সবাই বলে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করো, আমি বলি না।

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: রবি, ২৬/০২/২০১২ - ৪:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


- তানভীর আহমেদ।
সবাই বলে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধের কথা। বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচিত অভিযোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভারতীয় ধারাবাহিক দেখে আমাদের পরিবার, সমাজ ও সংস্কৃতি দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত: ভারতে আমাদের বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো দেখায় না, আমাদের দেশে কেন ভারতীয় চ্যানেল চলবে? তৃতীয়ত: ভারতীয় চ্যানেলের প্রভাবে আমাদের দেশের ফ্যাশন, কালচার ও বাজার ভারত নির্ভর হয়ে পড়েছে, দেশীয় পণ্য বাজার হারাচ্ছে। হয়তো আরো অভিযোগ আছে, আমি কয়েকটা অভিযোগের আলোকে কেন ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ না করলে বরং বাংলাদেশ লাভবান হবে সেই দিকটাই তুলে ধরবো।

রুপার্ট মারডকের কথা দিয়েই শুরু করি। গণমাধ্যমের সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু রুপার্ট মারডকের নাম জানেননা এমন গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যা খুব কম, তবে রুপার্ট মারডকের চেয়ে বেশী জনপ্রিয় তাঁর স্কাই টিভি, দ্যা সান কিংবা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো প্রত্রিকাগুলো। অষ্ট্রেলিয়ান বংশদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক রুপার্টের কথা নিয়ে আসলাম একারণে যে, এই মিডিয়া মোঘল ইংল্যান্ডের আকাশ কিনে রেখেছেন ৯০ এর দশকে। সেই থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কোন ডাটা বিলেতের আকাশে প্রবেশ করাতে হলেই রুপার্টের থলেতে পাউন্ড ফেলতে হয়। তার অথর্, বাংলাদেশে আমরা যেমন বিদেশী চ্যানেল গুলো ফ্রি দেখি ইংল্যান্ডবাসীরা এই চ্যানেল ফ্রি দেখে না। বাংলাদেশে ক্যাবল অপারেটরদের একটা নির্দিষ্ট ফি দিয়ে যেমন আমরা শতাধিক চ্যানেল দেখতে পারি, ব্রিটেনেও স্কাই কানেকশন ( বাংলাদেশে যাকে আমরা ডিশ কানেকশন বলি) নিয়ে কিছু বেসিক চ্যানেল দেখা যায় ,কিন্তু মনের মতো চ্যানেল দেখতে চাইলে রুপার্টের থলেতে পাউন্ড জমা দিতে হয়। বাংলাদেশে যেমন কোন গ্রাহক কেবল অপারেটরকে ফি দিয়ে ডিশ কানেকশন নিলেই ন্যশনাল জিওগ্রাফী, ডিসকভারী. সনি, জিটিভি কিংবা স্টার প্লাস দেখতে পারেন , ব্রিটেনের দর্শকদের বেলায় স্কাই কানেকশন থাকলেও এধরণের চ্যানেলগুলো দেখতে হয় বাড়তি পয়সা দিয়ে, এগুলোকে বলা হয় পে-চ্যানেল। দর্শক যখন তখন চাইলেই তার ঘরের রিমোট কন্ট্রোলের লাল বোতামটি চেপে তার পছন্দের পে-চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে পারেন। মানুষ সাধ আর সাধ্যের মধ্যে মিলিয়ে তার নিজস্ব বিনোদন বেছে নেয়।

প্রযুক্তির উৎকর্ষ আর বিশ্বায়নের এই যুগে শুধুমাত্র ভারতের চ্যানেল বন্ধের আবেগী ধোঁয়া না তুলে আমরা কিভাবে এই চ্যানেলগুলো থেকে লাভবান হতে পারি সেই সম্পর্কে কিছু প্রস্তাব দেই। এতে ভিন্ন মতও থাকতে পারে, আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত অভিমতটাই তুলে ধরছি। বাংলাদেশে যেহেতু রুপার্ট মারডক নেই তাই মারডকের ব্রিটিশ স্কাই ব্রডকাস্টিং বা সংক্ষেপে ‘বিস্কাইবি‘ ও নেই। ধরে নিলাম রুপার্ট মারডকের কাজটা করে যাচ্ছেন আমাদের দেশের ক্যাবল অপারেটররা। এই ক্যাবল অপারেটররা তাদের সামর্থভেদে ও টিভির ধরণ অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ টি চ্যানেল দেখার সুবিধা দিচ্ছেন , যার বিনিময়ে দর্শক সাবস্ক্রিপশন ফি দিচ্ছেন ক্যাবল অপারেটরদের। এখন বিদেশী চ্যানেল গুলো প্রচারের ক্ষেত্রে সরকার এই ক্যাবল অপারেটরদের একটা নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসতে পারে। ক্যাবল অপারেটররা দেশীয় চ্যানেল, সংবাদ কিংবা শিক্ষণীয় চ্যানেলগুলোকে ফ্রি রেখে বাকী ভারতীয় ও বিদেশী চ্যানেল গুলোকে পে-চ্যানেল করে ফেলতে পারে। পাশাপাশি সরকার বিদেশী চ্যানেলগুলো থেকে কর আদায় করতে পারে। ভারতীয় চ্যানেলগুলো যদি বাংলাদেশকে উচ্চ হারে কর দিয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা করতে চায় তাহলে সরকার বিশাল অংকের রাজস্ব পেতে পারে। করের মাত্রাটা হওয়া উচিত চ্যানেলের আন্তর্জাতিক মান ও বাৎসরকি আয়ের উপর ভিত্তি করে। এক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের অফিস অভ কমিউনিকেশন্স বা অফকমের নিয়মটি অনুসরণ করা যেতে পারে। যে সকল দর্শকরা সেই বিদেশী চ্যানেল দেখার জন্য নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে রিমোট নিয়ে বসছেন তাদের কাছ থেকেও ক্যাবল অপারেটররা বর্ধিত ফি আদায় করতে পারেন চ্যানেল ভেদে ।

পে- চ্যানেল থেকে সরকার ও ক্যাবল অপারেটরদের বাড়তি আয় ছাড়াও সরকার বিদেশী বিজ্ঞাপনের উপর ফি অথবা শুল্ক বসাতে পারে। এখানে শুধু ভারতীয় নয়, বিশ্বের অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য সেই সকল টিভির সুদক্ষ মাকের্টিং টিম নিশ্চয়ই বাংলাদেশের দর্শকদের হিসাব কষতে ভুল করেনি। সনি কিংবা স্টার প্লাসে যেসকল বহুজাতিক কেম্পানী তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে তার জন্য কিন্তু ভারতীয় চ্যানেল গুলো বাড়তি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশী দর্শকদের কারণে। বাংলাদেশী দর্শকরা ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারকৃত বিজ্ঞাপনে প্রভাবিত হয়ে সেই পন্যের প্রতি ঝুকছে, তাহলে বিজ্ঞাপনের অর্থের ভাগ তো বাংলাদেশেরও পাবার কথা, কিন্তু বাংলাদেশ সেই বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে ফ্রি ! একটা উদাহরণ দেই- ধরা যাক, সনি টিভি তার সার্ফ এক্সলের কিংবা প্যান্টিন শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য ভারতের ৫ কোটি দর্শককে টার্গেট করে বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারণ করলো, আর বাংলাদেশে যদি কমপক্ষে ১ কোটি লোক ভারতীয় সেই বিজ্ঞাপন দেখে সেখানে কিন্তু বাংলাদেশের ১ কোটি দর্শক সেই সার্ফ এক্সলের ও প্যান্টিন শ্যাম্পুর টার্গেট অডিয়েন্সের মধ্যে পড়ে, তাহলে বিজ্ঞাপনের এক পঞ্চমাংশ অর্থ বাংলাদেশ দাবী করতে পারে সেই টিভি চ্যানেলের কাছে যারা বাংলাদেশে সেই সব পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। এক্ষেত্রেও রুপার্ট মারডকের বিস্কাইবি আবারও দৃষ্টান্ত হতে পারে। রুপার্ট মারডক স্কাই স্যাটেলাইটে টাকার বিনিময়ে পে-চ্যানেলের অনুমতি দিলেও পে-চ্যানেলগুলোকে বিদেশী বিজ্ঞাপন ফ্রি চালানোর অনুমতি দেয়নি। সেখানেও জুড়ে দিয়েছে নিয়ম নীতি। আর এসব পলিসির কারণে রুপার্ট ২০১০ সনে শুধু বিস্কাইবি থেকে আয় করেছে ৮৮৭ মিলিয়ন পাউন্ড, যদিও গত বছর টেলিফোনে আড়ি পাতা কেলেঙ্কারীর সাথে জড়িয়ে মারডকের বিস্কাইবি‘র ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো আয় কমে গিয়েছিলো।

এখন কথা হচ্ছে সরকারের যেমন প্রতিবেশীর সাথে ভালো সর্ম্পক রাখা জরুরী তেমনি বিশ্বায়ন আর সামজিক নেটওয়ার্কের যুগে গণমাধ্যমকে আটকে রাখা যায়না। অন্যদিকে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দিলেও তো সরকার ইউটিউব কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিতে পারবেনা। টিভিতে ভারতীয় অনুষ্ঠান না দেখা গেলে এক সময় এই দর্শকরা ইউটিউব কিংবা অনলাইনের উপর বেশী নির্ভরশীলতভ বাড়বে। তাই বিদেশী চ্যানেলগুলো বন্ধ না করে তাদের উপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করে দেশী চ্যানেল গুলোকে টেলিস্টেরিয়াল সুবিধা দিতে পারে সরকার। বাংলাদেশে যেহেতু ভারতীয় পণ্যের বড় বাজার রয়েছে তাই ভারত বাংলাদেশে টিভি চ্যানেল চালানোর জন্য কর দিতে বাধ্য হবে। পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, গ্রামের সাধারণ মানুষ- যাদের কাছে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ নেই তাদের জন্য বাংলাদেশী বেসরকারী টেলিভিশন গুলো নিয়ে আসতে পারে সম্ভাবনার আলো। এই সত্যটি উপবদ্ধি করবার জন্য রুপার্ট মারডক হবার প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।

কিছুই যদি আমরা করতে না পারি, প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রাহক যেন অন্তত পাসওয়ার্ড দিয়ে তার টেলিভিশনের চ্যানেল গুলোর যথেচ্ছা ব্যবহার নিয়ন্ত্রন করতে পারে সেই ব্যবস্থার উন্নতি করলে অন্তত সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব হবে।

tvjournalistuk@gmail.com


মন্তব্য

গুরুত্বহীন এর ছবি

১। একমত হলাম না। প্রথমত বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ কেবল গ্রাহকের সেট টপ বক্স নেই, কারণ তাহলে ৩০০/৪০০ টাকা মাসে দিয়ে ডিশ দেখা সম্ভব না। ক্যাবল অপারেটররা শুধু স্প্লিটার দিয়ে তার জোড়া দিয়ে সবাইকে সার্ভিস দেয়, সেজন্য সবাইকে একই চ্যানেল দেখতে হয়।

২। বাংলাদেশে চুক্তি করে পানি আনতে পারছেনা, ট্রানজিট থেকে কোন সুবিধা নিতে পারছে না, তাহলে অ্যাড থেকে কে টাকা আদায় করে আনবে?

থার্ড আই এর ছবি

আপনার দ্বীমত পোষনের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি আসলে ধীরে ধীরে প্রযুক্তির উন্নয়নের প্রতিই ইঙ্গীত করেছি। প্রায় ২৫ বছর হতে চললো আমাদের স্যাটেলাইট চ্যানেল বানিজ্য, আর কতকাল তার জোড়া দিয়ে দিয়ে সার্ভিস দেবে !

চুক্তি করে পানি আনতে পারছে না রাজনৈতিক মেরুদন্ডহীন সরকার ব্যবস্থার কারণে, জনগনের প্রতি আস্থা হারিয়ে যারা বিদেশী সাহায্য আর শক্তির উপর ভর করে চলতে চায় তাদের পক্ষে পানি আর ট্রানজিট থেকে সুবিধা আদায়তো স্বপ্ন। পানির চেয়ে গদি বাঁচানোর লাঠিয়াল জরুরী।

আসলে শুল্ক আদায়ের বুদ্ধি আর ইচ্ছে থাকলে সম্ভব, পয়সাটাতো ভারত সরকার দিচ্ছে না, যে সকল বেসরকারী চ্যানেল এদেশে বানিজ্য করবে আর যে সকল বহুজাতিক কোম্পানী এদেশে বিজ্ঞাপন চালাবে তারা সেই টাকাটা পে করবে ক্যবল অপারেটরদের, দুই দেশের সরকারের সাথে হবে বানিজ্য চুক্তি।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সদানন্দ ঘরামী এর ছবি

আমাদের দেশে এখন আর খুনেরও বিচার হয় না। প্রমাণ হলেও রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করে দেন। তো খুন ঠেকানো এখন প্রায় অসম্ভব। তো আপনার মত করেই বলি, কিছুই যখন আমরা করতে পারছি না, তখন খুনের ওপর চড়া শুল্ক বসিয়ে দিলে অর্থনীতির সূত্র অনুসারে খুনের পরিমাণ কিছু কমতে পারে, অন্তত সরকারের কোষাগারে কিছু টাকা তো জমা হবে।

আমি দুঃখিত, কিন্তু কিছু একটা করার জন্য আমরা যখন একটু একটু করে মোমেন্টাম সঞ্চয় করছি, তখন এই রকম লেখা দেখলে খুব কষ্ট লাগে। আপনি শুরুতে যে সমস্যাগুলোর উল্লেখ করলেন, সেগুলো যে সমাধান করা যাবে না সেটা আপনি ধরেই নিয়েছেন। তো আমরা কি এখন পহেলা মার্চ ভারত বর্জন করবো নাকি ভারতের কাছে টাকা দাবি করবো? কত টাকা নিয়ে তাদেরকে খুনের লাইসেন্স দেওয়া যায়?

থার্ড আই এর ছবি

খুনের উপর কিন্তু শুল্ক বসানোই আছে সেই শুল্কের পরিমাপক হলো মৃত্যুদন্ড , কিন্তু সমস্যা হলো এর কার্যকারিতা ও বিচার বিভাগের স্বাধীণতা নেই। আইন থাকার পরও রাষ্ট্র সেটি কার্যকর করতে ব্যর্থ হয়েছে। চ্যানেল নিয়ন্ত্রনে আমাদের দেশে কোন নীতিমালাই নেই, তাই সুবিধা আদায়ের পথ পরিস্কার হচ্ছে না, আজ যদি আমরা এই নীতিমালার কথা না ভাবি আগামীতে এই আকাশ নিয়ন্ত্রণ আরো কঠিন হবে। ভারতের চ্যানেল আপনি বন্ধ করছেন । সিএনএন, বিবিসি কিংবা ডিসকোভারী বন্ধ করছেন না ! বানিজ্যের ক্ষেত্রে সকল দেশকে একটি মানদন্ডের আলোকে বিচার করতে হবে , শুধু মাত্র একটি দেশের চ্যানেল কোন মাপকাঠিতে বন্ধ হবে তার যৌক্তিক ব্যাখ্যা থাকতে হবে। একটা কথা পরিস্কার করছি, আমি কিন্তু মোটেও ভারতকে ডিফেন্ড করছিনা, আমি একটি সামগ্রীক মানদন্ডের কথা বলছি, আমাদের সেই মানদন্ডটি ঠিক করতে হবে। ভারতের জন্য যা আমেরিকা ইংল্যান্ডের জন্যও তাই হতে হবে, তাহলেই এই বিধী নিষেধ কার্যকর হবে।

আপনার দুঃখে আমিও ব্যথিত, মোমেন্টামের ক্ষতি হবেনা আশা করছি। শক্ত আর ধূর্ত প্রতিপক্ষকে কিন্ত দূর্বলদের কৌশলে মোকাবেলা করতে হয়। তাই ভারতের মতো দেশকে মোকাবেলা করতে হলে তাকে সাথে রেখেই তার কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের পক্ষপাতি আমি, যুদ্ধ ঘোষণা করে নয়।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মুস্তাফিজ এর ছবি

পয়সার বিনিময়ে কিংবা ফ্রি দুভাবেই ভারতীয় চ্যানেল আমাদের জন্য ক্ষতিকর।

...........................
Every Picture Tells a Story

নাফিসা এর ছবি

চলুক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

থার্ড আই এর ছবি

এই ক্ষতি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পেতেই আসলে এই প্রস্তাবনা, পয়সার বিষয়টা মূখ্য না, ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সুমন চৌধুরী এর ছবি

পয়সার বিষয়টা মূখ্য না,

কোন্টা মুখ্য?

থার্ড আই এর ছবি

মূখ্য বিষয় বিদেশী গণমাধ্যমগুলোকে বাংলাদেশের আকাশে প্রবেশের একটা সার্বজনীন নীতিমালা প্রনোয়ন, এবং উচ্চ হারে শুল্ক বসিয়ে সাধারণ মানুষকে বিদেশী সংস্কৃতিতে নিরুৎসাহিত করা। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেন বাংলাদেশর মতো দেশের সাধারণ মধ্যবিত্তের পকেটের খালি না হয় সেজন‌্য একটা বিকল্প ভাবনা হলো বিদেশী টেলিভিশনগুলোর উপর শুল্ক বা করারোপ করা।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অন্যকেউ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং চিন্তা। ভারতীয় চ্যানেলগুলো সরাসরি নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে এদের যে নিয়মিত দর্শক দল, তাদের পক্ষ থেকে এই ঘোষণার বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং কিছু চিন্তায় বলা যায়, এটা সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিতে পারে; কারণ এখনও দেশের অনেক মানুষই ভারতীয় অর্থনৈতিক ও সামাজিক আগ্রাসন বিষয়ে অসচেতন। কিন্তু যথেষ্ট উচ্চ হারে কর আরোপ করা হলে (ধরা যাক, একেকটা ভারতীয় চ্যানেলের জন্য প্রতি মাসে যদি একশ টাকা অতিরিক্ত গুণতে হয়) এমনিতেই ভারতীয় চ্যানেলের সংখ্যা দর্শকদের পছন্দতালিকা থেকে কমে আসবে। শুধু সিরিয়াল দেখানো একই ধরণের বিশটা চ্যানেল মানুষ না নেওয়ারই কথা; তারা নিশ্চয়ই সেখান থেকে বাছাই করে সংখ্যাটা কমিয়ে আনবে। পাশাপাশি, রাজস্ব আয়ের বিষয়টা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। আবেগতাড়িত বর্জনের চেয়ে মানুষকে সক্রিয় অর্থনীতিটা বুঝতে দিয়ে পরোক্ষভাবে সংখ্যায় কমিয়ে আনাটা বাস্তব সমাধান হতে পারে। আর, মানুষের সাধারণ অসচেতনতার কারণে, আবেগতাড়িত বর্জনের আহ্বানও খুব একটা কাজে দেবে বলেও মনে হচ্ছে না।

অনেক আলোচনার অবকাশ আছে তার পরেও। টাকা দিয়েও যে চ্যানেলগুলো টিকে থাকবে, তাদের রঙচঙে বহিরাবরণ আমাদের দেশি বিবর্ণ চ্যানেলগুলোর ওপরে এখনকার মতোই ছড়ি ঘুরিয়ে যাবে কিনা, সেটাও একটা বড়ো বিবেচ্য বিষয়; যেই দৃষ্টিকোণ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করাটাকে অনেক বেশি প্রয়োজনীয় বলে বোধ হয়। কারণ এরকম অবস্থাতেও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলতেই থাকবে, এবং শুধু অর্থনৈতিক বাস্তবতা চিন্তা করার বদলে এই বিষয়টাই বরং অতিরিক্ত গুরুত্ব নিয়ে বিবেচনার দাবি রাখে।

আলোচনা চলুক। দর্শক আসনে বসলাম। আর, বিষয়টা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তুলে এনেছেন বলে আপনাকে সাধুবাদ।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

থার্ড আই এর ছবি

আমার লেখার মূল প্রতিপাদ্যটাই আসলে ছিলো চ্যানেল গুলো দেখার আগ্রহ মানুষের মধ্যে কমিয়ে আনা। উচ্চ হারে শুল্ক বসালে আপনা আপনি এই চ্যানেলগুলো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে। যেমনটা আমরা করেছি বিদেশ থেকে বিলাস বহুল গাড়ী আমদানীর ক্ষেত্রে। অন্যদিকে শুল্ক আরোপের নীতিমালা দিয়ে বেঁধে ভারতকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে বাংলাদেশী টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ভারতে চালানোর ব্যবস্থা করা। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মাঝখান থিকা মাসের কেবল ভাড়া বাড়বে, পাবলিক লোটা খাবে, ভারতীয় চ্যানেল দেখানোর জন্যে কর দিবে ভারত বা আমরা আদায় করব, এইটা আর অন্যান্য না করতে পারা জিনিসের লম্বা তালিকায় জমা হওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বিদেশী চ্যানেলগুলোর সাথে আপনার প্রস্তাবিত আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়াটা বুঝতে অক্ষম হলাম।

আমরা পয়সার বিনিময়ে ভারতীয় বেশ কিছু চ্যানেল দেখছি। কিন্তু সেই চ্যানেলের বিজ্ঞাপন দেখার জন্য কোন পয়সা পাচ্ছি না। আপনি বলতে চাইছেন সেই বিজ্ঞাপনের আয়ের অংশ পেলে ভারতীয় চ্যানেল হালাল হয়ে যাবে?

ব্যাপারটা অত সহজ নয়। শুধু বিজ্ঞাপন নয়, ভারত এই সমস্ত চ্যানেল দিয়ে আমাদের বাজার ও মগজ দুটোই দখল করছে। এটাই আমাদের মূল আপত্তি। আমি কোন ফর্মেই ভারতীয় ট্র্যাশ গিলতে রাজী না।

আমাদের দূর্বলতার মারাত্মক দুটো দিক হলো বাংলাদেশের কিছু দর্শক ও চ্যানেল মালিক। এদের বিরাট একটা অংশ মগজবিহীন। এবং তারা তা স্বীকার করে না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

থার্ড আই এর ছবি

আসলে বিজ্ঞাপনের বাজার ও আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলাদা একটা পোষ্ট দিলে হয়তো বিষয়টা পরিস্কার হতো। মোট কথা বিদেশী চ্যানেলগুলো এ দেশে চালাতে হলে বাংলাদেশে তাদের আলাদা লাইসেন্স নিয়ে চালাতে হবে এমনটা চাইছি, সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে যেমন এই চ্যানেলগুলোর আঞ্চলিক অফিসে বাংলাদেশীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, যেমনটা রয়েছে বিবিসি, রয়টারর্স কিংবা অন্যান্য আন্তজার্তিক গণমাধ্যমগুলোর। তেমনি বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে বিরোধ হয় এমন অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশের সম্পাদকীয় নীতিমালায় সেন্সরড হয়ে তারপর বাংলাদেশের আকাশে সেই অনুষ্ঠানের ছাড় পত্র নিতে পারে। আর বিদেশী প্রোডাক্টের সেই সব বিজ্ঞাপন বাংলাদেশে প্রচার হবে যেগুলো বাংলাদেশ বৈধ ভাবে আমদানী করে। কেবল অপারেটররা অথবা ভারতীয় কিংবা বিদেশী চ্যানেল গুলোর বাংলাদেশ অফিস সেই সব বিজ্ঞাপন থেকে থেকে আয় দিয়ে বাংলাদেশের অফিস চালাবে । আর ক‌্যাবল অপারেটররা চ্যানেলগুলো থেকে প্রাপ্ত ফি দিয়ে দেশীয় চ্যানেলগুলোতে ভর্তুকি দিতে পারে এতে করে সাধারণ গ্রাহক এখন যত টাকা দিয়ে চ্যানেল দেখে তখন তারচেয়ে আরো কম দামে কানেকশন পাবে।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হিমু এর ছবি

মোট কথা বিদেশী চ্যানেলগুলো এ দেশে চালাতে হলে বাংলাদেশে তাদের আলাদা লাইসেন্স নিয়ে চালাতে হবে এমনটা চাইছি, সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে যেমন এই চ্যানেলগুলোর আঞ্চলিক অফিসে বাংলাদেশীদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, যেমনটা রয়েছে বিবিসি, রয়টারর্স কিংবা অন্যান্য আন্তজার্তিক গণমাধ্যমগুলোর।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বাংলাদেশ অফিসে কতগুলো পদের সৃষ্টি হবে, আর তার কতগুলো বাংলাদেশীদের জন্যে বরাদ্দ করা হবে?

বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেলের অফিসে বাংলাদেশের লোকের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করার জন্যে তাদের রদ্দিমাল আমাদের দেখে যেতে হবে?

আসলে বিজ্ঞাপনের বাজার ও আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলাদা একটা পোষ্ট দিলে হয়তো বিষয়টা পরিস্কার হতো।

পরিষ্কার করুন। আমরা সাগ্রহে অপেক্ষা করছি বিষয়টা পরিষ্কৃত হওয়ার জন্য।

থার্ড আই এর ছবি

বিজ্ঞাপনের বাজার বলতে আমি বলতে চাইছি, বাংলাদেশে যেসকল ভারতীয় পণ্য আমদানী হয়ে থাকে অথবা ভারত যে সকল বহুজাতিক কোম্পানীর ফ্রেঞ্চায়জ নিয়েছে যার বাজার বাংলাদেশেও আছে, সেসকল পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে বাড়তি ফি ধার্য করা। ধরুণ ভারতীয় এয়ারটেল মোবাইল, নিরমা, গুদরিজ, বরলিন কিংবা ডাবর আমলা কেশতেল বাংলাদেশে অনুমতি নিয়েই আমদানী হচ্ছে এবং ভারতীয় এসব পণ্যের ভোক্তা আমাদের দেশে আছে। ভোক্তাকে দেশপ্রম দিয়ে ১০০ ভাগ কিন্তু ফেরানো যাবে না। বেশ বড় অংশের ভোক্তা পণ্য কিনবে পণের গুনাগুন ও ব্যক্তিগত পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে, আমরা যদি এই পণ্য আমদানী বন্ধ না করতে পারি তাহলে এর প্রচার বন্ধ কিংবা পণ্য বর্জনের যুদ্ধে কতটা সফল হবো বলুন? যদি পারেন স্থায়ী ভাবে আমদানী বন্ধ করুণ। যদি পণ্য আমদানীর অনুমতি থাকে তাহলে বাই ডিফল্ট সেই পণ্যের বিপননেও বাঁধা থাকার কথা না। সেই প্রচারটা যাদেরকে টার্গেট করে করা হচ্ছে সেই দর্শক বাংলাদেশের জনগন। এখন বাংলাদেশের জনগনের কাছে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিজ্ঞাপন দেখাবে, বাংলাদেশকে টাকা দিবে না কেন? দরকার হলে ভারতীয় চ্যানেলে সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন বন্ধ করে বাংলাদেশী টেলিভিশন ‌চ্যানেলগুলোতে বহুজাতিক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন চালানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোতে বিদেশী চ্যানেল কিংবা ভারতীয় বিজ্ঞাপন চললে দেশী চ্যানেলগুলো বিদেশী চ্যানেলগুলো থেকে লাভবান হতে পারবে।

কলকাতায় একটা বড় বাঙালি জনগোষ্ঠি রয়েছে, সেই দর্শকের জন্য বাংলাদেশে স্থাপিত ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোর অফিস থেকে বাংলাদেশের প্রডিউসার ও পরিচালকরা অনুষ্ঠানমালা কিংবা সিনেমা বানাতে পারে। ব্রিটিশ ফিল্ম মেকার যদি স্লামডগ বানিয়ে বিশ্বমাত করতে পারে একদিন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতারাও ভারতের জন্য ছবি বানিয়ে বিশ্ববাজারে প্রবেশ করতে পারে। তাছাড়া কলকাতায় বাংলাদেশের নাটকের ভালো চাহিদা। ভারতীয় চ্যানেল গুলোতে বাংলা ভাষায় নাটক প্রচারিত হতে পারে। ভারতের চ্যানেলে বাংলা ভাষার অনুষ্ঠানমালা প্রচার হতে পারে। যেমনটা জিটিভ ইউরোপ ( জি ক্যাফে) বর্তমানে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে বাংলা নাটক প্রচার করছে। ভারতীয় চ্যানেলগুলোকে রাখলে ভারতের বাজারে বাংলাদেশের অনুষ্ঠানমালা প্রচারের সুযোগ তৈরী করা যেতে পারে। উভয় দেশের সরকার সমঝোতায় এসে বাংলাদেশে যদি ভারতীয় চ্যানেল ফ্রি চলে তাহলে বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো ভারতেও প্রচারের সুবিধা আদায় করা।
হয়তো প্রশ্ন থেকে যাবে আমরা এই সুবিধা কতটা আদায় করতে পারবো।

বাংলাদেশীদের কাজের কথা বলছেন? টেকনিক্যাল , অপারেশনাল, ট্রান্সমিশন, ক্যামেরা, ডাইরেকশন, এডিটিং, অফিস ম্যানেজমেন্ট সবকিছুতেই স্থানীয়দের (বাংলাদেশী) ছাড়া কাজ করা অসম্ভব, প্রয়োজনে বাংলাদেশে অফিস স্থাপনে বাংলাদেশী স্টাফ নিয়গের শর্ত নীতিমালায় ঢুকিয়ে দেয়া যেতে পারে।

রদ্দিমাল আপনি না চাইলে তো গেলবেন না। সমস্যা হলো যারা এই চ্যানেল দেখে দেখে নিজেদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে তাদের নিয়ে, সেকারণে চ্যানেল বন্ধ না করে সেই চ্যানেলগুলো তাদের কাছে দূর্লভ করে দেয়ার প্রস্তাব করছি, গাড়ীর গতি কমাতে যেমনটা ব্যবহৃত হয় স্পীড ব্রেকার। এই প্রস্তাবনাটি তেমনই একটা প্রক্রিয়া মাত্র।
আপনার জিজ্ঞাসার জন্য ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

দ্রোহী এর ছবি

আপনার প্রস্তাবগুলো কাগজে-কলমে বেশ সুন্দর। কিন্তু বাস্তবতার বিবেচনায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। কেন অসম্ভব সেটা ব্যাখ্যা করা বড় কঠিন ব্যাপার। চোখ টিপি

প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ভারতীয় অনুষ্ঠানের নামে দর্শকদের যা গেলানো হচ্ছে তা দর্শকদের উপর ভালো নাকি খারাপ প্রভাব ফেলছে। তারপরে আসবে ব্যবসার চিন্তা। শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করলে খোলা বাজারে ড্রাগ কেনাবেচা ও আইনসঙ্গত করে দেবার দাবি করা যায়।

ফাহিম হাসান এর ছবি

সফট ড্রাগ (গাঁজা) লিগালাইজ করার দাবী বহু পুরানো। চোখ টিপি

দ্রোহী এর ছবি

মেডিক্যাল মারিজুয়ানা তো ভালু জিনিস। :‌D সাউথপার্কের একটা পর্ব আছে এ নিয়ে।

কিম্ভূত এর ছবি

হো হো হো ভালু পাইসিলাম ওই পর্বটা ।

রামগরুড় এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

থার্ড আই এর ছবি

এইতো আসলেন লাইনে, প্রস্তাবিত নীতিমালা তৈরী হলে বিদেশী চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে তাদের অফিস স্থাপন করবে সেখানে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে এমন অনুষ্ঠানগুলো সেন্সর করা হবে, চ্যানেল গুলোকে টাইট দিলেই বাংলাদেশে এসব চ্যানেলগুলো সাধারণ দর্শকের নাগালের বাইরে চলে যাবে। সকল ড্রাগই ক্ষতিকর, কিন্তু আবার ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ড্রাগ কেনা যায় অন্যদিকে টিভি চ্যানেলগুলোর সব অনুষ্ঠান কিন্তু ক্ষতিকর নয়। তাই একটা নীতিমালার কথা বলছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নুসায়ের এর ছবি

কিন্তু আমি একটা জিনিষ বুঝলাম না। কর দিক বা না দিক, চ্যানেল গুলি বাংলাদেশে আসুক বা নাই আসুক। আপনি যেটা প্রস্তাব দিচ্ছেন তা বাস্তবায়ন করলে গাদা খানিক বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যায়। (বর্তমান ব্যবস্থায় ক্যাবল দেখলেও তা যায়, কিন্তু প্রত্যেক গ্রাহকের ঘরে সেট-টপ বক্স বসায় দিলে আরো বেশি গুন যায়)। আপনি ৫০০ টাকার উপরে ৫০ টাকা কর বসায় সরকারকে লাভবান করতে বলতেছেন (বা বলতেছেন যে এই করলে কোন ভাবে জাতিও লাভবান হবে), কিন্তু ঐ ৫০০ টাকা যে ঘর দিয়া পলাইতাছে, সেটার কথা বলতেছেন না।

থার্ড আই এর ছবি

নুসায়ের আপনার এই পয়েন্টটা অবশ্যই যৌক্তিক, মানছি গ্রাহককে সেট-টপ বক্স কিনতে হবে। কিন্তু আমরা বিনোদনের বাক্স টেলিভিশন কিনে কি কারি কারি টাকা ঘর ছাড়া করছি না? কিনছি কম্পিউটার , ‌ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল। শুরুর দিকে সেট-টপ কিনলে হয়তো গ্রাহকের এককালীন কিছু পয়সা খরচা হবে কিন্ত পরবর্তীতে না হয় আমাদের প্রযুক্তিবিদরা ভাববেন কিভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে কম দামে সেট-টপ তৈরী করা যায়। এক্ষেত্রে কেবল অপারেটররা বিদেশী চ্যানেলগুলো থেকে যে আয় করবেন সেই আয় থেকেও গ্রাহকরা যখন স্যাটেলাইট কানেকশন নেবে তখন তাদেরকে বিনামূল্যে সেট-টপ বক্স দিতে পারে। আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নুসায়ের এর ছবি

আমরা বিনোদনের বাক্স টেলিভিশন কিনে কি কারি কারি টাকা ঘর ছাড়া করছি না? কিনছি কম্পিউটার , ‌ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল।

তাই বলে আরেকটা নতুন জিনিষ কেও এই তালিকায় ঢুকাতে হবে? আপনি কেবল সেট-টপ বক্সের দামের কথা বলতেছেন। কিন্তু আমি কেবল সেইটা বলি নাই। বিদেশী চ্যানেলের একটা সাবস্ক্রিপ্সন কিনে ক্যাবল অপারেটররা সেইটা ৫০ টা (কিংবা আরো বেশি) বাড়িতে দেয়। এমন ক্যাবল অপারেটর ঢাকায় আছে হয়তো ২০টা। এখন একটা চ্যানেলের সাবস্ক্রিপ্সন ফি বছরে ১০০০ টাকা হইলে, সেই চ্যানেল পায় ২০,০০০ টাকা।

আপনার কথা মতোন যদি সবাই আলাদা সাবস্ক্রিপ্সন কিনে তাইলে সেই চ্যানেল পাবে ২০০০০*৫০ = ১০০০০০০ টাকা (প্রত্যেকে না দেখে ১/১০ ভাগ ঐ চ্যানেল দেখলেও এই খরচ ১০০০০০ টাকা)।

নাকি আপনি বলতেছেন যে ক্যাবল অপারেটররা (মধ্যস্বত্বভোগী) চ্যানেল থেকে সাবস্ক্রিপ্সন কিনবে এক্টাই কিন্তু আমাদের কাছে সেইটারে ৫০ টা বানায় বেচবে?

থার্ড আই এর ছবি

ক্যাবল অপারেটররা (মধ্যস্বত্বভোগী) চ্যানেল থেকে সাবস্ক্রিপ্সন কিনবে এক্টাই কিন্তু আমাদের কাছে সেইটারে ৫০ টা বানায় বেচবে অথবা বিদেশী চ্যানেলগুলোর আঞ্চলিক অফিস সেই দায়িত্ব নিতে পারে।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নুসায়ের এর ছবি

বিদেশী চ্যানেলের আঞ্চলিক অফিস এই দায়িত্ব নেয়া আর ৫০ জন ভোক্তা ৫০ টা সাবস্ক্রিপসন কেনার মধ্যে পার্থক্য কি? বিদেশী চ্যানেল সাবস্ক্রিপ্সন বেঁচলে সেই টাকা তো শেষ-মেষ দেশের বাইরেই গেল, তাই না?

দ্যাখেন, ক্যাবল অপারেটররা এখন যেই ভাবে লাইন দেয়, সেইটা ঠিক আইনের ভেতরের উপায় না। সরকার এইগুলারে দেইখাও দেখে না বা মৌন সম্মতি দেয় (সম্ভবতঃ তা'তে দেশের কিছু টাকা বাঁচে বইলা, আর অন্যান্য দূর্নীতির কথা ধরলাম না)। বিদেশী চ্যানেল গুলাও এইগুলা জানে, কিন্তু তাদের সহজ উপায়ে এইটা আটকানোর উপায় নাই। আটকাইতে গেলে ১০০ টাকার লাভের জন্য ১০৫ টাকার তেল পুড়ানো লাগে। অতএব তারা চুপচাপ আছে। এখন ক্যাবল অপারেটররা একটা সাবস্ক্রিপ্সন কিনা সেটা আমাদের কাছে ৫০ বার বেঁচবে, তার জন্য সরকার আইন করে দিবে, এইটা তো একটা মামা বাড়ির আবদার হইলো। সরকারী আইন এই রকম হইলে পরের বছর সব বিদেশী চ্যানেল আইসা সরকাররে ধরে বলবে, তোমার ক্যাবল ব্যবসায়ীরা আমাদের পুটু মেরে দিচ্ছে, আমাদের ক্ষতিপূরণ দেও।

ফাহিম হাসান এর ছবি

কর বসিয়ে লাভ হবে না।

যেহেতু ভোক্তার চাহিদা ইনিলাস্টিক, করের বোঝা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাকেই টানতে হবে। নিচের ছবি দেখুন -

আপনার প্রস্তাব অনুযায়ী কর বসানোর আগে ও পরের সাম্যাবস্থার বিশ্লেষণ:

নীল চতুর্ভুজ (ভোক্তার বোঝা) > সবুজ চতুর্ভুজ (যোগানদাতার বোঝা)

tax

কাজেই কর বসানোটা কোনভাবেই বাস্তবসম্মত বুদ্ধি নয়

সদানন্দ ঘরামী এর ছবি

একদম ঠিক। চাহিদা যে ইনিলাস্টিক, তাতে সন্দেহ নেই, সেক্ষেত্রে করের বোঝা ভোক্তার ঘাড়েই চাপবে বেশি। সবচেয়ে বড় কথা যেটা, তা হলো চাহিদা ইনিলাস্টিক হওয়ার কারনে দাম অনেক বেড়ে গেলেও ভোক্তার সংখ্যা তেমন কমবে না। আরেকটা বড় কথা হলো, যারা হিন্দি সিরিয়াল আর কলকাতার সিরিয়াল দেখেন, টাকাটা তাদের পার্স থেকে বেরোবে না, যারা হিন্দি রিয়েলিটি শো বা ডোরেমন দেখে, তাদের পকেট থেকেও বেরোবে না, যারা খেলাধুলা আর টকশো দেখেন তাদের মানিব্যাগ থেকে বেরোবে।

achena এর ছবি

যারা হিন্দি সিরিয়াল আর কলকাতার সিরিয়াল দেখেন, টাকাটা তাদের পার্স থেকে বেরোবে না, যারা হিন্দি রিয়েলিটি শো বা ডোরেমন দেখে, তাদের পকেট থেকেও বেরোবে না, যারা খেলাধুলা আর টকশো দেখেন তাদের মানিব্যাগ থেকে বেরোবে।

সহমত।।।

থার্ড আই এর ছবি

আপনার মতো করে অর্থনীতির এই গ্রাফটা আমি চিত্রিত করতে পারছি না। তবে এইটুকু নিশ্চিত করছি ভোক্তার বোঝা বাড়বে না, বিদেশী চ্যানেল গুলোর বাংলাদেশের লাইসেন্স ফি আর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রচারিত বিজ্ঞাপনের টাকা দিয়ে বরং দেশের ডিশ কানেকশনে ভর্তুকি দিলে ভোক্তার বোঝা কমিয়ে আনা সম্ভব। আর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের পেছনে যুক্তিটা হচ্ছে এই চ্যানেল গুলোকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়া। আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ফাহিম হাসান এর ছবি

তবে এইটুকু নিশ্চিত করছি ভোক্তার বোঝা বাড়বে না,

না ভাই, কর আরোপ করে লাভ হবে না। এইটা অর্থনীতি ১০১ - ইনইলাস্টিক ডিমান্ডের ক্ষেত্রে ভোক্তার উপর বোঝা চাপবে। এইখানে ট্যাক্স রেগুলেশানের কনসেপ্ট খাটবে না তো!

আপনি বিকল্প চিন্তা করছেন, ভাল কথা, কিন্তু বেসিক কন্সেপ্ট এড়িয়ে গেলে কিভাবে হবে?

হিমু এর ছবি

উনি অর্থনীতি বোঝেন না।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমার আশঙ্কা হিন্দি চ্যানেলের ক্ষেত্রে চাহিদা রেখা এক্কেরে নব্বই ডিগ্রি হবে মন খারাপ


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কিশোর এর ছবি

ঠিক এ ব্যাপারটা আমিও ভাবছিলাম।আপ্নি গ্রাফ সহ দিয়ে দিলেন।ধন্যবাদ

স্পর্শ এর ছবি

ভারতীয় চ্যানেল 'কেন' পরিহার করার কথা বলা হচ্ছে সেটা আপনি মোটেই জানেন না মনে হলো। নইলে ঐ চ্যানেলগুলো রেখে কিভাবে আরও দু-টাকা বেশি লাভ করা যায়, সেই ফন্দি দিয়ে এটাকে জাস্টিফাই করতে নামতেন না।

লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে 'সরকার' সম্পর্কে আপনার ধারনাতেও মৌলিক ভ্রান্তি আছে। মনে হয় যেন সরকার হচ্ছে , অর্থ লাভ করার কারখানা। কোথায় ক্যামনে কর বসিয়ে বাড়তি লাভ করে নেওয়া যায়, সেটাকে মূল লক্ষ্য ধরে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে সংস্কৃতিক অগ্রাসন/ বৈষম্য এসব বিষয়ে।

বাংলাদেশের কতটি বেসরকারি চ্যানেল আছে জানেন? গ্রামে গঞ্জে হিন্দি শেখানোর বদলে এরাই কত কিছু শেখাতে পারে জানেন? ন্যাট-জিও/ডিসকভারী এসবে অভারতীয় এডিশনও চাইলে দেখানো যেতে পারে।

পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, গ্রামের সাধারণ মানুষ- যাদের কাছে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ নেই তাদের জন্য এই বেসরকারী টেলিভিশন গুলো নিয়ে আসতে পারে সম্ভাবনার আলো।

এসব কথা বলেন কোন আক্কেলে?

লেখাটা পড়ে যেসব কথা মাথায় এসেছে, সেগুলো সচলায়তনে বলা হয় না। তাই এক তারা মেরে ক্ষ্যান্ত দিলাম।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তানিম এহসান এর ছবি

বিষয়টা শুধুমাত্র চ্যানেল নয়, বিষয়টা অবশ্যম্ভাবী ভাবে সংস্কৃতি, কৃষ্টি আর জাতিগত অংহবোধ এর সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিছুকিছু ক্ষেত্রে অন্তত অল্টারনেটিভ জায়গাগুলোতে শুধুমাত্র বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ এর চাইতে বাণিজ্যের উদ্দেশ্য আর বিধেয় বিচার বিবেচনা জরুরী বলে মনে করি।

ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হোক, বন্ধ হোক ভারতীয় সব বাণিজ্যিক প্যাকেজ এর ক্রমাগত আগ্রাসন; স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পর নতুন-প্রজন্ম যে বোধ আর সাহস নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছে তাতে উচ্চকিত একটা ’হ্যাঁ’!

থার্ড আই এর ছবি

বিষয়টাযে অবশ্যম্ভাবী ভাবে সংস্কৃতি, কৃষ্টি আর জাতিগত অংহবোধ এর সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত একথায় আমার কোন প্রকার দ্বিমত নেই, তবে নিয়ন্ত্রনের পথ একটাই বন্ধ নয় কেবল অপারেটরদের সংগঠন কোয়াবকে একটা নীতিমালায় এনে বাংলার আকাশকে নিয়ন্ত্রণ করা। বানিজ‌্যিক প্যাকেজ আর ক্রমাগত ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মের উদ্যেগে আমার যেমন উচ্চকিত হ্যাঁ তেমনি হুট করে কোন একটি দেশের টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করার উদ্যোগে আমার অবস্থান একটি উচ্চকিত 'না' তেই থাকবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

চরম উদাস এর ছবি

পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, গ্রামের সাধারণ মানুষ- যাদের কাছে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ নেই তাদের জন্য এই বেসরকারী টেলিভিশন গুলো নিয়ে আসতে পারে সম্ভাবনার আলো।

একমত না। দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা বলে লোকজন আজকাল অনেক কিছুই হালাল করার কথা বলে, তাই মনে হয় বৃহত্তর স্বার্থ বাদ দিয়ে এখন ক্ষুদ্রতর স্বার্থের কথা ভাবা উচিত ইয়ে, মানে...

থার্ড আই এর ছবি

এখানে বেসরকারী টেলিভিশনগুলো বলতে বাংলাদেশী বেসরকারী টেলিভিশনগুলোর টেলিষ্টরিয়াল সুবিধার কথা বলা হয়েছে, যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সম্ভাবনার আলো নিয়ে আসতে পারে ভারতীয় কিংবা বিদেশী টেলিভিশন নয়।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হিমু এর ছবি

টেলিষ্টরিয়াল সুবিধাটা কী জিনিস ভাই?

নুসায়ের এর ছবি

'টেলিপ্যাথেটিক' কথাটা মনে পড়লো

অমিত আহমেদ এর ছবি

মূল সমস্যা লেখাটির বার্তায়। ভেবেছিলাম সরকার চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিক সেটা আপনি চান না, কিন্তু চান মানুষই পরিহার করুক। কিন্তু যা বুঝলাম ভারতীয় চ্যানেল কেনো বর্জন করতে বলা হচ্ছে সেটাই আপনার অজানা থেকে গেছে। যাই হোক, ভারতীয় চ্যানেল দুর্লভ করে দেবার পক্ষে আমি। বর্তমানে সুলভ দেখেই চ্যানেলগুলো আগ্রাসী এবং আগ্রাসী বলেই সংস্কৃতির জন্য হানিকর। সরকার যা করতে পারে শিক্ষামূলক কিছু ইংরেজী (যেহেতু এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক দ্বিতীয় ভাষা) চ্যানেল বাদ দিয়ে বাকি বিদেশি চ্যানেলগুলির উপরে ট্যাক্স বসাতে পারে। যাদের হিন্দি চ্যানেল ছাড়া চলে না তারা গাঁটের পয়সা খরচ করে সেগুলো দেখুক। সেটাই হবে বাস্তবসম্মত। ব্রিটেনের ব্রডকাস্টিং কালচারের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করা এবং সেই কালচার ধারণ করা কষ্টকর যেহেতু ব্রিটেনে এটা একদিনে গড়ে ওঠেনি, সময় লেগেছে। পরিশেষে, আপনার এই কথাটি প্রচন্ড ভাবে হাস্যকর এবং অপমানজনক -

পাশাপাশি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, গ্রামের সাধারণ মানুষ- যাদের কাছে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ নেই তাদের জন্য এই বেসরকারী টেলিভিশন গুলো নিয়ে আসতে পারে সম্ভাবনার আলো।

থার্ড আই এর ছবি

মূল সমস্যা লেখাটির বার্তায়। ভেবেছিলাম সরকার চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিক সেটা আপনি চান না, কিন্তু চান মানুষই পরিহার করুক।

অমিত আহমদে আপনি আমার লেখার মূল বক্তব্যটা কিছুটা অনুমান করতে পেরেছি‍লেন তাই আমিও আসলে আপনার মতো বলতে চাইছি ভারতীয় চ্যানেল দুর্লভ করে দিলে ধীরে ধীরে এর গ্রাহক আর দর্শক চাহিদা কমে আসবে। আমার লেখায় বেসরকারী টেলিভিশন গুলো বলতে কিন্তু বাংলাদেশী বেসরকারী টেলিভিশনগুলোর টেলিষ্টরিয়াল সুবিধার কথা বলা হয়েছে, ভারতীয় কিংবা বিদেশী টেলিভিশন নয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অমিত আহমেদ এর ছবি

এটা আপনার মূল বক্তব্য তার বিন্দুমাত্র ছাপ আপনার লেখায় নেই। বরং হিন্দি চ্যানেলে কিভাবে আমরা লাভবান হতে পারি সেটাই বড় গলায় বলা হয়েছে। সে যা হোক, হিন্দি চ্যানেল মানুষ পরিহার করুক এটা চাইলে তো ভালোই।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

এ এ এ এই যাহ্! লেখাটা আর কয়েদিন পরে দিলে হতোনা! সকলেরই অবশ্য নিজস্ব মতামত জানাবার অধিকার আছে। আপনারও আছে বৈকি!
আমাদের বৃহৎ পরিবারের (আমার ও আমার ভাই-বোন দের সন্তানাদি, নাতি-নাতনি মিলে) অনেকেই সচরাচর সচলায়তনে ঠু মারে। পোলাপাইনরা সচলে আপনার লেখাটি পড়ে রটনা করে দিয়েছে যে, 'সচলায়তন' ভারতীয় টিভি চ্যানেল দেখার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। মহিলারাতো প্রায় উদ্বাহু হয়ে নৃত্য শুরু করে দিয়েছেন আর আমার দিকে এমন করে তেরসা চোখে তাকাচ্ছেন যেন আমি কোথায় যেন একটা বোকামি করে ফেলেছি। যতই তাদেরকে বোঝাতে চাইছি যে, এটা একজনের ব্যক্তিগত অভিমত। পোলাপাইনরা তা মানতে রাজী নয়। বলে কী না, তুমিতো এখনও হাচল অর্থাৎ হাফ-অচল, সচল নও। পুরা সচল একজনেই 'ক্লিয়ারেন্স' দিছে। আমি কিছু বলতে গেলে মহিলারা মুখ ঝামটা দিয়ে বলে, সচলে দু-একটা লেখা লিখে একেবারে বিরাট পন্ডিত হয়ে গিয়েছ। 'দুই দিনের যোগী', ভাতকে বলে অন্ন। বলেন মশাই, আমি এখন কই যাই!

থার্ড আই এর ছবি

খুব ভালো খবর যে আপনারা সবাই মিলে সচলায়তন পড়েন। আমার ব্যক্তিগত মতামতকে শ্রদ্ধার চোখে দেখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি আসলে সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে আনার চেষ্টা করেছি। এই প্রস্তাবের ভিন্ন মত থাকতে পারে, মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলে দেবার পক্ষে আমি নই।
মশাই আপাতত কোথাও যাবার দরকার নাই বেডরুমেই থাকেন, তবে সেখানও নিরাপদ কিনা জানিনা!

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

হিমু এর ছবি

মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলে দেবার পক্ষে আমি নই।

মাথা শরীরের একটা অবিচ্ছেদ্য অপরিহার্য অংশ। ভারতীয় চ্যানেল কি আমাদের জন্য অবিচ্ছেদ্য বা অপরিহার্য?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

মাথা ব্যথায় মাথা কেটে ফেলে দেবার পক্ষে আমি নই

মাথা ব্যথায় আমিও মাথা কেটে ফেলার পক্ষে নই। কারন নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসায়ই বিশ্বাসী। তাই বলে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে নয়।

মন মাঝি এর ছবি

হ্যাঁ, তবে আগে মাথা কোনটা সেটা তো চিনতে হবে তাই না ? চোখ টিপি

এ্যাপেনডিক্সকে মাথা বলে ভুল করলে তো বড়ই বিপদ!

ভাবুন তো এই বাক্যটা -

এ্যাপেনডিসাটিসের ব্যথায় এ্যাপেনডিক্স কেটে ফেলে দেবার পক্ষে আমি নই

আপনি কি এ্যাপেন্ডিক্স ফেটে.... ইন্নালিল্লাহ... চান ?! না, আমি নিশ্চিত আপনি সেটা চান না বা বলতেও চাননি! হাসি

ভারতীয় চ্যানেলগুলি আসলে আমাদের 'মাথা ব্যাথা' না, বড়জোর এ্যাপেনডিসাটিসের ব্যাথা হতে পারে। চিকিৎসা কি তাতো জানেনই।

****************************************

রব এর ছবি

সবাই বলে পাইখানার পর সাবান দিয়া হাত ধৌত কর, আপনি বলেন না।

হিমু এর ছবি

"টেলিস্টেরিয়াল সুবিধা" কী জিনিস?

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

থার্ড আই ভাই,
একমত হতে পারলাম না দাদা।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

কর আরোপ করে ভারতীয় চ্যানেল চালানোর যুক্তিটা ঠিক মানতে পারছি না। আমাদের সমাজের উপর ভারতীয় চ্যানেলগুলোর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কথা আপনিও স্বীকার করেছেন লেখার শুরুতেই। তারপর যদি অতিরিক্ত সাবস্ক্রিপশন ফিস দিয়ে সেই চ্যানেলগুলোই দেখার সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে কি ব্যাপারটা এমন হলো না যে খারাপ একটা বিষয় আপনি কিছু অতিরিক্ত টাকা দিলে (অর্থাৎ আপনার সক্ষমতা থাকলে) আপনি লিগাল করে নিচ্ছেন?

তবে বাংলাদেশী চ্যানেলগুলো আমাদের দেশের সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। এক্ষেত্রে স্কাইবক্সের ফ্রি ভিউ এর উদাহরণটা আপনি আনতে পারতেন। একটা স্কাইবক্স (£৫০) এবং ডিশ (£২৫) হলেই কোন রকম মাসিক ফিস ছাড়াই অনেকগুলো (২৪০+) চ্যানেল আমরা বৃটেনে দেখতে পারছি। এমন কি আমাদের বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো সহ। এ রকম একটা সুবিধা আমাদের বাংলা চ্যানেলগুলো নিয়ে চালু করা যেতে পারে।

থার্ড আই এর ছবি

খারাপ বিষয়টাকে আসলে অর্থের বিনিময়ে লিগ্যাল করছিনা, শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবেলায় এই প্রস্তাবনা একটা কৌশল মাত্র। রাতারাতি ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করার মতো শক্ত মেরুদন্ড যে আমাদের সরকারের নেই সেই অসহায়ত্ব বোধ থেকে এই প্রস্তাবনা। তাই একটা নীতিমালা নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসলে হয়তো একটা সমাধানে আসা যাবে বলে আমার অভিমত।

যুক্তরাজ্যের স্কাই বক্সের উদাহরণটাই আসলে সামনে ছিলো, তবে সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করিনি। আপনি উল্লেখ করায় পাঠকের হয়তো বুঝতে আরো সহজ হবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

রব এর ছবি

সরকারের মেরুদন্ডের উপর আপনার অশ্রদ্ধা আর আন্তর্জাতিক শিল্পি শাহারুখ খানের প্রতি আপনার শ্রদ্ধা দেইখে হিসাব মিলাতে পারি না।

যেই সরকারের চ্যানেল বন্ধ করার মত শক্ত মেরুদন্ড নাই, সে কর বসানির মত শক্ত মেরুদন্ড পাবে কোথাই?

থার্ড আই এর ছবি

সরকারের মেরুদন্ডের উপর আস্থাহীনতার দৃষ্টান্ত অংসখ্য আর শাহরুখের শিল্পী মানের ব্যপারে আপনার কোন আস্থাহীনতার দৃষ্টান্ত জানা থাকলে অন্য কোন পোষ্টে আলোচনা শুরু করুন। এই লেখার প্রস্তাবের সাথে শাহরুখ খানের শিল্পমান নিয়ে বিতর্ক সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গ।

আকাশ মুক্ত বলেই বিদেশী চ্যানেল গুলো অবলিলায় ঢুকছে, আর সরকার নিরব থাকছে। নীতিমালা থাকলে গেটপাসটা আপনা আপনি তৈরী হবে, শুল্কারোপের নীতিমালা সব বিদেশী চ্যানেলগুলোর জন্য সর্বজনীন হতে হবে শুধু মাত্র ভারতের জন্য আলাদা কিছু হবে না।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অরফিয়াস এর ছবি

ধারণার বাস্তবায়ন কঠিন জিনিস, তবে ভারতের চ্যানেলের উপর নির্ভরশীল না হয়ে সরকার এর মন্ত্রনালয় থেকে সরাসরি বাইরের দেশের চ্যানেলগুলোর প্রচারস্বত্ব নেওয়ার উপায় বিবেচনা করলে মনে হয় ভালো হয়, ব্যাপারটা আর একটু পরিষ্কার হলে ভালো হয়|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

থার্ড আই এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আশা করছি উপরের মন্তব্যর জবাব থেকে আপনার ধারণা পরিস্কার হবে।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

শামীম এর ছবি

জাপানে থাকাকালীন সময়ে এরকম সিস্টেম ছিল আমার বাসাতেও। আর এজন্যই আমার বাসায় মাত্র ৮টা চ্যানেল চলতো -- নাম ছিল হলিউড প্যাক; জাপানী কোনো চ্যানেল চলতো না। কিন্তু লক্ষ্য করেছিলাম যে, আসলে ২টা বা ৩টার বেশি চ্যানেল দেখা হত না কখনই। পয়সা দিয়ে অপ্রয়োজনীয় চ্যানেল দেখার কোনো প্রয়োজন দেখছি না। একমাত্র কিছু স্থানীয় বিজ্ঞাপন চ্যানেল ফ্রী দেখাতো -- সময় খরচ করে বিজ্ঞাপন দেখার কোন আগ্রহ জাগেনি কখনো। তবে প্রথম প্রথম ওদের ভাষা এবং কথা বলার স্টাইল বোঝার জন্য দুই এক ঘন্টা দেখেছিলাম মনে হয়।

হ্যাঁ বড়দের চ্যানেলগুলোও পে চ্যানেল, তবে সেগুলোর সাবস্ক্রিপশন ফী ছিল অ-নে-ক বেশি।

আমার কাছে প্রস্তাবটা ভালই মনে হয়েছে। তবে আমাদের সরকারের যে কোন ভাল জিনিষকে গান্দা করে দেয়ার একটা অভূতপূর্ব দক্ষতা আছে, তাই খুব একটা ভরসা পাই না। এর মাঝেই অবশ্য বিটিআরসি বিভিন্ন টেলিফোন এবং নেট প্রভাইডারদের কাছ থেকে ভাল পরিমান অর্থ নিয়ে সরকারী কোষাগারে জমা দিচ্ছে, যা সাদা চোখে দেখতে ভালই লাগে।

জাপানে জিরো ইয়েনের মোবাইল নিয়েছিলাম - অর্থাৎ বিশেষ একটা প্যাকেজের অধীনে ফ্রী মোবাইল দিত। কিন্তু সেটা নো ইউজ নো বিল ছিলো না। প্রতিমাসে যে ফিক্সড খরচ কাটতো সেটা থেকে কিস্তিতে এটার দাম শোধ হয়ে যেত -- এজন্য তিন বছরের আগে সাবস্ক্রিপশন বাতিল করলে বিশেষ কিছু অর্থ জরিমানা দেয়ার নিয়ম ছিল। এই প্যাকেজের অধীনেই প্রতিমাসে সম্ভবত ৩০০ মিনিট কথা বলা যেত বাড়তি কোনো চার্জ ছাড়াই। এর অতিরিক্ত মিনিটের জন্য আলাদা বিল আসতো। সেট-টপ বক্সের ক্ষেত্রে আপনি এরকম সিস্টেম করার কথা বুঝাতে চেয়েছেন সম্ভবত।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

থার্ড আই এর ছবি

আপনার অভিজ্ঞতা নতুন তথ্য যোগ করলো। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

বাঁটুল দি গ্রেট এর ছবি

আপনার কথাগুলো অনেকটা সেই ধর্ষণ উপভোগ করার উপদেশের মত লাগলো আমার কাছে।
পোস্টে মাইনাস... অফ যা

সীমানা  এর ছবি

ভাইজান বোধহয়, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন কী জিনিষ হেইডাই বুঝেন নাই। বুঝলে , এই নয়া তত্ত্ব আবিষ্কার করতে পারতেন না। এর আগে আরিফ জেবতিক ভাইজানের এক গল্পেও দেখছিলাম "ইন্ডিয়ান রেস্তোরা" নিয়া আপ্নে বিরাট তালগোল পাকাইছিলেন। আপ্নের গায়ে খুব লাগছিল। আমি মূর্খ বাঙালি। আমার কাছে আপ্নের এই প্রস্তাব এক নয়া ধান্দাবাজি ছাড়া আর কিছুই মনে হইতেছে না। যার আসল উদ্দেশ্য হইল আমগো দ্যাশে হিন্দির অবাধ বিস্তার বজায় রাখা। আবার বলগের শুরুতে ছাহ্রুখ ছাহেবের একখান খুবসুরত ফটোক ও খিচা দিছেন!!!
আরেকটা কতা, আপ্নের কাছে মনে হইতাছে, হিন্দি চ্যানেল বন্ধ করলে বাংলাদেশের সবাই "ইউটিউবে/অনলাইনে" হিন্দি দেখা শুরু করব!!! ভাইজান, আপ্নের কোন আইডিয়া আছে, দেশের কয়জন নেট ইউজ করে, আর কয়জন হিন্দি চ্যানেল দ্যাখে ?? এইখানে নেটের যে স্পীড তাতে, সবাই বইসা বইসা পয়সা খরচ কইরা হিন্দি গানা-বাজানা, সিরিয়াল, ছিনেমা দেখবো তিনদিন বইসা, নাহ আপ্নের মাথায় বুদ্ধি আছে ভালই। জুজুর ভয়ডাও ভালোই দেহাইতে পারেন।

থার্ড আই এর ছবি

আপনার কাছে যেটা তালগোল আমার কাছে সেটা ব্যক্তিগত অভিমত। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। শাহরুখ খান আন্তজার্তিক মানের শিল্পী, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা বলুন, অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য না দিয়ে আপনার যুক্তি তুলে ধরুণ জবাব দেবো।
আজকে বাংলাদেশের অনলাইন ইউজার ১ কোটি , আগামী পাঁচ বছর পর যে এই সংখ্যাটা ৫ কোটি হবে না সেটা তো আপ্নি এখনই বলতে পারছেন না। বর্তমানের ১ কোটি আর ভবিষ্যতের ৫ কোটিকে ভোক্তা ধরলে তাদের আপনি ঠেকাতে পারবেন যদি তার অনলাইনে বিনোদন পেতে ইচ্ছে হয় ? তাই ৫ বছর পরের পরিকলল্পনাটা এখনই নিতে হবে।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

সত্যপীর এর ছবি

বর্তমানের ১ কোটি আর ভবিষ্যতের ৫ কোটিকে ভোক্তা ধরলে তাদের আপনি ঠেকাতে পারবেন যদি তার অনলাইনে বিনোদন পেতে ইচ্ছে হয় ?

আচ্ছা তাহলে বলতে চাইছেন ১ + ৫ = ৬ কোটি লোক পাঁচ বছর পর অনলাইনে আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী শাহরুখ খানকে দেখবে যদি টিভিতে না দেখতে পায়? অর্থাৎ আপনার মত ছয় কোটি লোকে দেশ ভর্তি হয়ে যাবে পাঁচ বছর পর? বিশদ বুঝিয়ে বলুন আপনার এই অদ্ভুত যুক্তির হেতু কি।

মূল লিখার চেয়ে আপনার মন্তব্যগুলো আরো করুণ। বিশেষতঃ উপরের মন্তব্যটিতে শাহরুখ খানের প্রতি আপনার বিগলিত ভালোবাসা দেখে পোস্টে একতারা দিতে বাধ্য হলাম। দুঃখিত।

..................................................................
#Banshibir.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

থার্ড আই লিখেছেন:
বর্তমানের ১ কোটি আর ভবিষ্যতের ৫ কোটিকে ভোক্তা ধরলে তাদের আপনি ঠেকাতে পারবেন যদি তার অনলাইনে বিনোদন পেতে ইচ্ছে হয় ?

এটাই তো পয়েন্ট রে ভাই। অনলাইনে বিনোদন পেতে চাইলে কি আর ভারতীয় টিভি চ্যানেলে ভোক্তা-কর/শুল্ক আরোপ করে তাদের আটকানো যাবে?

থার্ড আই এর ছবি

ধুসর গোধূলি যত পয়েন্ট আসবে ততই আমাদের আলোচনা একটা গন্তব্যে পৌঁছাবে। আমি ভবিষ্যতের কথা বলছি, ১০ বছর পর অনলাইনের এই স্পিড পাশ্চত্যের মতো হবে, অনলাইনে এখন যে পরিমান ব্যবহারকারী আছেন সেটা জ্যামিতিক হারে বাড়বে, কিন্তু নীতিমালা ছাড়া মানুষকে অনলাইনে এমন বিনোদন দেখার অভ্যাস তৈরী হবার সুযোগ দিলে লাভ হবে ইউটিউবের আর ফেসবুক ওয়ালাদের। আমাদের মাথায় লবন রেখে স্বাদ নেবে ওইসব সামাজিক মাধ্যমের প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার সব অনুষ্ঠান কিন্তু অনলাইনেও ফ্রি দেখা যায়না, কোথাও সেইসব অনুষ্ঠান সাবসক্রাইব করতে হয়, কোথাও আবার অনলাইনে পে করে ডাউন লৌড করে দেখতে হয়। সেখানেও আছে নানান ধরণের লেনদেন। সামাজিক মাধ্যমগুলো জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠানের আগে বিজ্ঞাপন বসিয়ে কিন্তু পয়সা ইনকাম করছে। কিন্তু আমরা যদি আকাশ নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা করি তখন সেখানে অনলাইনের বিজ্ঞাপন নীতিমালাও হতে পারে, বাংলাদেশের দর্শক অনলাইনে টিভি অনুষ্ঠান দেখলেও ইউটিউব ও ফেসবুক ওয়ালারা আমাদের পয়সা দেবে। সেই জন্যই আমি সামগ্রীক নিয়ন্ত্রণের একটা দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালার কথা বলছি।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

কালো কাক এর ছবি

দেশে নেটের যা স্পিড তাতে ইউটিউবে হিন্দি সিরিয়াল বা সিনেমা দেখা কঠিন। একটা ৫মিনিটের ভিডিও বাফার হতে ১৫-২০মিনিট লাগে। আর হিন্দি চ্যানেলের মূল ভোক্তা যারা (নারী,শিশু) এরা ইউটিউব দেখতে অভ্যস্ত না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই চ্যানেল বন্ধ করে দিলে ইউটিউব থেকে সবাই হিন্দি দেখে ফেলবে এটা অসম্ভব। সবচেয়ে বড় কথা হলো ভারতীয় চ্যানেল গুলোতে এমন কোন কিছু দেখায় না যা থেকে কেউ কিছু শিখতে পারে বা সুস্থ বিনোদন পেতে পারে। তাই এগুলো না দেখলে কোন ক্ষতি নাই। যেকোন প্রকারে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হওয়া জরুরি।

সাফি এর ছবি

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী জেনা জেমেসনকে সচলে দেখতে চাই।

চরম উদাস এর ছবি

হো হো হো

সীমানা  এর ছবি

ভাই, জেনা ম্যাডামকে সচলে দেখতে চাইলে উচ্চহারে কর প্রদানের মাধ্যমে দেখানো উচিৎ। এতে সচল অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। মডুদেরকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

রামগরুড় এর ছবি

আপনার কাছে যেটা তালগোল আমার কাছে সেটা ব্যক্তিগত অভিমত। অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন। শাহরুখ খান আন্তজার্তিক মানের শিল্পী, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কথা বলুন, অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য না দিয়ে আপনার যুক্তি তুলে ধরুণ জবাব দেবো।

হা হা হা, মজা পাইলাম, হে হে হে

থার্ড আই এর ছবি

রামগরুড়ের তো হাসতে মানা, তবুও আপনি হাসলেন শেষ পর্যন্ত ! আপনাকে ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

মারুফ এর ছবি

"আপনার কথাগুলো অনেকটা সেই ধর্ষণ উপভোগ করার উপদেশের মত লাগলো আমার কাছে।
পোস্টে মাইনাস... "

সহমত।

শান্তুনু বড়ুয়া এর ছবি

পোস্টে মাইনাস।

থার্ড আই এর ছবি

সকল মাইনাস ও ১ তারা প্রদানকারীদের ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ধ্রুব এর ছবি

আপনার আইডিয়া গুলো পছন্দ হইছে। কিন্তু ভাই এই প্লান গুলো কার্যকর করতে "সরকার" নামক বস্তুটার উল্লেখ রয়েছে॥ সমস্যাটা এইখানেই, যেখানে "সরকার" দাদাদের দালালি করে কুল পাচ্ছে না সেখানে সরকার নিবে এই ব্যবস্থা !!

থার্ড আই এর ছবি

সরকার ঠিক এই মুর্হুতে এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারবে না একথা আমিও মানি, তবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে আরো ভালো পথ হয়তো আমরা খুঁজে পাবো। আমি সেই আলোচনাটা শুরু করলাম মাত্র। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

অমিত এর ছবি

শুনেছি বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো ইন্ডিয়া সম্প্রচার করতে দেয় না। সেইটা নিয়ে আপনার কোনও প্রস্তাবনা নাই ?

থার্ড আই এর ছবি

আমার বক্তব্য হলো আমাদের বার্গেন পয়েন্ট হতে পারে এই নীতিমালা, আলোচনার টেবিলে বসে ভারতকে বুঝাতে হবে আমরা তোমাদের চ্যানেল চালাচ্ছি তোমরা আমাদেরগুলো চালাচ্ছোনা কেন? সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়কে প্রথমে বিদেশী চ্যানেল প্রচারের একটা নীতিমালা তৈরী করে তারপরে নিজেদের দাবী উত্থাপন করতে হবে, আমাদেরতো কোন নীতিমালাই নেই এজন্যই ভারত সেই সুযোগ নিচ্ছে।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

ডাইনোসর এর ছবি

টাকা নিয়ে হিন্দিমালের লাইসেন্স দেয়া। আর সেই টাকাটা আমাদের ভোক্তারাই দেবে। কি চমৎকার।

থার্ড আই এর ছবি

আপনার ধারণা ভুল।হিন্দী চ্যানেলের মালিকরা কিংবা বহুজাতিক কোম্পানীগুলো (যাদের বিজ্ঞাপন বাংলাদেশে প্রচার হবে) বাংলাদেশের ক্যাবল অপারেটরদের টাকা দিবে, অর্থাৎ ভারত থেকে বাংলাদেশে টাকা আসছে। ক্যাবল অপারেটররা সেই টাকাটা ভর্তুকি হিসাবে ব্যবহার করবে যেন দেশের গ্রাহকের বেসিক কানেকশন ফি কমে আসে। বিদেশী চ্যানেলগুলোর জন্য একটি সার্বজনীন নীতি আর শুল্ক আরোপের নীতিমালা থাকা মানে হলো ভারতীয় চ্যানেলগুলোরকে বাংলাদেশে নিরুৎসাহিত করা, যেমটা আমরা নিরুৎসাহিত করি বিলাসবহুল পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে, তারপরও যদি কেউ প্রিমিয়াম ফি দিয়ে ভারতীয় চ্যানেল দেখতে চায় সেক্ষেত্রে ক্যাবল অপারেটররা বাড়তি ফি নেবে সেই সব গ্রাহকদের কাছ থেকে যাদের হিন্দী চ্যানেল না দেখলে ঘুম হয়না, আর সরকার ক্যাবল অপারেটরের কাছ থেকে রাজস্বটা আদায় করে নেবে। মোট কথা যে সকল বিনোদন আমাদের সংস্কৃতি আর বাজার নষ্ট করছে সেসব চ্যানেলকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাবার জন্য উচ্চ হারে শুল্কারোপ হলো একটা কৌশল মাত্র।

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।