বিনয় নামে আমাগো বিন্দুবাসিনী ইস্কুলে একটা স্যার আছিল। তহন আমরা কিলাশ সিক্সে কেবল ভর্তিক হইছি। এট্টু বয়স্ক মানুষ দেকলেই তারে স্যার মুনে কইরা সালাম দিয়া বহি। এইভাবে দপ্তরি হারাধন, পিয়ন তুফাজ্জল থিক্যা শুরু কইরা অনেকেই আমাগো কাঁছা ছালাম খাইয়া ফালাইছে খাড়ার উফর।
কিন্তু যে লুকটা কিলাশে ঢুকল তারে কেউ স্যার বইলা মানল না। আর মানবই বা ক্যামনে, খুঠার মইদ্যে কাপড় বানলে যেমুন ফৎফৎ কইরা উড়ে, তেমনে তার ঠ্যাঙ্গের ঢুলা পায়জামাডা ঝুলঝুল করবার নুইছিল বাতাস ছাড়াই। বডিতে একফুটা গুস্ত থাকলেউ চলত, কিন্তু আড্ডি ছাড়া আর কিছুই আছিল না উইহানে। ফলে আমরা তো দূরস্থান, কিলাশের নামকরা ভুদাই সিফাত বিন ছত্তরো তারে দেইকা খাড়াইল না। আর আমরা আরো জিবল্যা বাড়ি দিয়া দ্বিগুণ উত্তেজনায় আসাআসি করবার নুইলাম।
হঠাশ এ্যাউউউ! কইয়া একটা চিকার দিল লুকটা। হাস্যরত আসলাম বেগের (নিহারি আসলাম) গুয়া দিয়া পাদ বাইরিয়া গেলগা ভয়ের চোটে ফছ কইরা। বুজলাম, লুকটা একটা স্যার।
টেবিলে চক, ডাস্টার রাইকা চিয়ারে বইল। তারপর চোকটা মুইঞ্জা খুটা দুইডা ঝুলাইবার নুইল । ভুলো হইতে পারে আবার নাউ পারে, ইয়ার মইদ্যে দুইডা মুচকি হাসি স্যারের ঠুঁটের কুনা দিয়া দৌড় দিয়া পলিয়া গেল গা।
আমাগো তব্দা ভাব কাইটা যাইয়া যাইয়া গুনগুন যহন ফুঁসফাঁসে রূপান্তরিত হইতাছে, তহনই দেকলাম স্যার চোক খুইলা ঠ্যাঙ্গের উপর ভর দিয়া খাড়াইছে। আমরা সতর্ক হই। স্যার চক নিয়া ব্ল্যাক বোর্ডের কাছে যায়। আমরা তাকিয়া থাকি অধীর উত্তেজনায়, দেখি কী লেখে শালায়। সেইখানে অনেকক্ষণ পরে একটা লেকা ফুইটা উঠে-নীরবতা পালন করো-১০মিনিট।
আমরা এ োর দিকে তাকাই বুবা হইয়া। কিন্তু কেউই বুজতাছি না আমাদের কী করণীয়। তারপরো ভুদাই হইয়া বইয়া থাহি। স্যার আবার গিয়া চিয়ারে বসে। চোক বন্দ। ঠ্যাং ঝুলানি দ্বিগুণ বাড়ে। কিয়ৎক্ষণ পর আমাগো গুনগুন আবারো ফুঁসফাঁসে রূপান্তরিত হয়। স্যার আবারো পিলে চমকানি চিকার দেয়..এ্যাউউউউ।
আমরা বুজি চুপচাপ থাকাই আমাগো করণীয়। আমরা চুপচাপ থাকি। চুপচাপ থাকতেই থাকি।
হঠাশ স্যার হাজামিন ফজলে রাব্বী মিঠুরে কয়, উই তুই খাড়া। মিঠু খাড়ায়। স্যার কয়, তর নাম কি? মিঠু কয়, হাজামিন ফজলে রাব্বী মিঠু। স্যার ডাস্টার নিয়া চোক্কের পলকে চিয়ার থিক্যা মিঠুর কাছে পৌঁছায়, কয়, তরে না নীরবতা পালন করবার কইছি? কতা কইলি ক্যা? এই কইয়া স্যার মিঠুরে ডাস্টার দিয়া বাইরায়।
আমরা মুটামুটি সিন বুইজা যাই। ফলে আরো চুপচাপ হইয়া হাজামিন ফজলে রাব্বীর মাইর খাউয়া দেহি গভীর উত্তেজনা নিয়া। কিলাশ শ্যাষ হউয়ার ঘণ্টা বাজলে স্যার মিঠুরে বাইরান বাদ দিয়া চক ডাস্টার নিয়া টিচার্স রুমে লাফাইতে লাফাইতে ভাগে।
পরের দিন স্যার আবারো কিলাশে আহে। একই সিন। দশ মিনিটের নীরবতা পালন আমরা যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়াই পালন করতে থাকি। আর স্যারো ছয় মিনিট যাইতে না যাইতে কাজী সোহেল শরীফরে ধরে। কয়, তর নাম কি? এইক্ষণে বলে রাখা প্রয়োজন, কাজী মিঠুর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হইলেউ তার মতো ভুদাই না। ফলে সঙ্গতকারণেই সে স্যারের প্রশ্নে কুনো জুয়াব দেয় না। স্যার আবারো জিগাশ করে, কীরে তরে নাম কইবার কইলাম না?
এইবারো কাজী থুম ধইরাই থাকে বুদ্ধিমানের মতোই। কিন্তু বিনয় পাগলা কুনো বুদ্ধির ধার ধারে না, আমরা তহনই বুইজা যাই। ফাল দিয়া চিয়ার থিকা চক্ষের পলকে কাজীর কাছে পৌছায়, আর কয়-এত বড় সাহস তর! আমি তর নাম জিগ্যাশ করি, আর তুই উত্তর নস না! তর ঘটনা কি? এই কইয়া বিনয় কাজীরে ডাস্টার দিয়া বাইরান শুরু করে।
আমরা বুজি, নীরবতা পালনের উদ্দেশ্য এবং বিধেয়।
চলবো?
মন্তব্য
তাই না?
পুরা ড্যাবস হৈতাছে। চালাও।
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অজ্ঞাতবাস
তাই না?
পড়ার পর নীরবতা নয় ১০ মিনিট মন খুলে একটু আসাআসি করুন...
অন্তোজ
ষাব্বাষ!
হাঁটুপানির জলদস্যু
খুব ছোটবেলাতে বোনদের কাছে বাহাদুরী দেখাতে সব বিষয়ে রোল মডেল কিন্তু চেইন-স্মোকার বাবার প্যাকেট থেকে একবার এক কাঠি বের করে মুখে দিয়ে জ্বালিয়েছিলাম । কাশতে কাশতে দশ মিনিট, আর বোনরা হাসতে হাসতে লুটোপুটি। আর ধরি নি । শুকনো শরীর দেখে একবার এক ডাক্তার এমন টনিক দিয়েছিলেন, যাতে ৩০% এ্যালকোহল ছিল। সেটাও এক চামচ খেয়ে মাথা ঘুরে গেল, আর গেলা হয় নি, এমন কি আমার বনেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি,সি,র আমন্ত্রণে গিয়ে তার অনেক অনুরোধ সত্ত্বেও।
অনেকের বাহবা দেখে ভাবলাম সবুজ বাঘের লেখার অভিনবত্ব একটু আস্বাদন করে দেখি। কিন্তু দুটো সাম্প্রতিক ব্লগ-ই আমাকে এমন বিবমিষায় আক্রান্ত করল !
সব রস বোধ হয় সবার জন্য নয়। তবে মনে হচ্ছে হয়তো আমি একা নই; এটাই ভরসা। না হলে নিজেকেই পার্ভার্ট মনে হতো।
কিন্তু কেন ?
__________________________
suspended animation...
বিবমিষা ফলদায়ক হোক। প্রত্যাশায় সবুজ বাঘ।
শালা, হাসাইয়া মাইরা ফেলবিত। সেই ২১/২১ বছর আগের কথা, মনে হয় সেইদিন !
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নতুন মন্তব্য করুন