০১
ধীরে ধীরে ঢাকায় শীত পড়ে যাচ্ছে। গত কয়েকটা দিন হলে ছিলাম র্যাগের অনুষ্ঠান উপলক্ষে। সারারাত ক্যাম্পাসের গেটের সামনের শহীদ মিনারে বসে নয়তো চাঙ্খারপুলে খেতে যাওয়া আসায় কাটতো। এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় গাছপালা বেশি, গভীর রাতে প্রায়ই দেখা যেত, গোল গলার হাফ হাতা টি শার্ট পরে আমরা ঠক ঠক করে কাঁপছি।
শীতকালের এই এক দোষ, বয়স আমাদের যতোই হোক, তবু বড্ড নস্টালজিক করে দেয়। কোয়ার্টার সেঞ্চুরি করতে না করতেই আমরা সারারাত ধরে স্মৃতিচারণে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। নিজেদের স্মৃতির ঝাপি খুলে আপন মনেই বলতে থাকি গত চার-পাঁচ বছরে ঘটে যাওয়া সব ঘটণা। কখনো সবাই মিলে উচ্চস্বরে হেসে উঠে রাতের নিঃস্তব্ধতার বারোটা বাজিয়ে দেই, আবার কখনো সবাই নিঃশ্চুপ হয়ে যাই, অনুভব করি - এদিনগুলি আর ফিরে আসবে না।
এরকম রাতেই অনুভব করি গত চার পাঁচ বছরে এই জীবনকে অসংখ্য গালি দিলেও, একে আমরা ভালোবেসে ফেলেছিলাম। ক্যাফের সামনের আড্ডা, সেমিস্টার শেষের কনসার্ট, চৌদ্দতম সপ্তাহের নাকে-মুখে দৌড়াদৌড়ি প্রোজেক্ট, কুইজ আর ভাইভা নিয়ে, ফিল্ম শো আয়োজন করা কিংবা কালচারাল প্রোগ্রামের জন্য নাটক লেখা, অভিনয় করা আর সারা রাত জেগে এডিট করা অথবা প্রিয় বন্ধুর কঠিন অসুখে জান লড়িয়ে টাকা যোগাড় করা - এসব কিছু মিলিয়েই যে জীবনটাকে গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে বয়ে চলেছি, নিরন্তর যাকে অভিশাপ দিয়েছি, তাকেই আসলে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছিলাম।
০০
ফয়সালকে নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছা করে না, কিছু লেখতেও ইচ্ছা করে না।
একটু আগে হঠাৎই আবিষ্কার করলাম, ও আমাদের হারিয়ে দিয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই শোকাক্রান্ত নিজেদের আসন্ন বিদায়ে। নিজেদের ক্লান্তিকর, দীর্ঘ পথ বয়ে চলা জীবনে চলতে চলতে আমরাও একদিন ক্লান্ত হবো, বুড়ো হব, ভুলে যাবো একদিন বুয়েটের ছাত্র ছিলাম, কী ভীষণ তীব্রভাবে আমরা বেঁচেছিলাম।
শুধু বুড়ো হবে না ফয়সাল। অনন্তকাল ও তরুণই থেকে যাবে। কোন জরা, ক্লেশ, ক্লেদ ওকে আর স্পর্শ করবে না। আমাদের চুলে একদিন নিশ্চিত পাঁক ধরবে, চামড়া ঝুলে যাবে, শরীরে ক্লান্তি এসে জমা হবে। শুধু ফয়সালই নীরবে ঘাড়ে হাত রেখে তাকিয়ে থাকবে মুখে একটা লুকানো হাসি নিয়ে, সব কিছুর বাইরে...
আমরা সবাই ধূসর হবো, শুধু সবুজ রবে ওই , একলা ...
মন্তব্য
হুমম। স্বপ্ন দেখনেওয়ালারা এইভাবে চলে যায় আর আমরা স্বপ্নহীনেরা পড়ে থাকি।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
..........................................................................................
...............................
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
১.
চানখার পুলে অনেকদিন গরুর কালাভূনা খাই না... আপনার লেখা পড়ে সেটা খাবার তীব্র বাসনা জাগলো..
২.
এক্সট্রা ১.
আমরা সবাই ধূসর হইলে তাইলে ধূসর গোধূলী কি হবে?
এক্সট্রা ২.
লেখা খুবই সুন্দর হইছে... আমি ভাইবাই পাই না প্রকৌশলীরা এইরকম সুন্দর লেখে কিভাবে?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
- ধুসর গোধূলি নিমজ্জিত হবে অন্ধকার রাতে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন ছুঁয়ে গেল আপনার লেখা।
আসলেই যারা চলে যায় তারা হয়তো ভালই থাকে, যেখানে থাকে।
পড়ে থাকি কেবল আমরা দৈনন্দিন টানাপোড়েনে আর প্রিয়জন হারানোর বেদনা নিয়ে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
সেদিন দেখলাম আপনাকে, গায়ে রঙ মেখে মিছিল করতে বুয়েটের ক্যাফেতে...
............
=============================
দেখলে ডাক দেওনাই কেন !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আরে ঠিক মতো দেখতে দেখতেই আপনি হাওয়া। ব্যাপার না নেক্সট টাইম
=============================
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
- কিছু কিছু লেখা থাকে যেখানে আসলে মন্তব্য করার মতো কিছুই থাকে না। লেখাটাকে তার মতোই থাকতে দিতে ইচ্ছে করে। অনেকটা ছোটবেলায় ফেলে আসা বন্ধুদের মতো, যাদের বয়স আর সেখান থেকে বাড়েনি, যারা এখনো সেই ছোট্ট শরীরেই আবদ্ধ হয়ে আছে। থাকতে দিতে ইচ্ছে করে তাদেরকে তেমনি- যেমনটা আছে মনের মাঝে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দারুল লিখেছ এটা ! আর এমন একটা লেখা যে সবটুকুই গিলতে পারলাম কোনো বদহজম ছাড়াই !
--------------------------------------------------------
গুরুর মতই বলতে হয় মন্তব্য করা যায় না এমন একটা লেখা।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
বন্ধুর স্মৃতিটুকু বেঁচে থাক কাছের মানুষদের ভালবাসায়।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
ভাগ্যিস মানুষের ভালোবাসার অপরিসীম ক্ষমতাটা ছিলো ...... সেজন্যই আমরা শোকের মধ্য থেকেও শক্তি খুঁজতে পারি ...... নাহলে বাঁচতাম কিভাবে ......
মনটা খারাপ হয়ে গেল। আবার।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
আপনার লেখার শেষ প্যারাটা সুনীলের একটা উপন্যাসের শেষের মতো, একদম।
শান্তনুর ছবি না কি যেন নাম ছিলো বোধ হয়, পড়েছিলেন? এক্স্যাক্টলি এই রকম করেই বলা... .... .... অদ্ভুত না, মিলে যাওয়াটা, জীবনের সাথে?
মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
নতুন মন্তব্য করুন