বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে সচলায়তনে “আন্তর্জাতিক পানি দিবস ২০০৯-‘আন্তঃসীমান্ত পানি’এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট” শিরোনামের লেখাটি প্রকাশিত হবার পরে অনুরোধ আসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এ যাবৎ পানিসম্পদ বন্টন নিয়ে সম্পন্ন আলোচনাগুলো সম্পর্কে একটা ক্যালেন্ডার প্রকাশের। সেই আঙ্গিকেই মূলত এই সিরিজ লেখার প্রয়াস। মোট চারটি থেকে পাঁচটি লেখা থাকবেঃ প্রথম দু’টি পর্বে প্রারম্ভিক তথ্যসহ ১৯৯৬ সালের গঙ্গা চুক্তির পুর্বের ইতিহাস তুলে ধরা হবে, তৃতীয় পর্বে চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং চুতুর্থ ও শেষ পর্বে চুক্তি পরবর্তী পরিস্থিতির তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষন করা হবে। মুল লেখাটির বেশ খানিকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ ডঃ আইনুন নিশাতের কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান প্রবন্ধের বিশেষ কিছু অংশের অনুবাদ, তাই শুরুতেই নিশাত সারকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগটুকু হারাতে চাইনা।
তৃতীয় পর্যায় (১৯৭৭-১৯৮২)
দ্বিতীয় পর্যায়ে উল্লেখিত বৈঠকের ভিত্তিতে ১৯৭৭ সালের ৫ নভেম্বর শুষ্ক মৌসুমে (জানুয়ারী থেকে মে) গঙ্গার পানি প্রবাহ বন্টনের বিষয়ে একটি পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুসারে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল এই দশ দিন সময়ের মধ্যে বাংলাদশের জন্য ৩৪,৫০০ কিউসেক এবং ফারাক্কার বিকল্প খাল দিয়ে কলকাতা বন্দরের জন্য ২০,৫০০ কিউসেক পানি বরাদ্দ করা হয়।সেই সাথে চুক্তিতে পানি বন্টনের (১০ দিনের ভিত্তিতে) জন্য একটি নির্দীষ্ট সময়সুচী নির্ধারন করা হয় যাতে বাংলাদেশকে চুক্তিতে উল্লেখিত পানি প্রবাহের ন্যুনতম শতকরা ৮০ ভাগ প্রদানের লিখিত অংগীকার করা হয়।দুইদেশের সরকার পর্যায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যুক্ত কমিশন গঠন করা হয় যারা তিন বছরের মধ্যে পানি বন্টন চুক্তি ও ফারাক্কায় গঙ্গাতে পানি বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় আলোচনা করবে যা উভয় দেশ কতৃক আবার পর্যালোচনা করা হবে।
আমি আগেই বলেছি যে ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল ফারাক্কার উজানে ভারতে বা নেপালে জলাধার নির্মান করে বর্ষা মৌসুমে পানি সঞ্চয় করা, অপরদিকে ভারতের প্রস্তাব ছিল ব্রহ্মপুত্র থেকে সংযোগ খাল কেটে গঙ্গাতে পানি বৃদ্ধি করা এবং কোন দেশের প্রস্তাবই অন্য দেশ কতৃক গৃহীত হয়নি। ফলশ্রুতিতে 'চুক্তির আইনগত বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত হয়নি' এই অজুহাতে ১৯৭৭ সালের পানি চুক্তি ১৯৮২ সালের নভেম্বরের পরে আর নবায়ন করা সম্ভব হয়নি যদিও এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে চুক্তিতে সেই সুযোগ ছিল।
চতুর্থ পর্যায় (১৯৮২-১৯৮৮)
১৯৭৭ সালের প্রথম গঙ্গার পানি চুক্তি ১৯৮২ সালের পর আর নবায়ন করা হয়নি, তবে ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালের শুস্ক মৌসুমের পানি বন্টনের জন্য জন্য ১৯৮২ সালেরই অক্টোবর মাসে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্টান্ডিং ‘৮২) স্বাক্ষরিত হয়।এই স্মারকে ‘নিশ্চিত ন্যুনতম’ প্রবাহের সুযোগ না রেখে বরং ‘ধারনক্ষমতার হিস্যা’ ( বারডেন শেয়ার) এর শর্ত রাখা হয়।উভয়পক্ষকেই গঙ্গার পানিবৃদ্ধির বিষয়ে তাদের স্ব স্ব প্রস্তাবের বাস্তবায়নযোগ্যতা (ফিজিবিলিটি) নিরীক্ষা করার দায়িত্ব দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ১৯৮৩ সালে উভয়পক্ষ তাদের হালনাগাদ প্রস্তাব পরস্পরের কাছে হস্তান্তর করে, কিন্তু আবারও মতপার্থক্যের জন্য কোন গ্রহনযোগ্য সুপারিশ অনুমোদিত হয়নি যা দ্বারা জরুরী ভিত্তিতে সর্বত্তোম ভাবে ফারাক্কায় শুস্ক মৌসুমে গঙ্গার পানি বৃদ্ধি করা যায়। ’৮২ এর সমঝোতা স্মারক ১৯৮৪ সালে মেয়াদউত্তীর্ন হয়ে যায় এবং পরবর্তী বৎসর গুলির জন্য কোন আনুষ্ঠানিক সমঝোতাই আর বাকী থাকেনা।
বাংলাদেশ তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যায় একটি আনুষ্ঠানিক সমঝোতার জন্য কিন্তু ব্যার্থ হয়। কোন সমঝোতা না থাকায় ১৯৮৫ সালের শুস্ক মৌসুমে বাংলাদেশ গঙ্গার পানির হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়। পরবর্তীতে আরো অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে দুই দেশ ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে আরও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে যা কিনা ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত শুস্ক মৌসুমের জন্য বহাল থাকবে। এই সমঝোতা স্মারকেও আগের মত নিশ্চিত ন্যুনতম প্রবাহের কোন সুযোগ রাখা হয়নি, তবে এই বারে ন্যায্য হিস্যা বন্টনের জন্য আঞ্চলিক নদীগুলোকেও আলোচনায় নিয়ে আসা হয়। পানি বন্টন ও গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবগুলিও আলোচনা করা হয়। এক্ষেত্রে উভয়পক্ষই তাদের প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করে উপস্থাপন করে কিন্তু যথারীতি একপক্ষ অন্য পক্ষ্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ভারত ও বাংলাদেশের একটি যৌথ বিশেষজ্ঞ দল উপাত্ত সংগ্রহের জন্য নেপাল সফর করে। নেপাল সরকার নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ মিলে যৌথভাবে পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে তীব্র উৎসাহ প্রদর্শন করে। ’৮৫ এর সমঝোতা স্মারক ১৯৮৮ সালের মে মাসে বন্ধ হয়ে যায়।
পঞ্চম পর্যায় (১৯৮৮-১৯৯৬)
১৯৮৮ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে কোন চুক্তি না থাকায় ভারত একতরফা ভাবে গঙ্গার পানি বিকল্প পথে হুগলী নদীতে স্থানান্তর করে যার ভয়াবহ প্রভাব বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান স্বাদু পানির প্রবাহ গড়াই নদী যা কিনা গঙ্গারই শাখানদী শুস্ক মৌসুমে সম্পুর্নভাবে শুকিয়ে যায়। ভারতের এই একচেটিয়া পানি উত্তোলনের হলে ১৯৯২ সালের মার্চে হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নিচে গঙ্গায় ইতিহাসের সর্বনিম্ন প্রবাহ (১২,৫২১ কিউসেক) পরিলক্ষিত হয় অথচ ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এই সময়ের গড় প্রবাহ হওয়া উচিৎ ছিল ৭৫,০০০ কিউসেক [৪]। এই পর্যায়ে পানিবন্টনের জন্য আলোচনা চলতে থাকলেও তার কোন সফলতা পরিলক্ষিত হয়নি।১৯৮৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের সরকার প্রধানের বৈঠকে গঙ্গা সহ অন্যসব আন্তসীমান্ত নদীসমুহের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী পানির প্রবাহ বন্টন সমীকরন প্রনয়নের জন্য উভয় দেশের পানিসম্পদ সচিবদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়।১৯৯০ এর এপ্রিল থেকে ১৯৯২ এর ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই তিন বছরের মধ্যে সচিব কমিটি ঢাকা ও দিল্লীতে পরপর ৬ বার মিলিত আলোচনায় বসে।তাদের মূল গুরুত্ত্বের বিষয়টি ছিল জরুরী ভিত্তিতে গঙ্গা ও তিস্তার পানি বন্টন। কিন্তু দূঃখের ব্যাপার হল এই কমিটিও পানিবন্টনের কোন গ্রহনযোগ্য নীতি নির্ধারন করতে ব্যর্থ হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৮৮ সালের বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যা দুই দেশের পারস্পারিক পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার বিষটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান করে এবং গঙ্গার পানি বন্টন ও গঙ্গার পানি বৃদ্ধির পরিকল্পনার মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি একটি সঙ্কটপূর্ন প্রসংগ হয়ে দাড়ায়।বাংলাদেশ যদিও দুই দিকেই অগ্রসর হবার চেষ্টা করে কিন্তু ভারত পানিবন্টনের পুর্বশর্ত হিসেবে গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির তাদের প্রস্তাবকে( ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি গঙ্গায় স্থানান্তর) দাড় করায়।যদিও ১৯৯২ সালে দুই দেশেরই প্রধানমন্ত্রী এই মর্মে একমত হয় যে বাংলাদেশের এই পানি সঙ্কটের একটি আশু সমাধান দরকার কিন্তু তা সত্ত্যেও পানি বন্টনের কোন চুড়ান্ত সমাধান হয়নি। ১৯৯৫ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ষষ্ঠ পর্যায় (১৯৯৬)
১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশেরই সরকার পরিবর্তনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় পর্যায়ে পানি বন্টনের বিষয়টি পুনরালোচনায় আসে এবং শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি সমাধানের ক্ষেত্রে উভয় দেশ একমত হয়। পরিশেষে সুদীর্ঘ সময়ের উত্তেজনাপুর্ন কার্যক্রমের পর ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ঐতিহসিক গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যা ১৯৯৭ সালের জানুয়ারী থেকে কার্যকর হয় এবং ত্রিশ বছর পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হবে। চুক্তিতে গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির প্রসঙ্গেরও একটি শর্ত রাখা হয়। যদিও চুক্তির শর্ত বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা সমস্যা দেখা দেয় কিন্তু আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা হয়।
তথ্যসুত্রঃ
[১] উইকিপিডিয়া
[২] বাংলাপিডিয়া
[৩] অসিত বিশ্বাস ও টি হাশিমুতো সম্পাদিত অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস কতৃক প্রকাশিত “Asian International Waters, From Ganges-Brahmaputra to Mekong” শীর্ষক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত
[৪] ডঃ আইনুন নিশাত ও এমএফকে পাশা কতৃক লিখিত প্রবন্ধঃ “A Review of the Ganges Treaty of 1996” যা ২০০১ সালে “Globalization and Water Resources Management: The Changing Value of Water” শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থাপিত হয়।
ছবিঃ আন্তর্জাল
মন্তব্য
আপনার আলোচনা ফারাক্কা বাঁধ বিবাদের ইতিহাস নিয়ে। এ প্রসঙ্গে একটু পিছিয়ে গিয়ে এটাকু যোগ করতে চাই যে, গোড়ায় পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের ভেতরেও এই বাঁধ নিয়ে আপত্তি ও আন্দোলন ছিল। মূল যুক্তিটি ছিল এই যে, ১. এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হবে এবং বাঁধের ভেতরের দিকে বন্যার প্রকোপ বাড়বে। ২. এর থেকে কম বেয়ে নদীয়ায় ব্যারেজ বানালে বিপর্যয়ও হয় না এবং বাংলাদেশেরও আপত্তি থাকে না।
সময়ের চাকা আপত্তি দুটোকে প্রমাণ করেছে। গঙ্গায় বাঁধ দেওয়ার সময় আমাদের বলা হলো, উদ্ধৃতি
''পরীক্ষামূলকভাবে অনুমতি দেন। দিলাম। কিন্তু গায়ের জোড়ে এটাকেই পারমানেন্ট করে নিলেন। এরপর আবার অন্য কারণে যখন আমাদের সাথে কথা বলার দরকার পড়লো সেই সুযোগে আমরা যখন জিজ্ঞাসা করলাম কথাবার্তা না বলে পানির নিয়ন্ত্রণ নিলেন, পানি দেন না কেন? এবার উত্তর দিচ্ছেন আমরাই কলকাতা বন্দর নাব্য করতে পারছি না আপনাদের দিব কী করে। এখানে কথা কিন্তু ঘুরে গেছে। বলতে চাচ্ছেন আগে আপনার নিজের পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার পর পানি থাকলে তবেই দিবেন। আন্তর্জাতিক নদী আইন কিন্তু তা বলে না। সে যাই হোক, আজকে তেত্রিশ বছর পরে বিচার করেন, গায়ের জোড়ই শেষ কথা মনে করে যা করছেন এতে কী কী ফল হয়েছে। ১. বাংলাদেশের মানুষের মন বিষায়ে ফেলছেন। সাধারণ মানুষ আপনাদের কোন কথা বিশ্বাস করে না বরং সন্দেহের চোখে দেখে। আর জামাতিরা এইটাকে ভাল করে কাজে লাগায়। ২. কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বাড়ছে? ধরে রাখতে পারছেন? পারেন নাই। কোন লাভ হয় নাই। ৩. উল্টা এখন কী শুরু হয়েছে মালদহ, মুর্শিদাবাদের লোক প্রতিবছর বন্যায় ডুবতেছে।
বন্যা হলে নিজের দেশেরই তো লোক ফেলাইয়া তো দিতে পারবেন না, কিন্তু বন্যা সামলাতে একটা খরচ তো আছে। আবার বন্যায় যা ক্ষয়ক্ষতি হইছে তারও তো একটা হিসাব আছে। করেন দেখেন ডাইনে বামে মিলান। গায়ের জোড়ে পানি নিয়ে লাভ হইছে, না ক্ষতি? এদিকে দিনকে দিনকে এমন অবস্হার দিকে যাচ্ছে যে দেখেন বাঁধ ভেঙ্গেও এখন নিজেকে বাঁচতে পারবেন কীনা। তাহলে কী হলো? নিজের স্বার্থটা কী, কোনটা আপনার স্বার্থ তা বুঝার যোগ্য হয়ে কাম করতে পারছেন? নাকি সংকীর্ণ স্বার্থপর রাষ্ট্র হইছেন?'
এখানে বলে রাখি, আপনার আগের কিস্তিতে যে উইলকক্স সাহেবের কথা বলেছিলাম তিনি অনেক আগেই এ ধরনের পরিকল্পনার বিপদের কথা হুশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন। পরে বাঁধ নির্মাণের সময় কপিল ভট্টাচার্যের মতো খ্যাতিমান পানি০প্রকৌশলীরাও এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন।
আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
ফারুক ভাই আপনার মন্তব্য সবসময়ই তথ্যবহুল। আপনার লিঙ্কটা পড়ে ভাল লাগল। আসলে ১৯৭৫ সালে পরীক্ষামুলকভাবে ব্যারেজ খুলে দেবার পর আমাদের দাবী নিয়ে তারা আর মাথা ঘামাতে চায়নি। গঙ্গা ব্যারেজের কুফল আজ বাংলাদেশ ভারত দুই দেশই বহন করছে। অথচ বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা আগেই ফারাক্কায় ব্যারেজ নির্মান করে বন্দরের নাব্যতা বাড়ানোর সমালোচনা করেছিল।
একট জিনিস লক্ষ্য করবেন, আজ যে 'রিভার ইন্টারলিঙ্কিং' প্রকল্প নিয়ে ভারত তোড়জোর চালাচ্ছে সেটার বীজ কিন্তু লুকায়িত ছিল এই গঙ্গা চুক্তির আলোচনার মধ্যেই। যেখানে বাংলাদেশ এমনকি বাইরের বিশেষজ্ঞরাও নেপাল বা ভারতের আরো উজানে বাধ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে পানি সঞ্চয় করে তাকে শুষ্ক মৌসুমে ব্যাবহারের প্রস্তাব দিচ্ছে সেখানে ভারত ব্রাহ্মপুত্র থেকে গঙ্গায় পানি স্থানান্তর করার বিষয়ে ছিল অটল। যে চুক্তি ১৯৭৫ সালেই হবার কথা সেটা ১৯৯৬ সালে হল শুধুমাত্র গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি নিয়ে দুই দেশের মতপার্থক্যের কারনে। তাও আমাদের ভাগ্য ভাল বলতে হবে যে সরকার চুক্তির সময় এই রিভার লিঙ্কিং প্রকল্প মেনে নেয়নি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চালিয়ে যান।
উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
একটি ব্যাপার জানিয়ে রাখা ভাল, এই প্রবন্ধটির লেখা শুরু করার অনেক আগেই আমি ব্যাক্তিগগ জীবনে আমার শিক্ষক ডঃ আইনুন নিশাত স্যারকে ইমেইল করেছিলাম তার এই বিষয়ক কিছু প্রবন্ধের অনুবাদের অনুমতির জন্য। আমি অত্যন্ত খুশি যে স্যার আমাকে অনুমতি সহ লেখাটির বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। সেজন্য স্যারকে আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নতুন মন্তব্য করুন