বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের ল্যাব ক্লাসের জন্য টার্ম প্রোজেক্টের নাম প্রস্তাব করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছু প্রোজেক্ট ধারণার জন্য দেওয়া হয়েছে, তবে সেই সাথে এটাও ইশারায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার প্রোজেক্ট আইডিয়া যত চমকপ্রদ হবে, গ্রেড তার জন্য ততো আরামদায়ক হবে। ফলশ্রুতিতে নিত্য নতুন আইডিয়া বের করার জন্য ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিলো, প্রোজেক্টের হার্ডওয়্যার ইম্পলিমেন্টশন হতে হবে, পিসিবিতে। পরবর্তীতে যখন আমরা বোঝালাম, বাংলাদেশের মত নিঃস্ব দেশে বসে, বায়োমেডিক্যালের মত বিষয়ের ভালো প্রোজেক্ট বানানো প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার, তখন এ ব্যাপারে কিছুটা নমনীয় হতে রাজি হয়েছেন। এখন আপাতত সম্পূর্ণ থিয়োরিটিক্যাল আইডিয়া ( সার্কিট এবং অন্যান্য ডিটেইলস সহ) দিতে হবে, সময় থাকলে, এবং সম্ভব হলে এর হার্ডওয়্যার ইম্পলিমেন্টশন করতে হবে।
আমরা জানাতে চেয়েছিলাম, ম্যাটল্যাব দিয়ে কোন প্রোজেক্ট করা যাবে কি না ( ইমেজ প্রোসেসিং বা এসব দিয়ে ), তাঁরা জানালেন অবশ্যই করা যাবে, তবে প্রধান শর্ত হচ্ছে মানুষের শরীর থেকে কোন ধরণের সিগন্যাল নিতে হবে অবশ্যই। বাদবাকি যাই করতে চাই, সিগন্যাল প্রোসেসিং বা এ ধরনের কিছু, সব এই সিগন্যাল এর উপর।
মন্তব্য
হৈ মিয়া! আইডিয়া টুকলিফাই কেম্নে মানবতার ডাক হৈল?
----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আরে ভাই ভুল বুঝলেন, আইডিয়া টুকলিফাই করি না। ঘটনা হইলো যে, গরীব দেশের বায়োমেডিক্যাল প্রোজেক্ট আসলে বিলাসিতা।
ধরেন, যখন টিচাররা প্রোজেক্ট ঠিক করে দেয়, তখন ব্যাপারটা নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না, শুধু কাজ করলেই হয়।যেমন ধরেন, নিশ্চিন্তে চার বিটের 'আলু (হার্ডওয়্যার সহ)' কিংবা মাইক্রোপ্রোসেসর বানাইছি। কিন্তু যখন কি করতে চাই, সেটাও আমাদের বের করতে হয়, তখন মাথায় পচুর মগজ-ঝড় চালাইতে হয়। সেইটাও সমস্যা না, সমস্যা হইলো সাবজেক্টটা বায়োমেডিক্যাল। এইগুলায় পারফেক্টলি একটা সেটআপ চালানোর জন্য যে পরিমান সুক্ষ্ম আর ওয়েল টিউনড সেন্সর, ট্রান্সডিউসার দরকার হয়, তা আমাদের দেশের পাটুয়াটুলির বারোয়ারি ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটে পাওয়া যায় না।
কাজেই এই বিষয়ে নিয়ে কাজ করে অভিজ্ঞতা আছে, এমন কেউ যদি আমারে বলতে পারতেন, আমার জন্য অপটিমাম আসলে কোন প্রোজেক্ট হবে, তাহলে বেশ সুবিধা হত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাই কেউ আইডিয়া দেন। সত্তরগুন বেশী নেকি পাবেন। এই সুযোগ...
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
মনে পড়ে আমাদের ক্লাসের দুইটা প্রজেক্টের কথা।
একটা ছিল ইসিজি টাইপ একটা যন্ত্র। যদি ভাল কোন বায়োসেন্সর যোগাড় করতে পারেন তো চেষ্টা করে দেখতে পারেন। যতদুর মনে পড়ে এই সেন্সর টাই ছিল bottleneck. বাদ বাকি data acquizition, hardware-software integration এইগুলা ঠিকমতন কাজ করে। আমরা প্যারালাল পোর্ট ব্যবহার করতাম। front end যেকোন visual language এ লিখলেই হয়।
ব্লাড প্রেশার ম্যাশিন বানিয়েছিল একজন। খুব ভাল কাজ করেনি, কিন্তু প্রজেক্ট টা খারাপ হয় নি।
ফুস্ফুসের বাতাসের বিভিন্ন অবস্থায় পরিমান মাপার জন্য spirometer ব্যবহার হয়। চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ জাফরী ভাই।
সেন্সর আর ট্রান্সডিউসারই আসলে আমাদের মূল মাথাব্যাথা, কারণ এত ছোট অ্যাম্পলিচিউডের সিগন্যাল ডিটেক্টশন করা এবং তাকে কনভার্ট করাটা আমার ধারণায় বেশ কষ্টসাধ্য কাজ।
তবে সুবিধা একটাই, স্যার বলে দিয়েছেন যে, খুব অসুবিধা হলে হার্ডওয়্যার এর দরকার নেই। চমৎকার কোন প্রোজেক্টের থিয়োরিটিক্যাল এপ্রোচ হলেও চলবে। সে ক্ষেত্রে আপনি আরো একটু সাহায্য করতে পারেন ? সারা বিশ্বে মোটামুটি ধরণের কি কি কাজ হচ্ছে এই ফিল্ডে, তা জানাতে পারেন ?
শেষ কথা, আপনি কি বুয়েট ইইই ৯৭ ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
amplitude সমস্যা টা মেনে নিতেই হবে। ভাল কোন LNA চিপ পেলে সমস্যা কম হবে। পাওয়ার সাপ্লাই টা clean হওয়া দরকার। এই supply noise গুলা খুবই বিরক্তিকর।
spiro টা সহজ হবার কথা। transducer সেন্সিটিভ না হলেও চলবে।
আসলে সারা বিশ্বে যে ধরনের কাজ হয় তা বাংলাদেশে ক্লাশ প্রজেক্ট হিসেবে উপযোগী কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কারণটা সহজেই অনুমেয়।
এই প্রজেক্টগুলা হয়তো ধারনা দিতে পারেঃ
http://homepages.cae.wisc.edu/~bmedesgn/
http://www3.sdstate.edu/Academics/CollegeOfEngineering/BiomedicalEngineering/BiomedicalEngineeringStudentProjects/Index.cfm
ইম্পলিমেন্টেশন টা দেশে করতে হলে হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তা দিয়েই করতে হবে। এখানে ebay তে সব পাওয়া যায়। দেশে তা সম্ভব নয়। আমি নিজে ভারত আর সিঙ্গাপুর থেকে চিপ আনিয়েছি ছাত্রজীবনে।
তাই উপযোগিতার চেয়ে সহজলভ্যতা টা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার নিজের প্রজেক্ট ছিল spectrum analyzer. যে ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ এ কাজ করত সেটা তা biomedical এ ব্যবহার হতে পারে।
আরেকটা প্রজেক্ট এর কথা না বললেই নয়। memory osciloscope. কম্পিউটার স্ক্রীনে wave দেখানো। চমতকার হয়েছিল সেটা। এটাও বায়ো তে ব্যবহার করা যেতে পারে। সেন্সর পার্ট টা রিডিজাইন করতে হবে।
শেষ কথা- হ্যা, আমি বুয়েট ইইই ৯৭।
হিমু, জারির আমার ক্লাশমেট।
কোটি কোটি ধন্যবাদ। আপাতত আপনার বুদ্ধি+ লিঙ্কগুলি নিয়ে ভাবছি। আরো বুদ্ধি দরকার হলে জানাবো আপনাকে।
আমি অবশ্য আপনার কথা শুনেছি, আপনার অন্য এক ব্যাচমেট রিয়াদ ভাই এর কাছ থেকে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রিয় সবজান্তা, কিছু দিন পর পরই দেখি আপনার পোস্ট - এটা জানতে চাই, ওটা জানতে চাই। তাই আপনার নাম "সবজান্তা" পালটে "সবজানতেচাই" ধরনের কিছু করলেই কি ঠিক হয় না? আক্বীকার দরকার হলে বলবেন, আমরাতো আছিই।
===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আমার পুরো নাম, সবজান্তা হতে চাই। হতে চাই টা উহ্য থাকে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন