পরদিন ভোরবেলায় আমার চমৎকার একটা ঘুমের দফারফা হয়ে গেল দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুনে। বেলা অনেক হয়ে গিয়েছে, সবাই প্রায় রেডি আর আমি কী না ভোসভোস করে ঘুমাচ্ছি ! - লাগাতার এমন চিৎকার চেঁচামেচিতে বাধ্য হলাম ঘুম থেকে উঠে পড়তে। গ্যাংটকের হাড়কাঁপানো শীতের কারণেই কি না জানি না, অত্যাবশকীয় প্রাতঃকৃত্যের কোন তাগিদই অনুভব করলাম না! মোটামুটি মিনিট দশেকের মধ্যেই মুখ ধুয়ে, শীতের জামা-কাপড় পরে নিচে নেমে গেলাম।
গ্যাংটক শহরে ভাড়ার গাড়ি রীতিমত এক তুঘলকি ব্যাপার। সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এইসব ভাড়ার গাড়ি মূল শহরের ভিতর দিয়ে যেতে পারে না। কাজেই যদি সকাল আটটার মধ্যে যাত্রা শুরু না করতে পারি, গাড়ি মূল শহরের ভিতর দিয়ে আর বের হতে পারবে না - প্রায় পাঁচ সাত কিলোমিটার ঘুরে আসতে হবে। এর মধ্যে ড্রাইভার গিয়েছে পারমিশন আনতে। এখানে একটু খুলে বলা যাক, সিকিমে এখন কড়াকড়ির চূড়ান্ত। শুধু ঢুকতেই আই কার্ড দেখাতে হয় না, পাহাড়ের যেদিকে যাচ্ছি সেদিকটাতেই চীনের সাথে নাথুলা বর্ডার থাকার কারণে, গ্যাংটক থেকে অল্পকিছু দূর পরের এক আর্মি চেকপোস্টে পাস আর যাত্রীদের ছবি দেখাতে হয়। ড্রাইভার গিয়েছে সেই পাস যোগাড় করতে, আমরা ইতস্তত ঘোরাঘুরি করছি। এমন ঘন কুয়াশা যে, এক ফুট দূরের জিনিশও আবছা হয়ে আসে।
এমন সময় ড্রাইভার হন্তদন্ত হয়ে জানালো, আমাদের পাস নিয়ে ঝামেলা করছে কারণ সাতজন মানুষের জন্য মাত্র একটা আই কার্ড (আমার সেই বড় ভাইয়ের) - ব্যাপারটা ওরা মানতে চাচ্ছে না। ভারতীয়ারা নিঃসন্দেহে অনেক দিক দিয়েই আমাদের ছাড়িয়ে গিয়েছে, কিন্তু তবু খুব ভালো লাগে যখন দেখি পকেট থেকে একশ রুপি বের করতেই অফিসার শান্ত, যাক এরা তাহলে এখনো আমাদের মতোই আছে।
এতসব ঝামেলা পার হয়ে আটটা বাজার আগমুহূর্তে কোনমতে আমরা রওনা হলাম। আগেই বলেছি, পাহাড়ী শহর মানেই অপূর্ব সুন্দর আর গ্যাংটক বোধহয় আরো বেশিই সুন্দর। আমাদের গাড়ির ড্রাইভার কমবয়সী একটা ছেলে - আমার কাছাকাছি বয়সেরই হবে। বেশ মিশুক ছেলে - গাড়িতে উঠার পর থেকেই বেশ গল্প গুজব করছে। পাহাড়ী অঞ্চলের ড্রাইভারদের নিয়ে একটা মজার পর্যবেক্ষণ সবাইকে বলা যেতে পারে - পাহাড়ী অঞ্চলে যত ড্রাইভার গাড়ি চালায় তাঁদের সবাই প্রায় বয়সে তরুন এবং তাঁরা অসম্ভব রকমের ফ্যাশন সচেতন। ধোপদুরস্ত জামা কাপড়, কানে দুল, স্পাইক করা চুল, জেল দেওয়া চুল, কারো বা রঙ করা। আমাদের ড্রাইভারও (দুর্ভাগ্যজনকভাবে যার নাম আমি ভুলে গিয়েছি) তেমনি ঝা চকচকে এক তরুন। সাধারণত পাহাড়ের গাড়িতে সকালবেলা উঠা মাত্রই আধা ঘন্টার মত ধর্মীয় সঙ্গীত চলতে থাকে, এরপরই শুরু হয় বিকট শব্দে হিন্দি গান বাজানো। আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্য, এই গাড়ির সাউন্ড সিস্টেম নষ্ট। তাই ড্রাইভার নিজেই টুকিটাকি গল্প করে যাচ্ছে আমার সাথে। আমার হিন্দি বলার ক্ষমতা দেখা গেল অসাধারণ রকমের ভালো এবং আমি রীতিমত দক্ষতায় তাঁর সাথে আলাপ চালিয়ে গেলাম হিন্দিতে (বেচারা আবার বাংলা বুঝে না)। শহরের রাস্তায় কিছু দূর যাওয়ার পরই আমাকে একটা বাড়ি দেখিয়ে জানালো এটাই পবন রাজ চামলিং -এর বাড়ি, উনি এখানকার মুখ্যমন্ত্রী, আবার প্রাক্তন রাজবংশের একজন সদস্যও বটে।বাড়িটা এক কথায় চমৎকার !
আর্মি চেকপোস্টে ছবি আর পাস দেখিয়ে যাত্রা শুরু করার আগেই আমাদের ড্রাইভার কোথা থেকে মোটামুটি কমবয়েসী একটা মেয়েকে ধরে এনে বলছে, এই মেয়ে তাঁর বোন, তাঁকে সামনেই এক জায়গায় নামিয়ে দিবে। "বোনকে এনেছিস ভালো কথা কিন্তু বসাবি কোথায়" - আমরা সবাই এটাই ভাবছি। ও মা ! এ কী ! মেয়ে দেখি আমার পাশে এসে বসছে ! এতদিন ভাবতাম, সিনেমার ভিলেন হব। কিন্তু এরকম ঘনিষ্ঠ হয়ে বসার সুযোগে মোটেই খুশি হতে পারলাম না। সেই মেয়ে দিব্যি বসে আছে, আর আমি চাপতে চাপতে পারলে বামে গাড়ির দরজা খুলে নেমে যাই, যাতে ছোঁয়া না লাগে। নিজের দুর্বলতায় যারপরনাই বিরক্ত হলাম। এদিকে সারাটা রাস্তাই ভাই বোন মিলে দুর্বোধ্য কোন এক পাহাড়ী ভাষায় বকবক করে গেল - আমার কেন যেন সন্দেহ হচ্ছিলো, আমাদের নিয়েই কিছু বলছে !
গাড়ি চলতে চলতে ১০৪০০ ফুট উচ্চতায় আসার পর একটু থামলো। আমার পাশে বসে থাকা মূর্তিমান আপদটা নেমে গেল - যাক বাঁচা গেল। গাড়ি থামার উদ্দেশ্য হচ্ছে খাওয়া দাওয়ার সামান্য বিরতি। জায়গার নাম KYANGNOSLA । উচ্চারণটা কী হবে ভেবে পাই নি, তাই ইংরেজীই সই। এখানে একটা ক্যাফেও আছে, নাম KYANGNOSLA CAFE।
পাহাড়ে এক ধরণের খাওয়ার খুব প্রচলন, মোমো। মোমো অবশ্য সমতল যেমন শিলিগুড়ি, কলকাতা এমন কী ঢাকাতেও দেখেছি - তবে পাহাড়ী মোমোর স্বাদ একদম আলাদা। উপরে ময়দার আবরণ, আর ভিতরে তরকারী কিংবা মাংস - সাথে খাওয়ার জন্য দেয় মরিচের চাটনী। এখানেও সেই মোমোই গপাগপ খেয়ে নিলাম কয়েকটা, আর খেলাম প্রচন্ড গরম কফি।ক্যামেরা নিয়ে জলদি একটা ফটোসেশনও সেরে নিলাম আমাদের।
এরপর মোটামুটি বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলতে থাকলো। বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর ড্রাইভার, হাত দিয়ে দেখালো এটাই হচ্ছে ছাঙ্গু লেক - এখানে এখন না নেমে, আসার সময় নামা হবে। না থেমে গাড়ি বেশ দ্রুতই চলতে থাকলো। মাঝে শুধু এক জায়গায় বাধ্য হলাম গাড়ি থামিয়ে একটা ছবি তুলতে কারণ, আমরা উঠে গিয়েছি মেঘের উপরে। গাড়িতে বসেই দেখতে পাচ্ছি রাস্তার পাশে বেশ কিছুটা নিচে মেঘের সাগর, মনে হচ্ছে যেন লাফ দিলেই ভেসে থাকবো এই সাগরে। আবার গাড়ি চলতে শুরু করার বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়ি এসে থামলো বাবা মন্দিরের সামনে।এতদিন বাবা মন্দিরের নাম যার মুখেই শুনেছি, ভেবেছি বাবা মন্দির হয়তো মহাদেব শিবের মন্দির। কিন্তু চমকে গেলাম এখানে এসে।
বাবা হরভজন সিং, ভারতীয় আর্মির একজন মেজর, ভারত-চীন সীমান্ত নাথুলার কাছে দায়িত্বপালন কালে বরফচাপা পড়েন। তিনদিন পরে সার্চ পার্টি তাঁর দেহ খুঁজে পায়। কথিত আছে, এই সার্চ পার্টিকে হরভজন সিং নিজেই পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছেন, পরবর্তীতে তারই এক সহকর্মীকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেছেন, যেখানে তিনি মারা গিয়েছেন সেখানে তাঁর স্মরণে মন্দির নির্মানের জন্য। আরো চমৎকৃত হয়েছি যখন শুনেছি, এখনো প্রতি বছর সেপ্টেম্বর ১৪ তারিখ তাঁর পরিধেয় সহ যাবতীয় সামগ্রী ব্যাগে করে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ট্রেনে আলাদা কামরায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখনো তাঁর পরিবারকে তাঁর বেতন পৌছে দেওয়া হয়। মিথ রয়েছে যে, ভারতীয় সৈন্যদের বহুভাবে বাবা হরভজন সিং সাহায্য করেন, এখনো তিনি সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী।
প্রথম দফায় ঘটনা শোনার পর কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। দৈব ঘটনার প্রতি বিশ্বাস তেমন নেই, তাই ভাবছিলাম একজন সাধারণ সৈনিক কেন রাতারাতি আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব হয়ে যাবেন। কিন্তু যখন উপলব্ধি করলাম একজন মানুষ, পরিবার পরিজন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এই দুর্গম অঞ্চলে কর্তব্যপালন করতে যেয়ে নিজের জীবন দিয়েছেন - তখন ঐশী নয়, এক অপূর্ব মানবিক শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে গিয়েছিলো।
বাবা মন্দির দেখতে এসেই অবশ্য ভীষণ মন খারাপ হয়ে গেল। আমার আর আমার বোনের, দু'জনেরই মূল লক্ষ্য ছিলো, পাহাড়ে বরফ দেখবো। কিন্তু ড্রাইভারের ভাষ্যমতে, আমাদের ভাগ্য খুবই ভালো কারণ আজ ক'দিন ধরেই আবহাওয়া চমৎকার (!!) আর সে কারণেই এখানে বরফ তেমন নেই বললেই চলে। তবে একবারে হতাশ হই নি, কারণ বাবা মন্দিরের পাশেই একটা ছোট্ট লেকের মত আছে, যেটা পুরোটা জমে বরফ হয়ে আছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আস্তে আস্তে সূর্য কিরণে বরফের চাই গলতে শুরু করেছে। জীবনে প্রথম দফা এরকম প্রাকৃতিক বরফ দেখে আমাদের ( আমি আর আমার বোন) ধেইধেই করে নাচতে ইচ্ছা করছে। বরফের উপর লাফালাফি করে, বরফ হাতে নিয়ে -ইচ্ছামত ছবি তুলে তারপর আবার গাড়ির সামনে এসে পৌছালাম।
বরফ নিয়ে ইচ্ছা মত লাফালাফির ঠ্যালায় তখন দেখি প্রাণ যায় যায় অবস্থা। "ফলের রস" ছাড়া জীবন হুমকির সম্মুখীন। এ পর্যায়ে এসে এত উঁচুতে পাহাড়ের বাতাসের বেগ সম্পর্কে একটু ধারণা দেওয়া যাক। আমি ভেবেছিলাম মুখে না লাগিয়ে, বোতল উঁচু করেই খেয়ে ফেলবো। বোতল থেকে আমার ঠোটের দূরত্ব বোধ করি এক ইঞ্চিরও কম ছিলো। আমি বোতল থেকে ঢাললাম, একটা ফোটাও আমার মুখের ভিতর গেলো না, সবটুকু বাতাসের ধাক্কায় ছিটকে জামা কাপড়ে যেয়ে পড়লো ! যাই হোক, আমাদের তখন বরফ প্রেম তুঙ্গে। ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলাম বরফ দেখতে চাইলে কি করা যাবে ? উত্তরে সে জানালো এখন থেকে কিছুটা দূরে থুকলা নামের এক জায়গা আছে, সেখানে বরফ পাওয়া যাবে সে নিশ্চিত - কিন্তু সেখানে যেতে হলে তাকে অতিরিক্ত আটশ' রুপি দিতে হবে। বিনা বাক্য ব্যয়েই রাজি হয়ে গেলাম।
সারা জীবন যতগুলি সিদ্ধান্তের জন্য নিজের পিঠ চাপড়াবো, তার মধ্যে নিশ্চিতভাবেই প্রথম দিকে থাকবে থুকলা যাওয়ার সিদ্ধান্ত। থুকলা প্রায় পৌছে যাওয়ার পথেই, গাড়ি বামে মোড় ঘুরতেই এমন একটা দৃশ্য দেখতে পেলাম - আমার বোন তো বিস্ময়ে বলে ফেললো ওয়াও ! আর আমি জীবনে প্রথমবারের মত সত্যি সত্যি ভাষাহীন হয়ে গেলাম।
কাঞ্চনজঙ্ঘা, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম শৃঙ্গ, আমার সামনে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। গ্যাংটকের হোটেল থেকে যাকে দেখতে পাই নি, সেই কাঞ্চনজঙ্ঘাকে এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কারণ এখন আমি মেঘের অনেক উঁচুতে দাঁড়িয়ে আছি। এই সৌন্দর্য হজম করতে বেশ সময় লেগে গেল। যতভাবেই দেখি না কেন, এই মুগ্ধতা যেন আর শেষ হয় না।
(চলবে)
মন্তব্য
আমার মাঝে ওখানো যাইতো চায়। কিতা করতাম?
সুন্দর বর্ণনা।
পরবর্তীটা কবে আসছে।
পরীক্ষা ব্যাপারটাই এমন - পরীক্ষার আগে দিয়েই সব সৃষ্টিশীল কাজে মন নিয়োজিত হয়। এমনটা দেখলাম এনকিদুও দাবি করেছে - আমারও তাই। সতেরো থেকে পরীক্ষা শুরু।
তাই লেখার ফ্লো বেশ জোরালো - আশা করছি দ্রুতই আসবে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
:) :)
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
- কাঞ্চণজংঘা, দিলেন তো মিয়া জম্পিল ভ্রমন কাহিনীর একেবারে শেষে এসে মনটা বেলুনের মতো ফুটিয়ে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ঘটনা আমারও একই রকম।
সব রকম দৃশ্য দেখে এক রকম অনুভূতি হয়েছিলো - কিন্তু যেই কাঞ্চনজংঘা দেখার পর থেকে কেমন যেন অনুভূতিশুন্য মনে হচ্ছিলো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
চমত্কার লাগছে, মনে হচ্ছে নিজে ঘুরে এসেছি।
আর কাঞ্চনজংঘা? এটা প্রেম
...........................
Every Picture Tells a Story
মন্তব্যে
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
দারুন লেখা, দারুন ছবি!
আগের গুলো পড়া হয়নি। পড়ে নেব এক ফাকে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ধন্যবাদ।
হু নিঃশেষিত হওয়ার আগেই আপনার কপিটি সংগ্রহ করুন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মন্তো সবারই চায়, কিন্তু ভারত সরকার খুপ খ্রাপ।
প্রশংসা পায়া কিন্তু বস ফুলতে শুরু করলাম। আর আমি কিন্তু আসলেই আপনার সেই টিউটোরিয়াল পোস্টের জন্য বইসা আছি।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবসময় মাথা উঁচু করে মেঘ দেখছি আর গ্যাংটক গিয়ে যখন দেখলাম উবু হইয়া.. সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশেবল না!
আর
কাঞ্চনজংঘা!!!!!!
মাথাই নষ্ট!
সব মনে পইড়া গেল, আমরা কিন্তু সবদিকেই বরফ পাইছিলাম, গেছিলামই কনকনা শীতে।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমিও চাইছিলাম যে, সারা রাস্তাই বরফ থাকুক। কিন্তু ড্রাইভার কইলো, ওইটা অতো বেশি সুখের নাও হইতে পারতো। ড্রাইভারের ভাষ্যমতে, এই মেঘলা-রোদেলা কম্বিনেশনই বেস্ট।
আমরা চলে আসার দিন সাতেক পর কী হয়েছিলো জানেন ?
দিন সাতেক পর যখন কলকাতা থেকে বাসে করে ফিরছি, দৈনিক আনন্দবাজারে নজর বুলিয়ে দেখি, ছাঙ্গু লেকের কাছে তাপমাত্রা হঠাৎ করেই মাইনাস পনেরো ডিগ্রীতে নেমে গিয়েছে। আকস্মিক তুষারপাতে সব গাড়ি ঢাকা পড়ে গিয়েছে। আর্মির গাড়ি এসে যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সারা রাত ক্যাম্পে গরম চা কফি খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে, পরদিন আর্মির গাড়ি করে পৌছে দিয়েছে। এদিকে যেসব গাড়ি তুষারপাতে আটকা পড়ে গিয়েছিলো, সেগুলো তুষার পরিষ্কার করার পরও কাজ হয়নি, কারণ ফুয়েল পর্যন্ত জমে গিয়েছে।
বরফ থাকা সবসময় ভালো না
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
এই পর্বটা সত্যিই 'ভাষাহীন'
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আপনার লেখা, ছবি আমাকেও ভাষাহীন করে দিলো।
আমারো উবু হয়ে মেঘ দেখতে ইচ্ছে করছে।
আর এই বয়সে মূর্তিমান আপদ...ক্যান মনে হইলো?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমার অবস্থা, মুখেন মারিতং জগত। যখন দেখি নড়তে চড়তে সেই মেয়ের সাথে পায়ে ঘষা লাগতেছে, তখন মনে হইতেছিলো, শালা আমিই হাইট্যা যাই
উবু হয়ে দেখতে না পারলে মন খারাপ কইরেন না, আশা করি চিত হইলেই দেখতে পারবেন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নাহ, গ্যাংটকে গ্যাং বেঁধে যেতে হবে একবার!
ছবির জন্য ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
হু, যান যান। ভারত সরকার উন্মুখ হয়ে আছে গ্যাংটকে আপনাদের গ্যাংকে গ্যাংরেপ করতে।
লেখার জন্য কিছু দিলেন না
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
"মূর্তিমান আপদ"!
আলাদা করে বললাম না, প্রতিটা পর্বই দুর্দান্ত, ছবিগুলোও। বিশেষ করে এই পর্বের ছবিগুলো দেখে আক্ষরিক অর্থেই ভাষা হারিয়ে ফেললাম। খুবই আফসোস হচ্ছে যে এখানে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে না আর!
চলুক
ডিকশনারী লাগবে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
পইড়া মনে হইল এইটা ভুইলা যাওয়া উচিৎ। নইলে কষ্ট থাইকা যাইবো, আমি কেন এরুম বেড়ানো দিতে পারতেছি না !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
লেখা পইড়া ভুইলা যাইতে পারেন, এই ডরেই তো ছবি শুদ্ধা দিলাম
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবগুলো দেওয়ার সাথে সাথেই পড়ছি। শুয়ে থাকি তো উঠে বসে কমেন্ট করতে মকরামী লাগে।:D
=============================
মকরামী মানে কী ? আমি আজই প্রথম শব্দটা শুনলাম।
বেশি শুয়ে থাকা খ্রাপ, হার্টে স্ট্রোক হবে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
খুব ভালো লাগছে, াপনার বড় ভাইের ঠিকানা দেবেন কি?
না, আপনি নেহাতই সবজান্তা, জ্ঞান প্রয়োগে দক্ষতার অভাব আপনার বড়োই প্রকট
সচিত্র সন্দর্ভটি সুপাঠ্য ও সুদৃশ্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সুপাঠ্য বিশেষণটিকে সুদৃশ্যের পূর্বে স্থান দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন