সম্ভবত ২০০১ সালের দিকের কথা। মিরপুবে আপার বাসা থেকে বের হয়ে সন্ধ্যাবেলা আমি , জাকির ( জাকির হোসেইন, এখন সহকারী কমিশনার) আর এহসান ( এহসানুল হক, এখন এলজ়িইডি তে কর্মরত) কিছুক্ষন আড্ডা দিলাম ১০ নাম্বার গোল চক্করে কোন এক চায়ের দোকানে।তখন শুক্র শনিবারে বুয়েট বন্ধ থাকায় প্রায়ই আমি সপ্তাহান্তে মিরপুরে চলে আসতাম কিছুটা পারিবারিক ছোয়া পাবার আশায়। এহসানের চাচার বাসা আর জাকিরের বাসাও একি এলাকায় থাকাতে সপ্তাহান্তে আড্ডাটা বেশ ভালই জমত।সেরকমই এক আড্ডা শেষ করে চেপে উঠলাম বাসে, আপাতত গন্তব্য শাহাবাগ।বাস থেকে নেমে একটা সিগেরেট ধরিয়ে রাস্তা পার হয়ে যাদুঘরের সামনের রাস্তায় যেদিকে ফুলের দোকান গুলি থাকে সেখানে দাঁড়িয়ে রিকশা খুঁজছি। কিছুক্ষন পরে একটা রিকশা এসে থেমেছে।আমি বলি,
'কি যাবে ?'
'কোথায় ?'
আর যাই হোক রিকশআলাদের বুয়েট চেনানো বেশ কঠিন। এরা বুয়েটের 'আহসানউল্লাহ হল' চেনে, দাঁতভাঙ্গা 'ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি' চেনে, কিন্তু বুয়েট চেনেনা। আমি তাই সবসময় বুয়েটে না বলে বলতাম পলাশী যাব, তাই যথারীতি বললাম,
'পলাশী যাবে?'
'পলাশী কই যাবেন?'
আমি প্রমদ গুনি, এখন আবার বুয়েট ব্যাখ্যা করতে হবে।বললাম,
'পলাশীর মোড়ে, বুয়েট, চেন?'
'কেন চিনবনা ? উঠেন'
রিকশা চলছে , নিজেদের মধ্যে গল্পের ফাঁকে আমি ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করি,
'পড়াশুনা করেছ কতদূর?'
'ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছি এই বার, আমার বুয়েট পড়ার অনেক শখ'
আমি ও এহসান যথেষ্ট বিস্মিত।রিকশায় বসে রিকশালাদের সাথে গল্প জুড়ে দেবার অভ্যেস আমার অনেক দিনের কিন্তু এ ধরনের ধরনের অভিজ্ঞতা কখনো হয়নি। ততক্ষনে পলাশীর মোড়ে চলে এসেছি, হলে না যেয়ে সেখানেই নেমে পড়ি আমরা দু'জন। ছেলেটাকে ভাল মত লক্ষ্য করি, কত আর বয়স হবে বড়জোর ২০, স্বাস্থ ভালনা, কিছুটা কুঁজো।আমি জিজ্ঞেস করি ,
'তুমি বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেবে?'
'হ্যা সেজন্যই ত গ্রাম থেকে চলে আসলাম'
আস্তে আস্তে তার সব কথা শোনা হল।ইন্টারমিডিয়েট দিয়েছে গ্রামের কোন এক কলেজ থেকে।শুনেছে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেবার আগে কোচিং করতে হয়। সেজন্য কিছু টাকা ঋণ করে ঢাকায় এসেছে, ভর্তি হয়েছে একটা কোচিং সেন্টারে।এখন রাতে রিকশা চালিয়ে সেই ঋন শোধ করছে আর নিজের খরচ যোগাচ্ছে। ঋণের টাকা শোধ হয়ে গেছে এখন হাতখরচের জন্য রাতে রিকশা চালায় । আমি আর এহসান স্তম্ভিত, দু'জনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হওয়াতে জীবনে অনেক কিছুর অভাবেই আমরা অভ্যস্ত কিন্তু এ যে কঠিন বাস্তবতা। সিনেমা, নাটকে উপন্যাসে এরকম চরিত্রের দেখা মিলেছে, কিন্তু এরকম কারো সাথে পরিচয় হবার কথা ভাবিনি কখনো।
হলে আর যাওয়া হলনা, তার পরিবর্তে আমরা তিনজন গেলাম বকশীবাজারের মোড়ে একটি খাবারের দোকানে। তিনজন মিলে খাওয়া দাওয়া করে আসলাম তিতুমীর হলে এহসানের রুমে।ছেলেটিকে খুব ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বললাম, তুমি এইভাবে কষ্ট করে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেনা। এক কাজ কর তোমার এই কয়েক মাসের হাতখরচের টাকাটা আমরা দেব, তুমি শুধু পড়াশুনা কর, মনে রেখ বুয়েটে তোমাকে ভর্তি হতেই হবে।
এর পরে ছেলেটি কিছুদিন এহসানের হলে এসেও ছিল ভর্তি পরীক্ষার আগে। বেশ কিছুদিন তাকে দেখিনা, এহসান জানালো ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে গেছে।কিছুদিন পরের কথা, আমি সন্ধ্যেবেলা হলের রুমে বসে গল্প করছি এমন সময় ছেলেটির প্রবেশ। চোখটা উজ্জ্বল, মুখখানি হাসিতে ভরপূর,
'ভাইয়া আমি বুয়েটে চান্স পেয়েছি'
আমি উঠে যেয়ে জড়িয়ে ধরলাম। ছেলেটি চোখে জল ধরে রাখতে পারলনা, তবে সেটা কষ্টের নয়, আনন্দাশ্রু।
****************************************************
তারপর অনেক দিন কেটে গেছে, একই ভবনে ক্লাস হওয়াতে মাঝে মাঝে ছেলেটির সাথে দেখা হত, কথাও হত।সেই দিন গুলিও ফুরিয়ে গেল, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে শিক্ষকতায় যোগদান করলাম, পরে চলে এলাম বাইরে। আজও মাঝে মাঝে ছেলেটির কথা মনে হলে জীবন সংগ্রামে জয়ী কিছু মানুষের ছবি চোখে ভাসে।
মন্তব্য
জীবনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। এই ঘটনাটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। মানুষের উপর বিশ্বাস পোক্ত হয় এমন কথা শুনলে।
সত্যিই তাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ ভাইয়া এইরকম ঘটনার সাথে আপনি জরিএ আছেন এটা ভেবে অ আমার খুব ভাল লাগছে।
অসাধারণ । অসমসাহসী যোদ্ধাটির প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম। আর আপনাদের প্রতিও, সঠিক সময়ে সঠিক ভুমিকা পালনের জন্য । ছেলেটি এখন কি করছে জানতে পারলে ভাল লাগত ।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শেষ পর্যন্ত ছেলেটিকে পাশ করতে দেখেছি। তার পর আর দেখা হয়নি। আশা করি জীবন সংগ্রামে সে জয়ী হবেই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সে হবেই হবে, তাকে যে হতেই হবে
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
কি জানি একটা কথা আছেনা ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন। এধরনের কাহিনী শুনেছি শুধু, আপনি বেশ ভাগ্যবান বলতেই হচ্ছে।
আমিও আগে শুধু শুনেছি, বাস্তবতার সম্মুক্ষীন হয়েছিলাম ঐ একবারই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুব ভালো লেখা।
(একটু বানান খেয়াল করেন)
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। এত দেখে পোস্ট করলাম তার পরেও সবসময় ভুল থেকেই যায়। অতিথি লেখকত পরে আর সম্পাদনা করার সুযোগ পাইনা। ইস !! মডূরা যদি অতিথি লেখকদেরকে (যারা তাদের নিক দিয়ে লগইন করে লেখা পাঠাতে পারে) সম্পাদনার সুযোগ দিত ? আমরাত মন্তব্যের সম্পাদনা করতে পারি সেক্ষেত্রে লেখার সম্পাদনা করতে খুব বেশি কি সমস্যা হবে? ব্যাপারটা মডুরা ভেবে দেখতে পারেন।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুব ভাল্লগ্লো।
--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার
--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........
অনেক ধন্যবাদ
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ঘটনাটা বলার জন্য ধন্যবাদ।
মনটা ভাল হয়ে গেল।
ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গেছিলাম। সেদিন প্রতিদিনের গল্প পড়ার সময় রনদা'র প্যাডেল লেখাটা পড়ার পরে আবার মনে পড়ল।স্মৃতি হাঁতড়ে তাই লিখে ফেললাম।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
Thanks for sharing this nice real story.
অসাধারণ...মনেই হয়না বাস্তব কোন কাহিনী...ছেলেটা চান্স পাওয়াতে খুব ভালো লাগছে...
আমিও সবসময় পলাশী বলি...তাদেরকে বুয়েট চেনানো অসম্ভব।
রিজভী ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আমার মনে হয় বুয়েটে রিকশায় যাবার সময় সবাইকে এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। সবথেকে বিরক্ত লাগত যখন পলাশীর মোড়ে এসে আর হলে যেতে চাইতনা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দুর্দান্ত এই জীবন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ লিলেন ভাই ।আসলে সংগ্রাম করে যারা বড় হয় তাদের জীবনে প্রাপ্তির সুখটা অনেক বেশী থাকে, হয়ত এই ছেলেটিরও তা আছে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
উনার বর্তমান অবস্থা জানতে ইচ্ছে করছে;
ঘটনাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ, স্যার।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধন্যবাদ রাফি।ছেলেটার বর্তমান খবর জানলে আমার বা এহসানের চেয়ে খুশি মনে হয় আর কেউ হতনা।আমি চেষ্টা করব জানতে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দারুণ একটা ঘটনা বললেন! এরকম জীবন নিজের চোখে দেখিনি, কখনও শুনলে বিশ্বাস হতে চাইতো না, আসলেই সিনেমা উপন্যাসের কাহিনী বলে মনে হতো। কিন্তু সত্যিই এরকম মানুষ আছেন! তাঁদের এই সংগ্রামী চেতনাটাকে অজস্র সালাম!
আসলে আমারও আগে এই ধরনের কাহিনীগুলোকে সেরকমই মনে হত। এটা আমার জীবনের একটা অসাধারন অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাও বটে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই ব্যাপারগুলা আসলে একজন মানুষের চিন্তাভাবনাকে নাড়া দিয়ে যায় শক্তভাবে
থ্যান্কু শেয়ার করার জন্য
আপনার মন্তব্যটি একদম ঠিক , ঘটনাটি আমাদেরকে নাড়া দিয়েছিল প্রচন্ডভাবেই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
হুম, ঠিকই! জীবনের গল্প সিনেমাকেও হার মানায়। এ ধরনের সত্যি ঘটনা আমাদের আশেপাশেই অনেক ঘটে চলেছে।
ভালো লাগলো।
- একটা লাইফ টাইম অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অদ্ভুত রকমের ভাল লাগল...। জাহিদ ভাই... আপনি, এহসান ভাই এবং গল্পের নায়ক কে কোন Batch & Department এর? আর তার নাম টাই বা কি?
=======
"আর যাই হোক রিকশআলাদের বুয়েট চেনানো বেশ কঠিন। এরা বুয়েটের 'আহসানউল্লাহ হল' চেনে, দাঁতভাঙ্গা 'ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি' চেনে, কিন্তু বুয়েট চেনেনা। আমি তাই সবসময় বুয়েটে না বলে বলতাম পলাশী যাব,"
আজিমপুর এ নেমে যখন রিকশা নিতাম, মাঝে মাঝেই তারা 'বুয়েট' বললে বলত, 'কোথাই? বুলেট?'...!!
ধন্যবাদ রুবেল। আমি আর এহসান WRE এর '৯৬ (HSC) ব্যাচ এর। গল্পের ছেলেটির নাম বলতে চাচ্ছিনা, ব্যাচ সম্ভবত '০০ (আমি নিশ্চিত নই '৯৯ ও হতে পারে), বিভাগ NAME.
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সেই ভাই কে সালাম।
ঘTটনাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হাই buddie...
মন ভালো করার মতো লেখা।
ছেলেটা তো বটেই, আপনাদেরকে জানাই শ্রদ্ধা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আসলে আমরা ওই সময় যা করছিলাম তা ঐ পরিস্থিতিতে হয়ত যেকোন মানুষই করত। ছেলেটিকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে ওর সাফল্য দেখে কি যে প্রশান্তি পেয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মনটা আনন্দে উজ্জল হয়ে গেলো আপনার এই লেখাটি পড়ে। ওই ছেলেকে কোথাও পেলে বলবো স্যলুট কমরেড।
এটা পাচতারার লেখা না, মিনিমাম পাঁচশো তারা এটাতে গোজা উচিত।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ঐ ছেলেটিকে মনে মনে আমিও স্যালুট জানিয়েছি শত সহস্র বার।
খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে, আপনাদের কাছ থেকে এরকম সাড়া পেলে লেখার উৎসাহটা অনেক গুন বেড়ে যায়।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ভাল লাগল...ছেলেটার এই সংগ্রামী চেতনাকে হাজ়ার সালাম...
ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।
অনেক ভাল লাগল...ছেলেটার এই সংগ্রামী চেতনাকে হাজ়ার সালাম...
ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।।
একদম মন ভাল করে দেওয়া একটা অনুপ্রেরণাদায়ী লেখা
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনার মন্তব্য পড়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
৩ জনকেই স্যালুট!!!!
লেখাটা পড়ে নিজের উপর গর্ব হচ্ছে বুয়েটে পড়ি বলি...।
অসাধারণ, এই জাতীয় ঘটনা এতোদিন কষ্ট-কল্পনায় সম্ভব বলেই জানতাম- কিন্তু আপনার প্রত্যক্ষ জবানে শুনে বুঝতে পারছি পৃথিবীর কিছুই এখনো দেখিনি।
...আপনাকে ধন্যবাদ, একটি সংগ্রামী জীবনের পথ নির্দেশের জন্যে...
অভিনন্দন সেই 'কমরেড রিকশাচালক'-কে। লাল সেলাম ! ! !
সুহান, ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।আমরা আমাদের চারপাশের ঘটে যাওয়া অনেক কিছুরই খবর রাখিনা বা আমাদের চোখে পড়েনা। এরকম হয়ত অনেক কাহিনী আছে, হয়ত আমাদের চলার পথে এরকম অনেক সংগ্রামী মানুষকে আমরা প্রতিদিন দেখি কিন্তু তার আদ্যপান্ত জানা হয়না কখনো।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুবই আশা জাগানিয়া লিখা। অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ যেন তাকে অনেক বড় করে। আর আপনাদেরকে ধ্ন্যবাদ আমাদের সমাজের দায়টা পূরন করার জন্য।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।সমাজের দায় পূরন করতে পেরেছি কিনা জানিনা, তবে একটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছিলাম সেকথা বলতে পারি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনায়াসলব্ধ যেসব সুযোগ, যেগুলোকে আমরা হিসেবে-পাওনা অধিকার বলে বিবেচনা করি বলেই অপচয় করতে পারি অবহেলায়, সেসবের জন্য কী সংগ্রামই না করতে হয় অন্যদের!
ছেলেটার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে এলো।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
সত্যিই কি এত ভাল কিছু হয়েছে?
ছেলেটা যে বৈষম্যের ভেতর দিয়ে এসেছে, অর্থ, মেধা, আর সম্ভাবনার যে অ্যারিসট্রোক্র্যাসি এবং ডিভাইড 'তাদের' আর 'আমাদের' ভাগ করে রেখেছে তার কিছু কি সে বুঝেছে? বুঝলে সে রাজনীতিবিদ হতো অথবা অর্থনীতিবিদ, অথবা কবি বা দার্শনিক বা বিপ্লবী অথবা কিছুই না - নিশ্চতভাবে সেই 'ডিভাইড' সে বুঝেনি। বুঝলে অন্তত প্রযুক্তিবিদ হবার জন্য তার ঐ ভীষন প্রচেষ্টার অপব্যায় করত না।
যে সুবিধাবাদী গোষ্ঠি ঐ 'ডিভাইড' টা সযতনে লালন করে রেখেছে যার ভিক্টিম সে নিজে একজন, ঐ সুবিধাবাদী গোষ্ঠিরই একজন সদস্য হবার জন্য তার প্রচেষ্টা নিশ্চই তার একটি ব্যক্তিগত এচিভমেন্ট কিন্তু দু:খিত তাকে আমি তাকে "সংগ্রামী চেতনা", "হাজ়ার সালাম", "স্যলুট কমরেড" ইত্যাদি কিছুই দিতে পারলাম না।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
আমি আবেগ আর বাস্তবতার সংমিশনে বিশ্বাসী একজন মানুষ।জীবনে অনেক কিছুর অভিজ্ঞতাই হয়নি, তবে এই প্রবাস জীবনে সারাদিন গবেষনার কাজের পরে গভীর রাতে বাসায় ফিরে ফ্রিজ খুলে যখন দেখি খাবার শেষ তখন পৃথিবীটা অসহ্য লাগে, যদিও জানি এটা আমার অভাব নয় অলসতা। আর যে মানুষগুলি অভাবের তাড়নায় দুবেলা দুমুঠো খাবার পায়না, তাদের জীবনে স্বপ্ন থাকে ভাতের, আর কিছুর নয়।সেই সাথে পরিবারের বোঝাটাও যখন কাঁধে চাপে তখন কবিতা লেখার কালিও শেষ হয়ে যায়। ঠিক সেই মুহুর্তে মানুষ তার সাধ্যের মধ্যে যা কিছু পারে তাই করে।
আজকের এই ছেলেটি সেই সময় যদি রাজনীতিবিদ হতে চাইত, অভাবের তাড়নায় বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে সে হয়ত হয়ে যেত একজন ক্যাডার। আর বিপ্লবের কথা বলছেন, ঐ যে বললাম ক্ষুধা, উদর পুর্ন না থাকলে মুখ দিয়ে স্লোগান বের হয়না । দার্শনীক আর অর্থনীতিবিদদেরওত আর কম দেখলামনা, রাজা পরিবর্তনের সাথে সাথে দাতভাঙ্গা 'থিউরী' পরিবর্তিত হয়, কয়জন আর 'ডিভাইড' ভাঙ্গার কথা বলে বলুন। আমি একজনকেই শুধু চিনতাম 'আকাশ স্যার', কিন্তু সবাইকি একজন 'আকাশ স্যার' হতে পারেন? গানিতিক বিশ্লেষনে সেটা হবার সম্ভাব্যতাইবা কত?
তার থেকে এই পুঁজিবাদী অর্থনীতির যুগে পড়াশুনা শেষ করে একটা মোটামুটি নিশ্চিত চাকুরীর সম্ভাবনাই কি ঐ পরিস্থিতিতে ছেলেটার জন্য দরকারী ছিলনা ? আর সেই যোগ্যতাত নিশয়ই একজন পাশ করা প্রযুক্তিবিদের বাংলাদেশে আছে বলে আমার অন্তত মনে হয়। সেই সাথে পড়াশুনা করার সময় দু'একটা টিউশিনী করে পরিবারের হালটাকেও নিজের কাঁধে নেবার মত সম্ভাবনাকি আমরা উড়িয়ে দিতে পারি? আমি আমার এক বন্ধুকে চিনতাম, যার পরিবারের মুল খরচটা সেই জোগাত তার টিউশিনীর টাকা থেকে।
আমরা মুখে অনেক কথা বলি, কবিতায় অনেক কিছু লিখি, প্রবন্ধের পর প্রবন্ধ লিখে পত্রিকার পাতা ভরিয়ে দেই, কিন্তু এই সব মানুষদের সংগ্রামের প্রচেষ্টাকে মেনে নিতে পারিনা এটা দুঃখজনক।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দয়াকরে আমাকে ভুল বুঝবেন না (অনেকেই এরমধ্যেই সেই ভুল বুঝে বসে আছেন দেখা যাচ্ছে)। ঐ ছেলেটির এচিভমেন্টকে কোনভাবেই আমি ছোট করে দেখছিনা (সেটি আমি আমার প্রথম মন্ত্যব্যেই বলেছি)। আমার সমালোচনা মন্ত্যব্যকারীদের বিষয়টাকে ম্যাজিক-হেরোইজমের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার। বিষয়টাকে লাইমলাইটে এনে আপনিই কিন্তু প্রথম ‘ডিভাইড’ টাকে স্পষ্ট করেছেন। একটা ছেলে টিউশনি করে, আর একজন ধার-দেনা করে পড়াশুনা করে বুয়েটে ভর্তি হলে সেটা আমাদের নজরে আসে না কিন্তু একটা ছেলে রিক্সা চালিয়ে তা করলেই কেন আমরা এত বিস্মিত হই? আমরা কিন্তু অবচেতনে ধরেই নেই যে রিক্সাচালকেরা ‘অন্য’ এবং অধঃ। তাই তাদের একজন যখন ‘আমাদের’ দলে উঠে এল তখন তার পিঠ চাপড়ানিতে বেশ আত্মপ্রসাদ লাভ করি। আমার আপত্তিটা কিন্তু এখানেই। একসময একটি মেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হলে মানুষ এরকম বাহবা দিয়ে ভরে ফেলত - এটি কিন্তু সমগ্র নারীসমাজের মেধাকে খাটো করে দেখার ফল।
আমার আরও অস্বস্তি একটি স্পেশালাইজ্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্ট্যাটাস আইকনে পরিণত করা নিয়ে। ছেলেটি কেন বুয়েটে ভর্তি হতে চাইল? সত্যিকারের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সে উত্সাহী? বুয়েটে পড়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়া কি টাকা পয়সা কামানোর একটি সহজ পন্থা? এরচেয়ে আরও সহজ পথ আছে না? কিন্তু কেন সে এত কষ্টসাধ্য এবং টাকা পয়সা কামানোর ক্ষেত্রে এত অনিশ্চয়তার একটি পথ বেছে নিল? কারণ আমরা তাকে ধোঁকা দিচ্ছি। ‘বুয়েট’ নামে এমন এক স্ট্যাটাস কনসট্রাক্ট আমরা গঠন করেছি যেটা আজ প্রকৌশল এবং শিক্ষায়তনকে ছাড়িয়ে একটি দুর্লভ স্ট্যাটাস সিম্বল এবং ‘সিম্বল অফ আলটিমেট সাকসেস’ হয়ে গেছে। পুঁজিবাদের বিপণন নির্ভর সমাজে এই স্ট্যাটাস কনসট্রাক্ট খুব প্রয়োজন। কিন্তু বুয়েট তো ইয়েল নয়, শিক্ষাও এদেশে সহজলভ্য নয়। এতে আল্টিমেটলি ঐ প্রতিষ্ঠানটিরই ক্ষতি হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং সবার পেশা নয়। যারা সত্যিকারের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে উত্সাহী এবং পেশায় ভাল করতে পারত, অতি প্রতিযোগীতায় তাদের অনেকেই আর সেখানে সুযোগ পায়না বলে আমার ধারণা।
আরো বলতে চাই, নিজের ক্ষুধা এবং নিজের ভবিষ্যত নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে যারা অসাধ্য সাধন করছেন এবং সফল হচ্ছেন তাদের জন্য শুভ প্রত্যাশা, কিন্তু তারা আমার চোখে সত্যিকারের হিরো নন। অন্য মানুষের ক্ষুধা এবং মানুষের বিভেদের রাজনীতিটা যারা বুঝতে চেষ্টা করেন, তার জন্য চিন্তা ভাবনা ব্যায় করেন, প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে পারেন, মিছিল করতে পারেন, কথা বলতে পারেন – অথবা কিছু যদি নাও করতে পারেন – যদি তারা রিক্সাচালকও হন, আসুননা সত্যিকারের হিরোর স্তবকগুলো আমরা তাদের জন্যই তুলে রাখি।
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল
এইভাবে তো চিন্তা করি নাই
ভাই, তয় একডা প্রশ্ন, পোলাডা যদি রিকশা চালায়া ইয়েলে ভর্তি হইত, তাইলে কি তারে "কমরেড" কইয়া বাহবা দেওয়া দস্তুর হইত? তাইলে আমরা ধইরা লমু যে ইয়েলের "স্ট্যাটাস আইকন" হওনে কোন সমস্যা নাই? কোন বিশ্ববিদ্যালয় মের্কিন মুল্লুকে থাকলেই তারে "উঁচাদরের" বইলা মনে করনটাও "পুঁজিবাদী তরিকায় স্ট্যাটাস কন্সট্রাক্ট" হইয়া যাইতেছে না?
মের্কিন মুল্লুকের খাস (যেমন হার্ভার্ড, এম.আই.টি.) বিশ্ববিদ্যালয় গুলান ফি বছর কম কইরা হইলেও বিশ হাজার খানেক ছাত্র ভর্তি করাইতেছে, হেগো সবাই তো আর সমাজ বদলাইয়া দিতাছেনা, হেগো মধ্যে সিংহভাগই দেখা যাইতেছে এই পোলাডার মতন "কোন একটা" চাকরী লইয়া জীবন চালাইয়া দিতাছে (আর বাদবাকি দুই-একজনের হিসাব আলাদা)।
আর "সমাজ বদলানী" পাব্লিক যদি খুঁজবার চান, তাইলে আমার ধারণা আপনি গলত যায়গায় খুঁজতে আছেন। এই যমানায় "বিশ্ববিদ্যলয়" (টেকনিক্যাল বা জেনারাল যাইই হোক) সেই হিসাবে সুবিধাজনক যায়গা না -- আমার মতে। আর আমাগো মাথায় যে "ছাত্রত্বের আশরাফ-আতরাফ"-এর ধারণাটা পাকা-পোক্ত করছে কিন্তু ঐ মের্কিন বিশ্ববিদ্যালয় গুলাই, এইগুলা আমাগো বাংগালীগো কিন্তু ধাতে আছিল না।
-- রামগরুড়
ছেলেটার হার-না-মানা সংগ্রামী মানসিকতাকে স্যালুট জানাই। সেইসঙ্গে আপনাদেরও। সেইদিন আপনারা সাহায্য না করলে ছেলেটার শেষ পর্যন্ত কী হতো, বলা মুশকিল।
ভীষণ মন ভাল করা একটা অনুপ্রেরণাদায়ক লেখা। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কী অসাধারন একটা গল্প।
ছেলেটা আরো উপরে উঠুক।
বোকা ছেলেটা 'ডিভাইড' না বুঝেই আরো ওপরে উঠুক।
রাজনীতিবিদ অর্থনীতিবিদ কবি বিপ্লবী দার্শনিক না হয়েও
সে তার মেধা কে ওপরে তুলুক সবার আগে।
আমরা 'ডিভাইড' বুঝে কেউবা গল্পকার হয়েছি
কেউ কবি কেউ সমালোচক।
কিন্তু এরকম সফলতার এরকম সংগ্রামের কাহিনী লিখতে পারিনি।
তবে ভেবে ভালো লেগেছে
রিকশা চালিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা থেকে
ডিগ্রি নেয়াকে সুবিধাবাদী গোষ্ঠির সদস্য হওয়া বলা যায়।
সচলের সব সুবিধাবাদি গোষ্ঠির প্রতি আমার নিদারুন সমবেদনা রইলো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
জটিল
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
একমত।
=============================
আপনার জবাবকে সাধুবাদ জানাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মেঘ
খুব ভালো লাগলো পড়ে ঘটনাটি।
যেখানেই থাকুক ছেলেটি, জীবনে যেন সফল হয় সে কামনা করি
মেঘ
অসাধারণ পোস্ট। অনুপ্রেরনা পেলাম খুব। আর কিছু বলার নেই। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
=============================
বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
জাহিদ ভাই আমি BUET '99......... খুব ভাল লাগল........ খুবই
ধন্যবাদ ভাই তোমার মন্তব্যের জন্য
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
প্রিয় রিপন, কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। ঐ ছেলেটির মেরুদণ্ড, সাহস আর নিষ্ঠার প্রশংসা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। কিছু কিছু কাজের জন্য অনুজরাও অগ্রজদের শ্রদ্ধা লাভ করে। তুমি আর তোমার বন্ধু অমন কাজই করেছ। তোমাদের তিন জনেরই সাফল্য কামনা করি। আশা করি তোমরা দু'জন বাকী জীবনেও একই রকম চেষ্টা করে যাবে, আর ঐ ছেলেটা তার মত সংগ্রামীদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
স্পেশাল থ্যাংকস টু রানা মেহের। আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের সমাজটা "বুদ্ধিমান" মানুষে ভরে যায়নি। বরং রিপন, তার বন্ধু আর ঐ ছেলেটার মত মানুষ আছে আর আমাদের মত এই গল্প শুনে স্যালুট জানানোর লোক আছে।
রিকশাওয়ালা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে গেলে তো মুশকিল। তাহলে ছোটলোকগুলি তো আমাদের সমান সমান হয়ে যাবে! তাতে "বুদ্ধিমান" লোকদের গাত্রদাহ হবে না? "বুদ্ধিমান" মানুষরা কিন্তু নিজেরা অ্যারিস্টোক্রেসীর পথ ছেড়ে বিপ্লবের পথ ধরেন না। তারা পারেন কেবল ছোটলোকদের এসব উপদেশ ঝাড়তে।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ভাইয়া 'বুদ্ধিমান' মানুষের স্যালুট নাইবা পেল ছেলেটি, নিজের যোগ্যতা দিয়ে ওর আর ওর পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন, আর মোটা বস্ত্র অন্তত তুলে দিক সেটাই কামনা করি।
আপনার সবসময়ের উৎসাহ আমার অনুপ্রেননা
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
@ ষষ্ঠ পাণ্ডব
আপনার বক্তব্যে আমার মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
বাহ॥ অনেক দেরীতে হলেও পড়লাম লেখাটি। আনন্দে পানি এসে গেলো চোখে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা , ভাল লাগছে এই ভেবে যে নিজের আনন্দটুকু সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে পেরেছি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পড়লাম। যদিও অনেকদিন পর, তারপরও মনটা ভাল হয়ে গেল!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কেউ কেউ পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়ে। বাড়ন্ত স্বপ্নগুলো ফ্যাকাসে-বিবর্ণ হয়ে পড়ে লাল-নীল-বেগুনী স্বপ্নে। স্বপ্নকে নিজের মত করে দেখতে হয়, স্বপ্নের মত করে নয়।
দীর্ঘ পোষ্ট পড়ার মানসিকতা নিয়ে শুরু করেছিলাম। পোষ্টটি দীর্ঘ হলনা ছিলনা, কিন্তু অনুভূতিতে যে দাগ রেখে গেছে, সেই দাগ মুছে যাবে! শুভ বোধের জয় হোক।
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অসাধারণ
ধন্যবাদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় একদিন স্কুল থেকে রিকশা করে ফিরছিলাম। স্কুল ড্রেস পড়া দেখেই হয়তো রিকশা চালক জিজ্ঞেস করল, 'ডাক্তার আসিবার পূর্বে রোগী মারা গেল'র ট্রান্সলেশন পারি কিনা! ছেলেটি তখন ক্লাস টেনে পরত। এই ঘটনাটা আমি কোনদিন ভুলব না।
আপনার ঘটনাটি আর নাটকীয়।
মানুষের আসলে অনেক ক্ষমতা, মানুষ নিজেই জানেনা। অনেক সুন্দর লেখা
আমার যেদিন এইচ।এস।সির রেজাল্ট হয়, সেদিন আমি আনন্দে আম্মুকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। একটুপর যখন রিক্সায় চড়ে বাসায় যাচ্ছিলাম, তখন রিক্সাচালক আঙ্কেল জিজ্ঞেস করলেন, আমি কি রেজলাট করছি, তিনি দেখেছেন, আমি আনন্দে আম্মুকে জড়িয়ে ধরেছি। আমি একটু দ্বিধান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রেজালত কি আপনি বুঝবেন, আমাদের তো গ্রেডিং এ আ রেজাল্ট দিল এবার। তিনি উত্তর দিলেন, বুঝব, আমার ছেলেও এইবার এস।এস।সি দিছে, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে। আমার শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে এসেছিল, তিনি এত কষ্ট করে ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়িয়েছেন, জানতে চাচ্ছেন আমার রেজাল্ট। মাঝে মাঝে আমার অদ্ভুত লাগে, আবেগে বুকটা ভরে ওঠে আমার দেশের এই মানুষগুলোর কথা ভাবলে।
বুয়েটের সেই ভাইয়াকে শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই আপনাদেরও ভাইয়া।
-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
আজকাল আমার চোখে জল খুবই আনকমন বিষয়ে দাঁড়িয়েছে, জল না এসে আসি আসি একটা ভাব হয়। ফুসফুসে বাতাস কমে যায়, তখন বুঝে নেই যে আমি আসলে কাঁদছি।
এটা পড়ে সেইরকম হচ্ছে। এত পুরানা লেখা। হুদাই পড়লাম।
অনেক ভাল লাগলো
"ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গেছিলাম। সেদিন প্রতিদিনের গল্প পড়ার সময় রনদা'র প্যাডেল লেখাটা পড়ার পরে আবার মনে পড়ল।স্মৃতি হাঁতড়ে তাই লিখে ফেললাম। "
জাহিদ ভাই, 'সে' কখনও ভুলতে পারবেনা আপনাদের কথা। কোন এক শ্রাবন সন্ধ্যায় ছেলেমেয়েদের পাশে বসিয়ে নিশ্চয় সে তার জীবনের পরশপাথরদের গল্প বলবে, বলবে ডুবে যেতে যেতে বেঁচে যাওয়ার কথা।
স্যালুট আপনাদেরকে এবং সেই জীবন যোদ্ধাকে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দীর্ঘ চার বছর পর এই লেখাটি আবারো আলোচনায় আসাতে বেশ ভাল লাগছে। গতকালই আমার বন্ধু এহসান এর সাথে আলাপ হলো, অনেক স্মৃতিচারণ করলাম দুইজন এই অভিজ্ঞতাকে ঘিরে। অনেকেই ইমেইলে বা ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন ছেলেটি কে। তার প্রতিউত্তরে একজনে পাঠানো মেসেজ থেকেই লিখছিঃ
আমি ছেলেটির নাম জানি কিন্তু জানাতে চাচ্ছিনা। থাকুকনা কিছু ঘটনা গল্পের মত। বাস্তব জীবনে ছেলেটির হয়ত অন্যরকম পরিচয় সবাই জানে। অতীত জানতে পেরে ছেলেটির দিকে যদি কেউ অন্য চোখে তাকায়! আমার বুয়েট জীবনের শেষের দিকে লক্ষ্য করেছি ছেলেটি বেশ পলিটিকালি বিষয়ে জড়িয়ে গিয়েছিল। কিছু বিষয়ে সিনিয়র হিসেবে আমাদের সাহায্যও চেয়েছিল, সেটা করেছিলামও। এখন কোথায় আছে আমি জানিনা। তবে যেখানেই থাকুক, ভাল থাকুক সবসময় এই প্রত্যাশা করি।
জাহিদ।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেকদিন পর ভাল লাগায় কাদলাম।
অনেক দিন পর একটা ইন্সপায়ারিং পোস্ট পড়লাম। ধন্যবাদ
বিবর্তনবাদী
জীবন যে কখনো কখনো গল্প উপন্যাসকে হার মানায় তার উৎকৃষ্ট উদাহারন বলা যায় এটিকে। দারুন অনপ্রাণিত হওয়ার মতো গল্প, হার মানার কিছু নেই জীবনে। আপনাকে এবং
মাসুদ সজীব
জীবনে কখনো না ভুলার মত একটা গপ্ল পড়লাম!
নতুন মন্তব্য করুন