সদ্য বিদায়ী যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার মিজারুল কায়েস যিনি বর্তমানে ব্রাজিলের হাই কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন, তিনি আমার দেখা সবচেয়ে বিজ্ঞ ও মেধাবী কুটনীতিকদের একজন। লণ্ডন, ইউএসএ ও দিল্লির মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে এধরণের হাই কমিশনার নিয়োগ দেয়াই কাম্য। কিন্তু তিনি ছিলেন অতি চতুর। উনি যেসকল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে যেতেন সেই সব অনুষ্ঠানে ওনার সাক্ষাতকার নিতে গেলে কোন প্রকার পূর্বানুমতি নিতে হতো না, এমনকি তিনি যখন শেক্সপিয়ার কিংবা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করতে লন্ডন থেকে সুদূর স্কটল্যাণ্ড চলে যেতেন সেই বিষয়েও তিনি প্রেস রিলিস দিতে ভুলতেন না। কিন্তু বিপত্তি বেঁধে যেত যখনই সাংবাদিকরা তার কাছে কোন জনগুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে চেয়ে আগাম এপয়েন্টমেন্ট চাইতো তখন। তথ্য মন্ত্রী হাসানূল হক ইনুর উপর হামলাকারীদের সনাক্ত করা গেছে কিনা , তাদের কি কোন প্রকার শাস্তি হয়েছিলো কিনা? 'দি ইকোনমিষ্ট' যখন হেফাজতে ইসলামে'র শাপলা চত্বরে জনসভায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ ছাপাচ্ছিলো, কিংবা মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা নিয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে 'আল জাজিরায়' প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছিলো কিনা বা সেই বিষয়ে হাই কমিশন বা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি লণ্ডনের হাই কমিশন থেকে!
যুক্তরাজ্যের এইচ এস বিসি ব্যাংক যখন জঙ্গী অর্থায়ন ও আন্তজার্তিক সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগসূত্রের সন্দেহের অভিযোগে বাংলাদেশ হাই কমিশন লণ্ডনের ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দিলো তখন আমরা জানতে চেয়েছিলাম পুরো ঘটনার বিস্তারিত, তখনো হাই কমিশন ছিলো নিরব! ব্রিটেনের বার্কলেস ব্যংক যখন মানি ট্রান্সফার কোম্পানীর মাধ্যমে রেমিটেন্স প্রেরণ বন্ধ করে দিয়েছিলো তখন রেমিটেন্স হাউজগুলো পথে বসার উপক্রম হয়েছিলো, সেই সময় হাই কমিশনের মাধ্যমে সরকারের করণীয় জানতে আমরা যখন মিজারুল কায়েসের খোঁজ করছিলাম ফলাফল ছিলো শূণ্য! এমনি গার্লস সামিটে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্য সফরের সময়ও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত! কিন্তু হাই কমিশনার বরাবরই ব্যস্ত ছিলেন কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান কিংবা কমিউনিটি ভিত্তিক নানা সংগঠনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করা নিয়ে। এমনকি হাই কমিশনারের প্রেস সচিব রাশেদ চৌধুরীর ইমেইল আইডি যখন হ্যাকড হয়ে গিয়েছিলো তখনও আমরা জানতে পারিনি কবে নাগাদ হাই কমিশন অফিসিয়াল ই-মেইল আইডি ব্যবহার শুরু করবে? যদিও মিজারুল কায়েস লণ্ডনে জয়েন করেই আমাকে অন রেকর্ড বলেছিলেন হাই কমিশন এক বছরের মধ্যে কর্পোরেট আইডি ব্যবহার শুরু করবে। তিনি আমাকে তার ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে সেটি নিশ্চিত করেছিলেন তার কার্ডে ইতিমধ্যে অফিসিয়াল ইমেইল আইডি যুক্ত করা আছে। এর মধ্যে তিন বছর পার হয়ে গেছে তিনি চলে গেছেন অন্য মিশনে লণ্ডনের মতো মেগা সিটিতে থেকে এখনো হাই কমিশনে চালু হয়নি অফিসিয়াল ই্-মেইল আইডির ব্যবহার! অতিমাত্রায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হতে গিয়ে তিনি প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে লেট লতিফের ভুমিকায় অবর্তীর্ণ হতেন, দেখা যেতো প্রধান অতিথি এসেছেন অনুষ্ঠান শেষ হবার কিছুক্ষণ আগে( তথ্য সূত্র: সাপ্তাহিক জনমত) অত্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হবার পরও মিজারুল কায়েস ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ও গণমাধ্যমের সাথে সমন্বয় করতে পারেন নি। এসব ব্যর্থতার দায় নিয়ে মিজারুল কায়েসকে ব্রজিল বদলী হতে হয়েছিলো।
মিজারুল কায়েসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ আবদুল হান্নান। সুইজারল্যাণ্ডের জেনেভাতে কর্মরত ছিলেন এই কুটনীতিক। লণ্ডনের কর্মস্থলে যোগ দিয়েই তার মাতৃবিয়োগের ঘটনা তার কাজের গতি শুরুতেই শ্লথ করে দিয়েছে। নিশ্চয়ই তিনি এই শোক কাটিয়ে উঠবেন। হাই কমিশনারের সাথে আমার প্রথম দেখা বাংলাদেশ বিষয়ক মানবাধিকার সম্মেলনে হাউজ অব লর্ডসে গত নভেম্বরে।এর আগেও উনার হাসোজ্জল চেহারার শুভেচ্ছা বাণী আমি পড়েছি বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের পদক বিতরণী অনুষ্ঠানের ম্যগাজিনে, লুটন বিজনেস ফোরামের গালা ডিনার স্যুভেনিরে, ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজ হু সহ বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে, কিন্তু বাস্তবে দেখা হয়নি। তাই প্রথম দেখায় অনেকটা জোর করেই পরিচিত হতে চাইলাম। অনুষ্ঠান শেষ করেই নিজের পরিচয় দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিতেই- এক গাল হেসে বললেন তিনি আমাকে চেনেন পরিচয় দিতে হবে না। জেনেভায় বসে বসে তিনি আমার রাজনৈতিক টক শো ' অভিমত' দেখতেন, আমার কাজের প্রশংসাও করলেন। হ্যাণ্ড শেইকের পর্বটা একটু দীর্ঘ করে কথা বাড়ানোর চেষ্টা করলাম, জানালাম হাই কমিশনের সাথে প্রেসের দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। কেননা রাশেদ চৌধুরী যাবার পর এই উইংটি শূন্য। প্রায় ছয় মাসের বেশী। একবার শুনলাম সেলিম সামাদ লণ্ডনে আসছেন প্রেস মিনিষ্টার হয়ে, ইদানিং শুনছি নাদিম কাদের আসছেন লণ্ডনের প্রেস উইংএর দায়িত্ব নিতে। অবশ্যই নাদিম কাদেরের মতো একজন পেশাদার সাংবাদিক যুক্তরাজ্যে হাই কমিশনের প্রেস উইংএর পদটিকে অলঙ্কৃতি করবেন বটে, সেই সাথে মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ সমন্বয়হীনতা কিছুটা হলেও ঘুঁচবে। হাই কমিশনার বিচক্ষণ মানুষ ইশারায় বুঝে গেলেন আমি কি বলতে চাইছি, তিনি বললেন কোন দূরত্ব নয়, খুব শিগগিরই এই দূরত্ব কমবে।
ফিরে আসছি লণ্ডনের হাই কমিশন প্রসঙ্গে। যেহেতু নাদিম কাদের ভাই এখনো লণ্ডনে কাজ শুরু করেনি তাই খণ্ডকালিন ভারপ্রাপ্ত প্রেস কর্মকর্তার কাজটি করে যাচ্ছেন হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারী কবির ভাই ও ওয়াহিদুর রহমান। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরেই তার সাথে খোশ-গল্প হয়। ঢাকায় আমার সহকর্মীদের অনেকের সাথেই কবির ভাইয়ের ভালো সম্পর্ক। যাকিছু রাগ ঝাল কবির ভাইয়ের সাথেই মিটাই। ডিসেম্বরে চ্যানেল এসে'র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি এসেছিলেন এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেক অভিযোগ করেছি টেলিফোনে, কিন্তু সব আজ লিখবো না, কেননা হাই কমিশনার আব্দুল হানানের কাজের মূল্যায়ন করার সময় এখনো হয়নি।
তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি লণ্ডনে নিশ্চয়ই তিনি তার পূর্বসূরিদের ভুলগুলো মাথায় রেখেই সামনের দিনগুলোতে পথ চলবেন। ঢাকায় যেসকল সংবাদকর্মী পররাষ্ট্র বিটে কাজ করেন তাদের কাছে বিদায়ী হাই কমিশনারের মিজারেবল কণ্ডিশন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি, সেই অবস্থার প্রমাণ লণ্ডনে নিজের চোখে দেখেছি, তাই আশা করছি নতুন হাই কমিশনার লণ্ডনের হাই কমিশনকে মিজারেবল কণ্ডিশন থেকে উদ্ধার করবেন।
এই লেখাটি যখন আমি লিখছি তার কিছুক্ষণ আগে চ্যানেল এসের প্রধান নির্বাহী তাজ চৌধুরী আমার রুমের পাশ দিয়ে যাবার সময় বলে গেলেন, আমার জন্য হাই কমিশন থেকে স্পেশাল গিফট এসেছে, নিউজ রুমে সেটি রাখা আছে। আমি একটু অবাক হলাম, হাই কমিশনের গিফট? এতো দিন হাই কমিশন থেকে পেতাম রাষ্ট্রীয় বিশেষ দিনে অনুষ্ঠানের দাওয়াত পত্র কিংবা বাংলা নববর্ষ কিংবা ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ড। গিফটের বিষয়টা একটু নতুন মনে হলো। গোল্ডেন প্যাকেটে মোড়া সুইস লাক্সারী সিলেকশন্স চকলেটের প্যাকেটটি হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখলাম। একপাশে আমার নাম অন্যপাশে হাই কমিশনারের নাম। চকলেটের প্যাকেট দেখতে বেশ লোভনীয়। লোভনীয় এই চকলেট দিয়ে হয়তো যেকোন তরুণীর মন ভুলিয়ে দেয়া সম্ভব! ধারণা করছি, আমি ছাড়াও লণ্ডনের আমার অনেক সিনিয়র গণমাধ্যম সহকর্মীরা নিশ্চয়ই চকলেটের প্যাকেট উপহার পেয়েছেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করতে চাই এই লোভনীয় চকলেটের আড়ালে কোন ডিপ্লোম্যাসি নেই !
এই লেখাটি ভেবেছিলাম নতুন বছরের শুরুতে দিবো,কিন্তু বছরের শুরুতে ইউকে বিসিসিআই এর এক অনুষ্ঠানে হাই কমিশনার মহোদয় আমাকে অনুরোধ করেছিলেন টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় এধরণের কিছু না লিখতে, তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে খুব দ্রুতই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন। তারপর প্রায় দীর্ঘ সময় কেটে গেলো হাই কমিশানার সাহেবের দপ্তরে থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে চেয়ে ইমেইল বার্তার কোন উত্তর নেই! কিন্তু গত সপ্তাহে বাংলাদেশ হাই কমিশনে সরাসরি ভিজিট করে সাধারণ মানুষের হয়রানী আর দূর্গতি দেখে আর কলম থামাতে পারলাম না। ৩০ মিনিট সময়ে সাধারণ পাবলিক আমাকে প্রায় মৌচাকের মতো ঘিরে ধরেছিলো তাদের অভিযোগ শোনার জন্য । বেশ কিছু অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছি, আশা করছি ধারাবাহিক ভাবে পাঠকদের কাছে সময় মতো তুলে ধরতে পারবো।
লেখক : তানভীর আহমেদ।
মন্তব্য
হাইকমিশনগুলো অদ্ভুদ।
বিজ্ঞ ও মেধাবী এইটা কী দেখে বুঝলেন? উনার সাথে আমার একটা সেমিনারে মোলাকাত হয়েছিলো। সেখানে উনি আধাঘন্টা ধরে কিছু অফটপিক অসংলগ্ন কথা বলেছিলেন। মেধাবী ও বিজ্ঞরা সাধারণত যেটা বলে সেটা সম্পর্কে ধারণা রাখে।
- ব্রজিলে - > ব্রাজিল
- কর্পোরেট ইমেইল শব্দটা থেকে অফিসিয়াল ইমেইল শব্দটা ভালো। দূতাবাস কোন কর্পোরেশন নয়।
- মিজারেবল শব্দটার বদলে বাংলা কোন শব্দ ব্যবহার করা যেত।
অভিযোগগুলো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। তবে খুব বেশি চমক আশা করছি না। দূতাবাসগুলো হয়রানি করার ক্ষেত্রে মোটামুটি সব জায়গাতেই কনসিস্টেন্ট।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মিজারুল কায়েসের মেধা নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই, তিনি মেধাবী ছিলেন এটা আমার অভিজ্ঞতা তবে আপনার অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু হাই কমিশনার হিসেবে গণমাধ্যম ও কমিউনিটির মানুষকে তিনি কতটা সেবা দিতে পেরেছেন সেই অবস্থান থেকে তার কাজের মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি।
কর্পোরেট এর স্থলে অফিসিয়ালই যথার্ত শব্দ আপনি ঠিক বলেছেন, মিজারুল কায়েসের সাথে মিল রেখেই আসলে 'মিজারেবল' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মিজারুল কায়েস মানুষ হিসেবে আন্তরিক এবং মিশুক। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কাজ কীভাবে কেমন করেন জানা ছিল না!
অনেকদিন পর লিখলেন। ভালো লাগলো পড়ে।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
তা ঠিক, অনেক দিন পর লিখলাম। মিজারুল কায়েস আন্তরিক এবং মিশুক এই পয়েন্টে আমিও একমত, কিন্তু আলোচনায় ব্যক্তি মিজারুল কায়েস নন, হাই কমিশনার মিজারুল কায়েসের কথা বলেছি। ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
যে টিউবলাইট কখনো জ্বলে না, তার কত পাওয়ার বা ওয়াট সেই হিসাবের কি ফায়দা?
আমার যে দুয়েকজন রাষ্ট্রদূতের সাথে পরিচয় আছে, তাঁদে দেখে মনে হয়েছে একেকজন যেন মনে মনে বৃটিশ ভারতে পাঠানো রাণীর কলোনিয়াল ভাইসরয়! এরা যেন বাতাসের উপর দিয়ে চলেন, দুনিয়ার সবকিছু জানেন - ভাবের ঠেলায় মাটিতে পা পড়েনা। দিবস, অনুষ্ঠান, প্রধান অতিথিত্ব, দাওয়াত, পার্টি, বোত…. ইত্যাদি ইত্যাদি মহা-মহা আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বুস্টোফার জোন্সের মতই সারাদিন তাদের মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে ঘটাতে তাঁরা এতই ক্লান্ত হয়ে পড়েন, যে স্বদেশের সাধারণ প্রবাসী কালা নেটিভদের সেবা বা বিদেশ বিভুঁইয়ে দেশের স্বার্থ ডিফেণ্ড বা প্রমোট করার মত তুচ্ছ ফালতু কাজের জন্য তাদের হাতে আর কোন সময়ই থাকে না শেষ পর্যন্ত।
****************************************
ষাঁড়ের চোখ (বুলস আই) মন্তব্য!
আপনার মন্তব্যের সাথে সহমত। ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
চকলেটের প্যাকেট দেখতে বেশ লোভনীয়। যেকোন তরুণীকে হয়তো এই চমৎকার চকলেট দিয়ে পটিয়ে ফেলা সম্ভব।
লেখাটি চমৎকার। পরের কিস্তি পড়ার অপেক্ষায় থাকব। তবে আপনার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই, উপরের অংশটি আমার ভাল লাগেনি। অংশটি পড়ে তরুণীদের সম্পর্কে আপনার মনোভাব বিষয়য়ে ভুল বার্তা পাবার সুযোগ আছে।
- পামাআলে
- পামাআলে, পটিয়ে ফেলার বদলে মন ভুলিয়ে দেয়া লিখে দিয়েছি। তবে চকলেটে সবার মনে ভুলিয়ে দেয়া সম্ভব কিনা সেই প্রশ্ন করলে উত্তর না পবার সম্ভবনা বেশী, কারণ সেটি ভিন্ন আলোচনা।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
বহুিদন পরে এখানে মন্তব্য করতে এলাম। এনাকে নিয়ে টাকা মেরে দেয়ার একটা ঘটনা আছে না? সেটার কোন সুরাহা হয়েছে কি? অবশ্য কত টাকাই বা তসরুফ করেছেন তিনি; এর চেয়ে বহুগুন মেরে দিয়ে অনেকেই বহাল তবিয়তে আঁচলের বাতাস খাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও খাবে বলে অনুমান করি।
যাহোক, এলাম, বলতে গেলে আপনার সাহসের প্রশংসা করতে।
আসলে এধরণের অভিযোগের বিচার কোন কালেই হয়নি, শুধু দপ্তর বদল করার খবর পর্যন্ত আমরা জানতে পারি। মিজারুল কায়েসের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগ রয়েছে বটে কিন্তু সেটি আইনী পক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা যাবে না। সাহস আর দেখাতে পারলাম কৈ? পাবলিকের ইস্যু জানতে চেয়ে চেয়ে হয়রান হয়ে গেছি....এর মধ্যে আমলারা দপ্তর পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে গেছেন। এসেছেন নতুন অতিথি....আমরা আমাদের সেই পুরাতন কাজ করে যাচ্ছি....এই চক্করের শেষ নেই!
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
সাহসী লেখা। চলুক।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
সাহসী এবং গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আশা করি যাদের চোখে পড়লে কিছু হলেও কাজ হবে, তাদের চোখে পড়বে।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। গোপন সুত্রে খবর পেলাম ...পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে ইতিমধ্যে রুদ্ধ দ্বার বৈঠক হয়েছে একটা।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
আপনারা হাই-প্রোফাইলের লোকজন তাই 'হাই' কমিশনারদের আশেপাশে থাকেন
আমরা 'ডেপুটি' কমিশনারদের নিয়েই অস্থির
স্যুট টাই পড়া প্রোফাইল ছবি দেইখা আমারে হাই প্রোফাইল বানায়া দিলেন দাদা? অস্থির হৈয়েন না, সেক্সপিয়ার গবেষক হয়ে মিজারুল কায়েস যদি হাই কমিশনার হৈতে পারেন তাহলে মহাভারত চর্চা করে আপনিও হাই প্রোফাইল।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
নতুন মন্তব্য করুন