আমার এক আত্মীয়ার কথা বলছি ( নাম বা সম্পর্ক বলছিনা) সাংসারিক একজন মানুষ।স্বামী আর দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার। পড়াশুনে করেছেন যথেষ্ট কিন্তু পেশা বেছে নিয়েছেন সংসার ধর্মকে। আমার কাছে অনেকটা আদর্শ এই পরিবারটির স্বামী স্ত্রী দুই জনই ধার্মিক, নিয়মিত নামাজ পড়েন, সাধ্যমত মানুষকে সাহায্য করেন।
বছর ৬ আগের কথা, আমি তাকে দেখলাম 'পৃথিবী' নামক একটি ম্যাগজিন বই পড়তে। আমি একদিন সেটি উল্টিয়ে দেখলাম, বড় বড় ভাল ভাল সব কথা লেখা। আমি কিছুটা জানার চেষ্টা করলাম তার কাছ থেকে যার সারসংক্ষেপ কিছুটা নিচে দেবের চেষ্টা করলাম।
এদের ( জামাতি বা শিবির ) যাত্রাটা শুরু হয় মানুষকে ভাল ভাল কথা বলে এমনকি আপনি কখনই শুরুতে জানবেননা যে আপনি এদের দ্বারা সাহায্যপ্রাপ্ত হচ্ছেন, জানবেন কিছুদিন পর।হয়ত পাশের বাসার কোন এক ভদ্রমহিলা আপনার সাথে যার কিছুটা কথা বার্তা আছে সে আপনাকে নামাজ সঠিক করে কিভাবে পড়তে হয়, কুরআন শরীফ কিভাবে সহীহ্ ভাবে পড়তে হয় এই সব নিয়ে সাহায্য করবে এবং এর গুরুত্ত্ব বর্ননা করবে। এর পরবর্তী ধাপ হলো পাশের বাসায় এইগুলো নিয়ে আলোচনা করার জন্য কয়েকজন মিলিত হওয়া।বাংলাদেশের মানুষের স্বাভাবিক একটি প্রবৃত্তি হচ্ছে কয়েকদিন অন্যের বাসায় ঘোরাঘুরি করলে একদিন নিজের বাসায় সবাইকে ডাকার বাসনা জাগে, না ডাকলে মান ইজ্জত থাকেনা। সুতরাং মগজ ধোলাইয়ের পরবর্তী ধাপ হলো নিজের বাসায় এরকম ধর্ম আলোচনা করার জন্য সবাইকে নিয়ে বসা। এই পর্যন্ত এদের কার্য্যক্রম শুধুমাত্র ধর্ম নিয়েই থাকে বলে সাধারণ মানুষদের কাছে এটি গ্রহণযোগ্যতা পায়।
আর পরবর্তী ধাপ হচ্ছে বই পড়া। ধর্ম আলোচনার পাশাপাশি কিছু বিশেষ লেখকের বই সবাইকে পড়তে দেয়া হয় সাথে পৃথিবী নামক ম্যাগাজিনটাও নামমাত্র মূল্যে বিতরণ করা হয়। উপদেশ থাকে এক সপ্তাহে যে যা পড়বে তা নিয়ে তাকে পরবর্তী সভায় আলোচনা করতে হবে ফলে কিছুটা বিব্রতকর পরস্থিতি এড়ানোর জন্য সবাই পড়াশুনা করে। পড়াশুনা করাকে আমি কখনই খারাপ চোখে দেখিনা কিন্তু তা হতে হবে নিজের ইচ্ছায় এবং উন্মুক্ত। কিন্তু এই পড়াশুনাগুলো হয় চাপিয়ে দেয়া এসাইনমেন্টের মত এবং বিশেষ কিছু লেখকের যারা সবাই জামাত শিবিরের বড় মাপের নেতা। এই পর্যায়ে আসতে একজন মানুষের এক বছর লেগে যায় সুতরাং ততদিনে সবার সাথে একটা হৃদ্যতা গড়ে উঠে এবং চাউলেও সহজেই এই সংগ ছাড়া যায়না।
এভাবে আরো কিছুদিন চলার পর এই মানুষগুলির দ্বায়িত্ত্ব বাড়িয়ে দেয়া হয়। প্রথম দায়িত্ত্ব হচ্ছে পরিবারের অন্যান্য সদস্য যেমন ছেলে মেয়ে স্বামী বা স্ত্রীকে একই ভাবে যুক্ত করা। এই পর্যায়ে এসে অনেকেই ভুল বুঝতে পারে পরিবারের সদস্যদের বাঁধার কারনে বিশেষ করে বড় ছেলে মেয়ে থাকলে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এরা পরিবারকে সম্পৃক্ত করে ফেলে যদি ছেলে মেয়ে ছোট থাকে। আস্তে আস্তে পরিবারের গন্ডি পেরিয়ে তারা পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা কিংবা পাশের বাসায় প্রতিবেশীদের এই বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে থাকে।
আস্তে আস্তে তারা মহল্লার দায়িত্ব পান, নিয়মিত পার্টির মিটিং এ যেতে থাকেন এবং ধীরে ধীরে যুক্ত হয়ে পড়েন ধর্মের নামে রাজনীতি করা এই সংগঠনটির সাথে। প্রশ্ন উঠতে পারে এতে দোষ কিসের ? দোষ হচ্ছে মানুষকে ধোকা দেয়া, এরা মানুষের দূর্বল দিক আক্রমন করে কিছুটা রাস্তার মলম বিক্রেতার মত। রাস্তার মলম বা ঔষধ বিক্রেতা কালো মানুষকে সাদা করার, বেটেকে লম্বা করার প্রলোভন দেখায় আর মানুষ বিশ্বাষ করে কিনে নেয় কারন সেটি তার দূর্বল দিক। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সিংহভাগ ধর্মভীরু মানুষ (আমি ধার্মিক বলছিনা) এদের ধর্মের দোহাই শোনে তাদের পথ অনুসরণ করা শুরু করে।
সবচাইতে মজার দিক হলো এই লোকগুলিকে যখনই বাংলাদেশের ৭১ এর ইতিহাসের প্রসংগ আসে ঠিক তখনই বলে অতীত নিয়ে ঘাটাঘাটি করে লাভ কি ? এরা এতটাই সাহসী যে আমার এক পরিচিত আত্মীয় হুমায়ুন আজাদ সারকে আঘাত করার পর গলা উচিয়ে বলেছিল 'ঠিক কাজ করেছে'। কোন এক খাবার টেবিলে আলোচনার সময় তার কাছ থেকে এই কথাটি শুনে ইচ্ছে করছিল একটা লাথি দিয়ে দেখান থেকে বের করে দেই, পারিনি মেহমান বলে। সুতরাং এই হচ্ছে তাদের আদর্শ।এদের নুরানী চেহারা আর সাদা সাদা দাড়ি দেখে আপাতদৃষ্টিতে ফেরেশতার মত দেখা গেলেও এরা আসলে ভন্ড ও ধোকাবাজ।
শেষ করি একটি ভাল অভিজ্ঞতা দিয়ে যা নিয়ে আজকেও তৃপ্তি পাই।বুয়েটে পড়ার সময় ডিবেটিং ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলাম যেখান থেকে ইউকসু নির্বাচনের সময় ভিপি জিএস বিতর্ক হত।নির্বাচনের ফলাফল অনেকাংশে নির্ভর করত এই বিতর্কের উপর। সেইবার আমরা বোধকরি চতুর্থ বর্ষে পড়ি ( সম্ভবত ২০০১ বা ২০০২ সাল)। সাধারনত বুয়েটে তিনটি দল নির্বাচন করে আওয়ামীলীগ, বিএনপি আর ছাত্রফ্রন্ট। সেইবারই প্রথম শাখা প্রশাখা গজিয়ে উঠা শিবির সম্মুখ নির্বাচনে আসল। পড়লাম দুই সমস্যায়ঃ এক, ছাত্র ফ্রন্ট শিবিরের সাথে এক মঞ্চে বিতর্ক করবেনা আর বিএনপি শিবিরকে সমর্থন করে। অন্যদিকে একজন বিতর্ক কর্মী হিসেবে ও দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে কিভাবে দেশের সাথে বেঈমানী করা একটি দলের ছাত্রসংগঠনকে আমার ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে দেই সেই জিনিসটাও কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল। কিন্তু সরাসরি না করা যাবেনা কারন তারা একটি দলের ব্যানারে নির্বাচন করলেও বুয়েটের অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী কোন প্যানেলেই দলীয় কোন সম্পৃক্ততার প্রমান নেই। পরে আমরা ক্লাব মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম বুয়েট ডিবেটিং ক্লাব ইউকসুর পূর্বের নির্বাচনগুলির ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করে সর্বোচ্চ জনপ্রিয় তিনটি প্যানেলকে নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করবে। আমাদেরকে এটি করতে যেয়ে শিবির ও ছাত্রদলের নেতাদের রোষানলে পড়তে হয়েছিল কিন্তু কাজটি করে যে তৃপ্তি পেয়েছিলাম তা ছিল অসাধারণ। এভাবেই দেশের সব জায়গা থেকে ওদেরকে বিতাড়িত করতে হবে, ওদের গজিয়ে উঠা শাখা প্রশাখাকে বাড়তে দেয়া যাবেনা কারন তাহলে একদিন এই আগাছাগুলিই আমাদের সোনালী ধানের ক্ষেত ছেয়ে ফেলবে।
মন্তব্য
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সর্বনাশ !! পরিচিত কিছু বসায় আমিও যে ঐ 'পৃথিবী' ম্যাগাজিন দেখেছি...
আপনি যে প্রসেসের কথা বললেন স্যার, ঐটা প্রায় পুরাই ঠিক । আর কিশোর- তরুণদের যোগ করার জন্যে তাদের প্রতি এলাকায় 'কিশোরকন্ঠ' নামক ম্যাগাজিন বিতরণের কথাও কোন এক সচল বলেছেন । ঐটার আমি প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
এখন বাংলাদেশের অনেক বাসায়ই ঐ ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। আমি নিজে এই প্রক্রিয়ার একজন চাক্ষুস স্বাক্ষী।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সিক্স/সেভেনে থাকতে আমাকেও বেশ কিছু কিশোর কণঠ দেওয়া হয়েছিলো। ভুতের গলি মসজিদের সাপ্তাহিক আলোচনা সভাতেও গিয়েছিলাম একবার কি হতে পারে দেখার জন্য। এর বেশি আর টানতে পারেনাই। কিশোর কন্ঠের টাকাগুলো দেওয়া হয় নাই। এইটাই একমাত্র আফসোস। আল্লাহ মাফ করে দিয়ো।
ভাই ওদের টাকার অভাব নেই। আপনার মত হাজারটা ছেলের কাছে ম্যাগাজিনটা পৌছানই ওদের কাজ, সেটা ওরা সফল ভাবে করেছে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ ভাই, শিরোনামটা ঠিক করেন। পরে পড়ে মন্তব্য দিবো।
ধন্যবাদ বস।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ অসংখ্য ধন্যবাদ, লেখাটা দেবার জন্যে, আশা করব আপনার মত আরো অনেকে লেখা দিয়ে শিবিরের কুকরমের ইতিহাস প্রকাশ করবেন, আর আপনার অনুমতি পেলে লিংকটা শেয়ার করতএ চাই খোমাখাতায়।
অসাধারন একটা লেখা, খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন পারিবারিক লেভেলে কিভাবে এই সাক্ষাত শয়তানেরা রিক্রুট করে। খুব ভালো লাগল এটা পড়ে,
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আরো লেখুন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
ধন্যবাদ বস। অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সরি বস, মন্তব্য দেবার সময় ভাই বাদ পড়ে গেছে, খুবই লজ্জিত। আপনে আমার বয়সে বড়, সেই সুবাদে আমাকে তুমি করে বললে আরো ভালো লাগবে। শেয়ার করার অনুমতি দেওয়ার আবারও ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
সাইফ লেখকদের মধ্যে ছোট বড় কিছু নেই, সচলের সবাই একটা পরিবারের মত। আমি কিন্তু সুযোগ পাইলেই ইন্টারের বছরটা জাইনা নেই আর যেই মাত্র তা ৯৬( আমার বছর) বা তাহার অধিক হয় সানন্দে তুমি চালাইয়া যাই। এই দেখ তোমার ইন্টার ৯৭ বইলা কেমন তুমি চালাইয়া দিলাম !!!!
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ বস।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
শিবির এর কুকর্মের উপর যদি একটা বই লেখা হয়-তাহলে সেটা একটা মহা কাব্বে রুপান্তরিত হবে। আর এই রগ কাটা গ্রুপ এ যারা আছে তারা আসলে মানুষের আড়ালে একেকটা পশু।
তবে আমাদের বাকি দুই ছাএ সংগঠন কতটা ধোয়া তুলসি পাতা? ....এদের কুকির্তিরও কমতি নাই। দেশে এখন মনে হয় "ঠগ বাছতে গা উজার" এর অবস্থা।
সহমত।
অফ টপিকঃ আপনি কি আরিফ মোহাম্মদ সনেট ? ( বিন্দুবাসিনী, নটরডেম, বুয়েট তড়িৎ, ইউ অফ টি ডালাস?)
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সচল জাহিদ, অনেক ধন্যবাদ লেখাটির জন্য...। আমি ঠিক একই অনুভূতি পেয়েছি। আমি যেই কথা বলতে চাই, আপনার যেমন ওই পরিবারটিকে ভাল একটি পরিবার মনে হয়েছে---- আমি এমন বেশ কয়েকটি পরিবার চিনি যাদের কে কোনো মতেই খারাপ মানুষ বলা যাবে না। এরা না বুঝেই মৌলবাদ অর্থনীতির একটি ইউনিট হয়ে গেছে। উমম ৭১ নিয়ে কিন্তু ওদের নিজেদের বই আছে। আর আমরা কিন্তু অতীত মনে রাখি না।
ওদের হুমায়ুন আযাদ নিয়ে যে বক্তব্য সেটি আপনি যুক্তি দিয়ে খন্ডন করতে পারবেন না। যুক্তি অনুযায়ী ওরা ঠিক। ...
'আস্তে আস্তে তারা মহল্লার দায়িত্ব পান, নিয়মিত পার্টির মিটিং এ যেতে থাকেন এবং ধীরে ধীরে যুক্ত হয়ে পড়েন ধর্মের নামে রাজনীতি করা এই সংগঠনটির সাথে। প্রশ্ন উঠতে পারে এতে দোষ কিসের ? দোষ হচ্ছে মানুষকে ধোকা দেয়া, এরা মানুষের দূর্বল দিক আক্রমন করে কিছুটা রাস্তার মলম বিক্রেতার মত। রাস্তার মলম বা ঔষধ বিক্রেতা কালো মানুষকে সাদা করার, বেটেকে লম্বা করার প্রলোভন দেখায় আর মানুষ বিশ্বাষ করে কিনে নেয় কারন সেটি তার দূর্বল দিক। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের সিংহভাগ ধর্মভীরু মানুষ (আমি ধার্মিক বলছিনা) এদের ধর্মের দোহাই শোনে তাদের পথ অনুসরণ করা শুরু করে।' ...ইজম ব্যাপারটি থাকবেই। মানুষ যে কোনো দলবভুক্ত থাকলে নিরাপদ বোধ করে।ওইটা আমরা আটকাতে পারব না। তাদের বিকল্প রাস্তা তো আমরা দেখাইনি-----এটা আমাদের দোষ।
'এদের নুরানী চেহারা আর সাদা সাদা দাড়ি দেখে আপাতদৃষ্টিতে ফেরেশতার মত দেখা গেলেও এরা আসলে ভন্ড ও ধোকাবাজ।' সেটি কিভাবে এই সরল পরিবার গুলো জানবে?
, সত্যি কথা, আর এর উত্তর আমাদের কাছে আছে বলে তো মনে করতে পারছি না
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এদের বাহিরে লেপাপোছা দুধের মতো সাদা,
তার ভিতরে বাস করে শতকোটি শয়তানের দাদা ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
জটিল হইছে ভাইয়া।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বর্ষা আপু তো দারুণ সব বিশ্লেষণী মত দিচ্ছেন! একটা আলাদা পোস্টের দাবি রইলো আবারো।
একই দাবী আমারো।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বুঝলামনা ... হুমায়ূন আজাদকে হত্যাপ্রচেষ্টা নিয়ে জামাত-শিবিরের যুক্তির কথা বলছেন? ... "যুক্তি অনুযায়ী ওরা ঠিক" হয় কোন যুক্তিতে?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এটাত ভয়াবহ কথা !! কেউ কি বইটা পড়েছে ?
আসলে ধর্ম আর ধর্মীয় রাজনীতির পথ আলাদা বলে আমরা মনে করি কিন্তু ওদের ও এই জাতীয় মৌলবাদী কিছু গোষ্ঠীর যুক্তি কিছুটা এরকমঃ
শিবিরীয় যুক্তিঃ মোহাম্মদ (সাঃ) নিজে ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি একজন শাষকও ছিলে। মদীনায় তিনি সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেখানে রাজনীতি চর্চা হত। সুতরাং শুধু নামাজ পড়ে কিছু হবেনা সেই সাথে রাজনীতি করতে হবে।
তাবলীগিয় যুক্তিঃ মহানবী মানুষকে ধর্মের জন্য দাওয়াত দিতেন, সৎ পথে আনতেন, ইসলামকে কায়েম করার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতেন সুতরাং আমাদেরও তাই করতে হবে।
জঙ্গীবাদীয় যুক্তিঃ মহানবী ইসলাম প্রচারের জন্য যুদ্ধ করেছেন, আর ধর্ম যুদ্ধের জন্য শদীদ হওয়া গর্বের। সুতরাং এরা যেকোন জঙ্গীবাদকে আগে ইসলাম প্রচারের জন্য যুদ্ধ বলে হালাল করে পরে মানূষকে কাজে লাগায়।
আমার কথা হচ্ছে এই সম্পর্কে শিক্ষাগুলি পরিবার থেকেই দিতে হবে যেন ছোটবেলা থেকে সন্তানেরা একটি ভাল গাঁথুনি নিয়ে বড় হয়।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মগজ ধোলাই কর্মে এরা সত্যিই বেশ পটু এবং এটি আমি নিজেই দেখেছি এবং এখন বুঝি এদের কথায় ভোলা কত সহজ! তখন বয়স ১২ কি ১৩। আমরা যে ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকতাম সেখানে প্রতিদিন বিকেলে বিভিন্ন ফ্ল্যাটের ছোট বড় ছেলেমেয়েরা নামতো খেলতে। তখন ঐ বিল্ডিং এ একজন বড়ভাই বেশ জনপ্রিয় ছিলো সবার মাঝে, বিশেষত ছোটদের মাঝে এবং এর মধ্যে আমিও ছিলাম। তিনি নূরানী পোষাক আর টুপি পরে প্রতিদিন বিকেলে নামতেন আর মিষ্টি কথায় শিশু কিশোরদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। আমাদেরকে নিয়ে ্রোজ পাটি বিছিয়ে একপাশে বসতেন আর শোনাতেন হাদীস, কোরআণ এর কথা। শোনাতেন কত প্রকার দোযখ আছে, কোন গুণাহ এর কী সাজা, কবরের আযাবের বর্ণনা, জিহাদ কী ও কেন? আর ইহকালে আল্লাহ’র পথে কি করে থেকে পরকালের ভবিষ্যত তৈরী করতে হবে এইসব। বলতেন কী করা উচিত, আর কী উচিত নয়। সত্যি কথা বলবো, আমাদের কাছে উনি একদম ফেরেশতার মতো মনে হতো! উনি কথা বলতেন আর আমরা হা হয়ে সব শুনতাম এবং ভয়ে শিউরে উঠতাম যখন আযাবের বর্ণনা করতেন। এর ফলাফলও দেখেছি, ছোট ছোট মেয়েরা মাথায় কাপড় দেয়া শুরু করলো এবং সবাই নিয়মিত নামায রোজা শুরু করলো। একটি আলাদা দল তৈরী হয়ে গেলো। সে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিলো প্রায়, প্রতি বিকেলে তার সাথে সবাইকে একটা সময় বসতে হবে, তিনি যে হাদীস এর বই দিতেন তা পড়তে ও তার থেকে আলোচনা করতে হবে। এবং সে এমন ভাবে সবার মন জয় করে নিয়েছিলো যে, সবাই তার কথা মানতো। আমি সেখান থেকে এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসি। পরবর্তিতে দেখেছি যে সেই ফেরেশতার মত লোকটির বউ তার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পালিয়ে গিয়েছিলো।
আজকের এসব রগ কাটা লোকরা সামনে, কিন্তু পেছন থেকে গুটি নাড়ছে রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা। ছেলেপিলেদের মগজ ধোলাই শুরু করে এরা অল্প বয়স থেকেই, বেছে নেয় তাদের, যারা সরল বিশ্বাসী, একটু দুর্বল বা ঘাত প্রতিঘাতময় যাদের জীবন। আর এরা জানে, ধর্মই হচ্ছে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম, যা দিয়ে সহজেই সাধারন মানুষকে টেনে আনা যায়।
এরকম অনেক উদাহরণ আমিও দেখেছি মুখে মধু আর অন্দরে বিষ।
আমার সবচাইতে দুঃখ হচ্ছে আমাদের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের গদি নিশ্চিত করার জন্য এই বিশেষ দলটিকে সবসময় সামনে নিয়ে আসছে। এই সুযোগে তারা সংঘবদ্ধ হচ্ছে, আমলাতন্ত্রের বিভিন্ন স্থানে নিজেদের লোক ঢুকিয়ে দিচ্ছে যার পরিনতি ভয়াবহ।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
- জামাত বা শিবিরের প্রধান উদ্দেশ্য হলো নিচু থেকে আসা। তারা এটা খুব ভালো করেই জানে, চোখের সামনে দিয়ে তারা কখনোই কিছু আদায় করতে পারবে না বাংলাদেশে। তারা তাই বেছে নিয়েছে পেছনের পথ। সেই পথে এসে ঘরে ঢুকে তারা পিঠে এক এক করে ছুরি বসাচ্ছে, বসাবে। এদেরকে না রুখতে পারলে কপালে অনেক খারাবি আছে আমাদের।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সহমত। কিন্তু এই হঠানোতে আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে একমত হতে হবে তা না হলে আমরা ব্লগে যতই চিল্লাই কোন কাজ হবেনা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ধন্যবাদ জাহিদ। দারুণ একটা লেখা।
মুক্তিযুদ্ধের আদর্শবিরোধী এই শক্তিকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে ন।
ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।
ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জাহিদ, খুব ভালো লাগল আপনার পোষ্টটা।
ভাল থাকবেন
ধন্যবাদ অনিকেতদা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
মসজিদে রেগুলার নামাজ পড়তে গেলে টের পাওয়া যায় জামাত-শিবির কি চীজ!! আঠার মতো লেগে থেকে লাইফ ঝাড়া-ঝাড়া কইরা ফেলে ... আর এত মধুর মিষ্টি ব্যবহার যে মুখের ওপর কিছু বলাও অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে ...
সমস্যা হলো বাংলাদেশে এখনও একটা বড় পার্সেন্টেজের ছেলেরা কিশোর বয়েসে মসজিদে যায় নামাজ পড়তে ... এবং রাজনৈতিক দলগুলোর স্পেকট্রামে দেখলে এখানে জামাত-শিবিরের জন্য একেবারে খোলা মাঠ, আর কোন প্রতিপক্ষ নাই!!! ... এক আছে তাবলীগ জামাত, তবে তারা তো আর রাজনৈতিক না ... তারপরও একটা বিশাল সংখ্যক ছেলেপিলেকে জামাতের হাত থেকে বাঁচানোর ক্রেডিটটা তাবলীগ জামাতওয়ালারা দাবী করতেই পারে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আসলে ব্যক্তিগত ভাবে আমি ইবাদতে কোন সমস্যা দেখিনা।তবে পরিবার থেকে এই বিষয়ে সাবধান করে দিতে হবে যে নামাজের পর এই জাতীয় কোন আলোচনায় যেন তারা না থাকে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হুমমম, আমার আগের মন্তব্যের প্রথম বাক্যটি এমন হয়ে গেছে যে মনে হবে "মসজিদে যাওয়া" ব্যাপারটা সমস্যা .... আসলে সেটা বোঝাতে চাইনি, বোঝাতে চেয়েছি, মসজিদে যেহেতু লোকে যাচ্ছে এবং যাবেই, কাজেই জামাত শিবিরের ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার এ্যাডভান্টেজ যেটা, সেই সমস্যাটা টিকে থাকবেই, যদি অন্যদের থেকে সেরকম প্রচেষ্টা না থাকে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
রিপন, তোমার পোস্টের শেষ প্রসঙ্গটিতে কিছু তথ্য যোগ করছি।
১৯৯১ সালে গঠিত হওয়া বুয়েট ডিবেটিং ক্লাব ১৯৯২ সালের ইউকসু নির্বাচনের সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিতর্কের আদলে "ইউকসু ভিপি ডিবেট" আয়োজন করা শুরু করে। ১৯৯৫-এর পরে জিএসদের নিয়ে বিতর্কও যোগ করা হয়। একেবারে প্রথম আয়োজন থেকেই শিবিরকে না নেয়ার জন্য ক্লাব সদস্যদের দৃঢ়তা, শিবিরকে নেয়ার জন্য ছাত্রদলের পরোক্ষ চাপ আর 'নির্দলীয় নির্বাচন'-এর অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের positive neutrality কাজ করেছে। প্রতিবারই ক্লাব সদস্যরা এই ব্যাপারে অনমনীয় থেকে শিবিরকে ছাড়াই বিতর্কটি আয়োজন করে গেছে। যারা ইউকসু নির্বাচন দেখেছেন তারা জানেন ইউকসু নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এই বিতর্ক অনুষ্ঠানটির গুরুত্ব কতটুকু। ক্লাব সদস্যদের শিবিরের ব্যাপারে আপোষহীন এই মনোভাবের একটা বড় কারণ গত ১৮ বৎসরে প্রকাশ্য কোন শিবিরকর্মী এই ক্লাবের সদস্য হতে পারেনি। গোপনে কেউ যোগ দিলেও ক্লাবের ভেতর তাদের স্টাইলে কোন কর্মকাণ্ড চালাতে পারেনি। এর জন্য কিন্তু ক্লাবের গঠণতন্ত্রে শিবিরবিরোধী কোন অনুচ্ছেদ যোগ করতে হয়নি - ক্লাব সদস্যদের সচেতনতাই যথেষ্ঠ হয়েছে।
প্রথম "ইউকসু ভিপি ডিবেট"-এর প্রসঙ্গে একটা কথা মনে পড়ল। শিবিরকে বাদ দেয়ার জন্য যে কৌশল নেয়া হয়েছিল তাতে খান দুই মাইক্রোস্কোপিক বাম ছাত্র সংগঠন বিতর্ক থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিল। এতে তাদের একপক্ষের বেশ গোস্বা হয়েছিল। গোস্বাকারী পক্ষ পরদিন বুয়েট ভরে ফেলেছিল তাদের বিবৃতির কপি দিয়ে। সেই বিবৃতিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে "স্বৈরাচার", "সাম্রাজ্যবাদের দালাল", "মুৎসুদ্দী", "প্রগতি বিরোধী" ইত্যাদি বাম ভাষায় কঠিন কঠিন গালাগাল করা হয়েছিল। নিজেরা বাদ পড়ায় ক্লাবের কাছ থেকে কোন ব্যাখ্যা না চেয়ে গালাগাল করাটা বোধহয় তাদের সংস্কৃতিতে পড়ে - শিবিরকে বাদ দেবার কৌশলটা তাদের কাছে সম্ভবত মুখ্য নয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
আরিফ ভাই বুয়েট ডিসি নিয়ে আপনারা যে পরিমান সমস্যায় পড়েছিলেন আমরা সেই তুলনায় অনেক ভালই ছিলাম। আসলে ক্লাবের সব সময়ে সিনিয়র সদস্যদের সম্পৃক্ততা আমাদের কাজগুলিকে অনেক সহজ করে দিয়েছিল।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। বুয়েটে শিবির ঠেকানোর জন্য সেসময় মিছিলও হয়েছিল।
আমার অনেকসময়ই মনে হয়েছে শিবির ঠেকানোর একটা বড় উপায় ছাত্রদের সৎ (!) বামপন্থার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। সব ভার্সিটিতেই শিবিরের একমাত্র শক্ত প্রতিপক্ষ বামপন্থী ছাত্ররা। কিন্তু মনে হয় এর সাথে অনেকেই একমত হবেন না...
'শিবির হল ভাইরাস'- তাদের মত নিখুঁত দক্ষতায় এইভাবে ছড়িয়ে পড়া...মানুষের পক্ষে সম্ভব না। মুশকিল একটাই, এন্টিভাইরাস বের করা দরকার...খুব শিগগিরি।
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ধন্যবাদ শান্তুনু।
আমি একমত। তবে সমস্যা হলো বামপন্থীরা সংখ্যায় কম বলে তাদের প্রভাবটাও চোখে পড়ে কম। এজন্যই বলি শিবির হটাতে হলে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে একীভুত হতে হবে অন্তত এই ইস্যুতে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
শিবির মেকিং (?) প্রসেসটা কিন্তু আমি যত দূর দেখেছি এই দূর প্রবাসেও একইভাবে কাজ করে। অনেক সেটেল্ড প্রবাসিরা নতুনদেরকে থাকার জায়গা, কাজ এমন বিভিন্ন রকম বিষয়ে সাহাযয্ করেন এবং এসব কারনে অনেকেই পরবর্তীতে কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে তাদের "তবলিগ" জ়াতীয় নানারকম ধর্মভিত্তীক আলোচনার দাওয়াতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানাতে সংকোচ করেন। সমসয্আ গুলো এভাবেই ছড়াতে থাকে।
আমাদের এইদিকে অবশ্য তাবলীগ দেখেছি কিন্তু শিবিরের দেখা এখনো পাই নাই। তবে কৃতজ্ঞতা বোধ থেকে বায়াসড হওয়াকে আমি খুবই ঘৃনা করি বিশেষ করে যারা এই সুযোগটা নেয় তাদের।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এরা শিশু-কিশোর, গৃহিনী এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বর্তমানে বহুজাতিক কোম্পানির ইয়ং এক্সিকিউটিভ দের ও টার্গেট করছে হিজবুত তাহরী'র নামে। চোন্ত কিছু লোকজন রয়েছে- ক্লীনশেভড, ডায়নামিক আচরন.... কোনো জায়গাই তাদের নজরহীন নেই আর।
সঠিক।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
বলেনকি ? একটু বিস্তারিত জানাবেন পরবর্তীতে আশা করি।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু ভাই।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভালো একটা শিবির কেন্দ্রিক অভিজ্ঞতার ভান্ডার হচ্ছে সচলায়তন!
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
এখন এই অভিজ্ঞতাগুলিকে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে আরো সচেতন করতে হবে।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দুঃখের ব্যাপার হলো আমরা ওদের সমস্ত ট্রিকস্ ও কারুকার্য চোখের সামনেই দেখি, বুঝি, কিন্তু একটিভলি কিছুই করি না। আমরা কেন যেন 'হাত পা বাঁধা' টাইপের এক ধরনের অস্বস্তিকর অনুভুতিতে আক্রান্ত থাকি।
আমাদের শুন্যতাই ওদের বিস্তারের পরিবেশ তৈরি করে।
সহমত। তবে কি করব বলুন, আশে পাশের মানুষকে বলতে পারি পরিবারকে সচতন করতে পারি, গনমাধ্যমে সচেতনতামূলক কিছু লিখতে পারি ,কিন্তু ওদেরকে দমাতে গেলে যাদের প্রথমেই এগিতে আসতে হবে তারাত আসেনা।
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ভাল বিশ্লেষণ।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
ধন্যবাদ
-----------------------------------------------------------------------------
আমি বৃষ্টি চাই অবিরত মেঘ, তবুও সমূদ্র ছোবনা
মরুর আকাশে রোদ হব শুধু ছায়া হবনা ।।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
জ্বিনের বাদশা কে বলছি, আমি হুমায়ূন আজাদ এর ইমেজ সম্পর্কে বলছিলাম।
'হুমায়ূন আজাদকে হত্যাপ্রচেষ্টা নিয়ে জামাত-শিবিরের যুক্তির কথা বলছেন? ... "যুক্তি অনুযায়ী ওরা ঠিক" হয় কোন যুক্তিতে?' হত্যাপ্রচেষ্টা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। আমি বলছিলাম বেশীর ভাগ সাধারন মানুষ কিন্তু ওনার প্রজ্ঞা এবং জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে জানে না। ওনার চড়া মাত্রার প্রকাশ ভংগী একটু হজম করা কষ্টকর। যেটি সিরাত বলতে চেয়েছে------ওনার জীবন প্রনালী নিজে যা বলতেন বা যা প্রকাশ পেতো সেটা ধর্ম ভীরু মানুষের পক্ষে মেনে নেয়া কষ্টকর। তাদের কাছে আজিজ মুহাম্মদ ভাই যা- হুমায়ুন আযাদ ও তাই।( কাল আমি কেনো জেনো মন্তব্য গুলো পড়তে পারিনি...।।)
সচল জাহিদ কে বলছি, উদ্ধৃতি
উমম ৭১ নিয়ে কিন্তু ওদের নিজেদের বই আছে
এটাত ভয়াবহ কথা !! কেউ কি বইটা পড়েছে ?
-----আমি শুনেছি, পড়িনি।ফতুয়া পরা একজন যে জামাতি বাসায় নিয়মিত যাচ্ছে তাই অনেক ছিলো...।
আমার কথা হচ্ছে এই সম্পর্কে শিক্ষাগুলি পরিবার থেকেই দিতে হবে যেন ছোটবেলা থেকে সন্তানেরা একটি ভাল গাঁথুনি নিয়ে বড় হয়।
কিন্তু কেনো মা রা সন্তানদের অন্য পথে চালিত করবে...? এইটা তো বড় মাত্রায় করতে হলে সরকারের সাহায্য চাই। তবে অনেক সুস্থ ধারায় বাচ্চাদের চালিত করা যায়----গনিত অলিম্পাড অথবা বিশ্বসাহিত্য ভালো উদ্যোগ।
জামায়াতে ইসলামির নেতারা বলে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ইহুদি-নাসারা (!!) দের দ্বারা অনুপ্রাণিত। তাই তারা ইসলামি শিক্ষার (!!??) পক্ষে।
কিন্তু তাদের নেতাদের ছেলে মেয়েরা দেখা যায় সব ইহুদি-নাসারাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় (!) শিক্ষিত।
সাপ্তাহিক ২০০০ এর রিপোর্ট:
জামায়াত নেতাদের ছেলেমেয়েরা পড়ে স্কুল কলেজ বিদেশে
কৃতজ্ঞতা : ব্লগার সেলটিক সাগর
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমেরিকায় প্রবাসীদের জন্যঃ মুনা বা মুস্লিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা" সংগঠণটি আমার জানামতে জামাত-শিবিরের আমেরিকা-কানাডা প্রকল্প। এদের সাথে মিশবার আগে একটু খিয়াল রাখবেন।
http://www.muslimummah.net/php/preamble_beng.php
দারুণ বিশ্লেষণ। চমৎকার লাগল পোস্টটা
নতুন মন্তব্য করুন