০১
চোখে মুখে যতো সন্ত ভাবই নিয়ে থাকি না কেন, সিনে ম্যাগাজিন জিনিশটা খুব ছোটবেলা থেকেই আমার বিশেষ পছন্দের। ছোটবেলায় মামাবাড়ি যাওয়ার সময় বাস কাউন্টার থেকে দিদি কিংবা মা যখন তারকালোক ম্যাগাজিনটা কিনতো, আমার তখন পোয়া বারো। এমনিতে আমার বাবার কড়া নিষেধের কারণে ওইসব ম্যাগাজিনে কোন অ্যাকসেস ছিলো না, তবে দুপুর বেলা সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়তো তখনকার কথা অবশ্য আলাদা। এক লাফে চলে যেতাম শেষের পাতায়, যেখানে হলিউড এর নায়িকাদের নানাবিধ যৌণ কেলেঙ্কারির খবর সয়লাব।
বাসায় ডিশের লাইন আসার বহু আগের থেকেই তাই আমি জানি পামেলা এন্ডারসন কিংবা শ্যারন স্টোনের নাম। বন্ধু মহলেও আমার বিশেষ চাহিদা ছিলো এ ধরণের রগরগে গুজব সাপ্লাই দেওয়াতে - ক্ষেত্র বিশেষে খোদ ম্যাগাজিনটাই সাপ্লাই দিয়েছি।
গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনায় বহু জল গড়ালো, আমিও আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেলাম। এখন আর সিনে ম্যাগাজিন নিয়ে আগের সেই উন্মাদনা নেই। অবশ্য ইন্টারনেট-ডিভিডি আর সবার উপরে বয়সের মার প্যাঁচে পরে সিনে ম্যাগাজিনের ব্যাপারে আগ্রহে খানিকটা ভাটা পড়েছে। তবে এখনো পূজা সংখ্যাগুলি কেনা হলে অনেকটা সময় নিয়ে যে ঢাউস সাইজের রঙ্গিন ছবি সম্বলিত "আনন্দলোক" নাড়াচাড়া করি না, তেমনটা না।
০২
সাম্প্রতিক কালে, একটি মাল্টিন্যাশনালে আমার অগ্রজার চাকরির সুবাদে বিভিন্ন ম্যাগাজিনেরই ( যেগুলোতে ওদের কোম্পানী এড দেয় ) সৌজন্য সংখ্যা বাসায় আসে নিয়মিত ভাবে - যার অনেকগুলিই সিনে ম্যাগাজিন টাইপের।
মোটামুটি দীর্ঘ একটা বিরতির পর আবার বাংলাদেশি সিনে ম্যাগাজিনের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। লক্ষ্য করলাম, সিনে ম্যাগাজিনের মধ্যেও দুটো টাইপ তৈরী হয়েছে। কিছু কিছু পত্রিকা সেই ট্র্যাডিশনাল তারকালোক টাইপ ছেড়ে বের হয়ে এসেছে - খানিকটা সুশীল সিনে ম্যাগাজিন হয়েছে। এ ধরণের পত্রিকাগুলির গেটআপ অত্যন্ত স্মার্ট। কাগজের মান আমার এ যাবৎকালে দেখা যে কোন বাংলাদেশি ম্যাগাজিনের তুলনায় ভালো। সম্পূর্ণ পত্রিকাই গ্লসি পেপারে ছাপানো - সেই সাথে তুলনামূলক হার্ড কাভারে প্রচ্ছদ। এমন ধারার একটা পত্রিকা আনন্দ আলো। তবে আমার মত দুঃশ্চরিত্র সিনে পাঠক অবশ্য এমন ম্যাগাজিন পছন্দ করবে না, কারণ সেখানে কোন গুজবের খোড়াক নেই, উত্তেজক ছবির অভাবও বিলক্ষণ। আমি এগুলোর নাম দিয়েছি শান্তিনিকেতনীয় সিনে ম্যাগাজিন ( কেউ সিরিয়াসলি নেবেন না আশা করি )।
তবে আশার কথা হলো, তারকালোক টাইপও একদম বিলুপ্ত হয়নি। প্রয়াত শাহাদাৎ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠিত আনন্দধারা সেই ধারার মুখ রক্ষা করবে বলেই আমার বিশ্বাস। নানারকম মুখোরোচক গুজব, কিঞ্চিত উত্তেজক ছবি ( যদিও কৈশোরের সেই উত্তেজনা আর পাই না ) - সবমিলিয়ে আনন্দধারা একটা ধন্যবাদ পেতেই পারে আমাকে কৈশোরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
০৩
গতকাল রাতে আনন্দধারা পড়তে যেয়ে আবিষ্কার করলাম, সিনে ম্যাগাজিনের কিছু বৈশিষ্ট্য খুবই লক্ষ্য করার মত।
যেমন ধরা যাক গুজবের ব্যাপারেই। সিনে ম্যাগাজিনের পাতায় প্রচুর গুজব থাকে, যেগুলোকে নায়ক নায়িকারা তীব্র ভাষায় মিথ্যে বলে বাতিল করে থাকেন, কিন্তু শেষকালে দেখা যায় সাংবাদিকরাই ঠিক। "যা রটে তার কিছু তো বটে" - এখন পর্যন্ত বেশ কার্যকরী থিয়োরী এ ক্ষেত্রে।
আরেকটা মজার ব্যাপার লক্ষ্য করেছি সিনেমা হিট কিংবা ফ্লপের ক্ষেত্রে। এটা অবশ্য বলিউডি সিনেমার ক্ষেত্রেই বেশি দেখেছি। যেমন ধরা যাক, সেদিন এক পত্রিকায় পড়লাম, রানী মুখার্জীর ভীষণ দুর্দিন। একের পর এক সিনেমা ফ্লপ করাতে তাঁর বাজারদর পড়ে যাচ্ছে। এমনকি তাঁর সাম্প্রতিক "থোড়া প্যায়ার থোড়া ম্যাজিক" ফ্লপ করাতে তিনি মানসিক ভাবে মুষড়ে পড়েছেন-- এমন ধরণেরই ব্যাপার স্যাপার। অন্যদিকে গতকাল এক সিনে ম্যাগাজিনে পড়ে জানতে পারলাম, রানী মুখার্জী তাঁর "থোড়া প্যায়ার থোড়া ম্যাজিক" সুপারহিট হওয়াতে খুবই খুশি। সেই খুশিতে তিনি বাড়ি/গাড়ি কিছু একটা কিনেও ফেলেছেন। হিট-ফ্লপ ব্যাপারটা লক্ষ্য করেছি প্রায়ই এভাবে সাংবাদিকের দখলে চলে যায়।
০৪
লেখাটা শেষ করি, গতকাল রাতে আনন্দধারা ম্যাগাজিনটা পড়তে যেয়ে পাওয়া কিছু তথ্যে।
আনন্দধারা আগস্ট ১-১৫ সংখ্যায় নায়ক নায়িকাদের প্রেম নিয়ে একটা রচনা রয়েছে। সেটা পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে গেলাম। যদি এই আর্টিকেল সত্য হয় তাহলে এই বাংলাদেশে কোন নায়িকাই আর ফাঁকা নেই। সবারই সবার সাথে প্রেম, কেউ স্বীকার করুক বা না করুক।
তবে সত্যিকারের শকটা পেয়েছি আরো একটু পর। আনন্দধারার ৩২ নাম্বার পাতায় লেখা আছে,
" মাসুদ পারভেজের রিটার্ন টিকেট ছবির মাধ্যমে ইমতিয়াজ নামে নতুন এক নায়কের আবির্ভাব ঘটেছে। ... ...
... ... বুয়েট থেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ অনার্স করা ইমতিয়াজ এ ছবিতে জনার বিপরীতে অভিনয় করেছেন। ...... "
কোন রকমের অশ্রদ্ধা কিংবা তাচ্ছিল্য থেকে না, সত্যিকার অর্থেই পুরো লেখাটা পড়ার পর আমি এখন পর্যন্ত বাকরুদ্ধ !!
মন্তব্য
ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
শান্তিনিকেতনীয় সিনে ম্যাগাজিন! দারুন বলেছেন :))
গসিপ আসলে পুরোটাই সাংবাদিকদের দখলে। আর আজকাল নেট ঘেটে যা পায়, তাই অনুবাদ করে আরেকটু রস-কষ-মাসালা মাখিয়ে ছাপিয়ে দেয়। পাঠকমনে সুড়সুড়ি না দিতে পারলে তো আর কাটতি হবে না পত্রিকার!
বাকরূদ্ধ কেন?!
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
বুয়েটের কম্পুটার থেকে পাস করে বাংলা সিনেমাতে তাও আবার পুরাদস্তুর কমার্শিয়াল বাংলা সিনেমাতে নামতে হলে সাহস লাগেরে ভাই।
সেই সাহস দেখেই বাকরুদ্ধ !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তা তো ভাই বুঝতে পারসি। বাট থিংক অ্যাবাউট দ্য ব্রাইট সাইড, শিক্ষিত মানুষরা যদি এভাবে বাংলা সিনেমায় আসে, তাহলে হয়তোবা কিছুটা শুভ পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে আমাদের ছি(!)নেমা জগতে! যদিও জানা নেই কোন স্বপ্ন নিয়ে সে এই পথে পা বাড়িয়েছে! এটাও জানি না সে কেমন। তবুও কিছুটা আশা করতে দোষ কি! :-)
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
একই কথা ভাই আমাকে অনেকেই বলেছে। কিন্তু আমার যুক্তি হচ্ছে আপনি ভালো শিক্ষিত নায়ক হয়েইবা কি করবেন ? কারণ সিনেমা বানায় ডিরেক্টর।
এছাড়া ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সিনেমার সাথে কি ? আমাদের দরকার চলচ্চিত্রের লাইনে শিক্ষিত লোক, এ নিয়ে পড়াশোনা করা লোক, কোন কম্পুটার ইঞ্জিনিয়ার না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি সহমত । সিনেমায় দরকার চলচ্চিত্র-বিদ্যায় শিক্ষিত লোক ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এই ইমতিয়াজ ভাই কোন ব্যাচের। সমকাল কিন্তু খবর দিছে হবু নায়ক আমাদের মানে ০৩ ব্যাচের।
দুইটাই যাচাই কইরা লও!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
আমিও ০৩ ব্যাচ, কম্পিউটার কৌশলের ছাত্র । ইমতিয়াজ নামের কোণ সহপাঠীকে আমি চিনি না । এক বন্ধু আমাকে একটা লিঙ্ক দিয়েছিল, তাতে এই খবরটির স্ক্যান করা ছবি ছিল । সেই ছবিতে যাকে দেখলাম, তাকে আমি কোনকালেও শ্রেনী কক্ষে দেখিনি । তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্য সেকশনের পোলাপানকে ধরে ধরে জিজ্ঞেস করেছি, তাদের সেকশনে এই ব্যাক্তি আছে কিনা । সেই সেকশনেও নেই ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
- ফটুকটা এইখানে দিয়া দেন জনাব, দেখি চিনবার পারি কিনা এই নামের কাউরে।
উদ্দেশ্য অনুদ্দেশ্য যাই হোক, দশটা পঁচা আমের লগে একটা ভালো আমের টিকাতো কষ্ট হইবোরে ভাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ম্যালাদিন তারকালোক পড়িনা। তবে ছোটবেলায় যেসব জিনিস লুকায় লুকায় পড়তে হইতো এইটা তার একটা। ছবিগুলো আসলেই মন কাড়া ছিল :)
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
যাক
অতদিন পরে বুয়েটিদের একটা গতি হচ্ছে
আর কিছু না হোক ১ নম্বর এক্সট্রা হিসেবে সবজান্তার আসন কেউ টলাতে পারবে না
০২
আমি কোনো ম্যাগাজিনই পড়ি না
তবে সামনে পেলে সচিত্র (অবশ্যই শান্তিনিকেতনী নয়) ম্যাগাজিনগুলোকে বড়োই পছন্দ করি
০৩
ছোটবেলায় পত্রিকা বলতে কিন্তু সিনেমা পত্রিকাকেই বুঝতাম
এর বাইরেরগুলাকে বলতাম পেপার
সিনেমাতে ভিলেনের চরিত্র পাওয়া যাবে না হিমু ভাই এর জন্য।
ভাবছি নায়িকার বাবা র চরিত্র করবো কি না ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
স্ট্যাটস নিয়ে হইচই না করলে নায়িকার বাবার চরিত্র দেয়া যাবে (আয় মা আমার বুকে আয়' সংলাপসহ)
সিনেমায় ইঞ্জিনিয়ার বলতে কিন্তু গাড়ির গ্যারেজের মেকানিক বোঝায় আর আর্কিট্যাক্ট বলতে বোঝায় বিল্ডিংয়ের নিচে দাঁড়িয়ে কামলাদের সুপারভাইজার
এইসূত্রে বুয়েটের কম্পু ইঞ্জিনিয়ার বলতে কিন্তু বোঝাবে দোকানে বসে কম্পুর মনিটর মেকানিক
রাজি?
সবজান্তা
বাকরুদ্ধের কারণ জানলাম মন্তব্য পড়ে, তার আগে বুঝতে পারিনি।
টাসকি খাওয়ার কোন কারণ নেই।
১. ফুয়াদ আল মুক্তাদির আইটি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
২. ঐশ্বরিয়া, জারা জারার নায়িকা (নাম ভুলে গেলাম), এমনকি প্রিয়াংকা (হঠাৎ বৃষ্টির) উচ্চশিক্ষিত।
তালিকা খুব একটা ছোট হবে না।
আইটির ডিগ্রি নিয়ে শখের বশে কেকের বাবুর্চির পেশা বেছে নিয়েছে এমন উদারহণও আছে।
আমার নিজেরই ইচ্ছা আচ্ছে একসময় ফিল্ড পাল্টে ফেলার।
কম্পুটারের ছাত্র বাংলা ছবি করছে আপত্তিটা সেখানে না। সে যদি গিয়াসউদ্দিন সেলিম-তারেক মাসুদ - কিংবা এমন কোন পরিচালক যার ক্লাসের ব্যাপারে অন্তত আমাদের কোন আপত্তি নেই - এমন কারোতে ছবিতে অভিনয় করত, তাহলে আমি সেটাকে একভাবে দেখতাম।
কিন্তু পুরোদস্তুর বাংলা কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় করা আমার হিসেবে সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। সেখানে অর্থ উপার্জনই একমাত্র উদ্দেশ্য বলে মনে হয়।
অর্থ উপার্জন কিংবা বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে অভিনয় কোনটাই দোষের কিছু নয় - একজন লোকের পূর্ণ স্বাধীনতা আছে তা করার - কিন্তু বাস্তবতার প্রেক্ষিতে একজন উচ্চশিক্ষিত লোকের এরকম চলচ্চিত্রে অভিনয় করাটা বিষম খাওয়ার মত বই কি !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আলমগীর ভাই মনে হয় দিয়া মির্জার কথা বলতে চেয়েছেন। এমনকি হিন্দি সিনেমার আমিশা প্যাটেলও শিক্ষাজীবনে নাকি অর্থনীতিতে স্বর্ণপদক পেয়েছিল।
চলচ্চিত্রশিক্ষার তো অবশ্যই দরকার আছে। বিশেষ করে নির্দেশকদের। কিন্তু তারপরও একজন অভিনেতারও যথেষ্ট পরিমাণ শিক্ষিত হওয়া উচিৎ তা যেকোন বিষয়েই হোক না কেন। শিক্ষিত না হলে রুচি বা ব্যক্তিত্বে কোন পরিবর্তন আসবে না। আর এখনকার সিনেমার নায়ক-নায়িকারা তো বলতে গেলে ঠিকমত সংলাপই বলতে পারে না!
এটাও ঠিক, ছবির ভাল-মন্দের প্রধান দিকটা নির্ভর করে নির্দেশকদের উপর। কিন্তু এমন নজির কিন্তু বিরল নয় যে, কোন অভিনেতার জন্যই কোন চরিত্র তৈরি করা হয় বা অভিনেতার দাবী অনুযায়ী নির্দেশকরা তাদের অনেক কিছুই পরিবর্তন করেন। আমি এই ধরণের একটা শুভ পরিবর্তন আশা করছিলাম। হয়তো দূরাশা, তবুও... :-)
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
আমি তো নজু ভাইকে ভজিয়ে যাচ্ছি ভিলেনের রোলে আমাকে নামানোর জন্যে। চান্স পাইলে আর কোন কথা নাই! নায়িকাদের ত্রাস (পর্দায় বা বেপর্দায়) হিসেবে সিনেজগত একেবারে কাঁপিয়ে ছাড়বো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আমিও ভিলেন হতে চাই, তবে নায়িকা হতে হবে প্রভাকে ;)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- প্রভাকে মানে? এই প্রভা আসলে কে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সবজান্তার লেখার হাত আরো খোলতাই হইতাছে! লেখা জব্বর হইছে ভাই!
ধন্যবাদ !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
লেখা জব্বর হয়েছে । ইমতিয়াজ সম্পর্কে আমার বক্তব্য উপরে আরেকটা মন্তব্যে লিখলাম ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছি কমরেড এসব পড়িস ? এসব বাদ দে বুঝলি ।
আর শোন আনন্দলোক পূজা সংখ্যাটা কিনলে পড়তে দিস ।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আনন্দলোক একটা জিনিশরে ভাই। গতবার আনন্দলোকে অমৃতা অরোরার যেই ছবি দিলো, তারপর কয়েক রাত আমার ঘুমাতে কষ্ট হত, ঘুমের মধ্যে অমৃতা অরোরা হানা দিতো...... আহা সেই ভেজা শার্ট !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
পড়ে বাকরুদ্ধ কেন আপনি? সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার পরখ করে দেখার ব্যাপার আছে না? ;)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। - হুমায়ুন আজাদ
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? :-?
মন্তব্যে জাঝা
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আমার প্রথম চাকরি একটা সিনে ম্যাগাজিনে। ২০০০ সাল পর্যন্ত সিনে ম্যাগাজিনে চাকরি করছি সাব এডিটর হিসাবে... সেই পত্রিকার নাম ছিলো আনন্দভুবন।
আনন্দভুবনের প্রথম আমলের পাঠক কেউ থাকলে মনে করতে পারবেন আমাকে এবং পত্রিকায় ছাপিত ছবিকে।
আমাদের প্রথম দর্শন ছিলো যে সিনে ম্যাগাজিন সিনে ম্যাগাজিনই... এইখানে ভালো ভালো (চোখটিপি) ছবি ছাপতে হবে। প্লেবয়ষ পত্রিকাটা রেগুলার রাখা হইতো অফিসে। এবঙ সেখানে ভালো ছবি পাইলে সেই ছবিতে পট্টি মাইরা হুবহু ছাপছি আমরা। অনেক ছবির ভীড়ে চিপা দিয়া টপলেস ছবি ছাপছি পাব্লিক বোঝে নাই... (অবশ্য আকালমান্দরা ঠিক সেই ছবিটাই দেখছে সবার আগে)
আমাদের প্রচ্ছদ ফটোসেশনো দূর্দন্ত সব ব্যাপার হইতো। শামার ফটোসেশনটা বাংলাদেশের ইতিহাসে এখনো ইতিহাস। কিন্তু ভয়াবহ সেই খুল্লাম খুল্লা ছবি দিয়া প্রচ্ছদ ছাপা হইলো... পত্রিকা যে ভোরে পাঠকের হাতে পৌছাইলো সেই ভোরেই দৈনিক পত্রিকায় ছাপা হইলো রোড একসিডেন্টে শামার মৃত্যু সংবাদ।
তার কিছুদিন পরে আমরা আরেক নায়িকার ছবি তুলতে গিয়া জিজ্ঞাসা করলাম সে কি ধরনের ছবি তুলতে চায়? সে বলছিলো সে শামার চাইতে সাহসী ছবি তুলতে চায়... তখন আমরা ব্যাপক ডরাইছিলাম... হায় হায়... কয় কি?
অবশ্য তারে সেই সুযোগ দেোয়া হয় নাই...
অবশ্য আমরা একেবারেই গুজবের বিরোধী ছিলাম... কোনো গুজবে আমরা নাই। যা সত্য তাই...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঐতিহাসিক ছবিটা দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাই এই জন্যই আপনারে আমি এত ভালা পাই ! দেন না ভাই, ছবিগুলারে আমার ঠিকানায় পাঠায়া। ঈমানে কই কাউরে দিমু না ;)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সে তো অনেক আগের কথা রে ভাই... তখন তো ডিজিটালের যুগো ছিলো না... ফিল্মে তোলা হইতো ছবি... স্লাইডে সংরক্ষন করা হইতো।
ভাইবেন না যে প্লেবয় কিসিমের কিছু... তা না... তবে ছবিগুলো তখন প্রচন্ড আলোড়ন তুলেছিলো...
দেখি ছবিগুলা কালেক্ট করতে পারলে আপনেরে দিমু নে... কাউরে কইবেন না কিন্তু...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হুম। মনে পড়ে গেলো সেই সিনে ম্যাগাজিনপ্রিয় দিনগুলো!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
নতুন মন্তব্য করুন