ঐ দূর পাহাড়ের ধারেঃ পর্ব-২

সচল জাহিদ এর ছবি
লিখেছেন সচল জাহিদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৭/২০০৯ - ২:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কানাডিয়ান রকির পাঁচটি পার্কের মধ্যে চারটিই বর্তমানে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ হিসেবে বিবেচিত, ব্যানফ আর জ্যাসপার তার মধ্যে পড়ে। এই পার্কগুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য লেক যার সবগুলির বর্নণা দিতে বা ঘুরে দেখতে অনেক সময় প্রয়োজন। এখানকার লেকগুলির বিশেষত্ত্ব হলো এর পানির নীলাভ সবুজ রঙ। অধিকাংশ লেক আশেপাশের হিমবাহের বরফ গলা পানি থেকে সৃষ্ট এবং এই পানির প্রবাহ ঢাল বেয়ে আসার সময় খুব সুক্ষ শিলাকনা বয়ে নিয়ে আসে যা পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং এই বিশেষ রঙের সৃষ্টি করে।এই লেকগুলির মধ্যে সবচাইতে সুন্দর লেক লুইস, বিশেষ করে এর হিমবাহের অবস্থান ও আকৃতির কারনে। সে অংশটিতে সবাই যায় সেখানে দুটি হিমবাহ মিলে ইংরেজী V বর্ণের মত একটি আকৃতি নিয়েছে যার ভেতর দিয়ে দূরের আরো একটি হিমবাহ এবং এর বরফ দেখা যায়।

আমরা সকালে রওনা দিলাম সবাই লেক লুইস দেখার উদ্দেশ্যে। ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড থেকে রকির ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা হাইওয়ে ধরে আমরা চললাম, গাড়িতে তখন ফুল ভলিউমে চলছে ‘ঐ দূর পাহাড়ের ধারে’, ‘চলনা ঘুরে আসি’ আবার কখনো জন ডেনভারের ‘কান্ট্রি রোডস’।বছরের এই সময়টাতে এখানে পর্যটকের সংখ্যা সবচাইতে বেশী আর হাইওয়ে গুলিও দুই লেনের, তাই আমরা খুব ধীরে ধীরেই যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ডানপাশে লক্ষ্য করলাম এক অসাধারন দৃশ্য, উচু দুই পর্বত আর তার তার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে দূরের কোন হিমবাহ। পাদদেশে বয়ে ঢাল বেয়ে বয়ে আসা শিলা কনা আর ভ্যালিতে সৃষ্ট লেক। এই লেকটির নাম জানিনা কিন্তু দেখে ভাল লেগে যাওয়ায় রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে সবাই নেমে পড়লাম।



DSC02556

ছবিঃ উচু দুই পর্বত আর তার তার ফাঁক দূরের কোন হিমবাহ, পাদদেশে বয়ে ঢাল বেয়ে বয়ে আসা শিলা কনা আর ভ্যালিতে সৃষ্ট লেক।

এখানে কিছু সময় কাটিয়ে আমরা আবার গাড়িতে চেপে বসলাম। দুপুর নাগাদ আমরা পৌছে গেলাম লেক লুইসের ধারে। আমি আগেই বলেছি লেক লুইস এখানকার লেক গুলির মধ্যে সব চাইতে সুন্দর, আর তাই পর্যটকের ভীরও এখানে সব চাইতে বেশী। গাড়ি থামিয়ে আমরা সবাই চললাম V আকৃতির সেই জায়গাটির সামনে। চলল আনলিমিটেড ফটসেশন আর সেই সাথে সবার বাহারী ঢঙের পোজ। এখানে নৌকায় করে ঘোরা যায় কিন্তু আমাদের সময়ের সল্পতার জন্য সেই পরিকল্পনা বাদ দিলাম।



DSC02623

ছবিঃ লেক লুইসের সামনে আমরা পুরো টীম, বা’দিক থেকে ফারহান, রাকিব, সৈকত (দাঁড়িয়ে), রাজিব (বসে),রিপন, তাজুল, আমি,ফয়সাল,শাবিব, হামিদ ভাই, নজরুল ও ইমরান।

আগে থেকেই ঠিক করে এসেছিলাম যে লেক লুইস থেকে জ্যাসপার যাবার পথে আমরা মরেইন লেকের ধারে বসে দুপুরের খাবার খাব। লেক লুইস থেকে মরেইন লেক মাত্র ১৩ কিলোমিটার কিন্তু অসম্ভব আঁকাবাঁকা আর একদিকে খাদ বলে যেতে প্রায় আধঘন্টা লেগে যায়। পর্যটকের প্রতুলতার কারনে আমরা লেক থেকে বেশ খানিকটা দূরে গাড়ি রেখে খাবারের সরঞ্জাম নিয়ে হাটা শুরু করলাম। বাসা থেকেই ভুনা খিচুড়ী আর গরুর মাংস একসাথে রান্না করে নিয়ে এসেছিলাম আর সেই সাথে ছিল নজু’র পোর্টেবল বার্বিকিউ মেশিন। মিনিট দশেক হেটে আমরা মরেইন লেকের ধারে পৌছালাম। এই লেকটিও হিমবাহের গলা বরফ থেকে সৃষ্ট এবং একপাশে পাথর স্তুপ করে পানি সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা আছে, পানির স্তর একটি নির্দীষ্ট উচ্চতায় গেলে তা একটি নদীতে গিয়ে পড়ে।



DSC02642

ছবিঃ মরেইন লেক।


আমরা বার্বিকিউ মেশিনটাকে চুলা বানিয়ে খাবার গরম করা শুরু করলাম। আশে পাশের সবাই ব্যাপারটিতে এত মজা পেয়েছে যে বাঙালী খাবারের সুগন্ধেই হোক আর আমাদের অভনব কায়দায় খাবার গরম করার কৌশল দেখেই হোক যারাই আমাদের পাশে দিয়ে যাচ্ছে একবার করে সাধুবাদ জানিয়ে যাচ্ছে। দেশে থাকতে কখনো চিন্তাও করেনি যে একসময় রকি পর্বতমালার কোন এক লেকের ধারে বসে গরু আর ভুনাখিচুড়ী খাব। আমরা খাওয়া দাওয়া শেষ করে আরো কিছু সময় কাটিয়ে সব কিছু গুছিয়ে আবার যাত্রা শুরু করলাম জ্যাসপারের উদ্দেশ্যে।



DSC02645

ছবিঃ চলছে খিচুড়ী গরম করার কাজ।

মরেইন লেক থেকে জ্যাসপার প্রায় ২৫০ কিলোমিটার, পথে পড়ে কলম্বিয়া আইসফিল্ড আর আথাবাসকা জলপ্রপাত। কলম্বিয়া আইসফিল্ড প্রায় ৩২৫ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত আর এর পুরুত্ত্ব জায়গা ভেদে ১০০ থেকে ৩৬৫ মিটার এবং আটটি হিমবাহের নিয়মিত বরফের যোগান দেয় এটি, যার মধ্যে একটি হলো আথাবাসকা হিমবাহ [১]। শুনে এসেছি এটির বিশেষত্ত হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের বাসে চড়ে আথাবাসকা হিমবাহের উপরে উঠা যায়। যাবার পথে যেহেতু এটি সবার চোখেই পড়বে আর আমাদের আলো থাকতেই জ্যাসপার পৌছতে হবে তাই পরিকল্পনা হলো যে আইসফিল্ডে না নেমে আমরা পথে আথাবাসকা জলপ্রপাতে নামব। সন্ধ্যা নাগাদ আমরা পৌছালাম আথাবাসকা জলপ্রপাতে।আথাবাসকা হিমবাহ থেকেই আথাবাসকা নদীর উৎপত্তি যা এখানে এসে পরিনত হয়েছে আথাবাসকা জলপ্রপাতে। উচ্চতার দিক দিয়ে তেমন কিছুই না বিশেষ করে যেখানে কানাডাতে নায়াগ্রা জলপ্রপাত রয়েছে সেখানে এটি নগন্য মাত্র কিন্তু আমাদের অনেকেরই জীবনের প্রথম জলপ্রপাত দর্শন তাই স্বভাবতই ভাল লেগে গেল।



DSC02718

ছবিঃ আথাবাসকা জলপ্রপাত।

আমরা ঘুরে ঘুরে জলপ্রপাতটির ভিন্ন ভিন্ন ভিউপয়েন্ট থেকে এর ছবি নিলাম। খাড়া পাথরের মাঝখানদিয়ে জলপ্রপাতটির নিচে যাবার জন্য সিড়ি বানানো আছে, আমরা সেটি বেয়ে নিচে নামলাম।


DSC02734
ছবিঃ খাড়া পাথরের মাঝ খান দিয়ে নিচে নামার সিড়ি।

এভাবে প্রায় আধঘন্টা পেরিয়ে গেলেও যখন আমাদের দ্বিতীয় দলটি এসে পৌঁছালোনা তখন আমরা কিছুটা বিরক্তি অনুভব করলাম। এখানে বাংলাদেশের মত অবস্থা না যে প্রত্যন্ত গ্রামে বসে বাঁশ বাগানের ভেতরেও মোবাইল নেটওয়ার্ক পাব। সুতরাং অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার ছিলনা। আরো খানিকক্ষন পার হবার পর সত্যিকার অর্থেই আমাদের বিরক্তি শঙ্কাতে রূপ নিল এবং পরিকল্পনা করলাম গাড়িতে বসে রেডিও ছেড়ে কোন খবর পাবার জন্য অথবা জরুরী ৯১১ কল করার জন্য, কারন আমরা দুই গাড়ি একসাথে রওনা দিয়েছি এবং রাস্তা ভূল করারো কিছু নেই। যাই হোক আমরা যখন গাড়ির দিকে যাচ্ছি তখন দেখি আরেক গ্রুপ আসছে, জানা গেল তারা আসার পথে আরো একটা জলপ্রপাত পেয়ে সেখানে ঘুরে এসেছে। শঙ্কা মুক্ত হয়ে আরো কিছুক্ষন ঘোরা ফেরা করে মজার মজার ছবি তুলে আমরা রওনা দিলাম জ্যাসপারের উদ্দেশ্য।



DSC02747

ছবিঃ একের ভেতর পাঁচ।


DSC02760
ছবিঃ বেচারা ফারহান ( সামনে বসে)।

জ্যাসপার চারিদিকে পর্বতে ঘেরা শান্ত ছোট্ট একটি পর্যটন শহর। আগেই বলেছি স্বল্প খরচে ভ্রমনের সব টেকনিক আমাদের জানা। জ্যাসপারে যে হোটেলটিতে আমাদের থাকার কথা সেটি একটি দুই বেডরুমের ডুপলেক্স আর সাথে একটি লিভিং রুম। মূলত চার জনের জন্য বুকিং দেয়া, তাই হোটেলে গাড়ি থামিয়ে আমাদের চার জন চেক ইন করে আসল আর আমরা আস্তে ধীরে এক এক করে ঢুকে পড়লাম। সারাদিন ভ্রমনের পরে রাজ্যের ক্লান্তি সবার শরীরে, কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে প্রয়োজনীয় মালপত্র নামিয়ে আমরা লেগে পড়লাম রাতের খাবারের কাজে। এই হোটেলটিতে রান্না ঘর ছিল তাই আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এসেছিলাম রাতে ডাল-ভাত, আর সেই সাথে আলু ভর্তা আর ডিমভাজি খাব। সবই ঠিক ছিল কিন্তু রান্না করতে গিয়ে দেখা গেল আলু ভর্তা করার সরিষার তেল আর ডাল রান্না করার হলুদ আনা হয়নি। অগত্যা হলুদ বিহীন ডাল আর গরম করা ক্যানোলা তেল (সয়াবিন তেলের মত) দিয়ে আলুভর্তা করার হলো। সবার গোগ্রাসে খাওয়া দেখে বোঝার উপায় ছিলনা আসলে আমাদের কোন গলদ ছিল কিনা। খাওয়া দাওয়া শেষে হামিদ ভাইয়ের লাল চা আর সেই সাথে বারান্দায় বসে সামনে পাহাড় দেখতে দেখতে তৃপ্তির সিগেরেট। ভাবলাম কিছুটা সময় বাইরে হেঁটে আসি কিন্তু বের হয়ে বুঝলাম প্রচন্ড বাতাস তাই বেশি দূর এগোনো গেলনা। আগের দিন ক্যাম্পিংইয়ে থাকায় কারোরই ভাল ঘুম হয়নি তার পর শান্তির গোসল আর পেটে ভাত পড়ায় সবারই চোখে তখন রাজ্যের ঘুম। পরদিন সকালের নাস্তার থাকার কথা পান্তা-ইলিশ আর চিংড়ী ভর্তা, তাই আরো কিছু ভাত রান্না করে তাতে পানি দিয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম।

(চলবে)

ছবিঃ রাজিব

তথ্যসুত্রঃ

[১] উইকিপিডিয়া


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দারুণ লাগলো। লেক লুইস মনে হলো বেশী বড় নয়, তাই কি?

মরেইন লেক আর খাড়া পাথরের মাঝখান দিয়ে নামা সিড়ির ছবিটা খুবই ভাল্লাগছে।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ পিপিদা

ব্যাপ্তির দিক থেকে লেক লুইস ছোটই বলা চলে, মাত্র ০.৮ বর্গ কিলোমিটার (তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া)। এর পাশে দিয়ে এটিকে ঘিরে হাঁটার জন্য রাস্তা আছে। উপড়ে উঠার জন্য হাইকিং ট্রেইলও আছে।

মরেইন লেকটা আমারও খুব পছন্দের।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেক লুইসের যত ছবি দেখেছি সবই এরকম। আপনারা ভিন্ন এ্যাংগেল থেকে তোলেননি?

আগের দিন ক্যাম্পিংইয়ে থাকায় কারোরই ভাল ঘুম হয়নি
ক্যাম্পিং এর সমস্যা কি? আমি কখনোই ক্যাম্পিংএ যাইনি। এবার বউ-বাচ্চা নিয়ে যাবো ভাবছি। আপনাকে ফোন দিতে হবে, ক্যাম্পিং-এ কি কি লাগে-- এসব জানতে।

সচল জাহিদ এর ছবি

পিপিদা ছবি দিচ্ছি বলে 'জবাবে' না দিয়ে নতুন কমেন্ট আকারেই দিচ্ছি।

লেক লুইসের এই এঙ্গেলে ছবিটাই সবচাইতে ভাল মত তোলা যায় আর V আকারটাও আনা যায়। আমি গতবার যখন গিয়েছিলাম আরো কিছু এঙ্গেলে চেষ্টা করেছিলাম তার কয়েকটা দিলাম নিচে।

lakelouise_1

lakelouise_2

lakelouise_3

lakelouise_4

ক্যাম্পিংয়ে সমস্যা তেমন নেই তবে অনেক রাত জাগা হয় তাই ঘুম তেমন হয়না। আর ঠান্ডা ভালই পড়েছিল। আমরা যদিও প্রথম ক্যাম্পিং হিসেবে বিদ্যুৎ এর পয়েন্ট আছে সেরকম একটা সাইটে গিয়েছিলাম এবং ছোট দু'টি রুম হিটারও নিয়ে গিয়েছিলাম। আপনি দরকার হলে ফোন দিয়েনঃ ৭৮০ ৯০৪ ০৮৯৯

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার ছবি দেখে ঠাশ-দ্রুম করে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম। এতো সুন্দর যে গায়ে কাঁটা দেয়।

কবে যে যাবো কানাডার পাহাড়ে!

সচল জাহিদ এর ছবি

চলে আসেন এইদিকে, একসাথে ঘোরা যাবে।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার কাছে সামার-এ মরেইন লেকটাই বেশি সুন্দর লাগে...লেক লুইসের অন্য প্রান্ত থেকে দেখতেও ভাল লাগে...আর পারলে একবার উইন্টারে লেক লুইস ঘুরে যান...সে এক অন্য অনুভূতি!!! হেঁটে পার হওয়া যায়...অথবা চাইলে ঘোড়ায় চড়েও...একটা ফলস জমে বরফ হয়ে যায় আর সেটার রঙ হয় সবুজ!! আর কিছু পাগল সেই সবুজ বরফ ধরে উঠতে থাকে...

সচল জাহিদ এর ছবি

উইন্টারে একবার যাবার ইচ্ছে আছে, শুধু স্নো'র মধ্যে ড্রাইভ করার ভয়ে আছি, দেখা যাক সামনের ক্রিসমাসে একটা পরিকল্পনা করতে হবে।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার নাম হাইজ্যাক করে কে আপনাদের সঙ্গে এতো সুন্দর একটা জায়গা ঘুরে আসলো? তারে আইপিসহ ব্যাঞ্চাই...

দারুণ লাগলো পড়ে। আফসোস নাই, আমিও ঘুরে আসছি সিলেট থেকে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

নজু ভাই, থাক বাদ দেন, আপনি পারলে এইহানে চইলা আসেন , জম্পেশ আড্ডা আর ঘুরাঘুরি হবে।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

একরাশ হিংসা।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

সচল জাহিদ এর ছবি

শিমুল আপা

একরাশ হিংসার বিনিময়ে একরাশ ধন্যবাদ আর একরাশ আমন্ত্রন পরবর্তী ভ্রমনে যোগ দেবার জন্য।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সিরাত এর ছবি

ভাল লাগলো!

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যব্যদ সিরাত

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভালো লাগলো। ক্যানাডিয়ান রকি দেখতে যাবার ইচ্ছে আছে অনেকদিনের।

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

ছবিগুলো অসাধারণ...পর্বতে গিয়ে ভূনা খুচূড়ি আর গরুর মাংস!- ভাবতেই ভাল লাগছে...

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

সচল জাহিদ এর ছবি

ধন্যবাদ রিজভী। আসলেই বাঙ্গালী খাবার এখন রকিতেও পৌঁছে গেছে।

-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।