গোয়েন্দা ঝিকিমিকি ও একটি অশ্রুতপূর্ব অপরাধ

স্নিগ্ধা এর ছবি
লিখেছেন স্নিগ্ধা (তারিখ: মঙ্গল, ১১/১১/২০০৮ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“সন্দেহভাজনদের তালিকার প্রথমেই এর নাম, এরই বাসায় জমায়েত হয়েছিলো শহরের দাগী সব ...গুলো, অতএব একে দিয়েই শুরু হবে” - কলিং বেলে আঙ্গুল চেপে কথাগুলো বলতে বলতে ঝিকিমিকি খেয়াল করে ছ’তলার ল্যান্ডিঙ্গে দাঁড়িয়ে হাপরের মতো হাঁপাতে হাঁপাতে গোয়েন্দা বাঁকানাকা ভুঁড়ি, বেল্ট, নোটবই এবং একটি চিবানো ইকোনো কলম মোটে দুটি হাত দিয়ে সামলানোর এক অসম্ভব চেষ্টায় ব্যস্ত।

বেলের আওয়াজে দরজা খুলে দেয় প্রসন্নদর্শন এক কিশোর। “জনাব ইসলাম কি বাড়িতে আছেন?” অদম্য প্রশ্বাসঝড়ের ফাঁকে ফাঁকে যথাসম্ভব গম্ভীর গলায় শুধোন বাঁকানাকা। “হ, আমিই”। “”হ, আমিই” মানে?” খেঁকড়ে ওঠেন গোয়েন্দাপ্রবর, - “বলছি এ বাড়ির ভাড়াটে জনাব ইসলামের কথা! যাও, তোমার বাবাকে ডেকে নিয়ে এসো ছোকড়া!” “আরে, কি হইসে কইবেন তো? বলতেসি আমিই নজরুল ইসলাম, প্রখ্যাত নাট্যকার এন্ড সেলিব্রিটি, এই বাড়ির বাড়িওয়ালার সবচাইতে প্রিয় ভাড়াটে এবং বিশিষ্ট শিল্প ও সংস্কৃতির সমজদার - ‘দি নজু’।”

“ও, আচ্ছা, আপনিই তিনি? হুমমম, আমি অবশ্য শুনেছিলাম যে আপনাকে দেখতে নাকি কলেজ ছোকড়াদের মতো দ্যাখায় - এক্কেবারে পারফেক্ট ছদ্মবেশ ফর আ পেশাদার ক্রিমিনাল, কিন্তু তাই বলে যে সত্যি সত্যিই এতো ...” বিস্ময়কর হলেও সত্যি, মাঝে মাঝে এমনকি ঝিকিমিকিও কথা হারিয়ে ফ্যালে! কেশে গলাটা একটু পরিষ্কার করে নিয়ে ঝিকিমিকি আবার বলে- “আপনাকে কিছু প্রশ্ন করবার আছে, মিঃ নজরুল”। “আরে মিয়া, আমারে মিস্টার টিস্টার কইয়েন না, সবাই আমারে নজু ডাকে, আপনেরাও ডাকবেন। আরে ভাই, এই দুইন্যাতে আসছি মোটে কয়েকদিনের লাইগ্যা - এর মধ্যে আবার এইসব ফর্ম্যালিটিজের ভ্যাজাল ট্যাজাল আমার ভাল্লাগে না। আসেন, ভিত্রে আইসা বসেন।”

খোলামেলা , ছিমছাম, মন ভালো হয়ে যাবার মত একটা ড্রইংরুমে বসে ইন্টারভিউ পর্ব শুরু করে ঝিকিমিকি। “আচ্ছা, নইজ্যা - ঘটনার দিন অকুস্থলে কে কে উপস্থিত ছিলেন? ঠিক কি কি ঘটেছিলো ? আপনি যা যা জানেন সব খুলে বলবেন, কোন কিছুই যেন গোপন করবেন না।” “আরে, ধূরররর মিয়া, নজু কিস্যু গোপন করেও না! বলি শুনেন - সেদিন প্রথমে আইলো গিয়া অতন্দ্র প্রহরী।” “অতন্দ্র প্রহরী?! এটা আবার কেমন নাম? ভদ্রলোক ঘুমান না নাকি?” মিহি বিস্ময় প্রকাশ করে ঝিকিমিকি। “আরে, বিডিআর আবার ভদ্রলোক হইলো কবেথিক্যা? মানে কইতাসি, পোলাটা ভদ্র খুবই, কিন্তু নিতান্তই বাচ্চা পোলা। আর ওর মনটাও খুব নরম সরম, ও কুনু খারাপ কাজ করবারই পারে না। ওরে আপনার সন্দেহের লিস্টি থিক্যা বাদ দিয়া দ্যান।”

“হুমম, দ্যাখা যাক...” - ঝিকিমিকি তার ভাইরাসাক্রান্ত ল্যাপটপে নোট নিতে নিতে জিজ্ঞেস করে - “তা, ঐ দারোয়ান ছোঁড়াটাই কি সবচাইতে কমবয়সী সদস্য ছিলেন, সেদিন?” “না, ওইটার চাইতেও কমবয়সী আরেক বালক আসিলো, হেইডার নাম - পান্থ। তয় আপনে ওইটারেও প্লীজ আপ্নের লিস্ট থিক্যা বাদ দ্যান।” “কেন? আপনার ধারনা কমবয়সীরা অপরাধে কিছুমাত্র অপটু? ফুহ্, আপনি শুনলে অবাক হয়ে যাবেন - অপরাধ জগতের সবচাইতে দূর্ধর্ষ ক্রিমিনালের নাম , আঁ আঁ আঁ......” বাঁজখাই কন্ঠে শুরু করেও বাক্যের দ্বিতীয়ার্ধ্বে এসে আর্তনাদে শেষ করেন বাঁকানাকা, ঝিকিমিকির স্যুচাগ্র হিলের পাড়া খেলে যে কোন বীরপুঙ্গবই করতে বাধ্য হবে!

ভর্তসনার দৃষ্টিতে বাঁকানাকার মুখস্খলনকে বিদ্ধ করে, কাজে ফেরে ঝিকিমিকি। “হ্যা, তা যে বিষয়ে কথা হচ্ছিলো, আর কে কে ছিলেন সেখানে? তাদের পেশা কি? নেশা কি? তারা কে কে কি কি করছিলেন? খেলেন কি, পান করলেন কি? কি নিয়েই বা হাসলেন, অথবা কাশলেন? মানে, মোট কথা হলো - সব খুলে বলুন তো দেখি? ঠিক যা ঘটেছে, যা হয়েছে, জানতে চাই। আর, দয়া করে কারুর নামে কোনরকম সুপারিশ করবেন না। নেপোটিজম জিনিষটা আমি একদম পছন্দ করি না।” গম্ভীর গলায় ঘোষণা দেয় ঝিকিমিকি।

“আচ্ছা, কইতাসি - ঐ দুই পোলাপান মার্কা পোলা ছাড়াও দুই চাচা মিয়া মার্কা মেহমানও আইসিলো- মাহবুব লীলেন আর আহমেদুর রশীদ। উনারা কবতা ফবতা লিখেন শুনসি। কিন্তু ওইগুলান খায় না পিন্দে জানি না, কারণ পড়ি নাই।” “হুমম, 'কপি'!" তাচ্ছিল্যের গলায় মন্তব্য করতে গিয়েও গিলে নেয় ঝিকিমিকি, আফট্রল - ভদ্রতা, সভ্যতা বলে একটা কথা আছে না?! মনের সব কথা মুখে প্রকাশ কর্ল্লেই তো হয়েছিলো আর কি!

"আচ্ছা, ওনাদের আচরণে কি সন্দেহজনক কিছু ছিলো? মানে, ধরুন গিয়ে, ওনাদের কথায় বা আচরণে কি কোন অসংলগ্নতা ছিলো?” “তাআআ, ধরেন গিয়া, তা ছিলো।” মাথা ঝাকায় নজু। “উনাদের মধ্যে একজন ছিলো একদমই চুপচাপ, আর আরেকজন ছিলো ননস্টপ! আর দুইজনের মধ্যে, মনে কয় আমার, গভীর একটা ষড়যন্ত্র ছিলো। একজন ব্যাগড় ব্যাগড় কইরা মাইনষের মাথা নষ্ট কইরা এটেনশন অন্যদিকে নিবোগা, আর সেই সুযোগে আরেকজন - কাজ হাসিল!”

“হুমম, ব্যাপক !!” শ্বাস ফেলে বলে ঝিকিমিকি। “আচ্ছা, নজারাম - আর কেউ কি ওদের চক্রান্তে লিপ্ত ছিলো মনে করেন?” “তা, সইত্য বলি, ছিলো মনে লয়। ওই যে মৃদুল, আকতার, আখতারুজ্জামান আর কীর্তিনাশা আসছিলো না? ওইগুলার কাজকারবার দেইখ্যা আমি একদম টাসকি খাইয়া গেসি!”

“কিরকম? কিরকম?” উৎসাহে নড়েচড়ে বসে ঝিকিমিকি, বাঁকানাকা দুজনেই। যাক্, এতোক্ষণে বোধহয় রহস্যের একটা কিনারা দেখা দিতে যাচ্ছে । দেয়াই ভালো - যা একখান দজ্জাল ক্লায়েন্টের পাল্লায় পড়েছে গোয়েন্দা দুজন, তাতে চিন্তায় চিন্তায় তাদের পেটের ভাত চাল হওয়ার জোগাড়! খুবই নাকি মূল্যবান একটা জিনিষ চুরি গ্যাছে তাদের ক্লায়েন্টের এবং চুরিটা নাকি হয়েওছে সেদিন যারা যারা উপস্থিত ছিলো তাদেরই এক বা একাধিকের দ্বারা। ফোনের পর ফোনে সমানে হুমকি দিচ্ছেন তিনি। প্রবাসে ফেরৎ যাবার আগেই এই ঘৃণ্য অপরাধের একটা হেস্তনেস্ত করে যেতে চান তিনি, নচেৎ অপারগ হয়ে হয়তো বা এফ বি আই এরই দ্বারস্থ হতে হবে তাকে!

(চলবে ...... চোখ টিপি )


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জনাব ইসলাম, মি. ইসলাম, নজরুল ইসলাম, দি নজু, নইজ্যা, নজারাম- এরা কারা? কোথায় থাকে? কি করে? কি খায়? এদের আচরণ তো দেখি সন্দেহজনক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তা আর বলতে! তয় ঝিকিমিকি, ঝাকানাকা, ইত্যাদি গোয়েন্দাদের নিয়ে আপনি একটা টেলিফিল্ম নামায় ফেলেন আসছে ঈদে! চোখ টিপি

স্নিগ্ধা এর ছবি

কিন্তু, মঁসিয়ে নজরুলের মতো এমন ভদ্র, শান্ত, অ-সন্দেহজনক চরিত্রের লোক কি তা পারবে ?!

তার চাইতে, নইজ্যাকে দায়িত্বটা দিলে হয় না? চোখ টিপি

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

বাঁকানাকা। পারফেক্ট! নাম শুনেই চেহারা বোঝা যাবে! হো হো হো

স্নিগ্ধা এর ছবি

হাসি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এমন জায়গায় নিয়া থামানো কি ঠিক হইলো? তাই শেষ না পড়া পর্যন্ত কমন্টোমু না।

বেবাকেই দেখি ধারাবাহিক লিখতেসে ইদানীং! বড়ো হয়া আমিও ধারাবাহিক লিখুম।*

*"বড়ো হয়া আমি..." বাক্যের কপিরাইট নজরুল ইসলামের।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্নিগ্ধা এর ছবি

আপনার গোলরুটি কি সুরা কি দ্বিপদীপঞ্চক আমরা ধারাবাহিক হিসেবেই দেখি, থামলেই আপনাকে "খেলাপী" ঘোষণা করে জরিমানা করা হবে দেঁতো হাসি

পান্থ রহমান রেজা [অতিথি] এর ছবি

প্যাচ মাইরা কি সব বলতেছেন এই বিদেশী ভদ্রমহিলা, কিচ্ছু বুঝতেছিনা। ভাই, কে আছেন একটু বুঝাইয়া কইবেন। জমায়েতে দেখতেছি আমার নামখানাও আছে। হায় আল্লাহ, রক্ষা করো।

স্নিগ্ধা এর ছবি

রক্ষা? তাও আবার গোয়েন্দা ঝিকিমিকির হাত থেকে?! নাহ্‌, বৎস পান্থ - উটি হবেক নাই মন খারাপ

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

স্নিগ্ধা পেলিন নামে কোন এফ বি আই অফিসারের এদেশে আগমনের খবর মিডিয়ায় না আসার কারণে আমরা তাঁকে একেবারেই সারা পেলিনের খুউব নিকটজন কেউ ভেবে তাঁর চার চাকার সাদা ভটভটিটা পকেটে পুরে ফেলার প্ল্যান করেছিলাম, কিন্তু এফ বি আই'র অফিসার বলে কথা-ভটভটি খোয়ানো কি আর এঁর পক্ষে মানায়!মানায় না,যে কারণে ভটভটিটি তিনি সযতনে তাঁর ভ্যানেটি ব্যাগে আগলে রেখেছিলেন।অবশ্য এর জন্য ব্যাগ থেকে আগলে রাখা একটি গরু বের করে তাঁকে নজুর টেবিলের উপর রেখে দিতে হয়েছিল।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

স্নিগ্ধা এর ছবি

শুনেন, গালি দিতে চান তো সোজাসুজি দ্যান না রে বাবা ? 'পেলিন' বলে প্যাঁচায় প্যাঁচায় অপমান করাটা কি ঠিক হচ্ছে? আমি একটু বোকাসোকা ঠিকই, তাই বলে একেবারে 'পেলিনীয় হাবা'?! ওঁয়া ওঁয়া

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

আপনি কি করে ভাবলেন, বিনে ডলারে আপনাকে গালি দিবো!ওটি চাইলে অগ্রীম ডলার সহ অর্ডার করুন।
জি জি বোকা আর হাবার মধ্যে অনেক তফাৎ ।নির্বাচনে হারলে মানুষের মন আসলেই খারাপ থাকে।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

কীর্তিনাশা এর ছবি

মানহানির কেসটা কার নামে করুম চিন্তাইতাসি চিন্তিত

স্নিগ্ধা দিদি নাকি নজু ভাইর নামে??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

স্নিগ্ধা এর ছবি

মানুষ চুরি করতে পারবে, কিন্তু সেটা বলতে গেলে আবার মামলার শাসানী দেবে! অ্যাঁ

কল্পনা আক্তার এর ছবি

ওরে...রে এ দেখি আরেকটা বোমা ফাটতাছে!!! দেঁতো হাসি

পরেরটা তাড়াতাড়ি ছাড়েন প্লিজজজজজজজ....সচলে আজকাল ঝুলাইয়া রাখার প্রবনতা বাড়ছে...খদরদার আফনে আবার তা'গো মতো কইরেন না.....

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

স্নিগ্ধা এর ছবি

খদরদার আফনে আবার তা'গো মতো কইরেন না.....

এটা আপনি ভাবলেনই বা কিভাবে?! আমি কি যে সে? আমি কি আর "তা'গোর" মতো ? চোখ টিপি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আহা... আপনে চলে গেলেন?
সেই বিরহে আমি একটা গান বানছি...
যাহা অচিরেই শৃগালায়তনের মারফত কণ্ঠিত করবো বলে ভাবতেছি।
গানটা পড়েন-

বৈদেশ গিয়া বন্ধু...
তুমি আমায় ভুইলো না,
চিঠি দিয়ো পত্র দিয়ো
জানাইয়ো ঠিকানা রে...
জানাইয়ো ঠিকানা...
দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

নজু ভাই খাড়ান, হাতে তেল দিয়ে নেই, আমাদের বিকল্প ধারা শৃগালায়ত ব্যান্ডের আমি তালি বাদক মনে নাই! হ্যা এবার ধরেন। তালিয়া।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দেখছেন? ধূগো মিয়ার কাণ্ড দেখছেন? কামের সময়ে তার কোনো খবর নাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

হৈ হৈ রৈ রৈ ধূগো ভাই গেল কৈ?
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

স্নিগ্ধা এর ছবি

আচ্ছা, পুতুল, আপনি না একটা ভালো মানুষ ছিলেন?! আপনারও কি সঙ্গদোষে সর্বনাশ হলো? মন খারাপ

স্নিগ্ধা এর ছবি

নজারাম - পত্র আমি অবশ্যই দেবো, ছত্রে ছত্রে পাতা একেবারে ভরিয়েই দেবো - কিন্তু দাদারে, ঠিকানা দিতে পারবো না রে! আপনাদের স্বভাবচরিত্রের যে "....." পরিচয় উদ্ঘাটিত হয়েছে তাতে আমি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি ঠিকানা একবার পেলেই সিন্দাবাদের ভূতও লজ্জা পেয়ে যেতে পারে ... দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক কষ্টে "বুড়োবিলাস"-মার্কা একটা পোস্ট লিখে লোকজনের কাছে নিজেকে বড়ো বানিয়ে, নিজের বুড়ো-বুড়ো ইমেজটা ক্রিয়েট করলাম, আর আপনি এভাবে হাটে হাড়ি ভেঙে দিলেন! মন খারাপ

কিন্তু প্রশ্ন হলো, ঝিকিমিকি কী সময়মতো অনুসন্ধানস্থলে পৌঁছাতে পারসিলো, নাকি তার অবস্থাও ওইদিনকার আড্ডার (বৈ)দেশি প্রধান অতিথির মতোই? চোখ টিপি

লেখাটা খুবই মজার হইসে... খেলাপী হইয়েন না, তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দেন, পিলিজ! হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

এর পরেরবার চকোলেটে মেলামিন মিশায় আনবো - আদৌ যদি আনি, আমার সময়ানুবর্তিতা নিয়ে এই কটাক্ষ আর সহ্য হয় না! রেগে টং

দুর্দান্ত এর ছবি

খুবই নাকি মূল্যবান একটা জিনিষ চুরি গ্যাছে তাদের ক্লায়েন্টের এবং চুরিটা নাকি হয়েওছে সেদিন যারা যারা উপস্থিত ছিলো তাদেরই এক বা একাধিকের দ্বারা।

মূল্যবান একটা জিনিষ = ঢাকার উঠতি টিভি নায়িকাদের ছবি ও লল্মর ভর্তি হাতফোন?

স্নিগ্ধা এর ছবি

মূল্যবান একটা জিনিষ = ঢাকার উঠতি টিভি নায়িকাদের ছবি ও লল্মর ভর্তি হাতফোন?

হুমমম, জনাব দুর্দান্ত, আপনি নামকরণের সার্থকতা প্রমাণ করে দুর্দান্ত একটি সন্দেহই প্রকাশ করেছেন বটে, কিন্তু অতীব বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি যে আপনি দুর্দান্তভাবে ভুল আন্দাজ করেছেন! ধৈর্য্য ধারন করুন, শীঘ্রই জানিতে পারিবেন।

দুর্দান্ত এর ছবি

অপেক্ষার স্নিগ্ধতায় হোঁচট।

দুর্দান্ত এর ছবি

অপেক্ষার স্নিগ্ধতায় হোঁচট।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আরে নাহ্‌, এখনও সারে নাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।