ইহুদ ওলমার্ট বেটার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। ১২০০ মৃত্যু নিশ্চিত করার পর তাঁর মনে হয়েছে গাজায় ইসরাইলী হামলার লক্ষ অর্জিত হয়েছে, তাই আপাতত আর যুদ্ধ নয়,তবে ইসরাইলি সৈণ্য এই মূহুর্তেই গাজা ছাড়ছেনা । অন্যদিকে হামাস ইসরাইল পরাজিত হয়েছে বলে দাবী করে উল্লাস প্রকাশ করেছে, তবে গাজায় কোন প্রকার ইসরাইলী সৈন্য দেখতে চায়না হামাস। তিন সপ্তাহ ধরে নিরিহ জনগন,নারী ও শিশু হত্যার পর, রক্ত চোষা দানব ইহুদ ওলমার্ট কিছুক্ষণ আগে যুদ্ধ বিরতি ঘোষনার ফলে ফিলিস্তিনে শান্তি নিশ্চিত করবে কিনা সেই সন্দেহ থেকে গেলেও অন্তত এই যাত্রায় গাজায় নিরিহ মানুষ গুলো প্রানে তো বাঁচবে !
সারা দিন আজ ট্রাফালগার স্কয়ারে ছিলাম, হাজার হাজার জনতার গর্জনে লন্ডনের আকাশ ভারি হয়ে উঠেছিলো, বড় আয়েশ করে আবেগ দিয়ে একখান নিউজ করলাম , ওভার টাইম মেরে বাসায় ফিরলাম রাত ২ টায়! বাসায় এসে আমার নিত্যসঙ্গী কম্পিউটার খুলে দেখি আমার সারাদিনের নিউজ -ভ্যালু লেস, এই নিউজ যখন প্রচার হবে ততক্ষণে ইহুদ ওলমার্টের যুদ্ধ বিরতি ঘোষনা হয়ে গেছে!
একটা নিউজের করুণ মৃত্যু একজন সংবাদ কর্মী হিসাবে আমার মেনে নিতে খানিকটা কষ্ট হলেও আনন্দ লাগছে এই ভেবে যে, গাজায় অন্তত মৃত্যুর মিছিল তো থেমেছে!
মন্তব্য
ওলমার্ট বেটার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে।
ঠিক নয়। একতরফা আর কত? তাই দানব শ্বাস নিচ্ছে। ক্লান্তি কেটে গেলে আবার নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বে। মানুষের রক্তমাংশ না পেলে তার ক্ষুধাতৃষ্ণা যে মেটে না।
আর হামাস? তার ত' "লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই করে বাঁচতে চাই"। লড়াই না থাকলে হামাসের অস্তিত্বের মানে কি? আবার সে ঠিকই সুযোগ বুঝে ফুলের টোকা দেবে। এসবই ত'চলছে।
এদিকে ওবামা মঞ্চে উঠবেন দুদিন পর। এরপর ইরান আসবে। সমঝোতা এক্সপ্রেস চালু হবে। সেই আবার রোডম্যাপ, শান্তির পুরনো মিথ।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
গাজার সমস্যা ঠিকে থাকলে সবচেয়ে বড় বেনিফিটেড গোষ্ঠীর মধ্যে সংবাদ মাধ্যম বা মিডিয়া অন্যতম। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের চেয়ে আমরা মিডিয়ার লোকজন কম রক্তচোষা নই! গাজার প্রতিটি মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেই প্রতি মুহূর্তে। জেসাসের হাতে যখন পেরেক ঠুকছিলো মৃত্যুর আগে, তখনও তিনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, '......ওদের ক্ষমা করো তুমি! ওরার বোঝেনা ওরা কি করে!' আসলেই কি ইসরাইল বুঝতে চাইছেনা তারা কত শক্তিশালী ও ভয়ংকর ঘৃণার জন্ম দিয়ে চলেছে অবিরত? তারা কি জানেনা পরিণামে তারা গোটা মানব জাতির জন্য অশুভ ভবিষ্যত বয়ে আনছে?
ধন্যবাদ তানবীর আপনাকে, লন্ডনের মানুষের প্রতিবাদের ভাষা বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। এই মুহুর্তে যা প্রয়োজন তা হলো, পেলেষ্টাইনের আধমরা মানুষগুলোর ক্ষত উপশমে হাত বাড়িয়ে দেয়া! আবার নতুন করে হত্যা যজ্ঞ শুরু্র আগে একটু শান্তির জন্য তাদের আজ বড় প্রয়োজন বিশ্ববাসীর সাহায্য! গোটা বিশ্বের নাকের ডগার উপর যতদিন এই অবিচার চলবে ততোদিন আমাদের দ্বায়িত্বও ফুরাতে পারেনা। যদি কোনদিন আরব ভূখন্ড থেকে পেলেষ্টাইন রাষ্ট্রকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয় তবে তার দায় আমাদের কাধেঁও বর্তাবে। এই সময়ের সবচেয়ে কলংকিত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে অন্তর কষ্ট নিয়ে মরতে হবে আমাদেরও!
অনুগ্রহ করে যে যার যার অবস্থান থেকে প্যালেষ্টাইনিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। এখানে কয়েকটা সংগঠনের নাম ঠিকানা পাবেন, যারা সরাসরি প্যালেষ্টাইনের অবকাঠামো পুনর্গঠনে কাজ করে চলেছে। তাদেরও সাহায্য করতে পারেন।
আসলেই কি ইসরাইল বুঝতে চাইছেনা তারা কত শক্তিশালী ও ভয়ংকর ঘৃণার জন্ম দিয়ে চলেছে অবিরত? তারা কি জানেনা পরিণামে তারা গোটা মানব জাতির জন্য অশুভ ভবিষ্যত বয়ে আনছে?
হ্যাঁ, এসব ভাবতে ভাবতেই হেইম্যান রোড পাড়ি দিচ্ছিলাম। এই শক্তিশালী ও ভয়ংকর ঘৃণাই হয়ত অনেক হিটলারের জন্ম দেবে। পৃথিবীতে ইহুদি পরিচয় দেবার মত একটি শিশুও হয়ত অবশিষ্ট থাকবে না।
প্রফাইল
....................................................................................................................
এভাবেই স্থবির ঘর একদিন উড়ে যাবে
উড়ে উড়ে যাবে
সেদিন এক ফিলিস্তিনি বন্ধুর কাছে শুনছিলাম- তাদের দুর্দশার কথা।গনমাধ্যম গুলোতে যা প্রচার হচ্ছে, প্রকৃত অবস্থা আর চেয়ে অনেক অনেক করুন।
বিশেষ করে CNN এর মত সুংবাদ সংস্থা গুলোর বায়াস রিপোর্টিং সত্যিই দুঃখজনক।
এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?
হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,
দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷
নতুন মন্তব্য করুন