সিকিমে ঢুকতেই যে অংশ, তার নাম সম্ভবত রংপু (সম্ভবত বলছি, কারণ পুরোপুরি খেয়াল নেই)। আমরা গাড়িতে উঠেছিলাম শিলিগুড়ির কাছে সেবক নামের চমৎকার সুন্দর, তিস্তা ঘেষা এক জায়গা থেকে। সেই গাড়ি আমাদের সিকিম বর্ডার পার করেই রংপোতে নামিয়ে দিলো, কারণ এই গাড়িগুলির রুট পারমিট এতটুকুই। গ্যাংটক অর্থাৎ কী না, সিকিমের রাজধানী এখনো প্রায় ঘন্টাখানিকের পথ, আর এই পথটুকুর জন্য আমাদের গাড়ি পাল্টাতে হবে।
এর মধ্যেই পেটে একদম হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। সবাই মিলে ঢুকে পড়লাম বেশ ফিটফাট একটা খাওয়ার দোকানে। সিকিমিজরা কী না কী খায়, এই আশংকায় আমরা মেনু না দেখেই ধোসার অর্ডার দিয়ে দিলাম, গ্লোবালাইজেশনের কল্যাণে এই খাওয়া আজকাল ঢাকাতেও বেশ চলে কী না। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বের হওয়া মাত্রই, আমাদের যাত্রাসঙ্গী সেই বড়ভাই আমাকে টেনে পাশের একটা দোকানে নিয়ে গেলেন।
ঢুকে তো আমার চক্ষু চড়কগাছ !
মদের দোকান। সার সারি সুদৃশ্য বোতল সাজানো, আর সিকিমে সব মদই এক্সাইজ ফ্রী। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, এখানে রাতে যেরকম ঠাণ্ডা পরে, আর আমরা যেসব পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চাই, সেখানের জন্য এলকোহল অবশ্যই দরকার, না হলে আমাদের অনভস্ত্য শরীর ঠাণ্ডায় বিশ্রীরকম কাবু হয়ে যাবে। আমাকে বললেন, আমার মা'কে যেন বলি এগুলি ফলের রস ( না হলে আমার মা ঠাণ্ডায় মমি হয়ে যেতে রাজি হতেন, কিন্তু এগুলি মুখে তুলতেন না। পরে অবশ্য মা'র ঠিকই সন্দেহ হয়েছিলো)। এই বলে তিনি মোটামুটি লো অ্যালকোহলের (১৫%) রেড ওয়াইন কিনে নিলেন দুই বোতল। যদিও মনে পড়ে রইলো স্মিরনফ, হ্যানিকেন কিংবা ফস্টার - প্রমুখ বোতলের কাছে, তবু লোকাল রেড ওয়াইন দেখেই মন ভালো করতে হল - বিজ্ঞাপনে ভাষায়, "বাচ্চারা আজকাল ন্যাপিতেও হ্যাপি ".
আবার শুরু হলো আমাদের যাত্রা। এমনিতেই সিকিমে আসার রাস্তা অপূর্ব সুন্দর, আর গ্যাংটকের দিকে যাওয়ার রাস্তা সে'টাকেও হার মানায়। এখনো চারপাশে সেই তিস্তাই বয়ে চলেছে নিরন্তর, তবে গাড়ি বেশ দ্রুত চলার কারণে ছবি আর তোলা হচ্ছিলো না।
চারপাশ দেখতে দেখতেই গ্যাংটক পৌছে গেলাম। গ্যাংটক টুরিস্টেরই এলাকা, সারা শহর জুড়েই অনেক হোটেল, মোটেল, লজ আছে। আমার সেই বড় ভাইয়ের মত হল, পাহাড়ি রাস্তায় লাগেজ নিয়ে হাঁটা বেশ কষ্টের। এছাড়া কোথাও যেতে হলেও সেই ট্যাক্সি বা গাড়ির স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসতে হয়, কাজেই এই স্ট্যান্ডের কাছাকাছি কোথাও হোটেল ভাড়া নেওয়াটাই ভালো হবে। স্ট্যান্ডের কাছেই একটা হোটেল ছিলো যেটার ম্যানেজার থেকে শুরু করে বয়-বেয়ারা, সবাই বাঙালি, সবাই মিলে সেই হোটেলেই উঠলাম।
হোটেলের নাম ডুগ। খুব বেশি জাতের হোটেল না, অন্তত কক্সবাজারে বেড়াতে গেলে আমি এরকম হোটেলে উঠতাম না। তবে বিদেশের মাটিতে এত বাছাবাছি চলে না, কাজেই এ'নিয়ে আর মাথা ঘামাই নি। হোটেলে বাঙালি খাওয়া রেডিই ছিলো - দুপুরের খাওয়া সারলাম নিরামিষ তরকারী, ডিমের ঝোল আর ডাল দিয়ে। গ্যাংটকের সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে খাওয়া দাওয়া - আপনার সামনে ধোঁয়া উঠা খাবার এনে দেওয়া হল, আপনি কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে মিনিট পাঁচেক গল্প করে খাবারে হাত দিলে মনে হবে, বুঝি ফ্রীজ থেকে বের করা হল মাত্র।
খাওয়া শেষ করে হাত ধোয়ার জায়গাটা আসলে একটা খোলা বারান্দার মত, দো 'তলার উপরে। ম্যানেজার ভদ্রলোক জানালেন যে তিনি হাত ধোওয়ার জন্য গরম জল আনছেন, তবু আমি স্বভাবসুলভ বীরত্ব দেখিয়ে ট্যাপ ছেড়েই যেই না হাতটা পাতলাম ...... - পাক্কা দশ মিনিট পকেট থেকে হাত বের করতে পারি নি, পুরো জমে গিয়েছিলো একদম। যাই হোক, পকেটে হাত নিয়েই বারান্দায় দাঁড়ালাম।
গ্যাংটকে ঢোকার পর এই প্রথম ধীরে সুস্থে পুরো শহরটাকে দেখতে পেলাম। পাহাড়ি শহর, তবে দার্জিলিং-এর চেয়ে কম ঘনবসতির মনে হল। দূরে সব পাহাড় সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে। মাঝেই মাঝেই ঘন কুয়াশাতে ঢাকা পরে যাচ্ছে সামনের সবকিছু। তবে সবচেয়ে মেজাজ খারাপ হচ্ছে, কুয়াশার কারণে একদম সোজা দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজংঘাকে দেখতে পাচ্ছি না।
নিচে এসে একটু বসে বিশ্রাম নিয়েই আবার বের হওয়ার তোড়জোড় শুরু হলো - শহর দেখতে যাবো। গরম জামা কাপড় ( এমন কী হাত মোজা !! ) পরে, বের হয়ে নিচে আসার পর হোটেলের ম্যানেজার জানালেন, আগামীকালের ( অর্থাৎ আমাদের মূল যে পাহাড়ে ঘোরাঘুরি ) জন্য আমাদের গাড়ি ঠিক করে রেখেছেন তিনি। আমাদের শুধু দুই কপি করে ছবি লাগবে।
ছবি ! আকাশ থেকে পড়লাম !
বেড়াতে এসে আবার ছবি কিসের ! - ম্যানেজার জানালো, মুম্বাই ঘটনার পর থেকে ভারত সরকার নিয়ম করেছে পাহাড়ে
(বিশেষত আমরা যেদিকে গিয়েছিলাম, নাথুলা, সেখানেই চীনের সাথে বর্ডার) যেতে হলে গাড়ির আরোহীর সবার ছবি এবং আই কার্ডের ফটোকপি জমা দিতে হবে। অতএব, ডিজিট্যাল ক্যামেরা দিয়ে সবার ছবি তুলে সে'টাকে দোকানে দিয়ে আসলাম প্রিন্ট করতে।
গ্যাংটক শহরটাকে আমি কোনমতেই ভারতের আর কোন জায়গার সাথে মিলাতে পারি নি। এত পরিষ্কার আর ঝা চকচকে শহর যে পাহাড়ের বুকে দাঁড়িয়ে, না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত হত। ঘুরতে ঘুরতে একটা মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়ালাম, নাম মহাত্মা গান্ধী সংক্ষেপে এম.জি মার্কেট। অনেকগুলি বেঢপ উচ্চতার সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় সেখানে। যাদের মনে এক্সারসাইজ করার খুব শখ, তাঁরা সকাল বিকাল কয়েকবার উঠা-নামা করতে পারেন সেখানে।
এত কষ্ট করে উঠার পর যা দেখলাম, সম্পূর্ণ চোখ ধাঁধিয়ে গেল। ঢাকাতে আলো-ঝলমলে বিশালাকৃতির শপিংমল তো বিস্তর দেখেছি, সে তুলনায় এই দোকানগুলি হয়তো অতোটা সুসজ্জিত নয়, কিন্তু পুরো জায়গাটা এত চমৎকারভাবে সাজানো যে, বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, আমি পৃথিবীর উন্নত কোন দেশে নেই। পুরো মার্কেটের সামনের জায়গাটাতে কোন গাড়ি চলাচল করে না, সবাই হাঁটছে। রাস্তায় সুন্দর স্ট্রীট লাইট জ্বলছে। রাস্তার মাঝে একটা লেন - পুরোটাই বাগান, ঝর্ণা আর মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি। আর সেই বাগানের সাথেই রয়েছে বসার বেঞ্চ।
মার্কেটে লম্বা সময় ঘোরাঘুরি করে, সামান্য কেনাকাটা করে, হোটেল চলে আসলাম। এর মধ্যেই শীত বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রী নেমে যায়; রাতে বোধ করি চার-পাঁচ ডিগ্রীতে নেমে আসে। রাতে ভাত খেয়ে, রুমে আসার পর দেখি ঠাণ্ডায় অবস্থা কাহিল। এমন জরুরী অবস্থায় সিদ্ধান্ত হল, কিছুটা "ফলের রস" খাওয়া যাক।
ফলের রস খেয়ে শরীর কিছুটা গরম হল। গরম শরীরে টিভিটা ছেড়ে চ্যানেল পাল্টাতে লাগলাম। নাহ, টিভির প্রোগ্রামের অবস্থাও গ্যাংটকের তাপমাত্রার মতোই। এ'দিকে পরদিন ভোরবেলা উঠতে হবে, না হলে পাহাড়ে যেয়ে ঘুরে দেখা যাবে না - কাজেই টিভি অফ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।
শুয়েই বুঝতে পারলাম, বিশ্বচরাচরের সবচেয়ে বড় শাস্তির শিকার আমি। বিছানায় মনে হচ্ছে কেউ পানি ঢেলে রেখেছে। আর এই "খেলনা" লেপ দিয়েও আদতে কিছু হচ্ছে না। ঠাণ্ডায় ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম।
(চলবে)
পূর্বের পর্বঃ
মন্তব্য
আগামীবার ঢাকায় আসলে একটা ফরজ দায়িত্ব বেড়ে গেলো। মাসিমার সাথে দেখা করতেই হবে। ফলের রস সংক্রান্ত তথ্য তাকে না জানালে আমার ইহজনমে শান্তি হবে না। মাসিমা আপনি অপেক্ষা করেন, আমি আসছি। সব কথা খুলে বলা হবে এইবার...
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আপনার জন্য খারাপ খবর হইলো, আমার মা ট্যুরের শেষদিন বুইঝা ফেলসে ঘটনা কী ! প্রতিবার খাওয়ার সময় অবশ্য বিষ খাওয়ার মত একটা এক্সপ্রেশন দিতো।
এইদিকে আমারেও অভিনয় করা লাগছে বিস্তর। খাইতে মধুর লাগে, কিন্তু এমন একটা ভাব ধরা লাগে যে, জীবনেও খাই নাই, আমার বুক গলা জ্বইলা গ্যালো
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এমন শীত তাড়ানো ১৫%-এর কাম না তো!
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আমি তো বুঝি, বাপে তো বুঝে না
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
জায়গাটার নাম রংগ (Rongo) কেউ কেউ রঙ্গু ও বলে। এটা সিকিমের বাইরে, দার্জিলিং এর মহকুমা কালিম্পং এর অন্তর্ভূক্ত। এখানে ঔষধি গাছের চাষ হয় প্রচুর, ম্যালেরিয়ার ঔষধ কুইনাইন যে গাছ থেকে তৈরী হয় সেই চিন্কোনা গাছের চাষের জন্য সারা ভারতে নামকরা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি শুনেছিলাম রংপু ( বা রংপো )।
এই নামের কিছুটা সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে এখান থেকে কিংবা এখান থেকে ।
এ'ছাড়া হাতের সামনে এই নাম দেখতে পাচ্ছি অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "বুড়ো আংলা"তেও।
কুইনাইনের গাছের কথা শুনেছিলাম, আছে মংপু তে। মংপুতো অবশ্য বাঙালির কাছে এমনিতেই বিখ্যাত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৈত্রেয়ী দেবীর বাড়িতে ছিলেন এখানে।
নামগুলা সব এমন কাছাকাছি !!
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হতে পারে আপনারটাই ঠিক। রংপু বা রংপো সিকিমে আর রংগ দার্জিলিং এ। আর শিলিগুড়ির গাড়ী যদি রংপু যেতে পারে তবে গ্যাংটকেও যেতে পারা উচিত ছিল, সে অনুমান থেকেই বলেছিলাম রংগ এর কথা।
...........................
Every Picture Tells a Story
বুঝতে পারছি। তবে ওদের গাড়ির ব্যাপার স্যাপার বুঝি না ।
তবে ব্যাপারটা কি চেকপোস্ট তো রংপুতে, মানে জাস্ট চেকপোস্ট ক্রস করেই একটা স্ট্যান্ডে গাড়ি থামিয়ে দেয়। সেই অর্থে গাড়ির আসলে গ্যাংটকের পারমিশন নেই।
আবার মজার ব্যাপার হল, সারাদিন পাহাড়ে ঘুরলাম যেই গাড়ি করে, সে শহরে এসে স্ট্যান্ডের বাইরে অর্থাৎ কি না শহরের আর ভিতরে যেতে পারবে না রাত ৭ টার আগে, কারণ পারমিশন নেই।
ওদের গাড়ির পারমিশন এক তুঘলকি ব্যাপার !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আরো পরিষ্কার হলাম, আপনিও ঠিক, আমিও কিছুটা।
জায়গাটা রংপো, ইংরেজীতে লেখে Rangpo বা Rongpo. স্থানীয়রা বলে রংগ। এটা আসলে কালিম্পং আর সিকিমের বর্ডারে, কিন্তু চেকপোস্ট টা সিকিমে।
লিখতে থাকুন, আমাদের তো আর পারমিশন মিল্বে না। বড় সখ ছিল বাবা হরভজন এর মন্দির দেখে আসব।
...........................
Every Picture Tells a Story
অপেক্ষা করুন, পরের পর্বেই বাবা হরভজনের দু'টি মন্দিরেরই সচিত্র বর্ণনা আসছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
উন্মূখ হয়ে আছি, অনেক আগে ভারতীয় ম্যাগাজিনে বাবা হরভজন সম্পর্কে পড়েছিলাম, পরে উনার রিটায়ারমেন্টে যাওয়া পর্যন্ত খোঁজ রাখতাম, আমার বেশ কবার দার্জিলিং যাত্রায় সিকিমিজ ড্রাইভার পেলেই ওদের থেকে আরো জানার চেষ্টা করতাম সেই অদ্ভুত বিশ্বাসের কাহিনী।
...........................
Every Picture Tells a Story
রেড ওয়াইন তো আসলেই ফলের রস । আবার বলাবলির কি আছে ??
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হ, একই কথা তো আমারও। অপু ভাই লোক্টা খুউপ খ্রাপ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আহা সিকিম! কবে থেকে আমার একটা লম্বা ছুটি নিয়ে সিকিম যাবার প্ল্যান ---- তা আর হচ্ছেই না ৷
আপনার ছবিগুলো দেখেই মন কেমন করছে ৷
ভারতের অনেক পাহাড়ী শহরই কিন্তু খুব পরিস্কার৷ সমতলের মত নোংরা সেখানে দেখা যায় না ৷ গাড়োয়াল বা কুমায়ুন হিমালয়ের ডালহৌসী, ধরমশালা, কেলং মানালি, কসৌলী ইত্যাদিও খুব ছিমছাম ৷ আর একটা জিনিষ লোকজন যে মানুষকে কি পরিমাণ বিশ্বাস করে -- চোখে না দেখলে বোঝা যায় না৷ বেশ কয়েকবার দেখেছি রাতের দিকে কোন পাহাড়ী দোকানে হয়ত গেলাম৷ গরমের দিনে দোকান খোলাই থাকে ৷ দোকানীকে ডাকাডাকি করলে বিরক্ত হয়ে বলে জিনিষ নিয়ে পয়সাটা রেখে যেন চলে যাই ৷
------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
একই কথা দার্জিলিং-এও শুনেছি। এখন বলে আর সেই দিন নেই।
তবে এ'টা অস্বীকার করার উপায় নেই, এই অঞ্চলগুলিতে ট্যুরিজমের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এমনকি স্থানীয় লোকজন পর্যন্ত ট্যুরিস্ট ফ্রেন্ডলি।
কয়েক মাস আগে আমার বন্ধুরা গিয়েছিলো দার্জিলিং। প্রচুর পরিমানে পান করার পর, বেখেয়ালে ক্যামেরা হোটেলের সামনেই ফেলে রেখে চলে এসেছিলো। পরদিন সকালবেলা গার্ড এসে ক্যামেরা ফেরত দিয়ে গিয়েছে।
এমনটা আমাদের দেশে বোধহয় (কিংবা হয়তো সমতলেই) আশা করাটা একটু কষ্ট।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- মিয়া, এই ঠান্ডার মধ্যে স্মির্নফ ঠিকাছে, কিন্তু হ্যানিক্যান-ফস্টার এগুলা কী? ডাইরেক্ট ফ্রোজেন হৈয়া যাইবেন মিয়া। পারলে দুই ঢোক র' কণিয়াক (এইটা শীতের দিনে জার্মান বুড়া-বুড়িরা খুব পছন্দ করে খায়) মেরে দিয়ে কাইজ হয়ে পড়ে থাকেন। ঠান্ডার বাপ শুদ্ধা পালাবে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনার এই পরামর্শ আমাকে ঢাকায় আসার পর খেকশিয়ালও দিয়েছেন। বীয়ার সম্পর্কে এই তথ্য অবশ্য আমার জানা ছিলো না।
আর জানা থাকলেই বা কী ? আমি তো আর খাইতে পারি নাই
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এত কিছুই না। যদি চীন সীমান্তে নাথুলায় গিয়ে থাকেন, তো দেখবেন মিলিটারি ক্যান্টিনে কড়াই থেকে গরম পকোড়া তুলে দিচ্ছে আর মুখে দিতে এক মুহূর্ত দেরি হলেই একদম ঠান্ডা মিয়নো। আর ঢকঢক করে গরম চা খেলেও মুখ পোড়ে না।
গিয়েছিলাম নাথুলা।
আপনার কথা শতভাগ সত্য।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দৌড়াক...পড়তে ভাল্লাগছে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
দূর্দান্ত লেখা...।
পরের পর্বের অপেক্ষায় ।
ভালোই তো লাগছে ! তাহলে পোস্ট ছাড়তে এতো দেরি করেন কেন !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
হাহাহা মাসি বুঝতে পাইরা কি কইছিলো?
লেখা দারুন হইতাছে, চালায়া যা।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
লেখা অতি জোশিলা
ছবিগুলো কী বলবো আর?
পরের পর্ব দৌড়ে আসুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
গ্যাংটক শহরটারে তো যা-তা মনে করছিলাম । ছবি দেখে মনে হচ্ছে তো ভালই । শহুরে ভাবটা আছে ।
১৫% মদ অথবা অ্যালকোহল মিশ্রিত ফলের রস খাইয়া তাইলে হয় নি । নতুন বোতলে পুরানো মদের মত ওয়াইনের বোতলে অন্যকিছুর ব্যবস্থা করতে পারতা !
......................................................
উত্তর বাংলার অনাহারী যুবক
এই পর্বের নাম হওয়া উচিত ছিলো - গ্যাংটকে অ্যালকোহল
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন