- তানভীর আহমদে
হেফাজতের বাংলাদেশ
৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখে লংমার্চকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা আর রাজনীতিতে নতুন উত্তাপে সবার মনে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে, কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ? কিন্তু কেন এই লংমার্চ, কি তাদের দাবী? হেফাজতে ইসলাম লংমার্চকে ঘিরে তাদের ১৩ দফা দাবিনামা পেশ করেছে, দাবীগুলো যুক্তির আলোকে ব্যাখ্যা করলে এগুলোযে অন্তঃসারশূণ্য সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে, আর গনতান্ত্রিক দেশে দাবী আদায়ের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করার আগেই ঢাকা অভিমূখে লংমার্চ করে দেশ জুড়ে উত্তেজনা ছড়ানোর যে কোন প্রয়োজন ছিলোনা সেটি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো এই আলোচনায়।
১.সংবিধানে ‘আল্লাহ'র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে।
- শুরুতে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চের ঘোষণার পেছনে দাবি ছিলো শাহবাগের যে সকল নাস্তিক ব্লগার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে ও রাসুল (সাঃ) অবমাননা করেছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু খবরে লংমার্চকে ঘিরে হেফাজতের প্রথম দাবীটিতে হঠাৎ করে সংবিধানে আল্লাহ'র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস পুণ:স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু যৌক্তিক তা পরিস্কার হয়নি। ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচারের আইন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় রয়েছে, এখানে সংবিধানে কোরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী সকল আইন বাতিল করতে হবে বলে হেফাজত যে দাবী করেছে তা অপ্রাসঙ্গীক, পাশাপাশি সংবিধানের কোন অংশগুলি কোরান-সুন্নাহ্ বিরোধী সে বিষয়ে পরিস্কার করে কিছু উল্লেখ নেই।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুত্সা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
-বাংলাদেশে নাস্তিকদের জন্ম আর ব্লগে মতামত প্রকাশ করা তো গণজাগরণ মঞ্চের জন্মের সময় কিংবা ৫ ফেব্রুয়ারী কাদের মোল্লার রায়ের পর থেকে হয়নি। প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন কিংবা আরজ আলী মাতব্বরও ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করেছেন আর ব্লগাররা বিগত ৬/৭ বছর ধরে অন লাইনে ব্লগিং করে তাদের মতামত প্রকাশ করছিলেন। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক নাস্তিক ব্লগার রয়েছেন। কিন্তু এই আইনটির সংশোধন করে, ধর্ম অবমাননাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখার প্রস্তাব সেই সময়ে উত্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করে ঠিক যখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ সমাজ যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের দাবীতে শাহবাগে সোচ্চার হলো, তখন কেন হেফাজতে ইসলাম ব্লগারদের ঢালাওভাবে নাস্তিক বানিয়ে মৃত্যুদন্ডের দাবিনামা পেশ করছে সেই কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। তারপরও যদি হেফাজতে ইসলাম মনে করে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নাস্তিকদের দন্ডাদেশ পর্যাপ্ত নয়, তাদের ফাঁসির দন্ড দেয়া উচিত, তাহলে সেটি অবশ্যই আলোচিত হতে হবে সংসদে। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই এই প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু সরকার যদি হেফাজতে ইসলামের এই দাবী মেনে নেয় তাহলে ব্লগারদের হত্যা করে যারা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়েছে, যারা মসজিদে আগুন মসজিদ-মন্দির ভেঙ্গেছে, পুড়িয়েছে, শহীদ মিনার ভেঙ্গেছে ও জাতীয় পতাকা ছিঁড়েছে, সংখ্যা লঘুদের সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালিয়েছে তাদের আইনের মুখোমুখি করতে সরকার কি ব্যবস্থা নেবে?
৩. কথিত শাহবাগী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-র নামে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী কুলাঙ্গার ব্লগার ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
- সরকার যে ধর্ম অবমাননাকারীদের বিচারে অনেক পজিটিভ সেটা আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে পরিস্কার। আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, যারাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া, ফেইসবুক বা ব্লগে ধর্ম নিয়ে অবমাননাকর উক্তি করলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেছেন, ধর্ম অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তি বাড়ানোর জন্য দন্ড-বিধির ২৯৭ ধারায়ও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ওই ধারায় বর্তমানে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। মন্ত্রীর এই আশ্বাসের পরও লংমার্চের যৌক্তিকতা ছিলো না।
৪. ব্যক্তি ও বাক-স্বাধীনতার নামে সকল বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন সকল বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
-হেফাজতে ইসলামের মতে বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ বলতে কি বোঝায় এই বিষয়টি পরিস্কার নয়। তাদের ইঙ্গিতকি স্কুল-কলেজ, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে কো-এডুকেশন বন্ধের দিকে? মিছিলে কিংবা কোন প্রতিবাদে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা কি অংশ নিতে পারবে না? নারীর ভোটাধিকার ও নেতৃত্বকে কি নাজায়েজ বলে ফতোয়া দেয়া হবে? জাতীয় সংসদে কি শুধুই পুরুষরা অংশ নেবে? গ্রামে যেসকল এলাকায় বিদ্যুত নেই সেই সেখানে মসজিদে মুসল্লিরা মোমবাতি জালিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন, শবে বরাতে আতশবাজি ফুটিয়ে আর মাজারে মোবমাতি জ্বালিয়ে ধর্ম চর্চা করা গেলে শাহবাগে মোমবাতি জ্বালালে সংস্কৃতি বিজাতীয় হবে কোন যুক্তিতে?
৫.ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
-২০১১ সালের ৮ই মার্চ সরকার ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি' ঘোষণার আগে ধর্মভিত্তিক দলগুলোর কাছে চিঠি লিখলেও তখন কোন ধরণের রুপরেখা প্রস্তাব না করে হেফাজতে ইসলামের নারীনীতি ও ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিলের এই দাবি অসময়োচিত। শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার যে প্রস্তাব হেফাজতে ইসলাম দিয়েছে তাতে করে এর অর্থ কি এই দাঁড়াচ্ছে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরও ইসলাম ধর্ম শিক্ষায় বাধ্য করা? কিন্তু ধর্ম কখনই চাপিয়ে দেয়ার বিষয় নয়।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
-আহ্মদিয়া বা কাদিয়ানি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকারিভাবে বন্ধ করলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সাম্প্রীতির দেশ। তবে এখানে মনে হয় হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান রাষ্ট্রকে আদর্শ বিবেচনায় এনে এই প্রস্তাবটি করেছে, কারণ পাকিস্তান ১৯৭৪ সনে কাদিয়ানীদের সেদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
৭. মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
- হেফাজত কি তাহলে বলতে চাইছে, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, অপরাজেয় বাংলা, জাগ্রত চৌরঙ্গীর মতো আমাদের জাতীয় প্রতিকৃতিগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে? তাদের এই দাবি কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর হামলা নয়? আরো মজার বিযয় হলো সৌদি আরব সহ মুসলিম বিশ্বের ভাস্কর্য নিয়ে হেফাজতের কোন উচ্চ বাচ্য না থাকলেও বাংলাদেশে ভাস্কর্য নির্মান বন্ধে তারা সোচ্চার!
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধা-বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করতে হবে।
- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে ইতিপূর্বে সরকার বাধা দিয়েছে বাংলাদেশে এমন কোন নজির নেই বাংলাদেশে, বরং বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে কারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দেয় সেটা জনগণ জানে। নামাজ পড়তে এসে কেউ যদি নাশকতা চালায় তাহলে তাদের প্রতিহত করাতো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তব্য।
৯. রেডিও, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দাড়ি-টুপি ও ইসলামী কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসি-ঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় খল ও নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করতে হবে।
-মিডিয়া হলো সমাজের দর্পণ। নাটক সিনেমাতে সমাজের বিভিন্ন চরিত্রের বাস্তব রুপই নির্মাতারা ফুটিয়ে তোলেন। ধর্ম পালন শুধু লেবাসে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং জীবন যাপনে ধর্মের ভালোদিক গুলোর প্রতিফলন ঘটালে নাটক সিনেমাতেও ইসলামের ভালো দিকগুলো যথাযথভাবে উপস্থাপিত হবে।
১০.পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণসহ সকল অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
-মুসলামানদের দ্বীনের দাওয়াতের তৎপরতা বন্ধে যেমন সরকারের কোন ভূমিকা রাখার প্রয়োজন নেই, তেমনি খ্রিস্টান মিশনারীদের ধর্ম প্রচারে সরকারের বাধা দেয়ারও সুযোগ নেই। তবে কোন এনজিওর বিরুদ্ধে যদি জোর করে ধর্মান্তরিত করার প্রমান পাওয়া যায় সেবিষয়ে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ সরকার নিতে পারে, সেটির সাথে লংমার্চের মত কর্মসূচির প্রয়োজন নেই।
১১, রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র এবং তৌহিদী জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
-শুধুমাত্র রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্রের উপর হামলা বন্ধ করতে হবে কিন্তু হেফাজতের লংমার্চের সময় নারী সাংবাদিকদের উপর হামলা করাকে কি ইসলাম সমর্থন করে? নাকি নারীদের সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে দিতে হবে?
১২. সারা দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দানসহ তাদের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
-যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করতে দেশব্যাপী হরতালের নামে সংহিসতা নৈরাজ্য করছে জামায়াতে ইসলাম এখানে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিবদের প্রসঙ্গ আনা অযৌক্তিক দাবী। যদি হেফাজতের দাবী মানতে হয়, তাহলকি কি হেফাজতে ইসলাম আমাদের এমন ধারণাই দিচ্ছে যে, দেশের কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ এবং মসজিদের ইমাম-খতিব জামায়েত ইসলামের সাথে সহিংসতায় অংশ নিচ্ছে ?
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সকল আলেম-ওলামা, মাদরাসা ছাত্র ও তৌহিদী জনতাকে মুক্তিদান, দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদেরকে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
-গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তারাই রয়েছে যারা পুলিশের মাথা থেতলে দিয়েছিলো, কব্জি বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলো, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট ও সাধারণ নাগরিকের জীবন বিপন্ন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছিলো, গাড়ী পোড়াচ্ছিলো, ট্রেইনের লাইন উপড়ে ফেলেছিলো। গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি একটি আইনী প্রক্রিয়া। সেই প্রক্রিয়া বা আইনের প্রতি কি হেফাজতে ইসলাম শ্রদ্ধাশীল নয়? নাকি আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদী জনতা আইনের উর্ধ্বে ?
এ্ই লেখা যখন সচলায়তনে প্রকাশের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন বিবিসি'কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য থেকে হেফাজতের ২ নং দাবীটি সম্পর্কে পরিস্কার ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে, সরকার এই মূহুর্তে ব্লাশফেমী আইন করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করছে না। তবুও পাঠকের জানা থাকা উচিত, সম্প্রতি হেফাজতে ইসলামের নেত্রীবৃন্দের সাথে জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপি নেত্রীবৃন্দের যে টেলিসংলাপ ফাঁস হয়েছে তাতে একটি বিষয় স্পষ্ট, এই লংমার্চ মোটেও নাস্তিক কিংবা শাহবাগের বিরুদ্ধে নয়। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকারকে হটিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে থামিয়ে দেয়া। অতএব হেফাজতের মোড়কে লংমার্চ ও ১৩ দফার দাবীটি আসলে বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার মহড়া ছাড়া কিছুই নয়।
মন্তব্য
কওমি মাদ্রাসাগুলোর সিলেবাসে যুক্ত করতে হবে আধুনিক বিষয়সমূহ। অর্থনীতি, দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের পাশাপাশি অতি অবশ্যই যুক্ত করতে হবে স্যোসিওলজি অব রিলিজিয়ন।
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
সহমত। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি পাঠ্যসূচিতে প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে বরং বাধ্যতামূলক করে দেয়া উচিত।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
কথাগুলি হয়তো বা সত্য।কিন্তু তারা কুরআনিক আইন প্রত্যাখ্যান করে ব্যক্তি ও দল রচিত শরিয়া আইন বলবত করতে চায়! যেহেতু তারা হাফ ছুন্নী, হাফ মুছলিম।অর্থাত দ্বৈত বিশ্বাসী, যাকে মুনাফিক বলা যেতে পারে।রাছুল এমন মুছলিমের গোড়া পত্তন করেন নি!
বিনীত।
'প্রভূ তাদের জ্ঞান দাও' এই বানী দেয়া ছাড়া আর কিছু বলতে পারছিনা!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
..
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আপনের বিয়েতে পাত্রী কেমনে সেন্টারে আসছে তার ছবিখান কিন্তু দারুণ হৈছে
আমার বউ সেন্টারে আসার ছবি তো আপ্নে নিজের চৌখ্যে দেখছেন, তবে ভবিষ্যতে হেফাজতের শাশনামলে বর যাত্রীদের অবশ্যই হেফাজতি স্টাইলেই বাড়ী ফিরতে হবে। অতএব দ্বিতীয় বিবাহের আগে সাবধান!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নতুন মন্তব্য করুন