চেষ্টা করেও অনেকদিন কিছু লিখতে পারিনি আর আজ অনেকটা না চাইতেই পারলাম। কবিতা লেখা আমার কর্ম কিনা সে ব্যাপারে আমি বরাবরই সন্দিহান, তবু সুযোগমতো পেলে দুয়েকটা লিখতে ছাড়িনি। এটাও তেমনই একটা কবিতা, যেটা আদৌ কবিতা কিনা তাও আমি জানি না!
আমার শুধু ঘুমোতে ইচ্ছা করে
এক নিঃস্তব্ধ ঘরে
কোন এক সুদূর গ্রামের দুপুরের মতো নির্জন,
নিশ্চুপ;
শুধু সমুদ্রের গর্জন ভেসে আসে -
অনন্ত সময়ের ঢেউগুলি ভাঙ্গছে আর জাগছে
জাগছে আর ভাঙ্গছে
পৃথিবীর সবটুকু ভালোবাসা ও বিদ্বেষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তবু-
আমার শুধু ঘুমোতে ইচ্ছা করে
মন্তব্য
অনন্ত সময়ের ঢেউ ~~~
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
ধন্যবাদ, শুক্রিয়া
অলমিতি বিস্তারেণ
হুম... ছেঁড়া দ্বীপে চলে যান। গিয়ে ভাল মত একটা ঘুম দেন।
****************************************
যেখানে কক্সবাজারেই এতো চমৎকার ঘুমানো যাচ্ছে, কষ্ট করে ছেঁড়া দ্বীপ যাওয়ার দরকার কি !
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেকদিন পরে লিখলেন মনেহয় বস।
নাহ, লিখি রোজই তবে সেগুলা ব্লগ মানে গল্প কবিতা না আর কী
অলমিতি বিস্তারেণ
১. তুমি বড্ড অধৈর্য! ২৭৯ দিন মুখ বন্ধ করে ছিলে আর মাত্র ৮৬টা দিন চুপ করে থাকতে পারলে না? তাহলেই তো আমরা তোমার পুনরাবির্ভাব দিবস উপলক্ষে কেক্-কোক খেতে পারতাম (তোমার পকেট খসিয়েই)।
২. তোমার আগের কবিতাগুলোর কথা মনে নেই। তবে এই কবিতাটা দীর্ঘ দীর্ঘ দিন ধরে মনে থাকবে। আজ কতগুলো বছর ধরে যে এভাবে ঘুমাতে ইচ্ছে করছে! নিশ্চিত জানি, মরে যাবার আগে সেই সুযোগ হবেনা।
৩. নীড়পাতায় কবিতার শিরোনাম দেখেই এই কবিতাটার কথা মনে পড়লোঃ
"চাকমার পাহাড়ি বস্তি, বুদ্ধমন্দিরের চূড়া ছুঁয়ে
ডাকহরকরা চাঁদ মেঘের পল্লীর ঘরে ঘরে
শুভেচ্ছা জানাতে যায়, কেঁদে ফেরে ঘন্টার রোদন
চারদিকে। বাঁশের ঘরে ফালা ফালা দোচোয়ানি চাঁদ
পূর্ণিমার বৌদ্ধ চাঁদ, চাকমার মুখশ্রীমাখা চাঁদ!
নতুন নির্মিত বাড়ি সমুদ্রের জলে ঝুঁকে আছে।
প্রতিষ্ঠাবেষ্টিত ঝাউ, কাজুবাদামের গাছ, বালু
গোটাদিন তেতেপুড়ে, শ্রীতলে নিষ্ক্রান্ত হবে বলে
বাতাসের ভিক্ষাপ্রার্থী! জল সরে গেছে বহুদূর।
নীলাভ মসলিন নিয়ে বহুদূরে বঙ্গোপসাগর
আজ, এই সন্ধ্যাবেলা।
ব্ল্যাক ডগ মধ্যিখানে নিয়ে দুই কবির কৈশোর
দুটি রাঙা পদচ্ছাপ মেলানোর তদবিরে ব্যাকুল
ব্যর্থ আলোচনা করে, গানের সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়ে,
বর্ণমালা নিয়ে লোফালুফি করে তীরে!
রুপচাঁদা জালে পড়ে, খোলামকুচির মতো খেদ
রীভীন কাঁকড়ার স্তুপ সংঘ ভেঙে ছড়ায় মাদুরে
একা একা। উপকূলে।
বুদ্ধপূর্ণিমার চাঁদ কক্সবাজারের কনে-দেখা
আলোয় বিভ্রান্ত আজ। অধিকন্তু, ভরসন্ধেবেলা!"
- শক্তি চট্টোপাধ্যায়, কক্সবাজারে সন্ধ্যা
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
বাহ্, কক্সবাজার নিয়ে এত সুন্দর কবিতা যে শক্তি লিখেছিলেন সেটাই জানা ছিল না !
সুন্দর।
ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
১) আপনার এই প্রাগৈতিহাসিক বয়স নিয়ে কেক কোক হজম হবে কিনা সেই চিন্তাতেই তো লিখে ফেললাম তাড়াতাড়ি।
২) এমন ঘুম দিতে সমুদ্রে যান... সমুদ্র ছাড়া এমন ঘুম হবে না
৩) এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। প্রথমে এই নামটাই মাথায় এসেছিলো। পরে ভেবেছিলাম যে নাম দিবো "সমুদ্র এবং অন্যান্য স্মৃতি", কারণ বাকি সবার মতো আমারও মনে হচ্ছিলো শক্তি তাঁর নামের সঙ্গে যেভাবে কক্সবাজারকে জড়িয়ে রেখেছে, না চাইলেও কবিতাটা একটু শক্তিগন্ধী হয়ে যাবে। পরে ভেবে চিন্তে দেখলাম, কক্সবাজারই সই... শুধু সমুদ্রে নাম ফোটে না !
অলমিতি বিস্তারেণ
তোর এই কবিতা ভাল্লাগসে।
আমগো কক্সবাজার ট্যুরের কথা মনে পইড়া গ্যালো।
আমাগো কক্সবাজার ট্যুরের কথা কেন মনে পড়সে ? তেমন ঘুমাইসি বইলা তো মনে পড়ে না
অলমিতি বিস্তারেণ
ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
পৃথিবীর সমস্ত বর্বরতার অবসান হোক -
তা বটে... কিন্তু বর্বরতার ব্যাপারটা ঠিক বুঝলাম না
অলমিতি বিস্তারেণ
জটিল কবিতা হয়েছে তো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এতোই কি কঠিন যে জটিল বলতে হইলো ?
অলমিতি বিস্তারেণ
আবিষ্ট করে ফেলল।
ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেক ভালো হইছে
আমারো এইটার শিরোনাম পড়েই শক্তির কক্সবাজারে সন্ধ্যা কবিতাটার কথা মনে হইছিলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
থ্যাংকু...
হ, শক্তির ব্যাপারটা পাণ্ডবদার মন্ত্যবেই কইসি...
অলমিতি বিস্তারেণ
বাহ! কী সুন্দর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
কবিতা ভালো লেগেছে, বিনয়ী ভূমিকাটা এবার ছেঁটে ফেলে দিন।
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
ভুমিকাটা বিনয়ী বোধহয় না, অনিশ্চয়তার একটা ব্যাপার আর কী ! কবিতা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
রাইটার্স ব্লক কাটলো আশা করি, অনেক অনেক লেখা চাই এখন
ধন্যবাদ ধন্যবাদ
নাহ, স্বপ্নে দেখলাম কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং এ বসে লেখালেখি না করা পর্যন্ত রাইটার্স ব্লক কাটবে না
অলমিতি বিস্তারেণ
হ... যান আজকের থিকা সবজান্তা নামটা আপনারেই দিলাম... সবজান্তা শুভাশীষ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি কেন জানি ভাবতেছিলাম এই যে আমাদের বণিক উনি কক্সোবাজার লৈয়া একটা কোনো কবিতা লিখবেন, লিখবেনই।
কবিতা ভালৈছে দেইখা গালিগালাজ করলাম না! নইলে মেলাকিছু মুখে আসছিলো!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
পেটের ভিতর কথা/গালি রাখতে হয় না, বলে ফেলেন।
------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।
হা হা হা... প্রথমে বুঝি নাইরে মন্তব্যের মাহাত্ম্য
অলমিতি বিস্তারেণ
বাহ!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
কাহ ?
হা হা হা... ধন্যবাদ !
অলমিতি বিস্তারেণ
আরেব্বাহ!
কয়েক 'আলোকবর্ষ' পরে লেখলা দেখি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
হ, একদম সেই মহাসিন্ধুর ওপার থেকে
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল্লাগছে
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পৃথিবীর সকল প্রানীর ভালো লাগুক, গৌতম বুদ্ধের কথা !
অলমিতি বিস্তারেণ
(গুড়)
সম্ভবত আমার সচলে প্রথম গুড়। মিষ্টি মুখ করানোর জন্য ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন