“আর বইলেন না, ওই যে মৃদুল আসে না? ব্যাটা কোন এক বিজ্ঞাপনের এজেন্সীতে য্যান কাজ করে। তা করুক গা, যত ইচ্ছা করুকনা, আমিও তো করসি? কিন্তু তাই বইল্যা কি নিজের জীবনটাও একটা চলন্ত বিজ্ঞাপন বানায় ফালাইতে হইবো নাকি?! ব্যাটা কাপড় পরে য্যান বিজ্ঞাপনের মডেল, কথা কয় য্যান নিজেই বিজ্ঞাপন, মোবাইলের রিংটোনও রাখসে এক বিজ্ঞাপনের গান, আবার দেখি পাতিল পিটায় গানও গায় য্যান 'এডাল্ট সংস ফর বিগিনারস’ এর বিজ্ঞাপন!!” নজু দেখা গেলো কেমন একটু কনফিউজড মতো। যেন মৃদুলকে ভালো বলবে, না খারাপ বলবে ঠিক ডিসাইড করে উঠতে পারছে না।
“তো, তাতে অসুবিধাটা কোথায়? ভদ্রলোক হয়তো খুব মন দিয়ে নিজের কাজটা করেন, আর তাই প্রফেশনাল লাইফ আর পার্সোনাল লাইফ দুটো প্রায়শই গুলিয়ে ফেলেন আর কি” আড়চোখে ঝিকিমিকির দিকে তাকিয়ে একজন জাতভাইয়ের একটু সাফাই গাইতে চেষ্টা করেন বাঁকানাকা। আফট্রল, তিনিও মাঝে মাঝে বড্ডই খায়েশ করেন কিনা - ঝিকিমিকি একটু যদি প্রফেশনাল আর পার্সোনালকে মিলিয়ে মিশিয়ে খিচুড়ি পাকানোর সুযোগ দিতো! আহহহহ!! তাহলে তিনি একেবারে দেখিয়ে দিতেন রোমান্টিক কাকে বলে!! বয়স, ভুঁড়ি, টাক এসবই তুশ্চু করে একেবারে দেখিয়ে দিতেন।
সেই আক্ষেপ মনে আসা মাত্রই আর একটি ক্লু তার মগজে দড়াম করে হটাৎ ঘাঁই মারে! “আচ্ছা, নাজেহাল, সেদিন আপনার বাড়িতে শুনেছি নিদারুণ এক খিচুড়ি রান্না হয়েছিলো? কে রেঁধেছিলো? কি মিশিয়েছিলো? কে কে খেয়েছিলো? সব বলুন দেখি?” বজ্রকন্ঠে দাবী জানান বাঁকানাকা। “ও, খিচুড়ি? খিচুড়ি তো রানসিলো নূপুর - মানে আমার ইয়ে আর কি! মানে নিধির মা আর কি...” হটাৎ তেজী তরুণ নজু কেমন যেন ব্লাশ করতে থাকে, তোতলাতে থাকে, কথা ঠিকমতো গুছিয়ে বলতে আর পারে না।
এই খানে সময়বুঝে টুক করে ভেতর থেকে ফুটফুটে দুটো মুন্ডু উঁকি দ্যায় - একটা বড়, একটা ছোট। তারপর তার নীচে দু’জোড়া পা দ্যাখা যায়। আর তারপর মা মেয়ে ড্রইংরুমে এসে দাঁড়ায়। এবং দেখেই - দেখেই বাঁকানাকার মনটা আবার উদাস মতো হয়ে যায়! ইসসসসস, এইসব কোথাকার কে ন্যাজা না ফ্যাজা কিসব সংবিধান না ব্যাকরণ না কিনা কি ফ্যাদা প্যাচাল পেড়ে পেড়ে এরকম দারুণ সব ‘প্রেমিকা টার্নড ইন্টু বউ’ জোগাড় করে ফ্যালে, আর শুধু তাঁরই কিনা ...... ! যাক্ গে যাক, মনকে জোর করে বশে এনে প্রফেশনে মনোনিবেশ করেন বাঁকানাকা। কষ্ট করে গলার স্বরে কর্কশতা আনতে চেষ্টা করেন। এটা তাঁর এক বিরাট দূর্বলতা - সুন্দর মুখ টুখ দেখলে মনটা আপনিই কেমন যেন গলে পানি মতো হয়ে যায়, কিছুতেই তখন আর কঠোর হতে পারেন না।
“তা, ইয়ে, মিসেস নজরুল - সেদিন খিচুড়িতে আপনি ঠিক কতখানি ইয়াবা মিশিয়েছিলেন?” “ইয়াবা?! আমি?!” আকাশ থেকে পড়ে নূপুর - “কি দুঃখে আমি খিচুড়িতে ইয়াবা মিশাইতে যাবো? দরকারটা কি ? আমার রান্না খেয়ে মানুষ এমনিতেই তাব্দা হয়ে যায়! জানেন না আপনি?” - “হ্যা, ইয়ে মানে আমাদের ক্লায়েন্টও সেরকমই একটা কথা বলেছিলেন বটে। যে, আপনার রাঁধা খিচুড়ি, সবজি আর সালাদ খেয়ে নাকি তিনি এতোই বিমোহিত হয়ে পড়েছিলেন যে সেই অন্যমনস্কতার সুযোগেই মনে হয় দূর্বৃত্তের দল ঐ জঘণ্য চৌর্য্যকার্য্যটি সম্পন্ন করে ফ্যালে।”
- “আচ্ছা , ভালো কথা, মৃদুলের দলে আর কে কে যেন ছিলো বলছিলেন? তারা সব কেমন লোক ছিলো?” এই পর্যায়ে বাঁকানাকার অতি প্রিয় ‘খাদ্য’ প্রসঙ্গ থেকে আলোচনাটা দরকারী দিকে ঘুরিয়ে আনার চেষ্টা করে ঝিকিমিকি। “শুনেন, ওই যে কীর্তিনাশা আছে না? লুকটা ভাব দ্যাখায় য্যান ভিজা বিলাই, কিন্তু সচলে তার লেখা পইড়া কিন্তু মনেই হইবো না যে সে পাব্লিকের সামনে এমুন ‘রা নাহি দেয় রাধা’ ভাব ধইরা থাকে। আর আখতারুজ্জামান তো আরো এক কাঠি সরেস। সচলে তার পরিচয় সে কবি। ওমা, কিসের কি? সে তো আসলে একখান ক্রুকেড কর্পোরেট অফ্সার! তার চলন বলন দেইখ্যা কে ভাবতে পারবো যে সে এক ভাববাদী কবি? তারপর ধরেন গিয়া ঐ যে আকতার , সারাক্ষণ মুখে একটা মিষ্টি মিষ্টি হাসি ঝুলাই রাখলো কথা বেশী খর্চা কর্ল্লো না, দেইখ্যা মাইনষ্যের কি মনে হইবো? মনে হইবো না য্যান - 'আহা, আকতার আহমেদ, মনে নাই কুনু খেদ'? ঠিকনা, একদমই ঠিকনা, ব্যাটা সারাক্ষণ হিংসিত থাকে আর বড় বড় মাইনষ্যেগো সামান্য, সামাআআআন্য ইক্টু ভুল ত্রুটি পাইলেই ঘ্যাষ ঘ্যাষ কইর্যা পিত্তি জ্বালাইন্যা সব ছড়া লিখ্যা ফালায়! এলায় বুঝেন?!”
“হুমম, খুবই সন্দেহজনক। এবং দুঃখজনকও বটে। সব্বাই দেখা যাচ্ছে সচলে-এক-আসলে-আরেক ধরনের মানুষ। হুমমম। তা আর কে কে সেদিন উপস্থিত ছিলো, নজারু?” - “আরেকটা পোলা আসিলো, মাগার হ্যায় বয়সে পোলাপান হইলেও জানে অনেক - নাম সবজান্তা।”
“সবজান্তা?! সবজান্তা মানে??” হটাৎ কেমন যেন ক্ষেপে ওঠেন বাঁকানাকা - “আমরা এই বয়সে, মানে ওই পান্থপোলাটার চাইতে একটু বড় বয়সে আর কি, পৌছেও সব কেন অর্ধেকও জানতে পারি নি, আর ঐ ডেঁপো ছোঁড়া কিনা ‘সবজান্তা’ নাম নিয়ে বসে আছে? আপনারা সচলে এসব এলাউ করেন কি ভাবে !”
“আহা, বাঁকানাকা, আপনি মিছেই উত্তেজিত হচ্ছেন” - পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করে ঝিকিমিকি - “ওসব আজকাল্কার ছেলে ছোকড়াদের ব্যাপার, বোঝেনই তো! ওরা দু’পাতা দর্শন পড়ে ভাবে ভীটগেনস্টাইন হয়ে গিয়েছে, দু’কলম ব্লগ লিখে ভাবে ইয়োনি স্যানচেয, আর দু’টা উচ্চমার্গীয় গান শুনলে তো আর কথাই নেই - নিজেকে চিণ্ময় ডান্সটারের গুরু ভেবে ফ্যালে, ওদের কথা বলে আর আয়ুক্ষয় করবেন না হের বাঁকানাকা!” -
“হুমমম...... “ ফ্যাঁসস করে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার নজুকে নিয়ে পড়েন গোয়েন্দাপ্রবর - “তা নাজুল, আপনাদের সেই ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে কোন নারী অতিথি উপস্থিত ছিলেন না?”
- “তা থাকবো না ক্যান! আমগো ক্যামেলিয়া আপা আইসিলো তো। নীলাম্বরী শাড়ি পইড়া, মিষ্টি হাসি মুখে নিয়া উনিই তো ছিলেন একমাত্র ওয়েসিস!” এই পর্যায়ে আনন্দে নজুর দাঁত বেরিয়ে পড়ে, “মহিলা কিন্তু বড়োই কোমলপ্রাণা আর আন্তরিক ধরনের, উনারে খামখা সন্দেহ কইর্যা ত্যক্ত কইরেন না তো!” একইসাথে আবেদন আর হুমকি প্রকাশ পায় নজুর স্বরে।
“খিক্ - খিক্ - খিক্” একেবারেই অ-রমনীসুলভ একটা হাসি দিয়ে নজুর রাশভারী কথাটা হাস্য-ঝঙ্কারের ফুৎকারে উড়িয়ে দ্যায় ঝিকিমিকি। “আপনার ধারনা যে ধরনের একটি অভূতপূর্ব, অশ্রুতপূর্ব, চক্রান্তমূলক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে আপনার বাসায়, তা একজন মহিলার পক্ষে সম্পাদন করা কিছুমাত্র কম সম্ভব? হাঃ...”
“আচ্ছা, ম্যাডাম, মানে মিz মিকি - এতোক্ষণ ধইরা তো ম্যালা প্যাচাল পাড়াইলেন আমারে দিয়া, এইর মধ্যে আমার ‘কালা রোইদ’ কি ‘ দুষ্টু মেয়ে’ কি ‘হাঁচি ও প্রেম’ মার্কা পাঁচখান নাটক লিখা হয়া যাইতো। লেকিন, ঠিক কি যে হইসে, কুন জিনিষটা যে চুরি গ্যাসে, আপনার ক্লায়েন্ট যে ক্যান এরম মাতম করতাসে - তার কিসুই তো খুইল্যা কইলেন না?”
“হ্যা, মিz ঝিকিমিকি, আমিও কিন্তুএ ব্যাপারে অকূল পাথারে-নিকষ আঁধারে আছি! ঠিক কি সেই মহা মূল্যবান জিনিষ, বলুন তো? কি এত দামী, এত আকর্ষণীয় হতে পারে যার জন্য আমাদের ক্লায়েন্ট এরকম ক্ষেপে গ্যাছেন? শুধু বলছেন - “চাই, চাই এক্ষুণি ফিরে চাই”! পঞ্চাশোর্ধ্ব বৃদ্ধা মহিলা উনি, এমন খুকীসুলভ আচরণ করছেন ঠিক কি হারিয়ে??”
“ফিসসসসস” গভীর একটা হতাশার শ্বাস ছাড়ে ঝিকিমিকি। জানে লাভ নেই তবুও চেষ্টা করে, বলে “প্রকৃতির অভিশাপে আপনারা পুরুষ হয়ে জন্মেছেন, মানবমনের সূক্ষ্ণ অনুভূতিগুলো আপনাদের মাথার ওপর দিয়ে বোয়িং ৭৪৭ এর মতো করে উড়ে যায়, ধর্ত্তে পারেন না - আপনাদের বল্লেও কি আর বুঝতে পারবেন? আচ্ছা তবুও বলি - তবে তার আগে আমি আমার তদন্তের সমাধানও অফিসিয়ালী পেশ করতে চাই। আমার মতে ঐ সচলাড্ডায় যে যে বা যাহারা যাহারা উপস্থিত ছিলো - তারা কেউই কারুর চাইতে কম যায় না। সবগুলোই সমান অপরাধী, পাজীর পা ঝাড়া, চুরিতে সিদ্ধহস্ত! এবং এই যুগান্তকারী অপরাধ সংঘটনে প্রত্যেকেরই হাত ছিলো, প্রত্যেকেই সমান অপরাধী!”
হাঁ করে তাকয়ে থাকে ‘দি নজু’ আর বাঁকানাকা - “কিন্তু, উনার অমূল্য জিনিষ্টা কি খোয়া গেসে, সেইটা কইলেন্নাতো?”
“ওহ্, সেটা? সেটা হলো ওনার খুব পছন্দের, খুব ভালো লাগার, খুব মনে রাখার মতো -
- চমৎকার আনন্দময় এক টুকরো সময়!”
উদাস হয়ে যায় তিনজনই। জানে, তাদের ক্লায়েন্টের যা হারানো গেছে বহু চেষ্টা করেও তা আর ফিরে পাওয়া যাবে না। এফ বি আই, সি আই এ, র্যাব, ড্যাব কারুর বাপেরও সাধ্যি নেই তা ফিরিয়ে এনে দ্যায়। তাদের ক্লায়েন্টও আসলে বোঝে সেটা।
আর তাই সে মনভর্তি দুস্কু নিয়ে মিহিসুরে গান গাইতে গাইতে প্লেনে উঠে পড়ে, শুধোয় -
“আবার হবে কি দেখা ?
এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো?”
(শেষ..... )
মন্তব্য
আমার নাম নিয়া লেখা শুরু করছ... লেখাটা ভালো না হয়ে আর যায় কোথায়? বেশ লিকেচেন দিদি, বেশ লেগেচে... এক খামচি আশাপূর্ণা দেবী, এক মুঠো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, একচিমটি নবনীতা দেবসেন, এক খাবলা স্নিগ্ধা আলি... সব মিলিয়ে বেশ!
তা সোৎসাহে কুৎসা রটানোর কাজটি যখন করছিলে, তখন কথা গোছাচ্ছিলাম শোনানোর জন্য, কিন্তু শেষে একটা ইমোশনাল এন্ডিং দিলে বলে আর ঘাঁটালুম না... আহা বেচারা! মিষ্টি একটু সময় কাটিয়েছে আমাদের সাথে, আর নগদে দু প্লেট খিচুড়ি ঝেড়ে দিয়ে গেছে নজরুলের অ্যাকাউন্ট থেকে... যাক গে, সেটা নজরুলের ব্যাপার, আমাদের কী? তিনি আমাদের সাথে কাটিয়ে গেছেন কিছু সময়, আজ তাই স্মরণ করে আমাদের শোকে বা খিচুড়ির শোকে উতলা হয়ে উঠেছেন, এটাই মুখ্যকথা... তাকে আমাদের বিপ্লবী সেলাম...
বিদ্র : লেখাটা কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সাধে কি আর নজরুল বলসে 'চলন্ত বিজ্ঞাপন'!!
ঝিকিমিকি/ ঝাকামাকা বাদ দিয়া পিএইচডির থিসিস লিখো গিয়া যাও। সারাদিন এইগুলান করলে আদুভাই গিরিতে আমারেও ছাড়ায় যাইবা কইয়া দিলাম।
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)
আপনার জন্য একটা গান রচনা করছি... মৃদুলদার কণ্ঠে গাওয়ানো হবে...
চলেই যদি যাবে তুমি
তবে, এসেছিলে কেএএএনোওওওও
আমারই বাড়িতেএএএ...
চলেই যদি যাবে তুমি...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি এক্কেবারে নির্ব্বাকহারা !! আবেগে আমার রীতিমতো হাঁচি আসছে -
ও, ভালো কথা - আপনার 'প্রেম ও হাঁচি' নাটকটা লেখা শেষ?
হায়,হায়! ওই সচলাড্ডার কারো এখনো পেট খারাপ করেনি! না কী সব লোটা নিয়েই পোস্টায়?
---
অফটপিক: লেখাটা জাঝা
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
না, করে নি, কেন করবে? মাহবুব লীলেন মুঠি মুঠি ফ্ল্যাজিল পকেটে নিয়ে ঘোরেন এবং অপ্রয়োজনেই জনস্বার্থে বিতরণ করে থাকেন !
অঘ্রানের কাছাকাছি চাঁদ ভেজা সেই রাত
ফিরে আর আসবে কি,কখনো.......
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
@#*& !!!!!!
আপনার জন্য আমারও সোলস-এর একটা গান :
দেখা হবে বন্ধু কারণে আর অকারণে
দেখা হবে বন্ধু চাপা কোনো অভিমানে
দেখা হবে বন্ধু সাময়িক বৈরিতায় অস্থির অপাগরতায়
দেখা হবে বন্ধু নাটকীয় কোনো বিনয়ী ভঙ্গিতে
ভালোবাসার শুভ্র ইঙ্গিতে
দেখা হবে বন্ধু নিয়ত প্রতিদিন পাশ কেটে যাওয়া
সন্ধ্যার হিমেল হাওয়ায়
দেখা হবে বন্ধু
শ্লোগান মুখর কোনো এক মিছিলে
ব্যস্ততা থেকে ধার দিলে
দেখা হবে বন্ধু
ভীষণ খেয়ালী মনের আতিথেয়তায়
উচ্ছাসে প্রনয় প্রাক্কালে
একি! পান্থপোলাটাও দেখি সুন্দর সুন্দর গান দ্যায়!
থ্যাঙ্কস -
লেখার প্রথম দিকটা পড়ে মানহানির কেস করার জন্য ফাইল টাইল গুছিয়ে ফেলছিলাম। উকিলও নিয়োগ দিছিলাম। কিন্তু লেখার শেষে আপনার ইউ টার্ন দেখে আমিও ইউ টার্ন নিলাম।
আপনার লেখা অত্যন্ত উপাদেয় হইছে।
কিন্তু আপু আপনি আবার কবে আসবেন? আপনার মতো কেউ না আসলে শয়তান নজু ভাইটা তো আমাগো তো আর মাগনা খিচুরি খাওয়াবে না!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আহা - আসবো, আসবো, এই তো শিগগীরই আসবো !
ইয়ে, এরকম প্রাণস্পর্শী বা প্রাণঘাতী লেখার একটা যে উদ্দেশ্য ছিলো?
আমি নইজ্যার কাছ থেকে মাগনা খিচুড়ির বন্দোবস্ত করে দিবো, আপনারা সবাই মিলে খালি আমার প্লেন ফেয়ারটার একটা ব্যবস্থা করে দিবেন
মজার
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ধন্যবাদ
হা হা হা
ভালো লাগলো। নজু ভাইয়ের এত্তোগুলান নাম ক্যামনে আবিষ্কার করলেন, স্নিগ্ধা?
কি কিউট কিউট সব নাম...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনার নজু ভাইয়ের যা কালারফুল চরিত্র, তাতে নামগুলা এমনিই এসে ধরা দ্যায়
আমারে নিয়ে পচুর গিয়ানজাম করা হইছে। তীব্র পেরতিবাদ !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তুমি আর কথা বইলো না, 'সবজান্তা' না কচূ, তোমার নিক আমি ব্যান করলাম!!!
আমার ল্যাপটপটা যে ঠিক করে দিলা না, জানো যে এখন আমি ওইটা ব্যবহারই করতে পারতেসি না? প্রত্যেকদিন নতুন নতুন সমস্যা বেরুচ্ছে? আমার ঐটা এখন দোকানে নিয়ে গিয়ে পয়সা দিয়ে ঠিক করাতে হবে?!
স্নিগ্ধাদি, আমি ঠিক করছি কাল থেকে পাজামা, পান্জাবী পরা শুরু করবো। এই বদনাম আর না!
ওরে তোরা কে কোথায়! আমার পাজামার ফিতা দে!
পাজামা পাঞ্জাবী পরলেই কি আর স্বভাব বদলানো যায় রে, দাদা! যায় না -
বেশ মজার রহস্য ঝিকিমিকি করে উঠলো!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
ধন্যবাদ
"শেষের ফিনিশিং" চমত্কৃত করেছে। অনেক রকম সমাপ্তি এসেছিল আমার মাথায়, এটা আসেনি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
যাক, 'শুরুর স্টার্টিংটা' পড়ে যে আন্দাজ করতে পারেন নি - বাঁচোয়া !
খুবই দারুন আপু, খুবই দারুন। ভাল লাগল অনেক। আড্ডাটা আসলেই অনেক মজার ছিল।
আবার দেখা হবে নিশ্চয়ই, সেবারও অনেক অনেক চকলেট আনতে ভুলবেন না যেন
নতুন মন্তব্য করুন