‘ঠাস্স্স্’ চম্কে সোজা হয়ে বসেন গোয়েন্দা বাঁকানাকা। বেজার মুখে চোখ রগড়াতে রগড়াতে তাকিয়ে দেখেন ভেজানো দরজাটা এক ধাক্কায় খুলে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে -
কে আবার, সেই সত্যান্বেষী ব্যোমকেশী গোয়েন্দা ঝিকিমিকি!
“আহা, আপনার ভাতঘুমটা ভাঙ্গিয়ে দিলাম বুঝি?” মিহি সুরে শুধোয় ঝিকিমিকি, “খুউউউব দুঃখিত!” যদিও দুঃখের ছিটেফোটাও তার অনির্বচনীয় মুখমন্ডলে খুঁজে পাওয়া যায় না।
“না, না, ঠিকাছে...... বসুন” ঘুমভাঙ্গা ফ্যাসফ্যাসে গলাকে যথাসম্ভব ব্যাক্তিত্বমন্ডিত করে তোলার চেষ্টা করতে করতে মোটা গলায় বলেন বাঁকানাকা। “তা, তারপর, হটাৎ কি মনে করে? এদিকে শপিং টপিঙ্গে এসেছিলেন নাকি?”
প্রশ্ন শুনে ফুরফুরিয়ে হেসে ওঠে ঝিকিমিকি। “শপিং! এই ধাবধাড়া গোবিন্দপুরে শপিং ?” বামাকন্ঠের হাসিও যে এতো বিশ্রী লাগতে পারে ঝিকিমিকিকে দেখার আগে বাঁকানাকা কোনদিন ভাবতেও পারেন নি। আসলে সত্যি বলতে কি অনেক কিছুই বাঁকানাকা ভাবতে পারেন নি। মেয়েদের সম্বন্ধে তাঁর যে সব ধারনা ছিল তার যে সাড়ে বারো আনাই ভুল তা তিনি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে শুরু করেন ঐ ঝিকিমিকি’র সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই। নারী নাকি কমণীয়, মায়াবতী, ক্ষমাশীল, ধৈর্য্যশীল,...... ব্লাহ ব্লাহ ব্লাহ? হুহ্!!! এসব ফালতু কথা বলে বলে যারা তাদের বস্তাপচা উপন্যাসের কাটতি বাড়িয়েছে বাঁকানাকার ইচ্ছে করে তাদের সবকটাকে কানটি ধরে এনে ঝিকিমিকি’র সামনে ছেড়ে দ্যান। ব্যাস্, তাইলেই আর বাছাধনদের দেখতে হবে না। এই অপরূপ কিন্তু বিশ্বফাজিল, তীক্ষ্ণধী তবে খ্যাকখ্যাকে, স্পষ্টবাদী এবং ক্যারাটীতে ব্ল্যাক বেল্ট রমণীরত্নটির সাথে একটি ঘন্টা কাটালেই রোম্যান্টিক দুলালেরা সব খাবি খেতে খেতে ‘মাসীমা’ বলে পায়ে লুটিয়ে পড়ে অমন ভুল ধারনা প্রসূত ছাইপাঁশ লেখার জন্য নাকে খৎ দেবে। চাই কি এমনকি চিরতরে সন্ন্যাসব্রতও নিয়ে নিতে পারে, কিছুই বলা যায় না!
“আমি এসেছি একটা কেইসের ব্যাপারে। আপনার এলাকাতেই হয়েছে ঘটনাটা, শুনেছেন নিশ্চয়ই ‘অপারেশন শব্দকল্পদ্রুম’ ?” হাঁ করে তাকিয়ে থাকেন বাঁকানাকা। ঘুমভাঙ্গা মগজে ঝিকিমিকিই ধরে না তায় আবার ও’রম একখানা খটমটো নাম? “আরে ওই যে? ওই যে সেই বিদেশ ফেরৎ চুলে ঘিজিঘিজি বেণী করা সেই ড়্যাপ মেকার ‘ফুঃ বাবা’ ? যার এলবাম ‘জঘন্য’ বেরিয়েছে ক’দিন আগে। শোনেন নি? নাহ, আপনারা যে কবে একটু আপ টু ডেইট হবেন।” হতাশ হয়ে পড়ে ঝিকিমিকি।
গলায় যথাসম্ভব পদোচিত এবং পুরুষোচিত গাম্ভীর্য্য এনে গোয়েন্দাপ্রবর বলেন - “আজকালকার এসব বখে যাওয়া গান আমি শুনি না মিz ঝিকিমিকি। আমি সঙ্গীত বলতে এখনও নিধুবাবুই বুঝি। তা ব্যাপারটা ঠিক কি হয়েছে একটু বলুন তো?”
“শুনুন তবে বলি। হয়েছে কি ফুঃ বাবা হলো গিয়ে আমেরিকার প্রয়াত ড়্যাপ সিঙ্গার ‘হাফ ড্যাডি’র ভাবশিষ্য। তা কিছুদিন যাবৎ তার ব্যবসা বিশেষ ভাল যাচ্ছিল না। তাই ইন্টারনেট থেকে হাফ ড্যাডির একটি ছবি প্রিন্ট করে ফুঃ বাবা তিন দিন তিন রাত কায়মনোবাক্যে তার সামনে ধ্যান করেন। পাঁচ দিন পরে অবশেষে স্বপ্নে নাকি কি একটা সুর পান। কাল সকালে সেই সুরে সুরে নেচে নেচে তিনি তার নতুন এলবাম ‘আরো জঘন্য’ এর জন্য গান বানাচ্ছিলেন - আপন মনে , চোখটি বুঁজে, আকূল হয়ে - এমন সময় হটাৎ চোখ খুলে দেখেন সুরটি গায়েব! এমনভাবে কল্পকেও হার মানানো প্রক্রিয়ায় শব্দকে দুড়ুম করে চুরি হতে কেউ কখনও দেখে নি। এবং এ পর্য্যন্ত আঁতিপাতি করে খুঁজেও তার হদিসও পাওয়া যায় নি। ফুঃ বাবা শোকে দুঃখে এতোই মুষড়ে পড়েছেন যে তাকে ফু দিতে বাবা সাঈদীকে আনা হচ্ছে। আর উপরের তরফ থেকে দেশের সবচাইতে তুখোড় গোয়েন্দা, মানে আমাকে আর কি, ভার দেয়া হয়েছে’অপারেশন শব্দকল্পদ্রুম’ এর।” এ পর্যন্ত বলে দম নিতে থামে ঝিকিমিকি আর তাকিয়ে দেখে বাঁকানাকার মুখটি হাঁ।
“তা, ত্তো, মান্নে, এএএখন ঠিক কি করতে হবে? মানে ক্কি ভাবে আআগাবো আমরা?” হেঁচকি তুলে, তুতলে কোনমতে জানতে চান বাঁকানাকা। এবার ঝিকিমিকি গম্ভীর হয়। বলে “আমি আজ সকালেই ফূঃ বাবার বাড়িটা তথা অকুস্থল সরেজমিনে তদন্ত করে এসেছি। আবর্জনা থেকে আমার designer dressটা বাঁচিয়ে বাড়ির চারপাশটা চক্কর দিতে দিতে আমি বুঝতে পারলাম কিভাবে এই অভূতপূর্ব রহস্যের কিনারা সম্ভব - গন্ধ শুঁকে।”
চম্কে, ভড়কে, আঁতকে উঠে বাঁকানাকা এবার সত্যিই পুরোটা জেগে ওঠেন। “ ক্ষি, ক্ষি, বলছেন আপনি ঝিকিমিকি? শব্দের গন্ধ শুঁকে তাকে খুঁজে বের করা?! এ সব কি সুকুমারীয় হেয়ালী আপনি শুরু করলেন মহোদয়া? আপনার মনে কি কোনই মায়াদয়া নেই? জানেন না একে প্রকৃতির অভিশাপে আমি পুরুষ তায় আবার আমি পুলিশ, তার ওপর কিনা গোলালুভর্তা আর গোলালুভাজি খেতে খেতে আমার আজকাল সবই কেমন গোল পাকিয়ে যায়? প্লীইইইজ , এমন করে অপমান না করে একটু খোলাসা করে বলুন না মাসীমা?”
করুণাঘন দৃষ্টিতে একবার অপাঙ্গে তাকায় ঝিকিমিকি। সত্যিই তো, কেন যে মনে থাকে না প্রকৃতির এই পরিহাসগুলো!
“শুনুন বাঁকানাকা, জানেনই তো মেয়েরা কেমন সূক্ষ্ম অনুভূতি সম্পন্ন হয়? তা আমার ক্ষুরধার বুদ্ধির সাথে সেটা যোগ করে আমি বুঝতে পারি যে,
১) ফুঃ বাবার শত্রুরা এই চুরি করেনি কারণ তারা এতো বোকা নয় যে ফুঃ বাবার মতো তারাও নিজেদের ব্যবসা র বারোটা বাজাবে।
২) ফুঃ বাবার বন্ধুরা এই চুরি করে নি কারণ তারা এতো বোকা নয় যে ফুঃ বাবাকে শোক সাগরে ভাসিয়ে প্রতি সন্ধ্যার পান তামাকুর আসরটি ভঙ্গ করবে।
৩) ফুঃ বাবার ভক্ত বা বেজায় বিরক্ত কেউই এই চুরি করেনি কারণ তারা এত ‘সচল’ নয় যে এই দূর্গম গিরি কান্তার মরু পার হয়ে ঐ ঘিঞ্জি বাসাটা খুঁজে বার করতে পারবে।
অতএব এটা এমন এক বা একাধিক দূষ্কৃতিকারীরা করেছে যারা একটি বিশেষ দলে পড়ে। তারা অকুতোভয় এবং অজ্ঞাতময়। তারা খুব সম্ভবত একটি সংঘবদ্ধ দলের সদস্য। তাদের সহজে দেখা যায় না কিন্তু তাদের অস্তিত্বের কথা বিলক্ষণ টের পাওয়া যায়।
আর তাছাড়া আমার তীক্ষ্ণ অনুভূতি দিয়ে আমি আরও আবিষ্কার করি যে একটা গোবর+ তিন দিনের বাসি ডাল+হাইড্রোজেন সালফাইড মেশানো অঘ্রাণিতপূর্ব গন্ধ বাড়িটা থেকে একেবেঁকে দূরে চলে গ্যাছে। আমার ধারনা সেটাই আসলে খোয়া যাওয়া শব্দটির ট্রেইল। এখন সেটা অনুসরণ করে জায়গামতো পৌছতে পারলে আর অপরাধীদের ঘ্যাঁক করে পাকড়াও করা থামায় কে?” বলতে বলতেই ঝিকিমিকির চোখদূটো কেমন স্বপ্নালু হয়ে যায়। “চলুন, চলুন এবার শরীরটা একটু নাড়ুন, কাজ কর্ম করে বেতনের পয়সাটা একটু হালাল করুন” ঝাম্ড়ে ওঠে সত্যান্বেষী।
বিরস বদনে ভূড়ির ওপর থেকে পিছলে পড়া বেল্টটি কষে বাঁধতে বাঁধতে দৃপ্ত পদে আগুয়ান ঝিকিমিকির পেছন পেছন বেড়িয়ে পড়েন গোয়েন্দামশাই। মোটা শরীরে ঝিকিমিকির সাথে তাল রাখা একটু কঠিন হলেও গন্ধটার পশ্চাৎধাবন করতে থাকেন হাঁসফাস করা হতভাগ্য বাঁকানাকা।
আর কি আশ্চর্য্যের কথা, যেতে যেতে পথে পূর্ণিমা রাতে পচা গন্ধটা আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে! এবং ক্রমশঃ কেমন জানি একটা ‘মন কেমন করে কে জানে কিসের তরে’ ধরনের জিনিষে পরিণত হয়!
যেতে... যেতে... যেতে ..... শেষমেষ টিকাটুলি, গোবিন্দপুর, নিউইয়র্ক, প্যারিস, মার্স সব পেরিয়ে কাসেলাঙ্গাপুর নামের কেমন একটা জায়গায় এসে পৌছোয় তারা। পৌছেই বোঝে যে এই সেই জায়গা। আছে, এখানে ই অপহ্নত শব্দটি আছে ।
তবে তার গন্ধটি আমূল বদলে কেমন যেন বারবেরীর পারফিউমের মতো , হাসনাহেনার সুবাসের মতো, গরম হাজী’র বিরিয়ানীর মতো চিত্তহারী হয়ে গ্যাছে! আর জায়গাটা ও কেমন যেন রহস্যময়। চারিদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া মেঘ মেঘ একটা ব্যাপার, কিছু দেখা যায় না। খালি শোনা যায়। শোনা যায় এক অপূর্ব ধ্বনি- একেবারে cacophony !
দূর থেকে সরু, মোটা, হেঁড়ে, বেড়ে নানারকম গলায় এক অশ্রুতপূর্ব গান ভেসে আসছে। গীতবাতায়নের ইথার ভেদ করে ভেসে আসে সেই সুর ......
“তোমায় গাআআন শেখাবো, তাই তো তোমায় 'সাইজে' রাখি,
ওগো ফুঃ বাবারিয়া আ আ আ তোমায় গান শেখাবো ।
চমক দিয়ে তাইতো ডাকি, জোরে ধমক দিয়ে তাইতো ডাকি,
ওরে সুরতাড়ানিয়া তোমায় গাআআআন শেখাবো............”
এমন পরার্থপর, পরোপকারী, পরভুলানী কর্মকান্ড গীতবাতায়নের সদস্যরা ছাড়া আর কারো পক্ষে কি করা সম্ভব, আপনারাই বলুন ?!?!
মন্তব্য
বাহ্! প্যারোডি গোয়েন্দা-গল্প!
ঠাস্ ঠাস্ দ্রুম দ্রাম, শুনে লাগে খটকা -
গান বাজে? তাই বলো! আমি ভাবি পটকা!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
শাঁই শাঁই পন্পন্ , ভয়ে কান্ বন্ধ -
ওই বুঝি ছুটে যায় সে ফুলের গন্ধ ?
আমি কিন্তু সুকুমারের ছড়াটিতে শব্দবদল করেছি। আপনি হয়তো লক্ষ্য করেননি। আমি লিখেছি "গান বাজে", "ফুল ফোটে" নয়
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তাইই, লক্ষ্য করি নি - এখন বুঝলাম
শাঁই শাঁই পন্ পন্, ভয়ে কান বন্ধ -
সুর দেখি আসে তেড়ে? মনে জাগে ধন্ধ !
হুড়মুড় ধুপধাপ - ওকি শুনি ভাইরে!
দেখছো না - ড়্যাপ পড়ে! - তবে আমি যাই রে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
চুপ্ চুপ্ , ঐ শোন্ ! ঝুপ্ ঝাপ্ ঝ-পাস্ !
ফুঃ বাবা গায় গান! একি একি কোথা যাস্ ?!
খ্যাঁশ খ্যাঁশ ঘ্যাঁচ ঘ্যাঁচ - ড়্যাপ "মাতে" ওই রে!
দুড় দাড় চুরমার - কই আমি যাই রে!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ঘর্ঘর ভন্ ভন্ ঘোরে কত চিন্তা -
ড়্যাপ তালে নাচে সাধু ধেই ধেই ধিন্তা !!!
ফুঃ বাবার ঠুংঠাং কী যে লাগে বাজে রে!
ফট ফট বুক ফাটে তাই মাঝে মাঝে রে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি তুষ্ট আত্মপ্রেমেই। এর সুবিধে হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- সেরেছে বাবা অরিন্দম
পা পিছলে শালগমের দম!
ইয়া হাবিবি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
"লাফের চোটে হাঁফিয়ে ওঠে গায়েতে ঘাম ঝরে,
দুড়ুম ক'রে মাটির পরে লম্বা হয়ে পড়ে।"
হায় ভৈরবী
বাহ বাহ স্নিগ্ধা'পু
দারুন লাগল।
গোয়েন্দা ঝিকিমিকি'র কথা বার্তা শুনে খানিকটা পরিচিত ঠেকল। কোথায় যেন এই ধরনের ধমক-ঠাসা-ঠমক-বহুল কথা শুনেছি......হুমমমম......(হে হে হে হে )
ফুঃবাবা'র স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি। ঝাকানাকা কে ডায়েটিং এর পরামর্শ।
আর ঝিকিমিকির আরো 'কাকতৈলিক' এ্যাডভেঞ্চারের অপেক্ষায় রইলাম।
অনিকেত, ভ্রাতঃ, নাহয় মনের ভুলে মাঝে মাঝে বকা টকা দিয়েই ফেলি তাই বলে সেই লঘু পাপে এরকম গুরু দণ্ড দেবেন?! 'ঝাকানাকা' হলো হের হিমু রচিত বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র, আর 'বাঁকানাকা' হলো নাকবাঁকা, পেটমোটা, হাঁমুখ এক পুলিশের গোয়েন্দা - দুটো এক হলো ? এরপর তো মডুরা আমাকে 'চরিত্র চুরি'র দায়ে ধরবে, তখন?
গোয়েন্দা লেখকদের উপর আমার বরাবরই প্রচণ্ড মেজাজ খারপ হয়
আরে বেটা শেষ পর্যন্ত কী ঘটবে সেটা যখন তোরা জানিস তো অতো প্যাঁচাস কেন?
প্রথম পাতায় এক লাইনে বলে দিলেই হয় এই ব্যাটা এই করেছে
তা না
পাবলিককে খাটিয়ে
বুক ধড়ফড় করিয়ে শেষে কি না বলে- ওটা কিছু না। ওটা আসোলে একটা বিড়ালের লেজ...
০২
আপনারে কিন্তু কিছু বলি নাই আমি
আপনার লেখাতো অসাধারণ
শুধু শেষ পর্যন্ত গিয়ে গাঙের (গানের) জলে হাবুডুবু খায় এই আর কি
বাহ্ আপনি তো মানুষ বেশ ভালো? আপনার শুধু গোয়েন্দা লেখকদের উপর মেজাজ খারাপ হয় আর আমার তো গল্প, প্রবন্ধ, ছবি ব্লগ, কবিতা সব রকম লেখকদের উপরেই মেজাজ খারাপ হয় !!
আরে আমাকে বললেই বা কি, আমিও আমার লেখার মতই - অসাধারণ ধরনের নীরিহ
হার্টের ব্যায়াম
@ অতিথি লেখক -
কিন্তু আপনার শুভনাম ?
(ছিহ্ ছিহ্ 'নিরীহ' বানানটা কিনা ভুল লিখেছি )
দারুণ হইছে তো... সিরিজ দাবী করি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ
‘অপারেশন শব্দকল্পদ্রুম’ !
হা হা হা! বেশ মজার!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ
কাসেলাংগারে হাজির বিরিয়ানির গন্ধ - কি হে হিমু - খাতা তো মনে হয় খুলেই আছে...
পাফ ড্যাডি হাফ ড্যাডি হয়ে গেল? হাহাহা! হুকাকাশির কথা মনে পড়ে গেল পড়তে পড়তে। (তালিয়া)
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন