মানুষের মন বড় বিচিত্র।এখানে এই তুষারে ঢাকা দেশটাতে দুই বছরের বেশী সময় ধরে থাকলেও জায়গাটাকে আপন করে নিতে পারিনি, অথচ দেড় বছরের কিছুটা বেশি সময় ধরে যে বাসাটিতে আছি সেই বাসাটা ছাড়তে আজ মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার ঘরের সবকিছু এলোমেলো, কিন্তু কিছু গোছাতে ভাল লাগছেনা, তার চেয়ে বরং সচলের জন্য লিখতে ইচ্ছে করছে।এই বাসার সাথে জড়িয়ে আছে অসংখ্য স্মৃতি, আমার নিসংগ প্রবাস জীবনের অজস্র ভাললাগা মন্দলাগা অনুভুতিগুলো আমাকে বার বার এই ৩২১ নাম্বার এপার্টমেন্টে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।এই বাসাতে থেকেই আমার সচলে হাতেখড়ি, আমার প্রোফাইলে এই ঘরেরই বর্ননা দেয়া, এই ঘরটিতে জানালার ধারে বসেই আমার প্রাত্যাহিক আকাশ দেখা। শুধু কি তাই, দেশে আমার ছেলে নির্ঝরের ভুমিষ্ট হবার সংবাদ পাবার পরে আমার সেই লাফ দিয়ে টেবিল ল্যাম্প উল্টিয়ে ফেলে দেয়া, কিংবা জানালার পাশের রকিং চেয়ারটাতে বসে মিতুর সাথে টেলিফোনে রোমান্স বা ঝগড়ার মুহুর্তু গুলোত এই বাসাকে কেন্দ্র করেই।
মনে পড়ে যায় গত দেড় বছরের শুক্রবার, শনিবার, কিংবা অন্যান্ন ছুটির দিনের রাতগুলি কেটে গেছে এক অনাবিল আনন্দে। ভুল বললাম আনন্দ নয় আনন্দের অভিনয়; দেশ, মাটি, প্রিয় শহর, প্রেয়সী, পরিবার সবকিছুকে ভুলে থাকার এক ব্যার্থ চেষ্টা আমাদেরকে নিয়ে এসেছিল অনেক কাছে। আমরা কেউ একে অপরের বন্ধুনা কিন্তু যেন বন্ধুর চেয়ে অনেক বেশী কিছু।প্রতিটি শুক্রবার বিকেল যেন নিয়ে আসে এক উৎসবের আমেজ।সবাই আমরা ইউনিভার্সিটি অফ আলবার্টার স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ছাত্র, আবার কেউ পাশ করে চাকুরী করছে; এরা সবাই সপ্তাহের পাঁচ দিন গাধার মত খাটুনি খেটেছে পড়াশুনা, গবেষণা, টিএ কিংবা অফিসের কাজে। দু’দিন সপ্তাহান্তের ছুটি আবার সেই গদ বাঁধা জীবন, একঘেয়ে এবং বিরক্তিকর। তাই দরকার কিছু অখন্ড অবসরের, আড্ডার সেই সাথে ভুড়িভোজন।দেখা গেল কারো ফ্রিজে হয়ত দু’প্যাকেট মুরগী বা গরুর মাংস কিংবা একটা আস্ত ইলিশ মাছের খোঁজ পাওয়া গেছে, কেউ হয়তবা এই সেদিন নতুন বাসমতি চালের ব্যাগ এনেছে, ব্যাস তাতেই সই, সব জড়ো হল এপার্টমেন্ট ৩২১ এ, শুরু হল রান্না বান্না, আর তার ফাঁকে ২৯ এর আসর।
আমরা দশ পনের জন মানুষ, কিন্তু মনে হয় যেন একটা পরিবার, ছোট্ট একটি বাংলাদেশ।কখনবা সমাজ, দর্শন, রাজনীতি, ধর্ম, বিজ্ঞান, খেলাধুলা নিয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক হচ্ছে আবার কখনোবা সেখানে চলে আসছে আউয়ুব বাচ্চু কিংবা জেমস।কোরাসের উচ্চস্বরে আমরা হয়ত চলে গিয়েছি সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে।আবার কখনো সেখানে ভর করছে ‘মিষ্টার গুপ্তের কালেকশনস’। ঈদের দিনগুলিতে সবার একযোগে নামাজ পড়তে যাওয়া, নামাজ শেষে মিশেনার পার্কের ভাইয়াদের বাসায় ভাবীদের হাতের মজার খাবার ধ্বংসের মিশন; একুশে ফেব্রুয়ারী, পহেলা বৈশাখ বা অন্যান্ন অনুষ্ঠানগুলিতে সবার একসাথে গমন ছিল একেবারে নিয়মের মধ্যে।
কারো হয়তবা একটা ছবি দেখতে ইচ্ছে করছে, কোন সমস্যা নেই আছে ফয়সাল, চাহিবা মাত্র টরেণ্ট নামাইতে যে বাধ্য থাকে। রেজা অতি সিরিয়াস ভঙ্গিতে আগের দিনের বিটিভির ‘দাস্তানে হাতেম তাঈ’ কিংবা ‘আলিফ লায়লার’ টাইটেল সং এর কথা ও সুরগুলি অবিকল নকল করে আমাদের শুনাত।ফারহানের কুত্তার জোকস কিংবা সর্ববিষয়ের পন্ডিতি নিয়ে আমরা কতইনা মজা করতাম।পদার্থ, রসায়ন, গনিত, প্রকৌশল, চিকিৎসা কি বিষয়ে জ্ঞ্যান নেই তার (!!)। মনজের সেই কিশোর কুমারের ‘বাসনা ইয়ে হাসিনা’ গানের রিমিক্স এর তালে তালে ২৯ এ জ্যাক ফাঁসানো, কিংবা সবুজের অভিনয়ে সৈকতের গায়ে হলুদের সেই দৃশ্য সবই আজ স্মৃতি হাতড়ে বের হচ্ছে।মনে পড়ে যাচ্ছে সাবু আর আফসানাদের বাসায় সেই গানের আসর যেখানে এলআরবি, মাইলস, ফিডব্যাক, কিংবা উইনিং এর আগের দিনের গানিগুলি আমাদেরকে নিয়ে যেত সেই সুদূর অতীতে।শুধু কি তাই মিলার ‘হাজার দর্শক মন মাতাইয়া’ গানের সাথে আমাদের সেই উৎচ্ছলতা আর সুসঞ্জিবের সেই কথার ‘বোমা’ ফাটানো সে সবই আজ স্মৃতি।
মনে পড়ে যায় ‘ম’ রাজিবকে আমাদের ক্রিকেট দলের ‘অবৈতনিক’ ফিজিওথেরাপিষ্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলাম কিন্তু সে সর্বসাকুল্যে মাঠে গিয়েছিল এক দিন।মাঝে মাঝে ওর সেই চুল স্পাইক করা বা ‘ওগো দেখেছ আকাশে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে’ নিয়ে আমাদের হাস্যরস ছিল প্রতি সপ্তাহান্তের ঘটনা।২০০৭ এর সেপ্টেম্বরে আগমন ঘটে আরেক রাজিবের, কিন্তু অবিকল শাইখ সিরাজের মত দেখতে বলে ওর নামই হয়ে গেল শাইখ আর কোন কারন ছাড়াই আমাদের নজরুলের নাম হয়ে গেল ‘চাষী’ ভাই। মাঝে মাঝে ভাবী অটোয়া ঘুরতে গেলে রাসেল ভাইয়ের আমাদের সাথে আড্ডা দেয়া, রাতদুপুরে ভুনা খিচুড়ী আর গোমাংস দিয়ে ভুড়িভোজন, আহার শেষে তৃপ্তির সিগেরেট ফুঁকা, আবার কখনো কখনো রাফাত ভাই কিংবা মোস্তফা ভাইদের ভাবীদের ম্যানেজ করে ২৯ খেলতে আসা কিংবা সাবু(আগের সাবু নয়) ভাইয়ের ‘ঘোড়া লাড়াবার’ সেই মজার কৌতুকগুলি কখনয় ভুলে যাবার নয়।আমদের সুমন ভাইয়ের মুখের ফুলঝুরি (মতান্তরে চাপা) কথাগুলো, লিয়াকত ভাইয়ের সেই ‘মুরগী’ খাওয়ানোর প্রতিজ্ঞা কিংবা রাত দুপুরে আমাদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে কোমল পানীয় ‘ক্রাস’ কিনতে যেয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া সবই আজ অতীত।
২০০৮ এর সেপ্টম্বরে আগমন ঘটে আরেক রাজিবের।আমার আর রাজিবের চেহারায় মিল থাকায় লোকজন ধরেই নিল আমার ছোটভাই এসেছে বাংলাদেশ থেকে। সেই থেকে ওর নামও হয়ে গেল ‘ছোটে মিয়া’, আমাদের ইমরানত রীতিমত এটা নিয়ে ফেইসবুকে কবিতাই লিখে দিল। মনে পড়ে ইমরান আর জুনায়েদের সেই নটরডেমের বাংলার অধ্যাপক ‘মুখতার’ সারের অংগভঙ্গি প্রদর্শন মুগ্ধ হয়ে আমরা উপভোগ করতাম। ‘লালসালু’ উপন্যাসের হাসুনির মা’র আটপৌরে শাড়ি পড়ে ঢেকিতে পাড় দেবার যে অভিনয় করে দেখাতেন ‘মুখতার সার’ সেটা অবিকল আমাদের দেখাতে গিয়ে ইমরানের নামই হয়ে গেল ‘ঢাক কুরকুর’ সেখান থেকে সংক্ষেপে ‘ঢাক’।আর আমি বাংলাদেশী ছাত্র সংগঠনের সভাপতি হবার পরে আমার নিজের নাম হয়ে গেল ‘মেম্বর’। আমার রুমমেট আনন্দকে ঘিরে কার্ড খেলাতে অতিপটু রিপনের সেই বিখ্যাত ‘এডমন্টন ছেড়ে দেবার’ বা ‘বাউন্ডারীতে কেউ নেই’ ডায়ালগের কথা মনে আসলে হাসিতে দম বন্ধ হয়ে যাবার অবস্থা হয়। মনে আছে মাঝে মাঝে কমেডি ছবি ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ এর প্রিমিয়ার শো হত আমাদের বাসায়। আনন্দের মুখের সেই ‘ইয়ে ভাস্কোদাগামা গান (বন্দুক)’ ডায়ালগ কিংবা কুমার শানুর গলা নকল করে নাকি সুরের গানগুলি গাইবার প্রতিভা মুদ্ধ করত আমাদের সবাই।
তাজুলের সেই কোমর বাকিয়ে কার্ড ফেলবার ভঙ্গি, হামিদ ভাইয়ের হাতে গীটারের সুর, ম্যানইউ আর 'এনিমে' নিয়ে শাবিবের উচ্ছাস উম্মাদনা কিংবা আসিফ ভাইয়ের সেই মিষ্টি বানানো এবং ভাল মিষ্টি হওয়া সত্যেও আরো বেশী খাবার লোভে সেটার বদনাম করে যাওয়া সবই আমাদের সেই প্রাত্যাহিক দিনগুলির এক একটা অংশ ছিল।মনে আছে সবার জন্মদিন আমরা পালন করতাম একসাথে। জন্মদিনের কার্ডে সবার সিরিয়াস কিংবা কৌতুকসুলভ মন্তব্য আবার পাঠ করে শোনান হত। আমাদের উদ্দাম নৃত্য কলা কিংবা উচ্চস্বরে সংগীতের মুর্ছনায় বিরক্ত হয়ে বেশ কয়েকবার নিচতলার মানুষও ( আমাদের ভাষার ফ্রিক, নিরস মানুষ, আনন্দ বুঝেনা) উপরে চলে আসত অভিযোগ জানাতে। একবারত পুলিশ ডাকার হুমকিও দিল, কিন্তু কে শোনে কার কথা, কিছুদিন শান্ত হই আবার সেই নৃত্য গীত (!!) চর্চা।
******************************************************
মানুষের জীবন থেমে থাকেনা, বয়ে চলে অবিরত।আমাদের জীবনও চলবে তার নিজস্ব গতিতে, হয়ত তার মোড় পরিবর্তন হবে, আমরা ব্যাস্ত হয়ে যাব পড়াশোনা, চাকুরী কিংবা জীবন গোছাতে। এই ৩২১ নাম্বার এপার্টমেন্টে নতুন ভাড়াটিয়া আসবে, নতুন করে সাজবে ঘর, হয়ত জানালায় দামী পর্দা লাগবে, মেঝেতে ঝকমকে কার্পেট কিন্তু ল্যাব থেকে দেরি করে আমার আর আসা হবেনা এই বাসায়, গ্রীষ্মের রাতে বাইরে দাঁড়িয়ে আড্ডা হবেনা, নিচ থেকে কেউ কমপ্লেইন করবেনা। তবে হয়ত কোন একসময় এই বাসাকে ঘিরে অতীতের মুহুর্তুগুলো রোমন্থন করে আমাদের ভাল লাগবে আবার কখনোবা মনটা বিষন্ন হয়ে উঠবে সেই দিনগুলিকে ফিরে পাবার জন্য এই প্রত্যাশাটুকুইবা বা কম কিসের।
৩০ শে মার্চ ২০০৯, রাত ৩টা ৬
মন্তব্য
As Human beings we can adjust very quickly. You will get another new venue at your new home. Reading this article, I remeber all the home/room changes I have done in my life. At the end, I always love to remeber the last few lines of 'Pother Pachali' - Pther debota proshonno hashia bolen, poth to tomar shesh hoini............
My operating software does not support unicode. That is why writing in English.
Rafat
কষ্ট করে ইউনিকোড ইনস্টল করে বাংলায় লিখুন না দাদা!! আমার কম্পিউটারেও ইউনিকোড নেই। ফায়ারফক্সে তো ঝকাঝক লিখছি!!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
রাফাত ভাই অনেক ধন্যবাদ লাইনগুলোর জন্য, আমারও খুব প্রিয় কিছু লাইন তাই বাংলায় নিচে আবার দিলামঃ
"পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন - মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে, ঠাঙাড়ে বীরু রায়ের বটতলায় কি ধলচিতের খেয়াঘাটের সীমানায়? তোমাদের সোনাডাঙা মাঠ ছাড়িয়ে, ইছামতী পার হয়ে, পদ্মফুলে ভরা মধুখালি বিলের পাশ কাটিয়ে, বেত্রবতীর খেয়ায় পাড়ি দিয়ে, পথ আমার চলে গেল সামনে, সামনে, শুধুই সামনে। দেশ ছেড়ে বিদেশের দিকে, সুর্যোদয় ছেড়ে সূর্যাস্তের দিকে, জানার গন্ডি এড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে…"
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
রাফাত, তোর মন্তব্য দেখে ভাল লাগল। দয়া করে বাংলা ইন্সটল করে বাংলায় লিখ। সম্ভব হলে সচলে লিখ। তোর রাজনীতি আর অর্থনীতি বিষয়ক লেখা দেখতে চাইছি।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
জাহিদ ভাই,
এসাইনমেন্ট করার ফাকে আপনার লেখাটা পরে সত্যি খুব খারাপ লাগছে। ভাবতেই কস্ট হছে যে ৩২১ এ আর আড্ডা হবে না। আপনি হইত বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমি আর শাবিব আগের বাসা ছেড়েছিলাম আপনার কারনে। ভেবেছিলাম ভারসিটি এরিয়া আসলে আপনাদের সাথে আড্ডা দিতে পারব।এবং শেষ ৩-৪ মাস সেটা আনলিমিটেড করেছি। যেদিন সুনলাম আপনি মিসেনার পারক চলে যাবেন খুব খারাপ লেগেছিল।
যাইহোক, আপনাকে অসংখ্য শুভ কামনা রইল।এবং আশা করি অতি সত্তর ভাবি এবং নিরঝর এডমন্টনে চলে আসবে।
বিঃদঃ চিন্তার কিছু নাই, আমরা সবাই মিসেনার পারক এ আপনার বাসাই প্রায় হানা দিব।
রাজীব
রাজিব, অসম্ভব মন ভাল করা একটা মন্তব্য। মানুষের ভালবাসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার নিজেকে তাই অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। তুমি জান কিনা জানিনা মিতু ইদানিং ফোন করলেই জিজ্ঞেস করে তোমার ছোটভাই কেমন আছে ? তোমাদের সাথে চমৎকার কিছু মুহুর্ত কেটেছে যা কখনই ভুলে যাবার নয়। আশা করি এইখানকার এই আড্ডার প্রচলনটা সবসময় থাকবে। একদিন হয়ত রাফাত ভাই, রাসেল ভাই, সাবু ভাই আর মোস্তফা ভাইয়ের মত আমিও বউকে ফাঁকি দিয়ে ২৯ খেলতে আর তোমাদের খিচুড়ী খেতে চলে আসব।
পুনশ্চঃ মিশেনার পার্কে হানা দেবার পূর্ন অধিকার সবাইকে দেয়া হল।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চমৎকার লাগল!
অনেক ধন্যবাদ অনিকেত
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ
স্বাগতম মিসেনার পার্ক এ। এটাই সত্য যে একদিন মিসেনর পার্ক ছেড়েও চলে যাব, হয়তো এডমন্টন ছেড়ে, কানাডা ছেড়ে, একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে। কিন্তু স্মৃতি রয়ে যাবে মানুষের মনে। সঞ্জীব এর "লোটকম্বল" এর একটি কথা আমার খুব প্রিয় : "ওরে এসেছিস্ যখন একটা দাগ রেখে যা"। সেই দাগ রাখার চেষ্টাই করে যাই।
মোস্তফা
মোস্তফা ভাই , আসলেই বুয়েট থেকে পাশ করে বের হবার আনন্দ যতটুকু ছিল নজরুল ইসলাম হল ছেড়ে দেবার কষ্ট তারও বেশী ছিল, বুয়েটে চাকুরীতে ঢুকে যত উৎফুল্ল হয়েছিলাম বাইরে আসার আগে প্রিয় পেশা, দেশ ছেড়ে আসতে তার থেকে অনেক খারাপ লেগেছিল। মিশেনার পার্কে বাসা পেয়ে যাবার পরে যেমন ভাল লেগেছিল, আজকে এই বাসা ছেড়ে যেতে তার চেয়ে অনেক বেশী খারাপ লাগছে।এটাই জীবন, স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে থাকবার অদম্য লড়াই ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এমনই হয়। খুব খারাপ জায়গাও থাকতে থাকতে একদিন প্রিয় হয়ে যায়। তারপর একদিন যখন ছেড়ে যাবার ডাক আসে, বুকের ভিতরটা হু হু করে উঠে। চোখের কোন ভিজে উঠে অজান্তে।
সহমত
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
Awesome man. you just did. BEAUTIFUL.
কিন্তু বস, মিস্তার গুপ্তর কলেকশনের বেপারটাতো বুঝলাম না। একটু বুঝাই বললে ভাল...মানে আরকি বুঝেনতো।
কিরে ফারহান বিটলামি করস ? আমারে সৈকত পাইছস ?
মিষ্টার গুপ্তের বিষয় তুই বুঝবিনা , এইগুলা বড়দের জিনিস !!
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার অনুভুতি ছুঁয়ে গেল আমাকেও।
দারুন লিখেছেন জাহিদ ভাই
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আসলে নিজের অনুভুতিগুলোকে সবাইকে জানানোর এই প্লাটফর্মটা আছে বলেই খারাপ লাগা গুলো অনেক কমে গিয়েছে।অনেক ধন্যবাদ ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ধন্যবাদ
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আহা প্রত্যেকবার বাসাবদলের সময়ই আগের বাসাটার প্রতি খুব মায়া জাগে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সেই সাথে বাসাটিকে ঘিরে মানুষগুলোর জন্যও আলাদা একটা মায়া তৈরী হয়।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জ়াহিদ
একটা লেখা দিয়েছি। পড়ে দেখ।
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/22966
মোস্তফা
পড়ে ভাল লাগলো জাহিদ ভাই। আমি সচলে নতুন, তবে ফেইসবুকে আপনার পুরানো বন্ধু হিসেবে আছি বলে এই লেখাটার লিঙ্ক পেয়ে পড়তে আসলাম...নিজেও দেশের বাইরে আছি তো, তাই আপনার লেখা পড়ে অনেক মিল খুজে পেলাম নিজের অবস্থার সাথে। আর আপনার লেখার হাত ভাল...তাই অনেক ভালো লাগলো। সমস্যা হলো এই রকম লেখা পড়লে নিজের ও লিখতে ইচ্ছা করে, তাই এই বুড়ো বয়সে বাংলায় লেখা শেখা আর সচলে আসা...
নতুন মন্তব্য করুন