আন্তর্জাতিক পানি দিবস ২০০৯-‘আন্তঃসীমান্ত পানি’এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: শনি, ২১/০৩/২০০৯ - ৪:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২২ শে মার্চ আন্তর্জাতিক পানি দিবস।স্নাতক শ্রেনী থেকে আজ অবধি পানিসম্পদ কৌশল নিয়ে পড়াশুনা ও গবেষনা করছি তাই এই দিবসকে সামনে রেখে একটি নিবন্ধ লেখার লোভ সামলাতে পারলামনা।

মুখবন্ধ

১৯৯২ সালে জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক অধিবেশনে একটি বিশেষ দিনকে স্বাদু পানি দিবস হিসেবে পালন করার কথা সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে ১৯৯৩ সালের ২২ শে মার্চকে প্রথম আন্তর্জাতিক পানি দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়। সেই থেকে প্রতি বছর স্বাদু পানির উপর এক একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে ২২ শে মার্চ আন্তর্জাতিক পানি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। ইতিমধ্যে পালিত পানি দিবসগুলিতে স্থান পেয়েছে নারী ও পানি, তৃষ্ণার জন্য পানি, পানির প্রতুলতা, ভুগর্ভস্থ পানি, ভাটির অধিবাসীর জীবন, একুশ শতকের পানি, পানি ও স্বাস্থ, উন্নয়নের জন্য পানি, ভবিষ্যতের জন্য পানি, জীবনের জন্য পানি, পানি ও সংস্কৃতি, পানির অপ্রতুলতা, পয়ঃনিস্কাশন ব্যাবস্থা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এর মধ্যে ‘পানি ও জীবন’ শিরোনামে একটি পানি দশক (১৯৯৫-২০০৫) পালিত হচ্ছে। এইবারের পানি দিবষের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘আন্তঃসীমান্ত পানি’, যা দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে বহমান স্বাদু পানির প্রবাহ অথবা উৎস ( নদী অববাহিকা, নদী, ভুগর্ভস্থ পানি, হ্রদ, হিমবাহ) বিষয়ক সংঘাত বা সহযোগীতার বিষয়গুলিকে আমাদের সামনে তুলে ধরবে। বিষয়টি বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এবং বাংলাদেশের জন্য বলতে গেলে জীবন-মরন সমস্যা। সেই আঙ্গিকেই আমার এই নিবন্ধের ক্ষুদ্র প্রয়াস।প্রযুক্তি আর আবেগ একে অপরের বিপরীত হলেও আমি চেষ্টা করেছি এদের দু’জনকে হাত ধরে হাঁটতে।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট

প্রথমেই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করি।জাতিসংঘের তথ্যমতে ২৬৩ টি স্বাদু পানির হ্রদ ও নদী অববাহিকা রয়েছে (স্বাদুপানির মোট পরিমানের শতকতা ৬০ ভাগ) যা বিশ্বের ১৪৫ টি দেশের সীমানাকে অন্তর্ভুক্ত করে যা কিনা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের অর্ধেক, এবং পৃথিবীর শতকরা ৪০ ভাগ মানুষের বাসভুমি[১]। বলিভিয়া, চাদ, কঙ্গো, জাম্বিয়া সহ প্রায় তেত্রিশটি দেশ রয়েছে যাদের শতকরা ৯৫ ভাগ ভুখন্ড এক বা আন্তর্জাতিক নদীঅববাহিকার অংশ। এর থেকেও গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে একটি নদী অববাহিকা প্রায়শই অনেকগুলি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে। উদাহরন সরূপঃ ইউরোপের দানিয়ুব নদীঅববাহিকা সতেরটি; কঙ্গো, নাইজার, নীল, রাইন, জাম্বেজী প্রমুখ নদীঅববাহিকা সমুহ নয়টির বেশী; এবং আমাজন, গংগা-ব্রম্মপুত্র-মেঘনা, মেকং, টাইগ্রীস-ইউফ্রেটিস-শাতউলআরাব, ভলগা প্রভৃতি নদী অববাহিকাগুলি কমপক্ষে পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করে[২]। এছাড়া ভুগর্ভস্থ পানির উৎসত রয়েছেই। ইতিহাস ঘাটলে আমরা দেখতে পাই এই সব আন্তঃসীমান্ত নদী বা হ্রদ সমুহ যুগে যুগে একাধিক দেশের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি করেছে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের পরিবেশ যেমন দুষিত হচ্ছে যেই সাথে বাড়ছে পানির চাহিদা যা এই সংঘাতকে ভবিষ্যতে আরো বেগবান করবে। অথচ সংঘাত নয় সহযোগীতাই পারে এই সমস্যাকে সমাধান করতে। দেখা গিয়েছে গত ষাট বছরে পৃথিবীতে ২০০ টির মত আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছে যার বিপরীতে ৩৭ টি ক্ষেত্রে একাধিক দেশের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে[১]।সেই বিচারে এবারের পানি দিবসের মূল স্লোগানটি যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।

বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট

গঙ্গা-পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা-মেঘনা এই তিনটি নদীপ্রনালী বাংলাদেশে তৈরী করেছে অসংখ্য নদ-নদী, তাদের শাখানদী এবং উপনদী যা জালের মত বিস্তৃত হয়ে আছে এই দেশে।যুগ যুগ ধরে বাংলার মানুষদের সভ্যতা, যোগাযোগ ব্যাবস্থা, অর্থনীতি, শিল্প-বানিজ্য, বিনোদন, সর্বোপরি জীবন যাপনের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে এই নদীগুলি। নদী যেমন আমাদের পরম বন্ধু তেমনি চরম শত্রুও।বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলো সহ মোট ৫৮ টি নদী রয়েছে যারা ভারত(৫৫ টি) অথবা মায়ানমার (৩ টি) থেকে এদেশে প্রবেশ করেছে[৩]। সংগায়নের দিক থেকে এই সব নদীগুলিই বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদী বলে বিবেচিত। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই সব আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো যথেষ্ট গুরুত্ত্ব বহন করে কারন আয়তনে বাংলাদেশ ছোট হলেও তার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানির সিংহ ভাগই(শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি)আসে দেশের বাইরে থেকে, সুতরাং আমাদের উজানের দেশ ভারত বা মায়ানমারের নদীকেন্দ্রিক যেকোন কর্মকান্ডেরই কিছু না কিছু প্রভাব আমাদের দেশের উপর পরে। সমগ্র ব্যাপারটা একটি উদাহরনের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করিঃ

পদ্মা নদীর ভারতে নাম গঙ্গা। ভারত সরকার ১৯৭৪-৭৫ সালে এই নদীর উপর একটি ‘ব্যারেজ’ নির্মান করে যা আমাদের কাছে ‘ফাঁরাক্কা ব্যারেজ’ নামে পরিচিত। এখানে বলে রাখা ভাল বাঁধ এবং ব্যারেজ এর মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য আছে।বাঁধ হল নদীর প্রবাহকে সম্পূর্নভাবে বন্ধ করে দিয়ে উজানে হ্রদ নির্মান করে নদীর পানিকে পানি বিদ্যুৎ বা অন্য কোন কাজে ব্যাবহার করা (উদাহরন হিসেবে কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের কথা বল যেতে পারে)। সেক্ষেত্রে বাঁধের পাশ দিয়ে একটি নিয়ন্ত্রিত বিকল্প প্রবাহ তৈরী করে সেটাকে ভাটিতে মুল নদীর সাথে সংযোগ দেয়া হয়। অন্যদিকে ব্যারেজ হল নদীর প্রবাহকে গেইট দিয়ে নিয়ন্ত্রন করে উজানের প্রয়োজন মিটানো (অধিকাংশ ক্ষেত্রে কৃষিকাজের জন্য সেচের ব্যাবস্থা করা, যেমন বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ)। দুই ক্ষেত্রেই ভাটিতে কি পরিমান পানি যাবে তা নির্ভর করে উজানের পানির ব্যাবহারের উপর।

শুস্ক মৌসুমে যখন নদীতে প্রবাহ কম থাকে কিন্তু কৃষকের পানি দরকার তার ধান আবাদের জন্য (উজানে এবং ভাটিতে) তখন উজানের কৃষক ব্যারেজের সুবিধা নেয় গেট বন্ধ করে দিয়ে। সেক্ষেত্রে ভাটির মানুষের সমস্যা হয় নিম্নরুপঃ

১) কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পায়না ফলে ধান উৎপাদন ব্যাহত হয়।

২) নদীতে প্রবাহ কমে যাওয়ায় উপকূল এলাকায় সমুদ্রের লবনাক্ত পানি নদীতে চলে আসে, সেক্ষেত্রে নদীর আশেপাশের এলাকার গাছপালার (এক্ষেত্রে সুন্দরবন ও আবাদী জমি) মূল থেকে পানি বের হয়ে যায় (লবনাক্ত পানির ঘনত্ব বেশি আর মূলের ভিতরের পানির ঘনত্ব কম),ফলে উর্বরতা হারায় আমাদের আবাদী জমি ও ধ্বংস হয়ে যায় জাতীয় সম্পদ।

৩) শুস্ক মৌসুমে নদীর আশে পাশের মাটি পানি শুষে নেয় নদী থেকে। যেহেতু মূল নদীতেই পানি থাকেনা সুতরাং নদীরপাড়ের এলাকার ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যায়, সেচপ্রকল্প ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘকাল ধরে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে একসময় তা বিরান মরুভুমিতে পরিনত হয়।

৪) নদীতে যেকোন বাধাই সেখানকার বাস্তুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, ফলে ব্যারেজের ভাটিতে মাছের স্বাভাবিক বিচরন ব্যাহত হয়, সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ভাটি অঞ্চলের জেলেরা যার জীবিকাই ছিল মাছ ধরা।

৫) নদী তার সাথে বয়ে নিয়ে চলে উজান থেকে আনা পলি।নদীতে হঠাৎ করে প্রবাহ কমে যাওয়ায় সে আর পলিকে বয়ে নিয়ে যাবার ক্ষমতা রাখেনা, কিছুটা বৃদ্ধলোকের ঘাড়ে পাহাড়সম বোঝা চাপানোর মত।তখন সে ধপাস করে সব পলি ফেলে রেখে যায় ভাটি অঞ্চলে। এতে নদীর নাব্যতা কমে যায় যার প্রভাব ভয়াবহ আকার ধারন করে বর্ষা মৌসুমে (পরে আলোচনা করা হবে)।

৬) ভাটির অঞ্চলে নদীকেন্দ্রিক যেকোন শিল্প ও যোগাযোগ ব্যাবস্থা ধংসের মুখে পতিত হয়।

বিপরীতে বর্ষা মৌসুমে, নদীতে অবাধ পানি সুতরাং এখন আর উজানে বেশি পানি দরকার নাই বরং পারলে ব্যারেজ দিয়ে সব পানি ছেড়ে দেয়।তখন ভাটি অঞ্চলে শুরু হয় নতুন সমস্যা যা আসলে শুস্ক মৌসুমের সমস্যার দ্বারাই তৈরীঃ

১) ব্যারেজের গেট হঠাৎ খুলে দেওয়ায় ধেয়ে আসা পানিতে ভেসে যায় অনেক কষ্টে ফলানো কৃষকের ধান। চেয়ে চেয়ে দেখা আর চোখের পানি ফেলা ছাড়া তার আর কিছুই করার থাকেনা।

২) এখন নদীতে অনেক পানি কিন্তু শুস্ক মৌসুমে নদীতে পলি পড়ে নদীর গভীরতা কমে গিয়েছে, সুতরাং সেই পানি ছড়িয়ে পরে আশেপাশের এলাকায়, ভেসে যায় কৃষকের ঘরবাড়ি, গবাদি-পশু, পুকুরের মাছ।

৩) নদীতে এখন অনেক স্রোত, এখন কিন্তু আমার ভাটি অঞ্চলের নদীর ক্ষমতা অনেক বেশি। সে একেবারে ২২ বছরের যুবার মত, সে কিন্তু পারে এক গাদা পলি বয়ে নিয়ে যেতে এবং ফেলে দিতে সমুদ্ররের মোহনায় যাতে আমার দেশের ভুখন্ড বাড়ে। কিন্তু হায় উজান থেকে ক্ষয়ে আসা পলি আছড়ে পরে ব্যারেজের গায়ে। যেহেতু ব্যারেজ নির্মানের সময় গেটের স্থলে উচু করা হয়, সুতরাং নদী বেয়ে আসা পলির একটা বিরাট অংশ জমে থাকে ব্যরাজেরও উজানে। ফলে নদীর মোহনায় বড়েনা দেশের জমি বরং জোয়ার ভাটায় তা আরো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।

এইভাবে শুস্ক আর বর্ষা মৌসুমে দুই বিপরীত বৈরীতায় গ্রাম বাংলার নদীপারের মানুষ তথা সমগ্র বাংলাদেশ হারায় সব কিছুই। রাজা যায় রাজা আসে, রাজনৈতিক ভাবে চুক্তিও হয় ( গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি ১৯৯৬), তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা হিসাব কষে নিবন্ধ লিখে, আন্তর্জাতিক অধিবেশনে বক্তব্য রাখে, কিন্তু কৃষকের হারানো ধান আর ফিরে আসেনা, বাংলার জেলে মাঝিও তার সন্তানদের দুবেলা অন্ন জোটাতে পারেনা, তাদের চোখের অশ্রু এককালের রাক্ষুসী পদ্মার চরের বালিতে শুকিয়ে যায় ।এখন আবার শুনছি ‘রিভার ইন্টার লিঙ্কিং প্রকল্প’, ওটা নিয়েও অনেক গবেষণা চলছে, কি জানি একদিন হয়ত ওটাও বাস্তবায়িত হবে। জাতিসংঘ বলছে ‘সংঘাত নয় সহযোগীতাই পারে এই সমস্যাকে সমাধান করতে’, কিন্তু আমরাত ছোট মাছ, বড় বড় রাঘব বোয়ালরা কি আমাদের পাত্তা দেবে? আমাদের সংঘাতের সাধ্য নেই আর আলোচনার সুযোগও খুব বেশী নেই, আমরা কেবল দাবী করতে পারি আর স্বপ্ন দেখতে পারি। তাই আজকের এই আন্তর্জাতিক পানি দিবসে আসুন আমরা সবাই মিলে সহমর্মীতার কথা বলি, সহযোগীতার পথে চলি আর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি যেখানে উজানের মানুষ তার ভাটির ভাইদের দুঃখ কষ্টের ভাগীদার হবে, মিলে মিশে আমরা সবাই নদীর শান্ত জলে গা ভেজাব, তা থেকে আহরন করব আমার জীবিকা।

তথ্যসুত্রঃ
[১] জাতিসংঘ পানি
[২] পানি ও নদীঅববাহিকা ইনষ্টিটিউট, ওরাগন বিশ্ববিদ্যালয়
[৩] আন্তঃসীমান্ত নদী, বাংলাপিডিয়া

ছবিসুত্রঃ আন্তর্জাল


মন্তব্য

বন্য রানা এর ছবি

থ্যাংকস জাহিদ ভাই, অনেক কিছু জানা হল। ব্যাপারটা আসলে খুব সিরিয়াস। বিশেষ করে ‘রিভার ইন্টার লিঙ্কিং প্রকল্প’বাস্তবায়িত হলে আমাদের দুর্দশার অন্ত থাকবে না। পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভয়াবহ সমস্যা সৃস্টি হবে।

সচল জাহিদ এর ছবি

ব্যাপারটা কতটা ভয়াবহ তা একটি তথ্য দিলে আরো পরিস্কার হবে। ভারত ১৯৫১ সালে প্রথম ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মানের আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনা প্রকাশ করে যার বিরুদ্ধে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার কতৃক প্রতিবাদ জানানো হয়। তার ২৩ বছর পর ১৯৭৪ সালে ব্যারেজ নির্মান সম্পন্ন হয় এবং তারো ২২ বছর পরে ১৯৯৬ সালে 'গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি' হয়। এর মধ্যে হয়েছে অসংখ্য আলোচনা, উত্তাপ, কিন্তু ক্ষতি যা হবার হয়ে গেছে এই ২২ বছরে।প্রমত্তা পদ্মা হারিয়েছে তার প্রবাহ, উত্তরবংগে তৈরী হয়েছে মরুকরন প্রক্রিয়া, আমাদের সুন্দরবন হারিয়েছে তার সৌন্দর্য্য।

আর ‘রিভার ইন্টার লিঙ্কিং প্রকল্প’ নিয়ে আমরা এখনি যদি প্রতিবাদ, আলোচনা না চালাই তাহলে সেটাও বাস্তবায়িত হলে তার প্রভাব কতটা ভয়াবহ হবে তা সহজেই অনুমেয়। আবেগ নয় এখানে আইনএর ব্যাপারো রয়েছে। সরকারকে তাই এই বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

হিমু এর ছবি

আপনার কাছে দু'টি অনুরোধ।

[১] ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এ যাবৎ পানিসম্পদ বন্টন নিয়ে সম্পন্ন আলোচনাগুলো সম্পর্কে একটা ক্যালেন্ডার, সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত আলোচনাসহ, দেয়া যায় কি না? আমাদের পক্ষ থেকে ১৯৭১-২০০৯ পর্যন্ত ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে আমাদের ন্যায্য হিস্যা আদায়ে, এবং চুক্তির লঙ্ঘন কবে কী পরিমাণে হয়েছে, তার একটি পরিষ্কার কালচিত্র পেলে তা পরবর্তীতে অনেক আলোচনার বেসিস হিসেবে ব্যবহার করা যেতো।

[২] বন্যার মৌসুমে অতিরিক্ত পানি ভূগর্ভে সঞ্চয়ের কোন পরিকল্পনা বাংলাদেশের পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞদের আছে কি? যদি থাকে তাহলে তা সম্পর্কে একটু বিশদ আলোকপাত যদি করতেন আমরা সবাই একটু ধারণা পেতাম। এ নিয়ে এ পোস্টটিও দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ হিমু আপনার অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ন দুটি বিষয়ের জন্য।

আমার সংগ্রহে কিছু প্রকাশনা আছে যার মধ্যে একটি ডঃ আইনুন নিশাত এর। সেখানে ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানিবন্টন চুক্তি পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংঘটিত আলোচনা সমুহের একটি ক্যালেন্ডারের মত আছে। আমি সেটির একটি সংক্ষেপিত অনুবাদ তৈরী করে অতিশীঘ্রই পোষ্ট করব কথা দিচ্ছি।

ঢাকা শহরের ভুগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে যাওয়া এবং কৃত্রিম ভাবে সঞ্চয়ের উপর আমার বন্ধু এবং আমার নিজের একটি সমন্বিত প্রকাশনা আছে।দরকার হলে আমি সেটিরও অনুবাদ দিতে পারি। আমাদের ঐ গবেষনার মুল পরিকল্পনা ছিল বর্ষা মৌসুমে ঢাকা শহরের আবাসিক অথবা বানিজ্যিক আবাসন গুলির ছাদের বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে তা দিয়ে কৃত্রিম ভাবে ভুগর্ভস্থ পানির সঞ্চয় বাড়ানো।

২০০৬ এর কোন এক সময়ে ভুগর্ভস্থ পানি বিষয়ক এক স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষনে আমি অংশগ্রহন করেছিলাম। সেখানে তৎকালীন ওয়াসার প্রধান আনম আখতার হোসেন একটি প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন। আমি তাকে তখন প্রশ্ন করেছিলাম যে ওয়াসার কৃত্রিম ভাবে ভুগর্ভস্থ পানি সঞ্চয়ের কোন পরিকল্পনা আছে কিনা। তিনি আমার উত্তরে বলেছিলেন তার এই বিষয়ে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এর বেশী তথ্য আমার আপাতত জানা নেই তবে চেষ্টা করছি সংগ্রহ করার। পেলে জানাব নিশ্চয়।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নীড় সন্ধানী [অতিথি] এর ছবি

বাংলাদেশের প্রধান শত্রু এর ভৌগলিক অবস্থান। উজানের লোক পানি ঘোলা করবে আমরা সেই ঘোলা পানি খাবো, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু আন্তঃনদী সংযোগের মতো ব্যাপারগুলোতে ভারতের উচিত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া। ছোটখাট বিরোধের কথা বাদ দিলে ভারত আমাদের মিত্র রাষ্ট্র। কিন্তু দেখা যায় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভারত মিত্রতার চেয়েও লাভলোকসানের হিসেবটাই বেশী কষে। সে কারনে বাংলাদেশের মতো ছোট দেশগুলোকে কৌশলী কুটনীতিতে পরিচালিত হতে হবে। ভারত আমাদের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব খেয়ে ফেলবে এ ধরনের সস্তা রাজনীতি পরিহার করে দরকষাকষিতে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। বিদ্যুত, ট্রানজিট, সীমান্ত বানিজ্য, নিরাপত্তা, বিচ্ছিন্নতাবাদ, ইত্যাদি বিষয়গুলোকে স্বচ্ছতার সাথে আলোচনা করতে হবে। রাজনৈতিক অবস্থানের কারনে বর্তমান সরকারের আলোচনার সেই সুযোগটা বেশী আছে।

আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলি- "আমরা সেই সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি যেখানে উজানের মানুষ তার ভাটির ভাইদের দুঃখ কষ্টের ভাগীদার হবে"

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনার সাথে সহমত প্রদর্শন করছি।আসলে আমি আমার লেখায়ও বলেছি যে এইসব সমস্যা নিয়ে আলোচনাই একমাত্র সমাধানের পথ, সংঘাত সে পথকে আরো বন্ধুর করতে পারে। আমাদের দেশীয় বিশেষজ্ঞদেরও যেমন এই ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে সেই সাথে সরকারের উচিৎ হবে কুটনৈতিক ভাবে সংকট মোকাবেলার। ইতিহাস বলে অন্য দেশ থেকে কিছু সুচিধা পেতে গেলে নিজেদেরকেও ছাড় দিতে হয়, সেক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থ সম্পর্কিত ব্যাপারগুলিও আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

Kibria এর ছবি

‌বন্ধুবর জাহিদ, তোমার এই তথ্যসম‍ৃদ্ধ লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। সত্যিই সারাবিশ্ব আজ এক চরম সংকটের সম্মুখীন। ধণী কিংবা গরীব কোনো দেশই এই সংকট থেকে মুক্ত নয়। ছোটবেলা থেকেই জেনে আসছি যে, এই ধরণীর তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্হল। কিন্তু চরম আশ্চর্য্যের ব্যাপার এই যে, এই বিশাল জল ভান্ডারের অতি অতি নগন্য পরিমান (শতকরা শূণ্য দশমিক ‍ছাবি্বশ ভাগ) খাওয়ারোপযোগী পানি মানুষের নাগালের মধ্যে আছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং শিল্পায়ণের কারণে পানির চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্হিতিতে পশ্চিমাদেশগুলো বছরে হাজার হাজার ডলার খরচ করে চলেছে তাদের পানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।

আমি প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরূদ্ধে নই। এর দ্বারাই নিশ্চিত হতে পারে সীমিত সম্পদের সব্বোর্চ্চ ব্যবহার।তবে যেকোন প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে এর সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনা করা অবশ্যই কর্তব্য। আন্তঃ পানি নদী বণ্টনের ব্যাপারে, নোংরা রাজনৈতিক স্বার্থ পরিহার করে আমাদের রাজনীতিবিদ্‌দের ভারতের সাথে জোড় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে। চেষ্টা আর আন্তরিকতায় যে কাজ হয়, তারই একটি উদাহরণ গঙ্গা চুক্তি।

দেশের আভ্যন্তরীণ নদীগুলোর ও সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। ঢাকার আশেপাশের নদ-নদী গুলোর দূষণ মুক্ত না করে শুধু ভূগর্ভস্ত স্তর পুর্নভরণ করে লাভ হবে না। নদীর দূষণ ভূগর্ভস্থ পানিতেও ছড়িয়ে পড়বে। দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। হাত গুটিয়ে বসে থাকার আর সময় নেই।

- কিবরিয়া
ব্রিসবেন, অষ্ট্রেলিয়া।

সচল জাহিদ এর ছবি

কিবিরিয়া অনেক ধন্যবাদ তোমার মন্তব্যের জন্য।আন্তঃনদী সংযোগ নিয়ে খোদ ভারতের অভ্যন্তরেও অনেক প্রতিবাদ হয়েছে এবং হচ্ছে। আসলে একটা ব্যাপার লক্ষ্য রাখতে হবে যে নদীঅববাহিকা কোন ভৌগলিক সীমারেখাকে মেনে চলেনা বরং তা নির্ভর করে অনেকটা ভুপ্রকৃতির উপর। সেই বিচারে ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা অববাহিকার অনেক অংশ জুড়ে রয়েছে ভারত। সুতরাং এবিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ভারত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে এগুলে তা দুই দেশেরই স্বার্থে আঘাত হানবে। এর সাথে যুক্ত আছে ভারতের আভ্যন্তরীন রাজনীতি ( প্রদেশ সমুহের মধ্যকার)।আমাদের কুটনৈতিকদের এই বিষয় গুলি মাথায় রেখে সামনে এগুতে হবে।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অপ্রিয় এর ছবি

আমার মনে হয় প্রধাণ সমস্যা ভারতের মানসিকতাও নয়, ভৌগলিকও নয়। সমস্যা পাকিস্থান এবং আমাদের ভারতবিদ্বেষী প্রো-পাকিস্থান রাজনীতি। পূর্বভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদে বাংলাদেশ কখনোই সহযোগীতা করবে না - শুধুমাত্র এই শর্তেই ভারতের কাছ থেকে অনেক কিছুই আদায় করা যেতে পারে।

পানি সমস্যার সুবিধাজনক সমাধান আমরা কোনদিনই করতে পারবনা যদি আমরা বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার না করি। একটি বৃহত্ শক্তি সবসময়ই আর একটি বৃহত্ শক্তিকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে চায়। এই নিয়ন্ত্রনের একটি উপায় হল ঐ বৃহত্ শক্তির সংবেদনশীল স্থান খুঁজে বের করে সেখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করা। কোন বৃহত্ শক্তির প্রতিবেশী কিছু ক্ষুদ্র রাষ্ট্রও অন্য কোন দুরবর্তি বৃহত্ শক্তির ‘বন্ধু’ হয়ে সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারে। যেমন কিউবা। আমেরিকার পড়শি হয়েও রাশিয়াপন্থী হয়ে তারা নিশ্চই সমাজতন্ত্রি দেশগুলো থেকে অনেক সুবিধা পেয়েছে।

ভারতের একটি বড় সংবেদনশীল স্থান হচ্ছে পূর্বভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদ। পাকিস্থান এবং আরও বেশ কিছু মুসলিম দেশ বাংলাদেশের ৭৫ পরবর্তি বেশীরভাগ সময় যারা দেশ শাসন করেছে তাদের মাধ্যমে ঐ নিয়ন্ত্রনের কাজটি চমত্কারভাবে করেছে। ভারতের মোটামুটি পেটের ভিতরে থেকে বিপদজনক টিউমারের মত পূর্বভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদিদের সহযোগীতা নিরবিচ্ছিন্নভাবে হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে কি আমরা পেয়েছি? আভ্যন্তরীন রাজনীতিতে ধর্মিয় মেরুকরণ। কিউবা সমাজতান্ত্রিক হয়ে গেছে আর আমরা ইসলামি মৌলবাদের পথে। আওয়ামী লীগকে দমাতে গিয়ে ভারত বিদ্বেষে পাক-সৌদি প্ররোচনায় আজ আমরা এমন ত্রিশঙ্কু অবস্থায় যে দেশের সার্বভৌমত্ব আজ নড়বড়ে।

ভারতের কাছ থেকে পানির ন্যয্য হিসসা পেতে গেলে ভারত বিদ্বেষী পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করতে হবে। দেশকে আই এস আই এর ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। কোন বৃহত্ শক্তির প্রতিবেশী কিছু ক্ষুদ্র রাষ্ট্র অন্য কোন দুরবর্তি বৃহত্ শক্তির ‘বন্ধু’ হয়ে সুযোগ সুবিধা লাভ করতে পারে, কিন্তু ঐ দুরবর্তি ‘বন্ধু’ যদি পাকিস্তান বা যুক্তরাষ্ট্র হয় – তবে পরিনতি ভয়াবহ। ঐ পথে হেঁটে পাকিস্থানের আজ কি করুন দশা।

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

+++++++++++++++++++++++++++++
ঈশ্বরে বিশ্বাস নেই এই পাপীর, তবে বিশ্বাস করি এই আমি বিশ্বাসীদেরই প্রার্থনার ফসল

সচল জাহিদ এর ছবি

আমাদের অনেক বিষয়েই কিছু ভুল ধারনা আছে। আমি একটি সিরিজ লেখা (মূলত অনুবাদ) তৈরী করছি তাতে কিছু আজানা তথ্য ( আমি বলছি সাধারন জনগনের কাছে , বিশেষজ্ঞরা জানেন হয়ত) জানা যাবে।প্রথম পর্ব হয়ত এই সপ্তাহেই দিব।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

গৃহান্তরী এর ছবি

লেখাটা ভাল হয়েছে। তথ্য বহুল এবং সময়োপযোগী। এবং অবশ্যই এটা একজন প্রকৃতি-বিজ্ঞানীর নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণ। আচ্ছা, লেখাটাতো মোটামুটি ভাবে এটাই প্রতিষ্ঠা করে যে আন্তদেশীয় কোন নদীর স্বাভাবিক গতি পরিবর্তনকারী কোন স্থাপনা উজান রাষ্ট্রের পক্ষে একতরফা ভাবে নির্মাণ করা অনৈতিক। প্রশ্ন ছিল, এরকম কোন আন্তর্জাতিক আইন বা অধিকার-সংস্থা কি আছে যা ভাটি রাষ্ট্র তার এই স্বার্থহানির বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারে?

** মন্তব্যটা একবার কোন কারণে "হারিয়ে" গিয়েছিল, আবার দিলাম।

পুতুল এর ছবি

খুব ভাল একটা কাজের জন্য সচল জাহিদকে অভিনন্দন।
নীড় সন্ধানী এবং অপ্রিয় আপনাদের মন্তব্যের সাথে একমত।
আর আমার মনে হয় এই ব্যপারে আমাদের অনেক কিছু যানার আছে। হিমু ভাইয়ের প্রস্তাবে সচল জাহিদ এ ব্যপারে আরো লিখবেন যেনে আনন্দিত হলাম।
বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করতে পারলেও আমাদের অনেক লাভ।
শেষ কথা বলতে পারেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সচল জাহিদ এর ছবি

একটু দেরীতে হলেও সিরিজটা শুরু করলাম। এতে গঙ্গা চুক্তির বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝি কিছুটা হলেও কমবে।

গঙ্গার পানি চুক্তিঃ ইতিহাস ও বর্তমান-০১


গঙ্গার পানি চুক্তিঃ ইতিহাস ও বর্তমান-০২

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।