ঊৎসর্গঃ কার্ল মার্ক্স এবং আর্তূরো এস্কোবার
আচ্ছা, বিশ্বায়ন বা উন্নয়ন জিনিষটা আসলে ঠিক কি করে বলুন তো? ও হ্যা, মনে পড়েছে । বিশ্বায়ন বা globalization হলো বিশ্বের তাবৎ আনাচ কানাচ, কোণাকাঞ্ছির মধ্যেও তথাকথিত অর্থনৈ্তিক যোগসূত্রতা স্থাপন করা, আর উন্নয়ন যে কি করে সে তো আজকাল করিমন থেকে কার্লা, হোসেন থেকে হোযে লুইস, ফরিদ থেকে ফারনান্দো - অর্থাৎ কিনা আবালবৃদ্ধবনিতা মানে বুড়ো ধূড়ো খোকা বোকা সব্বাই জানে। জানবেই, জানতেই হবে। আকাশ ভরা সূর্য্য তারার নীচে বাস করবে আর ট্রপোস্ফীয়ার এর নীচেই ঝুলে থাকা সর্বত্রবিরাজমান উন্নয়ন নামক ঈশ্বরকে চিনবে না! ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা বাংলাদেশে বসে বসে আরাম করবে আর কি কারণে ইরাকে যুদ্ধের খরচা মেটাতে সারা বিশ্বে আস্তে আস্তে মন্দা কি দূর্ভিক্ষ নেমে আসে তা বুঝে নিয়ে লক্ষ্মী ছেলেমেয়ের মতো পেটে পাথর বাঁধবে না - তা তো হয় না! হয়? আপনারাই বলুন? পৃথিবীতে কৃতজ্ঞতা বলে একটা জিনিষ আছে না? এটুকু পড়েই যেন আবার আশান্বিত হয়ে উঠবেন না - আজকের গল্পটা ঠিক বাংলাদেশকে নিয়ে কিন্তু নয়। তবে কিনা, আবার নয়ও কি? যতই হোক বিশ্বায়নের যুগেই তো বাস করছি......... যাক গে যাক, এসব ভ্যানতাড়া বাদ দিয়ে মূল কাহিনীতে আসা যাক।
আফ্রিকার লেক ভিক্টোরিয়া হলো পৃথিবীর বৃহত্তম ট্রপিক্যাল আর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিষ্টি পানির হ্রদ। উগান্ডা, কেনিয়া আর তানযানিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এই হ্রদটির বৈশিষ্ট্য কিন্তু এর আকারে নয়, এর চমৎকার বৈচিত্র্যময় জৈববৈশিষ্টের (biodiversity) কারণে এটাকে রীতিমত biological hotspot বলে গণ্য করা হয়। এবং এই হটস্পট থেকেই শুরু “ডারউইনের দূঃস্বপ্ন” এর। পরিচালক হুবার্ট সপার এর Darwin’s Nightmare ২০০৪ সালে মুক্তি পেলেও প্রামাণ্যচিত্রটি বানাবার ইচ্ছে তার হয় ১৯৯৭ সালে। সপার তখন রোয়ান্ডার রিফিউজিদের নিয়ে আরেকটি প্রামাণ্যচিত্রের কাজে তথ্য সংগ্রহ করতে মধ্য আফ্রিকায় গেছেন। রোয়ান্ডার অতি দীর্ঘ এবং অনর্থক রক্তক্ষয়ী যে গণহত্যাটি পৃথিবীর ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে তার কারণে লক্ষ লক্ষ টুটসী এবং হুটু উপজাতীয় তানযানিয়ায় উদ্বাস্ত হিসেবে আশ্রয় নেয়। চরমপন্থী হুটু রক্ষীবাহিনীর নির্বিচার এবং নৃশংস গণহত্যারফলে শুধুমাত্র ১০০ দিনের মধ্যে আট থেকে দশ লাখ মানুষ প্রাণ হারায় আর স্থানচ্যুত হয় আরও অসংখ্য। একইসাথে তখন চলছে কঙ্গোর বিদ্রোহ, টুটসীরা মরছে কঙ্গোর ক্ষমতাসীন দলের হাতেও। সপার এই উদ্বাস্তদের সাথে কথা বলতে তানযানিয়ায় যান এবং সেখানে একটি অদ্ভূত দৃশ্য তার মনোযোগ আকর্ষণ করে হটাৎই। ঐ সবুজ আর অশান্ত, গাছ দিয়ে ঘেরা আর মানুষের ইতস্তত ছড়ানো লাশ দিয়ে ভরা অঞ্চলে লেক ভিক্টোরিয়ার পাশে সোভিয়েতের বানানো দুটো বিশাল আকারের মালবাহী বিমান অপেক্ষা করছে - একটি এসেছে আর একটি যাচ্ছে। দুটোই খাবারে ভর্তি। একটিতে রয়েছে জাতিসঙ্ঘ পরিচালিত রিফিউযী ক্যাম্পগুলোর জন্য আমেরিকার পাঠানো টন কে টন হলুদ মটর, আর অন্যটিতে বোঝাই করা হয়েছে তার চাইতেও বেশী পরিমাণে টাটকা মাছ যার গন্তব্য ইয়োরোপীয়ান ইউনিয়ন। মাছটির নাম নাইল পার্চ।
কে না জানে যে ভালবাসা জিনিষটি অণির্বাণ, অদম্য এবং অপ্রতিরোধ্য? লেক ভিক্টোরিয়ার চমৎকার জৈববৈচিত্র্যের কারণে পশ্চিমা কর্তারা এটিকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলেন, এবং সিদ্ধান্ত নেন সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ইয়োরোপের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। অতএব ‘আধুনিক’ বিশ্বের যা মাধ্যম বললে মাধ্যম, হাতিয়ার বললে হাতিয়ার, সার্বজনীন ভাষা বললে তাইই - অর্থাৎ অর্থনৈতিক /ব্যাবসায়িক আদানপ্রদান - তার মাধ্যমেই অদম্য সেই ভালবাসার কাজটি সম্পাদন করতে এগিয়ে আসেন মহামান্যগণ। লেক ভিক্টোরিয়ায় ছাড়া হয় নাইল পার্চ নামের মৎস্য প্রজাতির আপাতনীরিহ এক প্রতিনিধি। এবং শুরু হয় দূঃস্বপ্নের দ্বিধাহীন প্রহর।
অবাক হচ্ছেন তো? বলছি। বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়া, ওই জৈব পরিবেশে প্রকৃতির স্বাভাবিক বিবর্তনের বিরুদ্ধাচারণ করে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে আরোপ করা নাইল পার্চ এই বিশাল হ্রদটির শতাধিকেরও বেশী স্থানীয় মাছের প্রজাতি বিলুপ্ত করে ফেলে, এবং করে খুব তাড়াতাড়িই। তবে হ্যা, নাইল পার্চ অকৃতজ্ঞ নয়। একইসাথে তার যা কাজ তাও সে করেছে অর্থাৎ ভয়ংকর হারে বংশবৃদ্ধি করে উদ্যোক্তাদের লাভের হিসেব অমলিন রেখেছে। নাইল পার্চ আবার ইয়োরোপীয় বাজারে চলে ভালো কিনা। তবে এতে করে যে লক্ষ লক্ষ আফ্রিকাবাসীরা যারা তাদের জীবনধারনের জন্য ওইসব বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া মাছের ওপর নির্ভর করতো - আহরিক এবং ব্যাবসায়িক দু’কারণেই - তারা যে অনাহার নামক একটু, সামান্য একটু অসুবিধেয় পড়েছে সেটা কে collateral damage হিসেবে ধরে নিলেই কিন্তু আর কোন ঝামেলা থাকে না, এতো প্রামাণ্য চিত্র ফিত্র বানানোরও কোন ব্যাপার আসে না।
তবে দুঃখের কথা কি আর বলবো - দূঃস্বপ্নটি আবার বহুমাত্রিক। সমস্ত মাছ ইয়োরোপে রপ্তানী হয়ে যাওয়ায়, আবার পূর্বে-প্রাপ্ত মৎস্য সকল ভূতপূর্ব হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন যে শুধু ফেলে দেয়া পচা গলা মাছ খেয়ে রোগে শোকে মরছে তাই তো নয়, গল্প আরো আছে। ‘সর্বঘটে কাঁঠালী কলা’ মানে হলো গিয়ে খামোখা সবকিছুতে নাক গলানো সপার ওই দুই উড়োজাহাজের চালকদের সাথে বন্ধুত্ব পাতিয়ে বসেন - উদ্দেশ্য কিছু পেটের কথা বের করা আর কি। তাতেই জানতে পান যে, যে উড়ানটি এসেছে উদ্বাস্তদের মধ্যে রসদ বিতরণ নামক মানবহিতকর কাজটি করতে সেই একই উড়োজাহাজ বয়ে নিয়ে এসেছে অসংখ্য অস্ত্র শস্ত্র। যে উদ্বাস্তদের জন্য কষ্ট করে জ্বালানী পুড়িয়ে খাবার আনা হয়েছে তাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য, তারাই যেন আবার কাল সকালেই গোলাবারুদের সামনে বাঁচিয়ে রাখা পৈতৃক প্রাণটি নির্বিঘ্নে খোয়াতে পারে সেই কারণে কঙ্গো এবং রোয়ান্ডার হাতে জোগান দেয়া হচ্ছে ওই সব অস্ত্র! আহা ব্যাবসা হলো গিয়ে ব্যাবসা, এতে সবকিছু নিয়ে এতো মাথা ঘামালে কি চলে?
পূর্ব কঙ্গোর শুধু একদিনের যুদ্ধে প্রাণ হারায় ১১ই সেপ্টেম্বরে মোট যতজন প্রাণ হারিয়েছে ততজন করে।এই অশ্লীল বাস্তবতাকে আক্ষরিক অর্থেই বড় মাপের একটি প্র্যাকটিকাল জোক বললে কি ভুল বলা হবে?
তানযানিয়ার সরকার এই প্রামাণ্যচিত্রটির ঘোরতর নিন্দা করেছেন। তাদের মতে আফ্রিকাবাসীরা মোটেই এভাবে ভাবেন না! বিভিন্ন জায়গায় এর প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয়া হয়েছ এমন পক্ষপাতদুষ্ট, ভাবমূর্তি বিনষ্টকারী ছবি দেখে জনগণের কোমলমতি মনে যাতে আঘাত লাগতে না পারে। সরকার এমনকি ‘আসল সত্য’ উদঘাটনের জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছেন। কমিটি নিজে বা যাদের নিয়ে কমিটির কাজ তারা যদি তদ্দিন বেঁচেবর্তে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই একদিন ‘আসল সত্যটি’ জানা যাবে - চলুন ততদিন নাহয় আরেকটু ধৈর্য্য ধরি।
উন্নয়ন নামক যজ্ঞশালাটিতে অংশ নেয়ার জন্য তৃতীয়বিশ্বের বহু দেশ রপ্তানী নির্ভর শিল্পায়ননীতি অধিগ্রহন করেছে - কখনও স্বেচ্ছায় কখনও বিশ্ব ব্যাংক আর আই এম এফ এর অনুদান পাওয়ার শর্ত হিসেবে। তার ফলে কর্মসংস্থান এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন যেমন হয়েছে তেমনি স্থানীয় প্রথাগত শিল্প এবং অর্থনৈতিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক অনেক বেশী। আয় বৈষম্য আর সামাজিক মেরুকরণের কথা নাহয় আর নাই বললাম - সেতো একেবারে চাক্ষুষ। আবার উন্নয়নের alter ego বিশ্বায়নের ফলে যে মাকড়সার জালের মত আঠালো জিনিষটিতে আমরা সবাই আটকানো তাতে করে আমার পাড়ায় আরেকটি starbucks খুললে হয়ত সিলেটের চা বাগানে মজুরদের মাসকাবারী চালের থলিটি আরেকটু হাল্কা হয়ে যায়।
তাই বলছিলাম - গল্পটি ঠিক বাংলাদেশের নয়, আবার নয়ও কি?
কার্ল মার্ক্স , আর তাঁর তাত্ত্বিক কাঠামো ব্যবহার করে গত দু’দশকে ‘উত্তর’ উন্নয়ন (postdevelopmentalism) নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন যাঁরা তাঁদের পুরোধা - আর্তূরো এস্কোবার, সেই দুজনের অনস্বীকার্য অবদান মনে করে মার্ক্সের জন্মদিনে এই লেখাটি।
মন্তব্য
লেক ভিক্টোরিয়াতেও পার্চ ছাড়া হয়েছিলো?
রিচার্ড ডকিন্স এর ম্যাগনাম ওপাস "দ্য অ্যানসেস্টরস' টেল" এ পড়েছিলাম লেক মালাউইতে শ্বেতাঙ্গদের অবিমৃষ্যকারিতার ফলে বহু সিক্লিড প্রজাতির বিলোপের ঘটনা। এখন দেখছি রিফট ভ্যালির সব সুপেয় পানির লেকেই এক কাহিনী।
আপনার কাছ থেকে আরো ঘন ঘন এমন লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
হাঁটুপানির জলদস্যু
তেলাপিয়াও ছাড়া হয়েছিলো, সেটা আবার স্থানীয় গুলোকে গিলেও ফেলেছিলো!
আপনার তো মনে হয় পরীক্ষা টরীক্ষা শেষ, ঈষ্টার দ্বীপের মত আরেকটা কিছু নামবে নাকি?
অনেক তথ্যবহুল, অনেক গতিশীল এবং অনেক ভাল লাগা একটা পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কাছ থেকে এরকম আরো লেখা পাবার প্রত্যাশা করছি।
ধন্যবাদ
অনেক ভাল একটি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এটি আরেকভাবে বাংলাদেশেরই গল্প। যারা এখানে উন্নয়নের নব্যুয়ত পেয়েছেন তারাই এখানে দরিদ্রের বড় শত্রু। উন্নয়নের গত এক দশকে জাতীয় সম্পদ (গ্যাস-কয়লা) এবং প্রাকৃতিক সম্পদ যে হারে লুণ্ঠিত ও বিনষ্ট হয়েছে তার আগের তিন যুগেও তা হয়নি।
সম্প্রতি লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বন তছনছ করে সিসমিক জরিপ শুরু করেছে শেভরন। এই বনটাও আর থাকবে না। নদীগুলো মৃতপ্রায়। প্রকৃতি বিপর্যস্ত, জনগণ দুর্ভিক্ষের মুখে।
এ অবস্থা তৈরিতে সানন্দে হাত লাগিয়েছেন যারা সেই লোকেরাই বাংলাদেশের শরিফ আদমি (সিভিল সোসাইটি)। আগে ছিল শাদা চামড়ার উপনিবেশ এখন হয়েছে বাদামিদের খয়ের খাঁ গিরির বর্ণিল উপনিবেশ। সকল নিভৃতি সকল সামাজিককে চুষে ছেবড়া করার এ বিশ্বায়নে আমাদের কাজ কী?
মনে হয় তবু স্বপ্ন থেকে জেগে
মানুষের মুখচ্ছবি দেখি বাতি জ্বেলে
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
আপনার লাঊয়াছড়া পোষ্টের ছবি দেখার আগে জানতামই না যে কি সুন্দর একটা জায়গা 'ছিল' - এবং অচিরেই আর থাকবে না !
সিভিল সোসাইটি ব্যাপারটির উদ্ভব হয় কিনা রাষ্ট্র আর সমাজের মধ্যে সাযুজ্য সম্পাদন করতে - আর বাংলাদেশে এখন সেটা কিসে এসে দাঁড়িয়েছে !!
তথ্যসমৃদ্ধ, সুলিখিত অথচ আবেগপ্রলেপিত একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ লেখার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ
আপনার 'অন্যশরীর' হাতে পেয়েছি, পড়া শেষ হলে জানাবো কেমন লাগলো.........
জবাব নেই।
আরো আসুক।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ,ধন্যবাদ,ধন্যবাদ @ স্নিগ্ধা আপুকে দুর্দান্ত লেখাটির জন্য ।
হা , ফারুক এটি আরেকভাবে বাংলাদেশেরই গল্প।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ধন্যবাদ - এটা আসলে যে কোন দেশেরই গল্প হতে পারে, বিশেষত যে কোন তৃতীয় বিশ্বের দেশের।
একমত @ স্নিগ্ধা আপু
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
এতো দেরিতে পড়লাম কেন? তার চেয়েও বড়ো প্রশ্ন, এতো কম লেখেন কেন?
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ
যাকে বলে একেবারে "খেটে খাওয়া লেখা"!!!
আপনি এত চমৎকার লেখেন অথচ এত কম লেখেন কেন?
কি মাঝি? ডরাইলা?
দ্রোহী - ধন্যবাদ, কিন্তু আপনার 'শিব্রামীয়' লেখা আর পাই না কেন ?
এটা আমারও প্রশ্ন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মাৎসান্যয় বলে একটা ব্যাপার আছে, বড় মাছ মাত্রই ছোট মাছ খাবে। আপনার উদাহরণ আর বিষয়বস্তুর মাঝে চমৎকার মিল পেলাম মাৎসান্যয়ের সাথে। সুন্দর একটি লেখা হয়েছে।
উন্নয়নের জোয়ারে আমরাও এখন ভেসে যাচ্ছি। ভেসে যাচ্ছে সুন্দরবন, ভেসে যাচ্ছে পাহাড়ি আদিবাসী কিংবা সমতলের সনাতন ধর্মের মানুষজন।
অসাধারণ একটি লেখা। এমন লেখকরা অচল হয়ে গেলে পাঠকদের ক্ষতি, আবার সচল হয়ে উঠুন নীড়পাতায়, শুভকামনা।
-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।
নতুন মন্তব্য করুন