আজকের পর্বে মূলত যা থাকছেঃ FAP 6 এর রিপোর্টের আলোকে বাংলাদেশে টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাব
দ্বিতীয় পর্বে আমি আলোচনা করেছি যে বাঁধ ও ব্যারেজের ফলে সাধারণ ভাবে উজান ও ভাটিতে কি কি প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।এই পর্বে আমরা জানার চেষ্টা করব টিপাইমুখ বাঁধের ফলে এর ভাটিতে এবং মূলত বাংলাদেশে এর কি কি প্রভাব পড়বে, সেই সাথে প্রস্তাবিত ফুলেরতল ব্যারেজের প্রভাবও আলোচনা করা হবে।
কি ধরনের গবেষণা প্রয়োজনঃ
আসলে যেকোন বাঁধের প্রভাব আলোচনা করার জন্য প্রয়োজন একটি সামগ্রিক বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলগত গবেষণা। আমরা শুরুতেই জেনে নেই আসলে কি কি ধরনের গবেষণা প্রয়োজনঃ
- টিপাইমুখ বাধঁ ও ফুলেরতল ব্যারেজের জন্য বারাক-সুরমা-মেঘনা অববাহিকার একটি পূর্নাংগ ভৌত মডেল ( ফিজিকাল মডেল) স্টাডিঃ এই মডেল আসলে পুরো প্রকল্প ও এর প্রভাব পড়ে এমন এলাকার একটি ল্যাবরেটরী সংস্করন। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই মডেল, এর জন্য বিপুল পরিমান উপাত্ত প্রয়োজন। আমার জানামতে বাংলাদেশের কাপ্তাই বাঁধের জন্যও এরকম একটি মডেল বানানো হয়েছিল। এটি ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের জন্যই প্রয়োজন।
- গানিতিক হাইড্রোলজিকাল মডেল স্টাডিঃ গানিতিক মডেল আসলে একটি কম্পিউটার মডেল।হাইড্রোলজিকাল মডেল মূলত পানির পরিমান নিয়ে কাজ করে। সমগ্র বারাক-সুরমা-মেঘনা অববাহিকার জন্য এই মডেল সেট-আপ করতে হবে।ইনপুট হিসেবে দিতে হবে ভূপ্রকৃতি, বৃষ্টিপাত, মাটির প্রকৃতি, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ এবং আরো অনেক কিছু। টিপাইমুখ বাঁধ হলে এর অববাহিকায় পানির পরিমানের কি প্রভাব পড়বে তা এই স্টাডি থেকে জানা যাবে।
- গানিতিক হাইড্রোলিক মডেলঃ এটি মূলত উজানে পানির প্রবাহকে হিসেবে নিয়ে ভাটিতে মডেলের শেষ সীমা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ও গতিবেগ প্রদান করে। এই দুই মৌলিক উপাত্ত ( উচ্চতা ও গতিবেগ) কে ব্যবহার করে আরো প্রয়োজনীয় অনেক উপাত্ত বের করা যায়।টিপাইমুখের ক্ষেত্রে আমরা উজানের ইনপুট হিসেবে টিপাইমুখ বাঁধের প্রবাহ চিত্র( ডিসচার্জ কার্ভ) অর্থ্যাৎ ভারত বছরের কোন দিন কি পরিমান পানি ছাড়বে তার একটি হাইড্রোগ্রাফ ব্যবহার করতে হবে আর এর সীমা হবে ন্যুনতম চাঁদপুর পর্যন্ত।এটি দিয়ে ড্যাম ব্রেক স্টাডিও করা যাবে।
- গানিতিক মরফোলজিকাল মডেলঃ এটি গানিতিক হাইড্রোলজিকাল মডেল থেকে প্রাপ্ত পানির গতিবেগ ও উচ্চতা থেকে নদীর বুক থেকে কি পরিমান পলি অপসারিত হবে বা জমা হবে তা বের করবে।
- গানিতিক হ্যাবিটেট মডেলঃ আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে নদীতে একেক গভীরতায় একেক মাছ পাওয়া যায় কারন তারা ঐ স্তরের গতিবেগের সাথে অভিযোজিত। গানিতিক হ্যাবিটেট মডেল হাইড্রোলিক মডেল থেকে প্রাপ্ত পানির গতিবেগ আর উচ্চতাকে ইনপুট হিসেবে নিয়ে টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাবে পরিবর্তিত প্রবাহের সাথে সাথে এর ভাটির নদীর ও সংলগ্ন হাওড় এলাকার মাছের হ্যাবিটেটের পরিবর্তন দেবে।
- রিজিওনাল ক্লাইমেট মডেলঃ এটি মূলত GCM (General Circulation Model) থেকে উপাত্ত নিয়ে টিপাইমুখ বাঁধ ও এর প্রভাব পড়ে এমন এলাকার জন্য এই বাঁধের কারনে ভবিষ্যতে জলবায়ূ পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত বৃষ্টিপাত ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাত্তের পরিবর্তনের সিমুলেশন করবে।
আমি নিজে শুধুমাত্র হ্যাবিটেটে মডেল ছাড়া বাকী সব মডেলগুলি নিয়ে কাজ করেছি বা এখনো করছি তাই জানি এগুলো কতটুকু কষ্টসাধ্য কাজ। কিন্তু যার সাথে একটি দেশের মানুষের জীবন মরণের সমস্যা সেখানে শত সমস্যা হলেও আমাদেরকে তা করতে হবে।
কি ধরনের গবেষণা হয়েছেঃ
টিপাইমুখ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমার জানা মতে স্বীকৃত গবেষণার উৎসঃ
- Northeast Regional Water Management Plan (FAP 6)[৮]
- টিপাইমুখ প্রকল্পের জন্য NEECOO এর EIA রিপোর্ট[২]
- আর একটি উল্লেখ করার মত উৎস হলো IWM (Institute of Water Modeling) এর টিপাইমুখ এর উপর একটি অপ্রকাশিত স্টাডি যা ২০০৫ এ একটি কর্মশালায় উপস্থাপিত প্রবন্ধে তথ্যসুত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। [১১]
FAP 6 রিপোর্ট অনুসারে টিপাইমুখ বাঁধের বাংলাদেশে প্রভাবঃ
FAP 6(১৯৯৪)[৮] এ মূলত বাংলাদেশের উত্তর পূর্ব অঞ্চলের ভবিষ্যৎ পানি ব্যবস্থাপনা (NERP) নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে এবং যেহেতু টিপাইমুখ বাঁধ তখন পরিকল্পনাধীন ছিল তাই এই গবেষণায় এই বাঁধের সম্ভাব্য প্রভাবের দিকগুলি আলোক পাত করা ও ভবিষ্যৎ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আঞ্চলিক হাইড্রোলজিক প্রভাবের উপর গবেষণা করার জন্য Surface Water Modeling Center সংক্ষেপে SWMC (বর্তমান Institute of Water Modeling IWM) ও NREP দলের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা সেট-আপ করা Northeast Regional Model ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে এটি মূলত 1-Dimensional গানিতিক হাইড্রোলিক মডেল এবং এতে নদীর মরফোলজি (গতিবেগের সাথে নদীর পলি ও গভীরতা পরিবর্তন) বিবেচনা করা হয়নি জটিলতা এড়ানোর জন্য।
এইসব গবেষণায় সাধারনত যা করা হয় তা হলো প্রথমে একটি ‘বেইজ সিনারিও’ দিয়ে মডেল রান করা হয় ক্যালিব্রেশনের জন্য।মডেল ক্যালিব্রেশন হলো মূলত মডেল চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাত্তের মান বের করা। এটি করা হয় মডেল হতে প্রাপ্ত ফলাফল আর পর্যবেক্ষনকৃত উপাত্তের তুলনা করে। এই দুইয়ের মধ্যে চেষ্টা করা হয় সর্বোচ্চ পরিমান সম্পর্ক স্থাপন করতে।NREP এর গবেষণায় এর বেইজ সিনারিও ছিল ১৯৯১-১৯৯২। বেইজ সিনারিও রান দেবার পর আরো দুটি সিনারিও সেট আপ করা হয়ঃ একটি ‘পরিকল্পনা বিহীন ভবিষ্যৎ সিনারিও’ আর আরেকটি ‘পরিকল্পনা সহ ভবিষ্যৎ সিনারিও’। এই দুইয়ের ফলাফলের পার্থক্যই কিন্তু বিভিন্ন উন্নয়ন/পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে একটি ধারণা দিবে। এই দুই ভবিষ্যৎ সিনারিও আসলে ২০১৫ পর্যন্ত আলোকপাত করা হয় এবং এতে টিপাইমুখ বাঁধ/ কাছাড় সেচ প্রকল্প ( ফুলেরতল প্রকল্প) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে রিপোর্টে এই টিপাইমুখ বাঁধ/ কাছাড় সেচ প্রকল্পের উপাত্তের সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে সুতরাং এই গবেষণা আমাদেরকে হয়ত একটি সাধারন ধারণা দিতে পারবে কিন্তু এটি থেকে কোন সিদ্ধান্তে আসার চিন্তা করা সমীচিন হবেনা। এই গবেষণায় টিপাইমুখ ড্যাম ভেঙ্গে গেলে তার কি প্রভাব হবে সেটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং এক্ষেত্রে MIKE-11 ( একটি ড্যানিশ গানিতিক মডেল) ব্যবহার করা হয়েছে যদিও তারা রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সেটি আসলে “শুধু মাত্র ইলাস্ট্রেশন এর জন্য”। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে গানিতিক মডেল নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা জানেন এই মডেলগুলি সেট-আপ করা কতটা উপাত্ত নির্ভর। যেহেতু টিপাইমুখ বাঁধের প্রয়োজনীয় উপাত্ত সেই অর্থে উন্মুক্ত নয় তাই আবারো বলে নিচ্ছি এই মডেলের ফলাফলকে ভবিষ্যতের জন্য ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ অবশ্যম্ভাবী হিসেবে নয়।
এখানে একটি গুরুত্ত্বপূর্ন তথ্য যোগ করে রাখি এই গবেষণার সময় বাংলাদেশ যুক্ত নদী কমিশনের মাধ্যমে টিপাইমুখ বাঁধের প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহ করার প্রচেষ্টা চালায় কিন্তু ন্যুনতম পরিমান উপাত্ত নিয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। পরিশেষে কিছু ধারণার উপর নির্ভর করতে হয়। ধারনা গুলি হলোঃ
- সেচের জন্য পানি উত্তোলন হবে ১ মিটার
- পানি অপসারন ক্রমাগত ভাবে শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর থেকে এপ্রিল)পর্যন্ত চলবে।
এই গবেষণা অনুযায়ী টিপাইমুখ বাঁধ/কাছাড় যেচ প্রকল্পের প্রভাব নিচে দেয়া হল। হয়েছে। উল্লেখ্য যে এই প্রভাবগুলি নিয়ে পানি পরিকল্পনা সংস্থা (Water Resources Planning Prganization বা WARPO) এর সাবেক মহাপরিচালক এম এ কাসেম প্রথম আলোতে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন [৬]।
- জলাধার পূরণের সময়কার প্রভাব
এটি মুলত বাঁধের জলাধার কিভাবে পূর্ণ করবে তার পরিকল্পনার উপর নির্ভরশীল। অনেক সময় প্রকল্পের সুবিধা তাড়াতাড়ি পাবার জন্য অতিদ্রুত ভাবে জলাধার পূর্ণ করা হয় যা বাংলাদেশের মত ভাটির অঞ্চলে ভয়াবহ পরিবেশ বিশেষ করে বাস্তুসংস্থান বিপর্যয় ঘটাবে।
- বর্ষা মৌসুমে প্রভাব
- বন্যার পানির প্রবাহ কমে যাবে, অমলসিদে অর্থ্যাৎ যেখানে বারাক নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে যেখানে বারাক নদীর ‘সর্বোচ্চ প্রবাহ’ ২৫ শতাংশ হ্রাস পাবে এবং পানির পরিমান শতকরা ২০ ভাগ কমে যাবে।
- পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় অমলিসিদে বারাক নদীর পানির উচ্চতা ১.৬ মিটার কমে যাবে
- এর ফলে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে পানি প্রবাহ প্রায় সমভাবে হ্রাস পাবে যা প্রকারান্তে এই দুই নদী বন্যার সম্ভাব্যতা কমিয়ে দেবে এবং সিলেট অববাহিকায় নিম্নাঞ্চলের জলাবদ্ধতার পরিমান হ্রাস পাবে।
- শুষ্ক মৌসুমে প্রভাব
- অমলসিদে পানির সর্বোচ্চ প্রবাহ শতকরা ১০০ ভাগ থেকে ২০০ ভাগ বাড়বে এবং পানির পরিমান শতকরা ৬০ ভাগ বেড়ে যাবে।
- এই বর্ধিত প্রবাহের কারনে অমলসিদে পানির উচ্চতা ১.৭ মিটার বেড়ে যাবে।
- ড্যাম ব্রেকের প্রভাব
বাঁধ ভাঙ্গার কারনে বাঁধের স্থলে যে ঢেউ উৎপন্ন হয় তা সাধারনত ঘন্টায় ১০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে ভাটির দিকে ধাবিত হয়, যদিও এই বেগ দূরত্ত্বের সাথে হ্রাস পায়। বাঁধ স্থল থেকে অমলসিদের দূরত্ত্বকে ২০০ কিলোমিটার ধরলে এই ঢেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে সময় লাগবে ২৪ ঘন্টা। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এই ঢেউয়ের উচ্চতা হবে ৫ মিটার। টিপাইমুখ বাঁধের জলাধারের ধারন ক্ষমতা ১৫,০০০ মিলিয়ন ঘনমিটার। এই বিপুল প্রবাহ ১০ দিন ধরে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং সমস্ত বন্যার্ত এলাকা থেকে পানি সরে যেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।
( চলবে )
আগামী পর্বে থাকবেঃ IWM, ভারতের EIA ও বাংলাদেশে বিশেষজ্ঞদের আলোচনার আলোকে বাংলাদেশে টিপাইমুখ বাঁধের সম্ভাব্য প্রভাব।
তথ্যসুত্রঃ
[১] উইকিপিডিয়া
[২]Environment Impact Assessment (EIA) of Tipaimukh HE(M) Project, submitted for North Eastern Electric Power Corporation Limited (NEEPCO)
[৩] ডঃ জ়হির উদ্দিন চৌধুরী, ১২ জুলাই ২০০৯, ‘বরাক নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করা হলে তা হবে বিপদ জনক’, প্রথম আলোকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকার।
[৪] ডঃ আইনুন নিশাত, ২৮ জুন ২০০৯, ‘দুই দেশেই টিপাইমুখ বাঁধের পরিবেশগত প্রভাবের জরিপ চালাতে হবে’, প্রথম আলোকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকার।
[৫] ডঃ আসিফ নজরুল, ৫ জুলাই ২০০৯, ‘পিনাক রঞ্জনের ছোট ভুল, আমাদের বড় ভুল’ প্রথম আলো।
[৬] এম এ কাসেম,৬ জুলাই ২০০৯, ‘টিপাইমুখঃ যে কথা কেউ বলছেনা’প্রথম আলো।
[৭] ডঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, ‘টিপাইমুখ বাঁধঃ কিছু শর্ত মানলে কম ক্ষতিকর হতে পারে’ প্রথম আলো।
[৮] Dr.Sara Bennett, Mujib Huq and Dr. David Mclean,1994, ‘Initial Environmental Evaluation, Appendix to the Northeast RegionalWater Management Plan, Bangladesh Flood Action Plan 6 ( IEE NERP FAP 6)’,Final Version.
[৯] Ma A Matin, 7 February 2006, ‘Another Farakka ? No, Tipaimukh Dam is different’ The Daily Star.
[১০] The Ecology of Dams
[১১]মোঃ গোলাম্ কিববিয়া " ISSUE-GAINING PUBLIC ACCEPTANCE FOR LARGE DAMS ON INTERNATIONAL RIVERS: THE CASE OF TIPAIMUKH DAM IN INDIA AND CONCERNS IN LOWER RIPARIAN", সেপ্টেম্বর ২০০৫, United Nations Environment Programme (UNEP) কতৃক আয়োজিত Dams and Development Project শীর্ষক কর্মশালা, নাইরবি, কেনিয়া।
মন্তব্য
তথ্যসূত্রগুলোর সবগুলোর সাথে লিংক দিয়ে দিলে আরো ভালো হত।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
ধন্যবাদ শামীম ভাই। পূর্ন সচল হবার পর প্রথম সম্পাদনায় উপরের তথ্যসুত্রগুলির লিঙ্ক দিয়ে দিলাম।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
গভীর আগ্রহ নিয়ে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করছি।
শীঘ্রই চেষ্টা করব দিতে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সময়োপযোগী পোস্ট স্যার- টেকনিকাল বর্ণনা বুঝি নাই। তবে সামগ্রিক আলোচনা পড়লাম।
প্রভাব অংশটা চিন্তা জাগানিয়া।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
সুহান, অনেক ধন্যবাদ। আসলে চেষ্টা করেছি কারিগরী দিকগুলো খুবই সহজভাবে দিতে, এতটুকু না ব্যখ্যা করলে অনেক ফাঁক থেকে যায়। যেমন ধর শুধু মাত্র ফলাফল দিয়ে দিলে এটা অনেকের জানাও হতনা যে কি কি ধারনার উপর ভিত্তি করে এই ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বা এই ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতা কতটুকু যেটি নির্ভর করে এর মূলনীতি এবং উপাত্তের উপর। গানিতিক মডেলের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে তাই এটি সম্পর্কে ন্যুনতম কিছু তথ্য যোগ করেছি।
আন্তর্জালে এখন এই নিয়ে লেখার ছড়াছড়ি কিন্তু আমরা অনেকেই এই বিষয়ে গবেষণাগুলির সীমাবদ্ধতা জানিনা। আমার বক্তব্য হচ্ছে আমাদের আরো গবেষণা প্রয়োজন। কেন প্রয়োজন সেটি বুঝাতেই আগের গবেষণা গুলির কিছুটা সম্যক তথ্য দেবার চেষ্টা করেছি।
যাহোক তোমার নির্দিষ্ট করে কিছু বুঝতে সমস্যা হলে লিখতে পারো আমি চেষ্টা করব আরো সহজ ভাবে ব্যখ্যা করতে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পড়ছি।
আর...
সচলত্বে অভিনন্দন!
ধন্যবাদ ইশতি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখাটা সহ প্রত্যেকটা লিঙ্ক খুব ভাল লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
ধন্যবাদ দিগন্ত। প্রত্যেকটা পর্বে আপনার গঠনমূলক ও তথ্যনির্ভর আলোচনা আমার লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করেছে সে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচলত্বে অভিনন্দন! (কপিরাইট ইশতি)
ধন্যবাদ মোস্তফা ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অভিনন্দন রিপন! পূর্ণ সচলত্ব তোমার অনেক আগেই পাওনা হয়েছিল বলে আমার বোধ হয়।
টেকনিক্যাল লেখার মাঝে উদাহরণ, চিত্র, কার্ভ একটু বেশি দেবার চেষ্টা করবে তাহলে সর্ব সাধারণের বোঝার সুবিধা হবে। এ'প্রসঙ্গে একটা পুরোনো কথা বলি,
"তুমি পাঁচ মিনিটে যে বক্তব্য দিচ্ছ তার জন্য আগে পাঁচদিন লেখাপড়া করে নিয়েছ। কিন্তু তোমার দর্শক-শ্রোতা তো পাঁচদিন এই বিষয়ে পড়াশোনা করেননি, তাই তত্ত্ব ও যুক্তি এমনভাবে উপস্থাপণ করবে যেন তা গড় দর্শক-শ্রোতার জানার সীমার মধ্যে হয়, তাদের পক্ষে বোধগম্য হয়। এই দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে বিচারকগণও পড়েন। এ'ভাবে শুগার কোটিং দিয়ে বক্তব্য রাখলে তোমার বক্তব্য সবাই হজম করতে পারবেন। তোমার বক্তব্য রাখার মূল উদ্দেশ্যও সফল হবে।"
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
ধন্যবাদ আরিফ ভাই। আসলে জুতসই চিত্র পাচ্ছিনা। এই রিপোর্টগুলি অনলাইন থেকে নামানো কেন জানি গ্রাফ গুলি নেই। আমি পরের পর্বগুলিতে আরো বিশদ ভাবে ব্যখ্যা করার চেষ্টা করব।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মডেলগুলা ছাড়া মোটামুটি সবই বুঝতে পারলাম। লিংকগুলো উপকারী হবে অনেক।
পরের পর্বের অপেক্ষায়.........।।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
ধন্যবাদ রাফি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ এই অত্যন্ত দরকারি লেখাটির জন্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন লেখাটি ভাল হচ্ছে সেজন্য।
যে মডেলগুলোর কথা বললেন তার ক্ষেত্রে টিপাইমুখ সংক্রান্ত চলকগুলো কিহবে [এক্সোজেনাস শক ভেরিয়েবল]। তাৎক্ষনিক চিন্তায় যা বুঝতে পারছি এখানে পানির প্রবাহ, এর সিসনাল ডিস্ট্রিবিউশন, আর ভাসমান পলির পরিমন গড় বিন্যাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত। মনে এগুলোকেও হয়ত গানিতিক মডেলের মাধ্যমে নির্ধারন করার দরকার হতে পারে। তাই যদি হয় তাহলে এই সব সমন্বিত মডেল গুলোর প্রেডিক্টিং পাওয়ার কেমন হবে সেটা বোধকরি ভাববার বিষয়। যা হোক বিশেষ করে পানি প্রবাহ এবং তার বিন্যাস নিয়ে কোন এস্টিমেট কি রয়েছে?
- আপনি যে ফিজিকাল মডেলের কথা বললেন সেটা কি পানি প্রবাহের মডেলের জন্য? [এলিভেশন ডাটা ছারা এক্ষত্রে কি ধরনের ডাটার প্রয়োজন হয়?-কেবলই কৌতুহল থেকে প্রশ্ন]
-ভারতের অভ্যন্তরে জিও-মরফলজিকাল পরিবর্তনের ব্যপারে প্রচলিত ধারনাগুলো কি? অর্থাৎ বর্তমানে এ ব্যপারে কি ধরনের এন্টিসিপেশন রয়েছে? ভাবছি মডেল ছাড়াও কোন সাধারন ধারনা পাওয়া যায় কিনা। অন্তত কিছু এপ্রিহেনশন থাকতে পারে বলে ভাবছি।
- বোঝার চেষ্টা করছি টিপাইমুখের দরুন ভারতের অভ্যন্তরে ফিজিওগ্রাফিক সেটাপকে কম-বেশি অপরিবর্তিত ধরে নিলে পানি প্রবাহের সামগ্রিক প্রবাহকি পরিবর্তিত হবে? নাকি প্রভাব মূলত পানি প্রবাহের সিজনাল ডিস্ট্রিবিঊশনেই সীমাবদ্ধ [যেটা এই পর্বটি পড়ে মনে হচ্ছে]? আপনি যে হাইড্রলজিকাল মডেলের কথা বললেন সেটা ছাড়া কি কোন সাধারন এস্টিমেট করা যায়না?
- সাধারন ভাবে টিপাইমুখের আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমান কেমন সেটাও বোধহয় গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যেই মডেলগুলোর কথা বললেন তার সবগুলো হয়ত সমান গুরুত্বপুর্ণ নয়। সেক্ষত্রে মডেলের প্রয়োজনীয়তা, উপাত্তের প্রাপ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা, প্রেডিক্টিং পাওয়ার, ব্যয় নির্বাহ, প্রয়োজনীয় দক্ষতা ইত্যাদির ভিত্তিতে একটি ক্রম নির্দেশ করতে পারেন যে কোনগুলোকে আগে বিবেচনা করা দরকার?
[বুঝতে পারছি আপনার দেয়া লিঙ্কগুলো পড়ে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো হয়ত পাওয়া যেত। আপাতত আলস্য ক্ষমার্হ।]
আবারো ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
দুঃখিত একটু দেরী হবার কারনে। একটু দৌড়ের উপর আছি।
আসলে টিপাইমুখের বাংলদেশের উপর প্রভাব গবেষণার জন্য যে সব চলক বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ তা হলোঃ
এটি মূলত উচ্চতার উপাত্ত নিয়ে পুরো এলাকাটিকে ল্যাবরেটরীতে তৈরী করবে, যেখানে নদী, পলি, জলাধার, বাঁধ, ব্যারেজ, পাহাড় সব থাকবে। এই মডেলে উজান থেকে পানি প্রবাহ করা হবে যা জলাধারে জমা হবে এবং বাঁধের নিচের টানেল দিয়ে বের হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।বাঁধের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রনের জন্য ব্যাবস্থা থাকবে, কতটুকু পানি ব্যারেজে যাবে তার নিয়ন্ত্রন থাকবে।
ইচ্ছে করলে এই লিঙ্কটি দেখতে পারেন। বাংলাদেশের যমুনা সেতুর জন্য ফরিদপূরে নদী গবেষণা ইনষ্টিটিউটে বুয়েটের পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের যৌথ অংশগ্রহনে এরকম ফিজিকাল মডেল তৈরী করা হয়েছিল।
প্রথমতঃ সামগ্রিক পানি প্রবাহ কিছুটা কমবে স্বতঃ বাষ্পীভবন বেড়ে যাবার জন্য। এছাড়া জলাধারের কারনে জলাবদ্ধ এলাকা বেড়ে যাবার কারনে পানির ইনফিল্ট্রেশন ( পানির মাটির নিচে চলে যাওয়া) বেড়ে যাবে। বর্ষা মৌসুমে এর প্রভাব ততটা হবেনা কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে এই কমে যাওয়া প্রভাব ফেলতে পারে।
যেটি ভাবার বিষয় হতে পারে তা হলো ভারত যদি মনে করে যে পরবর্তীতে তারা বাঁধের উজানে জালাধার থেকে পানি অপসারন করবে তখন কি হবে ?
তবে আগেই বলেছি প্রবাহের সিজনাল বন্টনই অনেক বেশী গুরুত্ত্বপূর্ন।
হ্যা অবশ্যই। হাইড্রোলজিকাল মডেল চালাতে গেলে এই উপাত্ত সবচাইতে গুরুত্তপূর্ণ।
আসলে এই মডেলগুলি সবই গুরুত্ত্বপূর্ন এবং একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কযুক্ত। তারপরেও ক্রমগুলি নিম্নরূপঃ
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ রেজা ভাই ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আরো কিছু ভাবনা মাথায় আসল।
প্রথমত লেখাটি সম্পর্কে -
সম্ভব হলে লেখাটিকে প্রধান বিবেচ্য বিষয়ভিত্তিতে কোন একটি খন্ডে সাজাতে পারেন। যেমন নিচের মত জরুরী বিষয়গুলো আপনার বিবেচনায় ক্রমানুসারে আলোচনা করতে করতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকৌশলগত বা গানিতিক বিষয়গুলোকে পাদটিকায় দিতে পারেন।
যেমন ক) পানির সামগ্রিক প্রাপ্যতা খ) বছরের বিভিন্ন সময়ে প্রবাহের অনুমিত হিসাব গ) বাস্তুসংস্থান সংক্রান্ত ঝুকি ঘ) ভুমিরূপের সাম্ভাব্য পরিবর্তন [সাম্ভাব্য কারন সহ] ঙ) বাংলাদেশের ভেতরে নদীগুলোতে প্রভাবের তুলনা মূলক চিত্র ইত্যাদি...।
বলা বাহুল্য এসব আলোচনার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের ভাষায় যেটাকে অনিশ্চয়তা বলে তা রয়েছে। সম্ভবত সে কারনেই মডেল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তবে বলে রাখা ভাল এসব মডেল অনেক ক্ষত্রেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশী গুরুত্ব পেয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে মডেলগুলো যে কেবল টুল মাত্র এবং এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্য এবং এদের শক্তির আপেক্ষিক আলোচনা কিছুটা দরকার রয়েছে। অবশ্যি পাদটিকা হিসাবে।
এগুলো আমার ব্যক্তিগত ভাবনা। আপনি দ্বিমত পোষন করতেই পারেন। কাজেই পাঠক হিসাবে আমার মত থেকে চাপ অনুভব করার দরকার নেই।
আইনুন নিশাত স্যারের লেখাটি পড়ে মনে হল বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থানে ছিল না কখনও। এক্ষেত্রে আলোচনা দীল্লিভিত্তিক হবে না কলকাতা ভিত্তিক সেটা দেখার বিষয়। তবে বিষয়টিকে প্রাথমিকভাবে রাজনীতির হাতে ছেড়ে দেবার মতটিকে ঠিক সমর্থন করতে পারলাম না। এর প্রকৌশলগত দিকগুলো কিছু না জেনে কিভাবে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব তা বোধগম্য হল না।
একটা বিষয় স্মরন রাখা দরকার। এটা বাংলাদেশের স্বার্থের ব্যপার। সেক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ হিসাবে যে যেই মন্তব্যই করুন না কেন সেটা বেশ ভেবেচিন্তে দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে তাদের। তা আইনুন নিশাত স্যারই হোন আর আপনি সচল জাহিদই হোন। বিশেষত কেউ বলছেন টিপাইমুখ বাংলাদেশের জন্য ভাল হবে কেউ বলছেন উলটো। আমার উদবেগের উৎস সেখানেই। আশা করি আমার কথা থেকে ভুল বুঝবেননা।
আমি এখন আসলে কিছু স্বীকৃত রিপোর্টের বিবৃতি দিচ্ছি। আমার নিজস্ব কিছু মতামত সামন এদিব তখন আপনার এই পরামর্শ গুলি অবশ্যই বিবেচনা করব।
পূর্ণ সহমত। আমি মডেল নিয়ে কাজ করি অনেক আগে থেকে। আমার বিএসসি, এমএসসি আর এখনকার পিএইচডি গবেষণা সবই ফিজিকাল ও গানিতিক মডেল নির্ভর। পানি সম্পদের ক্ষেত্রে এত বেশী চলক আর ধ্রুবকের প্রভাব থাকে যে মডেল গবেষণা ছাড়া অনেক কিছুই করা যায়না। তবে অবশ্যই মডেলের ফলাফলের বাস্তব সম্যত ব্যখ্যা প্রয়োজন আছে। অনেক ধ্রুবক আছে যা পরিবর্তন করলে ফলাফল পরিবর্তিত হয়। এমন ভাবে এই ধ্রুবক গুলির মান নির্নয় করতে হবে যা প্রকারান্তরে বাস্তবিক হয়।
আসলে আমরা যারাই কথা বলছি তারা আগের অভিজ্ঞতা বা আগের করা কোন না কোন রিপোর্টের আলোকে কথা বলছি ( আপনি উপরের লিঙ্কগুলোতে সাক্ষাৎকার গুলো দেখুন)। আসলে প্রয়োজন একটি সম্মিলিত গবেষণা। আমি আমার লেখার উপসংহারে এ বিষয়ে আলোকপাত করব।আপনার উদ্বেগ কিন্তু আমি আমাএ লেখার প্রথম পর্বেও উল্লেখ করেছি ভূমিকাতে। দেশের জন্য যা ভাল তাই লেখার চেষ্টা করব শুধু এইটুকুই বলতে পারি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বিশদ উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন