সমুদ্র জয় হয়েছে কিংবা হয় নাই আলোচনার বিষয়বস্তু সেটি নয়। আলোচনার বিষয় পত্রিকার বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার। মায়ানমারের সাথে সমুদ্র জয়ের সাফল্যের বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মডেল কন্যা! বুঝতে বাকি নেই প্রধানমন্ত্রী কিংবা আওয়ামীলীগ সরকারের সুনজরে আসার চেষ্টা করেছেন কতিপয় চাটুকার প্রতিষ্ঠান, কিন্তু তাই বলে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসাবে ব্যবহার কতটা যৌক্তিক ? এভাবে সরকারের সাফল্যের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে দেখে একটু অবাক হলাম বটে। অনলাইনে সকল পত্রিকার বিজ্ঞাপন দেখা যায়না প্রিন্ট ভার্সনে মার্চের শেষ সপ্তাহে যেসকল বিজ্ঞাপন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে সেগুলো নিশ্চই অনেকের চোখে পড়েছে। আমি দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম ও শেষ পাতার বিজ্ঞাপন সচলের পাঠকদের জন্য তুলে দিলাম।
একাধীক বিজ্ঞাপন খেয়াল করে দেখলাম প্রত্যেকটি পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের ভাষা মোটমুটি কাছাকাছি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি পেয়েছে ১,৪৪,০০০ বর্গকিলোমিটারের সার্বভৌম বাংলাদেশ আর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি পেল ১,১১,০০০ বর্গকিলোমিটারের আরও এক ‘নতুন বাংলাদেশ’। সকল প্রতিষ্ঠান একই তোতা পাখির বুলি কোথায় পেলো ?
পত্রিকায় প্রকাশিত সকল বিজ্ঞাপনের ভাষা দেখে অনুমান করছি বিজ্ঞাপনের কনসেপ্ট এক স্থান থেকে এসেছে। আর সবচেয়ে অবাক করার কান্ডটি ঘটিয়েছে মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় । রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে সরকারের নিজের টাকায় নিজেদের ধন্যবাদ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছেপেছে এই মন্ত্রণালয় !
কথা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যদি ধন্যবাদ দিতেই হবে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান চিঠি কিংবা ফুল পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারতো না? দ্বিতীয়ত, ছবি ছাপানোর আগে কি প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার হবে এই মর্মে কোন অনুমতি নেয়া হয়েছিলো ? যদি অনুমতি নেয়াও হয় তাহলে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কি কোন বেসরকারী কিংবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে মডেল হতে পারেন ?
মন্তব্য
দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি যে কোন বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত হবে না এটাই য্বক্তিক। এ ব্যপারে কোন নীতিমালা না থাকলে তা তৈরী করা এবং প্রয়ুগ করা প্রয়োজন।
নীতিমালা নেই বলেই তো এই দশা। আজকে সমুদ্র জয় নিয়ে বিজ্ঞাপন হয়েছে কালকে যে প্রধানমন্ত্রীর গায়ের চাদর নিয়ে যে কাস্মিরী শালের বিজ্ঞাপন ছাপবে না তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
দেশটা চামুচে ভরে গেল!!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
লিখা যথপোযুক্ত হয়েছে । চাটুকারিতার এগুলো নমুনা মাত্র। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এসব নিরুৎসাহিত করেননা কেন? এঞ্জয় করেন তাই ?
প্রধানমন্ত্রীর তো এত সব খেয়াল করার কথাও না , প্রধানমন্ত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টারা এই বিষয়গুলো নজরদারী করবেন এমনটাইতো হওয়া উচিত।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
প্রথম ছবিটি বেশ অস্বস্তি দিচ্ছে এই চরম গরমে চাদরের যে ব্যবহার____
এইটা শীতের বিজ্ঞাপন হিসাবে ঘোষনা পত্র প্রদান করার জন্য অনুরোধ করছি।
সারা গায়ে ঘা পাছরা হতে গেলে লোকে আর তা নিয়ে বেশি মাথা ঘামায় না। বরং অবসরে মরা চামড়া খুটে দিব্যি সময় পার করার একটি উপায় হিসাবে কৃতার্থ হয়ে যায়। আমাদের রাজনৈতিক ও জাতীয় সমস্যার প্রকোপ ও মনে হয় সেই মাত্রা পার করেছে।
আমাদের বিলাতে আবার এখন একটু একটু ঠান্ডা আবার একটু একটু সামার ও বটে, সেই অর্থে প্রথম ছবিটিই আমার পছন্দ হয়েছে তাই লিখার শুরুতে ব্যবহার করেছি।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
এটা দেখে অবাক হলাম না। এদেশে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো তো সাধারণ ব্যাপার।
কিন্তু আতিপাতি নেতারা যে হারে একে অন্যরে তেল দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপাচ্ছে তা দেখে নিজেরই লজ্জা লাগে এই জাতির একজন সদস্য হিসেবে।
গতকালকের প্রথম আলোসহ আরো কটা পত্রিকার প্রথম পাতা একাধিক অভিনন্দন বিজ্ঞাপন দিয়েছে চট্টগ্রামের একজন সাবেক ছাত্রলীগ ক্যাডার আ,জ,ম, নাসির কোন এক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে সেজন্য। এমপি নির্বাচিত হলে কি করবে বোঝেন এবার।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমিও অবাক হই নাই। কিন্তু কথা হইল ভয় না পা চাটা না দুইটাই?
প্রেস কাউন্সিলের এই বিষয়ে অবশ্যই একটা নীতিমালা করা দরকার বলে মনে করি।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
অতীব গূরুত্বপূর্ণ প্রশ্নসমূহ কিন্তু জবাব দেবে কে? সত্যিকারের গণতন্ত্র চর্চার এই এক অন্তরায়।
সিরিয়াসলি, আমাদের দেশে কি গণতন্ত্র আছে? যে দেশে মানুষ মুখ খুললে বিপদের সম্মুখীন হয়, মিডিয়া অদৃশ্য কারনে বন্ধ হয়ে যায়, অজস্র মাটির পুতুল জনগনের গলায় নিজেদের কথা বলে। রাজনীতির কোন্ কাল চলছে এখন?
জবাব কেউ দেবেনা জানি তবে প্রশ্ন করে অন্তত আমরা পরিস্কার থাকি নিজের কাছে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
পোস্টার এবং ব্যানার এর এই রাজনীতি তো দেশে নতুন নয় !! কিছু সময় গণতান্ত্রিক অধিকারই গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু হয়ে দাড়ায়|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
তাই বলে কারণে অকারণে প্রধানমন্ত্রীর ছবির এমন যথেচ্ছা ব্যবহার মোটেও শুভ লক্ষণ নয়।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
facebook
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
অবাক লাগছে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কী করে জনগনের ট্যাক্সের টাকা খরচ করে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেয় যখন এই ঘটনাটা কোন ভাবেই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যায় না। পদবীর ভারে জর্জারিত প্রফেসার এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী সম্পর্কে কেউ কি কিছু জানেন?
টুইটার
প্রফেসার এ কে এম সাঈদুল হক চৌধুরী বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রমান করিলেন ওনি আওয়ামীলীগের খাস লুক!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
"আমাদের হাত বাঁধা নেই, আমাদের চোখ খোলা" -- আজকের কাগজ পত্রিকার বিজ্ঞাপনে এরকম কিছু একটা বলা হতো। আজকাল আমাদের হাত অদৃশ্য কিছুতে বাঁধা এবং চোখ খোলা থাকলেও আমরা দেখতে পাইনা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আইনবহির্ভুত হত্যা নিয়ে বলার মতো সাহস আমাদের দিনদিন কমে যাচ্ছে।
মানুষের সামনে দুইটা পথ, হয় সিস্টেম বদলাও নয় দ্রুত অ্যাডাপ্ট করো। গ্লোবাল অপ্টিমা যখন ধারে কাছেও থাকে না, লোকাল অপ্টিমাই অনেক মানুষ বেছে নেয়। আইনবহির্ভুত হত্যা, বিএসএফ কুকীর্তি, এমনকি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ, এরকম অনেক কিছু বহু মানুষ অনেকটা মেনে নিয়েই দিনাতিপাত করছে। সিস্টেমটা যে উপায়ে চললে সবার দুর্ভোগ বাড়ার কথা, সিস্টেমটা সে উপায়তেই চলছে, কিন্তু মানুষ বরং অ্যাডাপ্ট করাটাই বেছে নিচ্ছে। একটা চরম সত্য কথা বলি। আপনার আমার ন্যায়বিচারবোধের চেয়ে বহু মানুষের ন্যায়বিচারবোধ ব্যাপকরকম ভিন্ন। আমরা সেই অন্যদের রাজত্বে বাস করছি, মেনে নিতেও অপারগতা প্রকাশ করছি। ফলে আমাদের জন্যে গ্লোবাল অপ্টিমার পথে যাত্রা করা, একরকম সংগ্রাম করা ছাড়া গতি নাই।
পিপিদা হত্যা নিয়া কি কমু বাঁচার নিশ্চয়তা যেখান পাওয়া যাইতেছে না!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
অঢেল ঘি-মাখন আর মাছ-গোশের যোগান থাকলেও প্রধানমন্ত্রী সাহেবা নিজেকে ফিটফাট মডেলসম রেখেছেন, এ কী আমাদের কম পাওয়া?
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
স্বৈরাচারের সহযোগী বলছেন- ‘সু চিকেও আমার মতো সংগ্রাম করতে হয়েছে’
পইড়া হা হা প গে
যত হাসি তত কান্না বলে গেছেন রাম সন্না , ভুইল্যা গেছেন মিতা ? একটু কম কইরা হাসেন।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
এটা না হলেই অবাক হতাম!
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মন্দ বলেন নাই।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নতুন মন্তব্য করুন