দীর্ঘ ইন্টারনেট বাসের এই সময়ে আমার অনেক লোকের সাথে আলাপ পরিচয় হয়েছে, আর বলাই বাহুল্য তাঁদের সিংহভাগই মেয়ে, তাও কি না কিশোরী অথবা তরুণী।
যাই হোক বহুকাল আগের এমনই এক পরিচিতা কিশোরী ( সাম্প্রতিক তরুণী ), সেদিন মেসেঞ্জারে নক করলো। টুকিটাকি কুশল বিনিয়ময়ের পর বোঝা গেল নক করার আসল উদ্দেশ্য কী। তাঁর এক বান্ধবী, জনৈক ছেলেকে জানাতে চায় যে, সে তাকে ভালোবাসে। তবে কথাটা সে এমনি এমনি এত সহজেই জানাতে চায় না। সে চায় একটা কথাটাকে কোনভাবে "এনক্রিপ্ট (Encrypt)" করে বলতে, অর্থাৎ কিনা মূল কথাটা ঘুরিয়ে কোন হাবিজাবি ফর্মে লিখে দিতে, যাতে সেই ছেলে কষ্ট করে তার মর্মার্থ উদ্ধার করে। আর এরকম ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লেখার জন্যই আমাকে খোঁজা হচ্ছে।
আমাকে কেউ কিছু বললে, বিশেষত এমন কিশোরী তরুণীরা কিছু বললে যে না করতে পারি না, সেটা সর্বজনবিদিত। আমি তাই হাসিমুখেই রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু এর পরই বিপদ। এরকম এনক্রিপশন সলভ করতে আমার ভালো লাগে, কিন্তু বানানো তো মুশকিল ! তবু চেষ্টা করে খুব দায়সারা গোছের কিছু একটা বানিয়ে সেটাকে অফলাইনে মেসেজে দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে গেলাম।
পরদিন প্রোজেক্টের কাজে হলে গিয়েছি। এক বন্ধুর কম্পিউটার দিয়ে মেসেঞ্জারে লগিন করে তো আক্কেল গুড়ুম। সেই কিশোরী অত্যন্ত রাগতভাবে অফলাইন মেসেজ রেখেছে যে সে আমার কোন অফলাইন মেসেজ পায়নি। একটা মাত্র অনুরোধ করেছে, সেটাও আমি দাম দেখিয়ে রাখি নি। বেশ, আমার আর কিছু করা লাগবে না।
চূড়ান্ত অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। দুইদিন পর ওকে অনলাইন পেয়ে জানালাম যে, আমি আসলেই দিয়েছিলাম কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে সেটা যায়নি। ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে আমি কি আরেকটা করে দিবো? একটু গাঁইগুই করতেই দেখলাম রাজি হয়ে গেলো। ভেবে দেখলাম, এমনিতেই সেদিন একটা খুব দায়সারা গোছের দিয়েছিলাম, ওটা দেখা মাত্র পেরে যাবে। এবার যেহেতু সময় পেয়েছি, ভালো মতোই একটা লিখি।
বেশ খানিকক্ষণ নেট ঘেঁটে বেশ শানদার একটা জিনিশ বানালাম। নিজের প্রতিভায় নিজেই খুশি হয়ে গেলাম। অবশ্য এদিকে মনটাও খুঁতখুঁত করছে, এত কঠিন দিবো, এটা কী আদৌ পারবে ? মেসেঞ্জারের সেই তরুণিকে জানাতেই সে ঝাড়ি দিয়ে বললো, কোন সমস্যা না। যেহেতু এটা তাঁর বান্ধবীর প্রেম, কাজেই তাঁর কোন মাথা ব্যাথা নেই। বুঝলাম নারীজাতি বড় পাষাণ। আমিও উচ্চবাচ্য না করে দিয়ে দিলাম।
বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে এর মধ্যে। নানা রকম ব্যস্ততায় আমি আর খোঁজ নিতে পারি নি। আজ সন্ধ্যায় সেই তরুণীকে মেসেঞ্জারে দেখতেই জিজ্ঞেস করলাম, সেই "প্রেম পত্রের" কী অবস্থা? উত্তর শুনে তো আক্কেল গুড়ুম!!
সেই ছেলে অনেক চেষ্টা করেও সেটা সমাধান করতে পারেনি। এর পর চূড়ান্ত ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে সেই মেয়ের সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছে। সম্পর্ক প্রায় ভাঙ্গার পথে।
খুবই খারাপ লাগছে সেই ছেলের জন্য। আমার কের্দানির জন্য একটা সম্পর্কে অকালে মারা গেল। একটা ছেলে প্রেম বঞ্চিত হলো, একটা মেয়ে অত্যাচার করার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হলো আমার জন্য, সবই আমার জন্য।
হে নাম না জানা "জনৈক ভাই" আমি দুঃখিত।
মন্তব্য
হা হা হা...
ইশকুল কালে একবার এক বন্ধু ধরলো সে আমাদের ক্লাশেরই এক মেয়েকে ছড়ায় ছড়ায় ক্ষেপাইতে চায়... ক্ষেপানো নাকি প্রেমের পূর্বশর্ত... আমি তারে লেইখা দিলাম একটা ছড়া... বিশাল ছড়া... পড়ার পরে তো সেই মেয়ের মেজাজ খারাপ...
সেদিনই সেই মেয়ে আমারেই ধরলো সেই ছেলের বিরুদ্ধে যেন একটা জম্পেশ ছড়া লিখে দেই... আমি তাকেও লিখে দিলাম।
আরেকবার, তখনো ইশকুলে পড়ি। এলাকার এক সমবায় সমিতির বড়ভাইরা আমার কাছে আসলো সমিতির একটা কঠোর গঠণতন্ত্র লিখে দিতে। তার কিছুদিন আগেই পল্টন থেকে বাংলাদেশের সংবিধান কিনছি। সমবায় সমিতির গঠণতন্ত্র কেমন হয় তার একটা ফর্মেট খুঁজতেছিলাম... পাইলাম না কোথাও... পরে ভাবলাম অন্যান্য সমিতির মতো লেখলে তো আর আমার দাম থাকলো না। আমি বাংলাদেশের সংবিধান অনুকরণ করে... সেই জটিল ভাষায় একটা গঠণতন্ত্র লিখে দিলাম তাদেরকে। খুবই গর্বিত চিত্তে। বলা বাহুল্য সেইটার একটা বাক্যও তারা কেউ বোঝে নাই। তাতেও খুব আমোদ পাইছিলাম।
কত্ত বড় বেকুব ছিলাম তা ভেবে এখন নিজে নিজেই হাসি... (এখনো বেকুবই আছি অবশ্য)
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই নাহলে নজু ভাই। সেদিন নাটক লেখার কথা বলছিলেন, আর আজকে গঠনতন্ত্র। আপনি ভাই বিভিন্ন রকম লেখা নিয়ে একটা বই/সিরিজ লিখে ফেলেন।
নজু ভাই, প্রেমের জন্য একটা গঠণতন্ত্র লেইখা ফালান সংবিধান দেইখা
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাইরে, অন্যের গু আর অন্যের প্রেম বহন করতে নাই। পাবলিক যদি প্রেম-কাম-হাগু ইত্যাদির চাপ নিজে প্রকাশ করতে না পারে তো দূরে গিয়া মরুক।
হাঁটুপানির জলদস্যু
আফনের এই মহান বাণী যদি ছোডুবেলায় কোনোভাবে খুঁইজা পাইতাম, তাইলে কি আর অমুন বেগার খাইটা মরি! হায়।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
সর্বনাশ! ভালো কইরা সাবান দিয়া হাত ধুইয়া ফ্যালেন !
হাঁটুপানির জলদস্যু
কয়লা ধুইলে কি ময়লা যায়?
সাবানের কী সাধ্যি!
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
- ময়লা না ময়লা না, এইটা হইলো বাবলা পাতার কষ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অনেক কল্পনা কইরাও অন্যের গু বহন করার দৃশ্যটা সিমুলেশন করতে পারলাম না ! হিমু ভাই এই কথাটা পাইলেন কই !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই জন্যে বেশি কঠিনের চেয়ে ঠুটকা ঠাটকা হাবিজাবি ফর্মই ভালো।
হিমু ভাইয়ের পাঙ্খা থিওরীতে খুবই মজা পাইলাম
জনৈক ভাইয়ের জন্যে তেমন দুঃখ পাইনাই। এত অল্পে ত্যাক্ত বিরক্ত হয়ে গেলে আসলে সে কখনোই মেয়েটার মতন করে ফিল করে নাই। এই সম্পর্ক না হওয়াই ভালো।
তা কমরেড এনক্রিপ্টেড কথাটা কি আছিল ?
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
এনক্রিপ্টেড ভার্সনটা লেইখা রাখি নাই। মেসেঞ্জার উইন্ডোতে হিসাবে করে লেইখা দিছিলাম, আর আমি লগও রাখি না।
কেন ? আপনার দরকার ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
যা যা ! প্রেমে জটিলতা আঁতলামি ভালা না, জিগাইলাম কৌতুহল হইল দেইখা ।দেখসস তো তোর জটিলতায় একটা হইতে পারত প্রেমও হইল না !
মা নিষাদ প্রতিষ্ঠাং ত্বম গম: সাশ্বতী: সমা: যত্ ক্রৌঞ্চমিথুনা দেকমবধি: কাম মহিতম্ !
( )
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
হা হা হা হা ...... এই মাঝরাতে আপনার কমেন্ট পইড়া হা হা কইরা হাসতেছি। লাস্টে এইটা কি বললেন ... তয় আমি অবশ্য মৈথুনরত অবস্থায় মারি নাই, মৈথুনপূর্ব অবস্থায় মারছি
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সাম্প্রতিক তরুনী আরেকজনের প্রেমের গল্প ফেঁদে এনক্রিপ্টেড ভাষায় আপনাকে কিছু বললো নাকি!
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আহা আপনার কথায় তো আমার ভাগ্যাকাশে রীতিমত চাঁদ উইঠা গ্যালো মনে হইতেছে !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হ ! তুই আসলে ওর এনক্রিপ্ট করা প্যাকেট টাই বুঝস নাই, এর লেইগা চেতসে ও নিজেই, আর তোরে কোডে বলসে যে ওই পোলাপান চেতসে
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
মেয়েরা অন্য মেয়ের সাহায্য নেয় আর ছেলেরা নেয় তাদের দোস্তদের সাহায্য ...... এর বেশি তো মাথায় কিছু আসে না।
কোনদিন না জানি আপনার দুই মেসেজ (অফলাইনেরটা সহ) মিলায়ে নতুন মেসেজ পান .....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
বলেন কী !
সেই মেসেজের চিন্তায় তো এখন থেকেই ঘুম আসছে না !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার তো মনে হইলো সবজান্তারেই আসলে সেই মাইয়া
এনক্রিপটেড কইরা ফেলাইসে নানা ভাইল ভুইল দিয়া।
শামীমের প্রশ্নের সাথে একমত
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
নাহ্ সবজান্তা, তোমার বুদ্ধি তো আরেকটু বেশী ভাবসিলাম
অবশ্য, না থাক -
আহা ! থামলেন কেন !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- রানা মেহেরের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার মাথায় ঠাটা পড়ুক। জানেন তো মন ভাঙ্গা মসজিদ ভাঙ্গার সমতুল্য। আর ভেঙ্গেছেন তো আস্ত একখানা প্রেম।
মাথার উপর জিউসকে নিয়ে ঘুরতে বলেন ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ধুসর গোধূলি-র সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
যারা যারা, যাদের যাদের সাথে একমত হয়েছেন, আমি তাদের সবার সাথে একমত
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
উহু...শুধু দুঃখিত হলে চলবে না। আপনার যাবজ্জীবন ফাঁসি হওয়া উচিত!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আপনারা বলছেন ? তাহলে অবশ্যই হওয়া উচিত
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি তো ভাবলাম শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে ওই বান্ধবীই আপনাকে সেই এনক্রিপ্টেড মেসেজ পাঠায়া দিবে!
যাই হোক, দুঃখ করে লাভ নাই। ওই ছেলে মেয়েটাকে মনে হয় মন থেকে কখনো ভালবাসেইনি। না হলে কি আর এত সামান্য কারণে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়! তাই ওদের বিচ্ছেদে বরং আপনার খুশিই হওয়া উচিত
_______________
বোকা মানুষ
মজা পাইলাম।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
প্রথম যে প্রেম পত্র লেখলাম সেটা এতই 'থিয়োরেটিকাল' ছিল যে মেয়ে বুঝতেই পারে নাই কি বলতে চাই। প্রকৃতি, কাব্য, তার সৌর্ন্দয্যের বর্ণনা সবই ছিল কিন্তু 'আমি তোঁয়ারে বালাবাসি' এই বাক্যটিই ছিল না। আমার প্রেমপত্র দেখি মানুষের হাতে ফটো কপি হয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগল। আর মেয়েটা স্কুল পাশের পর পরই আরেকজনকে বিয়ে করে ফেলল।
আরেকবার আরেক বান্ধবীকে চিঠি দিয়েছিলাম। নিছক এক-বন্ধুর-কাছে-আরেক-বন্ধু মার্কা চিঠি। সেই পত্র গিয়া পড়ে বান্ধবীর মায়ের হাতে। ব্যস, কেমন যেন তার ধারনা হইল যে আমি তার সাথে প্রেম করি। ফলাফল কি আর বলা লাগবে?
তবে আমার সাকসেসফুল বার্তা বা কার্ড হইল আমার বর্তমান স্ত্রী - তৎকালীন বান্ধবীর কাছে। তখন ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষ্যে দুই কি তিন ফুট দৈর্ঘ্যের ভোমা সাইজের একটা কার্ড পাওয়া গেছিল আর্চিস না কোন এক কার্ডের দোকানে। সেই কার্ডের মধ্যে তিন/চার লাইনের কবিতা লিখছিলাম। বিশেষ বার্তা বাহী সেই কবিতা পইড়াই তিনি মুচকী হেসেছিলেন সেদিন।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রাফির সাথে একমত
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সন্ন্যাসীর সঙ্গে একমত।
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হাঃ হাঃ হাঃ
মজা পাইলাম।
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন