যমুনা টেলিভিশনের পাঁচ শতাধীক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা চিঠি লিখে যমুনা টিভি প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় বিবেচনা কামনা করেছেন।
দৈনিক প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া ঐ পত্রে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে টেলিভিশনটি চালু করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সব যুক্তি পড়ার পর শেষ অংশে এসে প্রধানমন...
যমুনা টেলিভিশনের পাঁচ শতাধীক কর্মী প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা চিঠি লিখে যমুনা টিভি প্রচারে প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় বিবেচনা কামনা করেছেন।
দৈনিক প্রথম আলোতে ছাপা হওয়া ঐ পত্রে পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে টেলিভিশনটি চালু করে দেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। সব যুক্তি পড়ার পর শেষ অংশে এসে প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া যমুনার এই বাতাস মনে করিয়ে দিলো কতটা অসহায় হলে ৫ শত জন কর্মী এই চিঠি লিখতে পারে !
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা দেখেছি, নিমতলীর আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হওয়া রুনা-রত্নার পাশে আপনি কীভাবে দাঁড়িয়েছেন। গণভবনে দুই বোনের বিয়ের মতো বিরল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এত ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও আপনি যেভাবে তিন বোনের কথা ভেবেছেন, সেটি আপনার মানবিক মনের পরিচয়কেই বড় করে তুলে ধরে।
একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবীয় মনের সাথে রাষ্ট্র যন্ত্রের বিচার বিভাগের যে আদৌ কোন সম্পর্ক নেই সেটা আমার সহযোদ্ধারা ভুলে গিয়েছিলেন। তাহলে ঐ পাঁচশত কর্মীর এই আবেদনের তথ্য উপাত্ত কি প্রমান করছে যে বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানম্ত্রীর মানবিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে ? যদি তাই হয় মিডিয়া কর্মীদের এই বিষয়টির কারণ অনুসন্ধান করতে হবে- ঠিক কি কারনে নিয়ম নীতি মানার পরও টিভি চ্যানেল গুলো বাংলাদেশে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অথবা চালু করতে দেয়া হচ্ছে না ! আবার অন্যদিকে লাইসেন্স দেয়ার হিরিক পড়েছে। নতুন যে সব টিভি চ্যানেল গুলোর অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলোর অধীকাংশের কর্তা ব্যক্তিরা রাজনীতি সংশ্নিষ্ট। তাই বর্তমানে চালু আছে রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মালিকানধীন এমন টিভি চ্যানেলগুলো ভবিষ্যতে বন্ধ হবার আগে এগুলোকে যথা সম্ভব গ্রহনযোগ্য ব্যক্তির দ্বারা পরিচালনা করা যায় কি না সে বিষয়টি নিয়েও ভাবা দরকার। কেননা শুধু যমুনা টেলিভিশনই নয়, একুশে টিভি, সিএসবি, চ্যানেল ওয়ান ও দৈনিক আমার দেশ বন্ধ হয়ে যাবার কারন হিসাবে মালিক পক্ষের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতাকেই বেশী নজরে এনেছেন সমালোচকরা। তাই এই বিষয়ে আন্তজার্তিক আইনগুলো সাথে সম্পর্ক রেখে দেশে একটি শক্তিশালী ব্রডকাস্ট 'ল' তৈরী করার ব্যপারে সরকারকে বাধ্য করতে গণমাধ্যম কর্মীদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
টিভি সাংবাদিকতার মত অত্যন্ত টেকনিক্যাল এই পেশাটিতে কাজ করতে হলে প্রচুর বাস্তব জ্ঞান ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। প্রতি নিয়ত এই শিল্পে যে সকল প্রযুক্তির সংযোজন ঘটছে সেগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে হয়। আমরা এই পেশায় অনেক পিছিয়ে আছি , কোথায় আমরা এই পেশাটিকে আরো গ্রহনযোগ্য অবস্থার দিকে নিয়ে যাবো সেই দিকটা না ভেবে আমরা চ্যানেল গুলোর মালিকানা নিয়ে আর বশ্যতা স্বীকার নিয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সরকারের কাছে নতি স্বীকার করে নেয়াটা অনেকটা 'টিকা' নেয়ার মতে হয়ে দাঁড়িয়েছে। 'টিকা নাও টিকে থাকো ' রাজনীতিবিদরা টিভি খোলেন তাদের নিজেদের ফায়দা হাসিল করতে , আর প্রফেশনাল চাকুরি করেন পেট চালাতে।
আওয়ামী সরকারের আমলে যদি বিএনপি জোটের লোক টিভি চালাতে না পারে, অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে যদি আওয়ামী সমর্থিত টিভি বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা থাকে তাহলে আমাদেরকে রাজনৈতিক বিবেচনায় টিভি চ্যানেল খোলার অনুমোদন দেয়া আইন করে বন্ধ করতে হবে।
আমরা একদিকে যেমন সম্মানজনক এই পেশাটিকে কলুষিত করছি অন্যদিকে নতুন প্রজন্ম এই পেশার প্রতি বিমুখ হতে শুরু করেছে। সৃজনশীল তরুণরা/তরুণীরা যেখানে এই পেশায় উচ্চতর ডিগ্রী আর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফিরে একটা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছিল তখনই দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে একটা অস্থির অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী এই অস্থিরতা এই শিল্পের জন্য বড় ধ্বস নিয়ে আসতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত না হয় অন্য লেখায় আলোচনা করবো। তবে এইটুকু সাধারণ মানুষ সহজেই অনুমান করতে পারছে যে, গত এক দশকে বাংলাদেশে ইলকট্রনিক মিডিয়ায় আমরা যতটুকু এগিয়েছি শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় ও রাজনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে টিভি চ্যানেল খোলার অনুমোদন দিয়ে আমরা এই পেশায় সংশ্নিষ্ট প্রফেশনালদের অনিশ্চত গন্তব্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য গণমাধ্যম কর্মীদেরই একটি প্লাটর্ফমে দাঁড়াতে হবে। সেই প্লাটর্ফমটির শ্লোগান হবে -
গণমাধ্যমের মালিকানায় রাজনীতিবিদ দের 'না' বলুন ।
মন্তব্য
সহমত
...........................
Every Picture Tells a Story
শুক্রিয়া।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ঐকমত্য পোষণ করি
______________________
বর্ণ অনুচ্ছেদ
ঐক্যমতের জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বাংলাদেশে রাজনীতি ছাড়া কিছুই সম্ভব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশনের মেথর সবখানেই লীগ আর দলপন্থী আলাদা গ্রুপ আছে। সবচেয়ে আজব ব্যাপার, বিচারপতিরাও এই বিভাজনের বাইরে না!
আমরা মানুষ বিবেচনা করি প্রথমত রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে। কোন ঘরানার লোক সেটা জেনে নিয়ে তারপর তার সাথে বাতচিত করি।
রাজনৈতিক তকমাবিহীন লোক আমাদের দেশে খুব কম। নিরপেক্ষতা বড় কঠিন জিনিস।
তো এই দেশে আপনার দাবীর সঙ্গে পূর্ণ সহমত থাকলেও আদতে কোনো লাভ নাই। আগে আমাদের তৈরি করতে হবে নিরপেক্ষ ব্যক্তি। তারপর নিরপেক্ষ মিডিয়া থেকে শিক্ষাব্যবস্থা বা বিচার ব্যবস্থার দাবী তোলা যাবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নিরপেক্ষ ব্যক্তি তৈরীর মিশনে নামলে সেইটাও বা কমকি ? আমাদের এমনিতেই আদর্শ আর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে....গত কয়েক দশকে আমরা কয়জন আদর্শবান মানুষ তৈরী করতে পেরেছি সেইটাও একটা বড় প্রশ্ন ! আমরা চিরকালই 'জীবনের আদর্শ' সম্পর্কে রচনা লিখেই আমাদের স্বপ্নের সমাধি ঘটাচ্ছি।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বাংলাদেশে তো কোনো সেক্টরই ঠিক নেই। সব লুজ হয়ে আছে। কোমরে প্যান্ট থাকছে না। নিচে পড়ে যাচ্ছে।
মাথার মধ্যে যখন শুধুমাত্র রাজনীতি থাকে---সংস্কৃতিটা উপড়ে ফেলা হয়, তখন তো ভাই লোটোপাটোখাও ধরমারোকাটো ছাড়া আর কি থাকে ভাই! এই ঘটনাতো ১৯৭১ সালের পরের প্রপঞ্চ।
আমার ছেলেবেলার অগ্রজ বন্ধু প্রবীর সিকদারের বাবা, কাকা, জেঠা, ঠাকুরদা সহ ৬৫ জনকে একদিন হত্যা করেছিল পাকবাহিনী। এই পাক বাহিনীকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল বাচ্চু রাজাকার আর নুলা মুসা। প্রবীরদা যখন জনকণ্ঠে এই দুই রাজাকারের কাহিনী প্রকাশ করলেন, তখন বোমা মেরে তার পা উড়িয়ে দেয়া হল। আজ সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী চলছে। সরকার বিচারের মকশো টকশো করছে। এদিকে গোপালগঞ্জের এমপি কাম বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে নুলার মুসার মেয়ের সঙ্গে ছেলে বিয়ে দিয়ে বসে আছেন। বলছেন, পারলে কর দেখি বিচার।
আর হাসিনা মাঝে মাঝে তারস্বরে বলে উঠছেন, ক্যারে বেটা, আমার বেয়াইরে খালি রাজাকার দ্যাহস ক্যান, সেলিমরে দ্যাখতে পারিস না?
ভাইবোনের চোর পুলিশ খেলা। যাই কই বলেন!!
আর বুবুজান খালেদার কথা কী বলব, তার তো আবার রাজাকার না হলে মুখে অন্ন রোচে না।
এই যখন অবস্থা, তখন ভাই সকল আঙুল চোষেন। আল্লা আল্লা করেন। পারলে মাহবুবুর রহমানের মতন গরীব হন, পত্রিকাটত্রিকা কেনেন। ব্যবসাবানিজ্য করেন। অথবা সব বাদ দিয়ে মন্ত্রী হন। অথবা পুলিশ। দেখেন কি হয়।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
খুব সুন্দর করে একেবারে মনের কথাগুলো বলে দিলেন। আসলে আমাদের দেশে বিচারবিভাগ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আশা করা আর কাঁঠালের আমসত্ত্ব খতে চাওয়ার মাঝে কোন পার্থক্য নাই।
তার্কিক
আপনার মন্তব্যের জবাবে প্রতিমন্তব্য করার ভাষা আমার নাই তাই কোট করলাম।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
তা যা বলেছেন, খাঁটি কথা।
পলাশ রঞ্জন সান্যাল
বিচারের সব মানি খালি তালগাছ খানা আমার ।
হুমমম
হুমমম......
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
রাজনীতিবিদরা মিডিয়া খুলতে পারবে না, এরকম আইন তো আর করা যাবেনা । বাংলাদশের সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা স্বীকৃত ।
তবে মিডিয়া খুলতে আগ্রহী নব্য ধনিক শ্রেণীর টাকার সোর্স সরকারের জানা প্রয়োজন । অবধৈ পথে টাকা বানানোর পথ বন্ধ করে দিতে হবে চিরতরে । তবে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত যে কারোরই ।
ওলি
oli
ব্যবসায়ীরাও মিডিয়ার কী ক্ষতি করতে পারে সেটা ক্রমপ্রকাশ্য ...
_________________________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লেখা বেশী বড় হয়ে যাচ্ছিল তাই এই প্রসঙ্গটা ভাবনায় থাকলেও এই পর্বে আপাতত রাজনীতিবিদদের নিয়েই আলোচনা করলাম। আপনাকে ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আমি আপনার "গণমাধ্যমের মালিকানায় রাজনীতিবিদ দের 'না' বলুন" প্রশ্নের সাথে একমত নই।
গণমাধ্যমে বাকস্বাধীনতার যেমন থাকবে, তেমনি মালিকানাও হতে হবে উন্মুক্ত। একজন রাজনৈতিক নেতার যদি চালের কল থাকতে পারে, গার্মেন্টস থাকতে পারে, তাহলে তাদের বানিজ্যিক টিভি চ্যানেল থাকতে ক্ষতি কি? বানিজ্যিক টিভি চ্যানেল তো বানিজ্য করবার জন্যই। লোকে যদি সে মিডিয়ায় খবর ও বিনোদন নিতে আসে, বিজ্ঞাপন দাতা যদি খরচ দেয়, তাহলে সেটা চলবে। নাহলে চলবে না। সরকার সেখানে নাক গলাবে কেন?
পেশাগত বিবেচনায় গণমাধ্যমের মালিকানার নিষেধাজ্ঞার চাইতে বরং কি ধরনের প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যমে বিনীয়োগ করতে পারে, সেটাই নিয়ন্ত্রন করা বেশী কার্যকর হবে না? উদাহরন হতে পারে যে, শুধু শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত কোম্পানি যার ন্যুনতম ৫১% শেয়ার খোলা বাজারে ছাড়া আছে - তারাই গণমাধ্যমের মালিকানার সুযোগ পাক।
যদিবা ন্যুনতম কিছু নিয়ন্ত্রনের দরকার হয়েই থাকে তাহলে তো সেটা থাকতে হবে এমন সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানের জন্য, যেখানে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ জড়িত - ওষুধ, যাতায়ত, টেলিকম, আবাসন, ডাক - এসবকিছুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। গণমাধ্যমকে আলাদা করে দেখার প্রয়োজন আসবে কেন?
গণমাধ্যমের রাজনিতিকরনে শুধু মালিকানাকেই কেন দোষী করা হবে। আমাদের সাংবাদিক-কলাকুশলীরা বেশীরভাগই কি নিরেট অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ? যদি এর উত্তর ধনাত্বক হয়, তাহলে নিরপেক্ষ সাংবাদিকদেরা যদি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত প্রতিষ্ঠানকে বর্জন করেন, তাহলেই তো আর কোন সমস্যা থাকে না।
ওলি এবং দুর্দান্ত আপনারা দু'জনেই অন্য সকলের মতো রাজনীতিবিদদের বানিজ্যের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা আমারও রয়েছে, কিন্তু চালের কলের মালিকনা আর টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানার পার্থক্য বিস্তর। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের মধ্যে চালের কল কিংবা গামেন্টের মালিক হবার পিছনে যতটানা আকর্ষণ তার চেয়ে কোটি গুণে বেশী আকর্ষণ গণমাধ্যমের মালিকানার প্রতি। মিথ্যাকে সত্য আর কালোকে সাদা বলার সেই চাবি 'সংবাদকে নিয়ন্ত্রণ করার মানষিকতাই তাদের মধ্যে তীব্র। আমি যতটুকু জানি বাংলাদেশের নীতিমালার মধ্যে গনমাধ্যমের মালিকানায় সংশ্লিষ্ট পেশায় ও মাধ্যমে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত থাকার পরও এই বিষয়গুলো কার্যকর হচ্ছে না। যে লোকটির সাথে টেলিভিশন চ্যানেলের কোন সম্পৃক্ততা নেই, অভিজ্ঞতা নেই সেই লোকটিই টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক হতে চাইছে ব্যবসার জন্য নয় তার অন্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য, এই সহজ সমীকরণটি নিশ্চই আমার যোগ বিয়োগ করে বুঝিয়ে দিতে হবে না। সেই কারণেই তাদেরকে না বলার পক্ষে আমার অবস্থান।
তবে আপনার উদাহরণটি ভালো সংযোজন ।
আপনার এই অংশের মন্তব্য যদি করতে যাই তাহলে আবার সেই পুরানো বিতর্কে যেতে হবে। মুরগি আগে না ডিম আগে। তবে সব সাংবাদিক নিরেট অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ নয় এই অংশের সাথে সহমত।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ধন্যবাদ। আপনি যেখানে রাজনীতিবিদদের শুধু গণমাধ্যম বানিজ্যে আসতে দিতে চাননা, আমি আদতে একজন সক্রিয় রাজনৈতিককে কোনরকমে বানিজ্যিক কার্যক্রমেই দেখতে নারাজ, সে চালকল হোক, হাসপাতাল হোক আর গার্মেন্টস হোক। তাই বিরোধিতা করেছিলাম।
একটি প্রচারপ্রতিষ্ঠানের পক্ষের নিরপেক্ষতা কি বাস্তবে কি আদতেই সম্ভব? আমারতো মনে হয় না। কোন কোন না কোন বিষয়ে তো একটা পক্ষ তাদের নিতেই হবে। তাই বলছিলাম খেলার মাঠে ঢোকাটা নিয়ন্ত্রন করার চাইতে এ খেলায় যেন আরো বেশী মতামত ও মতবাদ আসে ও এই বহুমত দিয়ে খেলাটি নিজেই ভারসাম্যে থাকতে পারে, সেদিকেই খেয়াল থাকা উচিত।
---
একজন সাংবাদিক ও একজন চালকল শ্রমিকের সামজিক ও নাগরিক দায়িত্বে কি আপনি কোন তারতম্য দেখেন? আমি কিন্তু দেখি না। আমার তো মনে হয় দুটোই সমমানের প্রয়োজনীয় ও সম্মানের পেশা, দুটোতেই সমান পেশাদারিত্ব, প্রশিক্ষনের দাবী রাখে। যদি রাজনৈতিক ক্ষমতার উতসের কথা বলেন, তাহলেও কিন্তু আমাদের দেশে চাল মিডিয়ার ওপরেই থাকবে। মিডিয়া দিয়ে যদি মাথা কেনা যায়, চাল দিয়ে তার চাইতে ঢের বেশী পেট কেনা যায়। আর আমাদের দেশে মানুষ পেট দিয়ে ভোট দেয় নাকি মাথা দিয়ে, এটা তো আপনি ভাল করেই জানেন।
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি বলেছেন।
আমি আবার এভাবে গনহারে সব জায়গায় তাদেরকে বিরত থাকতে বলছিনা। বানিজ্য তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ব্যক্তির রাজনৈতিক পরিচয়ের কারনে রাজনৈতিক দাপট কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পেশা বা প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করার বিপক্ষে আমি। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি একটি কঠিন আবদার। তবে আমি কিন্তু আমার লেখায় স্পষ্ট করেছি যে প্রবণতার কারণে আমি রাজনীতিবিদদের গণমাধ্যমের মালিকানায় না বলতে সোচ্চার হচ্ছি সেটি আবারও উদ্ধৃত করলাম।
সরকার বদলের পর পর চ্যানেল বন্ধের প্রবণতা রোধ করে সুস্থ্য প্রতিযোগিতার মধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার প্রতিই আমার অবস্থান।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বিষয়টা ঠিক বুঝলাম না।
আপনি রাজনীতিবিদদের টিভি মালিক হতে মানা করছেন। এ মানাটা করছেন যারা নতুন লাইসেন্স নিচ্ছে হিড়িক মেরে তাদের জন্য। যে টিভিগুলো এখন সম্প্রচারে আছে তাদের সবগুলাই তো রাজনৈতিক মালিকানার। সেগুলোর মালিকানা বদলানো উচিৎ নয় কি তাহলে? সেটা সম্ভব না হলে বন্ধ করে দেয়া উচিৎ নয় কি?
চ্যানেল ওয়ানের মালিক তো রাজনৈতিক কেউ তাহলে সেটা খুলে দেয়ার দাবী জানাচ্ছেন আবার। বিষয়টা স্ববিরোধিতা হয়ে গেলো না?
নিরপেক্ষ কথাটা সরকারের জন্য প্রযোজ্য হবে কেন? সরকার তো একটা দলের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসে, তাদের ঘোষিত এজেন্ডা থাকে। দিগন্ত টিভি বন্ধ হলে কি আপনি মন খারাপ করবেন?
আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের উত্তর আমার লেখার এই অংশে পাবেন আশা করছি।
আসলে সরল কথায় রাজনৈতিক নেতারা যে মনোবৃত্তি নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক হবার জন্য হামলে পড়েছেন আমার আপত্তি সেখানেই। আজ এই টিভি বন্ধ তো কাল ঐ টিভি বন্ধ হবার দামামা বাজলেও কিন্তু আমরা কখনই শুনি না 'এটিএন বাংলা' কিংবা 'চ্যানেল আই' বন্ধ হয়ে যাবে। এই দু'টি চ্যানেলের মালিকানায় যারাই থাকুন না কেন, সাধারণ মানুষের মাঝে কিন্তু এই দুই চ্যানেল নিয়ে বিতর্ক অপেক্ষাকৃত কম।
রাজনীতিবিদরা যদি এই মাধ্যমটিকে শ্রদ্ধা করতে না জানেন তাহলে তাদের এই বানিজ্যে আসার বিরোধীতা আমার।
সরকার একটি দলের হয়ে নির্বাচিত হলেও সরকার গঠনের পর যারা নির্বাচিতদের ভোট দেয়নি সরকারকে তাদের জন্যও কাজ করতে হয়। সরকার তখন কোন দলের থাকেন না। রাষ্ট্র তখন হয় জনগনের, সেই অর্থে বিরোধী দলের ইচ্ছে অনিচ্ছাগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনার নামই তো গনতন্ত্র । এখন দিগন্ত টিভি বন্ধ হলে অবশ্যই আমার মন খারাপ হবে। বেকার হয়ে পড়বে ঐ টেলিভিশনে কর্মরত কয়েকশত কর্মী। তবে চালু হবার আগে দিগন্তের পিছনে কারা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে টিভি চ্যানেল খুলতে চায়, অনুসন্ধান করে সেই তথ্য তালাশ করে দিগন্তকে শুরুতেই অনুমোদন না দেয়ার প্রতি আমার সমর্থন থাকবে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
কে শোনে কার কথা, আমাদেরই যতো মাথা ব্যাথা
আমরা আম পাবলিক, হয়ে থাকবো বোকা
সরকার, রাজনীতিক আর সব নেতা
ধীরে ধীরে হয়ে যাবে আমাদেরই মাথার পোকা
-এটাই তো বলতে চাইছেন, নাকি ?
নতুন মন্তব্য করুন