজের পশু কে দমন করিয়াছি আদিকালেই, আমার সেই ভয় নাই , সবাই যেন তাহাই করে, আর অবশ্যই প্রতিবাদ করে অসুস্থতার বিরুদ্ধে । আমি প্রশ্ন করিয়াছিলাম বলিয়াই আপনারা মতামত দিবেন, অবশ্যই, অনেক ধন্যবাদ ।

- খেকশিয়াল

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাটির মধ্যে যে দেহ ব্যবসা অন্যতম

শুধু তাই নয়
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম যে দুটো পেশা
তার মধ্যে একটা হলো চিকিৎসা অন্যটি হলো দেহ ব্যবসা

০২

এই বিষয়টা নিয়ে বেশি ঝামেলার মূল কারণ যৌন সম্পর্কের বিষয়ে লক্ষ লক্ষ বাধা। যেন হিজড়ারাই এই পৃথিবীর আদর্শ মানুষ। এবং প্রতিটি মানুষের উচিত হিজড়াদের মতো কামহীন জীবন যাপন করা

০৩

নিরাপদ জায়গাটা এমন দুর্লভ যে আমার মতো ঈশ্বরহীন মানুষকেও যখন কেউ দোয়া করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তখন আমি বলি- দোয়া করো যেন দরকার মতো আমি একটা নিরাপদ এবং খালি বাসা পাই

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রেম আর কামে দাগ কাটিনি,
প্রতারনাতেই প্রতিবাদ
হিডেন লীলেন কশন্স মেনে
এগিয়ে যাব, দেবেন ছাঁদ (নিরাপদ) ? দেঁতো হাসি

- খেকশিয়াল

থার্ড আই এর ছবি

নিরাপদ জায়গাটা এমন দুর্লভ যে আমার মতো ঈশ্বরহীন মানুষকেও যখন কেউ দোয়া করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তখন আমি বলি- দোয়া করো যেন দরকার মতো আমি একটা নিরাপদ এবং খালি বাসা পাই

যা বলেছেন গুরু... এই সত্য কথা অনেকেই স্বীকার করে না, প্লাটো ব্যটা ঠিক বলেছেন।
"সততা হচ্ছে সুযোগের অভাব।"
কেউ স্বীকার করে কেউ করেনা।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

কথাগুলোর সাথে বিন্দুমাত্র একমত হতে পারলাম না। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো .. "মেয়েরা তোমরা আরো ঢেকে ঢুকে চল, দুনিয়াতে পিন্টু-সুমনে ভরা তাই তাদের কে ধরে শাস্তি দেবার চেয়ে তোমাদের আরো সামলে চলাই সমাধান এর পথ" .. এই কথাটাই একটু নম্রভাবে সুন্দর করে বলার চেষ্টা করা হয়েছে। এক সুমনের ভিডিও আছে ৪/৫ টা, আভির নাকি ১০ এর উপরে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই একের অধিক মেয়ের সর্বনাশ একজনেই করে। নেপথ্যে কত পিন্টু, সুমন, অভি আছে জানিনা, কিন্তু তাদের সবাইকে ধরা যাবেনা বলে যে কয়টাকে সুস্পষ্ট ভাবে মানুষ দেখার পরও তারা বুক ফুলিয়ে হিরো হয়ে ঘুরছে তাদের কোন বিচার চাওয়া যাবেনা??

তাহলে কেন অযথা পিন্টু সুমনদের বিষয়টাকে বড় করে আমাদের নিজেদের ভুলগুলোকে ঢাকতে চাইছি??

আমার কাছে মনে হয় ব্যপারটা অবশ্যই বড়, আমাদের ভুলগুলো থেকে অনেক অনেক বেশী বড়। আমাদের মধ্যে কেউ হয়ত সবগুলো ভিডিও দেখেছে, কেউ হয়ত একটাও দেখেনি, দেখা শেষ করে বা শেষের আগেই বা না দেখেই এক এক জনের হয়ত একেক রকম উপলব্ধি বা আপরাধবোধ হয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট যে জন লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে ভিডিওগুলো দেখেছে, দেখে হাসাহাসিও করেছে, পিন্টু সুমনকে বস বস বলেছে সেও অনেক চেষ্টা করলেও একজন পিন্টু বা সুমন হতে পারবে না বলে আমার বিশ্বাস।

ভিকটিমদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে, লিলেন ভাইয়ের টিপস গুলো থেকে অবশ্যই অনেক কিছু শেখার আছে। কিন্তু তাই বলে যারা চোখের সামনে এগুলো করলো তারা যদি এতই সহজে পার পেয়ে যায় তাহলে তো অনুপ্রানিত হয়ে আরো এমন ঘটনা ঘটবে। রেপ থেকে বাঁচার জন্যে আমরা অনেক সতর্ক থাকতে পারি, কেউ যেন পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে না নিয়ে যেতে পারে সেজন্য পাটক্ষেত থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতে পারি, প্রয়োজনে দেশের সব পাটক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিতে পারি। কিন্তু সবার আগে যেটা করতে পারি আগে সেটা হল আগের যারা এই অপকর্মটি করেছে তাদের ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতে পারি, এতে করে অন্তত পরের জেনারেশনটা কাউকে পাটক্ষেতে নেবার আগে আরেক বার চিন্তা করবে।
যাহোক, এগুলো আমার একান্তই ব্যক্তিগত মত।

...................................উদাস

থার্ড আই এর ছবি

হিডেন ক্যাম বিষয়ের প্রতিকার ও সামজিক ব্যাধি হতে আমরা বের হতে চাই এই ব্যপারে কারো দ্বিমত নাই । আপনি যেখানে ভাবছেন দু'একজনকে ফাঁসিতে ঝুলালেই সব সমস্যার সমাধান হবে আমি সেখানে বিষয়টাকে ভিন্ন ভাবে দেখি। আমি চাই ধীরে ধীরে আমাদের মাঝে চেতনা বোধ জাগ্রত হোক। এর অর্থ এই না আমি পিন্টু ভাইদের পক্ষে সাফাই গাইছি।
যেখানে আমাদের দেশে ধর্ষনের শাস্তির জন্য একটা মেয়েকে কিভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে তার বর্ণনা নিজেকে দিতে হয়, এবং তাকে ধর্ষন করার সময় দেখেছে এমন দুইজন স্বাক্ষীর প্রয়োজন হয়, সেখানে আপনি বলছেন পিন্টু আর সুমনদের ফাঁসিতে ঝুলাবেন..??

আসছে ডিসেম্বরে নির্বাচন...সরকারের মাথাটা এখন আর খারাপ কইরেন না।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সবজান্তা এর ছবি

একমত হলাম, দারুন ভাবে। খেয়াল করেছেন কিনা, একই বক্তব্য নিয়ে আমি একটা মন্তব্য করেছিলাম হিডেন ক্যাম ব্লগে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, মেয়েদের সাবধান করে দেওয়ার পরামর্শটা হয়ত মেয়েদের মংগলের জন্যই, কিন্তু আমরা যদি মেয়েদের এইভাবে সাবধান করতে থাকি কারন ছেলেদের কিছুই করা যাবে না বাস্তবেআই বোধ থেকে, তাহলে পরিস্থিতি আরো খারাপ বৈ ভালো হবে না। হয়ত দেখা যাবে যে সুমন আগে মিথ্যা ছলনাতে মেয়েদেরকে শিকার করত, সে মেয়েদের সাবধানতার কারনে, জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, সেটাকেই সিডিতে ছেড়ে দিচ্ছে, এবং আমরা হয়ত সেটাই মনের সুখে দেখছি। আমার মনে হয়, যে কোন মূল্যে ছেলেদের এই মানসিকতা থেকে বের করে আনতে হবে। নারীর প্রতি সত্যিকারের সম্মান করা আমাদের শিখতে হবে, একদম শৈশব থেকেই।
---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

সবজান্তা এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো। যুক্তির স্পর্শে বাস্তবধর্মী লেখা।

গত কয়েকদিনের আলোচনায় দুটি দিক উঠে এসেছে, প্রথমে হিডেন ক্যাম ভিডিও দেখা উচিত কিনা এবং এর প্রতিকার, এবং প্রায় অলক্ষ্যেই সমান্তরালে উঠে আসা আরেকটি ইস্যু পর্ন দেখা কি ন্যায়সংগত কিনা এবং কারণ-প্রতিকার। প্রথমটার ব্যাপারে মোটামুটি সকলেই একমত, কাজটা ভীষণভাবে অনুচিত, কিন্তু একই সাথে তুলনামূলক বেশি প্রলুব্ধ করে। দ্বিতীয়টিও অনুচিত কিন্তু এর কি প্রতিকার সম্ভব ? আমার মনে হয় সম্ভব না। আমাদের দেশে ছেলে মেয়ের মধ্যে যে দূরত্ব সামাজিকভাবে তৈরি করে রাখা হয়, তাতে এক ধরণের যৌন চাহিদা থেকে যায় সত্যি কথা। কিন্তু উন্নত বিশ্বে, যেখানে যৌন সংসর্গ দুর্লভ কিছু নয়, সেখানেওতো পর্নের চাহিদা কম নয়, বরং অনেক বেশি। কাজেই এখানে মানব মনের অনেক জটিল হিসাব নিকাশ লুকিয়ে আছে বলেই আমার মনে হয়। তাই সার্বিকভাবে এই কালচারকে বন্ধ করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।

আরেকটা কথা, লীলেন ভাই কে সবাই দেখি হিডেন লীলেন নামেই ডাকা শুরু করে দিলো !!

ক্যামনে কি !!!!!

---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা নামটা জোস হইসে কিন্তু ! কোনদিন উনার কোন বই বিতর্কিত হলে সরকার উনার নাম দেবে "কথাসন্ত্রাসী হিডেন লীলেন " দেঁতো হাসি

- খেকশিয়াল

সবজান্তা এর ছবি

বিশ্বাস করেন লীলেন ভাই, কোন প্রকার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই নাম আমি দেইনি। বরং আমি বলতে চেয়েছি, আপনার এই অবদানের কথা যুগ যুগান্তরের প্রেম পিয়াসী বালক বালিকাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে শ্রদ্ধায়।

মাইনষে যে কিনা, ভালা কথাডারে কি বানাইসে দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

থার্ড আই এর ছবি

পর্ণের নিষিদ্ধ বিস্তার বন্ধের জন্য যুদ্ধ ঘোষনা করার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আমাদের বাকী আছে বলে আমি মনে করি। আপনার সাথে আমিও একমত, সত্যি এই বিষটি বন্ধকরা প্রায় অসম্ভব।
হিডেন ক্যাম বন্ধের জন্য না হয় আইনকরে একটা শাস্তি হবে। কিন্তু আমাদের ভেতরের পশূ দমন করবেন কি দিয়ে... আমরা যে প্রতিদিন নতুন নতুন ভিডিওর জন্য বসে থাকি?? অন্তজালে এই গলি সেই গলি ঘুরে বেড়াই , চলেন এই ফাঁকে একটু ফেভারিট লিষ্ট আর মাই রিসেন্ট ডকুমেন্ট লিষ্টটা চেক করে আসি...

লীলেন ভাই কে সবাই দেখি হিডেন লীলেন নামেই ডাকা শুরু করে দিলো !!

পিন্টু সুমনকে ফাঁসিতে ঝুলাতে না পারি, আমরা একজন হিডেন লীলেন তো পেয়েছি, সেটাইবা কম কি ??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মাহবুব লীলেন এর ছবি

জ্বি ভাইজানেরা
আমার গায়ের চামড়া যদি সাদা হতো তাহলে অতক্ষণে বহু জায়গা থেকে কনসালটেন্সির অফার পেয়ে যেতাম
কারণ পাখি আকাশে উড়ে এইরকম কথাও আমরা সাদা চামড়ার কাছ থেকে শুনে কনসালটেন্সি ফি দিয়ে মনে মনে আরাম পাই
আহারে কী একখান মূল্যবান কথা কিনলাম

কিন্তু আমি আগাগোড়া মাটিরং মানুষ
আমাকে তো আর কেউ কনসালটেন্সি ফি দেবে না? আমি না হয় অনাহারী ইনসালটেন্টই থাকি

তবে
কাঙালের কথা বাসি হইলে ফলে
পিচায় পড়লে অধমের কথা মনে হবে

(অনারারি কনসালটেন্টের বাঙালি সংস্করণ= অনাহারী ইনসালটেন্ট। কপিরাইটটা কিন্তু আমার)

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

পুরো লেখাটাই যুক্তিপূর্ণ। খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ লব্ধ। কিন্তু তার পরেও কেমন সবকিছু মনে গাঁথাতে পারলাম না।

আমি হয়তো মোটামুটি সবকিছুই মেনে নিয়েছি আপনার লেখার, শুধু কতোজন পিন্টুকে বয়কট করবো সেই প্রশ্নে একটু যুক্তিহীনের মতোন করেই বলবো, "যতোজনকে চিনতে পারবো, সংখ্যাটা কোনও ফ্যাক্টর নয়।"

আমি মনে করি, এই ভালোবাসায় কোনও আপত্তির বিন্দুমাত্র কারণ নেই, আপত্তি শুধু এটাকে অসম্মান করায়। আপত্তি শুধু এটাকে পণ্য করায়। যাদের উদাহরণ টেনে ব্যবসার কথা বলেছেন তারা ব্যবসাই করছেন এবং সেটাতে যারা অভিনয় করছেন তারা অভিনয়ই করছেন, টাকার বিনিময়ে। সুমন পিন্টু যা করেছেন সেটা ব্যবসাই করেছেন, তবে যারা তাদের সেটের পাত্র পাত্রী তারা কিন্তু অভিনয় করেন নাই, প্রেম করেছেন। তারা ব্যবসা করেন নাই। পন্যত্বও বরণ করেন নাই।

সুতরাং তাদের ব্যাপারে নমনীয় হওয়াটা আমি অসমর্থনই করবো।

আপনার আর ১০টা লেখার মতোই আরেকটা ব্লকবাস্টার এটা। আপনাকে অভিনন্দন এবং (বিপ্লব)

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

থার্ড আই এর ছবি

শুধু কতোজন পিন্টুকে বয়কট করবো সেই প্রশ্নে একটু যুক্তিহীনের মতোন করেই বলবো,

আসলে কতোজনকে বয়কট করবো? যুক্তি মানলাম সব পিন্টুই বয়কট, পাশাপাশি আমাদের সতর্ক থাকতে বাঁধা কোথায় ??
তবে সেটের পাত্র সুমন পিন্টুর বিয়ষটাকে আপনি প্রেম বলছেন?? কয়কি!! আরেকটা মন্তব্য পোস্ট দিমু কইলাম !!

যে তার প্রেমিকার সাথের বেড রুমের বিষয়কে সিডি বানায়ে বাজারে ছাড়ার বিষয় চিন্তা করে সে প্রেমিক হতে পারেনা। সে আসলে ছদ্মবেশী পর্ণ ব্যবসায়ী। কারন প্রেমিকার দেহ ভেবে সে আন্তরিক হয়নি, তার অন্তরঙ্গতা কিংবা প্রেমের অভিনয়ের উদ্দেশ্যই ছিলো সিডি বানায়ে বাজারে ছাড়া। মেয়েটির কাছে সেই বিষয়টি প্রেমের বলেই কষ্টটা মেয়েটাই পেয়েছে বেশী।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি মনে হয় দুটি ব্যাপারকে মিলিয়ে ফেলে একটা ভুল করে ফেলেছেন , পিন্টু সুমনের করা হিডেন ক্যামের সাথে মিলিয়ে ফেলেছেন থার্ড পার্টির কাছে ভিক্টিম কপোলদের ।

- খেকশিয়াল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হুমম ... হইতেই পারে মন খারাপ

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

থার্ড আই এর ছবি

থার্ড পার্ট সংক্রান্ত যথেষ্ট আলোচনা পূর্বের পোস্টগুলোতে হয়েছে। আপনি হয়তো খেয়াল করেননি আমি বলার চেষ্টা করেছি , এই ধরনের কর্মকান্ডের প্রতি থার্ড পার্টির আকর্ষন রয়েছে বলেই তো এর বাজার বিস্তৃত হচ্ছে। এই প্রবনতা চিরকাল ছিলো, এবং থাকবে। সেটি বন্ধ করা খুব সহজ নয়। তাই আবার সেই পুরোনো কথায় ফিরতে হচ্ছে , দুনিয়ার তাবৎ মানুষকে পাহাড়া না দিয়ে, নিজেকেই সতর্ক হতে হবে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একমত@ পোস্ট। ...কিন্তু পিন্টু-সুমনদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অব্যহত রাখাও জরুরী।


আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অমিত আহমেদ এর ছবি

১) নীলছবি ও প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রীর সাথে "হিডেন ক্যামেরা ভিডিও" গুলো মিলিয়ে ফেলার অবকাশ নেই। প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রীর বাজার ভালো এটা আমরা জানি আর সেই সাথে এও জানি যে নীলছবি দেখা কোনো ব্যভিচার নয়। তাই এসব প্রসঙ্গ অপ্রাসঙ্গিক।
২) আন্তর্জাতিক ভাবে "হিডেন ক্যামেরা ভিডিও" বলে যেসব ভিডিও কোনো "প্রোডাকশন হাউস" রিলিজ করে আমি নিশ্চিত তারা তাদের হাউসের নাম ভিডিওর শুরুতে কিংবা শেষে দিয়ে দেয়। এটা তাদের মার্কেটিং এর জন্যই প্রয়োজন। আর অত দূরে যাবার আগে নিজের ঘরটা সামলানো দরকার।
৩) দেশে ছেলে-মেয়ের মেলামেশায় বেশি কড়াকড়ি বলে এসব ভিডিওর প্রবনতা বাড়ছে তার সাথে আমি একশো ভাগ একমত।
৪) "সেলফ কনট্রোল" কথাটা ঠিক আছে, তবে এটাতে জোর দেবার আগে জোর দেয়া দরকার যারা এসব ভিডিও বের করছে তাদের যেন যথাযথ শাস্তির উপর। বিশেষ করে "মায়া কান্না" কথাটা আমার খারাপ লেগেছে লেগেছে। একটা মেয়ে স্বজ্ঞানে একটা ছেলের সাথে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। সেটা তাকে না জানিয়ে বাজারে ছেড়ে দিলে সে যদি ক্ষতবিক্ষত হয় তবে কি সেটা "মায়া কান্না"? মানতে পারলাম না!
৫) "ঠক বাছতে গা উজার না করে বরং নিজেরা সতর্ক হলেই ল্যাঠা চুকে যায়"। ঠিক আছে, নিজেরা অবশ্যি সতর্ক থাকতে হবে। তবে সেটা হবে সেকেন্ডারি প্রায়োরিটি। ফার্স্ট প্রায়োরিটি হবে ঠগ বাছাটা। প্রথম এসব শুরু হলো কাকে দিয়ে? পিন্টু-সুমন তাই তো (ওদেরকে আমি পশুই বলবো)? ওদেরকে তখন বিশ বছরের জেল দিয়ে দিলে পরে কেউ "হিডেন ক্যাম ভিডিও" করার আগে পাঁচ বার ভাবতো না? সময় কিন্তু এখনো আছে।
৬) মোদ্দা কথা হলো নিজেরা সাবধান হতে হবে কোনো সন্দেহ নেই তবে যারা একাজ করছে (আবারো বলছি, "হিডেন ক্যাম ভিডিও" বলতে আমি যেখানে ছেলে, মেয়ে, কিংবা দু’জনকেই না জানিয়ে ভিডিও করা হয়েছে তার কথা বলছি) তাদেরকে শায়েস্তা করার ব্যাপারটা ভুলে গেলে চলবে না।

আপনাকে ধন্যবাদ।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

"ফার্স্ট প্রায়োরিটি হবে ঠগ বাছাটা। প্রথম এসব শুরু হলো কাকে দিয়ে? পিন্টু-সুমন তাই তো (ওদেরকে আমি পশুই বলবো)? ওদেরকে তখন বিশ বছরের জেল দিয়ে দিলে পরে কেউ "হিডেন ক্যাম ভিডিও" করার আগে পাঁচ বার ভাবতো না?"
এইটাই আসল কথা ,,,, এই একটা কাজ করলেই আর কেউ সাহসও পাইতনা ,,,অমিতের মন্তব্যে বিপ্লব
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কেনো যেনো প্রেসিডেন্টের সাথে কিঞ্চিৎ দোনোমনো প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার কাছে মনেহয় না পিন্টুসুমনকে ধরে সবার সামনে পশ্চাৎদেশের কাপড় তুলে সবার সামনে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে সাইজ করলেও হিডেন ক্যাম কালচার বন্ধ হয়ে যেতো!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

অমিত আহমেদ এর ছবি

ধুসর গোধূলি ঠিক কথা বলেছেন। কোনো কিছুকেই সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা সম্ভব নয়। খুনের সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড। এর পরেও কি খুন হয় না? হয়! কিন্তু শাস্তির ব্যবস্থা না থাকলে খুন নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেত। এখানে উপযুক্ত শাস্তির ব্যাপারটা আছে। রাহেলার খুনিদের বিচার হলেও ধর্ষণ কিংবা খুন সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ হবে না। তবু আমি চাই সেই পিশাচদের শাস্তি হোক।


ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত

- খেকশিয়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শাস্তি হোক এটা অবশ্যই চাই। সাথে এটাও চাই যেনো ভিডিও দোকানগুলোকে মনিটর করা হয়। (এটা কতোটা কার্যকর হবে তা নিয়ে আমার নিজেরও সন্দেহ আছে। যেখানে মনিটরিং বান্দা পুলিশরাই একেকটা ইয়াসমীন কিংবা সীমা ঘটনার জন্য কলঙ্কিত!)

বাকী রইলো দোস্ত-বন্ধু কর্তৃক ছড়ানো। এক্ষেত্রে একজনের কাছে এধরনের হিডেন (লীলেন না) জাতীয় কোনো প্রোডাক্ট পেলেই সেটা সবাই মিলে দেখবে ঠিকই কিন্তু দেখার পরে বাকি সব বন্ধু মিলে যোগানদাতা বন্ধুটির পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করে সেখানে "এইখানে কিছু একটা করুন, না পারলে অন্তত একটা থুতু দিন" স্টাইলে একটু ট্রীট করলেই দেখবেন কাজ হবে রকেটের গতিতে।

কাজটা একটু খাইষ্টা মনে হলেও পরিণামে সুফল বয়ে আনবে। আর এটা চালু করাটাও ব্যাপার না। খালি জায়গামতো একটু তাল দিতে পারলেই হবে! চোখ টিপি

অন্তত ঐ বন্ধুদের কেউ আর এমন জিনিষের উদ্যোগ নিবে না। আরেকজনকে মজা দিয়ে পোঙ্গামারা খাওয়ার মতো পাবলিক এখনো আমাদের দেশে জন্মায়নি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

থার্ড আই এর ছবি

নীলছবি ও প্রাপ্তবয়স্ক সামগ্রীর সাথে "হিডেন ক্যামেরা ভিডিও" গুলো মিলিয়ে ফেলার অবকাশ নেই।

আপনি নিশ্চই অবগত আছেন প্রাপ্ত বয়স্কদের সামগ্রীর সাথে এখন যুক্ত হয়েছে হিডেন ক্যামেরায় ধারন করা ভিডিও চিত্র। প্রাপ্ত বয়স্কদের অন্তর্জালগুলোতে হিডেন ক্যামে ধারন করা ক্লিপসগুলোতে হিট হয় সবচয়ে বেশী, তাই এই বিষয়টিকে নীল ছবির সাথে না গুলালোও প্রাপ্তবয়স্কদের সামগ্রীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে ভাবতেই হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক ভাবে "হিডেন ক্যামেরা ভিডিও" বলে যেসব ভিডিও কোনো "প্রোডাকশন হাউস" রিলিজ করে আমি নিশ্চিত তারা তাদের হাউসের নাম ভিডিওর শুরুতে কিংবা শেষে দিয়ে দেয়।

অন্তর্জালে এখন অসংখ্য ওয়েব সাইট আছে যেখানে যে কেউ ভিডিও আপ লোড করতে পারবেন। সেই উন্মুক্ত সাইটগুলোর ব্যপারেই শংকা বেশী।

নিজেরা অবশ্যি সতর্ক থাকতে হবে। তবে সেটা হবে সেকেন্ডারি প্রায়োরিটি।

এখানে আমি ভিন্নমত পোষন করি, আমি 'নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে' বিষয়টাকেই ফাস্ট প্রায়োরিটি দিতে চাই। তার পরও যদি হিডেন লীলেন থিওরি কাজ না করে সে ক্ষেত্রে ধূ গো থিওরি এপ্লাই করা যেতে পারে।

আবারও পরিস্কার করি , পিন্টু সুমনদের শাস্তি না দেয়ার ব্যপারে কারো কোন দ্বিমত নেই। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট, মেয়েদের সামজিক প্রতিবন্ধকতা এবং ভবিষ্যতে মেয়েটির সুস্থ্য জীবনের কথা বিবেচনা করে হলেও সর্তক থাকার ব্যপারটিকেই আমি বেশী গুরুত্ব দেই।

দার্শনিক ডেকার্দ তাই নিজেকেও সন্দেহ করতে বলেছেন। (দার্শনিকে নাম ঠিক আছে তো..!!)

আপনাদের সাবাইকে ধন্যবাদ ।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

কাগজের বাঘ এর ছবি

সামাজিক প্রেক্ষাপটে এখন সব কিছুই বানিজ্যক হতে চলেছে। এক টুকরো কবিতা লেখা বা ভালোবাসা ভাললাগা এসব এখন অর্থহীন হতে চলেছে। মোবাইল ফোন, ওয়েবক্যাম, পর্নো-সিডি এগুলোই যেন সব বাধা দুর করে দিচ্ছে। আবার ইন্টারনেটেও বাংলা যৌন সাহিত্যর কেমন ছড়াছড়ি- পড়ে মনে হয় চরিত্র হরন কোন ব্যাপারই না । আর অপরাধ বোধ- সে তো সামান্য মানবিক বিষয়! যৌবন যার সময় তার।

এগুলো বন্ধ করে দিতে বলছি না! এ গুলোর Afrer affect বড় ভয়াবহ। পর্নো-সিডি/মুভি সাময়িক আনন্দ দিলেও পারস্পরিক শদ্ধাবোধ একেবারে নিচে নামিয়ে আনে। এই সিডি গুলো কিনছে ক্লাস এইট -নাইন এর ছেলেরা, যাদের যৌবন এখনো শুরুই হয়নি । বাংলাদেশে টিন এইজের মেয়েরা পর্নোগ্রাফিতে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও উপাদান দ্রুতই পৌছে যায়।

আর এগুলোর স্বাদ আচ্ছাদন করতে করতেই মনে হয় সবকিছুই খুব স্বাভাবিক- মামুলি ব্যাপার। ধরা পরার ভয়ও খুব কম। আর ধরা পড়লেও অভিভাবকরা কিভাবে Treatment করবেন, কি বলবেন কিছুই ভাল জানেন না, বা অনেক দেরী হয়ে যায়।

সামাজিক মূল্যবোধ বাড়াতে হলে, সবার সাথে মিশতে দিতে হবে, ভালমন্দ কি বুঝতে শিখাতে হবে। বলতে হবে -যৌনতা শুধু অশ্লীতাই নয় বরং এটা মানব জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ন সম্পদ এবং আত্মসন্মানবোধ- এটাকে যথেচ্ছা লুকোচুরি করে ব্যবহার করা, বা এটা নিয়ে কাউকে খাটো করা একেবারেই অনুচিৎ।

×× বাংলা ঠিকমতো লিখা যাচ্ছে না । যুক্ত অক্ষর ভেঙ্গে যাচ্ছে।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

অনেক আগের লেখা, কিন্তু প্রাসঙ্গিকতা এখনো অনেকটাই আছে দেখছি। বিশেষত, সেলিব্রেটিরা এই তালিকায় যুক্ত হওয়ায় আরো বেগবান হয়েছে এই ধারা।

বিকৃতি বড় দ্রুত ছড়ায়।

ব্যাধিই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়, প্রমথ চৌধুরী ঠিকই বলেছিলেন।

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।