ড্যানি বয়েল আমি দুঃখিত লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধণী দিনে আপনার ক্যারিশমায় খুশি হৈতে পারলাম না। ৬৩ দিনের মাথায় যেদিন লন্ডনে অলিম্পিকের মশাল এলো, সেদিন খুব কাছে থেকে লণ্ডন অলিম্পিকের মশালের উত্তাপ গ্রহণ করেছিলাম। মশাল বহনকারী যখন আমার পাশ ঘেষে গেলো, মনে হয়েছিলো আমার ভেতরটা যেন আলোকিত হয়ে উঠলো। মনে পড়ে গেলো ঠিক সাত বছর আগে এ স্টার্টফোর্ডেই হাজার জনতার ভিড়ে আমিও ছিলাম লণ্নড অলিম্পিকের বিডিং অনুষ্ঠানে। লণ্ডন, অলিম্পিক গেমসের আয়োজক নির্বাচিত হওয়ার দিন থেকেই অপেক্ষা শুরু, কবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসবে। ২৭ জুলাই ২০১২, অলিম্পিকের উদ্বোধণী অনুষ্ঠান দেখার জন্য সাত বছরের অপেক্ষা নিশ্চই কম সময় নয়। এ সাত বছরে ড্যানি বয়েল অস্কার জিতেছেন, তাই উদ্বোধণী অনুষ্ঠানের স্রষ্টা ছিলেন স্লাম ডগের নির্মাতা।
হতাশ হলাম পুরো অনুষ্ঠানেই ! শুধু আমি নই, আমার সহকর্মী-বন্ধুরা সেহরি খেতে খেতে উদ্বোনী অনুষ্ঠানের ভালো মন্দ দিকগুলো নিয়ে কথা বলছিলাম। সবাই বেশ হতাশ হলেন ! একি করলো লণ্ডন ! অনেক পাঠক হয়তো আমার সাথে দ্বিমত পোষন করবেন। আমার কাছে মনে হলো আমি অলিম্পিক অনুষ্ঠান তো নয় যেন গ্রেট ব্রিটেইনের একটা উঁচুদরের প্রমোশনাল অনুষ্ঠান দেখলাম। ব্রিটেনের সেলিব্রেটি কারা, কার কি অবদান সেটি দেখবার জন্য অলিম্পিকে আসর কেন?
জেমস বণ্ড জনপ্রিয় চরিত্র তাই বলে জেমসবণ্ডের সাথে রাণী এলিজাবেথকে কেনো হেলিকপ্টার থেকে অলিম্পিক ভিলেজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে! ব্রিটেনে সব সময় রাণীকে মর্যাদার চোখেই দেখা হয়ে থাকে, হেলিকপ্টার থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে রাণীর রেপ্লিকা আকাশ থেকে ছুঁড়ে ফেলে পরিচালক কী আনন্দ দিলেন আমি বুঝলাম না!
ব্রিটেন ক্রিকেটের আদি তীর্থ ভূমি সেটা আবার বিশ্ববাসীকে প্রমাণ করাতে হবে অলিম্পিকের উদ্বোধণী দিনে? অর্থাৎ আমরা ক্রিকেট খেলার জন্মদাতা হলেও এখন এ ক্রিকেট আমাদের দেশে যাদুঘরে যেতে বসেছে তাই অলিম্পিকের আসরে সুযোগ পেয়ে একটু প্রমেশন নিয়ে নেয়া। শেক্সপিয়ারের টেমপেস্টের কাহিনি নিশ্চয়ই উদ্বোধণী অনুষ্ঠানের ৭০ হাজার দর্শক আর বিশ্বজুড়ে কোটি দর্শক পড়েন নি, সে নাটকের দৃশ্যায়ণ সাধারণ দর্শকদের কাছে সহজবোধ্য ছিলো না। হ্যারি পর্টার জনপ্রিয়তার শীর্ষ সেটি বিশ্ববাসী জানে অলিম্পিকে সেই হ্যারি পর্টার খ্যাত রাওলিঙ্গের বই থেকে ভোলাডার্মর্টকে নেয়া হয়েছে। সকল শ্রেণীর দর্শকদের রাওলিঙ্গের চরিত্র সম্পর্কে ধারণা নাও থাকতে পারে। অলিম্পিকটা সবার জন্য তাই এই চরিত্রগুলোর উপস্থাপন, সবার কাছে সহজবোধ্য মনে নাও হতে পারে ( এই অংশটা প্রান্তিক রহমানের মন্তব্যের পর খেয়াল করেছি আমি ভুলকরে রাওলিঙ্গের কথা লিখতে গিয়ে হ্যারি পর্টারকে নিয়ে এসেছি, তাই শুধরে দিলাম)। ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) এমন নিলজ্ব প্রচার অলিম্পিকের মতে আসরে ছিলো বেমানান ! ২৭ মিলিয়ন পাউণ্ড খরচ করে এপ্রোন পড়া ডাক্তারদের নৃত্য দিয়ে বিশ্ববিখ্যাত ব্রিটিশ চলচ্চিত্রকার কী বিনোদন দিতে চেয়েছেন তাও বুঝলাম না!
মিষ্টার বিনের চিটিং করে দৌড়ে জেতা কৌতুকের অবতারণা হলেও নৈতিকভাবে এ মর্যাদাকর অলেম্পিক আসরে ক্রীড়াবিদদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
১০০ মিনিটের অনুষ্ঠান পুরোটা দেখলাম। সব জায়গায় নির্লজ্বভাবে ব্রিটেনের কী কী ঐহিত্য আছে তা জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আসলে ব্রিটেনের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের দৈন্যতাই ফুটে উঠেছে। ব্রিটেনকে বলা হয়ে থাকে মাল্টিকালচারাল সোসাইটি। অথচ মাল্টিকালচারাল কোনো বৈচি্ত্র্য ছিলো না অলিম্পিকের অনুষ্ঠানে। এতো বড় এশিয়ান কমিউনিটি ব্রিটেনে বাস করে যারা ব্রিটেনের সংস্কৃতিকে করেছে আলোকিত, সে এশিয়ান কমিউনিটির কোনো গন্ধ নেই। একমাত্র বৃটিশ বাংলাদেশী নৃত্যশিল্পী আকরাম খান এতো ভালো নাচ করেন, কিন্তু উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে তিন মিনিটের নৃত্য তার স্বাভাবিক পারফরমেন্সের চেয়ে ভালো হয়নি।
যারা বলবেন আতশবাজীর খেলায় চোখ ঝলসে গেছে অলিম্পিক সিটির স্টেডিয়ামের চারপাশ তাদের বলবো ইংরেজী নববর্ষে লণ্ডন আই'তে এরচেয়েও দৃষ্টি নন্দন আতশবাজীর খেলা আমরা প্রতি বছর দেখি। অলিম্পিকে মোটেও আহামরি কিছু ছিলো না।
তবে হ্যাঁ মশাল প্রজ্জ্বলনের ধারণাটিতে নতুনত্ব ছিলো। ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের চিত্র ফুটিয়ে তুলতে অলেম্পিক রিংয়ের ভেতরে আলোর খেলা আর ডানা যুক্ত সাইকেল বহরের সংযোজনের জন্য পরিচালককে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আর বাকি অনুষ্ঠান মোটেও আহামরি হয়নি। তুলনা করলে লণ্ডন অলিম্পিক বেইজিং অলিম্পিকের ধারে কাছেও যেতে পেরেছে বলে মনে হয়নি।
উদ্বোধণী অনুষ্ঠানটি দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন দ্যা আর্থ বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, আমি বলবো লন্ডন অলেম্পিকের উদ্বোধণী অনুষ্ঠান - দ্যা গ্রেটেস্ট ফ্লপ শো অন দ্যা আর্থ !
উদ্বোধণী অনুষ্ঠান নানন জনের ভিন্ন মত থাকতে পারে। কিন্তু অলিম্পিকের জন্য যেহেতু বিশ্ববাসির অপেক্ষা তাই প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্বের কোটি দর্শক এমন কিছু দেখতে চায় যেটা সবার কাছে সমানভাবে গ্রহনযোগ্য হয়। অলিম্পিকের আয়োজক গ্রেট ব্রিটেইন হতে পারে খেলাটিযে বিশ্বের সবার এটি পরিচালক যথেষ্ট গুরুত্ব দেননি বলেই আমার অভিমত।
মন্তব্য
দেখা হযনি; যারা দেখেছে তাদের মন্তব্য দেখলাম নেগেটিভ ই। ভালো লাগলো লেখাটা।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ওইটা টেম্পেস্টের দৃশ্যায়ন ছিলো??? ধর্তারি নাই তো । অনেক আগ্রহ নিয়ে বসে দেখা শুরু করলেও শেষ করতে পারি নাই। এর থেকে আমাদের ঈদের আনন্দমেলা অনেক ভালো হয়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
দেখার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু ওইযে বাংলাদেশকে অপমান করার কথা শুনে ইচ্ছাটা মরে গেছিল। আপনার লেখা পড়ে দেখবনা না ডিসিশান নিয়েই নিলাম।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আমি তেমন হতাশ হই নি। এ ধরনের অনুষ্ঠানে বিশ্বের কাছে নিজেকে তুলে ধরা যায় বলেই হয়তো তারা নিজেদের ঐতিহ্যগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছে যদিও কিছু কিছু বিষয়, যেমন রানীর লাফিয়ে পড়া, ভালো লাগে নি। আবার মি বিনের ছোট কিন্তু লাইভ অভিনয় ভালই লেগেছে। বেকহামের ভূমিকা আরো একটু বাড়ানো যেতে পারতো বলে মনে হলো। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে পতাকা হাতে পাঁচ বাংলাদেশীকে! তাদের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করেছিলাম। অনেক অনেক পতাকার ভিড়ে আমাদের লাল সবুজ পতাকাটা দারুণ লাগছিল।
টুইটার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কী থাকলে ভালো হতো?
অন্য কোনো অলিম্পিক বা বিশেষ করে বেইজিং অলিম্পিকের কথা মনে না রাখলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা সম্পর্কে অভিযোগের কিছু নাই। তুলনা করতে গেলে তখন প্রশ্ন আসে নানা।
ড্যানি বয়েল যা করতে চেয়েছে তা সে গুছিয়ে করতে পেরেছে। কম আয়োজনে, কম আয়াসে করতে পেরেছে। আমার খুব একটা খারাপ লাগেনি। আবার চোখ ধাঁধিয়ে যায়নি। আমি অবশ্য আতশবাজি দেখিনি।
ঘটনা হচ্ছে এই চোখ ধাঁধাঁনোয়। অলিম্পিক বলে কথা। আমরা চার বছর পর একটা গ্রেটেস্ট শো দেখতে চাই - যা আগের শো-কে ছাড়িয়ে যাবে - পরিবেশনায়, টেকনিকে, অভিনবত্বে। ড্যানি সে পথেই হাঁটেননি। তার সীমাবদ্ধতার মধ্যে ছিল তার অর্থবল দিয়ে বিরাট একদলকে দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দিয়ে অভিনব সার্কাস উপহার দেয়া সম্ভব না। তাছাড়া তারা এই ঝুঁকি নিতে চান নি যে একটা দুর্বল ধরনের বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনীর কপি উপহার দিতে। সুতরাং যা করে তারা অভ্যস্ত সেরকম থিয়েটারিয় টেকনিক, স্কিল আর তার ফিল্মের অভিজ্ঞতা ও কৌশল তিনি ব্যবহার করেছেন।
এরকম একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা সাধারণত: দেখে থাকি স্বাগতিক দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সুচারু পরিবেশনা। গ্রামীণ কোনো জীবনযাপন পদ্ধতি, কোনো লোক নৃত্য, লোক গান, দেশের বিখ্যাত শিল্পীদের পরিবেশনা সেইসাথে বিরাট মাঠে হাজারো মানুষের শৃংখলাবদ্ধ একরকম উপস্থাপনা যা যত ছন্দবদ্ধ থাকে ততই মন কাড়ে।
নতুন কিছুও আমরা দেখতে চাই। আগে দেখি নাই কিন্তু দেখলেই মনটা খুশি হয়ে ওঠে - বাহ দারুন তো।
ড্যানি বয়েল আসলে এই নতুন সৃজনশীলতার দিকে যান নাই। তিনি পুরনো জিনিসকেই হালকা একটু রং মাখিয়ে উপস্থাপন করেছেন। যা আছে তাই নিয়ে ছিলেন। তাই সমালোচকরা বলছেন এই অনুষ্ঠান ছিল অতীতমুখী।
কিন্তু সব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ইতিহাস বা ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয় কিন্তু তার মধ্যে বর্তমানের সাথে একটা সরাসরি সংযোগ ঘটিয়ে দেয়া হয়। একটা নতুনতর উপস্থাপনা থাকে। এটা পাওয়া যায়নি।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
লেখার সাথে সহমত। ভালো লাগে নাই অনুষ্ঠান। অনেক অপেক্ষা করে যা দেখলাম তাতে আমার কাছে নতুনত্ব কিছু ছিলো না। এর চেয়ে অনেক বেশি ভালো সিডনী অলিম্পিক আর বেইজিং অলিম্পিক ছিলো।
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ওদের দৃষ্টিকোণ থেকে হয়ত আরও ভাল হতে পারত হয়ত। তবে আমি বন্ড, বিন, হ্যারি পটারের ভক্ত; খারাপ লাগেনি তাই আমার কাছে। ওরা নিজের ডাইভারসিটি দেখানোর সুযোগ হারালে আমার কি?!
যতদূর জানি শুরু থেকেই এদের পরিকল্পনায় বেইজিং কে টেক্কা দেওয়া জাতীয় চিন্তা ছিলনা । মনে রাখতে হবে এ দেশ এখন একটা ভয়াবহ আর্থিক মন্দার ভিতর দিয়ে যাচ্ছে । মানুষের কাজ কর্ম নেই, এই অবস্থায় ফালতু জৌলুস দেখানোর পথে না গিয়ে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, সামাজিক বিবর্তন গুলো মোটামুটি সফল ভাবে তুলে ধরা হয়েছে কম খরচের মধ্যে ।
হয়ত ইষ্ট লন্ডনে থাকলে অলিম্পিকের উত্তাপ একটু বেশী টের পেতাম । যে জায়গায় থাকি সেখানকার মানুষজন অনেকটাই উত্তাপহীন । আমার নিজেরও খুব যে আগ্রহ ছিল তা নয় উদ্বোধনী অনুষ্টান দেখব কিনা তা নিয়েও মাথা ব্যাথা ছিলনা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখে, যে কথাটা মনে এসেছে তা হচ্ছে 'না দেখলে মিস করতাম' ঃ-০
তবে অনুষ্ঠান দেখে মনে একটা অপ্রাপ্তি অবশ্য ছিল, মাল্টীকালচার বৃটেন এতে একদমই উঠে আসেনি, আসাটা উচিৎ ছিল ।
বেইজিং এর সাথে লন্ডন এর তুলনা করলে বলতে হবে বেইজিং এ জাঁকজমক অনেক বেশি ছিল কিন্তু লন্ডন এর যে sophistication এবং wit, সেটার তুলনা মেলা ভার । আমার কাছে তাই লন্ডন এর টাই বেশি ভাল লেগেছে ।কিছু জিনিষ হয়ত একটু দীর্ঘ ছিল , কিন্তু সার্বিক অনুস্তান ভালই লেগেছে, ফ্লপ কখনই নয় । জাঁকজমক তো পয়সা খরচ করলেই করা যায় ।
আর এই ধরনের অনুস্তান এ কি থাকবে আর থাকবে না এই রকম কিছু বাঁধা ধরা নাই ।
মাল্টীকালচার যে একদম আসে নাই তা ঠিক না , কালো ইমিগ্রান্তদের ব্রিটেন এ আসা দেখান হয়েছে, আকরাম খান এর নাচ ছিল । আর মাল্টীকালচার মানে ত এখন লোকজন ইসলামী শাসন চায় লন্ডন এ - অই জিনিশ না দেখানোই ভাল ।
তবে যাই কন, আকরাম খান এর পারফরম্যান্স এর সময় যখন "বাংলাদেশি" শব্দটা মাইক্রোফোনে বলা হইল তখন তো গর্বে সিনা ফুইলা পাহাড়ের লাহান হইয়া গেছে।
নির্ঝরা শ্রাবণ
গতকাল রাতে ২০০০,২০০৪,২০০৮,২০১২ সবকয়টা অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখলাম ইউটিউব থেকে। ১৯৯২ এর বার্সেলোনা অলিম্পিকেরটা কেন জানি আমার ভালো লাগে। সেইটার ফুটেজ খুজেও খুব একটা মন মত পেলাম না। যাই হোক লেখকের পোস্ট এর সাথে আমি কোন ভাবেই একমত নই।
-বেইজিং অলিম্পিকের সাথে যেহেতু তুলোনা করেছেন তাহলে সেই অলিম্পিকের রেফারেন্সই নেই। কি দেখেছিলাম বেইজিং অলিম্পিকে? তারা চাদে যাচ্ছে, মহাকাশে যাচ্ছে এইসব । ঠিক কি না? ঠিক এই পয়েন্ট নিয়েই আপনি লন্ডন অলিম্পিককে ব্রিটিশ দের প্রমোশনাল বললেন। কিন্তু বেইজিং অলিম্পিক আপনার কাছে বেটার। তো চাদে যাওয়া, স্যাটেলাইট উতক্ষেপন কোন চীনা সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ জানতে পারলে ভাল হত।
- হাজার হাজার মানুষ আলোর লাঠি নিয়ে ঢোল পিটাচ্ছে, সেই সাথে আলো জ্বলছে নিভছে, এইটা কি চীনা সংস্কৃতির সাথে পড়ে কিনা এইটাও ভেবে দেখার অনুরোধ? এইটা বাঙ্গালির বিয়ে সংস্কৃতির সাথে মিলে বলে আমার ধারনা। কারন আমাদের বিয়ে বাড়িতে এইরকম আলো জ্বলে নিভে। যাই হোক মনে চীনা সেনা বাহিনী থেকে লোক নিসিলো যারা অস্বাভাবিক ভালো সিনক্রোনাইজেশান জানে, আর পুরো অনুষ্ঠানই ছিলো সিনক্রোনাইজেশানে ঠাসা,যেন কোন দেশের সেনা বাহিনী রঙ্গিন কুচকাওয়াজ করছে। এইটাও চীনা সংস্কৃতির বহিঃ প্রকাশ বলে মনে করি। (আমার দৃষ্টি ভঙ্গী এক্ষেত্রে ভিন্ন, লেখকের সাথে তাল মিলিয়ে বললাম)
- গতকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্রিকেট কেন দেখাবে?কারন এইটা ওদের সংস্কৃতির অংশ। কয়েক শত বছর ধরে এই রকম একটা খেলা চর্চা করা এবং খেলাটাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসা কম কথা নয়। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলার মত একটা খেলাকে দাড় করানো কম কথা নয়। এরকম সময় ব্যাপী অন্য কোন খেলাই টিকে থাকে নি, থাকার কথাও নয়।
- জেমস বন্ড আর রানী নিয়ে আমারো একটু খুত খুত আছে। তবে রানীকে নিয়ে আসতেই হবে। তার যোগ্য সাহচার্য আর কে হতে পারে?
- বেড টাইম স্টোরি এটাও ওদের সংস্কৃতির অংশ। হ্যারী পটার কে কৈ খুজে পেলেন সেটাও বুঝলাম না, সমস্ত বেড টাইম স্টোরি র ক্যারেক্টার ঐ খানে মোটামুটি ছিল, তাদের নাম ও ঘোষনা করা হয়েছে। রাওলিঙ্গের বই থেকে ভোলাডার্মর্টকে নেয়া হয়েছে।
- আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখাইসি(২০১১ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপে) আর ওরা দেখাইসে ওয়ার মেমোরিয়াল। দোষের কি বুঝলাম না?
- শিল্প বিপ্লব লন্ডন দেখাবে না তো কে দেখাবে? এরকম একটা বিপ্লবের সাক্ষী যেই দেশ তারা শিল্প বিপ্লব কে যেভাবে তুলে ধরেছে এটার জন্য তাদেরকে ১০০ তে ১১০ দেয়া উচিত।
- আমি ঠিক বুঝলাম না মিস্টার বিন কে কেন আপনি পছন্দ করলেন না? এটা যে ব্রিটিশ দের সেই চিরচেনা উচুদরের রসিকতার একটা পরিচায়ক, জিনিশটা এভাবে দেখলে সমস্যা কি? তার অভিনয় অলিম্পিয়ানদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এই অদ্ভুত ধারনা কিভাবে হল সেটাও বুঝলাম না।
- ব্রিটেন মাল্টিকালচারাল দেশ, এটাই সম্ভবত আপনার ক্ষোভের কারন। এত মিলিয়ন মিলিয়ন অভিবাসী তাদের কেন কোন প্রেসেন্টেশান নাই। তাদের অংশগ্রহন ছিল। আপনি ভালো করে মিউজিক ট্র্যাক গুলো শুনুন, তাহলে ব্যাপারটা ধরতে পারবেন। আর মাঠের মাঝখানে হলোগ্রাফিক মনিটরেও সেটা দুয়েক বার দেখানো হয়েছে। এছাড়া আকরাম খানের নাচ তো ছিলোই।
আপনি কি আশা করেন জীবিকার তাগিদে অথবা স্টুডেন্ট ভিসায় অথবা রিফিউজি মেরে যারা ঐ দেশে অভিবাসী হইসে তাদেরকে ব্রিটেনের অলিম্পিকে দেখাবে??? তবে আরেকবার ভাল করে দেখুন। ১৯৬০ সালে যেসন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ওইদেশে বসত গড়ে তাদেরকেও দেখানো হয়ছে। আপনি নিশ্চয় আশা করেন না ২০১৪ সালের টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা দেরকে দেখাবে।
আসলে প্রব্লেম হয়ে গেছে আমাদের মনস্ততে। ছোটবেলা থেকেই বিশৃঙ্খল এই সমাজে একটু শৃখঙ্খলতা দেখতে পারলেই আমরা খুশি। ২০১১ এর আগে আমাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল ভারতেশ্বরী হোমস, ভিকারুন্নিসার মেয়েদের হাত তালি আর শারিরীক কসরত। বেইজিং অলিম্পিক ছিল অনেকটা সেই ধাচের। সেই কারনেই আমাদের সবার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু যে সাংস্কৃতিক মানদন্ডে আপনি লন্ডনকে দেখলেন সেটা বেইজিং কে আরো গুরুতর ভুল হিশাবে দেখানোর প্রয়াস দেয়।
পরিশেষে বেকহাম। নিজে কোন অলিম্পিয়ান না বলে প্রথম থেকেই মশাল থেকে দূরে থেকেছেন। শেষ বেলায় সেটা প্রমান করলেন। এই যে ব্রিটিশদের আভিজাত্য আর সংস্কৃতি সেটার ফুল ফোকাস ছিল গতকাল লন্ডনে। তাই আমার কাছে বার্সেলোনার পর লন্ডন আর সিডনিকেই ভালো লেগেছে।
আপনার সাথে সহমত প্রান্তিক রহমান
আপনার লেখার সাথে সহমত @ প্রান্তিক রহমান,
আসলেই দেখে অব্দি মুগ্ধ ছিলাম, এখানে ঢুকেই এই পোষ্ট দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম । সবার সমান ভাল লাগবে না এটা ঠিক, তবে এতটা নেগেটিভ
যাই হোক বুঝার ব্যাপার ও আছে, হয়ত সবাই সেটা সমানভাবে অনুধাবন করতে পারেনি ।
মিস্টার বিনের স্কেচটায় প্যারোডি করা হয়েছে আবার চ্যারিয়টস অফ ফায়ারকে। অলিম্পিক উপলক্ষ্যে স্কেচটা খুবই লাগসই হয়েছে।
বেইজিং অলিম্পিকের উদ্বোধনী সেভাবে মনে নেই তবে এইবারের টা বেশ শুরু থেকেই দেখলাম টিভিতে। সব মিলিয়ে আমার কাছে ভালো লেগেছে।
আমার মনে হয় স্বল্প বাজেটে ভালই হইসে। তবে ব্রিটেন এর বাইরে যারা থাকেন তাদের জন্য অনেক কিছুই বুঝতে অসুবিধা হবে। একটা ব্যাপার নিয়ে আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই, বাংলাদেশ টিম যখন মাঠে ঢুকে তখন আমাদের দেশের জনসংখ্যা এবং কখনই কোন মেডেল না পাওয়া নিয়ে হাসাহাসি করাটা আমার একদমই ভালো লাগে নাই। আমার জানা মতে অলরেডি এই নিয়ে কয়েকজন বিবিসি তে কমপ্লেন করসেন। আমার বোঝার মধ্যে কোন ভুল হলে জানাবেন।
কমেন্টের শেষে আপনার নাম/নিক উল্লেখ করবেন প্লিজ।
সরি বাদ পড়ে গেছে খেয়াল করি নাই।
কে হাসাহাসি করছিল, কমেন্টেটর?
জি। বিবিসি আইপ্লেয়ার চেক করে দেখতে পারেন।
বিবিসি আইপ্লেয়ার ইউকের বাইরে থেকে দেখা যায় না মনে হয়।
কমেন্টেটর বলছে। ''খেক খেক খেক ১৬০ মিলিয়ন মানুষ পাঠাইছে ৫ জন আবার জীবনেও মেডেল পায় নাই। খেক খেক খেক।''
হ্যারি পটার।
অনুষ্ঠানটি আমি দেখিনি। আপনার রিভিউ পড়লাম। আপনার ভালো লাগে নাই সেটাও বুঝতে পারছি। কিন্তু রিভিউ এর কিছু বিষয়ের সাথে একমত হতে পারছি না। উদ্বোধণী অনুষ্ঠানের বিষয় ঐ দেশের সমাজ-সংস্কৃতির সাথে মিল রেখেই করতে দেখেছি সাধারনতঃ। সেই দিক দেখলে বন্ড, প্টার, বিন, শেক্সপিয়ের, ব্রিটেনের রানী, শিল্প-বিপ্লব এ সবই সেই দেশের অংশ।
তিনি যদি ভালো নাচ করে থাকেন, তাহলে তার স্বাভাবিক পারফরমেন্সটাও ভালোই হবার কথা। খোলা বড় একটা স্টেজে স্বাভাবিক পারফর্ম করাটা এমনকি সুপারস্টারদের জন্য অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
লাইভ দেখিনি, হাইলাইটস দেখেছি। আমার ভালো লেগেছে। স্বাগতিক দেশ নিজের ইতিহাস সংস্কৃতি তুলে ধরে, লন্ডনও একই কাজ করেছে. আমি আপত্তিজনক কিছু দেখিনি তাতে।
আমার তো মনে হয়েছে এই অনুষ্ঠানটি এযাবত যতগুলো অলিম্পিক উদ্বোধোনী অনুষ্ঠান দেখেছি তার মধ্য়ে সবচাইতে লাগসই ও আয়োজক দেশকে খুব সুন্দর করে উপস্থাপিত করা হয়েছে। বহুজাতির সমষ্টিতে পূর্বলন্ডনের যে নিজস্ব সংস্কৃতি, যে সুবিন্য়াস্ত বিশৃঙ্খলা (organized chaos) লন্ডনের পরিচিতি, যে অনন্য় ব্রিটিশ কৌতুকবোধ ব্রিটনের সবচাইতে বড় পরিচয় এসবগুলোকে খুজে পেয়েছি এই অনুষ্ঠানে।
চীনা অতি-নিয়ন্ত্রিত কৃ্ত্রিমতার একেবারে বিপরীতে থাকতে পারার জন্য় ড্য়ানি বয়েলকে অভিনন্দন। খুবই উপভোগ করেছি উদ্বোধোনী অনুষ্ঠান।
এশিয়ান দেখায় নাই দেখে ব্রাদার কি রাগ করছেন নাকি?
কাহিনী কি কিলিয়ার বুঝতে পারছিলেন?
ক্ষেতখামার থেকে যখন ইন্ডাস্ট্রিতে নিলো তখন পর্যন্ত সাদা লোক ই দেখানের কথা। আম্রা আছিলাম না তকন ঐ দেশে। নিউ জেনারেশানের লাফঝাপ কিন্তু মিক্স পোলাপান ই করছে,ইভেন ২০১২ এর মর্ডান জেনারেশান দেখানোর সময় ৩/৪ মিনিটের রেপ গানটা কালো ছেলেই গাইছে।
এনএইচএস এর ফালতু অংশটা বাদ দিয়া পুরা অনুষ্ঠানটা খুব ভালো হইছে। সবকিছু স্ট্টেটিজিকলি পজিশন্ড। শেষের ফ্লেম জ্বালানোটা তো সবচেয়ে জোশ হইছে। আর টোটাল ১৭বিলিয়ন বাজেরেট এই বারের অলিম্পিকরে লাস্ট বারের ৭৪বিলিয়নের অলিম্পিকের সাথে মিল দিয়া লাভ নাই।
ব্যক্তিগত ক্ষোভ/অসন্তোষ থেকে ঢালাও সমালোচনা করেছেন. আমি পুরোটা দেখিনি কিন্তু যেটুকু দেখেছি এতটা খারাপও লাগেনি.
Chandan
যাই হোক, আমার কাছে তো সবচেয়ে ভালো লেগেছিল এথেন্স এর অলিম্পিক গেমস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা্ই। রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম আদি ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলার কুশলী পরিবেশনায়। সিম্বলিজম এর ঘোরলাগা উপস্থাপন, দ্য ভিঞ্চি আর এঞ্জেলোর ক্ল্যাসিক্স, ম্যারাথন দৌড়ের ইতিহাস, প্রাচীন গ্রীস সভ্যতার বিখ্যাত সব বিজ্ঞানী, দার্শনিক আর বীরদেরকে তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বের তাবত মহান সভ্যতার উথান-পতন তুলে ধরে কালের গতিময় চাকার অনবদ্য পরিবেশনা - কি অদ্ভুত দ্যোতনাময় এক অনুষ্ঠান। এমনকি সমগ্র প্রতিযোগীতাচলাকালীন সময়েই, পুরষ্কার দেবার সময় অলিভ গাছের পাতায় তৈরি মুকুট প্রদান যেন বারেনারেই আমাদের নিয়ে যাচ্ছিল সেই সুদূর অতীতে - সক্রেটিস বা হেক্টর এর যুগে।
বন্ডের সঙ্গে রানীর লাফ ঝাপ দেখে মনে হইল, সামনের টি-২০ তে আমাদের খালেদা হাসিনার কোন একটারে প্যারাশূট ছাড়া মেজর মাহমুদ ( মাসুদ রানার সাবস্টিটিউট) এর সঙ্গে হেলি কপ্টার থেকে ফেলে দেয়া যায় না ?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
যত জনের সাথে কথা বলেছি, ২০১২ অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসকে (NHS) তুলে ধরাটা পছন্দ করেছেন এমন কাউকেই এখনো পাইনি। তবে জানি না কেন, আমার কাছে সেটাই পুরো অনুষ্ঠানে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ মনে হয়েছে। অতীত ইতিহাস, সংস্কৃতি, শিল্প বিপ্লব সব তো থাকবেই, যেমনটা আশা করা হয় এ জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে। কিন্তু নিকট অতীত বিচার করলে এই রাষ্ট্রের সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো অর্জনগুলোর একটা হল এই এনএইচএস। স্টাফ-সংখ্যা, অর্থায়ন এবং ব্যাপ্তির দিক থেকে বৃটেনের সবচেয়ে বড়ো এমপ্লয়ার এখনো এনএইচএস, যেখানে সবচেয়ে বেশী মানুষ কাজ করে। প্রশ্ন হল - অলিম্পিকেই তুলে ধরতে হবে কেন এই প্রতিষ্ঠানটিকে? আমার পাল্টা প্রশ্ন - কেন নয়? পৃথিবীর হাতে গোণা মাত্র কয়েকটা দেশ তার সব নাগরিককে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়, কিন্তু সবাই তাদের মান ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু পাবলিক সেক্টর হওয়ার পরও এই প্রাইভেটাইজেশন এর যুগে 'সার্বিক' যে মান এনএইচএস এখনো ধরে রাখতে পেরেছে, তা কি একেবারেই ফেলে দেয়ার মতো? হ্যাঁ, এনএইচএস-ও সমালোচনা এবং ক্ষেত্রবিশেষে অনিয়মের উর্ধ্বে না, কিন্তু সেটার একটা কনটেক্সট আছে। আরও একটা কারণে আমি মনে করি এনএইচএস-কে তুলে ধরাটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অর্থনৈতিক মন্দা এবং তৎপরবর্তী সংকট এবং নানা ধরণের বাজেট কর্তনের ফলে পুরো বৃটেনে সবচেয়ে বেশী আঘাত যে মৌলিক-প্রয়োজনীয় সেক্টরটির ওপর পড়েছে, তা সম্ভবত এই এনএইচএস। এর ফলে পুরো প্রতিষ্ঠানটিতেই প্রচুর চাকুরী ছাটাই, সুযোগ সুবিধা রদ, এবং সংকোচন ঘটেছে - এবং এর সরাসরি ফলাফল পড়েছে এর উপর থেকে নীচ পর্যন্ত কর্মচারী-কর্মকর্তা-চিকিৎসক-নার্স-ধাত্রী সবার উপরে। পুরো প্রতিষ্ঠানটিই, যদি ভুল না বুঝে থাকি, এক ধরণের morale এর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অলিম্পিকে যদি ওদের তুলে ধরাই হয়, তাতে সমস্যা কি? হাসপাতালের বেড, আর গ্রেট অর্মন্ড শিশু হাসপাতালের মরণাপন্ন শিশুদের প্রতীকি উপস্থাপন না হয় একটু কমই দৃষ্টি নন্দন হল এতো সব সেলিব্রেশনের ডামাডোলে!
===============================================
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (ICSF) || মুক্তাঙ্গন: নির্মাণ ব্লগ
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমি পছন্দ করেছি ওই অংশটুকু এবং আমার জানামতে আরো অনেকেই করেছে । আপনার মতামতের সাথে আমি শতভাগ সহমত
আমার মনে হয় জাঁকজমকের নামে কাঁড়িকাঁড়ি টাকার শ্রাদ্ধ করার ট্রেন্ড পৃথিবীতে ফুরিয়ে আসছে। আমাদের টাউনে গত বছর স্বাধীনতা দিবসের আতশবাজীই বন্ধ ছিল বাজেটের অভাবে। কানাডার কোথাও কোথাও তাই দেখলাম। ইউরোপ আমেরিকা জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার মাঝে এই পরিমিতিবোধই ভালো।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
ব্রিটিশ গানের তালে তালে যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভালোবাসার পর্বটা, সেটাও তো অসাধারণ ছিল! আর ব্রিটিশ প্রোগ্রাম, সেখানে ব্রিটিশরা তাদের প্রাইড দেখাবে, সেটা তো স্বাভাবিক এক্তা ব্যাপার!
অনেক দেরিতে হলেও আমি এই আর্টিকেল এর লেখকের সাথে ঐক্যমত পোষণ করছি। অলিম্পিকের মতো একটা বৈশ্বিক ঘটনা আমার মনে এইবার সেরকম কোন ছাপ ফেলতে পারেনি। যতটা পেরেছিল আগের অলিম্পিকগুলো। হায় লন্ডন! হায়!
নতুন মন্তব্য করুন