তিথি (ছদ্মনাম) থাকেন ঢাকা শহরের একটি সরকারি কোয়ার্টারে। বাবা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনীর কর্মকর্তা। কলেজে পড়াশোনা করেন। হঠাৎ করেই তার নামে ফেইসবুকে একটি গ্রুপ খুলে ফেললো কারা যেনো। তার ছবি ব্যবহার করা হলো সেখানে। গ্রুপের নাম ‘তিথির (আসল নামটি আমরা বলছি না) প্রেমিক আমরা সবাই’। গ্রুপটিতে তার সম্পর্কে ভয়াবহ রকমের বাজে তথ্য দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার যতো রকমের চেষ্টা সবই চলতে থাকলো।
গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত এক তরুণ তার নিজের ফেইসবুক অ্যালবামে পরিবারের ছবি আপলোড করেন। কিন' ছবি আপলোড করার পরের দিনই তিনি দেখতে পান তার স্ত্রীর ছবিতে শরীরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় ফেইসবুকের একজন সদস্য ট্যাগ করে অশ্লীল মন-ব্য করেছে। তরুণ গণমাধ্যমকর্মী খুঁজে বের করেন, এই অপকর্মের হোতার বাড়ি বগুড়ায় এবং ঢাকার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চালায়। ছবি থেকে ট্যাগ মুছে তার মোবাইল নম্বর খুঁজে বের করে তাকে ফোন করা হলে সে জানায়, তার ফেইসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য এক বন্ধুর কাছে ছিলো। কাজটি সে করেছে এবং এর জন্য সে দুঃখ প্রকাশ করে। এর চেয়ে বেশি কিছু করার কোনো উপায় ঘটনার শিকার গণমাধ্যম কর্মীটিও পেলেন না। শুধু ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করলেন। কিন' সেই সদস্য এখনো ফেইসবুকে বহাল তবিয়তে।
ওপরের দু’টি ঘটনাই বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও পরিচিত সামাজিক যুথবদ্ধতা সংক্রান- সাইট ফেইসবুকের। এ দু’টি প্রতিনিধিত্ব করে ওইসব অসংখ্য ঘটনার যার মাধ্যমে এই সাইটটিতে প্রতিদিন নীরবে ঘটে চলেছে নারীর ওপর মানসিক নির্যাতন। জনপ্রিয় এই সাইটে আমাদের দেশের হাজার হাজার মানুষও নিয়মিত অন-র্জালিক বন্ধুত্ব খোঁজেন। নিজের নাম গোপন রেখে শুধুমাত্র ইমেইল পরিচিতি ব্যবহার করে ছদ্মনামে ফেইসবুকে অ্যাকাউন্ট খুললেও তা কার্যকর হয়। সেই সুযোগ নিয়ে ছদ্মনামে ফেইসবুকে ঢুকে নারীদের নাম, ছবি ব্যবহার করে তাদের সামাজিকভাবে বিব্রত করার জন্য গ্রুপ খোলা হয়। সেখানে জুড়ে দেয়া হয় তাদের অসতর্ক মুহূর্তে তোলা ছবিও। যেহেতু ফেইসবুকে ব্যবহৃত নাম ধরে সদস্য খুঁজে বের করা দুস্কর, তাই নিজ নাম ব্যবহার করে অনেককেই নারীদের ছবিতে আজেবাজে মন-ব্য ও নানা অশ্লীল ট্যাগ জুড়ে দিতে দেখা যায়। ফেইসবুকে ব্যবহারকারীকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘসূত্রিতায় আক্রান-। ফলে বারবার রিপোর্ট করার পরেও এ ধরনের ব্যবহারকারীরা বহাল তবিয়তেই রয়ে যান।
‘তিথির প্রেমিক আমরা সবাই’ বলে যে গ্রুপটির কথা শুরুতেই বলা হয়েছে, সেই গ্রুপটিতে সদস্য হয়েছেন এ পর্যন- ৩৭ জন। সদস্য হবার পরে অনেক সদস্যই এই গ্রুপের কাজকর্ম সম্পর্কে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। কিন' গ্রুপের নির্মাতারা প্রকাশ্যে তিথির ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহার করে জানাচ্ছেন, তিথি প্রেমিক বদল করেন বলে সবাইকে সতর্ক করতে তারা এই গ্রুপ খুলেছেন। যতোরকমের অশ্লীল মন-ব্য একজন নারীকে নিয়ে করা যায়, তার কোনোটিই এই গ্রুপে বাদ রাখেননি উদ্যোক্তারা। গ্রুপের ধরন এবং এতে তিথির যেসব ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, তা থেকে ধারনা করা যায়, তিথির একসময়ের ঘনিষ্ঠ কেউ কোনো কারণে রুষ্ট হয়ে প্রতিশোধ নিতেই এই গ্রুপ খুলেছেন। পুর্ণিমা আহমেদ এবং তারিন জাহান নামের দুই ফেইসবুক সদস্য এই গ্রুপ খুলেছেন। প্রোফাইল থেকে দেখা যাচ্ছে, এগুলো তাদের প্রকৃত নাম বা পরিচয় হবার সম্ভাবনা ভীষণ কম। শুধুমাত্র এই একটি গ্রুপ খোলার জন্যই এই সদস্যরা ফেইসবুকে এই নামগুলো ধারন করে ফেইসবুকে প্রবেশ করেছেন। ফলে তাদের অসি-ত্ব খুঁজে বের করা মুশকিল। কিন' যে নারীটিকে নিয়ে এই গ্রুপ তার ছবি তার অনুমতি ছাড়াই এভাবে ব্যবহার করায় তিনি রীতিমতো গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এইরকমই আরেকটি গ্রুপ রয়েছে যার শিরোনামটিও এতোই অশ্লীল যে লিখা মুশকিল। ধরে নিই এই গ্রুপটির নাম ‘শয়তানি’। গ্রুপটির ধরনের ছকে একে ‘বিজনেস- মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভার্টাইজিং’ বলে উল্লেখ করা হলেও সেই উদ্দেশ্য যে আসলে তাদের নয়, তা বোঝা যায় গ্রুপটি একনজর দেখলে। এখানে একজন নারীর ছবি ও নাম ব্যবহার করে তাকে সামাজিকভাবে যতোভাবে সম্ভব হেয় করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। গ্রুপটির ক’টি দেয়াললিখা (ওয়াল পোস্ট) দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সেখানে জানুয়ারির ২২ তারিখে মাসুম আলী নামের একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী গ্রুপে প্রবেশ করে লিখে দেন, ‘ইউ গাইজ হাভ ডান এ গ্রেট জব (তোমরা খুব ভালো একটা কাজ করেছো)।’ পরের দিন নওয়ার আসগর নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘ওর (নারীটির) বয়ফ্রেন্ড একটা চাপাবাজ’। আমিনুল মোহাম্মদ ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, ‘এইটা কে? চেহারা ভালো দেখা যায় না!’ এর জবাবে ইফতেখার আহমেদ নামে একজন লিখেছেন, ‘নো ওরিজ ডুড (কোনো চিন-া নাই), কিছুদিন পর ওর (নারীটির) ছবি আপলোড করবো। এখন এডিট করছি।’ বোঝাই যায়, নারীটিকে হেয় করতে কোমর বেঁধেই নেমেছেন এই গ্রুপের সবাই। গ্রুপ তৈরি করেছেন আকাশ আকিব ও মামুন আহমেদ নামে দুই সদস্য। বলা বাহুল্য এই দু’জন তাদের প্রকৃত নাম ব্যবহার করেননি বলেই তাদের প্রোফাইল দেখে ধারনা করা যায়। ‘হটক্লাব’ নামের একটি গ্রুপ রয়েছে, যেখানে একজন নারী নয়, বেশ কয়েকজন নারীর অসতর্ক মুহূর্তের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে রয়েছে নানা অশ্লীল ইঙ্গিতও।
ফেইসবুকে এই গ্রুপগুলোর মতো অসংখ্য গ্রুপ রয়েছে। এগুলোর বিবরণই বলে দেয়, প্রতিনিয়ত নারীদেরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এখানে কীভাবে নিপীড়িত করা হচ্ছে। এর বাইরেও কমন ইন্টারেস্ট- সেক্সুয়ালিটি ধরনের (ক্যাটাগরি) আওতায় অসংখ্য গ্রুপ খোলা হয়েছে। এগুলোতেও আমাদের দেশের নারীদের ছবি আপলোড করা রয়েছে। এমনকি অনেক ছবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নারীদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বরও দিয়ে দেয়া হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক ছাত্রী জানান, তিনি তার কয়েকজন বন্ধুর অনুরোধে ফেইসবুকে ঢোকেন। অবসর কাটাতে ভালোই লাগতো। কিন' হঠাৎ করেই তিনি কিছু আপত্তিকর বার্তা তার মেইলবক্সে পেতে শুরু করেন। তিনি প্রোফাইল ছাড়াও অ্যালবামে নিজের কিছু ছবি ব্যবহার করেছিলেন। ছবিতে এতো আজেবাজে মন-ব্য আসা শুরু করলো যে তিনি বাধ্য হয়ে প্রোফাইল থেকে নিজের ছবি সরিয়ে নেন। আরো একজন নারীর খোঁজ মেলে, যিনি ইডেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী। কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন ইতিমধ্যে। হঠাৎ একদিন তার এক বন্ধু খোঁজ দিলেন যে, ফেইসবুকে তার কিছু আপত্তিকর ছবি দেয়া হয়েছে। ছবির সঙ্গে তার নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর তুলে দেয়া হয়েছে। সেই রাত থেকেই মোবাইল ফোনে উৎপাত শুরু হলো। বাধ্য হয়ে তিনি ঠিকানা ও মোবাইল ফোন নম্বর বদল করে রেহাই পান। তিনি বলেন, ‘সমস্যা যখন শুরু হলো, তখন দিশেহারা হয়ে গেলাম। বুঝতে পারলাম আমারই কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই কাজটি করেছে। কিন' কোথায় গেলে আমি এর প্রতিকার পাবো, বুঝতে পারলাম না। ফলে নিজেই নিজেকে গুটিয়ে নিলাম।’
ইতিমধ্যে ফেইসবুকে নারী নিপীড়ন প্রসঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন এই নেটওয়ার্কটির সদস্যরা। প্রায় আড়াই হাজার সদস্য মিলে একটি গ্রুপ খুলেছেন ‘স্টপ আনঅথরাইজড ইউজ অব গার্লস ফটোজ’ নামে। এই গ্রুপটির সদস্যরা ৬৩ জন ফেইসবুক সদস্যকে চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন, যারা নারী নিপীড়নমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত। বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকেই কীভাবে প্রতিরোধমূলক তৎপরতা চালানো যায় সেটিও ওই গ্রুপে সদস্যরা আলোচনা করছেন। এই গ্রুপটির এক সদস্য রেহনুমা সনম খন্দকার জানিয়েছেন, সমপ্রতি তার পারিবারিক কিছু ছবি কোনোভাবে তার ফেইসবুক অ্যালবাম থেকে চুরি করে রেহনুমা সনম নামেই আরেকটি অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি ছবিতেই রয়েছে আপত্তিকর ট্যাগ। রেহনুমা জানান, বারবার আপত্তি করার পরেও ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবস'া নেয়নি।
মন্তব্য
দুখঃজনক , আশাহীন, হতাশ মানুষেরা এইভাবেই হতাশা ছড়ায়...
ঠিক বুঝলাম না। একটু পরিষ্কার করে বলবেন?
দেখুন শিবলী নোমান, আসলে আমরা নিজেরাই এসব খারাপ কাজের জন্য জরিত। একটা কথা না বললেই না, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট গুলো কি খুব দরকারী কিছু!! অথচ দেখেছি, এই ফেসবুক, হাইফাইভ, মাইস্পেস আরো... এগুলোর মধ্যেই সবাই হুমরি খেয়ে পড়ে। কেন? প্রশ্ন একটা?
যেখানে আমরা সবাই জানি, এগুলো ফেইক, সেইখানে আমরাই বরং গিয়ে উপচে পড়ি। এটাই প্রবলেম, আমরা নিজেরাই নিজেদের খারাপ করছি। তবে কর্তৃপক্ষ কী করবে সেটা আসলেই বিবেচনার বিষয়। বিশ্বাস করবেন, উপরের সাইটগুলোতে আমার নিজের কোন আস্থা-বিশ্বাস কিছুই নেই, এবং কোন একাউন্ট ও নেই। দরকার কি বলুন?
হমম, দরকারি অবশ্যই । দেশের বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার এর থেকে ভালো উপায় নেই ।
আরেকটা কথা, সব দোষ নিজের ঘাড়ে চাপাতে নেই ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
'বিমুঢ়'এর কমেন্টের সাথে একমত না। 'আমরা সবাই খারাপ/জরিত' বলে সবাইকে এক কাতারে ফেলে সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার এ পদ্ধতিটা ভালো লাগলো না।
হাসিব ভাইয়ের সাথে একমত।
শিমূল ও হাসিব ভাইয়ের সাথে একমত পোষন করছি।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আপনার সঙ্গে পুরো মত মেলাতে পারলাম না। দু:খিত। আমার নিজের আস্থা বা বিশ্বাস না থাকলেই যে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে তাও মনে করি না। সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো জরুরি কিছু কি না, তা দীর্ঘ আলোচনাসাপেক্ষ বিষয়। তবে এটা ঠিক যে অনেক মানুষ এটা কিন্তু ব্যবহার করছেন। ফলে আমি চোখ বন্ধ করে জানালা কপাটে তালা মেরে সমস্যাটির সমাধান করতে পারবো বলে মনে করি না। @ বিমূঢ়
প্রাইভেসি সেটিংগুলো সবারই একটু খেয়াল করে সেট করা দরকার। ছবি আপলোড করতে গেলে সেটা বাই ডিফল্ট সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। শুধুমাত্র একটু সতর্ক হলেই এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।
এটাই সমাধান । প্রাইভেসি সেটিংস কনফিগার করে নেয়া ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি আমার স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের কিছু টিচারকে হেনস্থা করার জন্য বানানো গ্রুপও দেখেছি। যার কাছে শিক্ষা লাভ করে, তারই ছিদ্রান্বেষণ করে... আশ্চর্য। তাও মানা যেত যদি সত্য অভিযোগ হয়ে থাকতো.. না, শুধু শুধু.. ব্যক্তিগত কোন কারণে সামাজিক ভাবে তাকে হেয় করাই একমাত্র কারণ...
আমরা অনেকে মিলে রিপোর্ট করেছি, কোন লাভ হয়নি।
আরেকবার আমাদের স্কুলকে নিয়েই এমন হলো। ঐ গ্রুপটা এখনো আছে। আমাদের স্কুলে পড়ুয়া কিছু ছাত্রই নতুন স্কুলে গিয়ে এ কাজ করেছে। খুব দুঃখজনক। ফেসবুক এ কারণে বয়কট করাই ভালো মনে হয়।
প্রাইভেসি সেটিংসটা কতটুকু কাজ করে তা ঠিক জানি না। তা পুরোপুরি কাজ করলেও কিছুটা লাভ হয়।
দুঃখজনক !
ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক।
প্রকৃতিপ্রেমিকের সাথে একমত।
Privacy Setting এ সতর্কতামূলকভাবে লেখা, ছবি, প্রোফাইল ছবি, ইত্যাদি কাদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়। এদিকটা বিবেচনায় নিলে দুর্ঘটনা আরও কমে আসবে বলে মনে করি।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
বিষয়টা সত্যিই দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হবার মতোই...
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আমার প্রফাইল পিকগুলার মাজেজা বুচ্ছেন আশা করা যায়
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
চিন্তার বিষয় বটেই। নেটের ব্যবহার যত বাড়বে, এর অপব্যবহার গুলোও তত বেশি ক্ষতির কারণ হবে। সে হিসেবে লেখককে এই সময়োপযোগী বিষয়টি উত্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
মানুষের সামাজিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে প্রযুক্তির ব্যবহার তো নতুন নয়, বরং প্রযুক্তির বিকাশের সাথের এটা বাড়বেই।
সমস্যাটা আসলে প্রযুক্তি নয়, প্রযুক্তিকে কারা কি উদ্দেশ্যে আমাদের কাছে এনে দিচ্ছে সেটা খুটিয়ে দেখলেই সমস্যার গোড়ায় যাওয়া যাবে।
ফেসবুক একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, তার মুনাফা আসে মূলত বিজ্ঞাপন থেকে। মানুষের সাথের মানুষের যত বেশি রকমের ভাব বিনিময় হবে তত বেশি তাদের মুনাফা। সেই ভাব বিনিময় ধর্ষকের সাথে ধর্ষকের, খুনীর সাথে খুনীর, নাকি শিক্ষকের সাথে শিক্ষার্থীর, ভায়ের সাথে বোনের, সেটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা না থাকাই স্বাভাবিক (যদিও সুনাম রক্ষার্থে তারা কমপ্লেন-বুক টাইপের কিছু ব্যবস্থা রেখেছে)।
এই ভাব বিনিময় বৃদ্ধির লক্ষেই তারা ডিফল্ট প্রাইভেসি সেটিং গুলো সচরাচর এমন রাখে যাতে অবাধে একে অন্যকে দেখতে পারে। এখন আমরা যদি চাই তাদের ব্যবসায়ের লক্ষ্যে গড়া প্রযুক্তির সুফলও নেব কিন্তু অবাধে ব্যবসা করতে দেবনা (যেমনটা আমি করি), তাহলে কষ্ট করে ঐ প্রাইভেসি সেটং গুলোকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে হবে।
সমস্যা হচ্ছে আমজনতা এই ব্যাপারটা কতটা বোঝে? তারা তো ডিফল্ট সেটিং নিয়েই কাজ শুরু করে, নিজের অজান্তেই হরেক রকমের অপরাধের শিকার হয়।
সেক্ষেত্রে আপনার মত লিখে লিখে সচেতনতা বাড়ানো ছাড়া আমাদের আর কিইবা করার আছে?
ধনব্যাদ। অনেকাংশে একমত।
সচলায়াতনে স্বাগতম শিবলী । নিয়মিত হবেন আশা করছি ।
( অফটপিকঃ হাসান আজিজুল হক'র সাক্ষাতকারটা খুব ভালো হয়েছে )
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
ধন্যবাদ। নিয়মিত হবার আশা রয়েছে এই দফা।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এসব হয়রানি যারা করে তাদের মানসিকতা অত্যন্ত নিচু। অত্যন্ত নোংরা লাগে।
ফেসবুকে সিকিউরিটি সেটিংস ফুলপ্রুফ না। ধরেন আমি একটা ছবি দিলাম। আমার বন্ধু আপনি সেখানে একটা কমেন্ট দিলেন। তাহলে আপনার ফিড ধরে সেই অ্যালবামের ছবি যারা আপনার লিস্টে আছে তাদের কাছে উন্মুক্ত হয়ে যাবে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, আপনার চেনা কারও নাম ছবি নিয়ে কেউ রিকোয়েস্ট পাঠালো, আপনি অ্যাড করলেন, পরে জানা যায় ওই নাম ধরে কেউ একাজ করেছে। আর ছবির ব্যাপারটা আপেক্ষিক। একজনের কাছে যা সাধারণ আরেকজনের কাছে তা অন্যরকম। তাই কোন ছবি আপলোড করা যাবে না তাও বোঝা কঠিন।
পোস্ট ভালো লেগেছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
On run, please read this:
http://alamgir.info/node/40
আলমগীর ভাই, আপনার টেকনিক্যাল রেফারেন্স টা পড়লাম। ভাল লিখেছেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটা আপনি ভুমিকায় বলেছেন, সেটা নিয়ে বলি -
এখন বাংলাদেশের মানুষকে ফেসবুকের এই অরাজক-পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ কী কী আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে?
মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র আইন শৃঙ্খলার প্রয়োজনে বেশ অনেকদুর নিয়ন্ত্রন করতে পারে। এক্ষেত্রে যেহেতু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী, সেজন্য নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা সহজ (রাষ্ট্র এই নিয়ন্ত্রন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে, সেটা অন্য প্রসঙ্গ)।
ফেসবুকের মত ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বেশ কঠিন।
এব্যপারে some states ঠিক কিভাবে ফেসবুকের অবাধ কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রন করে সেটা যদি একটু বলেন, তো ভাল হয়।
বাংলাদেশে নেটের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে সাইবার ক্রাইমও বাড়বে, এর জন্য নিয়ন্ত্রনকারী নতুন আইন দরকার হতে পারে। বিদ্যমান আইন সম্পর্কে আমার বিস্তারিত ধারণা নেই, সেগুলো এসব আধুনিক অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কদ্দুর কার্যকর সেটা নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন।
শুধু সবাইকে "আপনার সেটিং ঠিক করুন" কিম্বা "এন্টি ভাইরাস ইনস্টল করুন" বলে দায়িত্ব সারলে তো হবে না। এটা বলা, আর "মেয়েরা অশালীন পোশাক পরে বলে লাঞ্ছিত হয়" একথা বলা একই দৃষ্টিভঙ্গীর প্রকাশ।
সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রনের বিষয়টা অবশ্যই বিস্তারিত আলোচনার দাবীদার।
১/ প্রযু্ক্তি ব্যবহারের সাথে সাথে এর বিপদ সম্পর্কে জ্ঞানটা ব্যবহারকারীকেই জানতে হবে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের আরো ১০১টা গুরুতর সমস্যা আছে, সীমাবদ্ধতা আছে। আপনি যখন নেটে ঢুকেন, তখন মাথায় রাখতে হবে নেটে নেই এমন কোন বিষয় নেই। মানুষ কেমনে খুন করতে হবে, আত্মহত্যা কেমনে করতে হবে, আবার কোন নারীকে কিভাবে চুমা দিতে হবে সবই পাবেন গুগলের সাজেশনে। বিনোদের জন্য পর্ন পাওয়া যাবে, আবার, শিশু নির্যাতনের ছবি পাবেন। নেট একটা সিক জায়গা, কত সিক তা বহু মানুষের কল্পনার বাইরে। যে যাবে তার সতর্কতা অবলম্বন জরুরী।
২/ আমি যে লিংক দিয়েছি তা শ্রেফ টেকি লেখা, এতে কোন নীতিকথা নাই। "অশালীন পোশাক পরে বলে...." আমার মত না। তবে অনেকে এমতের থাকতে পারেন। আপনি আপনার সাধ্যকে অতিক্রম করতে পারবেন না। আমার কী মত তা জানার জন্য পুরনো একটা লেখা পড়ুন কষ্ট করে (যদিও লেখাটা খুব বির্তকিত হয়েছে)।
৩/ আইন করে আমাদের দেশে কোন কিছুর প্রতিরোধ সম্ভব হচ্ছে বলে আমি দেখি না। সমাজ/সাধারণ যতদিন না সভ্য হচ্ছে ততদিন অপেক্ষা করতে হবে।
১) ভাই ক্ষেইপেন না। দৃষ্টিভঙ্গীর কথাটা আপনারে কই নাই।
ওইগুলা কইসিলাম আমজনতারে একটু খোচা দেওনের লাইগা।
কইতেসিলাম অনেক ময়-মুরুব্বী কন -
"মাইয়ারা আইজকাইল রাস্তায় বাইর হয় বইলাই এতসব লাঞ্ছনা-অপরাধ। মাইয়ারা না বাইর হইলেই তো হয়"। আর আমরা অনেকে কই-- "ফেইসবুক একটা অশালীন জায়গা, এইখানে লোকে যায় কেন্? না গেলেই তো আর এত সমস্যা হয় না"
এইডাতো গেল এক্কেরে জেহাদি মুরুব্বিগো কথা। এর থেইকা যারা নরম, তারা কন -
"মাইয়ারা একটু পর্দা কইরা চললেই তো আর মাস্তান পোলাপানেরা অগো ঘাটায় না"
আর আমরা কই, "একটু সিকউরিটি সেটিং গুলা ঠিক কইরা নিলেইতো আপনারে কেউ ঘাটাইতে পারব না"।
প্রযুক্তিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া, অথবা সিকিউরিটি সেটিং ঠিক করার বাইরেও যে আরো সমস্যা আছে, সেটা বোঝানোর জন্যই উদাহরণটা টেনেছিলাম।
২)
এইটা তো আমি পাকনা বুড়া ঠিকই বুঝি, কিন্তু আমার ১৫ বছরের মাইয়ার ত অত বুঝনের কথা না। ওদেরে বাচানোর লাইগা কি সমাজের কোন দায়িত্ব নাই?
সমাজের সচেতনতার যে কথাটা কইলেন সেইটা মানি, যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতন না হইলে খালি যৌতুক নিরোধী আইন দিয়া যৌতুক দুর হইব না। কিন্তু তাই বইলা আইন যদি না থাকে, তাইলে কি অবস্থা হয় ভাইবা দেখেন?
পর্নোগ্রাফী করা, নারীকে উত্যক্ত করা, অবমাননাকর মন্তব্য/ছবি প্রকাশ করা এইসব সমাজের অন্য যেকোন জায়গায় করার মত নেটে করাটাও অপরাধ। প্রচলিত আইনে বিচার না হইলে নেটের জন্য নতুন আইন/আইনের সংস্কার সব দেশেই করে।
নেট সিক যায়গা বইলা কোন অপরাধ ঐখানে হালাল হয়না। বড়জোর তারে ধরা কঠিন হইতে পারে।
আইনের পাশাপাশি সচেতনতা তো বাড়াইতে হইবই। সেই জন্যেই তো লেখক এই লেখাটা দিসেন।
ক্ষেপি নাই। বাঘের ভয় থাকলে মানুষ না, বাঘকেই খাচাতে রাখা হয়। জেহাদী লিঙ্গের জোর খুব বেশী বলে সেটাকেই শিকল দিয়ে রাখার ব্যাপারে অনেক সচল একমত। কিন্তু সেটার সাথে ফেসবুকে যাওয়া না যাওয়া মেলাতে পারবেন না।
আমি যেতে মানা করিনি। যাবার আগে জানতে হবে কোথায় যাচ্ছি। বিপদ কতটা। নিজে সতর্কতা অবলম্বন প্রথম করণীয়।
আইনের কথা যখন বলছেন তখন বলি:
১. লেখকের প্রথম কেসটাকে আপনি আইন দিয়ে আটকাতে পারবেন না। আমি আলমগীরের ছবি নিয়ে আপনি আরেকটা একাউন্ট বানালেন, তাতে রং-বেরঙের কিছু ছবি যোগ করলেন। আমার কয়েক শত ছাত্র-ছাত্রী সে একাউন্টকে আমি মনে করে আমোদিত হলো। আমার বিশেষ কিচ্ছু করার নেই, আইনে দিয়েও বিশেষ কিছু করা যাবে না।
২. যারা মিডিয়ার সাথে জড়িত, সেলিব্রেটি তাদের ছবি ব্যবহার করে গ্রুপ করাটা আইন করেও ঠেকাতে পারবেন না। পাপ্পারাজিরা তাদের অসতর্ক ছবি তুলে জীবিকা চালায়।
৩. নেটে একক কোন দেশের আইন কিছু করতে পারবে না। পশ্চিমা দেশেই পারে না, আর তো বাংলাদেশ। ৭০%+ স্প্যামিং/স্ক্যামিং হয় খোদ ইউএস থেকে। আইন করে ঠেকাতে পারে না। নেটে অপরাধী ধরা কঠিন না কেবল, অনেক সময় অসম্ভব।
ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় সচলে আসা হয় না, শিবলী, আসাদুজ্জামান আপনাদের সচলায়তনে স্বাগতম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আলমগীর ভাই যেটা দেখালেন।
সে কাজ টা আমিও করি।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এইভাবে কোন মেয়ে ফ্রেন্ডলিস্ট তৈরী করবে না।
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসবে অ্যাড করবে। এভাবে সবাই করছে।
এই কনসেপ্টটা চেঞ্জ করতে হবে।
ফ্রেন্ড হবার পরও যদি সে শুধু এপ ইনভাইটেশনই পাঠায় তাহলে তো সে আর ফ্রেন্ড হল না। সেক্ষেত্রে ডিলিট।
আর সব বাঙালী ছেলেরই এই সমস্যা আছে। সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। কারও সাহস থাকে, কারো থাকে না।
আমার কথা না। আমার এক বন্ধুর মার কথা।
"সব" শব্দটা ইউজ করলাম কারন রাউন্ডিং করলে এটা ১০০% হয়। আসল % টা হয়ত ৯৯.৯৯ হবে। মানে ১০,০০০ এ ৯৯৯৯ জন।
ফেসবুক আপনি বা আমরা নিয়ন্ত্রণ করিনা। আর এটা বাংগালির আবদারেরও জায়গা নয় বলেই মনে হয়। সোজা কথায় বলা যায় দাবী দাওয়া দেয়ার কোন সুযোগ নাই। তাই আপনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে সেট করার আপনার প্রোফাইল কে দেখবে বা না দেখবে।
সরকারের ভাই আরো অনেক এজেন্ডা আছে। আপনি গা উদোম করে বসে থাকলে মানুষে দেখবেই। গা আপনাকে ঢাকতে হবে। সরকার আইন করে তো বলতে পারবেনা এই তুমি উদোম গা কেন দেখলা
উদোম গা বলতে প্রাইভেসি সহ আরো সব সেটিং এর বিষয় বুঝিয়েছি।
- ফেসবুক হইলো খেরেস্তান, ইহূদী, নাছাড়া এইসব অমুসলিমদের কাজ। মুমিন মুসলিম বাঙালীর এই ফেসবুকে যাওয়া একেবারেই ঠিক না।
তবে এইযাত্রা একটা ইসলাম সম্মত ফেসবুক খোলার তীব্র আবশ্যকতা অনুভব করিতেছি। যেইখানে বালেগ পুরুষ ও বালেগ নারী সকলেই আভ্রু সহকারে আনাগোণা করিতে বাধ্য থাকিবেন। ইহা না করিলে তাহাদেরকে ভার্চুয়ালী দোররা মারা হইবে এবং বেআভ্রু ফটুকে ঘোল ঢালিয়া ইসলামী ফেসবুক হইতে চিরতরে বিতারিত করা হইবে।
কেবল তাহা হইলেই আমাদের ধর্ম-কর্ম কিছুটা হইলেও টিকিয়া যাইবে এই জাহেল, বেআলেম, আনপাড়াহ্-দের যুগে। আল্লাহ্ আমাদিগকে হেদায়েৎ দান করুণ এবং আমাদেরকে বেহেশত নসীব করুন। সবাই বলেন আমীন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিন
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে তিনটা গ্রুপ বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলাম... কোনোটাতেই কিছু করা হয়নি.. এমন গ্রুপ বন্ধ করতে সবারই আপত্তি জানানো দরকার..
"hot" আর "বাংলাদেশী" দিয়ে সার্চ দিলেই এমন অনেক আপত্তিকর গ্রুপ বের হয়ে আসবে। ম্যাসিভ রিপোর্টিং ছাড়া বোধহয় এদের বন্ধ করা যাবে না।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...
মোবাইল ফোনেও তো মেয়েদেরকে কত রকম হেনস্তা করে আজে-বাজে লোকে । তাই বলে কিন্তু সেই মেয়েটি তার মোবাইল ফোনটা ফেলে দেয়না । তার কারন মোবাইলটা একটা প্রয়োজনীয় জিনিস । একই কথা খাটে ফেসবুক ও social networking সেইটের ক্ষেত্রেও । অনেক দরকারী কাজেও এই জিনিস ব্যাবহার করে, কেউ ব্যাবহার করে বিনোদন হিসেবে আর কেউ ব্যাবহার করে আপত্তিকর কাজে ।
যেরকম সমস্যার কথা গুলো উঠে এসেছে, আমার মনে হয় নিজে সাবধান থাকলে কিছুটা হলেও ঠেকান যায় । যেই add request দিবে তাকেই add করতে হবে কে বলেছে ? add না করেও মেসেজ পাঠানর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা যায় ।
সারাদিন কিকি করলাম, কারকার সাথে উঠলাম বসলাম ঘুরলাম সব ছবি দিতে হবে কে বলেছে ? যেটা আপলোড করলে সমস্যা হবার সম্ভাবনা কম সেগুলো বেছে বেছে দেয়া যেতে পারে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সহমত
নতুন মন্তব্য করুন