ছোট্ট গোল রুটি ২৮ পড়ে অনুপ্রাণিত।
সচল শিক্ষানবিশের সাথে এই পোস্টের কোনই সম্পর্ক নেই
আমাদের সমাজে ৫৩ শতাংশ স্বঘোষিত গুরু আর ৪৭ শতাংশ শান্তিপ্রিয় লিখিয়ে। শুকনো এই পরিসংখ্যানের পেছনে যে সত্য লুকিয়ে আছে তা হলো - ৫৩ জনের মধ্যে মাত্র ৪৭ জনের আছেএকটি করে টার্গেটেড শিক্ষানবিশ এবং বাকি ছয়জন ক্ষিপ্ত। আর এখান থেকেই হিংসা, ঈর্ষা, অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সমাজে ভাঙন এবং নানাবিধ রোগের উৎপত্তি। আমরা অবশ্য এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বরাবরের মতোই কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে না পেয়ে করে চলেছি পরিণতির চিকিৎসা।
আপাত কারণ = ৬ জন ক্ষিপ্ত শিষ্যহীন গুরু।
এখন কী কর্তব্য?
শিক্ষার হার নিয়ন্ত্রণ করা সভ্যতার পরিপন্থী। অতিরিক্তদের ধ্বংস করে ফেলাটাও অমানবিক। এখন উপায় একটাই। ৫৩ জন গুরুর মধ্যে ৬ জনের শুধু নিজের টার্গেটেড নয়, পরের টার্গেটেড শিষ্য গাপ করেও শিক্ষা দিতে হবে।
আরেকটা বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হবে। গুরুদের অর্ধেকের বেশীই এতো খ্যাতিমদমত্ত, যে তাদের লেখা নিয়ে শিক্ষা টিক্ষা দেয়ার ব্যাপারে কোন আগ্রহই নেই। আবার একদল গুরু রাষ্ট্রপরিচালনার কাজে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োজিত। দেশের উৎকর্ষ সাধনের চিন্তায় তারা ব্যস্ত, শিক্ষানবিশদের নিয়ে চিন্তা করার তাদের সময় কোথায়? এরাও হিসেব থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে অনেক চালাক-চতুর চটপটে শিষ্য নিজ গুরুর পাশাপাশি একটা প্রাইভেট টিউটর গুরু জুটিয়ে নিতে সচেষ্ট। এই হিসেবটাও মাথায় রাখা দরকার। অবস্থাটা তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে?
সুতরাং এই সিদ্ধান্তে আসতেই হয় যে, প্রত্যেক তথাকথিত অপ্রথিতযশা লিখিয়ে শিক্ষানবিশ নিজ গুরুর পাশাপাশি একজন 'গুরুবেশধারী শিক্ষানবিশ উপগুরু' জুটিয়ে নিতে বাধ্য। এই শর্ত অনিবার্যভাবে পালন করা হলেই শুধু সুষম সমাজ গঠনের সম্ভাবনা জেগে উঠবে।
পুনশ্চঃ এবং দেখা গেলো, এই নিয়ম পালন করেই একদল তথাকথিত 'শিক্ষানবিশ' একটি সুষম ও বন্ধুত্বময় ভার্চুয়াল লিখিয়ে সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হলো !
মন্তব্য
"আমাদের সমাজে ৫৩ শতাংশ স্বঘোষিত গুরু আর ৪৬ শতাংশ শান্তিপ্রিয় লিখিয়ে।"
জনাব, আরেক শতাংশ গেল কই?
----------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
..রয়ে সয়ে, রয়ে সয়ে !!
এ আর নতুন কি? রয়ে সয়েই তো
তোমার প্যারডি লেখার অসামান্য ক্ষমতা আগেও দেখেছি মন্তব্য আকারে। পোস্ট হিসেবে বোধহয় এই প্রথম। শিক্ষানবিশদের নিয়ে নকলনবিশি! ভালো।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
ধন্যবাদ! নকল জিনিষটা কেন যেন আমার বরাবরই পছন্দ
আগের মন্তব্য দেখি হাপিশ!
লেখা হইছে সেইরকম।
তবে ৫৩ আর ৪৬ এর ভিড়ে বাকি এক শতাংশ কই?
---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
অসংখ্য ধন্যবাদ রাফি, ঠিক করে দিয়েছি
রয়ে সয়ে! রয়ে সয়ে! রয়ে রয়ে সয়ে সয়ে!!
-----------------------------
সচল আছি, থাকবো সচল!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আচ্ছা, আচ্ছা, বাবা ঠিকাছে, ঠিকাছে !!
আমাকে একজন গুরু দেন না....
কোনো গুরুই আমাকে রাখতে চায় না
তবে গুরু যেন অবশ্যই আমার প্রাইমারি স্কুল থেকে ২টা এমএ পর্যন্ত টিচারদের ফোন করে একটু জেনে আসেন। কারণ একটা জোকস কেউ কেউ বলে;
ক্লাসের আগের দিন নাকি টিচাররা রাতে স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে উঠত
বৌ জিজ্ঞেস করে- কী হলো?
টিচার ঘামতে ঘামতে বলে- কালকের ক্লাসে লীলেন থাকবে....)
০২
একবার সুফি হতে গিয়েছিলাম গুরু ধরে। এক বছর পরে গুরুই সুফি চর্চা বাদ দিয়ে দিলো...
এইবার লেখালেখির জন্য একখান গুরু না হলে আর হচ্ছে না....
তবে নারী গুরুদের প্রতি আমি বড়োই অনুগত....
খাইসে!!
হেভি মজা পাইলাম। গুরু ধরা জরুরী আমাদের, নতুবা সময় গেলে সাধন হবে না . . . .
যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
মাহবুব লীলেন!! এ আপনি করেছেন কি?? আমি বলে আপনার জন্য একেবারে পছন্দসই, অর্ডারমাফিক এক নারী গুরু বানাতে দিয়েছিলাম, তা আপনি তো শুনছি পরপারে?
এখন আমি প্রডাক্ট ডেলিভারী পেলে করবো কি?
আর, ইয়ে, আপনার সুফি গুরু সুফিত্ব ত্যাগ করার আগ পর্য্যন্ত আপনাকে কোন শিক্ষা টিক্ষা দিতে পেরেছিলেন কি?
দারুন লিখেছেন আপুনি।
তবে আপনারটাকে কিন্তু গপ্পো বলতেই হচ্ছে।
--------------------------------------------------------
গল্প কোথায়? এ তো অণু উপন্যাস ?
লেখা সোন্দর্য হইছে
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
ধন্যবাদ
দারুন...
সত্যি?
দুর্ধর্ষ!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আহা, আপনার লেখার ওপরই তো করে কম্মে খাচ্ছি
দারুণ লাগল।
@লীলেন , আপনার গুরু খুঁজে লাভ নেই। গুরু মারা শিষ্য হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আপনি বরং গুরু হিসেবে দীক্ষা দিতে শুরু করেন। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যত উজ্জ্বল হতে ও পারে।
ধন্যবাদ অনিন্দিতা!
ভালো লিখেছেন। ধারণাটা নতুন আর মজাদার লাগলো।
--------------------ভুতুম
নতুন মন্তব্য করুন