নওরিতার কাছে আমি জানতে চাইলাম, আচ্ছা টিভি সংবাদ উপস্থাপনের সময় যখন কোন রিপোর্টারের প্যাকেজ আসে তার ঠিক আগ মুহুর্তে সব সময় তুমি কেন ডান দিকে তাকাও ? নওরিতা বললো, ‘আরে স্টুডিওতে ডান দিকেই তো টিভি সেট থাকে, তাই আমরা সংবাদ পাঠের সময় যখন লিংক পড়ি তখন ক্যামেরার স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে পড়ি কারণ টেলিপ্রম্পটারে সংবাদের স্ক্রিপ্ট থাকে , বাকি সময়টা রিপোর্টারের রিপোর্ট দেখি স্টুডিওতে রাখা টিভিতে। যখন প্যাকেজ রিপোর্ট আসে তখন আমরা স্টুডিওতে রাখা টিভিতে সেই রিপোর্ট দেখার জন্য টেলিপ্রম্পটার থেকে চোখ সরিয়ে টিভির দিকে তাকাই। রিপোর্ট শেষ হওয়া মাত্র প্রডিউসার টক ব্যাকে (বার্তা প্রেরণের হেড ফোন, যার সাহায্যে প্রডিউসার সংবাদ উপস্থাপকের সাথে নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকে যোগাযোগ করেন) কাউন্ট ডাউন দেন, আমরা সেই বার্তা পেয়ে পরবর্তী লিংকের জন্য প্রস্তুত হই এবং টিভি সেট থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে মূল ক্যামেরায় চোখ রাখি‘। টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপক যে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সংবাদ উপস্থাপন করেন মূলত দর্শক সেই ক্যমেরার প্রতিফলন তার টিভির পর্দায় দেখতে পান। সংবাদ উপস্থাপক যদি তার দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেন তাহলে টেলিভিশনের ভাষায় সেটিকে ‘ফলস লুক‘ বলা হয়ে থাকে। আর টিভি উপস্থাপক তার স্টুডিওতে রাখা যে টিভিতে তার সহকর্মীর রিপোর্ট দেখছেন সেটি দর্শকদের দৃষ্টির আড়ালে থাকে বলেই সেই টিভির দিকে তাকালেই সেটি হবে ফলস লুক, এই সময় দর্শকের সাথে উপস্থাপকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
নওরিতাকে জিজ্জেস করলাম কেন সে সংবাদ উপস্থাপনের সময় প্রতিদিনই এমন ‘ফলস লুক‘ দিয়ে যাচ্ছে। একজন সংবাদ উপস্থাপক যা কিছু করবেন সব কিছুই তো তার দর্শকের সাথে যোগাযোগের জন্য, কিন্তু তিনি যখন স্টুডিওতে রাখা টিভিতে সংবাদ দেখতে চোখ ফেরাচ্ছেন দর্শক তো তখন সেই টিভি সেট দেখতে পাচ্ছেন না, দর্শক দেখতে পায় সংবাদ উপস্থাপক নিচের দিকে অথবা পাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। কয়েক সেকেন্ড পর দর্শকের সাথে তার যোগাযোগ ঘটে রিপোর্টের মাধ্যমে । দর্শকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা টেলিভিশন মিডিয়াতে দূষণীয়। প্রতিনিয়ত আমাদের সংবাদ উপস্থাপকরা এই দূষনীয় কাজটি করে যাচ্ছেন। নওরিতা বললো, তাহলে রিপোর্ট আসতে দু‘ এক সেকেন্ড সময় লাগলে তবুওকি অন্যদিকে তাকানো যাবে না ? উত্তর হলো কোন কাজ করতে হবে এমনটা আগে থেকে ঠিক করে রাখলে সেটি স্বরণ করে করতে গিয়ে উপস্থাপক হয়তো একই কাজ নিয়মিত করছেন অথচ সেই কাজটির করতে গিয়ে দর্শকের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হচে¦ছ। তবে ডানে বায়ে যে একেবারে তাকানো যাবেনা এমন কোন গ্রামার নেই।
এক্ষেত্রে উন্নত দেশ গুলোতে ভার্চুয়াল স্টুডিও ব্যবহৃত হয়, সংবাদ উপস্থাপকের পেছনে এলইডি মনিটর ব্যবহৃত হয়। সেক্ষেত্রে দর্শককে এলইডি স্ক্রিনে রিপোর্ট দেখাতে কিংবা সরাসরি কোন স্পটে সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকাতে হতে পারে, তবে সেই টিভি পর্দা অবশ্যই দর্শকের কাছে দৃশ্যমান হতে হবে। অর্থাৎ সংবাদ উপস্থাপক যা কিছু ক্যামেরার সামনে দেখছেন সেটি দর্শককেও দেখতে হবে তাহলেই সেটি হবে যৌক্তিক যোগাযোগ। বিশেষ করে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে অবশ্যই যৌক্তিক যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।
নওরিতা জানতে চাইলো , আমি আর কোন কিছুতে তার সংবাদ উপস্থাপনার সমালোচনা করবো কিনা। আমি বললাম আজ আরেকটা বিষয় বলেই আমি ফোন রেখে দিবো। আচ্ছা তোমার অফিসে যাবার পর সংবাদ পাঠের জন্য যে কাগজের স্ক্রিপ্ট দেয়া হয় সেটি কি তুমি পড়া শেষ হলে স্বাক্ষর করে আবার পুনরায় বার্তা কক্ষে জমা দিয়ে দাও ? নওরিতা বললো, না তো ! আমরাতো টেলিপ্রম্পটার দেখে পড়ি , টেবিলে রাখা স্ট্রিপ্টতো শো‘ দর্শকদের দেখানোর জন্য, আর সংবাদ শুরুর আগে সেই স্ক্রিপ্ট দেখে সংবাদের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য দেয়া হয়। তবে মাঝে মাঝে কোন নতুন সংবাদ যুক্ত হলেও কাগজের ক্রিপ্ট দেখে সংবাদ পড়তে হয়। আমি বললাম সেটিও আমি মানলাম, কিন্তু তোমরা সংবাদ পাঠ শেষ হলে সেই স্ক্রিপ্টে স্বাক্ষর করো কেন আর সেই স্বাক্ষরের বিষয়টি ক্যামেরায় দর্শকে দেখাতে হচ্ছে কেন ? সংবাদ পাঠ শেষে সংবাদ উপস্থাপকের কাগজে স্বাক্ষর করার তো কোন নিয়ম বার্তা কক্ষে নেই, তাহলে কেন তোমরা অধিকাংশ উপস্থাপকই নিউজ সেটে বসে নিউজ স্ক্রিপ্টে স্বাক্ষর করো ? নওরিতা বললো, আমি অন্তত এই কাজটা করি না। আমি কাগজ গুলো নাড়াচাড়া করতে করতে প্রডিউসার তার পরবর্তী শটে যাবার জন্য যথেষ্ট সময় পান। আমি বললাম, শুনে ভালো লাগলো তুমি স্ক্রিপ্টে স্বাক্ষর করো না, কিংন্ত অনেক সংবাদ পাঠককে এই কাজটি করতে দেখা যায়। সংবাদ পড়া শেষ সাধারণত উপস্থাপকরা তার টক ব্যাক( ছোট হেডফোন) খুলবেন, অথবা তার শাড়ীতে কিংবা কোর্টে লাগানো মাইকটা খুলবেন অথবা তিনি চেয়ার ছেড়ে ধীরে ধীরে উঠার জন্য প্রস্তুতি নেবেন। এই কাজ গুলো অনেকটা যৌক্তিক, স্বাক্ষরের বিষয়টি সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গীক কাজ , অথচ আমাদের অনেক সংবাদ উপস্থাপকই নিউজ সেটে বসে সংবাদ পাঠ শেষ হলে স্বাক্ষর দিয়ে বিদায় নেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যের মেগা স্টুডিও হতে প্রচার কৃত সংবাদ গুলোতেও কিন্তু কলমের ব্যবহার আছে, তবে সেই ব্যবহার অত্যন্ত যৌক্তিক। ইউএসএর সিবিএস নিউজের সংবাদ উপস্থাপকরাতো বিশাল আকৃতির নিউজ সেটে চায়ের কাপও নিয়ে বসেন। সেখানেও কাউকে কাউকে কলম দিয়ে স্ট্রিপ্টে লিখতে দেখা যায়, তবে সেটি যেন এমন আরোপিত মনে হয়না যেমনটা আমাদের সংবাদ উপস্থাপকদের ক্ষেত্রে স্পষ্ট।
লন্ডনে আমাদের এক সহকর্মী আছেন তিনি খুবই ভালো সংবাদ উপস্থাপনা করেন, মাঝে মাঝে সংবাদ পাঠ শেষ হলে লাইভ চলা কালে তিনি কলমটি বন্ধ করে চট করে তার কোটের পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতেন, তাও আবার কোর্টের ভেতরের পকেটে। সংবাদ পাঠ শেষে তিনি হাত দিয়ে এমন ভাবে কোটের ভেতরের পকেটে কলম রাখতেন যেন পকেটে কলমটি রাখা স্ক্রিপ্টের অংশ ! সংবাদ পাঠ শেষে একজন উপস্থাপক কিন্তু তার পকেটে কলম রাখতেই পারেন ; এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়, কিন্তু কাজটি নাটকীয়ভাবে প্রতিদিন করলে এটি দৃষ্টি কটু লাগে। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব নাটকীয়তা পরিহার করা উচিত।
নওরিতা ক্লান্ত কন্ঠে বললো, আজ আর সে আর কিছু শুনবো না অনেক সমালোচনা হয়েছে। আমি ফোন রাখলাম।
মন্তব্য
এতকাল টিভিতে সংবাদ দেখে গেলেও এই বিষয়গুলো খেয়াল করিনি। সংবাদ পাঠকদের চোখ একবার স্ক্রিপ্টে আরেকবার মনিটরে এরকম ঘোরাঘুরি করতে দেখি। তবে বিটিভির সংবাদের কিছু মজার বিষয় ছিল। কোন টেকনিক্যাল কারণে খবরের ছবি আসছে না হয়তো, তখন সংবাদ পাঠিকা বা পাঠকের কাশি শুরু হতে দেখা যায়। গলা খাকারি দেবার মানে বোধহয় 'ওই ক্যামেরা সরা, আমার লজ্জা লাগে'। নাকি? তবে আজকাল প্রাইভেট চ্যানেলের ওরা অনেক স্মার্ট। বলে ফেলে "প্রিয় দর্শক, কুদ্দুস এই মুহুর্তে লাইনে আসতে পারছে না, চলুন আমরা মকবুলের দিকে যাই।"
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য সম্প্রচারে ব্যাঘাত ঘটায় আমরা দুঃখিত। এই ঘোষনাটা অনেকদিন দেখি না/ শুনি না। কে বলে দেশের বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার অবস্থা খারাপ?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বিটিভির সংবাদতো সেই আমাদের যুগে গিলতে হতো, এখনকার প্রজন্ম তো সেই অর্থে অনেক ভালো কিছু পাচ্ছে, তবে প্রযুক্তির ব্যবহার আর সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে আমাদের। কুদ্দুসের সাথে সংযোগ স্থাপনে সমস্যা হচ্ছে প্রযুক্তিগত, আপনি খেয়াল করবেন রিপোর্টাররা টেলিফোনে হেডফোন দিয়ে স্যাটেলাইটের সাথে কানেকটেড হয় সেকারণে সিগন্যাল পেতে দেরী হয়।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ভাইয়া, আপনি তো দেখছি অনেক কিছুই খেয়াল করেছেন। এমনিতেই মানুষ ক্যামেরার সামনে আসতে ভয় পায়, আপনার এই লেখাটা পড়লে সংবাদ উপস্থাপকেরা স্টুডিওতেই ঢুকতে ভয় পাবে। এতকিছু খেয়াল করে খবর শুনতে গেলে মহাসমস্যা হয়ে যেত।
নতুন করে অনেক কিছু জানলামরে ভাই। অহন থাইক্কা টিভি তে বইসা খবর না শুইনা টাকায় থাকুম, কে কখন কি করে।
আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। ভিন্ন স্বাদ পেলাম।
সাধারণ দর্শকদের এই ভুল চোখে পড়ার কথা না, বার্তা কক্ষের সাথে সংশ্লিষ্টরাই যখন এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যান তখন আমরা যারা এই প্রফেশনের সাথে সম্পৃক্ত তারা আহত হই। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আমাদের দেশে সংবাদ উপস্থাপনায় সৃজনশীলতার চর্চা নেই বললেই চলে। অনেকটাই অনুকরণ নির্ভর। তবে বিটিভির যুগ থেকে যে অনেক উন্নত হয়েছে, এটা না বললেই নয়।
অনুকরণ কিন্তু খারাপ নয়, তবে কাদের অনুকরণ করা হচ্ছে সেটি হলো বিষয়। বিবিস, স্কাই, আইটিভি, সিএনএন কিংবা আল জাজিরার মতো সংবাদ উপস্থাপকদের অনুকরণ করে যদি নিজের মেধা আর সৃজলশীলতাকে কাজে লাগানো যায় তাহলে ভালো কিছু পাবে দর্শক।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
স্বাক্ষর করতে দেখি। এটা যে আসলে মেকি তা জানতাম না।
আপনার আলোচনা খুবই সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের টেকনিকেল বিষয়ে পড়তে খুবই ভাল লাগে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সময় পেলে আরো লিখবো।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
পড়ে সিরিয়াস মজা পেলাম।
পাঠিকারা যে মুখে রঙের ডিব্বা উপুড় করে ঢেলে ক্যামেরার সামনে আসে, এইটা খেয়াল করেছেন?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
মেকআপের বিষয়টা আসলে আমি খুব একটা বুঝিনা, তবে যতটুকু জেনেছি উপস্থাপকের গায়ের রঙ, পোষাক, অনুষ্ঠানের ধরণ, আবহাওয়া, বয়স, বার্তা কক্ষে কিধরণের আলো ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে ত্বকের উপর মেকআপ দেয়া হয়ে থাকে। আর মেকআপ আর্টিষ্টদের প্রশিক্ষণের সুযোগও বোধ করি আমাদের দেশে কম।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
শব্দটা কোর্ট না, কোট। কোর্টের পকেটে কলম ঢুকান যায় না।
ভুল শুধরে দিলাম। ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
পিছনে নিউজ রুমে কম্পিউটারে ফেসবুক খোলা থাকে কি না এইটা খেয়াল করব এখন থেকে
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ফেসবুক পেছন থেকে খোলা না থাকলে আরব বসন্তের মতো সংবাদ মিস হয়ে যেতে পারে। সামাজিক এই যোগাযোগের মাধ্যমটিযে ক্ষেত্র বিশেষে টিভি আর সংবাদ পত্রের চেয়েও শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে সেটা ভুলে গেলে চলবে না। তবে অফিসে বসে ফার্মভিল খেলা কিংবা খাজুইরা আলাপ না করাই ভালো।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
ভাল লাগল। অনেক অজানা বিষয় পড়ে মনে হল এখন থেকে নজর রাখতে হবে খবর শোনার সময় ।
এমন আরও লিখুন, শুভেচ্ছা---
facebook
তারেক অণু, টিভি নিয়া কতকিছুইতো লিখতে মঞ্চায়। তবে আমাদের সহকর্মীদের অনেকেই সমালোচনা নিতে পারেন না, অকারণে বিরাগভাজন হবার একটা শংকা, সময় স্বল্পতা আর আলসেমি সব মিলে হয়ে উঠে না। তবু্ও ভাষার মাসে না লিখে থাকি কেমনে! ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
লেখার ধরন (নাকি ফোনালাপ ) দেখে কেনো জানি মঈন-মিলার কথা মনে পড়ল
হুম।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নতুন মন্তব্য করুন