একটি ছবি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষনের আগে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে বাংলাছবি ’দ্যা লাস্ট ঠাকুর’ যে ইতিহাস গড়ে ফেলেছে সেই তথ্যটা পাঠককে জানানো দরকার। লন্ডনে ৫২ তম চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবার মাধ্যমে আন্তজাতিক অঙ্গনে প্রবেশ করলো বাংলা চলচিত্র। সাদিক আহমেদই প্রথম বাংলাদেশী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা যার ছবি লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালের প্রদশণীর জন্য মনোনিত হলো। সত্যজিৎ রায়ের পর আর কোন বাঙলির ছবির এমন ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়নি। ৩৫ বছর বয়সী এই তরুণ চলচিত্র নির্মাতা যখন বাংলাদেশ ছেড়ে বিলেতে আসেন তার বয়েস ছিলো মাত্র তিন বছর। বাংলাদেশ সম্পর্কে যার তেমন কোন ধারণা ছিলোনা, সেকিনা আন্তজার্তিক অঙ্গনে প্রথম বাংলা ওয়েষ্টার্ণ ছবি বানাবার দুঃসাহস করে ফেললো ?
সাদিকের সাহসটা হয়েছে তার লন্ডনের বিখ্যাত লণ্ডন কলেজ অব পেইন্টিং এন্ড সেন্ট্রাল সেন্ট মার্টিন্টস স্কুল অব আট এন্ড ডিজাইন হতে আন্ডার গ্রাজুয়েট করে। সেই সাথে সাদিক সিনেম্যাটোগ্রাফিকর উপর এম এ করেন বিখ্যাত ন্যাশনাল ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন স্কুল ( এনএফটিএস) থেকে। সাদিক যখন এনএফটিএসর ছাত্র তখনই সিনেম্যাটোগ্রাফীর উপর দুইবার কোডাক পুরস্কারও জিতে নেয়। দ্যা ’লাস্ট ঠাকুর’ই সাদিকের প্রথম ফিচার ফিল্ম, এর আগে অবশ্য ’তানজু মিয়া’ নামে স্বল্প দৈঘ্য চলচিত্র নির্মান করেছিলো প্রতিভাবান এই তরুন নির্মাতা। ’তানজু মিয়া’ আন্তজাতিক প্রশংস লাভ করে জিতে নেয় রয়েল টেলিভিশন সোসাইটি এওয়ার্ড।
লাস্ট ঠাকুর নিয়ে বেশ মাতামাতি চলছিলো ইন্টারনেট ভিত্তিক সোসাল নেটওয়ার্ক সাইট ফেসবুকে। সাদিক আহমেদ যখন তার ছবির ট্রেলারটি ট্যাগ করে আমাকে পাঠালো আমি খানিকটা চমকে গেলাম, আমাকে কেন এই ভিডিও ক্লিপস ট্যাগ করা হলো ! সাদিকের ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট গ্রহন করে লাস্ট ঠাকুরের ট্রেলার দেখে আমার চোখ এক্কেবারে ছানাবড়া!! প্রথমে আমি ভেবেছিলাম বাংলাদেশী অভিনয় শিল্পীরা বুঝি হিন্দীকোন ফিল্মে অভিনয় করেছে। পরক্ষনেই ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম ছবির ক্যামেরা ওয়ার্ক আর মিউজিক কম্পোজিশন এতো দুর্দান্ত হয়েছে যে আমি বাধ্য হলাম আরো কয়েক বার দেখতে। তারপর অনুসরণ করলাম মন্তব্যগুলো। ট্রেলার দেখেই শত শত মন্তব্যে পুরো ফেসবুক সয়লাব হয়ে গেছে। আর দর্শকদের এই আগ্রহের শতভাগ প্রমান মিলেছে প্রথম প্রিমিয়ার শোতেই। ২৫ অক্টোবর প্রথম ওয়াল্ড প্রিমিয়ারের একটা টিকেটও বাকী ছিলোনা , সব টিকিটই অগ্রীম বিক্রী হয়ে গিয়েছিলো, বরং টিকেট না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই। আশার কথা হলো এখানেই, এনএফটিএস’র এক নম্বর হলে প্রিমিয়ার শোর ৯৫ ভাগ দর্শকই অবাঙালী।
তার অর্থ এই যে, শুধু মাত্র বাঙালিরাই আবেগের টানে বাংলা মুভিটি দেখতে যায়নি, আন্তজাতিক গনমাধ্যমগুলোতে এই সংবাদটা পৌছে গেছে যে, বাংলাদেশ আসছে, ফিল্মের গুরু বলা হয়ে থাকে যে আর্টিফিসিয়াল আই প্রোডাকশনকে তারা দ্যা লাস্ট ঠাকুরের প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে। আর ছবিটিতে মিউজিক কম্পোজিশনও করেছে আরেক বিখ্যাত মিউজিশিয়ান কৃষাণ খান। মুক্তি পাবার আগেই চ্যানেল ফোর কিনে নিয়েছে ইংল্যান্ডের প্রচার সত্ব। একই সাথে সুইজারল্যান্ড ও ইটালীতেও সত্ব বিক্রী হয়ে গেছে ।
লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালে শেষ হয়েছে ৩০ অক্টোবর । লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালে সফল প্রদর্শণীর পর ১১ থেকে ১৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তজাতিক চলচিত্র উৎসবেও প্রদর্শণী হবে ’দ্যা লাস্ট ঠাকুর’
প্রিমিয়ার শোর আগে আতিফের কাছে জানতে চাইলাম কেন সে বাঙলা মুভি নির্মানে অর্থ লগ্নী করতে গেলো? আতিফের কথা হলো বিশ্বজুড়ে ডাইভার্স কমিউনিটিতে ভিন্ন ফ্লেবারের মুভি দেখতে চায় দর্শক, আর্জেন্টিনা কিংবা ল্যাটিন আমেরিকার মুভিগুলোর ছবি বানাতে গিয়ে বড় বাজেট লগ্নী করছে প্রযোজনা সংস্থা গুলো, সেখানে বাংলাদেশী মুভিতে কেন নয় ? তারপর ইংল্যান্ডে অসংখ্য বাঙালি দর্শকও রয়েছে এই বিষয়টাও তার মাথায় ছিলো। বিশ্ব চলচিত্রে যেখানে মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ ব্যয় করে মুভি তৈরী হচ্ছে সেখানে এত কম বাজেটে নির্মিত ছবিটি সম্পর্কে নির্মাতাদেরও আগ্রহ কম নয়।
ছবিটি নির্মান করতে গিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন রুনী খান। রুনী খান বললেন, সাদিক বাংলাদেশ নিয়ে যখন মুভি বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করলো শুরুও দিকে তিনি খানিকটা অবাকই হয়েছিলেন। প্রথমত অপরিচিত, কম বয়স্ক পরিচালক এতো বড়ো কাজ পারবেতো! পরবর্তীতে সাদিকের একাগ্রতা সেই সাথে ফিল্মের উপর পড়াশুনা আছে দেখে অনেকটা আতœবিশ্বাস নিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন রুনী খান। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনি সংস্থা এ্যাডকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ক্রিমিং গার্ল বাংলাদেশে ছবিটি নির্মানে সার্বিক সহোযোগীতা দিয়েছে।
ব্রাক্ষ্মনবাড়ীয়ার সড়াইলে নির্মিত ছবিটির সবচেয়ে মজার দিক হলো ছবিটিতে পুরো একদিনের কাহিনীর সন্নিবেশ দেখানো হয়েছে। সকাল ৬ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই কাহিনীর শেষ টানা হয়েছে। রুনী খান জানালেন, সাদিক বলছিলো সে পুরো ছবিটি সে কুয়াশার মধ্যে স্যুটিং করতে চায়, সে অনুযায়ী বাংলাদেশে ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে কুয়াশা থাকে। শুধু কুয়াশার আবহের পুরো আমেজটা ছবিতে ধরে রাখতে মাত্র ২৪ দিনে ছবির স্যুটিং শেষ করা হয়।
সাদিকতো বলেই ফেললো, এতো কমবাজেটে ছবি নির্মান সত্যি খুব দুরহ। মাত্র ১০০- ১২০ হাজার পাউন্ড ব্যয় করে ছবি নির্মান করতে গিয়ে সে অনেক অপূর্ণতা রয়ে গেছে সাদিকের। তবে প্রয়োজণীয় সহযোগিতা আর অর্থের যোগান থাকলে বাংলাদেশ যে কোন কিছু করেই দেখাতে পারে দ্যা লাস্ট ঠাকুরের মাধ্যমে সেটিই প্রমানিত হলে।
প্রিমিয়ারশো দেখে বের হয়েছেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা বললাম, জানতে চাইলাম প্রথম ওয়েষ্টার্ণ বাংলা মুভি সম্পর্কে তাদের অনুভূতিটা আসলে কেমন, যেক’জনের সাথে কথা বললাম তাদের মধ্যে এক দর্শক এসেছে ফ্রান্স থেকে , ছবির ট্রেলার দেখে তার ধারণা ছিলো তিনি রিয়েল ওয়েষ্টার্ণ ধাঁচের একটি ছবি দেখতে পাবেন কিন্তু সেই প্রত্যাশাতার পুরণ হয়নি। তবে প্রথম আন্তজাতিক অঙ্গনে বাংলাছবির প্রিমিয়াকে তিনি সাধুবাদ জানাতেও ভুল করেনি। স্টেরি লাইনে কিছুটা দূর্বলতা থাকলেও
অধিকাংশ দর্শকের মন্তব্যে মুগ্ধতা ছিলো শিল্পীদের অভিয়ন দক্ষতা আর ক্যামেরার কাজ দেখে। আধুনিক ফিউশন মিউজিক ছবিটির মাধূর্যতা বাড়িয়েছে অনেকখানি। ছবিতে ঠাকুর চরিত্রে তারিক আনাম, চেয়ারম্যান চরিত্রে -আহমেদ রুবেল, কালা চরিত্রে -তানভীর হাসান, মুস্তাফা চরিত্রে -জয়ন্ত চট্রপাধ্যায় আর তানজু চরিত্রে- আনিসুর রহমান মিলনের অভিনয় ছিলো অসাধারণ ! বাংলাদেশের শিল্পীদের অভিনয় মানযে বিশ্বমানের এটি অকপটে বলেছেন দর্শকরা।
প্রতিশোধ আর আইডেন্টিটির খোঁজে দৌলতপুর নামে কাল্পনিক গ্রামে এক বন্দুক ধারী আগুুন্তকের আগমন ঘটে । রেপড শিশু কালার জন্ম হয় ১৯৭১ সনে যুদ্ধকালীন সময়ে। পুরো ছবি জুড়ে কালা তার বার্থ সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে প্রতিশোধ নিতে এন্টি হিরোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ে গ্রামের জমির মালিক ও ক্ষমতা ঠাকুরের হাতে থাকলেও যুদ্ধপরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যানের হাতে কতৃত্ব চলে গেলে শুর হয় দ্বন্দ। পুরো ছবি জুড়েই ঠাকুর আর চেয়াম্যানের ক্ষমতার দ্বন্দকে কেন্দ্র করেই ছবির কাহিনী ঘুরপাক খায়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গ্রামের সাধারণ পরিবারে যেখানে পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা অবহেলিত আর নিগৃহীত, সেখানে চেয়াম্যানের বৌ চরিত্রে নারীকে খুব শক্তিশালী রুপে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৮০ মিনিট দীর্ঘ এই ছবিটি ধারণ করা হয়েছে সম্পূর্ণ হাই ডেফিনেশন মুডে। দ্যা লাস্ট ঠাকুরই এইচডি ফরমেটে করা প্রথম বাংলা ছবি।
ছবিটি আগামী বছর মার্চ এপ্রিলে মুক্তি পাবে। ইংল্যান্ডের অডিয়ন সিনেমা হলে যেখানে হ্যারি পর্টার, লাস্ট সামুরাই কিংবা মাম্মির মতো ছবি মুক্তির অপেক্ষায় দর্শক অপেক্ষা করে বসে থাকে, এখন থেকে সেই হলে বাংলা ছবির জন্য দর্শক অপেক্ষা করে বসে থাকবে ! বিয়টা ভাবতেই অনেকটা শিহরণ জাগানোর অনুভূতির সৃষ্টিকরে। বিশ্ব চলচিত্রের আসরে সাদিক আহমেদের ’লাস্ট ঠাকুর’ নিয়ে এই যে এতো মাতামাতি এটি নিসন্দেহে বাংলাচলচিত্রের জন্য সুখবর।
মন্তব্য
ছবিটার প্রতি আগ্রহ ছিলো... কিন্তু যখন জানলাম এর প্রযোজক পাকিস্তানি তখন থেকেই সব আগ্রহ উবে গেলো। (ব্যাখ্যা চাইলে দিমু না)
ছবিটাতে কতটুকু বাংলাদেশ আছে সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। যুদ্ধশিশুদের বার্থ সার্টিফিকেট বাস্তবতাকে হার মানায়। ঠাকুর প্রশ্নে আরিফ জেবতিক যা বলেছেন তাতে আমার পূর্ণ সহমত আছে।
এতে অভিনয় করার জন্য প্রথমে বলা হয়েছিলো আজাদ আবুল কালামকে। তার সাথে সেদিন আড্ডা হলো... জানলাম স্ক্রিপ্টটা পড়ে তার ভালো লাগেনি... আজগুবি মনে হয়েছে... তাই তিনি করেননি অভিনয়। যতটুকু শুনেছি তাতে আমার কাছেও আজগুবিই মনে হয়েছে।
সম্ভবত সাদিক আহমেদ ভালো নির্মাতা। তবে স্ক্রিপ্ট আর প্রযোজক বাছাইয়ে আরেক্টু মনোযোগি তিনি হতে পারতেন।
সম্ভবত এটা একটা ভালো ছবি... ভালো ছবি হিসেবে একে গুরুত্ব দিতে রাজি আমি... কিন্তু এটাকে বাংলাদেশের গর্ব বলতে পারছি না।
এটা প্রথম বাংলা ওয়েস্টার্ণ শুনে মজা পেলাম... বাংলা ওয়েস্টার্ণ!!!
এইচডি ফর্মেটে করা প্রথম বাংলা ছবি কোনো বিশেষ মাহাত্ম প্রকাশ করে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ছবিটার অনেক সমালোচনা আছে,
প্রথম সমালোচনা হৈল, স্টোরী লাইনে আধা পইসার ভালো লাগে নাই। স্ক্রিপ্ট রাইটার সম্পূর্ণ ব্যর্থ আমি বলবো।
সাদিক ভালো পরিচালক কিনা আমাকে প্রশ্ন করলে আমি উত্তর দেবেনা, আমি সাদিককে ভালো সিনেমাটোগ্রাফার বলবো।
অভিনয় শিল্পীদের দক্ষতার কোন কার্পণ্য ছিলোনা।
সাদিক যদি বাংলাদেশের কোন পরিচালকের উপর দায়িত্ব দিয়ে নিজে সিনেম্যাটোগ্রাফিটা নিজে করতো এবং স্ক্রিপ্টটা ?লেখায় যদি কোন ভালো বাংলাদেশী রাইটারের সহায়তা নিত তাহলে আরো ভালো কিস্যু হতো।
ভালো বলবো এই দিকে যে, সাদিক সাহস করে ছবি বানিয়ে ফেলেছে, সেটি লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভালে প্রদর্শণীর জন্য মনোনীতও হয়েছে। যেখানে বাংলা ছবির দর্শকরা হল ছেড়েছে, সেখানে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বাংলা ছবির হাতে খড়ি, অন্তত আমাদের শুরুটা হলো, এটাওবা কম কি।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ছবিটা দেখার প্রচন্ড আগ্রহ হচ্ছে।
বাংলাদেশে কি এই ছবি পাওয়া যাবে?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
বাংলা ওয়েস্টার্ণ নিয়ে মজা পাওয়ার কিছুই নাই নজু ভাইজান, সোনার পাথরবাটিওতো আছে, নাকি নাই????
আরিফ ভাইয়ের মন্তব্য কোথায়?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তানবীরা'পু, এই পোস্টটা দেখতে পারেন।
নজু ভাই, পারলে একটু কনফার্ম করেন এই পোস্টের কথাই বলসেন কী না।
হ এইটাই...
আপনে মিয়া পারেনো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনের খাটনি বাঁচাইতে এইটুক যদি না করতে পারি, তাইলে ক্যাম্নে কী!
'বাংলা ওয়েস্টার্ন' পদটি আমারও খট্কা লেগেছে। শব্দগুলোর একত্রে ব্যবহার নয়, এখানে যে অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তাতে দ্বন্দ্ব আছে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
তানবীরাপু... উত্তরটা দেখলাম জিজ্ঞাসু দিয়ে দিয়েছেন।
আরিফ ভাইয়ের মন্তব্য এখানে না... এর আগে এই ছবি নিয়ে দুটো পোস্ট হয়েছিলো সচলায়তনে। তারই কোনো একটাতে ছিলো আরিফ ভাইয়ের মন্তব্য। আমাকে খুজেঁ দিতে বললে ক্ষমা চাইবো। নেট খুব স্লো... আর সময় খুব দ্রুত চলে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
প্রথমত, একটা বাংলা ছবি ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে প্রদর্শিত হচ্ছে এই বিষয়টা আমাকে অবশ্যই তৃপ্ত করে।
দ্বিতীয়ত, লোকেশান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে হওয়ায় আরেকটু কৌতুহল বাড়লো, কেননা সরাইলে ৯৩-৯৬ এই চার বছর চাকুরিসূত্রে চমৎকার কাটিয়ে এসেছি এবং বিতর্কিত রাজনীতিক তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বাড়ি ওখানেই। তাই সেই ঠাকুরের সাথে ছবির ঠাকুরের সামঞ্জস্যটুকু চেখে দেখার একটা ইচ্ছাও জাগ্রত হলো বৈ কি।
তৃতীয়ত, প্রযোজক রুনী খান একজন পাকিস্থানী হিসেবে না কি একজন শিল্পবোদ্ধা মানুষ হিসেবে অর্থায়ন করলেন, তাও জানার ইচ্ছা জাগ্রত হয়েছে।
আরো অব্যাখ্যাত কিছু কারণে ছবিটা সুযোগে দেখার ইচ্ছা রইলো।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
নজরুল ইসলাম এর সাথে সহমত ...
বাংলা ওয়েস্টার্ণ যদি হতেপারে যুদ্ধশিশুদের বার্থ সার্টিফিকেটও থাকতেপারে
ছবিটা দেখার প্রচন্ডরকম ইচ্ছা আছে। ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। ক্যামেরার কাজ আর মিউজিক- অসাধারণ লেগেছিলো।
আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। ক্যামেরা আর মিউজিকটার জন্যই ছবির ট্রেলারটা যতটা জনপ্রিয় হয়েছিলো, মূল ছবিটা ততটা দর্শককে টানতে পারছেনা।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নতুন মন্তব্য করুন