০১
সারা সপ্তাহ নানাবিধ মানসিক এবং শারীরিক পরিশ্রমের পর ঢাকা শহরের বাইরে যাওয়াটা একরকম জরুরী হয়ে পড়েছিলো। মহামতি ওডিনের সাথে কথাবার্তা বলে দেখা গেলো উনার চিন্তাভাবনাও কাছাকাছি- গতকাল সকালেই তাই আমি, মহামতি ওডিন, মহাকবি তারেক রহিম আর মহামতি ওডিনের বন্ধু সুমন ভাই মিলে বালিয়াটি আর পাকুটিয়ার জমিদারবাড়িতে গেলাম।
মজার ব্যাপার হলো পাকুটিয়া আর বালিয়াটি জায়গা দুটি মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে হলেও, বালিয়াটি পড়েছে মানিকগঞ্জে আর পাকুটিয়া টাঙ্গাইলে। যদিও বালিয়াটির জমিদারবাড়ির নামই বেশি শোনা যায়, আর সেখানে রীতিমতো সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম খোলা হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য- আমার কাছে বালিয়াটির চেয়ে পাকুটিয়ার জমিদার বাড়িই বেশি ভালো লাগে। পাকুটিয়ার জমিদারবাড়ির স্থাপত্যশৈলী অনেক বেশি নান্দনিক এবং যথেষ্ট স্পেসের ব্যবহার আছে। বিশেষত তাদের নাট্যমঞ্চটা তো অসাধারণ! পাকুটিয়ার জমিদারবাড়ি দেখে একটা ব্যাপারে আমরা একমত হলাম যে, টাকাপয়সা হয়তো আজকালকার বড়লোকদের অনেকই আছে, তবে রুচির ব্যাপারটা দিন দিন একদম অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে- অন্তত আমাদের চারজনের পর্যবেক্ষণ সেরকমই। ঘোরাঘুরি শেষে বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে গেল; তবুও অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে একটু সময় কাটাতে পেরে শরীর এবং মন-দুইই বেশ প্রফুল্ল এখন।
০২
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠলাম প্রায় বারোটার দিকে। সারা সপ্তাহ দৌড়ঝাঁপের পর সপ্তাহান্তের এই দুটা দিনের ঘুমের দিকেই তাকিয়ে থাকি। গতকাল ঢাকার বাইরে যাওয়ার কারণে আজ আমার উপর গুরুদায়িত্ব ছিলো একদিন দিয়েই বাকি ছয়দিনের ঘুম পুষিয়ে দেওয়ার। বারোটায় ঘুম থেকে উঠে মনে হলো খুব একটা সুবিচার করতে পারিনি আমার উপর অর্পিত দায়িত্বের প্রতি। প্রাতঃক্রিয়াদি সেরে নেটে বসে কথা বলতে শুরু করলাম ভুল সময়ের মর্মাহত বাউলের সাথে। বাউল সাহেবের অঞ্চলে অনেকদিন ধরেই রেইনি সিজন চলছে দেখে অহংকারে বাউল সাহেবের পা মাটিতে পড়ে না। যখনই জিজ্ঞেস করি, “কেমন আছেন?”, প্রত্যুত্তরে ইনিয়ে বিনিয়ে কোন না কোনভাবে তিনি জানান যে বাইরে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। আজকেও যখন জানালেন তার অঞ্চলে বেশুমার বৃষ্টি হচ্ছে, আমি বাস্তবিকই হতাশ হয়ে গেলাম। গত দুইদিন ধরে ঢাকাতে বিরক্তিকর রকমের গরম। সে ব্যাপারে তার কাছে একটু হাহুতাশ করতে না করতেই দেখি ঢাকার আকাশ কালো করে মুষালধারে বৃষ্টি শুরু হলো। বাউলের ঐশ্বরিক ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে উনাকে আর বিশেষ ঘাঁটালাম না !
এরই মধ্যে ফেসবুকের ফীড চেক করতেই নানা স্ট্যাটাস চোখে পড়লো বুয়েটের সাম্প্রতিক আন্দোলন নিয়ে। নিজের যৎসামান্য অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে বুয়েটের আন্দোলন ছাত্র এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে যতো মহৎ লক্ষ্যেই চালানো হোক না কেন, কিছু ব্যাপারে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। অবশ্য পরিচিত কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী যে সেই ব্যাপারগুলি আলোচনা করে অনেকের বিরাগভজন হয়েছেন, সেটাও চোখে পড়েছে। মানুষের সৎ আন্দোলনকে আমি সম্মান জানাই, কিন্তু একই সাথে আমি আসলে ভবিষ্যতের দিকেও তাকাতে আগ্রহী। আজ যেই ভিসি এবং প্রোভিসির পদত্যাগ সবাই চাইছেন, তারা কি জানেন এর পরের ভিসি কে হবেন? এটা মোটামুটি নিশ্চিত যে সরকারি দলের সমর্থক কেউ একজনই হবেন এবং অবশ্যই পলিটিক্যাল বিবেচনায়। এখনকার আন্দোলনের পুরোভাগে তড়িৎকৌশল বিভাগের অত্যন্ত “স্বনামধন্য” একজন শিক্ষককে দেখতে পাই এবং কানাঘুষা শোনা যায় যে তিনি সরকারদলীয় হওয়া সত্বেও বর্তমান ভিসির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন একটি বিশেষ স্বপ্ন পূরণেই- ঘটনা যদি সত্যি হয়, এতে কি বুয়েটের আকাশের মেঘ কাটবে? ছাত্ররা নিশ্চয়ই ছয়মাস পর পর ভিসি বদলাও আন্দোলনে যেতে পারবে না! সমস্যাটার একটা কার্যকরী সমাধান বের করাটাই মঙ্গলের। আমি আশা করি আজ যারা আন্দোলন করছেন, তারাও ব্যাপারটা ভাবছেন। মনে রাখা দরকার যে যে কোন ধরনের ঝামেলাতে ছাত্ররাই সবচে বেশি ভুক্তভোগী। কাজেই নিজের ভালোটা আশা করি তারা নিজেরাই বুঝবেন।
০৩
একটা বিষয় আমি অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম- গত চারদিন ধরে সিএনজি চালকদের যে ধর্মঘট চলছে, তা এখনো থামেনি এবং থামার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। প্রথমে ধর্মঘট করার কথা ছিলো মালিক সমিতির, পরবর্তীতে সরকারের সাথে আলোচনার পর তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও চালকেরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকার মতো জনবহুল শহরে, যেখানে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বলতে গেলে কিছুই নেই, সেখানে সিএনজি না থাকার মানে কী ভয়াবহ সেটা যে কেউ আন্দাজ করতে পারবেন। আশ্চর্য ব্যাপার হলো এই ব্যাপারে কোন মিডিয়াতেই খুব বেশি গুরুত্ব দেখছি না। সরকারের তরফ থেকেও কোন পদক্ষেপের কথা জানি না- শুধু গতকাল সিএনজি চালকদের সমাবেশে পুলিশের লাঠি হামলার খবর ছাড়া। আবুলকে বাঁচাতে সরকার হঠাৎ করে তার আত্মসম্মানবোধের মিনার দাঁড় করিয়েছে- আপামর জনগণ একবেলা কম বাজার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পদ্মাসেতু বানানোর ব্যাপারে কথা দিয়েছে, হিন্দি সিনেমা নায়ক এর মুগ্ধভক্ত, আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী ড়্যাম্বোর মতো অতর্কিতে বিআরটিএতে হানা দিচ্ছেন, শুধু সিএনজি সমস্যারই কোন সমাধান হচ্ছে না। আগামীকাল থেকে আবার অফিস শুরু হয়ে যাচ্ছে- সিএনজি ছাড়া কী দশা হবে সেটা ভাবতেই আতংক লাগে ! আর দেশের মিডিয়ার কাছেও সম্ভবত মধ্যবিত্তের সমস্যার দাম তুলনামূলক কম, এ কারণেই ঢাকাশহরে সিএনজি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর চারদিন পার হয়ে গেলেও তাদের বিশেষ মাথাব্যথা নেই।
০৪
বিক্রম সিং-এর নাম শুনি মোহন সিং এর ছেলে হিসেবেই। আমি মোহন সিং এর গানের ভক্ত, বিশেষত তার গলাতে “এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ” অপূর্ব লেগেছিলো। বিক্রম সিং এর গানও সেই সুবাদে ইউটিউবে কিছু শুনেছিলাম। পরে অবশ্য জেনেছিলাম যে বিক্রম সিং মারা গিয়েছেন ২০০৯ সালে। আজ দুপুরে আকাশ যখন ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ তখন অলসভাবে ইউটিউব থেকে ছেড়েছিলাম বিক্রম সিং এর গাওয়া, “নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে”। অপরিণত বয়সে বিদায়ের যে ব্যথা, তার সাথে বিক্রম সিং এর উদারগলায় গানটা মিলেমিশে একদম চুরমার করে দিচ্ছিলো। হায়... পৃথিবীর সব ভালোই কি ক্ষণস্থায়ী ?
মন্তব্য
বাউলেরে ঢাকায় ডাকেন মাঝে মাঝেই, বৃষ্টি ঝরায়ে আবার ফেরত!
facebook
হ... পরিবেশবান্ধব বাউল !
অলমিতি বিস্তারেণ
(গুড়)
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
সেকশন ২ ও ৩ এ আপনার অবজারভেশন খুব ভালো লাগলো।
এটাই বলতে চেয়েছিলাম। জমিদার বাড়ীগুলোর কয়েকটা ছবি দিলে আরো একটু ভাল লাগতো।
জমিদার বাড়ির ছবি দিতে পারলে আসলেই ভালো হতো, কিন্তু ছবি তো আমার কাছে নেই কারণ আমি ক্যামেরা নেইনি। দেখি, সম্ভব হলে অ্যাড করে দিবো।
অলমিতি বিস্তারেণ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ পিপিদা
অলমিতি বিস্তারেণ
(গুড়)
তন্ময় বদ্দারে তো আজকাল বড় বড় গাড়ির উপ্রে পাওয়া যায়।
আর বাউল ভাই এর বৃষ্টি স্ট্যাটাস এর সন্ত্রাসে ফেবুতে টিকে থাকা দায়
ডাকঘর | ছবিঘর
তার পরবর্তী টারগেট অপটিমাস প্রাইম
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন একজন শিল্পীর গান শুনলাম। অসাধারণ লিঙ্ক।
পুরো লেখার জন্য অজস্র তারকা দিলাম।
লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
মধ্যবিত্তরা কি সিএনজি চরতে পারে ? কেমনে পারে ?
হা হা হা... ভালো কথা বলছেন একটা। চড়তে পারে হয়তো- কেউ স্বাচ্ছন্দ্যে, কেউ ধার করে ঘি খাওয়ার মতো করে।
অলমিতি বিস্তারেণ
লেখাটা খুব ভালো লাগল। এরকম দিনপঞ্জি পড়তে আরাম লাগে অনেক।
অনেক ধন্যবাদ অপ্র ভাই।
আমিও আসলে লেখালিখির ফ্লো-টা একদম হারায় ফেলছি। তাই ভাবলাম টুকিটাকি ডায়েরি টাইপ লিখে একটু চেষ্টা করি।
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাই কী সব জমিদারবাড়ি গেলেন আমারে, জিম্পলাশেরে আর নিবির্ভাইরে ফেলায়া
এইটা আসলে একবারেই হুট কইরা প্ল্যান করা। তোমাদের আসলে বলতে ভুইলা গেছিলাম। তবে জিম্পলাশের যেই ফর্ম চলতেছে এখন, ওরে নেওয়া বোধহয় ঠিক হইতো না
অলমিতি বিস্তারেণ
অফিস শেষে তাইলে ফিরবার পারছিলেন?
অলস সময়
বালিয়াটি জমিদারবাড়ির নাম অনেক শুনলেও পাকুটিয়া সম্পর্কে জানতাম না! আপনার বর্ণনা পড়ার পর থেকে পাকুটিয়া ক্রমাগত টানছে, যে করেই হোক দেখতে যেতে হবে!
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত! কিছু দিন পরপরই বুয়েটের ছাত্রদের আন্দোলন করতে হচ্ছে! আমার মনে হয়, বুয়েটের আন্দোলনের একটি সুনির্দিষ্ট গুণগত লক্ষ্য ঠিক করা উচিৎ, দেশের সবচেয়ে বড় ট্যালেন্টপুল হিসেবে বুয়েটের তেমন আন্দোলন করার দক্ষতা ও যোগ্যতা দুটোই আছে। আসলে ব্যক্তি নয়, আন্দোলনের লক্ষ্য হওয়া উচিত সিস্টেমের পরিবর্তন, এমন একটি সিস্টেমের দাবীতে সোচ্চার হওয়া উচিৎ যা সব ধরনের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি আর বিশৃঙ্খলা রোধে নিজে থেকেই সক্ষম! সেক্ষেত্রে বুয়েটের এমন গুণগত আন্দোলন সফল হলে, তা দেশের অন্যান্য শিক্ষায়তনেও পরিবর্তনের ঢেউ তুলতে পারবে।
মোহন সিংয়ের গলায় শুনলেও তার ছেলের কণ্ঠে আগে শোনা হয়নি! মোহন সিংয়ের গানটি শুনলেই মন কেমন হয়ে যায়! আর বিক্রম সিংয়ের কণ্ঠে শোনার পর কি বলব, সত্যি প্রচণ্ড মোচড় দিচ্ছিল! এই শিল্পীর প্রতি আমার
পাকুটিয়া জায়গাটা আসলে অতো বিখ্যাত না- জমিদারবাড়িটাও। তবে আমার খুব ভালো লাগে, চমৎকার শান্ত, নিরিবিলি একটা জায়গা। ওদিকটায় গেলে ঘুরে আসতে পারেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
আরে, পাকুটিয়ার জমিদারবাড়িকে এত সুন্দর বলেটলে ছবি কই?
ক্যামেরা মহামতি ওডিনের কাছে ছিলো, উনি দুই চারটা ছবি দিলে তবেই দেখতে পাবেন। আমার কাছে যা আছে সবই হৃদয়ে গাঁথা। আপনি নিশ্চয়ই চান না, একজন প্রুষ মানুষ হয়ে আরেকজন প্রুষ মানুষকে আমি আমার হৃদয় উন্মুক্ত করে সেখানে থাকা কোন জমিদারবাড়ির ছবি দেখাই ??
অলমিতি বিস্তারেণ
লেখার বিষয়গুলো নিয়ে বলার কিছুই নেই, কিন্তু শেষে গানের লিঙ্কটা শুনে মুগ্ধ হয়ে নির্বাক বসে রইলাম কিছুক্ষণ। আমি বিক্রম সিং এর গান শুনিনি এর আগে, আজকে শোনার পরে আসলেই অদ্ভুত একটা অনুভূতি হলো। পৃথিবীর সব ভালোই আসলে ক্ষণস্থায়ী !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অলমিতি বিস্তারেণ
মহাকবি তারেক রহিম তাহলে বেঁচে আছেন? আলহামদুলিল্লাহ্।
...........................
Every Picture Tells a Story
জ্বি, সবই আপনাদের দোয়া।
অলমিতি বিস্তারেণ
হয় সবজান্তার শরীর খারাপ নয়তো তার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে।
আগে দশটা টো টো হলে তার একটাতে হয়তো যাবার সুযোগ হতো। ফেসবুক ত্যাগ করায় এখন সে'পথও বন্ধ। সে'জন্য কোন আফসোস্ করিনা। লেখালেখি কন্টিনিউ করার জন্য যেমন নিজের তরফ থেকে উদ্যোগ দরকার হয়, টো টো করার জন্যও নিজের তরফ থেকে আরো বড় উদ্যোগের দরকার হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ... শরীরটাই একটু খ্রাপ।
আমরাও ওইদিন কোঞ্চিপাতে বলতেছিলাম যে আপনারে অনেকদিন দেখি না- সামনাসামনি তো না-ই, নেটেও না। আন্দাজ করলাম কোন কারণে হয়তো ব্যস্ততা যাচ্ছে। সময় করতে পারলে একদিন চলে আসেন। দুইদিনের দুনিয়া, কালকে কে কোথায় থাকবো কে জানে ! এই জন্যই মাঝে মধ্যে দেখা সাক্ষাত করা দরকার
অলমিতি বিস্তারেণ
লেখা ভালু পাইলাম! (গুড়)
বড় হয়ে আমিও একদিন লেখালেখি করবো
---------------------
আমার ফ্লিকার
তুমি আর কতো বড় হবা নাদের আলী ?
অলমিতি বিস্তারেণ
ভারতে থাকার কারনে(এখানেও যা ক্যাচাল সবকিছু নিয়ে ) অনেক সময় বাংলাদেশের সমসাময়িক খবরগুলো নিয়ে সচলায়তনের বিভিন্ন পোষ্টগুলোর খেই ধরতে পারি না। তবু আপনাদের লেখালেখি থেকে অনেক কিছুই জানতে পারি।
আর আপনি যে গানের লিঙ্কটি শেয়ার করেছেন তা বারবার শুনেও আবার শুনতে ইচ্ছে করছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এক কথায় অসাধারণ।
যদি সম্ভব হয় বিক্রম সিং কে নিয়ে একটা পোষ্ট দেবেন?
ওনার মৃত্যুর কারণ কী ছিল জানতে ইচ্ছে করছে।
বিক্রম সিংকে নিয়ে পোস্ট দেওয়ার মতো বোধহয় আমি জানি না। তবে উনার গান পাবেন বেশ কিছু ইউটিউবে- আর যেহেতু আপনি ভারতেই থাকেন, আপনি বোধহয় মিউজিক শপগুলিতেও পাবেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
গানের লিঙ্ক দেওয়ার জন্য একটা অসাধারণ কন্ঠে গানটা শুনে অব্দি বুঁদ হয়ে আছি । আপনাকে
ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
প্রতিটা অংশই ভাল লেগেছে। গানের লিঙ্কটা তো বটেই।
ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
বাউল ভাই আমারেও ইনিয়েবিনিয়ে বৃষ্টির কথা শোনাইছে সেদিন। মাঝে একদিন তো বৃষ্টি মেইলও করে দিলেন।
হ, বৃষ্টির সেই মেইল আমিও পাইছি !!
অলমিতি বিস্তারেণ
সবজান্তার লেখা, পড়লাম।
গানটার জন্যে থ্যাঙ্কু। ভিক্রম সিং এর গান আগে শুনি নাই, লজ্জিত গলায় স্বীকার করলাম।
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ কনফু ভাই। আর বিক্রম সিংকে না চিনলে লজ্জার কী আছে ! উনার বেশ কিছু গান ইউটিউবে আছে, শুনে দেখতে পারেন।
আরেকটা কথা বলা দরকার। কথার কথা না, একদম সিরিয়াসলি বলি- আমি কিন্তু আপনার গল্পের জন্য আসলেই অপেক্ষা করি। আপনার আরো নিয়মিত লেখা উচিত।
অলমিতি বিস্তারেণ
চমৎকার!
ধন্যবাদ শিমুল ভাই
অলমিতি বিস্তারেণ
যাপিত জীবনের (মূলত: ২,৩,৪ এর প্রসঙ্গে) এক টুকরো ছবিগুলোর একটা দারুন বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে একাত্ম হতে এতটুকু দেরী হয় না। তাই পোস্টটা সবজান্তার হয়েও হয়ে ওঠে পাঠকের পোস্ট। দারুন ভালো লাগলো।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
এইটাই হয়তো একটা বড় প্রাপ্তি
পড়া আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ঝরাপাতা ভাই। আপনার লেখা কিন্তু অনেক দিন দেখি না...
অলমিতি বিস্তারেণ
এইটা অন্যায় হইছে, বালিয়াটি আর পাকুটিয়ার জমিদারবাড়ির কথা কইলে আমি অবশ্যই যাইতাম। যাক কি আর করা, মাফ কইরা দিলাম যা
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আসলে এইখানে একটু অ্যাপলজির ব্যাপার আছে- পুরা ব্যাপারটা এতো দ্রুত হইছে যে বলতে গেলে কাউকেই জানাইতে পারি নাই
অবশ্য আপনারে জানাইলেই কী হইতো, আপনি তো আর যাইতেন না
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন