কাজের মেয়েটাকে একপ্রস্থ বকাবকি করে টিভি’র সামনে এসে বসলেন সুলতানা। এসময়টা এমনিতেই তাঁর এক কাপ চা হাতে টিভি দেখার সময়। পুরোনো দিনের গানের অনুষ্ঠান দেখায় একটা, ভালো লাগে খুব। সারা দিনের যুদ্ধশেষে এটা তাঁর মাথাকে বিশ্রাম দেয়ার সময়। একটু একটু করে চা খেতে খেতে, গান শুনতে শুনতে, পরের দিনের যুদ্ধের জন্য রসদ সংগ্রহ করেন। ছেলে বা মেয়ে ছাড়া অন্য কেউ ফোন করলেও ধরেন না। আর আজ কিনা তার এতো পছন্দের সময়টাতেই মেজাজ পুরো বিগড়ে দিলো অসভ্য মেয়েটা! হাজারবার করে বলেছেন রাতে খাবারের পাট চুকলেই প্রতিদিন নিয়ম করে রান্নাঘরে ভালোমত তেলাপোকার ওষুধ ছিটিয়ে রাখতে, একদিনও যেন বাদ না পড়ে। তেলাপোকার মত ছ্যাঁচড়া প্রাণী আর দেখা যায় না। একদিন বাদ দিলেই পরদিন জয়ের আনন্দে নিজেদের সংখ্যা আরো কয়েকটা বাড়িয়ে ফেলে মনে হয় - এমন তেঁএটে খচ্চর এক জাত! কিন্তু, কে শোনে কার কথা! প্রায়ই ভুলে যায় মেয়েটা। আজ একদম টং করে চড়ে গেলো মেজাজ। দিয়েছেন একেবারে ধুয়ে।
ঠক্ করে আওয়াজ হতে সম্বিত ফিরলো। বুঝতে পারেন, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকলেও এতোক্ষণ আসলে তিনি শুনছিলেন না কিছুই। টেবিলে রেখে যাওয়া ধোঁয়াওঠা চায়ের কাপটা দেখে মনটা হটাৎ খুব খারাপ হয়ে গেল। ইসস, মেয়েটাকে এতোখানি বকা ঝকা না করলেও পারতেন বোধহয়। চৌষট্টি বছরের ক্লান্ত শরীর আর মস্তিষ্ক আস্তে আস্তে জানান দিচ্ছে নাকি? ধৈর্য্য হারাচ্ছেন খুব সহজেই। সেদিন স্কুলেও বিশ্রী একটা কথা কাটাকাটি করে ফেললেন। আড়াই যুগেরও বেশি সময় ধরে ঐ স্কুলে পড়াচ্ছেন, কোনদিন কেউ ওনাকে এভাবে রেগে যেতে দেখে নি। অবশ্য চাকরিটা শুরু করেন যখন রাগ নামক অনুভূতিটা তাঁর তো ছিলোও না । ছিলো শুধু ভয়। আপাদমস্তক কেবল ভয়েই ঢাকা থাকতেন তিনি। ঐ দিনটার কিছু আগে থেকে সেই যে ভয় পাওয়া শুরু হয়েছিলো সেটা আর পিছু তো ছাড়লোইনা, বরং কী করে কী করে যেন নানারকম শাখাপ্রশাখার জন্ম দিয়ে দিয়ে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে তাঁর নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়ালো। অথচ এখন ভাবতে গেলে মনে হয় - ওরকম একটা ঘটনা যদি ঘটেই যায়, এবং সেই ঘটনার পরে খেয়ে, ঘুমিয়ে, হেসে, কেঁদে বেঁচে যদি থাকাই হয়, তাহলে তারপরেও কেন মানুষ ভয় পাবে? কীসের ভয় পাবে? আর ঠিক কী বাকি থাকে?
ওহ, না ছিলো তো কিছু তখনও! সাড়ে ছয় বছরের মেয়ে আর তিনমাসের ছেলেটা ছিলো তো। ছাব্বিশ বছর বয়সের সাধারণ বি এ পাশ এক বিধবা তিঁনি তখন সন্ধ্যে হওয়া দেখলেই ভয় পেতেন, সকাল হওয়া দেখলেও। ভয় পেতেন সামনের সপ্তাহটাও শুধু ডাল আর আলুর ওপর দিয়েই চালাতে হবে ভেবে, ভয় পেতেন জেদী মেয়েটার আবার হিস্টিরিয়ার এটাক হবে ভেবে, ভয় পেতেন নিরুপায়ে একসময় কারুর গলগ্রহ হওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না ভেবে। ভয়, ভয় আর ভয়। নিরন্তর উদ্বেগ আর মাত্রাছাড়া ভয় তিরিশের আগেই হাই ব্লাড প্রেশার জুটিয়ে দিলো। অবশ্য, ধরা পড়তে পড়তে দেরি হয়েছিলো অনেক। তা, সে তো হওয়ারই কথা। যার পুরো মাস চলার টাকা থাকে না, বাচ্চাদের অসুখ হলেও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না বেশিরভাগ সময়, তার আর যাই হোক নিজের কারণে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার বিলাসিতা বোধহয় মানায়ও না।
“আমার শইলটা বালা না, আইজকা ওষুদ দিতে হইলে আপনিই দিয়া নিয়েন।” হাসি পেয়ে যায় শুনে! বিদ্রোহ! বকা খেয়ে রাগ হয়েছে, তাই মনে করে তাঁর চা টুকু ঠিক ঠিক দিয়ে গেলেও অন্য কাজ করতে সরাসরি অসম্মতি জানানো হচ্ছে। হায়রে মেয়ে, এতোই সোজা নাকি! রাগ হলেই হলো? ইচ্ছে না করলেই হলো? জীবন কি ছেড়ে দেবে নাকি! তাঁকে ছেড়েছিলো? বছরের পর বছরের পর বছর ধরে প্রত্যেকটা করণীয় কি তিনি পালন করতে বাধ্য হন নি? কোন রেয়াত ছিলো কোথাও? স্কুলে পড়িয়ে বাড়ি ফিরে, ছেলেমেয়েদের বায়না মিটিয়ে, তাদের পড়াশোনা দেখিয়ে দিয়ে, রাতের খাবার খাইয়ে, পরদিন কী রান্না হবে সেটার ব্যবস্থা করে, হোমওয়ার্কের খাতা দেখা শেষ করে যখন গভীর রাতে তাঁর দিন শেষ হতো, তখন মাঝে মাঝে শুধু একটা কথাই মনে হতো - না, আসলে বলা ভালো সেই ঘ্যানঘ্যানে, নাছোড় লেগে থাকা ভয় নামক অনুভূতিটার আক্রমণ হতো - পরদিন সকালে ওঠার, উঠে আবার দিনভর এই পুনরাবৃত্তির শক্তি থাকবে তো? যদি না পারেন? যদি সত্যিই এমন হয় যে আর পারলেন না, কী হবে তাহলে বাচ্চা দু’টোর?
মনে পড়ে, সবচেয়ে কষ্ট হতো বাচ্চাদের কিছু হলে। খারাপ কিছু হলে যেমন একধরনের অসাড় করা অসহায়ত্বে ছেয়ে যেত মন, তেমনি ওদের ভালো কিছু হলেও চোখ দিয়ে কেন যেন কেবলই পানি পড়তে থাকতো। কেন, কেন এই সবকিছু তাঁকে একা বইতে হবে! এমন তো কথা ছিলো না। গভীর রাতে জ্বর বেড়ে যাওয়া ছেলের মাথায় জলপট্টি দিতে দিতে, অথবা মেয়ের রিপোর্ট কার্ডে লেখা ভূয়সী প্রশংসাগুলো পড়তে পড়তে কেন যে একই অনুভূতি ভর করতো কে জানে! এই সব ছোট ছোট গর্ব, ছোট ছোট উদ্বেগ, এইসব সাধারণ মাপের, সাধারণ সংজ্ঞার সুখ দুঃখই তো ভাগ করে নেয়ার কথা ছিলো দুজনের। তাহলে এখন দু’ঘর এক বাথরুমের এই বাড়িটায় কেন শুধু একজনেরই ছায়া পড়ে আয়নায়?
এমন নয় যে দুঃসময়ে কেউ তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। আপনজনেরা ছিলো বৈকি। আত্মীয়রা ছিলো, বন্ধুরা ছিলো। স্বামীর সহকর্মীদের সাহায্য ছাড়া ঐ চাকরি তিঁনি তো পেতেনই না। কিন্তু, সে আর কতদিনের, কতক্ষণের। যত আন্তরিকই হোক সে হাত বাড়ানো, সে তো বাইরের। রাতের বেলা আলো নিভিয়ে যখন শুতে আসতেন, প্রতিবার হালকা একটা শ্বাসকষ্ট হতো। জোর করে মনকে অন্য কোন ভাবনায় বিক্ষিপ্ত করতেন। পারতেন, আবার পারতেনও না। অতোই কি সহজ! কাছের মানুষটার শরীরের গন্ধের অভ্যস্ত আকাঙ্ক্ষায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে চাইতো যে। মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর এক শারীরিক তৃষ্ণা জাগিয়ে রাখতো রাতের পর রাত। সে কথা কাকে বলবেন? বোনকে? বান্ধবীকে? বলবেন, বাঙালি মেয়েরা শরীরে শুধু আবেগই ধারন করে না, নিছক জৈবিক চাহিদাও থাকে সেখানে? বলবেন, এমনও সময় আসে যখন তীব্র শোক, দুঃখ সব ছাপিয়ে শুধু স্পর্শের জন্যই কাঁদতে থাকে সেই শরীর? যুগল জীবনের উষ্ণতা আর নিরাপত্তা থেকে এক ঝটকায় একা হয়ে যায় যে নারী, তাকে কত যোজন মানসিক আর শারীরিক পথ পাড়ি দিতে হয়, তার হিসেব দেবেন? নাহ, বলা যায় নি। পড়াশোনায় তুখোড় মেয়েটা যখন ম্যাট্রিকের পরপরই মাস্তান এক ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তখনও যেমন কাউকে কিছু না বলে দিনের পর দিন ঘর বন্ধ করে মেয়েকে বুঝিয়েছেন আর মিনতি করেছেন, অথবা ফটোগ্রাফিপাগল ছেলেটাকে খুব সস্তা একটা ক্যামেরা কিনে দেবার সামর্থ্যও ছিলো না বলে এক বিদেশীর বাড়িতে কিছুদিন বাচ্চা রাখার কাজ করেছেন যেমন কাউকে কিছু না বলে, তেমনি নিজের অতি ব্যক্তিগত কষ্ট আর অভাবগুলোকেও আস্তে আস্তে পোষ মানাতে শিখে গেছিলেন একা একাই। কাউকে কিছু না বলেই।
তা এখন তো সে সব অনেএএক দূরের কথা। অনেকটা পথ তো এসেছেন এই আটত্রিশ বছরে। ছেলে মেয়ে দু’টোই ডাক্তার হয়েছে, বিয়ে করেছে, বাচ্চাটাচ্চাও হয়েছে, ভালোই আছে। আছে তো? নাকি আসলে নেই ভালো? মাঝে মাঝেই সুলতানার ভয় করে বড়। অতি দীর্ঘ এই পথ পেরিয়ে এসে যে নিশ্চিন্তি চায় মন, সে আর পাওয়া হলো না। ঐ প্রসঙ্গটা নিয়ে ছেলেমেয়ের সাথে কোন কথা হয় না, হওয়ার কিছু আর নেই বলে। কিন্তু, ওদের দুজনের চোখে হটাৎ হটাৎ যে দৃষ্টি ঝিলিক দিয়ে যায়, দেখলে বুঝতে পারেন ওরা ভোলে নি মোটেই। এ দৃষ্টি তিঁনি চেনেন। এর উৎস কোথায় জানেন। অদ্ভুত, অসহায় একটা অক্ষম ক্রোধ আর হতাশা আর কান্না মিলে গেলে মানুষের চোখ ওরকম দ্যাখায়। তবে কি তিঁনিই কোন ভুল করেছিলেন? তাঁরই কি মায়ের দায়িত্ব পালনে কোন ঘাটতি ছিলো? নাহলে সব ঠিক হয়েও কেন ঠিক হলো না কিছু? মেয়েটা কেন এমন হতাশাবাদি হলো। হাসিখুশি, আমুদে ছেলেটা কেন মাঝে মাঝে এমন ভয়ংকর রেগে যায়। রীতিমতো ভাংচুর করা রাগ। এবং আপাত দৃষ্টিতে তেমন বড় কোন কারণ ছাড়াই। কয়েকবারই ছেলে আর ছেলে-বউ এর মনোমালিন্যের মধ্যস্থতা করেছেন সুলতানা। ইদানিং অন্য অনেক কিছুর মতোই আর সেটাও করতে ইচ্ছে করে না । এবার উনি ছুটি চান। আর কতো!
খবর চলছে এখন। আজকে সারাদিনে কোথায় কোথায় কীভাবে দিনটা উদযাপিত হলো, সাড়ম্বরে দেখাচ্ছে সেটা। খবর দেখতে দেখতেই আবারও পুরোনো সেই সাথী এসে টোকা দিলো - ভয় করতে লাগলো তাঁর। ছেলেটাও যে এ সময়ে খবর দ্যাখে। আর এই খবর দেখলে কী তান্ডব সে শুরু করবে, ভাবতেও হাত পা হিম হয়ে আসতে চায়। ফোনটা হাতে নিয়েও চুপ করে বসে থাকেন। ছেলেটাকে একটা ফোন করা খুব দরকার। বাবার কোন স্মৃতিই নেই ওর। শুধু ছবি দেখে দেখে আর বছরে একদিন মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে করে ও বড় হয়েছে। আটত্রিশ বছর ধরে এই কষ্টটা বয়ে বেড়াচ্ছে ও। নিজে বাবা হবার পর সে কষ্ট বরং বেড়েছে আরো। সাথে বেড়েছে রাগ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ইসলামী ছাত্র শিবির বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মিছিল করেছে - ব্যানার নিয়ে, শ্লোগান দিয়ে। পরিচিত যে ছেলেটা পাকিস্তানী আর্মিকে বাড়ি চিনিয়ে এনেছিলো, তাঁর স্বামীর চোখ বাঁধতে সাহায্য করেছিলো, তাকেও দেখালো এক ঝলক। ওই সময়টায় ইউনিভার্সিটি পাড়ার আশেপাশেই দেখতেন তাকে। আর, ইদানিং দেখেন টিভিতে। আটত্রিশ বছরে বয়স বেড়েছে লোকটার, আকৃতি পাল্টেছে, কিন্তু অবিকৃত প্রকৃতি নিয়ে টিকে গ্যাছে ঠিক। খুব অবাক হন না। তেলাপোকাদের বিস্ময়কর অভিযোজন ক্ষমতা স্কুলেই তো পড়িয়েছেন কতবার।
চুপ করে বসে থাকেন কিছুক্ষণ। এদিক ওদিক তাকান, হাতে ধরা ফোনটা দ্যাখেন কয়েকবার। কত কথা, কত দাবী, কত আন্দোলন, কত প্রতিশ্রুতি - কিন্তু সবকিছুর শেষে এ যে কী ভীষণ ব্যক্তিগত, কী ভীষণ স্থায়ী আর গভীর এই ক্ষত, কী কঠিন ভালোবাসার মানুষটাকে আর কোনদিন দেখতে না পাওয়ার উপলব্ধি, তা বাইরের কেউ বুঝবে না। সে চেষ্টা তিঁনি কখনও করেনওনি তাই। কিছুই আসলে বলার নেই দেখে সুলতানা এবার ফোন রেখে তেলাপোকা মারার ওষুধটা নিয়ে রান্নাঘরের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। যেমনটি হাঁটছেন তিঁনি সেএএএই কবে থেকে, একা একাই।
মন্তব্য
লেখা খুব ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ, Tusar
ও দিশা, বারান্দার উত্তর-পশ্চিম কোনায় দাঁড়িয়ে একটু আকাশটা দেখোতো! আজকে ওইদিক দিয়ে সূর্য উঠেছে মনে হয়!! আজতো দেখি বড়ই মজা!!!
আইসক্রীম দে ভেনিয়া কাশ্কিনকে! আইসক্রীম দে!!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আহা, দিশাকে আবার টানাটানি করা কেনু? আপনার সাথে থাকতে থাকতে তার কি আর দিগ্বিদিক জ্ঞান ঠিকঠাক আছে, না থাকা সম্ভব!!
ইয়ে, ভেনিয়া কাশকিনটা কে? কষ্ট মষ্ট করে লিখলাম আমি, আর আইসক্রীম পাবেন তিনি? বাবা ষষ্ঠীচরণ, ওষুধপত্র ঠিকঠাক খাচ্ছেন তো?
ঠাক্মা, দিশার দিগ্বিদিক্ জ্ঞান থাকুক আর নাই থাকুক আপনার জ্ঞান যে এই বয়সেও বেশ টন্টনে আছে তা বেশ বুঝতে পারছি। তবে সমস্যাটা হচ্ছে সেটার লক্ষনটা টের পাওয়া যায় বছরে একবার/দু'বার - যখন পোস্ট দেন আর কি!
ভেনিয়া কাশ্কিনকে আপনি না চিনলে কি চলে? এই ছবিটা দেখুন তো কিছু মনে পড়ে কিনা দেখুন। মনে না পড়লে বাতের ওষুধের সাথে সাথে ব্রেইন টনিকও নিয়মিত খান। তখন বুঝবেন আইসক্রীম কেন ভেনিয়া কাশ্কিনের প্রাপ্য!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ষষ্ঠীচরণণণণণণ!!!! এ যে আমার কী ভীষণ প্রিয় এক বই! আমি পড়েছিলাম বাংলায় -'পেন্সিল আর সর্বকর্মার আয়ডভেঞ্চার" নামে। ইসসসস, কত্তদিন পর আবার ঐ ছবিটা দেখলাম! এটা, 'উভচর মানুষ', আর 'ম্যালাকাইটের ঝাঁপি' - এই তিনটা খুব পছন্দের ছিলো।
তেলাপোকা টিকে থাকে শুধু তার অভিযোজন ক্ষমতার জন্যই না, বাসার মানুষদের অবহেলাও সেখানে দায়ী। সময়মত ওষুধ ছিটালে, তেলাপোকার বিচরণক্ষেত্র ধ্বংস করলে আর ওদের খাবার-দাবার বন্ধ করে দিলে তেলাপোকা বাড়তে পারার কথা না। অথচ আমরা এই আটত্রিশ বৎসর ধরে তেলাপোকাদের তেলচুকচুকে হয়ে বেড়ে ওঠার সব আয়োজনই অক্ষুন্ন রেখেছি। এই জঞ্জাল তাড়াতাড়ি সাফ না করলে আমাদের বাসা স্থায়ীভাবে পোকা-মাকড়ের ঘর-বসতি হয়ে যাবে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
একদম!
বহুদিন পর লেখা আসল স্নিগ্ধা'পু-র কাছ থেকে।
আমরা তো ভাবছিলাম আপনার কী-বোর্ড বোধহয় চুরি গেছে--- সেইজন্যেই লেখেন না। যাক স্বস্তি পেলাম---চুরি যায় নি এখনো।
গল্পটা নিয়ে বেশ কিছু ভাবনা মাথায় উঁকি দিয়ে গেল।
কাহিনীটা হয়ত খুব একটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু গল্পকারের চ্যালেঞ্জটা ঐখানেই। সাধারণ আটপৌড়ে ঘটনাকে গল্পে রূপ দেয়া। চেনা একটা দৃশ্যের ভেতর থেকে অচেনা আলো বের করে নিয়ে আসা। একেবারে 'নতুন কিছু' লেখার চেষ্টা করতে গিয়ে, গল্পের গরুকে তালগাছ নয়, একেবারে সিয়ার্স টাওয়ারে তুলে দিয়ে চমক সৃষ্টি করতে হবে--এমন কোন কথা নেই। তাতে গরুটার কষ্ট বাড়ে আর পাঠকদের বাড়ে ক্ষোভ।
আপনার গল্পটা ভাল লাগার মূল কারণটা এইখানেই। গল্পে কোন কষ্ট-কল্পিত দৃশ্যের সামনে পড়তে হয়নি। সংগ্রামী এক মানুষের অন্তরে বাহিরে যুদ্ধ করে যাওয়ার কাহিনী।
আমার কাছে গল্পটার যে অংশ একটু 'স্ফীত' মনে হয়েছে সেটা হল শেষের অংশটা।
আমি অন্যদের কথা জানিনা, এইটা কেবল আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বলছি----কেন জানি মনে হল, এখানটায় এসে আপনি গল্পের নাম করণের সার্থকতা প্রমাণ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই কি?
এইটুকু বাদ দিলে, গল্পটা আমার ভাল লেগেছে। শুরুতেই যেমন বলেছি, কাহিনীর চাইতে লেখার প্রসাদগুণই টানে আমাকে বেশি।
আর একটা ছোট্ট আবদার, আরেকটু নিয়মিত হলে কী হয়??
শুভেচ্ছা নিরন্তর----
অনিকেত, অন্যদের লেখার দুর্বলতা বা ভালো ব্যাপারগুলো যত সহজে আমার চোখে পড়ে, নিজের লেখার ক্ষেত্রে কেন যে পড়ে না! সমালোচনার জন্য তাই অনেক ধন্যবাদ বাংলায় সুন্দর করে আপনি যেটাকে "স্ফীত" বা "ব্যতিব্যস্ত" বললেন, ইংরেজীতে সেটাই আমার হচ্ছিলো 'টেনশন' এর রূপ ধরে - আসল মেসেজটা দিতে পারলাম কি, বোঝাতে পারলাম কি ...... অতএব।
আবারো, ধন্যবাদ!
প্রখরা রমণীটিকে ডরাই....
যথেষ্ট আদব ও তমিজের সঙ্গে শুধু জানাচ্ছি ভাল্লেগেছে!!
--------------------------------------------------
"আমি তো থাকবোই, শুধু মাঝে মাঝে পাতা থাকবে সাদা/
এই ইচ্ছেমৃত্যু আমি জেনেছি তিথির মতো..."
*সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
কী মুশকিল, আমার এই রেপুটেশন!!!
পড়ার জন্য, যথাবিহিত আদব ও তমিজের সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
গার্হাস্থ বিলাসিতার কথা ভাবতে শুরু করতেই কাহিনী অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
লেখা ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকেও
ভালো লাগলো গল্পটি
--------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ধন্যবাদ, মউ
ভালো লাগলো। দারুণ বর্ণনা।
তবে,
এই বাক্যটা বাহুল্য মনে হল।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা
আর বলবেন না, অল্প কথায় বলতে আমি পারিই না - অনিকেতকে দেয়া উত্তরটা পড়লেই বুঝবেন। ধন্যবাদ
খোমাখাতায় কোথাও কমেন্ট চালাচালিতে সম্প্রতি অনুযোগ করেছিলাম, "স্নিগ্ধাপা সচলের সবচেয়ে অনিয়মিতদের একজন।" সে মন্তব্য যেন আর করতে না হয়...
ভালো লেগেছে।
_________________________________________
সেরিওজা
এহহহহহ! আপনি বলসিলেন "স্নিগ্ধা আপা সচলে সবচেয়ে অলসদের একজন" - কথাটা এতোই সত্যি আর সচলের বাইরেও এতো সত্যি যে, প্রতিবাদও করতে পারি নাই (দীর্ঘশ্বাস)।
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
মাননীয়া পদিপিসী,
অদ্য আপনি লিখিয়াছেন, ইহাতে আমি যে কি পরিমাণ খুশি হইয়াছি তাহা বলিতে পারি না৷ গল্পটি বেশ ভাল লাগিল৷
পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করি আপনার কিবোর্ড উথলিয়া পড়ুক, মাউস ভরিয়া উঠুক শব্দরাজিতে৷
আমেন!!
ইতি
প্রণতা খেঁদি
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
'দন্তময়ী'দিদির অ্যাপ্লিকেশনটা বাঁধিয়ে রাখার মতো !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
স্নেহাষ্পদেষূ (........., ..........) মা খেঁদি,
চিঠিপত্র আজকাল আর ঠিকমতো পড়িতে পারি না, দুই চক্ষেই ছানি পাকিয়াছে। গেঁটে বাত বিধায় কম্পিউটার কাখে করিয়া পাশের বাড়ির ক্যাবলাকে দিয়া যে পড়াইয়া লইব, পরম করুণাময় সেই উপায়ও আর রাখেন নাই। এমতাবস্থায় পত্র মারফৎ কোন প্রশংসাবাক্য বা প্রার্থনাবাক্য প্রেরণ না করিয়া (in other words, আমার হ্যাঁপা আর না বাড়াইয়া) পাঁচটিশত ডলার মানিঅর্ডার করিয়া পাঠাইয়া দিলেই আমি সওওওব মেসেজ বুঝিয়া পাইবো। বেহুদা প্রণতা না হইয়া ট্যানজিবল্ কিছু প্রণামী পাঠাইবার একটি রীতি সমাজে অতিসত্ত্বর চালু হউক, এই কামনায় ............
আশির্ব্বাদিকা
পদি পিসীমা
এক ঢিলে কয়েকটা পাখি মারার মতো গল্প।
নিঃসঙ্গতা, যুদ্ধপরাধের বিচার কিংবা একাকী জীবনের সংগ্রাম - এক সাথে সব ক'টা পাখিকেই ঢিল ছুড়েছেন।
সব ক'টাই যে মরে ভূত, তা বলাই বাহুল্য
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ডিসেম্বর মাসে ফেইসবুকে কারো দেয়া একটা লিঙ্কের কারণে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ইসলামি ছাত্র শিবিরের 'বিজয় মিছিল'এর ছবি দেখি। যাদের '৭১ এ অতি আপনজনকে রাজাকারের দল পাকিস্তানী আর্মির সাথে মিলে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো - তাদের এসব দেখলে কেমন লাগে??
মিষ্টি, মিষ্টি কথা (তোমার মুখে যা কাঁঠালের আমসত্ত্বের মতোই দুর্লভ এবং বেমানান ) বলার জন্য ধন্যবাদ
আপনার আগের লেখাটা আপ করেছেন ঠিক ছয়মাস আগে। সিরাত আর তুলিরেখা আপামণির কাছ থেকে চার্জ নেন। আমার থেকে ও নিতে পারেন। তিন মাসের মধ্যে আমি ৪৭টা পোস্ট আপ করেছি।
লেখা ভালু পাইলাম।
শুভাশীষ, সত্যিই?? তিন মাসে ৪৭টা পোস্ট! হা হা - এ তো পুরাই অটোমেটেড রাইটিং মেশিন দেখি
পড়ার জন্য ধন্যবাদ!
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তেলাপোকাকে 'তেইল্যাচোরা' কয়।
আরে এ কী কাণ্ড! আপনার আই ডি হ্যাক হলো নাকি, নইলে আপনি একটা গোটা গল্প, একেবারে আস্তো একটা গল্প লিখে ফেললেন? হিসেবপত্র সব যে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেলো !
গল্প বড়োই ভালো লেগেছে, তবে সবাই মিলে সব কথাই মন্তব্যে বলে দিয়েছেন, আমি লেটলতিফ পাঠক, আমার জন্য কিছুই পড়ে নেই। যাক, লিখুন আবার শিগগির।
অফটপিক: মূলো'দা আপনি কোথায়? আপনাকে সচলে মিস করছি...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
দৌড়ে দৌড়ে জান কয়লা, এখন আমি নিজের নাম সার্থক করে শুধু পড়ি, মূলত পাঠের বেশি কিছু করা হয় না। মাঝে মাঝে মাথার মধ্যে লিখি কেবল, সে আর টাইপ করা হয়ে ওঠে না।
হিসাবপত্র একটুও লণ্ডভণ্ড হয় নাই, আপনি (না) লেখা নিয়ে আমাকে যত্ত বাজে কথা বলসেন সওওব হিসাব রেখে দিসি। যথাসময়ে ......
আপনার মন্তব্যের ধরন আমি চিনি, গল্পটা বিশেষ ভালো লাগে নাই (এমন কিছু ভালো হয়ও নাই), কিন্তু তাও বন্ধু হিসাবে একটু অভিনন্দন জানালেন। সেটার জন্যই অনেক ধন্যবাদ
স্নিগ্ধাজী,
অসাধারণ মুনশিয়ানায় লেখা গল্প। আপনার সব লেখাই খুব জ্যান্ত। স্পন্দন ছোঁয়া যায়, জীবনের তাপ চোখে মুখে এসে লাগে উষ্ণ বাষ্পের মতন।
শুধু একটাই অনুযোগ! আপনি এতদিন পর পর লেখেন বলে মনে ভারী কষ্ট হয়, যদি আরেকটু ঘন ঘন লিখতেন!
ভালো থাকবেন।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
তুলিরেখা, আপনি যতই না কেন অস্বীকার করুন, আমার খুব ধারণা আপনি মানুষটাও আপনার লেখারই মতন, নরম সরম এবং মায়াময়! এমনভাবে মন্তব্যটা লিখেছেন যে আমা হেন পাষণ্ডেরও মনটা গলে তো গেলোই, এমনকি ঘন ঘন লেখার একটা ইচ্ছেও প্রায় হয়ে বসেছিলো!
ভালো থাকবেন, আর অনেক লিখবেন
স্নিগ্ধা'পু, মুগ্ধ হলাম।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
ধন্যবাদ
আপুনি, আপনাকে কি কইলে আপনি চেতে না গিয়ে একটু নিয়মিত হবেন?
লেখা সেরাম...
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আরেহ্, কী মুশকিল! আমি কি খালি খেপে যাই নাকি? রাগী একটু আছি ঠিকই, কিন্তু ব্লগে তো আমার খাইসলত যথাসম্ভব চেপেচুপে রাখি, তাওও বোঝা যায়?
ধন্যবাদ
ভাল লাগল । অনেকদিন পর আসলেন যে?
ধন্যবাদ, অনিন্দিতা
গল্পটা পড়লাম । গল্পে এক সাথে কয়েকটা বিষয় বেশ স্বার্থকভাবেই এসেছে । একজন নারীর একাকীত্ব,অসহায়ত্ব আর তার একাকী সংগ্রাম । গল্পের প্রায় শেষদিকে এসে পেলাম মুক্তিযুদ্ধ ও । আর তাঁর 'ভয়' বোধ হয় এমনি প্রতিটি সংগ্রামী নারীর এক গোপন আততায়ীর মত, যা বাইরে থেকে দেখা যায় না । কেউ দেখেনা । সারাক্ষণ একজন আরেকজনকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টায় থাকে । কখনো 'ভয়' নামক আততায়ী জিতে কখনো সেই সংগ্রামী নারী !
লেখাটা চমতকার লেগেছে ।
সুমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, নন্দিনী
সচলে স্বাগতম!
-------------------------
ওলো সুজন আমার ঘরে তবু আইলোনা
এ পোড়া মনের জ্বলন কেন বুঝলোনা!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কে, কাকে, কী বলে!!
মনটা খারাপ হয়ে গেল!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
কতোদিন পরে এলে
একটু বসো...
...........................
কেউ আমাকে সরল পেয়ে বানিয়ে গেছে জটিল মানুষ
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
বসলাম, তারপর? আমার চা মিষ্টি কই???
এর আগেও আপনাকে বলেছিলাম মনে হয়, গল্প লিখবার আশ্চর্য এক টেকনিক আপনি রপ্ত করে নিয়েছেন; নিয়ে, বসে আছেন , যে, আপনাকে তাই, ' সচলে স্বাগতম' এটা জানাতেই হচ্ছে ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
সুপান্থ, এই কথাটা কেন যে বলেন! সিরিয়াসলিই অবাক হই!
আপনারও তো লেখা পাওয়া যায় না আজকাল বিশেষ, 'স্বাগতম' জানানোর সময় সমাগত প্রায়
ভালো লাগলো গল্পটা... দারুণ... চমৎকার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ধন্যবাদ
গল্প ভালো লাগলো স্নিগ্ধা আপু।
ধন্যবাদ
আমার 'সচলায়তনে ঘোরাঘুরি 'জীবনে এই প্রথম আপনার কোন লেখা পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে! মুগ্ধ হবার মতন লেখা!
___________________________
শান্তিও যদি সিংহের মত গর্জায়, তাকে ডরাই।
--নরেশ গুহ
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বলেন কী! ধন্যবাদ, যদিও
আমারও একেবারেই প্রথম পড়া হ'লো আপনার এমন পূর্ণাঙ্গ লেখা। বড্ড দেরি হয়ে গ্যালো আসতে। কী জানি আপনিই আর এই লেখার বাটে আসেন কি না আদৌ ঘুরে! তবু, ব'লে যাই, অন্য সব তীক্ষ্নতার মতোই অসাধারণ লেখনী আপনার।
এমন একটা সহজ অথচ অনবদ্য সুন্দর কিছু আমি বোধ করি জীবনেও লিখতে পারবো না!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সাইফুল, এতোখানি প্রশংসার যোগ্য আমি মোটেই নই, এ বরং আপনারই ঔদার্য্যের পরিচায়ক! ভালো লেগেছে জেনে, ভালো লাগলো
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ভালো লেগেছে গল্পটা।
পোস্টসংখ্যায় আপনাকে প্রায় ধরে ফেলছিলাম, এই সময়ে আপনার সংখ্যাটা এক বাড়িয়ে ফেল্লেন!
হা হা - যতই চেষ্টা করুন না কেন, সৎকার্যে আমি সবসময়ই এগিয়ে থাকবো, আমি মানুষটা বড্ডই ভালু কিনা
আমি যে আপনার অফিসিয়াল পাংখা সেটা অফিসিয়ালি জানিয়ে গেলাম
গল্পটা ভাল লেগেছে কিন্তু কিজানি একটা মিসিং
আর বেশি বেশি লিখুন প্লীঈঈজ...
এতটা জীবন ঘেমে কাটিয়ে অবশেষে আমার একখান পাংখা জুটলো, আর আমাকে পায় কে
ঠিক। আমার নিজের ধারণা গল্পটার বুনোট খুব শক্ত হয় নি। হয় আরো একটু বড় করে, ছোট ছোট কিন্তু তীক্ষ্ণ কিছু বাক্যে বক্তব্যটাকে আরো একটু পরিণত করা উচিত ছিলো, অথবা একদম অন্য স্টাইলে, আরো আটপৌরে ধাঁচ দিয়ে শেষে subtle একটা মেসেজ দেয়া যেতো। কিন্তু, মুশকিল হচ্ছে, কোনটাই আমি পারি না যে!
গল্পটার কন্সেপ্ট অসাধারণ। কিন্তু একটানা বলে না গিয়ে মনে হয় মাঝে একটু ভাংচুর করে দেয়া যেত। হুম, আরও ঠাসঠাস টাইপ বাক্যও দেয়া যেত। ধুর আমি যে কেন বলছি!!?? এত মাতবরি ফলানো মোটেও ঠিক হচ্ছেনা (কানে ধরার ইমো হবে)
আপনার লেখা সবসময়ই আগ্রহ নিয়ে পড়ি।
তেলাপোকাদের নিয়ে এই গল্পটি ভাবালো। মূল বক্তব্যটি পরিস্কার। রাজাকারের জান শক্ত।
তবে আমি এই গল্পে একজন পরিশ্রমী ও অধ্যবাসায়ী নারীকে ক্রমে ক্রমে স্বাবলম্বী হতেও তো দেখতে পেলাম। অনেক ত্যাগের মত সে নিজের প্রয়োজনকে অস্বীকার করেছে। গল্পে আপনি বাস্তব থাকতে চেয়েছেন, এবং থেকেছেন। যে সমাজ তেলাপোকা - রাজাকারদের মেরে ফেলেনি, সেই একই সমাজ এই মহান নারীর ত্যাগ ও স্বাবলম্বনের প্রতিদানে দিয়েছে শুধুই নিঃসঙ্গতা।
তেলাপোকাদের চাইনা। নারী স্বাবলম্বী হলেই যে তাকে তিক্ত এককিত্বে হাঁটতে হবে, এমনটাও চাই না।
আসলে গল্পটাতে আমি ঠিক সমাজ ঐ নারীকে তাঁর ত্যাগ এবং স্বাবলম্বনের প্রতিদান হিসেবে নিঃসঙ্গতা দিয়েছে, এটা দেখাতে চাই নি। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, কিন্তু যাদের অতি প্রিয়জন কেউ '৭১ এ মারা যান নি - বিশেষ করে যারা রাজাকার তথা জামাতে ইসলামী তথা ওরকম কোন বিশ্বাসঘাতকের কারণে পাকিস্তানী আর্মিদ্বারা নিহত হন নি, তাদের জন্য এই চাওয়াটা একটা নীতিগত অবস্থান থেকে ন্যয়বিচারের দাবী, মনুষ্যত্বের দাবী। আর, যাদের অতি প্রিয়জনকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে গেছে? তাঁদের কেমন লাগে, যখন ঐ প্রচন্ড ব্যক্তিগত কষ্ট আর শোক নিয়ে এতোগুলো বছর কাটাতে হয় আর টিভিতে ওই তেলাপোকাদের জয় জয়কার দেখতে হয়? আমাদের জন্য ধরুন 'শহীদ বুদ্ধিজীবি', তাঁদের যে সর্বঅর্থেই 'জীবনসঙ্গী'।
বাস্তবতা এটাই যে অনেক মহিলাই এরকম ক্ষেত্রে বাকিটা জীবন একাই থেকে যান - পরিস্থিতির কারণেই হোক অথবা স্বেচ্ছায়ই হোক। অবশ্যই আমিও কামনা করি, তিক্ত একাকীত্বে কারুর হাঁটতে না হোক। একটাই জীবন, সুখী হবার অধিকার সবারই আছে, যাইই ঘটুক না কেন। কিন্তু, আমার জানা দু'জন আছেন - যাঁরা আজও একাকী, সেই ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে।
ধন্যবাদ, সুমন্তব্যের জন্য
ভালো লাগল।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ
আপা, প্রিয়তে নিলাম। যদি কখনও হাঁপিয়ে ওঠার মত পরিস্থিতি হয় তবে আপনার এই লেখা আমাকে শক্তি দেবে।
================================================
পরদেশী বঁধু, ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।
যদি গো নিশিথ জেগে ঘুমাইয়া থাকি,
ঘুম ভাঙায়ো চুমি আঁখি।।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ইসলামী ছাত্র শিবির বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মিছিল করেছে - ব্যানার নিয়ে, শ্লোগান দিয়ে। পরিচিত যে ছেলেটা পাকিস্তানী আর্মিকে বাড়ি চিনিয়ে এনেছিলো, তাঁর স্বামীর চোখ বাঁধতে সাহায্য করেছিলো, তাকেও দেখালো এক ঝলক। ওই সময়টায় ইউনিভার্সিটি পাড়ার আশেপাশেই দেখতেন তাকে। আর, ইদানিং দেখেন টিভিতে। আটত্রিশ বছরে বয়স বেড়েছে লোকটার, আকৃতি পাল্টেছে, কিন্তু অবিকৃত প্রকৃতি নিয়ে টিকে গ্যাছে ঠিক। খুব অবাক হন না। তেলাপোকাদের বিস্ময়কর অভিযোজন ক্ষমতা স্কুলেই তো পড়িয়েছেন কতবার।
অসাধারন ভালো লেগেছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরে! আপনি আবার কবে মন্তব্য করলেন! অনেক ধন্যবাদ
বর্ণনা সাবলীল লেগেছে...।
এদ্দিন পর?! আপনার মন্তব্যে খারাপ লাগা জানাবো, নাকি জানাবো না, নাকি জানাবো, নাকি ...............
ধন্যবাদ
হা হা
খুব ভালো লাগলো।
নতুন মন্তব্য করুন