সম্ভবত ১৯৯২ সালের কথা আমি তখন স্কুলে পড়ি। সেইবার আমাদের বিন্দুবাসিনী স্কুল আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগীতার ফাইনালে উঠেছে ।সুতরাং দল বেঁধে সবাই গিয়েছি ক্লাশ শেষ করে জেলা সদরের মাঠে খেলা দেখতে। উত্তেজনাপূর্ণ খেলা গোলশুন্য ভাবে প্রথমার্ধ, দ্বিতীয়ার্ধ, অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে অবশেষে গড়াল টাইব্রেকারে। সবাইকে অবাক করে দিকে তাতেও ফলাফল সমতাই রয়ে গেল। পরে বাধ্য হয়ে দুই স্কুলকেই যুগ্মচ্যাম্পিয়ন ঘোষনা দিল কতৃপক্ষ। খেলে শেষ হতে হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে তখন। সবাই মিলে গল্প করতে করতে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছি।
মার দৃষ্টি ঘড়ির দিকে, সবদিনের মত আমার বাসায় ফেরার কথা চারটার দিকে। চার, সাড়ে চার করে ঘড়িতে যখন পাঁচ ছুঁই ছুঁই, মার মন তখন আর মানছেনা, কিছু কি হল? আজকাল বাসগুলো বড্ড বেপোরোয়া হয়েছে। নাহ আর দেরি না করে ছুটে বেরিয়ে যায় মা, একটা রিকশা নিয়ে সোজা স্কুলে। কিন্তু কই স্কুলতো ফাঁকা, কোথায় গেল তাহলে ? মা ভেবে অস্থির হয়। আশে পাশের বন্ধুদের বাসা যেগুলো চিনে সেগুলোতে খোঁজ নেয় কিন্তু কোথাও নেই।আবার বাসায় ফিরে আসে, কিন্তু তখনো ছেলে আসেনাই। আবার রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে হাসপাতাল, ক্লিনিক গুলোতে খোঁজ নিয়ে হতাশা আর অসীম দুশ্চিন্তা নিয়ে ভেজা চোখে যখন বাসায় ফিরে এসেছে ছেলে তখন কিন্তু টিভি খুলে কার্টুন দেখতে বসেছে।মা ছুটে এসে জড়িয়ে নেয় বুকে, কপালে চুমু খায়, অভিমান করে জিজ্ঞেস করে কেন না বলে খেলা দেখতে গিয়েছি? আমি বলি এতে ভাবনার কি আছে, আমার কাছে খুব অর্থহীন মনে হয় মার দুঃশ্চিন্তা গুলো, ‘মা টা যে কি না ? শুধু শুধু’
১৯৯৬ সালের কথা, কোন এক বিকেলে নটরডেম কলেছে গিয়েছি এইচএসসির ফলাফল দেখতে। কলেজের বাইরের দেয়ালে ফলাফল টঙ্গানো হয়েছে।অনেক রোল নাম্বারের ফাকে নিজের নাম্বারটা দেখে এবং তার পাশে তারকা আর ‘P C M’ দেখে আশ্বস্থ হলাম।খুশি মনে ফিরলাম আপার বাসায় মিরপুরে। দুলাভাই দৌড়ে গিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসল। তখন বাসায় ছিলনা কোন ফোন বা মোবাইল। বাবা মা থাকে টাঙ্গাইলে ভাবলাম এই সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল যাব? তার থেকে বরং কাল সকালে সানরাইজের পরীক্ষাটা দিয়েই দুপুরে যাই।
সকাল থেকেই বাবার খুব চিন্তা হচ্ছে, ছেলেটার আজকে ইন্টারের ফলাফল দিবে। কি যে হবে? বরবরইতো ও ভাল করে, তারপরেও। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়, একময় সন্ধ্যা নামে, বাবা ভেবে আকুল হয় এখনো আসছেনা কেন? নিশ্চয়ই রওনা হয়েছে, আজকাল ঢাকা টাঙ্গাইল রোডে হড্ড জ্যাম হয় তাই বোধহয় দেরী হচ্ছে। রাতের খাবার একসাথে খাবে বলে বাবা মা দুজনই অপেক্ষা করে, কিন্তু রাত দশটা বাজে এখনো আসছেনা কেন? দুজনের কারোরই খাওয়া হয়না, রাত গভীর হয়, দুঃশ্চিন্তা আরো বাড়ে, আবার কিছু হলনাতো ? গাড়িগুলো খুব বাজে ভাবে চলে, ইদানিং খুব দূর্ঘটনা হচ্ছে এই রোডে।বাবার একটা রোগ আছে, অধিক টেনশন করলেই বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হয়। আস্তে আস্তে বুকে সত্যি সত্যি ব্যাথা অনুভব করে বাবা, একেবারেই ঘুম হয়না রাতে। সকালে উঠে চিন্তিত মুখে খবরের কাগজ দেখে। আস্তে আস্তে সকাল পেরিয়ে যায়, বাবা আর বসে না থেকে বের হবার প্রস্তুতি নেয় ঠিক সেই সময় হাসতে হাসতে আমার প্রবেশ। বাবার চোখ জলে ভিজে আসে, জড়িয়ে ধরে আমাকে, দেরিতে আসার জন্য কিছুটা বকুনিও দেয়। আমি বলি, এত চিন্তার কি আছে? ‘বাবা টা যে কি না? শুধু শুধু’
২০০৬ সালের জুলাইতে আমার আর মিতুর বিয়ে হয়। মিতু তখন মেডিক্যাল চুড়ান্ত বছরের ছাত্রী।ঐ বছরের ডিসেম্বরে আমি কানাডা চলে আসি উচ্চশিক্ষার জন্য।আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই জানিতে পারি মিতু তার শরীরে বহন করছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। তাকে নিয়ে শুরু হয় আমাদের স্বপ্ন, কল্পনা। ও দেখতে কেমন হবে, ছেলে হবে না মেয়ে হবে ? ওর নাম কি হবে সেটা নিয়ে চলে আমার বিস্তর গবেষণা। খুব ইচ্ছে করে কান পেতে ওর নাড়াচাড়া অনুভব করেতে কিন্তু মিতুও দেশে, তাই ফোনেই মিতুর কাছ থেকে ওর অনুভব গুলো ধার করি।‘আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রানের পর’ ……নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ কবিতাটি পড়েছিলাম অনেক আগে, সেই শিরোনাম মনে রেখে ছেলের নাম ঠিক করি নির্ঝর, আর মেয়ে হলে তার নাম ঠিক করি নিতু অথবা নবনী।
২০০৭ এর পহেলা সেপ্টেম্বর আমাদের ভুবনকে আলোকিত করে পৃথিবীতে আসে আমাদের ছেলে নির্ঝর। খবরটা পাই বাবার কাছ থেকে, সে এক অবিশাষ্য অনুভুতি আমাকে ভর করে, আমি বিহবল হয়ে পড়ি। ছেলের একটু কান্না শুনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি মোবাইলটা কানে দিয়ে।নিজের উত্তরাধিকারের ছবি দেখে তার মাঝে নিজেকে খুঁজতে থাকি অবিরত।ধীরে ধীরে ও বড় হয়। ওয়েবক্যামে মাঝে মাঝে দেখি আর অপেক্ষা করি দেশে যাবার জন্য। ২০০৮ এর মে মাসে প্রথম বুকে তুলে নেই আমার, আমাদের ভুবনকে। ইতিমধ্যে মায়ের আদরের ডাকে নির্ঝরের আরো একটি নাম হয়ে গেছে ‘ভুবন’।আবার ফিরে আসি প্রবাসে, সবার অজান্তে নিয়ে আসি ছেলের গায়ে দেয়া একটা হলুদ টিশার্ট।আমার বিছানার সামনের দেয়ালে, অফিসের ডেস্কে ছেলের ছবি টাঙিয়ে রাখি।হলুদ টিশার্টটি আমার পাশেই থাকে রাতে ঘুমুতে যাবার আগেও দেখি আবার ভোরে ঘুম ভেঙ্গেও দেখি।
মাঝে হঠাৎ একদিন মিতুর ফোন, জানতে পারি ভুবন মাথায় ব্যাথা পেয়েছে, ওর কপালটা একটু কেটে গিয়েছি।প্রচন্ড দুশ্চিন্তা হয়, দেশে ফোন করে ওর খবর নেই, কতটুকু কেটেছে, কতটা রক্ত বেরিয়েছে, স্টিচ দিতে হয়েছে কিনা, ওর কি জ্বর এসেছে? ও কি কিছু খেতে পারছে ? খুব কষ্ট হচ্ছে ? অফিসে কাজে মন বসেনা, একে তাকে বলি ছেলের কপাল কেটে যাওয়ার কথা। সবাই বলে,
‘এই বয়সে বাচ্চারতো এইটুকু ব্যাথা পাবেই, ভাল হয়ে যাবে। তুমিযে কি না? শুধু শুধু’
মন্তব্য
আরে মিয়া দিলা তো এক্কেবারে চোখ ভিজাইয়া...মনিটর ঝাপসা লাগতেছে।
তুমি NDC তে আমার দুই ব্যাচ জুনিয়র...তাই আপন মনে করে তুমি বল্লাম। আশাকরি কিছু মনে করেন নাই। NDC এর কোনায় কোনায় আমাদের দাপাদাপির চিহ্ন পড়ে থাকত। টেরেন্সের কত লৌড়ানি খাইছি।
দিন গুলো মোর সোনার খাচায়......রইলোনা...
ভিন্ন প্রসংগের অবতারনা করলাম ঝাপসা চোখের দৃষ্টি ফেরানোর জন্য। দারুন লেখা হইছে...চালাইয়া যান
মামুন ভাই
বাবা মায়ের এই আবেগ গুলো আগে কখনই বুঝিনাই এখন নিজে বাবা হবার পর বুঝতে পারি। না বুঝে কত কষ্ট হয়ত দিয়েছি তাদের মনে। আজকে এই এত দূরে থেকে সেই কথাগুলো ভাবলে চোখ ভিজেই আসে সবসময়। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পুনশ্চঃ বস আপনি নিশ্চিন্ত মনে তুমি চালাইয়া যাইতে পারেন, আমিও নতুন কারো সাথে পরিচয় হইলে ফাঁক ফোকর দিয়া জিজ্ঞেস করি ইন্টারের ব্যাচ কত, ব্যাস কোন মতে '৯৬ বা তাহার অধিক হইলেই সানন্দে 'তুমি' চালাইয়া দেই । আর টেরেন্সের সেই ঝাড়ি সেকি ভূলার কথা, নটরডেম নিয়েই একটি স্মৃতিচারনমূলক লেখা দেবার চিন্তা করছি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অনেক ধন্যবাদ ভাইডি, আজকের দিনের সেরা লেখাটা তোমারই। দ্বিতীয়বার পড়তে গিয়েও চোখ ভিজে উঠল...অনেকদিন দেশে যাওয়া হয়না...বাবা মাকে খুব মিস করি।
নটরডেম নিয়ে একটা লেখা দাও, আমিও যোগ দিব।
আমি ছিলাম কমার্স এ তে, বিজ্ঞান গ্রুপের ছেলেদের সাথে ফুটবল আর ক্রীকেট খেলা নিয়ে কত রেষেরেষি করছি...মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।
হা হা হা !!!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ধন্যবাদ রনদা
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার নামের পিছনে অতিথি শব্দটা আর মানচ্ছেনা
অমিত
আপনার এই মন্তব্যটা আমার সচলে আজ পর্যন্ত সবচাইতে বড় পাওয়া।এই উৎসাহই হয়ত একদিন আমাকে অনেক দূর পৌছে দেবে।অসংখ্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাহ! নির্ঝরতো অনেক বড় হয়ে গেছে! এইতো সেদিন ওর প্রথম ছবি দেখলাম। আর এর মধ্যে কতটা সময় পার হয়ে গেল। এখনতো ছেলে আর ছেলের মা'র তোমার কাছে পৌঁছে যাবার সময় হল। আর একটু কষ্ট করে ধৈর্য ধর।
পোস্টের ব্যাপারে মন্তব্য কী করব। জন্মের পর থেকে বাবা-মায়ের সাথে থাকলেও নিজেরা বাবা/মা না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের অনুভূতির কিছুই আমরা বুঝতে পারি না। যখন বুঝতে পারি তখন অনেক সময়ই অনেক দেরি হয়ে যায়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
হ্যা কেমন করে যেন আস্তে আস্তে ও অনেক বড় হয়ে গেল। আমার কষ্ট ওর এই পরিবর্তন গুলোর আমি কিছুই দেখতে পেলামনা। হঠাৎ হঠাৎ কিছুদিন পর পর ছবি দেখি আর অবাক হই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
৯৪ ব্যাচ? তুই আমারে চিনস না, ঘটনা কি? তোর চেহারাউ তো আমি ঠিক মতো ঠাহর করবার পারতাছি না। তুই কি মর্নিং শিফটে পড়তি? নাকি তুই বীচি জাহিদ?
মামু তুইত ঠিকই ধরছস ? আমিই *চি জাহিদ (রিপন)। আমার মান ইজ্জতত কিছুই আর রাখলিনারে । এমনিতেই এইবার নিবিড় কানাডা আইসা আমার বাসায় ছিল এক সপ্তাহ তখনই সবাইরে এইডা ফাস কইরা দিছে। মাগার তরেত চিনবার কোন উপায় রাখস নাইরে। নাম দিছস সবুজ বাঘ, প্রোফাইলেও কিছু পাইলামনা। আসল পরিচয়টা এইবার দে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
টোনে টের পাস না? নাম জিগানের বেদবি তো সহ্য করা হারতাছি নারে!!
ঐদিন আমিউ গেছিলাম জেলাসদরে। আমাগো টিটু খেলার একমাত্র গোইলডা দিছিল। পচুর বিষ্টি হইছিল। ভিজতে ভিজতে গুয়ামারা সারা। আমাগো বাসা আছিল শহরের আরেক মাথায়। আমার অবস্থা দেইখা নিবিড় ওগো বাসায় নিয়া গামছা দিছিল মাথা মুছার নিগ্যা। তারপর কইল ক্যামনে যাবি?
কইলাম, যামুনি। বিষ্টি থামলেই যামুনি। বিষ্টি থামলো, হাঁটা ধরলাম। পকটে ট্যাকা আছিল না যে রিকশায় চড়ুম।
আমি তগো শাপলু। বড় হইয়া গেছস গা। তরে চিনবার পারি নাই। কালা চশমাডা আরো বেশি গ্যাঞ্জাম করছে।
আরে মামু তুই শাপলু ? কেমন আছস ? অনেক দিন পর তাইনা ? খুব ভাল লাগতাছে তরে পাইয়া। তুইত সচলে অনেক দিন ধইরা আছস। এখন কই আছস? তোর ফোন নাম্বার আর ইমেইল দিস কথা কমু।আমার ইমেইলঃ , ফোনঃ +১ ৭৮০ ৯০৪ ০৮৯৯, আমার ফেইসবুক
সময় পাইলে এই লেখাডা পড়িস অনেক কিছু মনে পরবে।পৃথিবীটা আসলেই গোল রে মামু
----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
০১৬৭৩৫৭৭৬৯৯
আরো একজন দূর্দান্ত সচলকে পেলাম আমরা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অসম্ভব প্রেরনাদায়ী মন্তব্য পরিবর্তনশীল।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কিছু কিছু লেখা পড়ে অনেক চেষ্টা করেও কি বলব, ঠিক গুছিয়ে বলতে পারি না। সত্যিকারের অনুভূতিটা কিছুতেই প্রকাশ হয় না ঠিক মত। এই লেখাটিও সেরকম।
অনেক শুভকামনা থাকল ছোট্ট নির্ঝরের জন্য।
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এই যেভাবে প্রকাশ করলেন সেটাও কিন্তু খুব গোছানো রেনেট। আসলে কদিন ধরে ছেলেটাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল, পহেলা বৈশাখে ওয়েবক্যামে দেখেছি একঝলক কিন্তু প্রান তাতে ভরতে চায়না। তাই মনটা খুবই খারাপ ছিল। ঠিক সেই সময়ই বাবা মা'র আগের অনুভুতি গুলো খুব বেশি মনে পড়ে গেল।আসলেই বাবা না হলে এই অনুভুতি গুলো হয়ত কখনই বুঝতে পারতামনা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা
ভালো থাকবেন
অপেক্ষায় থাকবো
আপনার বয়সে এসে নির্ঝরের এরকম একটা লেখার
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা
অনেক ধন্যবাদ আপনার আপনার কথাই যেন সত্যি হয়। আসলে ছেলেকে নিজেদের আদর্শে বড় করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে বিশেষ করে এই প্রবাসে থাকে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার জন্য সুনীল গাংগুলীর একটা কবিতা। পড়ছেন বোধহয়। তবুও দিলাম
উত্তরাধিকার
নবীন কিশোর, তোমায় দিলাম ভূবনডাঙার মেঘলা আকাশ
তোমাকে দিলাম বোতামবিহীন ছেঁড়া শার্ট আর
ফুসফুস-ভরা হাসি
দুপুর রৌদ্রে পায়ে পায়ে ঘোরা, রাত্রির মাঠে চিৎ হ’য়ে শুয়ে থাকা
এসব এখন তোমারই, তোমার হাত ভ’রে নাও আমার অবেলা
আমার দুঃখবিহীন দুঃখ ক্রোধ শিহরণ
নবীন কিশোর, তোমাকে দিলাম আমার যা-কিছু ছুল আভরণ
জ্বলন্ত বুকে কফির চুমুক, সিগারেট চুরি, জানালার পাশে
বালিকার প্রতি বারবার ভুল
পরুষ বাক্য, কবিতার কাছে হাঁটু মুড়ে বসা, ছুরির ঝলক
অভিমানে মানুষ কিংবা মানুষের মত আর যা-কিছুর
বুক চিরে দেখা
আত্মহনন, শহরের পিঠ তোলপাড় করা অহংকারের দ্রুত পদপাত
একখানা নদী, দু’তিনটে দেশ, কয়েকটি নারী —
এ-সবই আমার পুরোনো পোষাক, বড় প্রিয় ছিল, এখন শরীরে
আঁট হয়ে বসে, মানায় না আর
তোমাকে দিলাম, নবীন কিশোর, ইচ্ছে হয় তো অঙ্গে জড়াও
অথবা ঘৃণায় দূরে ফেলে দাও, যা খুশি তোমার
তোমাকে আমার তোমার বয়সী সব কিছু দিতে বড় সাধ হয় |
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার অনেক পছন্দের একটা কবিতা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দোস্তো জাহিদ, আমি সাজু, সিভিল এর....চিনছস? এ্যানির কলিগ। তোর লেখা পড়ে তো মন্তব্য করার ভাষা হারিয়ে ফেলছি দোস্তো। কি চমৎকার লেখা....
সাজু
তোকে চিনতেত আমার কষ্ট হবার কথানা বন্ধু।নিভা কেমন আছে? তোদের ছবি দেখলাম ফেইসবুকে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এই পোস্টটা অনেক বার পড়ে গিয়েছি। জানিয়ে গেলাম এবার। কিছু আবেগ মন্তব্যের ঊর্ধ্বে।
এই কথাটি আমি মনে প্রাণে মানি। অনেক ধন্যবাদ ইশতি
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
স্যার...
আপনার লেখা অসম্ভব ভালো হয়েছে... খুব ভালো লাগল....
অনেক ধন্যবাদ তন্ময়। নামটা বাংলায় লিখলে আরো ভাল হয়।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ্ভাই ল্যাবের মধ্যেই চোখ ভিজা গেল। তিন বছর হইতে চল্ল মা-বাপ দেখি না। আম্মু প্রতিদিন ফোনে জিজ্ঞেস করে, আব্বু কবে ডিফেন্স দিবা, কবে আসবা, সেপ্টেম্বরে একটু আস, নাইলে অক্টোবরে আস। কোন জবাব দিতে পারি না। কি কমু? বার বছর বাসার বাইরে, মা-বাপের সাথে খালি ফোনেই কথা হয়। তারপরও ফোনে হ্যালো কওয়ার সাথে সাথে মা ধইরা ফেলে আমার দিনটা কেমন গেছে, আমার মন খারাপ কিনা, আমি ক্লান্ত কিনা। হ্যালো কওয়ার সাথে সাথে বাপ বুইঝা ফেলে সবকিছু। আর সাথে আছে আমারে নিয়া চিন্তা। আমি যতই কই চিন্তা করেন কেন? আমি ভাল আছি; তাগো চিন্তা বন্ধ হয় না। আব্বু হাসে আর কয় " যেদিন বাপ হইবা সেইদিন বুঝবা কেন চিন্তা করি"।
এইটা মনে হয় সব বাপেরই কথা। মা-বাপ যদি জানত তাগো ছেলেমেয়েরা বিদেশে কেম্নে থাকে, তাইলে একটা মা-বাপ ও তাগো পোলাপান বাইরে পাঠাইত না।
কি জন্য এত কিছু কইলাম জানি না, কইতে ইচ্ছা করল।
খুব সুন্দর!
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
নতুন মন্তব্য করুন