০১
গত দিন দশেক ধরে চলছে হলিডে সিজন। ফল সেমেস্টার শেষ; বড়দিন, নববর্ষ ইত্যাদি নানাবিধ ধুনফুন বাবদ প্রাপ্য ছুটি প্রায় দিন বিশেকের।
নতুন জায়গা, সেজন্যে গভীর খাতির কারো সাথেই তেমন নেই। তদুপরি শিক্ষাগুরু দ্রোণাচার্য স্বীয় মাতৃভূমি ভ্রমণ উপলক্ষ্যে বিদায় নেওয়ার প্রাক্কালে সমাগত একখানা প্রোজেক্ট উপলক্ষ্যে কয়েক'শ পাতার ডকুমেন্ট আগামপাঠ্য হিসেবে ধরিয়ে দিয়ে গেছেন। জীবনে এতো বাজে আর কোনো ছুটি কাটিয়েছি কিনা মনে করতে পারলাম না। এমনিতেই এ শহরে (শুনেছি অল্প কিছু শহর বাদ দিলে, মূলত গোটা দেশেই) ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি ছাড়া জীবন জগন্নাথদেবের মতোই অচল, তার উপরে রয়েছে আমার 'বাঙাল হাড়' কাঁপানো শীত। মোটের উপরে বেশ ডিপ্রেসিং ব্যাপার স্যাপার। কাজের মধ্যে খাদ্য, বাহ্য আর ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা। অবশ্য আরো দুর্বিষহ হতে পারতো, পুরানো এক ভালোবাসার কারণে তা আর হয়নি। শৈশবকালীন সেই ভালোবাসার নাম ক্রিস্টাল মেইজ। আমার প্রায় শৈশবকালীন জীবনে এই অনুষ্ঠান যে কী ভীষণ আলোড়ন তৈরি করেছিলো, সেটা বোধহয় অনেকেই আন্দাজ করতে পারেন। সে বয়সে ইংরেজি বোঝার প্রশ্নই আসে না (এখনই বুঝি না ঠিকমতো!), তবু সেই খেলার রোমাঞ্চ যে আমাকে স্পর্শ করেছিলো তা বিলক্ষণ মনে আছে। অ্যাজটেক সভ্যতার আদলে গড়ে তোলা সেট দেখে এতোটাই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম যে, আরো একটু বড় হয়ে অ্যাজটেক সম্পর্কে যখন জানলাম তখন ভেবেছিলাম যেভাবেই হোক সেখানে যেতে হবে। সম্ভবত সেই মুগ্ধতার কারণেই এতো বছর পর সেদিন হঠাৎ ক্রিস্টাল মেইজের নাম মনে পড়লো। ইন্টারনেটে শয়তানের বাক্স, ইউটিউবে খুঁজতেই বেরিয়ে আসলো ক্রিস্টাল মেইজের প্রায় সব পর্ব। মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম সেই মহাত্মনকে যিনি কষ্ট করে ভিডিওগুলি আপলোড করেছেন। অবশ্য দেখা শুরু করার আগে মন একটু খচখচ করছিলো। বছর কয়েক আগে অতি আগ্রহে ম্যাকগাইভার দেখতে বসে যে তীব্র আশাভঙ্গ হয়েছিলাম, সেই অভিজ্ঞতার আলোতে ভাবছিলাম দেখাটা উচিত হবে কিনা। শেষ পর্যন্ত সাহসে ভর করে এক এপিসোড দেখে ফেলার পর বুঝলাম যে ঠকবোনা। এই জিনিস আগের মতোই আনন্দ দিয়েছে। সেই থেকে রোজ এক/দুই এপিসোড করে দেখছি। সবই বছর বিশেক আগে বানানো- সেট, স্ক্রিপ্ট... সব, অথচ আজো এর ধারে কাছে অনুষ্ঠান খুব বেশি চোখে পড়ে না, বিশেষ করে রিচার্ড ও ব্রায়েনের সেই ক্ষ্যাপাটে উপস্থাপনার ধারে কিছু দেখিনি।
০২
সম্প্রতি ঢাকা থেকে ঘুরে আসা এক বন্ধু মারফত একটা বই আনালাম, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়েরি। কারো ডায়েরি (প্রকাশিত অবশ্যই!) পড়ার মধ্যে এক ধরনের নিষিদ্ধ আনন্দ অনুভব করা যায়, অনেকটা পিপিং টম গোছের। সাধারণত বিখ্যাত লোকেরা সেইফ সাইডে ডায়েরি লিখেন কিংবা প্রকাশ করেন। আজ অবধি যে দু চারটা ডায়েরি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তাতে অতি ব্যক্তিগত আলাপচারিতা তেমন দেখিনি। অবশ্য এ উপলব্ধি আমার পাঠাভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতার কারণেও হতে পারে। তবে এদিক দিয়ে সন্দীপনের ডায়েরি ব্যতিক্রম। শুধু ব্যতিক্রম না, মহা ব্যতিক্রম। নির্দ্বিধায় লিখে গেছেন নিজের জীবন নিয়ে। অতি ব্যক্তিগত কিছুই বাদ যায়নি, এমনকি মাস্টারবেশনের উল্লেখ অবধি আছে। আমি সন্দীপনের ভক্ত তার প্রকাশভঙ্গি এবং ভাষার উপর দখলের কারণে, তার ডায়েরির বর্ণনাও হতাশ করেনি। ডায়েরিতে নানা ধরনের এন্ট্রি আছে, নিখাঁদ দিনলিপি থেকে শুরু করে উপন্যাসের খসড়া কিংবা হঠাৎ এসে যাওয়া কোনো চিন্তা। সন্দীপনের লেখা উপন্যাস আর ডায়েরি থেকে চিনে নেওয়া যায় তাকে , অনেকটা জিগস পাজলের মতো। খুঁজে খুঁজে ঠিক টুকরোগুলো পাশাপাশি রাখলে একটা অর্থময়, সম্পূর্ণ ছবি। নিজের সম্পর্কে সন্দীপনের বলে যাওয়া একটা কথা একসময় খুব পছন্দ হয়েছিলো, এখন দেখছি এটা আসলে ডায়েরির এন্ট্রি। সন্দীপন বলেছিলেন, "এত কম সামাজিক সমঝোতা যে মৃত্যুর পর চারজন শববাহক জুটবে এমন আশা করি না।" পুরো ডায়েরি জুড়েই সন্দীপনের একলা চলার বহু নিদর্শন। আনন্দবাজারের বিরুদ্ধে তার যে তীব্র বিরক্তি, তাও মাঝে মাঝেই ডায়েরিতে লিখেছেন। সুনীল, শক্তি, তারাপদ- এদের সাথে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের পরও ডায়েরির পাতায় এদের কেটে ফলা ফলা করেছেন। আমার কাছে অবশ্য ডায়েরির সবচে ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে এর শেষের অংশটুকু, সন্দীপনের ক্যান্সার ধরা পরার পর। নিশ্চিত মৃত্যুকে সামনে রেখে সন্দীপনের প্রতিটা এন্ট্রি দারুণ রকমের দার্শনিক ছিলো। মৃত্যুভয়কে কোথাও লুকানোর চেষ্টা করেননি। বেঁচে থাকার আকুতিও দৃশ্যত প্রবল, কোথাও নিজেকে মহৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কোনো চেষ্টা নেই। মৃত্যুর ছয়দিন আগ পর্যন্ত লিখেছেন ডায়েরি। বাংলা ভাষায় সুখপাঠ্য, ঝরঝরে গদ্য অনেকেই লিখেছেন, লিখেন- তবে এতো ধারালো গদ্য লিখবার ক্ষমতা মনে হয় না খুব বেশি লেখকের ছিলো কিংবা আছে।
০৩
আরো একটা বছর শেষ হয়ে গেলো। বছর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মাপা হলো নাকি হিজরিতে এতে অবশ্য আমার তেমন মাথা ব্যথা নেই। মোদ্দা কথা আরো কিছু সময় চলে গেলো। সারাদিন ফেসবুকে সবার সালতামামি দেখে ভাবার চেষ্টা করলাম বছরটা আসলে কেমন গেলো ? উত্তর নেই, যেমনটা আগের কোনো বছরেই ছিলো না। দেশ ছেড়ে আসাটা জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিগতপ্রায় (আমার এখানে এখনো যায়নি) বছরের গুরুত্বপূর্ণ কাজ এই একটাই। সময় যাচ্ছে, বুড়ো হচ্ছি, মূর্খ হচ্ছি। যতোদিন যাচ্ছে এটা পরিষ্কার হচ্ছে জীবন আসলে কোনো প্যান্ডোরার বাক্স না। জীবনের প্রধানতম ঘটনাগুলির যৎসামান্যই দৈবের ইশারাতে ঘটে, বাকি সব স্ব-ইচ্ছাতে কিংবা স্ব-ইচ্ছার অভাবে। আপাতত জীবনের লক্ষ্য তাই স্ব-ইচ্ছাতে সবকিছু করা, ভালো কিংবা মন্দ।
গতকাল বদ্দা সুমন চৌধুরীর বদৌলতে প্রিয় গায়ক মরহুম রামকুমারের গলায় গাওয়া একটা অসাধারণ গান শুনলাম। আপাতত ওই গানের সাথেই বিদায় নেই:
মন্তব্য
তুমুল লাগল!
হ, ম্যাকগাইভার বিরাট বিনোদনের উৎস হয়ে গেছিলো বড় বেলায়। তবে ক্রিস্টাল মেইজ দেখতে পারেন, এখনো দারুণ লাগে। অবশ্য জিনিসটা সেইরকম ক্লাসিক ছিলো দেখেই এইটারে অলটাইম বেস্ট গেইম শো হিসেবে নির্বাচিত করছে ইউকের লোকজন।
সন্দীপন অবশ্যই পড়বেন। সম্ভবত প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কারো লেজুড়বৃত্তি করেন নাই দেখে, তার নাম তুলনামূলক কম মানুষজন জানে। তার উপন্যাস এবং গল্প পড়লে বুঝবেন, গদ্য লেখার শক্তি আসলে কী তীব্র এই লোকের।
শুভেচ্ছা এবং শুভকামান
অলমিতি বিস্তারেণ
ডুপ্লি
অলমিতি বিস্তারেণ
ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন ভাই। ক্রিস্টাল মেজ ভাইবোন সবাই মিলে দেখতাম।
ক্রিস্টাল মেইজ, যাকে বলে একদম স্মৃতিতে অমলিন
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল লাগলো 'ডেইলি মেইল ০৩' আর 'সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়েরি' পড়ার ইচ্ছা জাগ্রত হলো।
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সন্দীপনের ডায়েরি মোটামুটি সহজপ্রাপ্য একটা বই। খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। যদি সন্দীপনের গল্প উপন্যাস এগুলি না পড়া হয়ে থাকে, তবে সেগুলিও যোগাড় করে পড়ে ফেলুন। ঠকবেন না, একদম গ্যারান্টি !
অলমিতি বিস্তারেণ
আমিও ম্যাকগাইভার দেখে দুঃক্ষ পেয়েছি। ক্রিস্টাল মেইজের কথা মনে ছিল না। আপনার লেখা পড়ে মনে পড়লো। নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
অলমিতি বিস্তারেণ
facebook
শুক্রিয়া জনাব।
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল লাগল লেখাটা । এই লেখকের লেখা পড়িনি,যোগাড় করতে হবে । আর কি কি বই আছে লেখকের জানাবেন,পলীজ ।
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
সন্দীপনের লেখা সংখ্যা বিচারে খুব বেশি না। ঠিক ঠাক সংখ্যা মনে নেই,তবে মনে হয় গোট বিশেক উপন্যাস থাকতে পারে আর কয়েকটা গল্পগ্রন্থ। একটা পরামর্শ দিতে পারি, সন্দীপনের গল্প এবং উপন্যাস- দুটিরই সমগ্র পাওয়া যায়। বেশ সহজপ্রাপ্য। ওগুলি কিনে ফেলুন। দাম এবং পরিশ্রম- উভয়ার্থেই সাশ্রয়ী।
আপনার সন্দীপন পাঠ আনন্দময় হোক
অলমিতি বিস্তারেণ
অনেক ধন্যবাদ । উইকিতে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য পেলাম লেখকের ব্যাপারে । রচনা সমগ্রই তাহলে কিনে নেব
http://en.wikipedia.org/wiki/Sandipan_Chattopadhyay
শুক্রবার সকাল শুরু হত ক্রিস্টাল মেজ দিয়ে। প্রোগ্রামটা দেখার সময় এতই উদ্গ্রীব হয়ে থাকতাম যে মনে হত আমি নিজেই খেলছি।
এত ভাল লেখা এতদিন পরপর লিখলে কি চলে?
ক্রিস্টাল মেইজের মজা ওইটাই- নিজের খেলার একটা অনুভূতি হয়।
অলমিতি বিস্তারেণ
কুল, ক্রিস্টাল মেইজ !! ভাই দেশে আসার সময় এইটা নিয়াইসেন। কোঞ্চিপায় আরেকটা সিরিজ যোগ হবে তাইলে !!
আরে, এইটা তো ইউটিউবে স্ট্রিম করে দেখি। ডাউনলোড করা একটু ফ্যাঁসাদের। এরচে তোমারই বরং অপেক্ষা করো কবে ইউটিউব খুলে দেয়, তারপর না হয় ...
অলমিতি বিস্তারেণ
গানটা দারুন, লেখাও সেইরকম ভাল।
গাড়ী ছাড়া এদেশে আসলেই ঝামেলা, ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হয়। আমি যখন তিন দশক আগে ছাত্রের বউ হয়ে আসি আমার বর আমি আসার আগেই দেড়শ ডলার দিয়ে ইয়া বড় এক পুরানো গাড়ী কিনে ফেলে। ডেলটা ৮৮। এতই বড় সে গাড়ী সামনের সিটে চালকের পাশে পুচকে আমি বালিশ নিয়ে শুয়ে পরতাম।
ক্রিস্টাল মেইজ দেখিনি, লেখাটি পড়ে দেখার ইচ্ছে হল।
নুতন বছরের শুভেচ্ছা।
পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি একদিক দিয়ে সৌভাগ্যবান যে এখানে বাঙালি কমিউনিটি বেশ বড় এবং হেল্পফুল। বাজারসদাই থেকে শুরু করে যেকোনো দরকারেই যদি গাড়ি লাগে, কেউ না কেউ এগিয়ে আসে। তবে তারপরও একদম স্বাধীনমতো ঘোরা যায় না। এইটাই একটু সমস্যার।
ক্রিস্টাল মেইজ অত্যন্ত চমৎকার একটা গেইম শো, দেখলে মজা পাবেন আশা করি। সব পর্বই ইউটিউবে আছে। টেস্ট হিসেবে এক এপিসোড ট্রাই করতে পারেন।
অলমিতি বিস্তারেণ
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম - - -
আপনার মতো গুনী শিল্পী এবং প্রিয় ব্যানার্জীর ভালো লেগেছে জানতে পেরে অত্যন্ত খুশি হলাম স্যাম ভাই !
অলমিতি বিস্তারেণ
এইখানে ১১ নাম্বার চ্যানেলে ক্রিস্টাল মেইজ দেখায়। কয়েক সপ্তাহ আগে এক পর্ব দেখলাম। খারাপ লাগে নাই। বছর চারেক আগে ম্যাকগাইভার সিজন দুয়েক দেখেছিলাম খুব কষ্ট করে। ছেলেবেলার ভালবাসা নষ্ট হতে দেয়া ঠিক না ভেবে আর দেখি নাই।
২০১৩ তে কি ফুল ফুটার খবর দিতারবেন মনে হয়?
২০১৩ তে ফুল ফুটবে না হুল ফুটবে এখনো নিশ্চিত না। তবে মনে রাখপেন, ফুল ফুটুক বা না ফুটুক, আজ বসন্ত
অলমিতি বিস্তারেণ
- শুনতে যেমনই শোনাক 'দেশ ছাড়া'টা এখন পর্যন্ত তোমার জীবনের সবচে' বড় ঘটনা এবং সম্ভবত তোমার বাকি জীবনেরও সবচে' বড় ঘটনা। মাথার ভেতরে কিছু অধীত বিদ্যা, কিছু অভিজ্ঞতা, এক রাশ স্মৃতি আর বুকের ভেতরে অনেকগুলি মানুষের মুখ ছাড়া তোমার সব সঞ্চয়ই পথপ্রান্তে ফেলে গেছো - এবং তোমার জীবনের এক তৃতীয়াংশ। জীবনের কোন এক পর্যায়ে তোমাকে যদি আবারও relocate করতে হয় তবে তা-ও এটার সমান হবে না। অন্য শহরে কাজ বা ছুটি কাটিয়ে ডালাসের বাড়িতে ফিরলে এক সময় তোমারও 'ঘরে ফেরা'র অনুভূতি হবে, তবে সেটা কখনো 'বাড়ি ফেরা'র অনুভূতি হবে না।
বছরের শুরুতেই কতগুলো বাজে কথা বললাম। কিছু মনে করো না। ভালো থেকো। ডালাসের কোথাও একটা চাচীর দোকান খুঁজে আরেকটা কোঞ্চিপা বানিয়ে নিও।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন বছর আনন্দে কাটুক।
দেখি চেষ্টা করে... পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
অলমিতি বিস্তারেণ
সন্দীপনের ডায়েরি নিয়ে একটা লেখা লিখবো লিখবো করে লেখা হয়ে উঠলো না... আলসেমি আর ছোটানো যাচ্ছে না...
রামকুমার... প্রিয় রামকুমার...
লেখা ভালো লাগলো। বিদেশ গিয়ে আপনার এই উন্নতি হয়েছে যে এখন মাঝে মধ্যে সচলে লেখা পাওয়া যায় আপনার
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বিদেশ আসলামই তো ব্লগ লেখার জন্য !
অলমিতি বিস্তারেণ
আহা ক্রিস্টাল মেইজ! আহা শুক্রবারের সকাল! নস্টালজিক করে দিলেন ভাই।
ফারাসাত
নতুন মন্তব্য করুন