প্রিয় পাঠক শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই অতি গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়ে দেরী হওয়াতে, বিশেষ করে একাধিক পাঠক ও সচলদের কাছে থেকে অনুরোধ আসার পরেও। আমার বিলম্বের কারন মূলত দূটি, প্রথমতঃ আসলে এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রে, ব্লগে ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে অসংখ্য লেখা বেরিয়েছে এবং যার অধিকাংশগুলিতেই বিচ্ছিন্ন ভাবে সমস্যা গুলি তুলে ধরা হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি এই সময়ের মধ্যে এই লেখাগুলি নিয়ে পড়াশুনা করতে যাতে সামগ্রিক ভাবে এই বিষয়গুলিকে সহজভাবে সবার কাছে তুলে ধরতে পারি, আর দ্বিতীয়তঃ আমি চেষ্টা করেছিলাম প্রকৌশল ও পরিবেশগত কিছু তথ্য সংগ্রহের। আরেক সচল
দিগন্ত আমাকে সেই ব্যাপারে সার্বিক সহযোগীতা করেছে। সেজন্য শুরুতেই তাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আরো কিছু তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং আশা করছি তা এই সিরিজ লেখায় বাড়তি কিছু সাহায্য করবে। আমি চেষ্টা করব কয়েকটি পর্বে সামগ্রিক ভাবে আলোচনা করতে। এই সব নিরস লেখার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাঠকদের আগ্রহ ধরে রাখা কষ্টসাধ্য তার পরেও আশা করছি দেশের জন্য এই গুরুত্ত্বপূর্ন বিষয়টিতে সবার আগ্রহবোধ থাকবে।
ভূমিকাঃ
পানির অবাধ শক্তিকে মানুষের কাজে লাগানোর ইতিহাস অনেক পুরানো। খ্রীষ্ট্রপুর্ব ৩০০০ সালে জর্ডানে প্রথম বাঁধ নির্মানের উদ্যোগের কথা জানা যায়। মাত্র ৯ মিটার উঁচু আর ১ মিটার চওড়া সেই বাঁধের মধ্য দিয়ে [১] পানিকে আটকে শক্তি সঞ্চয়ের যে ইতিহাস শুরু হয়েছিল তা আজও অব্যহত আছে। একসময় আমরা শক্তি নিয়ে বেশী চিন্তিত ছিলাম আর আজ তার সাথে যুক্ত হয়েছে পরিবেশ।এই সুন্দর পৃথিবীটাকে আরো বেশী দিন মানুষের এবং অন্যন্য জীবের বাসযোগ্য করে রাখার জন্য প্রয়োজন সব ধর্মের, বর্ণের, গোত্রের সর্বোপরি সকল দেশের মানুষের সমন্বিত প্রচেষ্টা। ‘যেকোন বাঁধই পরিবেশের উপর ফেলে একটি বিরূপ প্রতিক্রিয়া’ এই চরম সত্যটি বুঝতে আপনাকে পানি বা পরিবেশ বিশেষজ্ঞ হবার কোন প্রয়োজন নেই। ছোটবেলায় ম্যাকগাইভার সিরিজের একটি পর্বের কথা এখনো মনে আছে। সম্ভবত একটি এলাকায় আগে স্বাভাবিক ভাবে বন্যা হত এবং তাকে কেন্দ্র করে একটি বাস্তুতন্ত্র ছিল। ড্যাম নির্মানের কারনে ঐ এলাকায় একপাশে বন্যা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এক ধরনের পোকার উপদ্রুপ বেড়ে যা সেখানকার মানুষদের স্বাভাবিক জীবন যাপনকে বলতে গেলে দূর্বিসহ করে তুলে। পর্বটির শেষে ড্যামটিকে উড়িয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হয়।আমার এই কথাগুলিকে ভূমিকা হিসেবে দেখলে আজকের এই লেখনীর বিষয়বস্তু পরিষ্কার হয়ে উঠে, বাংলাদেশ আজ একটি ভয়ঙ্কর সমস্যার মুখে পতিত, আমরা এখনো বিষয়টি পরিষ্কার বুঝতে পারছিনা তাই আসল চিন্তা না করে রাজনীতির কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে ব্লগে, সংবাদপত্রে, টিভিতে, জনসভায় আলোচনা হচ্ছে, কুটনৈতিক পর্যায়ে মতানৈক্য চলছে, বিভিন্ন দলের বিশেষজ্ঞদের নাম জানা যাচ্ছে কিন্তু তার পরেও আমরা পনের কোটি মানুষ শান্তিতে ঘুমোচ্ছি। সুনামগঞ্জের হাওড় এলাকার দরিদ্র কৃষকটি, যার সারা বছরের খাবার আর জীবন যাপনের একমাত্র অবলম্বন বোরো ধান, কিংবা দরিদ্র জেলেটি যার খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা নির্ভর করছে বর্ষাকালের হাওড়ের মাছের উপর সেও শান্তিতে ঘুমুচ্ছে কারন সে জানেনা কি ভয়াবহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তার জন্য। ফাঁরাক্কা ব্যারেজের কারনে আমাদের উত্তাল প্রমত্তা পদ্মা আজ যৌবন হারিয়েছে সেই সাথে ধুকে ধুকে মরছে এর শাখানদীগুলো। ১৯৭৪-৭৫ সালে নির্মিত ফাঁরাক্কা ব্যারেজের ফলে ভারতের একচেটিয়া পানি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে একটি চুক্তি করতে কুটনৈতিক আলোচনা গড়িয়েছে ২০ বছর, আর এই সুদীর্ঘ সময়ে আমরা হারিয়েছি আমাদের নদীর নাব্যতা, আমাদের ফসলের জমি হারিয়েছে তার উর্বরতা, লবনাক্ততা এসে গ্রাস করেছে আমাদের অহংকার সুন্দরবনকে, ইবনে বতুতার সবুজ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পরিনত হয়েছে শুষ্ক মরুভূমিতে। এই অতীত থেকেও আমরা শিক্ষা গ্রহন করতে পারিনি, আজ ভারত টিপাইমুখে বাঁধ নির্মান করার সব প্রস্তুতি যখন নিয়ে ফেলেছে ঠিক সেই মূহুর্তেও আমরা জাতি হিসেবে একতাবদ্ধ হতে পারছিনা, আমার দেশে দাঁড়িয়ে ভিনদেশের দালাল বুক উঁচিয়ে বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছে, এদেশেরই একশ্রেনীর বিশেষজ্ঞ এই প্রকল্পের বাংলাদেশের সুবিধার ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছে আর আমাদের সূর্য্য সন্তান রাজনীতিবিদেরা এটাকে নিয়ে ক্ষমতা দখলের রসদ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।শুধু একটা কথা মনে করিয়ে দেই পদ্মা গেছে, আজ টিপাইমুখ বাঁধ আর সেইসাথে ফুলেরতল ব্যারেজ যদি নির্মিত তাহলে মেঘনা যাবে, তখন বাকি থাকবে শুধু ব্রহ্মপুত্র (যমুনা), সেটারও বারোটা বাজিয়ে দেবে ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে। এগুলো সব ভারতের উচ্চাভিলাষী রিভার লিঙ্কিং প্রকল্পের এক একটি ধাপ।
পানিবিদ্যুৎ বাঁধ ও ব্যারেজ কি ?
সাধারন পাঠকদের জ্ঞাতার্থে মূল আলোচনায় যাবার পূর্বে আমি পানি প্রকৌশলগত কিছু জিনিস ব্যখ্যার প্রয়োজন অনুভব করছি, কারন আমরা অনেক সময়ই বাঁধ ও ব্যারেজকে এক করে গুলিয়ে ফেলি। পানি প্রকৌশলগত ভাবে সাধারনত বাঁধ হলো নদীতে আড়াআড়ি ভাবে অর্থ্যাৎ প্রবাহের সাথে সমকোনে স্থাপিত কোন প্রতিবন্ধক যা কিনা প্রবাহকে সম্পূর্ন ভাবে বন্ধ করে দেবে। পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের মূল স্থাপনা হলো একটি বাঁধ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাপ্তাই বাঁধকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে। সাধারনত একটি খরোস্রোতা নদীর প্রবাহকে একটি বাঁধ দিয়ে আটকে এর উজানে জলাধার তৈরী করে পানির উচ্চতা বাড়ানো হয়। আমরা যারা সাধারন বিজ্ঞান পড়েছি তারা জানি এতে পানির স্থিতিশক্তি বেড়ে যাবে যা কিনা উচ্চতার সমানুপাতিক। পানিকে শুধু আটকে রাখলেই হবেনা, একটি নির্দীষ্ট উচ্চতায় যাবার পড়ে জলাধারের নিম্ন দিয়ে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে এই পানিকে প্রবাহিত করতে হবে, হলে স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হবে এবং প্রচন্ড বেগে পানি প্রবাহিত হবে। পানির সেই বেগকে কাজে লাগিয়ে আমরা টারবাইন ঘোরালে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। সুতরাং বিদ্যুৎ উৎপাদন যত বাড়ানো হবে তত জলাধার থেকে ছেড়ে দেয়া পানির পরিমান তত বাড়বে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পনির প্রবাহ বাড়লে তা জলাধারে আটকে রাখা হবে সুতরাং বাঁধের পরে ভাটি অঞ্চলে পানির প্রবাহ কমে যাবে, আরো ভাল করে বললে ঠিক তততুকুই পানি যাবে যা টারবাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে উজান থেকে পানি কম আসলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন করার তাগিদে জলাধার থেকে নিয়মিত ভাবে পানি ছাড়তে হবে ফলে বাঁধের ভাটিতে পানির প্রবাহ আগের থেকে বাড়বে। বাঁধের ভাটিতে পানির এই বাড়া বা কমার পরিমান নির্ভর করবে মূলত উৎপন্ন বিদ্যুতের পরিমানের উপর।
অন্যদিকে ব্যারেজ হলো নদীর পানিকে একাধিক গেইট দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ভাবে প্রবাহিত করে এর উজানে পানির উচ্চতা কিছুটা বাড়ানো, প্রকৌশলগত ভাবে এই বর্ধিত উচ্চতাকে এফ্লাক্স বলে। ব্যারেজের ঠিক উজানে এক বা একাধিক কৃত্রিম খাল খনন করা হয় যার মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ভাবে পানি প্রবাহিত করে অভিকর্ষের প্রভাবে আরো ছোট ছোট খাল দিয়ে (তিস্তা ব্যারেজ, বাংলাদেশ) বা পাম্পের মাধ্যমে ( জি কে প্রকল্প, বাংলাদেশ) আবাদী জমিতে সেচ দেয়া হয় অথবা অন্য কোন নদীতে পানি প্রবাহ বাড়ানো হয় ( যেমন ফাঁরাক্কা ব্যারেজ)। অর্থ্যাৎ ব্যারেজের মূল লক্ষ্যই থাকে একটি নদী থেকে পানি অপসারণ, অন্যদিকে বাঁধের মূল উদ্দেশ্য উজানে পানি সঞ্চয়। আরো এক ধরনের স্ট্রাকচার আছে এমব্যাঙ্কমেন্ট বা ডাইক, যাকেও আমরা সাধারন ভাষায় বাঁধ বলে থাকি আর তা হলো একটি নদীর সমান্তরালে স্থাপিত উঁচু প্রতিবন্ধক বা রাস্তা বিশেষ ( যেমন আশুলিয়ায় তুরাগ নদীর ধার দিয়ে ঢাকা রক্ষা বাঁধ)। এর কাজ মূলত বন্যার সময় পানিকে নদীর একপাশে বা দুই পাশেই না যেতে দেয়া।
টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প ও এর ইতিহাসঃ
বারাক নদী থেকে পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের ধারনা আসে মূলত বন্যা নিয়ন্ত্রনের চাহিদা থেকেই। অনেক আগে সেই ১৯৩০ সালের দিকে যখন আসামের কাছাড় উপত্যকায় এক ভয়াবহ বন্যা সংঘটিত হয় তার পর থেকেই মূলত একটি দীর্ঘমেয়াদী বন্যা নিয়ন্ত্রন পরিকল্পনা করা হয় যার অংশ হিসেবে ১৯৫৪ সালে ভারতের Central Water Commission (CWC) একটি বহুমুখী জলাধারের জন্য সমীক্ষার কাজ হাতে নেয় [২]। বাঁধ তৈরীর জন্য মাইনাধর, ভুবনধর ও নারাইনধর নামক আরো তিনটি প্রস্তাবিত স্থান প্রকৌশলগত কারনে বাতিল হয়ে যাওয়ায় ১৯৭৪ সালে টিপাইমুখ বাঁধের চুড়ান্ত স্থান হিসেবে নির্ধারিত হয়[২]। এই স্থানটি তুইভাই নদী ও বরাক নদীর সঙ্গমস্থল থেকে ৫০০ মিটার ভাটিতে এবং বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২০০ কিমি উজানে [২,৩]। এই বরাক নদীই বাংলাদেশে প্রবেশের আগে দু’ভাগ হয়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে প্রবেশ করেছে, যা পরিশেষে মিলিত হয়েই মূলত মেঘনা নদী গঠন করেছে। এই সুরমা-মেঘনা নদী সিস্টেম গঙ্গা বদ্বীপ তৈরীর তিনটি সিস্টেমের মধ্যে একটি।
নির্মানাধীন টিপাইমুখ বাঁধের সাধারন তথ্যবলীঃ
এই প্রকল্পের কিছু গুরুত্ত্বপূর্ন তথ্য[২] নিম্নে দেয়া হলঃ
- বাঁধের ধরনঃ এটি রকফিল ড্যাম অর্থ্যাৎ নদীর প্রবাহকে গ্রানুলার (দানাদার) মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে এবং পানির প্রবাহকে এক বা একাধিক পানি অভেদ্য স্তর ( যেমন স্টীল পাইল বা কনক্রীট, বা প্লাস্টিক পর্দা) দিয়ে রোধ করা হবে।
- বাঁধের উচ্চতাঃ ১৬২.৮ মিটার
- নুন্যতম বিদ্যুৎ উৎপাদন ৪৩৪ মেগাওয়াট তবে সর্বোচ্চ ১৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদনের ব্যবস্থা রাখা হবে।
- বাঁধের কারনে সৃষ্ট জলাধারের ফলে প্লাবিত এলাকা প্রায় ৩০০ বর্গকিলোমিটার যাত প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগই মনিপূর রাজ্যের আর বাকী ৫ ভাগ মিজোরাম রাজ্যের।
এই বাঁধ নির্মানে ভারতের ব্যাপক উৎসাহের পেছনে কিছু তথ্য [২]নিম্নরূপঃ
- উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষদের উন্নয়নের পথে নিয়ে আসা যাবে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের গড় বিদ্যুতের ব্যবহার যেখানে ২৭০ কিলোওয়াটঘন্টা সেখানে এই অঞ্চলে তা মাত্র ৮০ কিলোওয়াট ঘন্টা
- এটি বন্যা নিয়ন্ত্রন করবে যা বাৎসরিক ৪৫ কোটি রূপীর ক্ষয়ক্ষতি রোধ করবে।
- টিপাইমুখ ড্যাম প্রকল্প থেকে ৯৫ কিলোমিটার ভাটিতে ফুলেরতল ব্যারেজ নির্মানের প্রস্তাব রয়েছে যা পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ছেড়ে দেয়া পানিকে কাজে লাগিয়ে প্রায় ১,২০,৩৩৭ হেক্টর জমিকে সেচের আওতায় নিয়ে আসবে।
- প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট কৃত্রিম হ্রদে মৎস্য চাষের মাধ্যেমে বার্ষিক আয় হবে ১৪ কোটি টাকা
- প্রকল্প এলাকা একটি উৎকৃষ্ট পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হবে।
- সৃষ্ট হ্রদ উজানের এলাকার মানুষদের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করবে সেই সাথে প্রকল্পের ফলে বছরের বিভিন্ন সময় নদীর পানির গভীরতার উঠা নামা কমে যাওয়ায় কলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশ হয়ে শীলচর পর্যন্ত পন্য পরিবহণের সম্ভাব্যতা দেখা যাবে।
( চলবে )
তথ্যসুত্রঃ
[১] উইকিপিডিয়া
[২]Environment Impact Assessment (EIA) of Tipaimukh HE(M) Project, submitted for North Eastern Electric Power Corporation Limited (NEEPCO)
[৩] ডঃ জ়হির উদ্দিন চৌধুরী, ১২ জুলাই ২০০৯, ‘বরাক নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করা হলে তা হবে বিপদ জনক’, প্রথম আলোকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকার।
মন্তব্য
চলুক।
সাথে আছি।
আর একটা বিষয়, বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রন কৌশল কেমন হওয়া উচিত? বাঁধ দিয়ে নদীকে বশ মানিয়ে নাকি বন্যার সময় যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সেই ব্যবস্থাপনার সাংস্কৃতিক বিকাশ? এর আলোকে টিপাইমুখ বাধের প্রভাব কি?
বাংলাদেশের নদীগুলো উজান থেকে অসংখ্য পলি বয়ে নিয়ে আসে যা আমাদের নদীগর্ভে সঞ্চিত হলে এর গভীরতা ধীরে ধীরে কমে যাবে। বন্যা হলে এই পলি আমাদের কৃষিজ জমিতে ছড়িয়ে পড়ে এর উর্বরতা বাড়ায়, আর তাই যুগ যুগ ধরে এই এলাকায় ঘনবসতি বেশী। সুতরাং বন্যার আগেই যদি ফসল কাটা শেষ করে ফেলার ব্যবস্থা করা যায় সেটা সর্বোত্তম। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে রয়েছে সাবমার্জিবল এম্ব্যাঙ্কমেন্ট, অর্থ্যাৎ কিনা সে এম্ব্যাঙ্কমেন্ট ফসল কাটার আগ পর্যন্ত যতটুকু উচ্চতায় পানি আটকে রাখা প্রয়োজন ততটুকু উচু হবে এবং এর পরে ডুবে যাবে। তাতে রথও দেখা হবে কলাও বেচা যাবে।
এরকম আরো অনেক উদাহরন আছে বন্যা ব্যাবস্থাপনার। আশা রাখি ভবিষ্যতে এই নিয়ে একটা লেখা দিব।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আইডিয়াটা ইন্টারেস্টিং কিন্তু ঠিক কতটা উচ্চতা অবধি এই বাঁধ দেওয়া হবে সেটা কি ভাবে ঠিক করা হয়? জলের লেভেল তো খুব বড় ব্যবধানে ওঠানামা করে বিভিন্ন বছরে। ২০০৪ সালে বন্যার সময়ে যে জলের লেভেল ছিল তা তো ২০০০ সালের একই সময়ে জলের লেভেলের তুলনায় দ্বিগুণ। দ্বিতীয়ত, এই পদ্ধতিতে কৃষিজমি বাঁচানো সম্ভব হলেও ঘরবাড়ি, মানুষ ও গবাদি পশু কি ভাবে বাঁচানো যাবে? তৃতীয়ত, আমার ধারণা এতেও বেশ কিছু পরিযায়ী প্রজাতি মারা পড়বে। এটা আমার মনে হয় বন্যা নিয়ন্ত্রণের একটা মধ্যপন্থা - যাকে ব্যবস্থাপনা বলা হচ্ছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
প্রথমতঃ বাঁধের উচ্চতা ঠিক করা হয় ফসল কাটার সময়কার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতার উপাত্তের পরিসংখ্যাগত বিশ্লেষণ থেকে ( উদাহরণ সরূপঃ গাম্বল পদ্ধতি)।সেই সাথে রাখা হয় ফ্যাক্টর অফ সেইফটি।
দ্বিতীয়তঃ আমি উপরের মন্তব্যে শুধু একটি উদাহরণ দিয়েছিলাম। পুরো জিনিসটা ব্যাখ্যা করলে এরকম দাঁড়ায়, যে এলাকায় সবসময় বন্যা হবে সেখানে মানুষের ঘরবাড়ি, স্কুল, প্রতিষ্ঠান সবই একটি নির্দীষ্ট উচ্চতায় তৈরী করতে হবে। আসলে বন্যা ব্যবস্থাপনা আসার অনেক আগেও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের নিচু এলাকার মানুষেরা এই কাজ করে আসছে। আমি নিজে কিশোরগঞ্জের হাওড় এলাকা ঘুরে এসেছি, সেখানে সব বাড়ি ঘর , প্রতিষ্ঠান অনেক উচুতে তৈরী করা। বাংলাদেশের হাওড় এলাকায় এই সাবমার্জিবল এমব্যাঙ্কমেন্ট আর তার সাথে মানুষের বন্যার সাথে অভিযোজন বেশ সফল ভাবে চলে আসছে বেশ কিছু এন জি ও এর মাধ্যমে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পরিকল্পনা সুন্দর। আপনি বলার পরে আমার খেয়াল পড়ল আমার শহরে সব বাড়িই এরকম উঁচুতে বানানো - দামোদরের বন্যায় আগে সব ভেসে যেত। তবে যাতায়াত আর বিদ্যুত-যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনি এরকম বন্যা ব্যবস্থাপনার (বিশেষত বাংলাদেশের ওপর) ওপর কিছু লেখার লিঙ্ক দিতে পারেন? পরিকল্পনাটা ভাল লেগেছে।
এসব সত্ত্বেও বন্যায় ক্ষতি হয় কেন? বাংলাদেশের ২০০৪ সালের বন্যার ক্ষতির পরিমাণ দেখলাম প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের সমান। এটা কি কমানো সম্ভব ছিল?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দুটো প্রশ্ন -
ফুলেরতালের ব্যারেজ রিভার-ইন্টারলিঙ্কিং এর অংশ বলে মনে করা হচ্ছে কেন? এটার ফিসেবিলিটি স্টাডি পেয়েছেন কোথাও?
বাঁধের এত খারাপ দিক থাকা সত্ত্বেও বাঁধ বানানো হয় কেন? গত পঞ্চাশ বছরে বিশেষত উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে তো অনেক বাঁধ দেওয়া হচ্ছে ও হয়েছে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধরে নেই ফুলেরতল ব্যারেজ নির্মান করে আমাদের মেঘনা অববাহিকার পানির প্রবাহকেও কমিয়ে আনা হল। এখন কল্পনা করুন ২০২৬ এর পরের কথা যদি গঙ্গা চুক্তি নবায়ন না হয় তাহলে কি হবে একদিকে মেঘনা তার প্রবাহ হারাবে আর অন্যদিকে আমাদের প্রস্তাবিত (অথবা ততদিনে নির্মিত) গঙ্গা ব্যারেজ অকার্যকর হয়ে যাবে তখন আমাদের গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির জন্য ভারতের রিভার লিঙ্কিং প্রকল্পকে সমর্থন করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। এই ধারনাগুলি করার জন্য আপনাকে শার্লক হোমস হবার কোন প্রয়োজন নেই, একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলেই হয়। সব কিছু স্টাডিতে থাকেনা দিগন্ত তার প্রমান ভারতের টিপাইমুখ নিয়ে EIA রিপোর্ট, যা নিয়ে আমি পরবর্তী পর্বে লিখব।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমার ধারণামতে মেঘনা/বরাকের জল সরানো ভূপ্রাকৃতিক-ভাবে সম্ভব নয়। ফুলেরতালে ব্যারেজ হলে তা থেকে রিপোর্টের দাবীমত এক লাখ হেক্টর জমিতে সেচের জল দেওয়া হবে। কিন্তু এক লাখ হেক্টর জমিতে সেচের জন্য কত জল লাগতে পারে? বাঁধের কারণে অনেকটা জল তো গরমে উদ্বৃত্ত থাকেই। এরপরে গরমকালে জল কমবে কি ভাবে?
বাকি জল-রাজনীতির কথা সত্যি - কিন্তু আমি আশাবাদি ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক নদী-চুক্তি কার্যকর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ভারত ফারাক্কায় জলের অংশ ছাড়তে বাধ্য হবে । তাছাড়া নেপালে কিছু বাঁধ হলে গরমে আরো কিছু জল আসতে পারে।
২০২৬ সালের মধ্যে অবশ্য ভারতকে Water stressed হিসাবে ঘোষণা করবে ইউনেস্কো, সেক্ষেত্রে কি প্রতিক্রিয়া হবে সেটা ভাবা মুশকিল।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধারনা ভুল, বারাক নদী থেকে ভূপ্রাকৃতিক ভাবেই ব্যারেজ দিয়ে পানি অপসারণ সম্ভব।না হলে তা প্রকল্পের পরিকল্পনায় থাকত না।
হূট করে বলা যাবেনা। এটা অনেকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভর করবেঃ
উপরের তথ্যের ভিত্তিতে গানিতিক অংক কষে বের করতে হবে। যাই হোক আমি কিছু ধারনা দেই। বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের পরিকল্পনায় বোরো ও আমন ধান উৎপাদনের জন্য সাড়ে সাত লক্ষ হেক্টর জমির জন্য প্রায় ২৫৫ কিউমেক পানি সরবরাহের কথা বলা হয়েছে ( তথ্যসুত্রঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড) তাতে হেক্টর প্রতি পানির চাহিদা প্রায় ৩৫ কিউমেক।
নদী থেকে ব্যারেজ দিয়ে সেচের জন্য পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে সবচাইতে গুরুত্ত্বপূর্ন উপাত্ত হছে শুষ্ক মৌসুমে নদীর হিস্টরিকাল ন্যুনতম প্রবাহ। কারন এর দ্বারাই ব্যারেজের ভাটিতে কতটুকু ক্ষতি হবে তা নির্নয় করা যায়। আমি EIA রিপোর্টের হাইড্রোলজি চ্যাপটার ঘেটেও এই কোন উপাত্ত পাইনি, যা পেয়েছি তা হলো বেইজ প্রবাহ ( ৫০০ কিউমেক)। বেইজ প্রবাহ আর হিস্টরিকাল ন্যুনতম প্রবাহ এক জিনিস না। যাই হোক আলোচনার খাতিরে (অভিজ্ঞতা থেকে )ধরে নেই ন্যুনতম প্রবাহ ২০০ কিউমেক, আর ফুলেরতল ব্যারেজের সেচ এলাকা যদি হয় এক লক্ষ বিশ হাজার হেক্টর তাহলে গড়ে পানির প্রয়োজন ৪০-৪৫ কিউসেক (যদি ধরে নেই তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও ফুলেরতল ব্যারেজ এলাকার সব কিছু এক)।
এটা পড়ে সবচেয়ে মজা পেয়েছি। টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের জন্য ভাল এই প্রেসক্রিপশন যারা দেন তারা বলেন যে বর্ষাকালে পানি কম পেলে তোমাদের দেশে বন্যার প্রকোপ কমবে আর শুষ্ক মৌসুমে পানি বেশী পেলে তোমাদের নদী শুকিয়ে যাবেনা। আমি বিস্তারিত আলোচনায় পরবর্তী পোষ্টে যাব, শুধু একথা জানিয়ে রাখি বাঁধ হালাল করা হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে পানির লোভ দেখিয়ে আবার সেই বাড়তি পানিকে সেচের কাজে লাগানোর পরিকল্পনার সময় বলা হচ্ছে পানিত উদ্বৃত্তই থাকছে, ব্যাপারটা হাস্যকর নয় কি ?
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
"সরানো" বলতে আমি অন্য বেসিনে নিয়ে যাবার কথা (ইন্টারলিঙ্কিং) বলছিলাম।
আমি আপনার যুক্তি বুঝলাম না। ধরা যাক প্রকল্পের দাবীমত শুখা মরসুমে গড়ে ২০০ (১৭০-২৫০ কিউমেক - বাংলাদেশ FAP 6) কিউমেকের জায়গায় ৫০০ কিউমেক (একই রিপোর্টের দাবী) আসবে। তার থেকে ৫০ কিউমেক জল ব্যারেজ ডাইভার্ট করলেও ৪৫০ কিউমেক জল পড়ে থাকে। তাহলে আগের তুলনায় এখনও ২৫০ কিউমেক জল শুখা মরসুমে বেশীই থাকল। আমি কি ভুল হিসাব করলাম?
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
প্রথমতঃ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আনবিক শক্তি বাদ দিলে ( আমি এই বিষয়ে খুব বেশি কিছু জানিনা) পানিবিদ্যুৎ প্রকল্প অর্থনীতির দৃষ্টিকোন থেকে লাভজনক আর তাই সারা বিশ্বেই এটি খুব জনপ্রিয় এবং আমেরিকা, কানাডাতে প্রচুর পরিমানে এই ধরনের বাঁধ রয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ আমরা পরিবেশ নিয়ে গত পঞ্চাশ বছরে এতটা উৎসুক ছিলামনা যতটা আজকে আছি। আগে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের প্রয়োজন দেখা হত আর এখন মানুষই শুধু না সেই সাথে জীববৈচিত্রের ভালমন্দ দেখভাল করার দায়িত্ত্বও আমাদের কারন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি আমাদের বেচে থাকা আসলে নির্ভরশীল একটি পরিপূর্ন বাস্তুসংস্থানের উপর। সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এই সব কিছু সম্পর্কিত, আর তাই আমরা আজ পরিবেশ নিয়ে অনেক সচেতন।
তৃতীয়তঃ পরিবেশ ও উজান-ভাটির অববাহিকায় ন্যুনতম প্রভাব ফেলে ও উজান ভাটি দুই পক্ষের স্বার্থ মোটামুটি চিন্তা ভাবনা করে যে বাঁধগুলো নির্মিত হয় তা এতটা বাঁধার মুখে পরেনা, উদাহরণ সরূপ কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বা কুইবেক প্রভিন্সের পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
কানাডায় যেভাবে বাঁধ দেওয়া সম্ভব সেটা উপমহাদেশে বা চিনে দেওয়া সম্ভব নয় - কারণ এখানে অধিকাংশ মানুষই কোনো না কোনো ভাবে নদীর ওপর নির্ভরশীল। বাঁধের জন্য যথেষ্ট মানুষের ক্ষতি হয়েছে এই অঞ্চলে।
গত পঞ্চাশ বছরে অধিকাংশ বাঁধই হয়েছে চিনে। চিনে আগে বন্যায় লাখে লাখে লোক মারা যেত, সবথেকে বড় বন্যায় ১৯৩১ সালে ৩০ লক্ষ লোক মারা গিয়েছিল। (লিস্ট)
জাপানকে বাঁধের দেশ বলা যায়। এখানে বৃষ্টি হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই জল ড্রেন আউট হয়ে সমুদ্রে চলে যায়। তাই জাপানীরা সারাদেশে বাঁধ দিয়ে জল ধরে রাখে।
ভারতে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হত খরায় - শুখা মরসুম আর বর্ষার জলের প্রাপ্তির পার্থক্যের কারণে। বাঁধ আর জলাধার এখানেও শুখা মরসুমে জল সরবরাহ করে। তবে উভয় দেশেই বাঁধের কারণে অনেক পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে। আমি দুরকম মতই পড়েছি - বাঁধ না হলেও মানুষের ক্ষিধের কারণে পরিবেশ বাঁচানো সম্ভব হত না (যেমনটা এখন হয় ইথিয়োপিয়ায় - ইথিয়োপিয়ার সাথে ভারতের মাথাপিছু জলের প্রাপ্যতা প্রায় সমান কিন্তু ইথিয়োপিয়ায় প্রায় প্রতি বছর খরা হয়), আরেকদল বলেন বাঁধের জলাধারের কারণে মানুষকে উৎখাত করা ও পরিবেশ সংক্রান্ত যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। কোনটা ঠিক তা নিয়ে এতটাই মেরুকরণ হয়ে গেছে যে নিরপেক্ষ রিপোর্ট পাওয়াই দুষ্কর।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
বাঁন দিবার আইলে ভারতের আত পাউ কাইটা হালামু।
লেকা ভালো হইছে।
শাপলু অরাত বান দিবার নিগ্যা এনে আবোনা, অগো দেশে থিকাই দিব তাইলে আত পা কাটবি কিবা ?
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমরা কি আতপাউ কাঠার নিগ্যা এনে বইয়া থাহুম রে? বিজ্ঞান বুজস, অপবিজ্ঞান বুজস না, ক্যামনে কতা?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পড়ছি
অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
খুবই প্রয়োজনীয় লেখা। অনেকদিন যাবৎ অপেক্ষায় ছিলাম। পূর্ণ গতিতে চলুক।
অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অপেক্ষায় রইলাম
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অনেক ধন্যবাদ নজু ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আরেকটু প্যারা করে দিলে পড়তে সুবিধা হয়
পরের পর্ব দৌড়ে আসুক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য। পরবর্তী পর্ব থেকে চেষ্টা করব।
পরের পর্ব দুই তিন দিনের মধ্যেই দেবার চেষ্টা করব।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ...বাকিটুকুর অপেক্ষায় আছি। আমি হতাশাবাদী...তাই মনে হচ্ছেনা আমরা এই বাঁধ রুখতে পারব! এতদিন ধরে চলে আসা একটা পরিকল্পনা আমরা জনগণ এতদিন পর জানতে পারছি...ভাবতেই রাগ হচ্ছে। এতকাল ধরে দেশের সরকারগুলো করেছেটা কি?
-------------------------------
হতাশাবাদীর হতাশাব্যঞ্জক হতশ্বাস!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
সাধারণ জনগন আজকে জানতে পারছে এটা সত্যি কিন্তু সরকার কিন্তু আগে থেকেই জানে। বাংলাদেশের Northeast Regional Water Plan ( NREP) যা FAP 6 ( Flood Action Plan 6 ) নামেও পরিচিত সেখানে কিন্তু ভবিষ্যতে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশে কি কি সমস্যা হবে তা বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা আছে। এই রিপোর্টটি ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়। সুতরাং সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন। আমি এটি নিয়ে বিস্তারিত লিখব পরবর্তী পর্বে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাংলাদেশের কী করণীয়, এটা নিয়ে মনে হয় না কোন স্পষ্ট দিকনির্দেশনা সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে আছে।
প্রথমত, সমস্যাটা টেকনোপলিটিক্যাল। বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন একটি সেল গঠন, যেখানে রাজনীতি, কূটনীতি ও প্রযুক্তি-প্রকৌশলের লোকজন সমণ্বিত থাকবেন। সরকারের উচিত ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিসের জন্যে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে কমিশনিং করা, যারা সব দিক যাচাই করে সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করবেন। যদি আমাদের হাতে তথ্য না থাকে, তাহলে তা ভারতের কাছ থেকে আদায় করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এইটুকু সক্রিয়তা না থাকলে এ নিয়ে রাজনীতির পানি অযথা ঘোলা হবে।
আর বিশেষজ্ঞদের মুখ থেকে শুনছি, তাঁরা বলছেন, সমস্যাটা রাজনৈতিক, আর রাজনীতিবিদরা বলছেন সমস্যাটা কারিগরি। আসল ব্যাপার হচ্ছে সমস্যাটার দুই দিকই ধারালো, দুই পক্ষেরই সমণ্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
আসলে সমাধানের বিষয়টা শুরু করতে হবে কুটনৈতিক ভাবে। আমি বিস্তারিত লিখব , তবে এই মূহুর্তে যেটা দরকার তা হলো কুটনৈতিক ভাবে একটা আলোচনার ব্যাবস্থা করা যেখানে আমাদের বিশেষজ্ঞদের একজন প্রতিনিধি থাকবেন। এখন সেই বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি কি বলবেন তা ঠিক করার জন্য এই বিষয়ের সব বিশেষজ্ঞ ( পানিসম্পদ, বাস্তুতন্ত্র, জীববিজ্ঞান, আইন, ইতাদি সব অনুষদের ) নিয়ে একটা প্যানেল করা যেতে পারে যেখান থেকে আমাদের বর্তমান বক্তব্য উঠে আসবে। আমি ভারতের ইম্পাক্ট এসেসমেন্ট রিপোর্ট পড়েছি, সেখানে ভাটিতে প্রভাব নিয়ে মাত্র একটি মাত্র প্যারা আছে, এতেই প্রমান করে ভারত বাংলাদেশে প্রভাব নিতে কতটা নিরুৎসাহী। একটি পয়েন্ট নিয়েই এখন আলোচনা চলা যেতে পারে আর তা হলো বাংলাদেশে কি প্রভাব পড়বে তা নিয়ে আগে যৌথ ভাবে গবেষণা হোক তার পরে বাকী সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এখানে প্রকৌশলগত দিকের পাশাপাশি আইনগত ব্যপারগুলিও খতিয়ে দেখা দরকার।
খুবই বাস্তবসম্মত মন্তব্য। এর সাথেই আইনের মাত্রাটি যোগ করতে চাই। ইতিহাসকে কেবল আবেগের আলোকে অনেক দেখেছি কিন্তু এর ভেতরে শক্তির সমীকরনগুলোকে অনেক সময় উপেক্ষা করে যাই। আরো স্পষ্ট ভাষায় বলতে গেলে এখানে বাংলাদেশের স্বার্থকে সবার উপরে তুলে ধরতে হবে। এখানে স্পষ্টবাদিতার অভাব থাকলে বাংলাদেশকে ভুগতে হবে। একদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর চাপ অন্যদিকে উপরওয়ালারা পানি আটকে দিচ্ছেন। এখন আমদের কুটনীতির শক্তির উৎস কি হবে? মনমোহন সাহেব বলেছেন বাংলাদেশের স্বার্থ লক্ষ্য রাখা হবে। কিন্তু এই কথার উপর ভরসা রেখে বসে থাকা কি আমাদের জন্য যথেষ্ট? প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যদি যেতে হয় সেই প্রস্তুতি কি আমাদের আছে? স্থানীয় এবং প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আইনগত সহযোগিতাকি কাজে লাগান দরকার নেই? তবে এই প্রসঙ্গে জাহিদের কাছে প্রশ্ন - এই বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মোকাবেলার সুযোগ কতটা? সেক্ষত্রে আন্তর্জাতিক কোন আইন কাঠামোকি আছে যেখানে বাংলাদেশের স্বার্থ কিছুটা হলেও রক্ষা করা যাবে?
আইনের সাহায্য নেওয়াই সবথেকে সহজ পথ বলে আমার মনে হয়। কোনো আরবিট্রেটরের সাহায্য নিয়ে বিবাদ-মীমাংসা সবথেকে যুক্তিযুক্ত। তার জন্য দুই দেশকেই বিচারের শুরুতে বলে দিতে হয় যে তারা বিচারকের রায় মেনে নেবে। বিচারককে কোন আইনে বিচার হবে তাও দিতে হয় - বার্লিন রুলস অথবা নদী চলাচল ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক নদীসমূহের প্রস্তাবিত আইনের সাহায্যে মীমাংসা হতে পারে।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ দিগন্ত।
আইনগত দিকগুলো আমি পরবর্তী পর্বে ব্যখ্যা করব।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এরকম একটা গুছানো লেখারই অপেক্ষায় ছিলাম। আগামী পর্বগুলোতে সাথে আছি...
____________
অল্পকথা গল্পকথা
ধন্যবাদ শিমূল ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
চমৎকার লেখা ... পরবর্তী পর্বগুলোর অপেক্ষায় থাকলাম।
শুনেছিলাম যে, সিন্ধু নদে বাঁধ দেয়ার পরিকল্পনায় নাকি বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে ঠেকিয়েছিলেন পাকিস্থানী সরকার প্রধান ... ... (উইকিতে সেটা নাই ... তবে যা আছে সেটাও কম না)
দেশে কি ফারাক্কা আর টিপাইমুখ ব্রিগেড বানানো যায় না?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
শামীম ভাই, ধরেই নিচ্ছি এটা নিছক মজা করার জন্য লিখেছেন। আমার মতে আসলে কূটনৈতিক ভাবে সমাধান করাই সর্বশ্রেষ্ঠ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
রুকুর পজিশন থেকে উঠে দাঁড়ানো শিখলে কুটনীতি ভাল পদ্ধতি ....
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
সিন্ধুতে জলবিদ্যুতের জন্য বাঁধের পরিকল্পনা হতেও পারে (শুনিনি কখনও যদিও), কিন্তু বাঁধ দিয়ে জল ডাইভার্ট করা ভারতীয় অংশে একরকম অসম্ভব। ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব হয়েছিল মূলত সিন্ধুর বাকি নদীগুলোর জল নিয়েই। শেষে বিশ্বব্যাঙ্কের মধ্যস্থতায় সিন্ধু-চুক্তির মাধ্যমে পূর্বের নদীগুলো ভারতকে ও পশ্চিমের নদীগুলো পাকিস্তানকে দেওয়া হল। সিন্ধু অববাহিকার জনসংখ্যা ও সেচের জমির অনুপাতের কথা মাথায় রেখে ভারতকে ২০ ভাগ জল ব্যবহারের অধিকার দেওয়া হয়েছিল, বাকি জল পাকিস্তানের। পাকিস্তান সেই জল জলাধার ও ক্যানেলের মাধ্যমে সারা দেশের চাষের জমিতে দেয়। এখানে একই নদীর জল ভাগের প্রশ্ন নেই, তাই ফারাক্কার চুক্তির মত সমস্যা তৈরী হয় না। পূর্বের তিনটে নদী পুরো ভারতের, আর সিন্ধু সহ পশ্চিমের তিনটে পাকিস্তানের। তখনকার মত বিবাদ মীমাংসা হল।
চুক্তির গুরুত্ব বোঝা যায় চুক্তি-পরবর্তী কার্যকলাপ দেখলেই। পাকিস্তান বা ভারতের সিন্ধু অববাহহিকা গঙ্গার পাড়ের মত উর্বর না হলেও সেখানে চাষের জল সেচের মাধ্যমে দেওয়া হয় - তাই হেক্টরপ্রতি ফলন অনেক বেশী। পাকিস্তান অনেককাল খাদ্য-রপ্তানীকারক দেশ, ভারতের পাঞ্জাব-হরিয়ানাতেও সবুজ বিপ্লব হয়েছে।
তবে এ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের বিবাদ আবার ফিরে এসেছে। চুক্তিতে পশ্চিমের তিনটি নদীর (পাকিস্তানের ভাগের যেগুলো) non-consumptive ব্যবহার করার অধিকার ভারতকে দেওয়া ছিল। তার জন্য কিছু প্রযুক্তিগত সীমা ছিল - run of the river জলবিদ্যুত প্রকল্প হতে হবে ছোটো জলাধার ব্যবহার করে। যখন সিন্ধু-চুক্তি হয়েছিল তখন ভারতের পয়সাও ছিল না বা বিদ্যুতের প্রয়োজনও ছিল না অত। এখন সেই জলবিদ্যুত প্রকল্পগুলো রূপায়ণ করছে - তাতেই পাকিস্তানের সাথে সমস্যা।
শেষবারে বাঘলিহার বাঁধ নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। সমাধানের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক নিযুক্ত সুইস বিশেষজ্ঞ বাঁধ পর্যবেক্ষণ করে যান। তার [url=http://www.dailytimes.com.pk/default.asp?page=2007\02\14\story_14-2-2007_pg3_1]রায়ে[/url] বাঁধের উচ্চতা ও জলধারণ ক্ষমতা পরিবর্তন করে ভারত - কিন্তু বাঁধ বন্ধ করার পাকিস্তানের প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। এখন পরবর্তী সমস্যা কিষেনগঙ্গা প্রকল্পে। এখানে ভারত এক নদী থেকে জল সরিয়ে অন্য নদীতে ফেলছে (দুটোই পাকিস্তানের ভাগের নদী - এরা পাকিস্তানে গিয়ে একে অপরের সাথে মিলিত হয়)। তবে এবারে সমস্যা প্রযুক্তিগত - পাকিস্তানের দাবী জলাধারের আকার কমাতে হবে ও ডাইভার্সন বন্ধ করতে হবে। আমার ধারণা এবারেও কেস তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে মীমাংসা হবে।
সিন্ধুতে ভারতের তিনটি বাঁধের পরিকল্পনা হচ্ছে। এগুলো পাকিস্তানকে জানানোও আছে - সেখানে লেখাও হয় এ নিয়ে। মজার কথা স্যাটেলাইট ইমেজে ধরা পড়েছে চিনও সিন্ধুতে বাঁধ দিচ্ছে। খবরে পাকিস্তানের প্রতিনিধি চিনের বাঁধে "কোনো ক্ষতি হবে না" গোছের দাবী করছেন সেটা শুনে বাংলাদেশের জল-মন্ত্রীর দাবির কথা মনে পড়ে। ভারতের উজানে শতদ্রু নদীতে আগে চিনের জলবিদ্যুত বাঁধ দিয়েছে। ভারতও "কোনো ক্ষতি হবে না" গোছের দাবী জানিয়েছে। সম্প্রতি সেই বাঁধ থেকে শেষ-বর্ষায় বেশী জল ছেড়ে দেওয়ায় একবার বন্যা হয়েছে (টিপাইমুখে এটাও একটা রিস্ক) - এরপরে চিন ভারতকে দৈনিক প্রবাহ ও জলাধারের তথ্য দিতে রাজী হয়েছে।
তবে তারও আগে হয়ত সিন্ধুর জল বছর-বছর যে হারে কমে আসছে তা নিয়ে পাকিস্তান চিন্তায় আছে। পরিবেশ-বিশেষজ্ঞদের মতে উপমহাদেশে সিন্ধুর প্রবাহই সবথেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণায়নে। এখন অবধি এই হল ভারত-পাকিস্তান সিন্ধু চুক্তির ইতিহাস।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
দেরীতে হলেও ঠিকাছে। আপনি দেরী করলেন, আমিও দেরীতে পড়লাম। আপনার দেরী করার কারণ ছিল, আমার দেরীতে পড়ার কোন অজুহাত ছিলনা
ধন্যবাদ পিপিদা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখাটা ভালো লাগলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
ধন্যবাদ ইশিতি ।দ্বিতীয় পর্ব আজকে দিয়েছি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ফেভারিটস এ যোগ করলাম। পরে মনোযোগ দিয়ে পড়বো।
ধন্যবাদ সিরাত।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ইতোমধ্যে অন্তর্জালিক বিভিন্ন ব্লগে এ বিষয়ে লেখাগুলো পড়লাম।
আপনার লেখাটা খুব গুছানো। মনে ধরেছে। কেবল ভালো লাগছে না এখনো পরের পর্ব আসছে না দেখে।
পাঠকের রুচি বাড়িয়ে দেয়ার দায়-দায়িত্ব তো লেখককেই বইতে হয়, তাই না !
অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনাকে ধন্যবাদ তো অবশ্যই। সাথে সাথে দিগন্তকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি মোড়ে মোড়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন এনে আপনার ঝুলিটা আরেকটু খুলে দেয়ার সহায়তা করে আমাদের তৃপ্তি দেয়ার জন্য।
হা হা হা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা আজকেই দিলাম দ্বিতীয় পর্ব। আপনাদের আগ্রহ আমার লেখালেখির উৎসাহ অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আসলে নিজের কাজ নিয়ে দৌড়ের উপর আছি তাই একটু দেরি হল। আশা করি ক্ষমা করবেন।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
রিপন, লেখাটার শেষ কিস্তি পোস্ট করার পর এক সপ্তাহ অপেক্ষা করবে। তারপর সবগুলো পর্বে পাঠকদের করা মন্তব্য, তোমার বা অন্যদের দেয়া উত্তর এগুলো সব রিভিউ করে লেখাটা সম্পাদনা করবে। মন্তব্যে আসা জরুরী বিষয় ও প্রসঙ্গগুলো যোগ করবে, সেগুলো থেকে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের টোনগুলো দূর করবে। প্রয়োজনীয় ছবি আর ম্যাপগুলো যোগ করবে। মৌসুম পরিবর্তনের সাথে সাথে জলপ্রবাহে যে পরিবর্তনগুলো হয় সেগুলোর চার্ট যোগ করবে। টেকনিক্যাল শব্দগুলোর ব্যাখ্যা মূল লেখার ভিতর না দিয়ে শেষে দেবে।
এতক্ষণে তুমি নিশ্চয়ই বুঝে গেছ আমি আসলে তোমাকে একটা পূর্ণাঙ্গ বই লিখতে বলছি। বইটির আকার বড় হওয়া দরকার নেই, তবে দরকারী বিষয়গুলো আর সঠিক ফোরকাস্টিংগুলো যেন থাকে। আমি দিব্যচোখে দেখতে পাচ্ছি কিছুদিনের মধ্যে আমাদের বইয়ের দোকানগুলো আর আগামী বইমেলাতে এই বিষয়ে অজ্ঞ লোকদের চটকদার বইয়ে ছেয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের তো এই ব্যাপারটা ঠিকভাবে বুঝতে হবে, জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী রিঅ্যাক্ট করতে হবে। তাই তোমার বইটা লেখার বিকল্প নেই।
আমরা সবাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বইটার পিডিএফ ভারসান ছড়িয়ে দিতে পারি। প্রিন্ট আউট নিয়ে অন্যদের পড়তে দিতে পারি। টুটুল ভাইয়ের পক্ষে সম্ভব হলে আগামী বইমেলায় হয়তো ছাপার হরফেও দেখতে পারি।
একটু সময় করে কাজটা করে ফেল। এটা খুবই দরকার।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরিফ ভাই এইরকম উৎসাহ পেয়ে আমার কাজের আগ্রহ অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমিই চেষ্ট করছি খুব সহজভাবে সবার কাছে কথাগুলিকে পৌঁছে দিতে। আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব একটি ভাল লেখা তৈরী করতে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখাটির সংবাদ পেতে পেতে জূলাই ৩০।
অসাধারণ।
'যেকোনো বাঁধই পরিবেশের উপর ফেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।'- এই চরম সত্য কথাটি কি আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিজ্ঞ ব্যাক্তিরা বুঝতে পারছেন না ?
নতুন মন্তব্য করুন