শুনেছি ভোট দিলে নাকি আজ কাল বেহেস্তেও যাওয়া যায়। সহজ সরল ধর্মভীরু এই মানুষগুলোর আবেগ আর ধর্মীয় অনুভূতিকে পূঁজি করে ভোটের মাঠে নেমেছে রাজাকাররা। ধর্মের ভয় দেখিয়ে আর বেহেস্তের লোভ দেখিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে তাঁরা। আমি জানি এই ব্লগ পড়বেনা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সেই অসহায় গৃহবধূটি যার হাতে কোরআন শরীফ ছুঁইয়ে ভোট দেয়ার শপথ করানো হয়েছে। তবে আজ অন্তর্জালে নতুন এক ছবি দেখে আমি চমকে গেছি !! গোলাম আজমের পাকিস্তানের জন্য চাঁদা আদায়ের সেই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল !
১৯৭২ সনের সরকারী নথি হতে যুদ্ধাপরাধে দায়ের করা মামলার নম্বর সহ ৬০০ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, তাদের মধ্যে ২৮ জন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে । বহু বার এদের নাম উচ্চারিত হয়েছে। আবারও বলে যাই।
পাবনা - ১ : মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী
ফরিদপুর - ৩ : আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ
চট্টগ্রাম - ২ ও ৬ : সালাউদ্দীণ কাদের চৌধুরী
চট্টগ্রাম - ৫ : গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধূরী
শেরপুর - ১ : মুহাম্মদ কামরুজ্জামান
পিরোজপুর - ১ : দেলোয়ার হোসেন সাঈদী
ঢাকা - ৮ : মীর কাশেম আলী
ঢাকা - ১৪ : এস এ খালেক (ঢাকা-১৪)
ময়মনসিংহ - ১০ : ফজলুর রহমান সুলতান
সাতক্ষীরা - ২ : মোহাম্মদ আবদুল খালেক
সাতক্ষীরা - ৩ : রিয়াসাত আলী বিশ্বাস
সাতক্ষীরা - ৪ : গাজী নজরুল ইসলাম
সিরাজগঞ্জ - ৪ : রফিকুল ইসলাম খান
গাইবান্ধা - ১ : আবু সালেহ মোহাম্মদ আজিজ মিয়া
সিলেট - ৫ : ফরিদ উদ্দীন চৌধূরী
সিলেট -৬ হাবিবুর রহমান
জয়পুর হাট - ১ : আবদুল আলীম
ভোলা - ১ : মোশারফ হোসেন শাহজাহান
কক্সবাজার - ১ : এনামুল হক মঞ্জু
যশোর - ৬ : মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন
রংপুর - ২ : এটিএম আজহারুল ইসলাম
খুলনা - ৬ : শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস
ঠাকুরগাও - ২ : মাওলানা আবদুল হাকিম
চুয়াডাঙ্গা - ২ : মাওলানা হাবিবুর রহমান
পাবনা - ৫ : মাওলানা আবদুস সোবহান
খুলনা - ৫ : মিয়া গোলাম সারোয়ার
আমি বেহেস্তে যেতে চাই না। তবুও বলবো না না না । মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কতৃক প্রকাশিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় ২৮ প্রাথীর গাড়ীতে যদি স্বাধীণ বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা উড়ে সে লজ্জা পুরো জাতির। ভোট কাকে দেবেন সে সিদ্ধান্ত আপনার তাই বলে কি আমার না বলার অধিকারটুকু ও নেই ?
মন্তব্য
বেহেশতের টিকিটটা কালার ফটোকপি করে রাখা দরকার কিছু।
এমন পথে চলে যদি বেহেস্তে যাওয়া যায়, সে বেহেস্ত আমিও চাই না না না...
তানবীর ধন্যবাদ তালিকাটা এখানে প্রকাশের জন্য
তবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এই তালিকায় একজনের যুদ্ধপরাধ সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। যতদূর জানি যুদ্ধকালীন সময়ে তার বয়স ছিলো ১১ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। যদিও ঐ অল্প বয়সে অনেকে যুদ্ধ করতে বাধ্য হলেও শখ করে কেউ খুন করতে যাবে এমনটা অস্বাভাবিক! যাইহোক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কাছে এদের প্রত্যেকের যুদ্ধকালীন কর্মকান্ড সম্পর্কে যা কিছু তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষিত আছে তা সবার সম্মুখে প্রকাশ করা হোক। এমন কি আপনার জানা লিংক থাকলেও এখানে দয়া করে তুলে দিন।
তবে ঘটনা যাইহোক সর্বপ্রথম 'যুদ্ধাপরাধীদের না বলুন'
কন কি.... বিবর্তনবাদের প্রমান চাইলে তাও বুঝতাম.... এরা তো কুখ্যাত রাজাকার... সবাই চিনে... দাদার বয়সীরা নিজ চোখে দেখসে...
যাই হোক .. লিংক আসে-
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/20683
http://www.muktadhara.net/page10.html
http://www.muktadhara.net/page42.html
শেষের দুইটায় রেফারেন্স ও আছে..
I think , therefore i am - Descartes
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
আমি যার কথা বলছি তার নাম ঐ তালিকায় নাই। থার্ড আইকেই ঐ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবো আগে।
সম্ভবত ঐ একজন সিরাজগঞ্জের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খান।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
খুলনার প্রার্থীর নাম কি গোলাম পরওয়ার। আমি নিশ্চিত নই, তবে আগে এই নামটা গোলাম পরওয়ার হিসেবে পড়েছিলাম অন্যত্র।
যুদ্ধাপরাধীদের না বলুন।
চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীরা ছাড়াও যারা চোখের আড়ালে চলে গেছে গবেষণার মাধ্যমে তাদেরকে চিহ্নিত করাও জরুরী। ভবিষ্যত প্রজন্ম তাদের আসল পরিচয় জানতে হবে।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
যুদ্ধাপরাধীদের না।
=============================
যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করুন ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করুন । জামাত এবং তাদের সাহায্যকারীদের ভোট দিবেন না। যুদ্ধাপরাধীরা এখনও স্বীকার করে না যে মুক্তিযুদ্ধে তারা অপরাধ করেছে।
সদস্যনাম: শাওন মিয়া
নতুন মন্তব্য করুন