তবে অধিকাংশ ব্লগের সাথে তফাৎ হলো, আমি এখানে কোনো উত্তর সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে লিখছি না। বস্তুত, প্রশ্নগুলির একদম নিশ্চিত উত্তর আমার কাছেও নেই। কিছু অনুমান আছে, তবে সেগুলি যে সঠিক কিংবা একমাত্র উত্তর, সেরকম আমি মনে করি না। এই ব্লগগুলি তাই অনেকটা সবাই মিলে চিন্তা ভাবনা বা আড্ডা দেওয়ার জন্যেই লেখা। আমি দর্শন, কিংবা জ্ঞান-বিজ্ঞানে তেমন চৌকস কেউ নই- সে কারণে প্রশ্নগুলি (এবং কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাব্য অনুমান) একদমই আমার মৌলিক চিন্তা। আলাপ আলোচনার সময়ও তাই একটু সহজভাবে ব্যাখ্যা করলে আমার জন্য বোঝা সহজ হবে। আবারো বলি, প্রশ্নগুলি খুব সিরিয়াস কিছু না- মোটামুটি হালকা চালে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার জন্যেই দেওয়া। মন্তব্যের ঘরে আপনাদের অংশগ্রহণের জন্য আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখি।
গরিবে আর বড়লোকে তফাৎ নাই কীসে! গরিব আর বড়লোকের খাওয়া দাওয়া আলাদা, জামা কাপড় আলাদা, পছন্দের গান, সিনেমা আলাদা। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ আলাদা, তাদের প্রতি রাষ্ট্রের আচরণ আলাদা। এমনকি গরিব আর বড়লোকের মুখের ভাষাতেও বিস্তর তফাৎ। অভিজ্ঞতা বলে, বড়লোকেরা অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করতে থাকে, যখন গরিবের সাথে তাদের কিছু একটা মিলে যায়। গরিবের থেকে সর্বাংশে ভিন্ন হওয়ার একটা চেষ্টা সচেতনভাবেই বড়লোকদের মধ্যে কম-বেশি থাকে। হরহামেশাই আমরা শুনতে পাই, বড়লোক (এমনকি মধ্যবিত্তও) কোনো মেয়ের পোশাক, সাজগোজ কিংবা সামগ্রিক চেহারা খারাপ হলে, তাচ্ছিল্যের সাথে বলা হয়, 'দেখতে একদম গার্মেন্টেসের মেয়েদের মতো লাগছে'; বিত্তের পরিমাণভেদে মানুষে মানুষে এই পার্থক্য বোধ করি কম বেশি সব সমাজেই নানা ফর্মে আছে। কিন্তু বিস্ময়করভাবে, একটা ক্ষেত্রে চাইলেই ধনীদের পক্ষে গরিবের থেকে ভিন্ন হওয়া সম্ভব না, সেটি হচ্ছে, যৌনতা।
একথা সত্যি যে, শ্বাস-প্রশ্বাস, খাদ্য গ্রহণ, রেচন ইত্যাদি শারীরবৃত্তিক প্রক্রিয়া বিত্ত ভেদে ভিন্ন হয় না। কিন্তু সেগুলির সাথে যৌনতাকে এক পাল্লায় মাপা যাবে না। জীববিজ্ঞানে পারদর্শী বন্ধুদের কাছে শুনেছি, মানুষের (বোধহয় সকল সৃষ্টিরই) জীবনের মূল লক্ষ্য তার জিনকে ছড়িয়ে দেওয়া, যতোদিন পর্যন্ত সম্ভব পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখা। সেই কথার ভিত্তিতে, কিংবা এতোদিনের লব্ধ অভিজ্ঞতায় বুঝি, মানুষকে যে কয়টি বিষয় চালিত করে, যৌনতার তার মধ্যে অন্যতম, ইন ফ্যাক্ট প্রধানতম। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধনী-গরীব সকলকেই মোটামুটি একটি সাধারণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়- এই বিষয়টা ধনীরা কীভাবে মেনে নেন? সংগমকালীন সময়ে একজন গরীব আর একজন ধনীর মধ্যে বিত্তের ভিত্তিতে কোনো প্রকার ডিফারেনসিয়েশন করা সম্ভব না।
গরীবদের থেকে ভিন্ন হওয়ার জন্য, উচ্চবিত্তদের মধ্যে যে ইগো, সকল ক্ষেত্রেই কাজ করে, সেই ইগো কি অবচেতনে তাদের আঘাত করে না? আমি জানি না, এই ইগোর মাধ্যমে জৈবিক কোনো পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব কিনা (যতোদূর বুঝি, সম্ভব না), কিন্তু অর্থনৈতিক-সামাজিক দিক থেকে দেখলে, এই ব্যাপারটাকে তারা কীভাবে সামলায়, সেটা আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং একটা প্রশ্ন মনে হলো।
আপনাদের মতামত শোনার অপেক্ষায় থাকলাম।
মন্তব্য
একটা বিষয় সম্ভবত এই যে, এই কার্যক্রম প্রদর্শন করে "সামাজিক উচ্চতা' জাহির করা যায়না। পোশাক, চলন, খাওয়া সবই প্রদর্শনযোগ্য। যৌনতা না। সেরকম যদি হতো তাহলে দেখতি লোকে বলত, "শালায় নিচু জাত! কুলিদের মতো সঙ্গম করে'! এমনিতে যেমন দেখ, খাওয়ার মূল প্রয়োজন/আয়োজন প্রক্রিয়া সবার একই। কিন্তু সেখানে উঁচু-নিচু বিভেদ রয়েছে। কেউ কেমনভাবে উপস্থাপন করে খায়, কীরকমের চামচ দিয়ে খায়, গপগপ করে খায় নাকি ভদ্রভাবে খায় ইত্যাদি নানান হিসেব কিন্তু আছে। খাওয়াতে যখন প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা আছে তখন সেইখানে এইসব নিয়মকানুন বেশি চড়ে বসে। তুই নিজের ঘরে একা নাকে মুখে মাখিয়ে খেলেও খেতে পারিস, কিন্তু রেস্টুরেন্টে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে পারবি হাভাতের মতো গিলতে? (ব্যক্তিগতভাবে আমি কেউ শব্দ করে খেলে খুবই বিরক্ত হই!)
যৌনতায় যে একেবারেই দেখাবার কিছু নেই তা কিন্তু নয়। দৈনন্দিন জীবনের অধিকাংশ দেখানোর প্রচেষ্টা যৌনতা-কেন্দ্রিক। তবে সেসব প্রাকৃতিক নির্বাচনের হিসেব এখন যদি বাদও রাখি, তারপরও সঙ্গীর প্রতি যৌনতার রকম/ধরন/গড়ন প্রদর্শনের ব্যপার তো রয়েছেই। বিষয়টা কোনো কোনো সমাজে কেবল ব্যক্তিগত গন্ডীতেও আবদ্ধ না। যেমন ধর তুই যেখানে বাস করিস সেখানে আনাড়ির মতো বান্ধবীকে চুমু খেলে বদনাম রটে যাবে (সাবধান থাকিস)! বান্ধবীকে একেবারে বিরাট ইয়ে করতে পারলে তোর সুনামও বাড়বে তবে এই প্রসঙ্গে অভিজ্ঞ গুরুজনদের মতামতের অপেক্ষা করি!
সবশেষে বলতে চাই, এমন সমসাময়িক আর্থসামাজিক সঙ্কটের মূলে কুঠারাঘাতের শব্দ রবীন্দ্রপরবর্তীযুগে কেবল তোর কলম থেকেই পাওয়া গেল! এই অনস্বীকার্য উপপাদ্যের ধারা যে তুই রচনা করলি তা উত্তরাধুনিক বিচক্ষণতার কালজয়ী প্রেক্ষাপটকে দূরে সরিয়ে রেখেও সাহিত্যের গর্ভে নিযুত সন্তানের জন্ম দেবে তা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
যৌনতায় নাটকের চরম উদ্ঘাটন। কোন আড়াল অবশিষ্ট নেই। আর্থ-সামাজিক অবস্থান-এর দৌলতে যার যার ‘ইগো’-র যা চেহারা সেটার প্রকাশ সেখানে অবারিত, উলঙ্গ। বেশী কথায় কাজ কি, সরাসরি মঞ্চে প্রবেশ করা যাক। কোন পরকীয়া নয়। এক্কেবারে নিয়ম মানা স্বামী-স্ত্রী। কয়েক বছর হয়ে গেছে, জানাজানি মিটে গেছে। মিলন - রুটিন। তবু আছে, বৈচিত্র আছে। মূলে - দাম্পত্যের অংশীদারদের আর্থ-সামাজিক মূলে তফাৎ ছিল/আছে। সেই বৈচিত্র। অনেকরকম সম্ভাব্য ‘পারমুটেশন-কম্বিনেশন’ থেকে চারটি তোলা যাক।
*** **** **** ****
দৃশ্য - ১: পাত্র-পাত্রী উভয়েই এসেছে উচ্চবিত্ত ঘর থেকে। বর্ত্তমান পরিস্থিতি উচ্চবিত্ত।
পুরুষ - আজ ঠিক আছ?
রমণী - হুঁ।
প - শুধু হুঁ?
র - (একটু হাসির সাথে, সে হাসিতে মনে হয় একটু ভরসা পাওয়া যায়) বেশ, আর কি চাও?
প - তুমি জান না?
র - জানি আবার না! এসো।
প - সিওর? সকালে বলছিলে দুর্বল লাগছে।
র - দুর্বলতা কাটিয়ে দাও!
*** **** **** ****
দৃশ্য - ২: পাত্র এসেছে উচ্চবিত্ত ঘর থেকে, পাত্রী এসেছে মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত ঘর থেকে। বর্ত্তমান পরিস্থিতি উচ্চবিত্ত।
পুরুষ - আজ ঠিক আছ?
রমণী - হ্যাঁ।
প - যাক। সকালে যেমন কুঁই কুঁই করছিলে, আমি তো ভাবলাম - যাক গে, কথা-বার্তা আর ভাল লাগছে না, এসো।
র - (গোপনে সাবধানে এক ফোঁটা চোখের জল মুছে নিয়ে) একটু আস্তে। (সে কথাগুলো কিসের নীচে চাপা পড়লো কে জানে!)
*** **** **** ****
দৃশ্য - ৩: পাত্র এসেছে মধ্যবিত্ত ঘর থেকে, পাত্রী এসেছে উচ্চবিত্ত ঘর থেকে। বর্ত্তমান পরিস্থিতি উচ্চ-মধ্যবিত্ত।
পুরুষ - আজ ঠিক আছ?
রমণী - কেন?
প - তমাল বলছিল সমুদ্রের ধারে দু-একটা দিন কাটিয়ে আসলে -
র - থামলে কেন? বলো কি বললো তোমার সবজান্তা বন্ধু?
প - তোমার মনটা ভাল হয়ে যাবে।
র - আচ্ছা!
প - না, মানে, সকালে বলছিলে ভাল লাগছে না ...
র - বেশ। আসবে?
প - হ্যাঁ (একটা গভীর উদ্বেগের শ্বাস কোনো রকমে গিলে নিতে নিতে অশ্রুত স্বরে বিড়বিড় করতে থাকল) হবে না, হবে না।
*** **** **** ****
দৃশ্য - ৪: পাত্র-পাত্রী উভয়েই এসেছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ঘর থেকে। বর্ত্তমান পরিস্থিতি নিম্ন-মধ্যবিত্ত।
পুরুষ - আজ ঠিক আছ?
রমণী - ঠিক না থেকে লাভ আছে?
প - তা ঠিক, কোনই লাভ নাই।
র - ঘুম পাচ্ছে।
প - ঘুমায় পড়বা?
র - বেশীক্ষণ জাগাতে পারবানা কিন্তু।
প - উঁ
র - উঁ
*** **** **** ****
আরো তীব্র হতে পারে, হয়। রক্ত ঝরে।
কি মনে হয়? যৌনতা সাম্যবাদ বরদাস্ত করে?
বিষয় সাংঘাতিক। আলোচনা চলুক। দরজা খোলার জন্য অনেক
- একলহমা
রুটিন যৌনকর্মের ক্ষেত্রে আপনার দেয়া চিত্রকল্পগুলো সিনেমা হিসাবে ঠিক আছে। বাস্তবে সব কিছু নির্ভর করে ব্যক্তি পুরুষ ও ব্যক্তি নারীর ওপর। আরো বেশি নির্ভর করে পরিবেশ-পরিস্থিতির ওপর। আর্থ-সামাজিক ব্যাকগ্রাউন্ড সেখানে একমাত্র তো নয়ই, খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরও নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দুই নিয়ন্তা - 'জেনেটিক মেক আপ' আর আর্থ-সামাজিক অবস্থান। মানুষটি কি ভাবে মানুষ হয়েছে, কোন পরিমন্ডল পেয়েছে বড় হয়ে ওঠার জন্য সে প্রশ্নে আর্থ-সামাজিক অবস্থান ছাড়ও আরও কিছু উপাদান গুরুতব পেতে পারে বৈ কি যেমন - শিক্ষা, ধর্ম, দেশ, কাল। কিন্তু এই বিষয় গুলি এক থাকলে যৌনতার সমীকরণ-এর নির্ধারক ভূমিকা নেয় - 'জেনেটিক মেক আপ' আর আর্থ-সামাজিক অবস্থান। যে কোন দৃশ্যকল্পকেই 'আ্যানেকডোটাল' ভাবা যেতে পারে কিন্তু প্রচুর নমুনা সংগ্রহ করা গেলে তখন তাদের মধ্য থেকে 'প্যাটার্ন'-গুলো পরিস্কার হয়ে ধরা দেবে। বিষয়-টা তাই রাশিবিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার সাহায্য পেলে আরো যথাযথ ছবি তুলর ধরতে পারবে মনে হ্য়।
- একলহমা
শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়ায় আর্থ-সামাজিক ভেদ কোন প্রভাব রাখে না। কিন্তু শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াটি কীভাবে সম্পন্ন করা হলো সেখানে তার প্রভাব অনেক। তাই খাদ্য, খাদ্যগ্রহন পদ্ধতি, পোশাক, চিকিৎসাপদ্ধতি, রেচন ও প্রাকৃতিক ক্রিয়াকর্ম সম্পাদন পদ্ধতি এমনকি যৌনকর্ম করার প্রক্রিয়াতেও প্রভাব ও পার্থক্য আছে। হাত দিয়ে খেলাম নাকি কাঁটা চামচ-ছুরি দিয়ে খেলাম সেখানে যে রকম পার্থক্যটা আছে সে রকম কী কন্ট্রাসেপটিভ ব্যবহার করা হলো, কোন aphrodisiac agent ব্যবহার করা হলো কিনা, কী আসন গ্রহন করা হলো সেসবেও পার্থক্য আছে। বলতে পারেন আসন গ্রহনে আর্থ-সামাজিক পার্থক্যটা কী করে হয়? উত্তরে বলবো উভয় শ্রেণীর শোবার ঘরের পার্থক্যটা খেয়াল করলে এটা বোঝা যায়। তাছাড়া সামাজিক স্তর বিচারে কে কোন মানের যৌনসঙ্গী যোগাড় করতে পারলেন সেটাও একটা ব্যাপার। এই প্রত্যেকটা ব্যাপারে শো অফ করার সুযোগ আছে এবং লোকে তা করেও।
ইগো’র ঠেলাঠেলি নিয়ে একটা ভিন্ন রকমের গল্প বলি। এক এলাকায় নিম্নবিত্ত মানুষদের কেউ কেউ রাস্তার পাশে তাস দিয়ে ছোট স্টেকের জুয়া খেলে। ঐ এলাকারই উচ্চবিত্তদের একটা গ্রুপ প্রায়ই দলবেঁধে বিদেশে গিয়ে দামী হোটেলের স্যুট ভাড়া করে ঐ দেশের কারেন্সি দিয়ে উঁচু স্টেকের জুয়া খেলে। শেষ বিচারে দুইটাই জুয়া খেলা, দুইটাতেই কেউ হারে কেউ জেতে, দুইটাতেই অংশগ্রহনকারীরা একই প্রকার মজা পায়। তবু দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন দুই জগতের ঘটনা এবং সেখানে ইগোর বহিঃপ্রকাশ প্রকট।
উচ্চবিত্তদের এই ইগোর সংকট আসলে এক প্রকার আত্মপরিচয় সংকট। এতে জৈবিক কোন পরিবর্তন ঘটে না, তবে এটা উচ্চবিত্তকে প্রতিনিয়ত দৌড়ের ওপর রাখে। এটা ভেবে নিম্নবিত্তদের আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। আত্মপরিচয় সংকটের ঝামেলা তাদের শ্রেণীতেও অন্যভাবে বিদ্যমান আছে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
মনে আছে কনকর্ড বন্ধ হওয়ার আগে একবার ভেবেছিলাম - আচ্ছা বিল গেটস তো পুরো বিমান নিয়ে একা ঘুরলেও 'একটা সিট' এর বেশি ব্যবহার করতে পারবেনা - আবার আমার মাত্র একটা টিকেট কেনার ক্ষমতা আছে - আমিও ত এক্টা সিট ই পাব - যাক বিল এর চাইতে কম না
আপনার ভাবনাটা চমকপ্রদ। উচ্চমাত্রার আন্তঃজৈবদার্শনিক আলোচনার দাবী রাখে। কিন্তু সে আলোচনা এই অডিয়েন্সে কতটুকু যৌক্তিক হবে সেটা বলা মুশকিল। তবে অন্য প্রাণীদের কথা ভাবলে মানুষের জন্য ধনী দরিদ্রভেদে এই বিষয়টা প্রায় একই মনে হয়। আসল পার্থক্যটা ধন দৌলতের চেয়েও নির্ভর করে শরীর, মন ও পরিবেশ এই তিনটা বিষয়ের উপর। আবেগ অনুভুতির কোন ধনী-দরিদ্র নেই বলে বিশ্বাস করি।
তার চেয়ে জটিল ভাবনার বিষয় হলো একটা গরু, একটা হাতি, একটা কাক বা চড়ুই এই বিষয়টা কতটা উপভোগ করার সুযোগ পায়। তাদের তো ধন দৌলতের সমিস্যা নাই
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কামানের আবেদন করলে পিস্তল পাওয়া যায়, উল্টোটা ঘটলে কার না ভাল লাগে!! (একটা ক্রেডিট নিজেই নিলাম আপনি না দিলেও ) - চলুক এমন ছিন্নপাতা
চলুক
অন্যদের মতামত দেখতাছি
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
আমি তো জানতাম সবজান্তার কাছে সকল কিছুর সমাধান আছে! উল্টে তিনিই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নেমেছেন ঘোরকলি হে! কিছুদিন আগে রণদায়ের পোস্টে(পড়িনি পুরো পোস্টটা) উদাসদায়ের কোটটিতে চোখ আটকে গেছিল, মনও।
থাক না কিছু ব্যাপার আড়ালে, গোপনে(আমি এমনটাই মনে করি)।
তাছাড়া মাহে রমজান আসছে হেফুরা জানতে পার্লে পিট্টা একটাও মাটিতে পড়বেনা। আমি বাবা খুব ভালো। ভ্লগিং করিও না ,ও কি জিনিস জানিও না আর এই পোস্ট তো পড়িইনি আমার এই মতামত শুধুই আমার। এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক হতেই পারে। চলুক আলোচনা।
আহেম!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যৌনক্রিড়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ, পরিস্থিতি বিশেষকরে চিন্তামুক্ত আনন্দময় মানসিক অবস্থা তাছাড়া শয়নকক্ষও বিশেষ ভুমিকা পালন করে বৈকি ! তাছাড়া দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসেরও একটা ভুমিকা আছে মনে হয়।
এ বিষয়ে দু'লাইনের একটা উপমা - এক ধাঙড় আর ধাঙড়নীর সংলাপ।
ধাঙরনী : এই দেখ্ দেখ্ উহার ছেইলে কেমন রাজার মতোন ! আর তুহার ছেইলে ছালা ভুতের মতোন।
ধাঙর : হা, উহারা খায় ঘি, ুদে পরী হয় রাজা আর আমরা খাই কচু, ুদি পেত্নি হয় ভুত।
আগেই পড়েছি, মন্তব্য করা হয়নি। আপনার পোস্টটি ভাবিয়েছে। দারুণ একটা চিন্তা। মতামত দিতে যেয়ে প্রসঙ্গের বাইরে চলে যাই কিনা ভাবছি।
কিন্তু বিস্ময়করভাবে, একটা ক্ষেত্রে চাইলেই ধনীদের পক্ষে গরিবের থেকে ভিন্ন হওয়া সম্ভব না, সেটি হচ্ছে, যৌনতা। এই জায়গাটায় এসে কিন্তু আপনি ধরেই নিয়েছেন যে ভিন্ন হওয়া সম্ভব না। কেন ধরে নিয়েছেন জানতে পারি কি? কিংবা ঠিক কোন জায়গাটায়?
যৌনতা কিন্তু মানুষের যৌন আচরণ'কে নির্দেশ করে। যৌনতা বিষয়টিকে যদি শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্ক দিয়ে বিচার করা হয় তাহলে-ও পার্থক্য থাকাটাই স্বাভাবিক। যৌনাচরণ আমাদের দেশে খুবই গোপনীয় বিষয়, কাজেই সেই গোপনীয়তায় ধনী আর গরীবের আচরণের পার্থক্য আসলেই কতটুকু সেইটা চিন্তা করে মজা পেলাম। এমন’কি পেনিট্রেশন প্যাটার্ন-এ পার্থক্য থাকতে বাধ্য। ধনী আর গরীব- এই দুইটি মেরুকরণে ফেলে দেয়ার কারণে এখানে প্রসঙ্গটা একটা আলাদা মাত্রা পেয়ে গেছে।
এখানে যে বিষয়টি আমি আলোকপাত করতে চাইছি সেটা হচ্ছে ধনী কিংবা গরীব নারী’র বিষয়টি কেমন থাকে এক্ষেত্রে। ধনী হলেই কি একজন নারী তাঁর প্রাপ্য সম্মান পান? নাকি গরীব ঘরের যে কোন পুরুষ নারী’কে তার প্রাপ্য সম্মান দেবে না বলেই আমরা ধরে নেই? ইন্টারেস্টিং। সেক্সুয়ালিটি নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে বলতে পারি ‘বিত্তের’ মাপকাঠিতে যে ‘ইগো’ তার-চাইতে বড় ইগো পুরুষ ইগো। দুইদল-ই বিত্তের সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে সেই ইগো’র সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।
ধনীর বেলায় বিষয়টি চার-দেয়ালে বন্দি থাকার সম্ভাবনা খুব বেশি আর গরীব মানুষের (বিশেষ করে যারা পথের উপরই থাকেন কিংবা বস্তি এলাকায়) এতকিছু’র বালাই নেই, তার সবকিছু খোলামেলা-- এই কারণেও যৌনতার বেলায় তফাৎ থাকাটা স্বাভাবিক এখানে মনে হয় একটা পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। আবার যদি শিক্ষা দিয়ে বিচার করি তবু-ও সমস্যা। বিশ্ববিদ্যালয় পাস দেয়া ধনী’দের ভেতর যে পরিমাণ বিকৃতি দেখেছি তার উল্টো প্রমাণ পেয়েছি বহু গরীবের ভেতর। এক্ষেত্রে স্ব-শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।
ধনী আর গরীব -- এই মেরুকরণে নিজেই কোন উপসংহারে পৌঁছুতে পারবো না। আমার কাছে বিষয়টি মনে হয় ব্যাক্তিনির্ভর। আচরণ বিত্তের চাইতে চিত্তের উপর নির্ভর করে বেশি, যারা বিত্তের বড়াই করে কিংবা দারিদ্রের দোহাই দিয়ে ভিখ মাগে তাদের চিত্তে দৌর্বল্য আছে। আপাতত থামছি।
সবাইকে ধন্যবাদ। সেই সঙ্গে একটু মাফ চাইতে হচ্ছে, কারণ আড্ডা মারার জন্য পোস্ট দিয়ে নিজেই নানা অকাজ-কুকাজে (কিংবা গবেষনা, যে নামে ডাকুন আর কী) ব্যস্ত হয়ে আর উত্তর দিয়ে উঠতে পারিনি।
সবার মন্তব্যেই বেশ কিছু দিক উঠে এসেছে। আপাতত সময়সল্পতার কারণে আলাদাভাবে প্রত্যেকের মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করা সম্ভব হচ্ছে না। মোটামুটি জেনেরিক একটা মন্তব্য করি।
অনেকের মন্তব্যেই একটা বিষয় উঠে এসেছে যে, যৌনতা সবার জন্যেই সমান না। আমিও সম্মতি জানাই এই বক্তব্যে। আমি নিজেও যখন বিষয়টা শুরুতে ভেবেছি, উপলব্ধি করেছি যে যৌনতা আসলেই সবার জন্যে সমান না। বিশেষ করে পাণ্ডবদা যেটা বললেন, আনুষাঙ্গিক নানা বিষয়আশয় যেমন- নিরোধকের ব্যবহার, করলেও তার মান, আরো নানাবিধ অনুষঙ্গে বিত্তের কারণে পার্থক্য থাকে। কিন্তু আরেকটু চিন্তা করে মনে হলো, সেই পার্থক্যটুকু খুব মেজর কিছু না। যৌনাচরণের মূল প্রক্রিয়া, অর্থাৎ সঙ্গমক্রিয়ার মধ্যে বিত্তের কারণে কি পার্থক্য ঘটে? আমার ধারণা সেখানে মানুষে মানুষে যে পার্থক্য, সেটি বিত্তজাত নয়। ব্যক্তিত্ব, বিশেষ করে সঙ্গীর (কিংবা বলা ভালো নারীর প্রতি) প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি একটা বড় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বিত্তের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক আছে বলে মনে হলো না। শিক্ষার সঙ্গে থাকতে পারে, কিন্তু বিত্ত আর শিক্ষা কি সমানুপাতিক? আমার মনে হয় না।
তবে একটা জিনিস স্বীকার করি, আমার লেখাটাতে একটা সমস্যা রয়ে গিয়েছে- আমি সরাসরি বলে ফেলেছি যৌনতাতে বিত্তের প্রভাব নাই। কিন্তু আসলে সেভাবে লিখতে চাইনি। আমার মনে হয়েছে, হয়তো নেই, কিংবা থাকলেও বেশ জটিলভাবে আছে। আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম, যদি থেকে থাকে, তবে যৌনতা আসলে কীভাবে বিত্ত দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে? কেবলই আনুষাঙ্গিকের দিক থেকে, নাকি আরো বড় স্কেলে?
মন্তব্য করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এরপর থেকে আশা করছি মন্তব্যের সাথেই প্রতিমন্তব্য করে ফেলতে পারবো।
অলমিতি বিস্তারেণ
মানুষের (বোধহয় সকল সৃষ্টিরই) জীবনের মূল লক্ষ্য তার জিনকে ছড়িয়ে দেওয়া, যতোদিন পর্যন্ত সম্ভব পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখা-- এই ব্যাপার নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট খটকা আছে, বিশেষ করে মানুষের ব্যাপারে। অনেকেই সন্তান নিতে আগ্রহী না, তাদের কেউ কেউ নেহাত ছা পোষা মানুষ অনেকেই আবার নিউটনের মতো মহাজ্ঞানী। অন্যদিকে সমকামীদের বংশবিস্তারের সুযোগ নেই প্রাকৃতিক ভাবে, ফলে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিভা হয়েও লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কোন সুযোগ ছিল না জিন ছড়ানোর, নাকি???
আর যদি সামাজিক ভাবে বলেন বিত্তের একটা বড় প্রভাব আছে যৌনতাতে, আপনার এবং আমার মত দুইটা খাপখোলা তলোয়ারের মত চকচকে তরুণ বাকী জীবনে যতই আবেদনময়ী স্বর্ণকেশীর দেখা পাব, তার চেয়ে অনেক বেশী তরুণী বগলে নিয়ে ঘুরবে হাড় বুড়ো হুফ হাফনার! কেন? হাফনার কি ভাল কথা বলতে পারে? না খুব হ্যান্ডসাম? নাকি বিছানাতে পটু? যেইটাই হোক সেটা মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে তার বিত্তের পরিমাণ, যার কারণে ঝাকে ঝাকে মেয়েরা তার কোলে যেয়ে সেধে সেধে বসে।
আগের যুগেও ছিল, ভাল শিকারির প্রতি মেয়েরা আকৃষ্ট হত বেশী, খাবারের নিশ্চিন্ত জোগান ছিল, সর্দারদের হারেম ছিল না কোন কালে?
যৌনতা আমাদের বেসিক ইন্সটিঙ্কট, কিন্তু সেটার রকমফের আছে পরিবেশের হেরফেরে,
পরের পর্ব দ্যান জলদি, সেখানে আড্ডা দিমুনে
facebook
বায়োলজিক্যালি এইটাই কি জীবজগতের উদ্দেশ্য না? আমার স্বল্প জীববিজ্ঞানের জ্ঞান তো সেরকমই বলে। ফুল তার পরাগরেণু ছড়ানোর জন্য অন্য প্রাণিদের ডাকে। বার্ড অভ প্যারাডাইজ থেকে শুরু করে নানা প্রাণী কতোরকমের অঙ্গভঙ্গি করে তার সঙ্গিনীকে মুগ্ধ করার জন্য। মানুষ আর অল্পকিছু প্রাণী (প্রাইমেটগোত্রীয় আমার ধারণা, নাকি?) ছাড়া কেউ তো সেক্স ফর প্লেজার করে বলে জানি না। বাকি সবার উদ্দেশ্য তো একটাই, বংশবিস্তার।
মানুষের ক্ষেত্রে আর্থ সামাজিক নানা প্যারামিটার এসে একটু ঘাপলা করে সত্যি। কিন্তু মানুষ কি আসলে বংশ বিস্তারের ধারণা থেকে বের হয়ে আসছে, বায়োলজিক্যালি? পরিবার পরিকল্পনা করতে পারে, কিন্তু একবারে সন্তান চায় না, কতো শতাংশ? যদি এই অংশটা ক্রমশ বাড়তে থাকে, তবে এটাও ভেবে দেখা যাইতে পারে- কী কী ফ্যাক্টর বায়োলজিকে এরকম গো-হারা হারাচ্ছে। আর সমকামীদের ব্যাপারটা মনে হয় পার্ট অভ দ্য প্যাকেজ। মানে বিষমকামকে যদি আমি 'স্বাভাবিক' হিসেবে রেফারেন্স ধরি (জাস্ট কথার কথা, সমকামকে অস্বাভাবিক বা বিকৃত বলে মনে করি না, ডিসক্লেইমার দিয়ে রাখা ভালো), সে ক্ষেত্রে জীনগতভাবে সমকামী কতো শতাংশ? আর সমকাম তো প্রকৃতিতে কম বেশি অনেক প্রাণীতেই আছে। আমার মনে হয় সমকামীদের এই অংশটাকে ধরেই পুরো একটা প্রজাতির প্যাকেজ। সোজা কথায়, এই 'অ্যানোমালি'টুকু, পার্ট অভ দ্য প্যাকেজ।
পরের পার্ট প্রসঙ্গে, আমি মনে হয় আমার চিন্তাটা আপনাকে ঠিক মতো বুঝাইতে পারি নাই। সঙ্গীকে আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে, কিংবা সঙ্গী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিত্তের ভূমিকা নিয়ে না- আমার চিন্তাটা ছিলো, বিত্তের পরিমাণ কি মানুষের যৌনজীবন/যৌনাচরণে প্রভাব ফেলতে পারে? যৌনতার একদম বেসিক প্রক্রিয়াটা বায়োলজিক্যালি সবার জন্যেই এক। বিত্তবানদের যে স্বভাবজাত একটা প্রবৃত্তি থাকে, গরিবদের থেকে আলাদা হওয়ার, এখানে সেইটা কতোটা সম্ভব। এই জিনিসটা তাদের ইগোকে আঘাত করে কিনা...
আপনার লম্বা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
অলমিতি বিস্তারেণ
এইটুকু মাত্র লেখা????
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হে হে... লুক, হু'জ টকিং?
আসলে এইটা ঠিক নিজের মতামত জানানোর জন্য পোস্ট না। আমার মাথায় চিন্তা আসলো, ভাবলাম সবার সাথে শেয়ার করি, সমষ্টিগতভাবে চিন্তা করি। তাই পোস্ট করা।
আপনার মূল্যবান মতামত জানাইলেন না তো!
অলমিতি বিস্তারেণ
নতুন মন্তব্য করুন