পৃথিবীর যে অগুনতি বিষয় আমি একদমই বুঝি না, তার মধ্যে সমাজতন্ত্রের আলোচনা উপরের দিকেই থাকবে। অবশ্য কম্যুনিস্টদের মত লাল রঙ এর সেই বইগুলি কিংবা ভ্যানগার্ড পত্রিকা আমি পড়িনি, কিংবা এ সংক্রান্ত অন্যান্য আলোচনাও যে ভালোমত হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছি -তেমনটাও হলফ করে বলতে পারি না। তবু এই ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়েই কতগুলি ব্যাপারে আমার মধ্যে কিছু প্রশ্ন জাগে, আমার সীমিত জ্ঞানে যার উত্তর খুঁজে পাই না।
সমাজতান্ত্রিকদের আলোচনাতে প্রায়শই দেখি, মধ্যবিত্তকে খানিকটা হেনস্থা করতে। হেনস্থা শব্দটা এই অর্থে ব্যবহার করলাম - কারণ তাঁদের সবার মতে এই দেশ কিংবা আরো বৃহত্তর অর্থে বললে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীই সংখ্যালঘু। প্রকৃত বিপ্লব আসবে এইসব শ্রমজীবি মানুষদের হাত ধরেই। কাজেই মধ্যবিত্তের ছদ্ম গাম্ভীর্য আর কপটতার মুখোশ শুধু তাঁদেরই আত্মপ্রসাদ দিবে, কিন্তু বিপ্লব তাঁদের জন্য আটকে থাকবে না। এ ছাড়াও অনেকেই কথায় কথায় মধ্যবিত্তসুলভ সেন্টিমেন্ট নামক একটি শব্দ ব্যবহার করেন - বহু ক্ষেত্রেই যার প্রয়োগ আমার কাছে ব্যাঙ্গার্থে বলেই বোধ হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, অর্থনৈতিক এবং চিন্তা চেতনাগত ভাবে আমি এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীতেই পড়ি। তাই মধ্যবিত্ত সংক্রান্ত যে কোন আলোচনা আমাকে খানিকটা আগ্রহী করে তোলে।
মধ্যবিত্তের চরিত্র চিত্রায়ণ যেভাবে করা হয়েছে তাতে আমার বিশেষ আপত্তি নেই। পলায়নপরতা, স্বার্থপরতা, পরমুখাপেক্ষী থাকা - সবকিছুই মধ্যবিত্তের চরিত্রকে সুন্দরভাবেই চিত্রায়িত করে। কিন্তু মধ্যবিত্তকে ছাড়াই বিপ্লব কি আদৌ সম্ভব ? ধরা যাক, সমাজের শতকরা বিশ শতাংশ লোক তথাকথিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে প্রতিনিধিত্ব করে। তর্কের খাতিরে আরো ধরি দেশের শতকরা পাঁচভাগ লোক উচ্চবিত্তের শ্রেণীতে পড়ে। বাদবাকি শতকরা পঁচাত্তর ভাগই পড়ে নিম্নবিত্তের কোটায়। পচাত্তরের মধ্যে যদি পঞ্চাশ ভাগও বিপ্লবে সমর্থন দেয়, বিপ্লব নিশ্চয়ই আসবে। কিন্তু সে বিপ্লবের পরিনতি কী হবে ? যে কোন কারণেই হোক, দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক যে কামলাটা আসে, তার সিংহভাগই আসে মধ্যবিত্তদের থেকে। তাঁরা যদি বিচ্ছিন্ন থাকে, বিপ্লব কি আদৌ কার্যকরী হবে ? সম্পদের সুষম বন্টন কিংবা রাষ্ট্রমালিকানাধীনতার কনসেপ্ট যে অত্যন্ত কার্যকরী তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু শুধু শ্রমিক শ্রেনী দিয়েই তো রাষ্ট্র চলবে না, এসব শ্রমিকদের চালনা করার জন্য যে বুদ্ধিবৃত্তিক নির্দেশনা দরকার, তা আসবে এই মধ্যবিত্ত শ্রেনী থেকেই। কিন্তু বিপ্লবে যেহেতু তাঁরা বিচ্ছিন্ন থাকবেন, বিপ্লব পরবর্তী সময়ে তাঁরা কি উজ্জীবিত বোধ করবেন ?
তর্কের খাতিরে প্রশ্ন উঠতেই পারে, বুদ্ধিবৃত্তিক নির্দেশ কেন শুধু মধ্যবিত্ত দিবে ? নিম্নবিত্তও দিতে পারে। কিন্তু আমার চিন্তা বলে, যে মাত্র একজন নিম্নবিত্তের লোক বুদ্ধিবৃত্তিক নির্দেশনা দেওয়ার মত জ্ঞান অর্জন করবেন, সেই মূহুর্ত থেকেই তিনি মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে পড়ে যাওয়ার বিশাল ঝুঁকির মধ্যে থাকেন - ইন ফ্যাক্ট পড়েই যান। গ্রামের কলিমুদ্দির ছেলে ফয়েজ মিয়া, ভিটা মাটি বেঁচে পড়াশোনা করে কমই গ্রামে ফেরে - বরং বিদ্যা বেঁচে দু মুঠো অন্ন যোগায়, আর সুযোগ পেলেই বিবৃতিবাজ বুদ্ধিজীবি বনে যায়। আর আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক বাস্তবতা হল, শিক্ষা এ দেশে আর গরীবের জন্য নেই। কাজেই নিম্নবিত্তের শ্রেনী থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যায়ের কেউ উঠে আসার সম্ভাবনাও কম।
এখানে তাই যে প্রশ্নটা আমাকে ক্রমাগত খোঁচায়, যে মধ্যবিত্তকে ক্রমাগত শ্লেষের সাথে দেখা হচ্ছে, তাঁর ভূমিকাটা আসলে কী ? প্রকৃত বিপ্লব যদি বঞ্চিত শোষিত মানুষের হাতে ধরে আসেও - তবু কী তা টিকে থাকবে ? যদি নাই টিকে থাকে তবে কেন বিপ্লবের পরিকল্পনায় মধ্যবিত্তের কথা বলতে শুনি না। হতে পারে তারা একটা ক্ষুদ্র শতাংশ - কিন্তু সমাজ ব্যবস্থায় একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কিন্তু এরাই রাখছে ( অর্থনৈতিক এর চেয়েও , সামাজিকভাবেই বেশি )। আবার এমনও হতে পারে - এর কিছুই ঠিক না। মধ্যবিত্ত সত্যিকার অর্থেই পাত্তা দেওয়ার মত কোন শ্রেণী না।
এ সব প্রশ্নের জটে আমার মাথার মধ্যে এখন ঘোর অমাবশ্যা।
সুপ্রিয় সকল পাঠককেই জানাতে চাই, আমি কোন মতেই কম্যুনিজম বিদ্বেষী নই। এ প্রসংগ পূর্বে একবার বাস্তবের পৃথিবীতে তুলে বেশ বেকায়াদায় পড়েছিলাম - তাই আগের থেকেই জানিয়ে রাখছি। আমার কোন বক্তব্য যদি ব্যাঙ্গাত্মক মনে হয়ে থাকে - তবে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে জানাতে চাই তা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত।
মন্তব্য
আপনার অকপট স্বীকারোক্তি আপনার বক্তব্যকে স্ট্যান্ড করিয়েছে।
হাঁ, মধ্যবিত্তকে নিয়ে সমালোচনা,শ্লেষ অনেক বেশি। মজার ব্যাপার যারা এটি করছেন তারাও কিন্তু মধ্যবিত্ত। অর্থাত্ যিনি সমালোচনা বা তিরষ্কার করছেন কার্যত তিনি নিজেকেই তা করছেন। করছেন নিজের পলায়নপরতা,স্বার্থবাদীতাকে শুধরে নেওয়ার জন্য। আর কারো কথা বলতে পারব না। অন্তত: আমি এরকম বুঝি।
আপনার সংখ্যার বিষয়টা ঠিক। ওই যে কুড়ি ভাগের কথা বললেন,ওদের থেকেই আসলে বিপ্লবের নেতা বেরিয়ে আসে। বিশ্বের প্রায় সকল বিপ্লবের নেতা ই মধ্যবিত্ত শ্রেণী থেকে আসা।
মধ্যবিত্ত সাধারণত পলায়নপর,স্বর্থপর এবং ব্যক্তিকেন্দ্রীক। যেমন ধরুন এই উপমাটা......'বিদ্যুত্ চলে গেলে স্ত্রী বললেন...দেখ না কিছু করা যায় কিনা.?...স্বমীর উত্তর.....রহমান সায়েবের বাসা দেখো তো.?........না নেই। ...করিম দের..? না নেই।.......আবীর ভাইদের ?...না নেই। এবার স্বামী বললেন...চুপ করে বসে থাকো, কেউ না কেউ ফোন করবে..... কারেন্ট আসবে..।
তবে কোন কিছুই তো স্ট্যাগনেন্ট নয়। প্রতি মুহূর্তে শেণী সমূহের সম্পর্ক পরিবর্তিত হচ্ছে। সত্যজিতের 'পরশ পাথরের' মধ্যবিত্ত আর এখনকার মধ্যবিত্ত এক নয়।
যে মধ্যবিত্ত বিপ্লবের নেতা হয় সে নিজের মধ্যবিত্তসুলভ সকল সুবিধাবাদীতাকে পরিত্যাগ করতে পারে বলেই নেতা হতে পারে।
এ ধরণের বিষয় নিয়ে যত আলোচনা হবে ততই চিন্তা-চেতনা সমৃদ্ধ হবে।
ধন্যবাদ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
সবজান্তা - প্রশ্নটি বড়ই লক্ষ্যভেদী! আসলে আমার মনে হয়, সেই যে কয়েকযুগ ধরে সমাজতন্ত্রের ভাষায় 'পাতি বূর্জোয়া', 'মধ্যবিত্ত মানসিকতা' এবং এধরনের কিছু শব্দবন্ধ চালু আছে, এবার বোধহয় তা বদলানোর সময় হয়েছে। তার কারণ, এই উত্তর আধুনিক, বিশ্বায়নের যুগে কোন কিছুরই খুব স্পষ্ট সীমারেখা আর খুঁজে পাওয়া যায় না। একটা সময় ছিলো যখন মধ্যবিত্ত বলতে কিছু নির্দিষ্ট মূল্যবোধ, ডিগ্রীনির্ভর শিক্ষার প্রতি অনুরাগ, পরিবার কেন্দ্রিক জীবনদর্শন, মাপা উদারতা, দায়ে পড়ে মেনে নেয়া - এসব অনেক কিছু বোঝাতো, কিন্তু এখন সবকিছুই কেমন যেন ছড়ানো ছেটানো! শ্লেষের তীর যে এখন কাকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হবে আর কে যে বাদ যাবে, তার আর কোন প্রচলিত নিয়ম নেই।
বিত্তের মাপকাঠিতে যারা মধ্যস্থানে, মানসিকতায় তারা সে জায়গায় আর নেই বলেই মনে হয়। আয়ের নিরিখে যারা নিম্নস্থানে, মানসিকতায় তারা হয়তো আগেকার মধ্যবিত্তের মত করে ভাবে। তবে একেবারে যারা প্রান্তিক, তারা আগেও যেখানে ছিলো, কি মানসিকতায়, কি অসহায়তায় - সেখানেই আছে।
তবে, শ্রেণী সংগ্রামের ক্ষেত্রে? মধ্যবিত্ত আজিও অপরিহার্য্য। নেতৃত্ব যদি বা নাও আসে, এখান থেকেই পরিবর্তনের ধাক্কা বইবার প্রধান জোরটা আসবে।
একান্তই ব্যক্তিগত মতামত - ভুল হতেই পারে।
দুই উরুর মধ্যস্থিত বিত্তকেই মধ্যবিত্ত বলে
ঠাট্টা বাদ:
গুগলে বুর্জোয়া (bourgeois) লিখে সার্চ দিন, উত্তর পেয়ে যাবেন।
মধ্যবিত্ত হচ্ছে লেখাপড়াজানা, আত্মসচেতন এবং পৃথিবী সচেতন হওয়া সত্ত্বেও এক পঙ্গু মানুষ। পঙ্গু তার কাপুরুষতার কারণে। তার পেশিশক্তিহীনতার কারণে। যথাযথ সময়ে যথাযথ প্রতিবাদ করতে না পারার কারণে।
মধ্যবিত্ত হচ্ছে উচ্চবিত্তের অপভ্রংশ। উচ্চবিত্তের যে ঘরানাটি বাইজি নাচ-গান-সুরাপান ছেড়ে লেখাপড়া, সাহিত্যচর্চা, সংস্কৃতিচর্চায় এগিয়ে এসেছে এবং যথারীতি বংশের ব্যবসা লাটে তুলেছে, লক্ষèীর বদলের সরস্বতীর চর্চা শুরু করেছে, গ্রামের জমিদারি ছেড়ে শহরে এসে ইংরেজি শিখেছে, তারাই মধ্যবিত্ত। সে বেচারা পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের যে শিক্ষাটা পেয়েছে, সেটাও ছাড়তে পারে না, আবার বেনিয়া মানসিকতা নিয়েও ব্যবসা করে ফাটিয়ে ফেলতে পারে না।
ঘোরতর অন্যায় দেখলে তার মন প্রতিবাদ করে, কিন্তু গলা প্রতিবাদ করে না। তার সীমিত সামর্থে নড়া সম্ভব নয় তার অবস্থান থেকে।
মধ্যবিত্ত হচ্ছে শ্রীকান্ত। ইন্দ্রের মতো বিপ্লবী এবং মারমুখী মানসিকতার মানুষ সে কখনোই হতে পারে না, কিন্তু ইন্দ্রকে সে শ্রদ্ধা করে এবং মজার ব্যাপার, এই শ্রীকান্তরাই লিখে রাখে ইন্দ্রদের ইতিহাস।
তবে এগুলো স্মার্ট মধ্যবিত্তের কথাই বলছি। ধারালো মধ্যবিত্তের কথাই বলছি। কিন্তু মধ্যবিত্তের মধ্যে একটি বড় অংশ আছে, যারা শুধু খায়, পরে আর বাঁচে। পৃথিবীর কথা জানে না এবং জানতে চায় না, সাহিত্য-সংস্কৃতি তার কাছে বহু দূরের দেশ।
আমার এক প্রাক্তন বস একটা মজার কথা বলতেন, পৃথিবীতে তিন শ্রেণীর মানুষ আছে। প্রথম শ্রেণী হচ্ছে ভিশনারি। এরা হচেছ দার্শনিক, এদের দর্শন, চিন্তা, সাহিত্য, ভাবধারা দিয়ে এরা মানুষের সেবা করেন। লেখক, চিত্রশিল্পী, দার্শনিকরা এই শ্রেণীর।
দ্বিতীয় শ্রেণী হচ্ছে মিশনারি। এরা একটি মিশন নিয়ে এই পৃথিবীতে আসেন এবং পৃথিবীকে দিয়ে যান তার অকুণ্ঠ সেবা। মাদার তেরেসা, হেনরি ডুনান্ট, টমাস আলভা এডিসন এই শ্রেণীর। মানবজাতিকে তারা দিয়ে যান অনেককিছু।
আর তৃতীয় শ্রেণী হচ্ছে চোতমারানি (অশ্লীল শব্দের জন্য মাফ করবেন)। এরা শুধু চা-সিগারেট খায়, ঘুমায়, সেক্স করে, বাথরুম করে, বড় বড় কথা বলে, টাকা কামাই করে সাধ্যমতো, শপিং করে বউয়ের জন্য, চাইনিজ খায়, কিন্তু দেশ বা জাতির জন্য তাদের কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই...
আমার বস আমাকে বলেছিলেন, তুমিই এবার ঠিক কর, তুমি কোন শ্রেণীর হতে চাও!
মধ্যবিত্ত মানসিকতা আসলে একটা টার্ম হয়ে গেছে। এক ধরনের রক্ষণশীল--গেলো রে, জাত গেল রে টাইপ মানসিকতা বোঝাবার ক্ষেত্রে আমরা মধ্যবিত্ত মানসিকতা কথাটা বলি। কথাটা কিন্তু আসলে মিথ্যে নয়। মধ্যবিত্ত সঙ্গত কারণেই নিজের রক্ষণশীল মানসিকতার কারণে একসময় কুয়োর ব্যাঙ হয়ে যায়, কিন্তু ঐ যে আগেই বলেছি, এদের ভেতর থেকেই বেরিয়ে আসে শ্রীকান্ত... সেটা ভুলে গেলেও চলবে না! মনের ভেতরকার স্ফুলিঙ্গ বেরিয়ে আসে আচমকাই !
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
সমাজতন্ত্রে নেতৃত্বের এই প্রশ্নটি আমার মনেও ছিল। শ্রমিক শ্রেনীরাই বিপ্লব আনবে। কিন্তু নেতৃত্বে থাকবে কারা। এইসব প্রশ্ন মাঝে মধ্যে ভজঘট পাকাতো। সবজান্তা দা' চমৎকার একটা আলোচনা শুরু করেছেন। আশা করছি, মন্তবে্য প্রতিমন্তব্যে অনেক কিছু জানতে পারবো।
আলোচনা যখন কিছুটা জমে উঠেছেই, তখন সাহসে ভর করে কিছু কথা আরো বলেই ফেলি।
আমার নিজের চিন্তা সেই সাথে আরো অনেকের কথা থেকে বুঝতে পারি যে, প্রকৃত সমাজতন্ত্র সমাজের জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসবে। এক্সিস্টিং সমাজতন্ত্র নিয়ে অনেকেই খানিকটা বীতশ্রদ্ধ ( শুধু মাত্র বাংলাদেশ না, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেই ), তাঁরা মনে করেন, উপযুক্ত পরিবর্তন আনতে পারলে, সমাজতন্ত্র দিয়েই আদর্শ সমাজ গঠিত হতে পারে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে, একই কথা কি গনতন্ত্রের বেলায় প্রযোজ্য নয় ? প্রকৃত গনতন্ত্র কি মানুষের মঙ্গল সাধন করতে পারে না ? যদি পারেই, তবে কেন আমরা কেন শুধু সমাজতন্ত্রের কথা বলবো ? নাকি সমাজতন্ত্র এবং গনতন্ত্রের এবসলিউট ফর্মের মধ্যেও তুলনামূলক বিচার আছে, আছে লাভ ক্ষতির কোন অংক ?
এ ব্যাপারেও অভিজ্ঞ কেউ কলম তুলে নিলে খুশি হতাম।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
গণতন্ত্র থাকতে পারে পূজিবাদী সমাজব্যবস্থায় (এমেরিকা), আবার একনায়কতন্ত্র থাকতেই পারে সমাজতন্ত্রে/সমাজতান্তিক সমাজব্যবস্থায় (স্ট্যালিনীয় রুশ প্রজাতন্ত্র)। গণতন্ত্র বা ডেমোক্র্যাসি সবার অধিকার দাবী করে কিন্তু সবার 'সমান' অধিকার দাবী করে না, সবার বা সিংহভাগের মতামত প্রতিফলিত করার কথা বলে কিন্তু একইসাথে সংখ্যালঘু কোন প্রান্তিক গোষ্ঠীর কল্যাণের পরিপন্থী হতে পারে।
এই বিষয়ে আমার চাইতে অনেক বেশী পড়েছেন এবং জানেন এমন অনেক সচল/অতিথি সচল আছেন, যারা আপনার প্রশ্নের আরো ভালো উত্তর দিতে পারবেন। আমি শুধু নিজে যেভাবে বুঝি, তাই জানিয়ে গেলাম।
আপনার উত্তরে অনেক কিছুই বেশ পরিষ্কার হল। ধন্যবাদ সে জন্য।
সমাজতন্ত্রে সবার সমঅধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি, এক নায়কতন্ত্রের যে রিস্ক থাকে, যার কুৎসিত রূপ এরই মধ্যে এই গ্রহ বেশ কয়েকবার দেখে ফেলেছে - সে ব্যাপারে আপনার মতামত কী ?
সমাজতন্ত্রে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রাষ্ট্র। কিন্তু রাষ্ট্র তো একজন রাষ্ট্রনায়কই চালাবেন। এবসলিউট পাওয়ার তাকে এবসলিউটলি করাপ্ট করার চান্স তাই হয়ত থেকেই যায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, সম অধিকারের আশা এবং একনায়কতন্ত্রের রিস্ক - এ দুয়ের মধ্যে আমরা কোন ট্রেড অফ করতে পারি কি না ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এ ব্যাপারে দ্বিমতের কোন অবকাশ কি আছে, আদৌ? একনায়কতন্ত্র তো সবসময়ই নৈব নৈব চ!
আর, যে ট্রেড অফের কথা আপনি জিজ্ঞেস করলেন তার ফলাফলের কোন গ্যারান্টি আমি তো কোন ছার, বোধহয় সবচাইতে দূরদর্শী তাত্ত্বিকও দিতে পারবে না
আজ পর্যন্ত সকল বিপ্লব শেষ পর্যন্ত মধ্যবিত্ত প্রজেক্ট হিসাবেই থেকে গেছে। জাতীয়তাবাদ, মৌলবাদ ও সাম্যবাদও তাই। সেকারণে মধ্যবিত্তের ভূমিকার সমালোচনা না করে, মধ্যবিত্তকে না বদলে পরিবর্তন সম্ভব না। কারণ সে কায়েমি স্বার্থের সবচে বড় কলাবরেটর। যাকে আমরা বলি জাতীয় রাজনীতি, জাতীয় সংষ্কৃতি, জাতীয় সাহিত্য, জাতীয় জীবন; তার সবেতেই উচ্চবিত্তের এজেন্ট মধ্যবিত্তের দখলে। তারা যদি এজেন্সি পাল্টিয়ে জনগণের খাতক হয়, তাহলেই ব্যবস্তা বদলায়। নচেত নয়।
নেপালেও মাওবাদীরা আগে কৃষক জনতাকে নিয়ে লড়াই করলেও, শেষে শহুরে মধ্যবিত্তকে জয় করার মাধ্যমেই কিন্তু নিজেদের শাসক হিসেবে উন্নীত করতে পেরেছে।
মৃদুলের কমেন্টের ঝাঁঝ সুস্বাদু আর স্নিগ্ধার কমেন্ট ভাবিয়েছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
বিত্ত দিয়ে শ্রেণীভাগ আর সেই ভাগের মানুষ থেকে শত্রু-মিত্র বোঝা কিংবা ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ের ব্যাখ্যা করা এখন অনেক কঠিন।
মার্কসের দেশে মধ্যবিত্তকে চিহ্নিত করা যতটা সোজা - অর্থাৎ পশ্চিমা বিশ্বে শ্রমিক-মালিক-শিল্পায়নের কাঠামোয় মধ্যবর্তী সুবিধাভোগী শ্রেণীটিকে পাওয়া যত সহক - আমাদের মত অবিকশিত পুজিঁবাদের দেশে এটা ততোটাই কঠিন।
১৯৯৫- এর দিকে রুম ভর্তি বিভিন্ন পেশার লোকদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে এখানে কারা নিজেদেরকে মধ্যবিত্ত ভাবেন। তাতে দেখা গেল মাসিক ৩,০০০টাকা আয়ের লোকটি থেকে শুরু করে মাসে ১ লাখ টাকা আয়ের ডাক্তার মহোদয় পর্যন্ত নিজেকে মধ্যবিত্ত হিসেবে চিহ্নিত করছেন।
আমার তাই মনে হয়েছে, বিত্তের মধ্যতা নয় চিত্তের মধ্যতাই বাঙালির মধ্যবিত্ত সত্ত্বার পরিচায়ক। যারা মিছিলের সদস্য হয়ে চিৎকার করে দাবী আদায়ের পর্যায় পর্যন্ত পৌছেঁন নি। আবার নিজেকে এতটা নির্দয়, নির্মম,নির্লজ্জ, বিবেকবোধহীণ করে তুলেননি যাতে লোকে তার বিরুদ্ধে মিছিলে নামে।
নীরদ সি চৌধুরীর কোনো একটা বইয়ে বাঙালির মধ্যবিত্তের ভালো একটা ব্যাখ্যা/সংজ্ঞা আছে। তাতে তিনি দেখিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী স্বচ্ছল অর্থনৈতিক অবস্থার এক দল মধ্যবিত্ত আছেন আবার জীবিকার জন্য অন্যের/সরকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন পেশার লোকরাও আছেন মধ্যবিত্তের তালিকায়। শিক্ষা ও বইপত্রের কাছাকাছি থাকা ভাগের নাম ভদ্রলোক - যারা শারীরিক পরিশ্রম না করেই জীবিকা উপার্জন করেন।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ষাট দশক থেকে এক শ্রেণীর মার্কসবাদী তাত্ত্বিক (?) বাংলাদেশকে আধা সামন্তবাদী আধা পুঁজিবাদী দেশ বলে চীনের আদলে উতপাদন পদ্ধতির বিচার করেছিলেন। এখনও সেই ধারার রাজনৈতিক সাহিত্যে সেই আধা'র এক বিন্দু নড়চড় হতে দেখি না।
(অনেকে অবশ্য আরো বাস্তব-বিম্বিত ব্যাখ্যা হাজির করেছেন। সেগুলোও আলোচ্য )
মধ্যবিত্তের আলোচনাও ষাটের দশকে এরকম ভাবেই ঘুর্পাক খেতে খেতে নব্বই পর্যন্ত এসেছে। এতদিনে মুতসুদ্দী পুঁজি লগ্নি পুঁজির বিশ্বায়িত মিশনে আরো পরিণত হয়েছে। ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টে পুঁজি দেশিদের খেদিয়ে আনকোরা চেহারাও পেয়েছে। এখন বোধহয় আর মধ্যবিত্ত চেনা কঠিন নয়। কালচার তো বটেই একটা বড় ফ্যাক্টর, কিস্তু উতপাদন ও ক্ষমতা কাঠামোয় মধ্যবিত্তর বৈষয়িক ভূমিকা অনেক স্পষ্ট। ফলে আমার প্রস্তাব : বিষয়টার একটা সুরাহা করবার বাস্তবতা এখন তৈরি হয়েছে।
খুব গুরুত্বপূর্ণভাবে বলেছেন যে, ইউরোপীয় শিল্পপুঁজির উপজাত মধ্যবিত্ত এখানে খুঁজে লাভ নাই। কিন্তু এখানেও যদি পুঁজিবাদী সমাজ থেকে থাকে, এখানেও যদি মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের একটি স্টার্টা তৈরি হয় তাহলে তাদের মধ্যবিত্ত বলে সনাক্ত করা কঠিন নয়। তুলনা প্রয়োজন কিন্তু মিল দিয়ে চিনতে চাওয়া সবসময় সঠিক হয় না।
এ নিয়ে কিছু চকিত মন্তব্য করেছি আমার এই পোস্টে, যদি দেখেন তো আরো কথা তারপর আসতে পারে...
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হীরক,
আমি এ নিয়ে বিস্তর মাথাটাথা ঘামিয়ে শেষে কোন কুলকিনারা করতে পারিনি। বাংলাদেশে বিত্ত দিয়ে শ্রেণী আর সেই শ্রেণীর মধ্য থেকে পক্ষে-বিপক্ষে বা শত্রু-মিত্র বার করা এক কথায় দুষ্কর। ফারুক যেমন বললেন উত্পাদন সম্পর্ক এবং উত্পাদন ব্যবস্থা দিয়ে এখন আর শ্রেণী সংঙ্ঘায়িত করা তেমন কঠিন নয়। আমি ঠিক একমত নই।
একজনের জমি নেই। জিরাত নেই। উত্পাদনের কোন ব্যবস্থাই যার হাতে নেই। ধরে নেয়া যায় সে বিত্তহীন। কিন্তু সেই লোকই আবার দাদনের টাকা-পয়সা লেন দেন করার কাজ করে মোটামুটি বিত্তের মালিক। এই লোককে কী করে সংঙ্ঘায়িত করব? বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে এধরণের মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়।
আবার জমি-জিরাত নেই,পুঁজি নেই, আছে কেবল ভিটেমাটি। সে শিল্পশ্রমিক। উত্পাদন সম্পর্কে সে শ্রমিকশ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারি। সূত্র মতে বিপ্লবের চালক। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই শ্রমিকই তার গ্রাচ্যুইটি,প্রভিডেন্টফান্ড আর কয়েকমাসের বেতন এক করে তার চেয়ে কম আয়ের মানুষের কাছে লগ্নি করে। একটা সময় পর্যন্ত সে জোতদার শ্রেণীর বা মহাজন গোত্রের ! এই শ্রেণীর মানুষও বাংলাদেশে লাখ লাখ। সুতরাং এখানেও একটা ভজগট।
শ্রেণীর সংঙ্ঘা সরলিকরণে আরো সমস্যা হলো বাংলাদেশের প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে একটা কমন আকাংখা - জমির মালিকানার আকাংখা। তা সে যতই ক্ষুদে মালিকানা হোক না কেন? ইত্যকার ভজগটের কারণে খুব সহজ-সরল ভাবে বাংলাদেশের শ্রেণীসমূহের বিন্যাস বা বিভাজন সহজ নয়। তবে একেবারে অসাধ্যও নয়। এবিষয়ে একটা পোস্ট ভবিষ্যতে দেওয়ার চেষ্টা করব ।
ধন্যবাদ।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
মধ্যবিত্তটা হচ্ছে দেয়াল ঘড়ির পেন্ডুলাম
এদিকে যায় ওদিকে ঠোক্কর খায়
কিন্তু কোনোদিকেই দাঁড়াতে পারে না
আবার কোনো দিকেরই লোভ সামলাতে পারে না
না পাপ না পূণ্য
না ভালো না খারাপ
ইয়ে বস সবই তো ঠিকাছে, মাগার কথাটার সুর ঠিক ধরতে পারলাম না। মহাজনের বিলাই ক্লাব মানে কি ? খোঁচা দিলেন না কি ?
একটু বুঝায়া কন, নাইলে তো প্রতিক্রিয়া জানাইতে পারতাছি না
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রিয় অরূপ,
আমি মধ্যবিত্ত, পুঁজিবাদ, শ্রেণী সংঘাত ইত্যাদি নিয়ে নানান সময়ে লিখে থাকি_আরো কেউ কেউ লেখেন। কিন্তু এসবের সঙ্গে চড়, কুকুর, তোতাপাখির সম্পর্ক টানা কেবল আপত্তিকর নয়, অশোভনও। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আপনার এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সচলায়তনের মডারেটরবৃন্দ যদি এধরনের লেখালেখি অপছন্দ করেন, সেটা সরাসরি বা মেইলে বলে দেয়াই ভাল। যন্ত্রণাকর পরিস্থিতির মধ্যে বসে আমাদের লিখতে হয়। লিখতে এসে আরো যন্ত্রণা নেয়ার সামর্থ্য ব্যক্তিগতভাবে আমার নাই।
আমার যতদূর মনে হয়, আমি যতভাবে সম্ভব, নিষ্ঠার সঙ্গে সচলকে ধারণ এবং পালনের চেষ্টা করেছি। যতবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষে আক্রান্ত হয়েছি, ভেবেছি, কোথাও ভুল বোঝাবুঝির ব্যাপার নিশ্চয়ই রয়ে যাচ্চে। ভুল হলে সেটারও দেখিয়ে দেবার একটা ভব্য ধরণ থাকে। আপনাদের কোনো কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত না হয়েও মেনে নিয়েছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সকলই গরল ভেল।
দয়া করে জানাবেন, কোথায় সমস্যা আর আমার কী করণীয়।
আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায়।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ফারুক,
এটা একটা সর্বজনীন বাঙালি সমস্যা। আমাদের পাখির পালকের মত (আমরা মনে করি পাথরের মত!) হালকা যুক্তি যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমরা 'যুক্তিহীনযুক্তি' কে যুক্তি বলে চালিয়ে দিতে চাইঅ যখন তা চলে না তখন বল প্রয়োগের চেষ্টা করি। এবং প্রায়শ:ই শালিনতাবোধ অতিক্রম করে । আপনার তো এতদিনে এসব এস্তেমাল হয়ে যাবার কথা !
এসব নিয়েই আমরা বড় হচ্ছি,বেড়ে উঠছি,আবার মরেও যাচ্ছি।
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
.......................................................................................
আমাদের মাতৃগর্ভগুলি এই নষ্ট দেশে
চারদিকের নিষেধ আর কাঁটাতারের ভিতর
তবু প্রতিদিন রক্তের সমুদ্রে সাঁতার জানা
হাজার শিশুর জন্ম দেয় যারা মানুষ......
ধন্যবাদ মঞ্জু ভাই,
যে পাতে খাই, যে ঘরে বসি; তা পরিচ্ছন্ন থাকুক এই দাবিটুকু না করে কীভাবে পারি?
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
হা হা হা...অরুপের মন্তব্য (বিপ্লব) , আপনি জানেন না চরমেরা প্যারানয়েড ? সুলক্ষন বিলক্ষন কিছুনা, আসল লক্ষন হইলো কার্য সম্পাদন করিতে হইবে যে করেই হোক! তা না হলে কি তারা সবার জিনিষ এক দৈর্ঘ্যের হওয়া উচিত এমন খোয়াব দেখেন? নন্দীগ্রামে যা প্রোডাকশন দিয়েছে তারা, তা কোন অভদ্দর লোক অন্দর বাড়ীর ঝি'র পেটেও দেয়না
আদিত্য, আপনার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি কারণ স্পষ্টতই এখানে ভদ্রতার অভাব দেখতে পাচ্ছি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তা মানেই সববোদ্ধা নয়, তা প্রমাণ হলো এই লেখার প্রথম বাক্যেই: "পৃথিবীর যে অগুনতি বিষয় আমি একদমই বুঝি না..."
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ভাই আমার পোস্টগুলা একটু ঘাইটা দ্যাখেন, জানতে চায়া সবচেয়ে বেশি পোস্ট আমারই দেওয়া।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনার সব জানতে-চাওয়া পোস্ট আমি আগে থেকেই লক্ষ্য করে আসছি। আমার আগের মন্তব্যটি ছিলো নেহাতই মজাক করার প্রয়াস (অপ- বলেই বোধ হয়)। টিটকারির সুর কিন্তু ছিলো না তাতে একদম। আপনি নিশ্চয়ই তা জানেন (সবজান্তা, আফটার অল)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আরে এই হইলো ইমোটআইকন ছাড়া পোস্টানোর বিপদ। আমি কিন্তু এইসব টিটকারির কথা ভুলেও ভাবি নাই। আর আপনার প্রয়াস মোটেই অপ না, আপনার মজাটা আমি ধরতে পারছি।
আরে ভাই আপনি হইলেন আমার অল টাইম ফেভারিট ব্লগার লিস্টে আছেন, আপনারে ভুল বুঝি ক্যামনে !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন