কচুপাতা খুঁজছেন রিটন ভাই বিকেল পাঁচটা থেকে। আমি বোকা বনে গেলাম ! আড্ডা হবে ’কলাপাতায়’ লিটন ভাই কচুপাতা খুঁজেন কেন ? খানিকটা কনফিউজড হলাম। বললাম, রিটন ভাই আড্ডাতো কলাপাতায় আপনি কি ঠিক চিনতে পারছেন ? ভাবলাম বেচারা লন্ডনে নতুন, ভুল হতে পারে। বললাম, কতক্ষণ লাগবে আপনার পৌঁছাতে ?
-এই ধরো ৪৫ মিনিট। তখন বিকাল ৫:১৩। ভাবলাম কেউ যেহেতু আসে নি আমি একটু আশেপাশে চক্কর মেরে আসি। রেষ্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে দেখি শুরুতেই বিড়ালটা মেরে ফেললেন রিটন ভাই। মিয়া, ৫ টায় এসে কলাপাতায় একবার চক্কর মেরে গেছি, দেখি তুমি নাই। তাই কচুপাতা খুঁজছি। রিটন ভাই আবারও মনে করিয়ে দিলেন বিলেতে থাকলেও সময়ের ব্যপারে আমরা বরাবরই বাঙালি। পাশাপাশি এটাও আশ্বস্ত করলেন আরে মিয়া ঘাবরানের কিস্যু নাই, কেউ না আইলে আমরা দুইজনেই আড্ডা মারুম। টেলিফোনে সবার সাথে শেষবারের মতো অবস্থান জানার জন্য ডায়াল করার পর ফলাফল হলো- সুবিনয় মুস্তফী সচলাড্ডার ঘোষনার ফটো ক্যাপশন দেখে বিভ্রান্ত। আসলে কি আড্ডা রাত ৯ টায় ! এটি যে তার দেরিতে আসবার বাহানা সেটি বুঝতে দেরী হলোনা, বললাম আপনি দেরী করেই আসেন তবে আড্ডা যেন মিস না হয়। ওদিকে মাসুদা ভাট্টি অবশ্য আগেই বলেছিলেন তিনি কিছুটা দেরী করে আসবেন। শোহেইল মতাহির চৌধুরী প্রথম আড্ডা মিস করেছেন, তবে এবার রিটন ভাই বলে কথা আড্ডায় যোগ দিয়েছেন এক ঘন্টা পরে। তবুও সচলরা তুষ্ট । তারপর নিঝুম,জিফরান এসে যোগ দিয়েছেন আড্ডায়। দেরীতে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন ধ্র“ব হাসান তবুও তিনি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন। ঘোষনা অনুযায়ী ধ্র“ব ফুচকার অর্ডার দিয়ে দিলেন। খাও ফুচকা পাউন্ড লাগলে আমি আছি। আড্ডায় যোগ দিলেন ব্লগার সুশান্ত। মাসুদা ভাট্টি , দৈনিক আমাদের সময়ের লন্ডন প্রতিনিধি ফয়সল চৌধুরী,চ্যানেল এসের ওয়াহিদ জামান, কামাল মেহেদী, বেতার বাংলার মোস্তাক বাবুল। চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাম্যান শাহরিয়ার হাবিব । ব্লগারদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী হওয়াতে সচলায়তনের আড্ডাও মিডিয়া কাভারেজ পাবে এটাই স্বাভাবিক। রিটন ভাইয়ের উৎফুল্ল মুখ কিছুক্ষণের জন্য গম্ভীর হয়ে গেলো, তিনি ব্লগবিষয়ে নানা বিধ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করলেন :
আসলে ব্লগে আমি বেশ অভ্যস্থ ছিলামনা, আমি আমার এক লেখক বন্ধু মুহাম্মদ জুবায়েরের অনুপ্রেরণায় সচলায়তনে লেখায় অভ্যস্থ হয়ে পড়ি। অন্যান্য ব্লগের চেয়ে সচলায়তন একেবারেই ব্যতিক্রম একারণেই, তারা তর্ক করে, দ্বিমত পোষণ করে, কিন্তু অশ্রদ্ধা পোষণ করেনা। সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এই ব্লগে যারা লেখালেখি করেন তাদেরকে অনেকটাই সৃজনশীল,মেধাবী ও অনেক রুচীশীল বলে মনে হয়।
পুরো আড্ডায় এই অংশটুকু ছাড়া বাকী সময়টুকু আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে লুৎফর রহমান রিটনকে নতুন ভাবে আবিস্কার করলাম। তিনি যে শুধু ছড়াকার ই নন তিনি চরম গল্পবাজও বটে। আর আড্ডার মধ্য মনি হয়ে প্রতিটি মুহুর্তকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। মানুষ এতো জীবন্ত ভাবে ঘটনার ব্যাখ্যা করতে পারে সেটা লুৎফর রহমান রিটনকে খুব কাছে থেকে না দেখলে অনুমান করাই মুশকিল।
এর মাঝে হঠাৎ করে বেতারায়তন থেকে ফোন করলেন এস এম মাহবুব মোর্শেদ। রিটন ভাই ,এসএমসি মাসুদা ভাট্টির আলাপের পর হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আড্ডায় মনোযোগী হলেন সবাই।
নিঝুমের হুমায়ুন প্রীতিকে কেন্দ্র করেই আলোচনার শুরু। রিটন ভাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে শুরু করলেন। একদিন সৈয়দ হক হুমায়ুন আহমেদকে বললেন, ’হুমায়ুন অনেক বই তো লিখলে এবার কিছু সাহিত্য লিখ’ । হুমায়ুন আহমেদ উত্তরে বললেন ,তাইলে এতদিন কি লিখলাম !
মাসুদা ভাট্টি খানিকটা যোগ করলেন , হুমায়ুন আহমেদের কারণে প্রকাশকরা আজকাল চার ফর্মার বেশী লেখা বই প্রকাশ করতে চাননা। রেফারেন্স দিয়ে বসে হুমায়ুনের মতো চার ফর্মার বই লিখতে পারেননা।
সুবিনয়ের মূল্যায়ন যারা হুমায়ুণ সাহিত্য পড়ছেন তারা শুধু হুমায়ূন আহমেদ ই পড়ছেন, অন্য কোন সাহিত্যের নির্যাসটা তারা পাচ্ছেননা । হুমায়ুন প্রেমীদের ঘরে ১০০ টা বই থাকলে ওই ১০০ টাই হুমায়ুন আহমেদের।
নিঝুম আবার তসলিমা নাসরিণের খুব ভক্ত। তার দাবী তসলিমা নাসরিনকে বাংলাদেশে যেতে দেয়া হচ্ছেনা এটি খুব অন্যায়। সে এই বিষয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে মামলা করতেও সে প্রস্তুত ! প্রসঙ্গের একটু গভীরে ঢুকে নিঝুম। ছড়াকারকে কাছে পেয়ে গোপন কথা জানতে চাওয়ার ইচ্ছেকে দমন করতে পারেনা নিঝুম । তসলিম নাসরিন তার ’ক’ উপণ্যাসে এত সব রথী মহারথীদের নামে এত কিছু লিখলেন সবাই কি আসলেই এই রকম নাকি ? তসলিমা বিষয়ক আলোচনা গড়াতে গড়াতে মাসুদা ভাট্টি যোগ করলেন হুমায়ুন আজাদের প্রসঙ্গ। দ্বিতীয় লিঙ্গের প্রসঙ্গ আসতেই রিটন ভাই তাঁর সময়ের লেখকদের যে নানা ভাবে বিরক্ত করতেন আর কেউ তাকে অবহেলা করলেই যেই ব্যক্তির দফা রফা করে ছাড়তেন সেই গল্প শেয়ার করলেন সচলদের সাথে।
রিটনভাইরা যুক্তিকরে এক ছেলেকে পাঠালেন হুমায়ুন আজাদের স্টলে দ্বিতীয় লিঙ্গ বের হয়েছে কিনা সেই খোঁজ নিতে।
সেই ছেলে রীতি মতো বই মেলার যে স্টলে হুমায়ুন আজাদ বসে আছেন সেখানে গিয়ে বললেন, স্যার আপনার দ্বিতীয় লিঙ্গটি টি বের হয়েছে ?
হুমায়ুন আজাদ বললেন , জি। লেখক তার দ্বিতীয় লিঙ্গটি বের করে বললেন এইযে।
ছেলেটি বললো স্যার এই লিঙ্গনা, আপনার দ্বিতীয় লিঙ্গটি চাইছিলাম।
-হুমায়ুন আজাদের উত্তর : তোমাকে কি রিটনরা পাঠিয়েছে ?
এমন রসাতœক আলোচনা ছাড়াও এপার বাংলা আর ওপার বাংলার সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৯০/৯১ এর দশকে নীরদ সি চৌধূরী একটা নিবন্ধে ’তথা কথিত’ বাংলাদেশ শব্দ ব্যবহারের কারণে ’দেশ’ পত্রিকার সংখ্যাটি নিষিদ্ধ এবং পরে বাংলাদেশে দেশ প্রত্রিকা বন্ধ হবার পেছনের কথা ও এসেছে আড্ডায়।
লুৎফর রহমানকে প্রথমে চিনতে না পারার শক্তি চট্রপাধ্যায়কে কিভাবে মাসুল দিতে হয়েছিলো সেই গল্প সচলদের পেটে খিল ধরিয়ে দিয়েছে।
তবে নিজের নাম নিয়ে রিটন ভাই কৌতুক করে বললেন , লুৎফর রহমান রিটন নাম আসলেই একজন দাড়ি সর্বস্ব মানুষের অবয়ব ভেসে আসে। সচল জিফরান খালেদের আধুনিক নাম তাঁর খুব পছন্দের। নাম পরিবর্তন করার অপশন থাকলে তিনি জিফরাণ খালেদ হতেন।
সুশান্তের আধুনিক আইটি জ্ঞানের তারিফ করলেন রিটন ভাই। আধুনিক কৌশলী আইটিবিদরা যে ডোমেইন নাম বুকিং দিয়ে মোটা অংকের অর্থ রোজগারের সুযোগ রয়েছে সেই বিষয়েও আলোচনা হলো। সেই সাথে সচলায়তন থেকে অভিমানে সরে পড়া নিঝুম যে এখনও সচলকে ভুলতে পারেন না সেটি প্রমান করেছেন আড্ডায় এসে।
চারুকলার প্রতি ঝোঁক ছিলো রিটন ভাইয়ের সেই গল্প বেরহলো যখন পেটে কিছুটা লাল পানি পড়লো। সেই আয়োজন হলো মাসুদা ভাট্টির বাসায়। শুরু হলো আদীম কথা মালা। নগ্ন মডেল দেখে ছবি আঁকার জন্যই চারু কলায় ভর্তি হতে চেয়েছিলেন রিটন ভাই, এমন কথায় ধ্রুব যেন বেশ উত্তাপ অনুভব করলো। তার খুব আক্ষেপ চারু কলার ছাত্রদের ভালো মডেল সরবরাহ করা হয়না , এটা এক ধরণের অন্যায় । ৪০ টাকায় আর কত ভালো মডেল পাওয়া যায় রিটন ভাই ! রাত গড়ায় আড্ডা জমতে থাকে মাসুদা ভাট্টির বাসায় ।
হঠাৎ খবর পাওয়া গেলো রানা মেহের এসেছেন। রানা মেহের যে মেয়ে এইটা তো আমি আজকে জানলাম। এই কথা বলে কাছে ভীরতে চেষ্টা করেও থেমে গেলাম, মেহের ভাবছিলো আমি হয়তো স্যুট পড়ে আড্ডায় আসবো। প্রথম আড্ডায় সুবিনয়কে যেমন অনেকেই ৪০ বছর বয়স্ক ব্লগার ভেবেছিলো অনেকেই তেমনি রানা মেহের সম্পর্কেও আমার লিঙ্গ বিভ্রাট দুর হলো। সুবিনয় নিরালা মনে মাসুদা ভাট্টির বৈঠক খানায় রাখা বই পত্র ঘেটে দেখছেন। হঠাৎ সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়লো নিঝুমের চুল নিয়ে, রানা মেহেরের আবার সেই চুল ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হলো। আমি পাশেই বসে ছিলাম ওঠে যেতেই জিফরান আমার জায়গা দখল করলো, রানা মেহের এবার জিফরানের চুলে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে দেখছে.. এই ছেলে , তোমার চুল গুলোতে বেশ ঝরঝরে..
ইতিমধ্যে ইউক্রেণ থেকে উড়োসংযোগ স্থাপন হয়েছে লন্ডনে।
কে ফোন করেছে ? মাসুদা ভাট্টি জানালেন সন্ন্যাসী। সুবিনয় বলে ফাস্ট বুক, জিফরাণ বলে আমি কথা বলবো। ধ্র“ব তো ফোন কেড়ে নিয়েই তার সেই রসালো আলাপ জুড়ে দিয়েছে। তারপর রিটন ভাইতো প্রধাণ আকর্ষণ, আমি তো ভয়ে ভয়ে আছি ইস এতো লম্বা লাইন ,এই যাত্রায় হয়তো সুযোগ পাবোনা কথা বলার। আমি টেলিফোন পাস করতে গিয়ে লোভ সামলাতে পারলাম না । খানিকটা আক্ষেপের সুরে জানিয়ে দিলাম কামরাঙা ছড়াতেও আমার কোন কাজ হয়নি। নতুন কিছু করা লাগবে।
এদিকে শক্তিমান লেখিকা মাসুদা ভাট্টিযে পাকা রাধুণী সেই প্রমান দিতেই তিনি সবাইকে খাবারের টেবিলে লাইন ধরতে বললেন, নিজ হাতে সবাইকে বাহারী সব খাবার তুলে খাইয়ে তিনি নিজে তুষ্ট হলেন তুষ্ট হলেন তার হাসবেন্ডও। উভয়ের আন্তরিক আপ্যায়নে সচলরা উদরপূর্তি করে খেয়ে আড্ডা বাজি শেষ করলেন রাত ১২ টায়।
ব্যস্ততা ছাড়াও লেখা দেরী হবার আরো অনেক কারণ আছে। রিটন ভাই লন্ডনে যাত্রা বিরতির নামে সকাল সন্ধ্যা সভা সমিতি, ছড়া সন্ধ্যা ,আড্ডা যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই আমি ছুঁটে যাচ্ছি , তার কথা শুনি মুগ্ধ হয়ে আর উঠতে ইচ্ছে করেনা। যা শুনি তাই মজা লাগে । শেখ পর্যন্ত আমি যখন এই লেখা নামাচ্ছি তখন তিনি বৃক লেনে বসে আড্ডা দিচ্ছেন সেখানে যোগ দিয়েছেন মাহবুব লীলেন। রিটন ভাই তার রসের হাড়ি নিয়ে বসেছেন। চারপাশে রমণী সকল লাইন ধরেছে ছবি তুলবার জন্য। হয়তো আরো মজার মজার আলোচনা হচ্ছে, সচলদের জন্য লেখা নামাতে আমাকে ফিরতে হলো। আড্ডার খবর আপাতত এতটুকুই। তবে খুব জলদি আরেকটা আড্ডা জমবে লন্ডনে আশা করছি।
মন্তব্য
আমিও রিটন ভাইয়ের সাথে দেখা করে ছবি তুলবার ছাই!!!!
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
বেশ বেশ!! লীলেন ভাইয়ের কি দিন তারিখ পাওয়া গেল??
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
বিস্তারিত লিখেছেন বলেই না গিয়েও মনে হলো উপস্থিত ছিলাম। ধন্যবাদ সময় ও ধৈর্য সহকারে লেখার জন্য।
মজা লাগল! ধৈর্য্য ধরে লিখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আড্ডার পোস্ট দেখলেই আমার খালি গোস্বা লাগে। মনে হয় ক্যান আমি নাই? ক্যান?
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আমারও...
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
লন্ডনের সচল আড্ডাও তো জম্পেশ হয়েছে।
তবে আরো ছবি দিলে ভাল হতো। সেই সাথে পরিচয়।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
এইটা আমিও কইতে যাইছিলাম। মধ্যপ্রদেশ স্ফিত হচ্ছেইতো হচ্ছে...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বাহ! ছবিতে কাউকে কাউকে চিনতে পারলাম না, নাম বলে দিন আর খাবার গুলির ছবিটাও দারুন, সবুজ ভর্তা টা কিসের? কচু পাতার?
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
লেখায় আড্ডায় অংশগ্রহণের মতো স্বাদ পাওয়া গেলো। ছবিগুলো দেখে মনে হলো- আমি যদি ওখানে থাকতে পারতাম!
ধন্যবাদ থার্ড আই।
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
আমি ১ম লিখছি,
খাবার গুলা দেখতে ভাল.
অনেক মজার হয়েছে আড্ডাটা। লেখা পড়ে আড্ডার স্বাদ পেলাম। ছবিগুলোতে কে কে আছেন, নাম বলে দিলে চিনতে পারা যেত, এখন মাত্র কয়েকজনকে চিনতে পারছি।
আগামী জুলাই মাসে লন্ডন যামু বলে না , বা মাসুদা ভাট্টির বাসায় গিয়ে লালাপানি খেতে চাই বলেও না ,
আল্লাহর কসম , লন্ডনের ব্লগার বন্ধুরা আসলেই সাচ্চাদিল ।
আমি যদি লন্ডনে থাকতাম তাহলে বিগসিরে লন্ডনের মেয়র পদে ইলেকশন করতে বলতাম , ব্যাপক ব্লগার কর্মী থাকতে অবশ্যই সেটা কোন বিষয় হতো না ।
সেইরকম আড্ডা হইছে দেখি! জটিল!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হ আমিও পড়ে ফেললাম
আশা করছি আরেকটা আড্ডা হবে
আড্ডা দেয়ার জন্যেই একবার লন্ডন যেতে হবে, মনে হচ্ছে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মাহবুব লীলেন কি আড্ডায় দাঁড়িসহ গেছেন ? আপনারা নিশ্চিৎ তো যে তিনিই মাহবুব লীলেন !!
রিটন ভাইকে জোশ লাগছে ছবিতে। লিঙ্গবিভ্রাটধারী রানা মেহেরের কোন ছবি দিয়েছেন কি ? নাকি শুধু শুধু অপবাদ ছড়াচ্ছেন বেচারার নামে। এজন্য তীব্র প্রতিবাদ।
আর খাবারের ছবি ও রঙ দেখে আমি নিশ্চিৎ, আমাদের ঢাকার আড্ডার থেকে কোনভাবেই খাবার সুস্বাদু হয় নি ! মাসুদা আপাকে ঢাকা এসে আমাদেরকে খাইয়ে তার প্রমান দিতে হবে, হুঁমমম !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আহারে ঐ সবগুলো আইটেম খেতে পারিনি ঐদিন(কেন যে পেটে জায়গা এতো কম)!
ভাইজান খাওয়ার ছবিটা সরান......মিয়া অফিস থেইকা ফিইরা মাত্র রান্নাঘর...আর ভাল্লাগেনা!
খান , কিন্তু খাওয়ার পরে ঝাঁকি খাইয়েন না । গতবারের অভিজ্ঞতা কি জনাবের মনে আছে ??
দুঃসহ সেই স্মৃতি... দুঃসহ!
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
আমি বড় হয়া লন্ডনে আড্ডা দিমু... হ...
লাল পানিও খামু... হ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বাঙ্গালী টাইম মেইন্টেইন করতে গিয়া ফোন দিয়া জানলাম সুবিনয়দার সময়-বিভ্রাটের কথা। শুইনা মনটা খারাপ হইলো। সুবিনয়দা যদিও খুব বেশি মাতামাতি করেননা, তাও ওনারে আড্ডার হাব মনে হয় সবসময়। ছয়টার দিকে গিয়া দেখলাম গম্ভীর মুখে লোকজন ফুচকা খায়। রিটন ভাইরে লোকেট করলাম বিখ্যাত গোঁফ দিয়া। পাশে সবসময় সম্ভ্রান্ত মুখশ্রী ও উদরের অধিকারী বিগসি। তার পাশে, সবুজ কোর্তা গায়ে ধ্রুব মামা, এবং এদিকে শুদ্ধ ভাষার সাংবাদিক থার্ড আই। ভিডিও ক্যামেরা মাইক ফাইক দেইখা ডর খাইলাম। তবে, মনে পড়লো, এইটা তো রিটন ভাই, সুতরাং এইটা হইতেই পারে।
সুশান্তদা আইলে অনার লগে একলগে বইলাম। ধ্রুব মামা চা আর মোগলাই অর্ডার দিলেন। আস্তে আস্তে আড্ডা জমলো। নিঝুম মামা আইলো। মাসুদাপা আইলেন। উনি এত ভাল দেখতে ও রাধঁতে পারেন, এইটা ওনার লিখা পইড়া বুঝতে পারি নাই। মিশটেক হইসে বিরাট। রিটন ভাই তার অভিজ্ঞতার তরবারি তুইলা ধরলেন আর আমরা ফালা ফালা হইলাম। হু আহমেদ, হু আজাদ, শা হক, তসলিমা নাসরিন এদের লয়া আলাপ চললো। নিঝুম মামা এদের কারো কারো ব্যাপারে স্পর্শকাতর, সেইটা লয়া হইলো আরেক প্রস্থ মজা। আমি আগ্রহ লয়া অপেক্ষা করতেসিলাম রিটন ভাই খিস্তিখেউড় করেন কিনা। বড় বড় লোকদের গাইলাইতে দেখলে কেন জানি ভাল লাগে। দেখলাম উনি করেন। খুব বেশি না। তবে করেন। তারপর, মিনমিনাইয়্যা জানতে চাইলাম মুশাররফ রসূলরে নিয়া। ওনারা একি রাস্তায় থাকতেন। মানে, একি রাস্তার বিল্ডিঙ্গগুলাতে। আমার আগ্রহ আসিলো বেশি ওনারা, মানে, রিটন ভাইয়েরা যাগো লগে চলবার ফিরবার পারসেন, যারা নাই অখন, তাগো লয়া। পুরাটা সময়েই উনি মাঝেই মাঝেই আমারে একটা দুইটা কথা কইসেন। বিপ্লব দাস, শামসুল ইসলাম, আবুল হাসান, আবু কায়সার, আলী ইমাম - অনেকেই আসলেন কথায়।
পরে আড্ডা শিফট হয় মাসুদাপার বাসায়। ভয়ঙ্কর সুন্দরভাবে সাজানো। ঐখানে একটু আড্ডা কেমন ন্যাতানো আসিল। সেইটা রানাপু আইস্যা ঠিক করসেন। তারপর খানা। এই হাঁসের মাংস আর খাওয়া হবে কিনা সন্দেহ। এর মাঝে নিঝুম মামার লগে সচলায়তনের করা অন্যায় আচরণ লয়া বিগসি আর নিঝুম মামা আর রিটন ভাইরে মগ্ন থাকতে দেখলাম অনেকক্ষণ। কিছু কিছু ব্যাপার খুব খারাপ লাগলো শুইন্যা। কিন্তু, রান্না সব ভুলায়া দেয়।
পরে, বিদায় নেয়ার আগে জিগাইলাম রিটন ভাইয়ের লগে আর দেখা হইবো কিনা। উনি কইলেন, তুমিও তো মরতে পারো।
ডরে আসি এরপর থেইকা।
আইচ্ছা, সন্ন্যাসীদার লগে কথা কইলাম। ওনার কন্ঠস্বরে সন্ন্যাস আসে নাই দেখলাম। ওনারে আসলে চোখের দেখা দেখতে হইবেক বইলা মনে হইলো।
মাসুদা ভাট্টির বাসায় দাওয়াত খাওয়ার জন্য লন্ডন যেতে আগ্রহী দেশী সচলদেরকে অবিলম্বে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে ।
হাত তুইলা বইসা আছি
.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
মিয়া তানভীর ওরফে থার্ড আই, কানাডায় ফিরে তোমার পোস্টটা পড়ে আর ছবিগুলো দেখে লন্ডনাড্ডার কতো স্মৃতিই না চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে নড়াচড়া করছে। খুব খুবই ভালো লেগেছে তোমাদের সবাইকে। তোমরা এতো ভালো কেনো? বেশি ভালো ভালো না...।
লন্ডনাড্ডা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে। আলস্যকে পরাজিত করতে পারলেই হয়। ভালো থেকো।
হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!
লন্ডনে যেই হারে আপ্নি সভা সমিতিতে প্রধাণ অতিথি হিসাবে আপনার উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন, সেই সূত্র ধরে আপনাকে পি-পু আর পি-সু'র দলে আমি ফেলতে নারাজ। তবে শুনেছি লন্ডনের চেয়ে কানাডায় শীতের তীব্রতা অত্যধীক। তাই লন্ডনের ওম থাকতে থাকতে লেখাটা নামায়ে ফেলেন। নইলে কয়দিন পরে বলবেন। ঠান্ডার কারণে লেখতে পারছিনা।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নতুন মন্তব্য করুন