প্রথম আলো কথা দিয়েছিলো, আসছে গরমের মৌসুমে অবস্থা খুব খারাপ হবে, সর্বোচ্চ ছয় ঘন্টার লোডশেডিংও হতে পারে।
আজ ইংরেজি ২৪শে মার্চ, ২০০৯ - বাংলা ১০ই চৈত্র, ১৪১৫। কাঁঠালবাগান-ধানমন্ডি এলাকা ইতিমধ্যেই বিদ্যুতহীন সাতটি ঘন্টা পার করেছে। রাত সবে মাত্র সোয়া দশটা। এ'দিকে প্রথম আলো জানাচ্ছে আরো একটি সুসংবাদ।
মাঝে মাঝে মনে হয় একজন ঈশ্বর থাকলে মন্দ হতো না...
মন্তব্য
- তো এখন কি বিসমিল্লা বইলা ভুট খানা দিমু পিআলোর নামে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাই বিশ্বাস করেন, এখন মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে।
কত সহ্য করা যায় ?
জন্মের পর থেকে তো কোনবার দেখলাম না যথেষ্ট ইলেক্ট্রিসিটি আছে। আর বছর বছর শুধু কমেই।
সারাটা দিন যদি এক ঘন্টা পর পর কারেন্ট যেতে থাকে, আদৌ কি কোন কাজ করা সম্ভব ?
হাসিনার সরকার তো একদম নতুন, তাই দোষ এখনো তাদের দেই না, কিন্তু আমাদের তত্ব-মিলিটারি সরকার কী ইয়েটা ফালায়া গেলো ২টা বছর জানতে খুব ইচ্ছা করে... দুই বছরেও কেন বিন্দুমাত্র উন্নতি হয় নাই ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমাদের এখানে (মিরপুর) সন্ধ্যার পর মোটামুটি তিন থেকে চারবার ইলেকট্রিসিটি যায়। দিনে তো যায়ই। প্রত্যেকবার এক ঘন্টার মামলা। আগে শুক্রবার ইলেকট্রিসিটি যেত না, এখন যায়। অবস্থা যে কী চূড়ান্তরকম বাজে, সেটার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
ভাই আমরা দোয়াপ্রার্থী, আমাগো দোয়া করেন।
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
প্রতি ঘন্টার বিরতিতে এখন বিদ্যুত্ যায়, বিদ্যুত্ আসে।
...সবার দোয়া কাজে লেগেছে। বাসার ঢোকার ১৫ মিনিটের মধ্যে বিদ্যুত্ চলে এসেছে!
যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!
মান্যবর রাজপুত্তুর পাঁচ বছরে দেশের বিদ্যুৎ খাতকে সম্ভাব্য সব রকম আসনে ফেলে ধর্ষণ করেছেন। এর ফল তাকে ভোগ করতে হয়নি তেমন। তিনি লন্ডনে শুনলাম নিরিবিলি অবসরজীবন যাপন করছেন। তার ঐসব পাপের শাস্তি দাবি করি।
আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলি হয় গ্যাস নয় তেলভিত্তিক, ফট করে প্ল্যান্ট বসালেই হবে না, সেগুলিকে নিয়মিত জ্বালানি সরবরাহের নিশ্চয়তা দিতে হবে। যেমন আজকে বড়সড় গ্যাসভিত্তিক প্ল্যান্টের প্রস্তাব কেউ দিলেও সেটা ঠিক ফিজিবল হবে না, কারণ গ্যাস নিয়ে টানাটানি চলছে। তেলভিত্তিক প্ল্যান্টগুলি মেকানিক্যালি অনেক রাগেড হয়, সেগুলির নির্মাণকালও বেশি। টেন্ডার হবার পর সেগুলি তৈরি হতে একটা বড় সময় চলে যাবে, তারপর শিপ হবে, তারপর প্ল্যান্ট অ্যাসেম্বল করা হবে, সব মিলিয়ে একটা বড় সময় চলে যাবে প্ল্যান্ট তৈরি হতে। ব্যবহৃত প্ল্যান্ট যদি কমদামে কেনা হয়, সেটা হয়তো আরো একটু কম সময়ে এসে পৌঁছাবে। ওদিকে পুরনো প্ল্যান্টগুলির বিভিন্ন ইউনিটের মেয়াদ ফুরোচ্ছে, সেগুলি বিকল হচ্ছে ঘন ঘন।
বিদ্যুৎ খাত সাত বছর পিছিয়ে গেছে। বিপুউউউউউউল পরিমাণ বিনিয়োগ ছাড়া একে অল্প সময়ের মধ্যে দাঁড় করানো সম্ভব নয়।
খুব আশঙ্কা নিয়ে দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প চালুর সংবাদ পড়ছি পত্রিকায়। আমি এর পক্ষে নই। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশের জন্য এ ধরনের প্ল্যান্ট উপযোগী কি না তা নীতিনির্ধারকদের ভেবে দেখা জরুরি।
রাজপুত্রের গুহ্যদ্বার দিয়ে উত্তপ্ত ডিম প্রবেশের দাবি জানিয়ে গেলাম মন্তব্যের শুরুতেই।
যদিও আমার মেজর মাইনর কিছুই পাওয়ার না হওয়াতে খুব ভালো মত জানি না, তবু মূল সাবজেক্টের কারণে কিছুটা ধারণা আছে। আমি ভাবি না যে রাতারাতি এই দেশে বিদ্যুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু দুই বছরও কিন্তু একদম অল্প সময় না, বলার মত বিদ্যুত কি জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়েছে? আমি টের পাই নি।
তত্বাবধায়ক সরকার খুব দক্ষতার সাথে যে কাজটি করেছে, লোড শিডিউলিং এবং ব্যালেন্সিং, মার্কেটগুলিকে শার্প সাতটায় বন্ধ করে দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের কাজ কতদূর এগিয়েছে?
এ'ছাড়া প্রতিবার গরম আসলেই স্টেশনগুলি ট্রিপ করতে শুরু করে। আমার জানা মতে নিয়ম হচ্ছে শীতকালে ওয়ান বাই ওয়ান স্টেশনগুলিকে ওভারহলিং করার কথা, যা বাংলাদেশে খুব কমই মানা হয়।
গ্রিডে নতুন বিদ্যুত উৎপাদনের নামে খবর নেই, এ'দিকে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চলতে থাকা অংশগুলিও।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্জ মাউন্টেন প্ল্যান্টের ব্যাপারে শুনে আসছি। এ ব্যাপারেও কি কিছু এগিয়েছে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ব্যাপারটা সত্যি হলে ভয়ের কথা। পারমানবিক বর্জ্য নিয়ে ফ্রান্সের মতো দেশ বহুবছর যাবত বিপদে আছে।
বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব বাইশ বালিকা এবং বাংলাদেশের বিদ্যুতের মধ্যে গভীর সাদৃশ্য আছে।
আমিন!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বিদ্যুত আমার এক কাছের বন্ধুর নাম। তাকে ডাকবো?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
আমাদের বিদ্যত বিল দিতে হয়, আবার জেনারেটরের বিল গুনতে হয়... তবু তাতে কাম হয় না... কম্পিউটারের জন্য লাগে আইপিএস কিনতে...
আমাদের ওয়াশার বিল দিতে হয়... তার উপরে আবার মিনারেল ওয়াটার কিনে খাইতে হয়...
আমরা জাতি হিসাবে অনেক বড়লোক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ইস্কাটনের দিকেও একই অবস্থা...।
সকাল ন'টা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত পাঁচ/ছবার তো ঘণ্টাখানেক করে যাবেই।
... দিনে মাত্র তিন ঘন্টা বিদ্যুত না থাকলে বুঝতে হবে তা গতকালের পূণ্যের ফল...
দিনে রাতে সব মিলিয়ে ৬ ঘন্টা লোডশেডিং!
বড় আরামে আছি গো মমিন!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মনে হয়, লোডশেডিং মন্ত্রী দরকার।
*****************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
কেমনে কী হবে?
সবজান্তার মতো ইলেকট্রিক্যাল মিস্ত্রিরা পাস দিয়া বসে বসে খালি পুস্টায়। কারেন্ট কুরেন্ট বানানোর ফর্মুলা দিলে কি হয়!
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ঢাকাবাসী ৬ ঘন্টাতেই কাবু? চাঁটগায় তো ১২-১৩ ঘন্টা অহরহ।
খাম্বা-বিদ্যুত নিয়ে চালবাজীটা রাজপুত্তুর না করলে এত খারাপ অবস্থায় পড়তো না দেশ।
তাইলে ঈশ্বর দরকার সেটা স্বীকার করলেন?
হাহাহাহাহা.....আমারও মনে হয়, ঈশ্বর থাকলেও আমাদের দেশের ঐদিকটায় কম যাতায়াত; ঐদিকটায় এতো নেতা-নেত্রী আছে যে, ঈশ্বর না হলেও চলে!
আশা করি নতুন সরকার পূর্ববর্তীদের বসানো খুটিগুলো কাজে লাগাবে, "ওদের লাগানো খুঁটিগুলান ভালো না" এই কথা বলে নতুন করে খুটি গাড়বে না।
ইশ্বর শুধু বাংলাদেশেই বাস করেন। এত্তো অব্যবস্থার মধ্যে নইলে এত্তোগুলো লোক কিছুতেই বেচে থাকতে পারতো না, তাও আবার আপাতদৃষ্টিতে বেশ সুখে শান্তিতে।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
নতুন মন্তব্য করুন