চোখটা বন্ধ করেন, তার আগে ছবিগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। আমি নস্টালজিক হয়ে ফিরে গেছি সেই ২০ বছর আগের শৈশবে। কত বড় হয়ে গেছি....ইস !!!
সুলতানা বিবি আনা....সাহেব বাবু বলেন পান শুপারি খেতে ...
---যার নাম রেণুবালা তার গলায় মু্ক্তার মালা। সেই সব দূর্দান্ত খেলা গুলোর কথা।
হা-ডু-ডু, দাড়িয়া বান্ধা , কুতকুত, বৌ-চি,গোল্লা ছুট....সব গুলো খেলার একটারও ঠিক মতো নিয়ম মনে নেই....হায় হায়..
স্মৃতি এতটাই ভ্রষ্ট হয়ে গেছে !!
আছেন নাকি কোন সচল সবগুলো খেলার নিয়ম মনে করিয়ে দেবেন ??
একটা খেলা মনে আছে...কানা মাছি ভোঁ-ভোঁ যারে পাবি তারে ছোঁ...এইটা খুব সহজ ছিলো।
শুকনা টিংটিঙ্গে হওয়াতে হা-ডু-ডু খেলায় চান্স হতোনা, আর গোল্লাছুট ও দাড়িয়া বান্দা গুলো বেশ কঠিন ছিলো, আমি ছোট বলে আমাকে দুধভাত বানিয়ে বসিয়ে রাখতো, বেশীরভাগ সময় বড় বোনের সাথে কুতকুত খেলায় সুযোগ পেতাম, এক্কা দোক্কা...করে করে এত্ত বড় একটা বুইড়া হইয়্যা
গেছি !!!
আমাদের সময়ে এই সবই ছিলো বাচ্চা কালের মজার খেলা।
এসব খেলাগুলোকি হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ থেকে ?? এখনকার বাচ্চারা কি খেলে ? কম্পিউটার গেমস ?? ওয়ান্ডারল্যান্ড আর ফেন্টাসি কিংডম ??
photo courtesy : Save the Children Australia
মন্তব্য
এখনকার বাচ্চারা এসব খেলার নামও হয়তো জানে না...
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
আপনার মতো করে বললে ,
বাঁচি শৈশবে আর খানিকটা কৈশরেও।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
ওরা খেলবে কোথায় বলেন? এখন তো জায়গায় জায়গায় বড় লোকের বস্তি...।
-নিরিবিলি
বড় লোকের বস্তিরে দোষ দিয়া লাভ নাই., তবে মাঠের সমস্যাটাও একটা প্রধাণ কারণ।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
শুধুই বড়লোকেদের বস্তি আর মাঠের সমস্যা? বাচ্চাদের কাঁধে এখন বিশাল বিশাল বস্তাভর্তি বই-খাতা। স্কুল থেকে বেরি্যে প্রাইভেট টিউশন তারপর আঁকার ক্লাস, গানের ক্লাস কারো বা নাচের। সাথেই আছে মার্শাল আর্ট। জুডো, ক্যারাটে বা আরো উন্নত কিছু। কেউ কেউ ছোটে কম্প্যুটার ক্লাসে। খেলবে কখন?
---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)
------------
...অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা...
এই অংশে আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত না হয়ে পারিনা। বাচ্চাদেরকে একে বারে এই পৃথিবীর সেরা বাচ্চা বানানোর জন্য যা যা শেখানো দরকার তার কোনটাই বাকী থাকেনা। কিন্তু মানষিক বিকাশের এই সহজ প্রাকৃতিক খেলাধুলার ঐতিহ্যগুলো সত্যি হারিয়ে যাচ্ছে।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
সত্যিই নস্টালজিক করে দেবার মত ছবি। এইগুলোই তো আসল খেলা। অন্তত ছোঁয়াছুয়ি, বরফপানি আর বৌচি বা গোল্লাছুট তো সবাইই খেলতো।
আহারে এখনকার বাচ্চারা সত্যিই এসব থেকে বঞ্চিত হয়। খেলার মাঠই নেই, খেলবে কোথায়? অগত্যা কম্পিউটারে বসেই ছুট দেয় ভার্চুয়াল গাড়ি নিয়ে।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
মাঝে মাঝে একটু নস্টালজিক হতে মন চায় ।
আপনাকেযে ঐ খানর নিতে পেরেছি তাতেই বান্দা খুশি। তবে বরফপানি খেলাটা বুঝলামনা। তবে সহজ খেলাগুলোর মধ্যে ছোঁয়াছুয়িটা অনেক মজার ছিলো।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আমার মনে আছে, যদিও আমি ছোট ছিলাম বলে আপুরা খেলায় নিতে চাইতো না, আমি দম রাখতে পারবনা, বা দৌড়াতে পারবনা এজন্য।
বৌচি খেলায় ২ টিম থাকে, এক টিম তাদের জায়গা থেকে এক এক করে দম বন্ধ করে "কুতকুত" বলে অন্যদের ধরতে যেত আর তাদের একজন বৌ হয়ে একটু দুরে আরেক ঘরে থাকত। দম এর লিমিট থাকত যেমন ১০ দমে বৌ না আসতে পারলে তখন কোনও সাহায্য ছারাই বৌকে নিজের টিমের ঘরে ফিরে আসতে হবে যা কখনও সম্ভব ছিলনা তাই দম নেয়া টিম হেরে যেত। অন্য দল বাইরে পাহারা দিত বৌ যেন না ফিরে যেতে পারে তার টিমের ঘরে।
আর দাড়িয়া বান্ধাও খেলেছি, খুবি মজা এ খেলাতেও ২টিম। এটা লিখে বলা খুব অসুবিধা হবে তাই করছিনা।
গোল্লা ছুট মনে পড়ছেনা, তবে খেলেছি মনে আছে।
আরো কিছু খেলার কথা মনে পরল, কুমির তোর জলে নেমেছি, সাত পাতা, রংকল, ফুল টোকা , ফুল টোকার একটা কথা মনে পড়ছে, চোখ ধরে রাজা বলত "ক খ গ, মাথা নিচু করো, রাজা বলে দিলে খেলব না" হিহিহি
খুব ভাল লেখা, অনেক মজার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আমরা অবশ্য বলতাম, "ক খ গ ঘ মাথা হেট, বইলা দিলে খেলুম না"
মুমু বলার পরে মনে পড়লো, "কুমির তোর জলে নেমেছি"ও খেলেছি। কেমন কি কিছু মনে নেই, তবে খেলেছি।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
কুমির তোর জলে নেমেছিটা হল এমন, খেলার মাঠে কিছু কিছু জায়গাকে ডাংগা বানান হত, আর বাকি সব পানি যেখানে কুমির থাকত। অন্য সবাই ডাংগা থেকে নেমে এসে বলত "কুমির তোর জলে নেমেছি" আর কুমির ছুটে এসে ধরার আগেই অন্য ডাংগায় যেতে হোত, কুমির কাউকে ধরে ফেললে সে হত নতুন কুমির
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আরো একটা খেলার কথা মনে পড়লো।
সেই যে তিন চারজন করে দুপাশে বসে থাকতো। অন্যপক্ষের লিডার যে কোনো একজনের চোখ ধরে ডাকতো, আয়রে আমার টিয়ে...বা আয়রে আমার গোলাপ। সে এসে কপালে টোকা দিয়ে যেতো। চোখ খুলে দেবার পর তাকে বলতে হতো কে টোকা দিয়েছে। পারলে এক লাফ এগিয়ে যাওয়া। নয়তো ওরা। খেলাটার নাম ভুলে গেছি। মনে আছে কারো?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শিমুল আপু দারুন এক খেলা মনে করিয়ে দিলেন। এখেলা খেলতে গিয়ে আমি সব সময় শরীরে যত শক্তি আছে সেই শক্তি খরচ করে জোরে টোকা দিতাম। আর চোখ খুলে কয়েক পলক ঝাপসা দেখতে হতো...
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ফুলটোক্কা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
সেটার কথাইতো আমি বললাম, চোখ ধরে ডাকতো আর অন্য টিমের একজন এসে কপালে টোকা দিয়ে গিয়ে বসত, তখন যে চোখ ধরে আছে সে বলত "ক খ গ, মাথা নিচু করো, রাজা বলে দিলে খেলব না"
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
নতুন কয়েকটা খেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন,'কুমির তোর জলে নেমেছি, সাত পাতা, রংকল' ----
- আচ্ছা মুমু আপনার স্কুলে দম দিয়ে কিভাবে বউ আনতে হয়ে সেটার কোন ক্লাস হয় ??
----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
তা এখনও সিলেবাসে নেই আপনি একটা সাবজেক্ট আওটলাইন রেডি করে পাঠিয়ে দিতে পারেন বিবেচনার জন্য
তবে বশিকরন নামে একটা ফ্যাকাল্টি খোলার রিকোয়েস্ট এসেছে আমি (ডিইন) চিন্তা ভাবনা করছি, আপনি লেকচারার হিসেবে যোগ দিলে এপ্রুভ করে ফেলবো।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
মুল ব্লগ আর মন্তব্যে বর্নিত সব গুলি খেলা খেলেছি মনে পড়ে
এখনও কানামাছি খেলি আমার ছেলের সাথে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
কানামাছিটাই মনে হয় একমাত্র ঘরে বসে খেলা যায়। তাও আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি এর চর্চাটা ধরে রেখেছেন।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ইশ!! সব মনে করিয়ে দিলেন!!
এখন এলাকায় বিকালে অল্প কিছু মাঠ যা আছে সেখানে হয় ক্রিকেট, নাহলে ফাকা থাকে!! ইদানিং হলের ছেলেরাও ক্রিকেট ফুটবল কম খেলে!! শুধু নেটে বসে চ্যাট !!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নেটে বসে চ্যাট করাটাও বুঝি এক ধরনের খেলা?? জানতামনা!
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
সবচেয়ে মজা লাগত ঐ খেলাটা। গোল গোল বৃত্ত আঁকতে হবে। কোণা কুনি একই দলের দুইজন দুইজনকে হাত ধরে টানবে। লাক ভালো থাকলে কোন মেয়ের হাত ধরে টানার সুযোগ পাওয়া যেত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মতলব বাজদের লাক সব সময় ভালো থাকেনা....যো আপসে আতাহ্যা ও হালাল...
----------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আর সেই কড়ি উপরের দিকে ছুঁড়ে হাত দিয়ে লোফালুফির খেলা? শৈশবে গ্রামে বেড়াতে গেলে এই খেলাটা ছেলেমেয়েদের খেলতে দেখেছি। কী যেনো নাম ...কিছুতেই মনে আসছে না। ...
আমরা শহুরে শিশুরা অবশ্য খেলতাম টিলো-এক্সপ্রেস, ওপেনটি বায়েস্কোপ।
...আরেকটু বড় হয়ে টেনিস বল ছুঁড়ে বম্ব-পাট, সাতচারা। বস্তির ছেলেদের সঙ্গে ডাংগুলি, লাট্টু আর মার্বেল খেলার জন্য বাসায় কতদিন মার খেয়েছি!
লুকিয়ে ঘুড্ডির জন্য সুতোয় মাঞ্জায় দেওয়া ছিলো এক অ্যাডভেঞ্চার। আর ছাদে উঠে সেই ঘুড্ডি উড়ানোর জন্য, বো কাট্টা খেলার জন্য, তখন বুঝি জীবনও দিতে পারতাম।
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি!...
---
খুব মন খারাপ করে দেওয়া পোস্ট, হে প্রিয় থার্ড আই! লেখা ও ছবিতে (বিপ্লব)
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
গুরু আর বইলেননা। সাত চারা আর ঘুড্ডির কথা বইলেননা--
বুকটা ফাইট্টা যায়....
ঘুড্ডির মাঞ্জা দেয়া দেয়া তো রীতিমত একটা শিল্পকর্ম। ট্রেনিং করতে যেতাম , ক্যামনে মাঞ্জাদিলে ঘুড্ডি বাকাট্টা করন যায়। একবার ঘরের ভালো ব্লাব খুলে নিয়ে গুড়া করে মাঞ্জা দিয়ে ফেলছিলাম। আর ঘুড্ডির সুতার জন্য আম্মার সেলাই মেশিনের সুতা চুরি....আহারে সেই দিন গুলি...
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আরেকটা মজার খেলা কেউ হয়তো খেলেন নাই। বউ-জামাই খেলা। একজন মা হইতো আর আরেকজন বাবা হইতো। মা'টা বাবাটারে বলতো বাজারে যাইতে। বাচ্চার জন্য এইটা সেইটা সেইটা সংসারের নানা হাবিজাবি খরচ। আমপাতা দিয়া মাছ বানাইয়া লম্বা কইরা ঝুলাইয়া আনা। আহারে সেই মধুর শৈশব! যে আমার বউ সাজতে পছন্দ করতো সে যে দুনিয়ার কোন প্রান্তে আছে খবরই নাই।
এখন আমার ছেলে তার খালাত বোনের সঙ্গে বউ-জামাই খেলে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
হা হা হা যা বললেন প্রান জুড়িয়ে গেলো।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
মনে পড়ে গেলো চিটাগাঙে ফেলে আসা সেই শৈশব।
গোল্লাছুট, বউচি, কুতকুত, সাতচারা, ডাঙগুলি খেলার পাশাপাশি আমরা হাডুডু-ও খেলতাম। সেই হাডুডু খেলতে গিয়ে কয়েকজন মিলে একজনের শার্ট ছিঁড়ে দেয়া...
আহ !
সেইসব দিন আর ফেরে না !!
আমরা আরো একটা খেলা খেলতাম। গুপ্তধন বের করা। যে কোনো পাতা বা ইটের টুকরো লুকিয়ে রাখতে হতো নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে। অন্যজন সেটা খুঁজে বের করতো।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ওরে বাবা আপনি ডাঙ্গুলি খেলতেন ??
পরিবর্তনশীল কই....??
তার গল্পের নাম বদলাইয়া 'ডাঙ্গুলি মেয়ে আর আমসত্ব ছেলে করা লাগবে।'
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
- আমি আপনার এই লেখা দেখার আগে, ঘরে ফিরে জামা খুলতে খুলতে "পানের আগায় মরিচ বাটা..." গুনগুন করছিলাম। তারপরেই দেখি আপনার এই পোস্ট।
মিয়া, চিন্তা-ভাবনার দুনিয়া এতো ছোট হইয়া গেলে কেমনে হবে?
ঐতিহ্যগত শান্তশিষ্ট খেলার সঙ্গে আমাদের উদ্ভাবিত কিছু বিটকেলে খেলাও ছিলো। যেমন "জ্বলান্তিস", "ইশটপ", "পানিপথের যুদ্ধ", "গাইচ্ছা বান্দর", আরও ছিলো, মনে নাই এখন। এগুলোর বিশেষত্ব হলো এগুলো একটাও সুবোধ খেলা না। খেলা শেষে সুস্থাবস্থায় ঘরে ফিরতে পারতো কম জনও। কয়েকজন দেখা যেতো খেলা চলাকালীনই সহ্য করতে না পেরে কান্নাকাটি করে শেষে দাদী কিংবা দাদাকে নিয়ে এসেছে বাকীদেরকে বকে দেওয়ার জন্য!
মিস করি, ঐগুলাই মিস করি খুব।
হাডুডুতে চান্স হতো। তবে চিপ খাওয়ার জন্য। আমাকে চিপে টিপে হালুয়া বানায়া ছেড়ে দিতো পোলাপান। যখন বুঝতে পারলাম ঘটনা খারাপ। তখন বুদ্ধি করে, বেকায়দায় পড়ে গেলেই বলতাম "ছেড়ে দে"। ব্যস চিপ খাওয়ার আগেই মুক্তি!
তবে এই বুদ্ধি হওয়ার আগে। চিপ খেয়ে মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে ছুটে গিয়ে যে বেশি চিপসে তারে ধরে কষে বিলাতি মাইর, একেবারে ফ্রিহ্যান্ড!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দুনিয়াডাযে সচলায়তেনর মধ্যেই চলে এসেছে তাই ভাবনাগুলোও খুব কাছাকাছি চলে আসছে।
"জ্বলান্তিস", "ইশটপ", "পানিপথের যুদ্ধ", "গাইচ্ছা বান্দর" সম্পর্কে বিস্তারিত মন্তব্য আশাকরছি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আরে রুটির উপরে ভূভারতে আর কোন খেলা আছে নাকি? কারো স্মৃতি না থাকলে মনে কনাইয়া দেই। একটা নিরিহ চাইরকোণা ঘরের মধ্যে সবাই ঢুইকা একদুইতিন কইতে কইতে বাইরে আইতে গিয়ে যে বাকি থাকবো সে চোর। তখন বাকি সবাই মিলা তারে বাইরে থিকা থাবড়াইবো। তারপর চোরের কাজ হইলো এক এক কইরা ঘরে ভিতরে আইনা সংখ্যাবৃদ্ধি করা। এইভাবে সর্বশেষ যে বাকি থাকে সে জিতে। তখন তারেও টাইনা ঘরের ভিতরে আইনা সবাই একলগে বাইর হয় পরের দাইনের জন্য।
এই থাবড়াথাবড়িপূর্ণ উপাদেয় খেলাটাই আমার শৈশবের অনেকখানি জাগা নিয়া আছে। আরো খেলা আচে। সেগুলার কথা পরে কমু।
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
কি সুন্দর মুক্তার মালা দিয়া খেলা শুরু করলাম, আর আপ্নে বস থাবড়াথাবড়ি দিয়া খেলা শেষ করলেন ??
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আকাশে ঘুড়ি
উঠানে মার্বেল
বারান্দায় ষোলোগুটি
আর আনাচে কানাচে লাটিম
এই চারটায় আমি রীতিমতো দুর্ধর্ষ ছিলাম
০২
এখনও আমার দাগা মার্বেল (যেটা দিয়ে টোকা হতো)
নিজের হাতে বানানো নাটাই
এবং নিজের হাতে বানানো গলাকাটা লাটিমটা আছে আমার
খেলার নিয়ম?
দেখিতো একবার শৈশব ঘুরে আসতে পারি কি না
সব নিয়ম জানিয়ে দেবো হাতে ধরে ধরে
নতুন মন্তব্য করুন