- ময়নার বাপ শুনতেছো ?
- কি হইলো, উত্তর দ্যাও না ক্যান ?
- হুমম ... ... বুঝছি, তখন তোমার লগে বাইরে যাই নাই দেইখা গোসা হইসো। কিন্তু ক্যামনে যামু কও, ময়নারে খাওয়ান লাগে, আব্বার খোঁজ খবর নেওন লাগে। এর মইধ্যে বাইরে যামু ক্যামনে কও ?
- আইচ্ছা শুনো, কাইলকা না একটা মজা হইছে। তোমারে কইছিলাম না, জুলহাস মিয়ার বউর আজকাইল খুব টেকার দেমাগ হইছে। তো ওইদিন আমারে আর ফুলির মায়েরে দেখায়া দেখায়া নয়া শাড়ি পিন্দা বাইর হইসিলো, আল্লার কি রহমত দুই পাও যাইবার পারে নাই, লোহায় বাইন্দা শাড়িডা ছিঁড়ছে। মাগীর উচিত শিক্ষা হইসে। ভালা হইসে না কামডা ?
- আহারে, সাহেবের কি গোসা হইসে দ্যাখো, একটা উত্তরও দিতাসে না। শুন, ওইদিন ভাইবা দ্যাখলাম তুমি যদি দুইব্যালাই খ্যাপ মারতে পারো সি এন জি লয়া, তাইলে আমরা কিন্তু ঐ জালাল মিয়াগো বাড়িতে থাকবার পারি। ভাড়াও বেশি না, তার উপ্রে রুমও হইলো দুইডা। আর আমি আমার ময়নারে এইহানে রাখবার চাই না - এইসব খানকীগো মইধ্যে থাকলে, আমার মাইয়াটাও পড়াশোনা শিখবো না, ঐটাও এমন গার্মন্টেসের ছেমরী হইবো। ওরে আমি ঐ সামনের তিনতলার মাইয়াডার মত স্কুলে পাঠামু। নীল রঙের কাপর পিন্দা স্কুলে যাইবো ও। আমার মতন বান্দীর জীবন জানি ওর না হয়।
- আর শুন, তুমি পারলে চাইরডা ডিম লয়া আইসো কাইলকা। মাইয়াটারে মইধ্যে মইধ্যে এক-দুইটা ডিম খাওয়াইতাম। এমনেই মাইয়্যাটা ব্যারাইম্মা, দুইটা ভালা মত না খাওয়াইলে হইবো না ওরে। আর তুমিও সারাদিন কি ব্যাগার খাটো, তোমার লিগাও একটু ভালো খাওনের দরকার। আরেকখান কথা, আব্বার লুঙ্গিডা মনে হয় ছিড়া গ্যাছে, তোমারে শরমে কইতে পারে না, তুমি একডা নয়া লুঙ্গি কিনা আইনো হের লিগা।
- ও ময়নার বাপ, এতো গোসা হইসে ক্যান ! ম্যালা রাত হইসে, আর দেরি করন যাইবো না। ন্যাও, এইবার আমারে একটু সোহাগ কর।
- সোহাগও করবা না, এত গোসা ! দেখি এইবার ক্যামনে সোহাগ না কইরা থাকো !
- ওরে , আল্লারে, তোমার শরীর এত ঠান্ডা কেন ! মুখ দিয়া এইগুলান কি বাইর হইতেছে...
[অন্ধকারের স্বপ্ন লিখেছিলাম বছরখানেক আগে। বৈশাখ নামক এক অনলাইন ফোরামের বাৎসরিক ই-ম্যাগাজিন রংগনে, সেখান থেকেই ব্লগে দিলাম]
মন্তব্য
কী হইলো এইডা?
০২
মুখে থাপ্পড় মারা একটা গল্প
হুম......
হঠাৎশেষ হয়ে গেল?
হঠাৎ ?
আমার মনে হয় আমি ঠিক বোঝাতে পারি নি। শেষ লাইনটা আবার পড়ে দেখুন...
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কষ্টকথা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুম। বেশি কষ্টের ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
কি বাইর হইতেছে ??
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কীরে মমিন ! কি গল্প লিখলাম, কেউই দেখি বুঝে না !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল্লাগছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভাল্লাগছে শুইনা আমারো ভাল্লাগ্লো।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
একজন মৃত মানুষের সাথে কথা বলছে- এছাড়া কী অন্য কিছু বোঝার আছে? তাইলে আমি বুঝি নাই।
=============================
তুমি লাইনে আছো
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আগেই কইসিলাম, চ্রম একটা গল্প
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
ঠিক্তো ? চ্রমের পর খ্রাপ উহ্য নাই তো ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
[পান্থ বিহোস] খুব মজা পাচ্ছিলাম। কিন্তুক পরে পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেলো...
উঁহু,মন খ্রাপ করবেন না, নিছকই গল্প ! "গল্প হলেও সত্যি" না।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল্লাগসে
ভালো লাগলো বইলা আমারে কচু দেখাইলেন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিও তো বুইঝা লাইলাম ...... আমি তাইলে মমিন না ।
-------------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
এইটা আমি আগেই জানতাম !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
শেষ প্যারার ঠিক আগের প্যারায় এসে বুঝে গিয়েছিলাম।
লেখা ধুন্দুমার
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তাইলে তো আমি ব্যর্থ, শকটা দিতে পারি নাই !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
হ্, এই গপ্পো রংগনে আগেও পড়সি ।
তয় এইখানে দিয়া ভালা করসো ।
গপ্পোখানা হইছিল জোস।
আরো চাই এমন গপ্পো।
----------------------------
--------------------------------------------------------
এই একটাও আমারে দিয়া বাইর হইতো না। হাই কমান্ডের বিগ বসের ডরে লিখছিলাম
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সবাই শুধু কষ্টের গল্প কেনো লিখবে ?
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হুম
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বুঝছি মানে?! আমি তো তিন-চার প্যারা আগেই বুইঝালাইছিলাম যে জামাই নিশ্চয়ই মইরা গ্যাছে। নাইলে গল্পের গঠন-টাই এইরকম হওয়ার কথা না (দেখছেন আমি কী আঁতেল পণ্ডিত!)
তবে, অবশ্যই বুনট ভালো হয়েছে। যথার্থ জমানো গল্প। থাপ্পড় খাইনি মুখে, তবু গপ্প'র রস পাইছি ঠিকঠাক।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আপনি তো ভাই অন্তর্যামী ! আপনার মত সবাই হলে তো আমি মাঠে মারা যাবো !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ময়নার মায়ে যে পরিমাণ আলাপ লাগাইছে, আমি ময়নার বাপ হইলে আরো আগে মুখে ফেনা তুইলা মইরা যাইতাম...
গল্প ভাল্লাগছে!
---------------------------------------------
রাজাকার আলবদর নিপাত যাক!
জয় বাংলা আমার থাক!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
হু, মাইয়া মানুষ শান্তি দিলো না, তাই না মৃদুল দা
বাই দ্য ওয়ে, আমি চিঠি লিখবো খুব শীঘ্রই আর আমার বইয়ের খোঁজ নিয়েন
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বা কথা কইতে কইতে ময়নার মা-ও মুখে ফেনা তুইলা মরতে পারত!
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
রংগনে পড়েছিলাম। আবারও পড়লাম। এইভাবে শেষ হবে গল্পটা ভাবতে পারিনি।
~মিনা~
আপনার 'বৃষ্টি বিলাসিনী' নিকটা খুব ভাল্লাগ্লো, কেমন একটা ছন্দ আছে!
ভীষণ টাচি
নিজের ফুলদানীতে যারা পৃথিবীর সব ফুলকে আঁটাতে চায় তারা মুদি; কবি নয়। কবির কাজ ফুল ফুটিয়ে যাওয়া তার চলার পথে পথে। সে ফুল কাকে গন্ধ দিলো, কার খোঁপায় বা ফুলদানীতে উঠলো তা দেখা তার কাজ নয়।
___________________________ [বুদ্ধদেব গুহ]
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
নতুন মন্তব্য করুন