-আমি নেমে যাচ্ছি।
হঠাৎ লোকটির কথায় সে বইয়ের জগৎ থেকে বাইরে আসল।
-আমার নামার স্টেশন চলে এসেছে, বইটা দেবে খোকা? এটি আমার ছেলের জন্য এনেছি লাইব্রেরী থেকে, সেও তোমার মত বইপাগল।
কিন্তু বইটি যে তার পড়া শেষ হয়নি আর মাত্র কয়েকটা পৃষ্ঠা বাকী। কিছু করার নেই অবশ্য, তাড়াতাড়ি করে বর্ণ বইটির আর লেখকের নাম টুকে রেখে তাকে ফিরিয়ে দিল।
গল্পটি এখানেই শেষ নয়, নানাবাড়ি যেয়ে পরেরদিনই সে ছোটমামাকে নিয়ে ট্রেন স্টেশনে আসল বইয়ের দোকানে। স্টেশনের সব কয়টি দোকান তন্ন তন্ন করে খুঁজেও বর্ন যখন বইটা পেলনা তখন ছোটমামা তাকে বুঝিয়ে বলল ঢাকায় ফিরে কিনিস সেখানে অসংখ্য দোকান নিশ্চয়ই পাবি। পুরো ছুটির সময় বর্ণের খুব খারাপ কাটল এবং যে কয় দিন থাকার চিন্তা ভাবনা করে এসেছিল তার কিছুটা আগেই সে ঢাকাতে চলে আসল। ফিরে এসেই বর্ণ তার বড় ভাইয়াকে নিয়ে একে একে আশেপাশের সব বইয়ের দোকান ঘেঁটেও যখন বইটা পেলনা তখন হতাশা ছাড়া তার আর কিছুই অবশিষ্ট থাকলনা।বইটি না শেষ করতে পারার যন্ত্রনা তার পিছু ছাড়ছিলনা, কি ছিল ঐ শেষ পৃষ্ঠাগুলিতে?
আস্তে আস্তে সময় বয়ে যায়, বর্ণও স্কুল কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে একসময় কর্মজীবনে চলে আসে। সরকারী চাকুরী সুবাদে তার পোষ্টিং হয় একটি মফস্বল শহরে। অফিসের ব্যস্ততার শেষে তার সময় কাটত শহরটির পাবলিক লাইব্রেরীতে বই পড়ে। একদিন সেই লাইব্রেরীতেই খুঁজতে খুঁজতে বর্ণ অবশেষ ছেলেবেলার শেষ না করা সেই বইটি পেয়ে গেল। বইটি যে আবার পড়তে পারবে তার আশা সে ছেড়েই দিয়েছিল। তাড়াতাড়ি সেটি নিয়ে সে শেষ পৃষ্ঠাগুলিতে চলে গেল। কিন্তু এ কি পড়ছে সে ? এত খুবই সাধারণ মানের একটি বই, কাহিনীও তেমন চমকপ্রদ কিছু নয়। যে আগ্রহ নিয়ে বর্ণ পড়তে শুরু করেছিল তা নিমিষেই মিলিয়ে গেল, বইটি আর শেষ করা হলনা তার। বইটির কোন পরিবর্তন হয়নি কিন্তু সেই সময়টা হারিয়ে ফেলেছে বর্ণ একথাটি মেনে নিতে বড্ড কষ্ট হয় তার।
স্কুলে পড়ার সময় অন্যদিন পড়াশুনা করি আর না করি বুধবারে সন্ধ্যে লাগার পরপরই বাসায় এসে বই নিয়ে বসতাম আর একটু পরপর ঘড়ি দেখতাম কখন ৯ টা বাজবে। পড়াশুনা ঠিকঠাক মত করলে টিভি দেখার অনুমতি মিলবে এই প্রত্যাশায়, কারন বুধবারেই যে ম্যাকগাইভার হয়। তার অনেক বছর পর আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি থেকে বের হয়ে যাচ্ছি তখন আবার ম্যাকগাইভার সিরিজ টিভিতে দেখানো শুরু করল। একদিন বেশ আগ্রহ নিয়ে বসলাম সেটি দেখার জন্য এবং বলতে দ্বিধা নেই প্রতি পদক্ষেপে যুক্তি খোঁজা শুরু করলাম এবং একসময় মনে হলো ম্যাকগাইভার সিরিজ আসলে একটা গাঁজাখুড়ি কাজকারবার।
একবার স্কুল ছুটিতে গিয়েছি দাদাবাড়ি। টিভিতে তখন 'আলিফ লায়লা' সিরিজের রমরমা অবস্থা। 'চিমা মস্তকে হুর হুর' তখন আমাদের মুখে মুখে। মালেকা হামিরাহ, কেহেরমান, শাহাজাদা জালাল তালিব, কিংবা চিমা দেব আর লিমা দেব চরিত্রগুলো তখন আমাদের কল্পনায় ঘুরে ফিরে বেড়ায়।যাই হোক শুক্রবারে আলিফ লায়লা হবে সড়ে আটটায়, হঠাৎ করে সেই সময় কারেন্ট চলে গেল। চাচাত ভাইদের কেউ একজন খবর দিল বাজারে কারেন্ট আছে। সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের একটুও দেরি হলোনা, সবাই মিলে জোরে দিলাম দৌড়। হাঁপাতে হাঁপাতে যখন বাজারে পৌছলাম তখন সবে আলিফ লায়লার টাইটেল মিউজিকটা শুরু হয়েছে, আমাদের মনে হলো আমরা বিশ্ব জয় করেছি। তার থেকে অনেক বছর পরে বাংলাদেশের প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলিতে আবার যখন আলিফ লায়লা দেখাত তখন আর ম্যাকগাইভার সিরিজের মত নিরীক্ষণ করে দেখার ইচ্ছে হয়নি তবে লক্ষ্য করতাম আমার সাত বছর বয়সী ভাগনেটার মধ্যে আমার আগের দিনের সেই উম্মাদনা কাজ করছে সপ্তাহের বিশেষ ঐ দিনের বিশেষ সময়টাতে।
একসময় ছবি দেখতে খুব ভালবাসতাম। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজী সবকিছু গোগ্রাসে গিলতাম। কিছু দেখতাম বিনোদনের জন্য আবার কিছু দেখতাম নিছক বন্ধুদের সাথে আড্ডার বিষয়ের জন্য। আজ যখন ছিনেমা দেখতে বসি তখন সবার আগে লক্ষ্য পড়ে সেটার চিত্রনাট্য, নির্দেশনা কিংবা সম্পাদনার দিকে। সহজ কথায় বলতে গেলে আগের সেই বিনোদন আর পাইনা। বেশ ভাল ছিলাম যখন এত কিছু বুঝতামনা।
আমরা দুই ভাই বোন যখন বিটিভির নাটকগুলো মজা করে দেখতাম লক্ষ্য করতাম বাবা মার সেগুলো নিয়ে তেমন কোন উম্মাদনা নেই। 'বাকের ভাইয়ের' ফাঁসি হবে কিনা সেটা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত ছিলাম তারা ঠিক ততটাই উদাসীন ছিল। এখন লক্ষ্য করি আজকালকার নাটকগুলি দেখে অজান্তেই ভ্রু কুঁচকে যাচ্ছে। যে 'ইত্যাদি' একবার দেখতে না পারলে মাথা খুটে মরতাম সেই 'ইত্যাদিও' আজ ভয়াবহ বিরক্তি লাগে। একবার ভাবি নাটক, গান, কিংবা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মান কি পড়ে গেছে, পরক্ষণে মনে হয় আসলে ওগুলোর মান হয়ত ঠিকই আছে বরং আমরা আমাদের সেই সময়টাকে হারিয়ে ফেলেছি।
ছেলেবেলায় ভাবতাম কখন বড় হব, কখন বাবার মত স্বাধীন হব, আর আজকে বড়বেলায় এসে মনে হয় সেই জীবনটাই অনেক ভাল ছিল, যুক্তিহীন আবেগময় একটা সময়, সবকিছুতেই যেন নির্মল বিনোদন। ছেলেবেলা এমন একটা সময় যখন বাবা গাছ থেকে পা পিছলে পড়ে যাচ্ছে আর আমি ভয় না পেয়ে বাবার বোকামী দেখে হাসছি, যখন যখন নিছক বাগান করা নিয়ে দুই ভাই বোনের মধ্যে প্রথমে মারামারি পরে তা মনোমালিন্যে রূপ নিচ্ছে, যখন বাসায় প্রাইভেট টিউটিরের কাছে পড়তে বসে হাগু পাচ্ছে কিন্তু লজ্জায় বলছিনা অবশেষে বসে বসেই ....., যখন পহেলা বৈশাখের মেলায় বাবার হাত ধরে টমটম গাড়ি কিনে নিয়ে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেটার জীবন শেষ করে দিচ্ছি, যখন বাবার বকুনির ভয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করছি দুপুর বেলায় আর বাবা ঘুমিয়ে পড়লেই রেডিওটা নিয়ে দুয়ারে গাছের নিচে পাটি বিছিয়ে নাটক শুনছি।
আজকে ব্যস্ত নাগরিক জীবনে চোখ বন্ধ করে তাই মাঝে মাঝে ফিরে যেতে চাই সেই ছোটবেলায়। মাঝে মাঝে ফ্যান্টাসি ছবি দেখি যাতে ফিরে যাই সেই যুক্তিহীন মুক্তির আনন্দে, কিন্তু সেই আনন্দ আর ফিরে আসেনা। ঠিক যেমন বড়বেলায় মেলা থেকে কিনে আনা তালপাতার বাঁশি আগের মত আর বাঁজেনা।
|
মন্তব্য
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ মৃত্তিকা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বনফুলের 'পাঠকের মৃত্যু'র কথা মনে পড়িয়ে দিলেন।
এ আফসোস নেই এমন মানুষ কি আছে?
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
অবশেষ নাম মিলল 'পাঠকের মৃত্যু'। গল্পটির নাম মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ মর্ম, আমি শত চেষ্টা করেও মনে করতে পারছিলামনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
যেটুকু বাকি ছিল আপনার লেখা সেটা পূরণ করে দিল। আজ মোটামুটি সারাদিন ধরেই সচলের বই "ফেলে আসা ছেলেবেলা" পড়েছি আর প্রায় প্রত্যেকটা গল্প পড়েই ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিলাম। বইটা শেষ করেই আপনার লেখাটা পড়লাম এবং মনে হল ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটুকু বাকি ছিল, এটা না হলে অসম্পূর্ণ থেকে যেত হয়তো...
পাগল মন
ধন্যবাদ মামুন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
ছেলে বেলা খুব দ্রুতই হারিয়ে যায়।
জীবনকে উপভোগ করতে পারাটাই আসল। আমরা অনেকে বয়স বাড়ার আগেই মানসিক ভাবে বুড়ো হয়ে যাই, সেটাই সমস্যা।
...........................
Every Picture Tells a Story
সহমত মুস্তাফিজ ভাই। তাই চেষ্টা করি জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত উপভোগ করতে। তারপরও কোন এক মেঘলা দিনে কাথা মুড়ি দিয়ে শৈশবের কথা মনে করতে খুব ভাল লাগে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এটাকেই বলে পাঠকের মৃত্যু।
তবে পাঠকের জন্মও হয়, অনেক লেখাই ছেলেবেলাতে ভয়াবহ লাগলেও এখন দারুন লাগে।
তবে শৈশবের চোখ আর মনটা বড় হয়ে গেলে আর থাকে না এই সত্য পীড়াদায়ক। শিশুদের চোখে বিশ্বভ্রমণ বড়ই আনন্দদায়ক।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মনে আছে ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় লাইব্রেরী থেকে এনে ছাদে বসে শরৎচন্দ্রের দেবদাস পড়ছিলাম, সেটা দেখে পাশের বাসার নানুর মন্তব্য ছিল, ' এখনি দেবদাস পড়তাছ আরত দিন পইড়াই আছে'। আসলেই ঐ বয়সে দেবদাস পড়াটা বিফলে গিয়েছিল।
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আপনার লেখাটা পড়ে মনটা আমার সেই ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিল।তখন আমার ছোট মন যা করতে চাইত সব সময় করতে পারতাম না,তাই এখন আমার দুই বছরের ছেলেটা যা করতে চায়,তাই করতে দিতে মন চায়।
মিতু
রিফাত জাহান মিতু
ধন্যবাদ মিতু। আপনার ( থুক্কু আমাদের) দুই বছরের ছেলেটি যা করতে চায় তার সব করতে দিলে কিন্তু বাসায় আপনিত দূরের কথা এলাকায় কাক পক্ষীও থাকতে পারবেনা !!!
যাই হোক আমার মনে হয় সব বয়সেই কিছু না কিছু অপূর্নতা থাকা ভাল অন্তত তা নিয়ে পড়ে নস্টালজিক হওয়া যায়। যে বয়সে যা পাবার তার সব পেয়ে গেলে হয়ত জীবনে আশা কিংবা স্বপ্নের মত আর কিছু থাকেনা।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
বাহ, কথোপকথনটা ফাটাফাটি লাগল! ''আপনার (থুক্কু আমাদের)''......হাহাহা, পারোও তুমি বস!!!
========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
আবার জিগস গুরু।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
আমি ঠিক এমন একটা লেখা-ই লিখবো-লিখবো করছিলাম! তার আগেই আপনি লিখে ফেললেন!!
ভালো লেগেছে; খুউব ভালো
মুক্ত বিহঙ্গ
ধন্যবাদ ববি। ভাগ্যিস কাল পোষ্ট করেছিলাম !!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
লেখাটা খুব ছুয়েঁ দিলো। বিশেষ করে প্রথম অংশটা তো দারুণ। এতো সুন্দর করে লেখা...
মানুষ যতো বড় হয়, মুগ্ধতা আর বিশ্বাস ততো কমে যায়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজু।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
- সময়টাও বদলে গেছে জাহিদ ভাই, 'পাঠকের মৃত্যু' তো হয়েছেই!
খুব ছোটবেলায় মনে পড়ে চৈত্রের শেষ দিনে বিশাল মেলা বসতো বালাপুরের বট গাছের নিচে। যারা যেতো সেই মেলায় তারাই দুঃসাহসিক বর্ণনা দিতো কতো ভয়ঙ্কর তুফানের সাথে পাল্লা দিয়ে তবে বাড়ি ফিরেছে! মনে মনে কেবল ভাবতাম, কবে বড় হবো, কবে বালাপুরের মেলায় যাবো!
এখন সম্ভবত বালাপুরের মেলা হয় না। ভয়ঙ্কর কালবৈশাখীর রাতে কেউ এসে কোনো শিশুর হাতে একটা লাল রঙের 'রুড়ুৎ' বাঁশী ধরিয়ে দিয়ে নিশ্চয় এখন আর কেউ মেলার রোমাঞ্চকর বর্ণনা দেয় না। শিশুদেরই বা সেই বর্ণনা শোনার সময় কোথায়? তারা এখন অনেক ব্যস্ত সেই সময়ের শিশুদের চেয়ে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তোমার মন্তব্যটা আমার মন খারাপটাকে আরো বাড়িয়ে দিল ধুগো। আসলেই সময়টা হারিয়ে গেছে সেই সাথে ইচ্ছাগুলিও। এখন শুধু বসে বসে জাবর কাটা। আজকের সময়ের অপূর্নতাও হয়ত ভবিষ্যতে হা-হুতাশের খোরাক জুটাবে। মাঝে মাঝে তাই মনে হয় এই অপূর্নতা নিয়েই মানুষের জীবন।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
স্যার, খুব ভাল লাগলো লেখাটা...জানেন, আমার ছোটবেলাতে অনেক কিছু নিয়ে fascination ছিল...হয়তো একটু adrenaline rush টাইপের fascination...আজ আমেরিকার এই দিনগুলোতে আমি একটুও বদলাইনি...আমার সেই বয়সের কল্পনা গুলোর অনেক কিছুই বাস্তবে রুপ দিয়েছি, অনেকে তাই আমাকে এখন ভাবে আমি fantasy কেই জীবনের আরেক নাম বানিয়ে নিয়েছি...
ধন্যবাদ তুরেন। তোমার কল্পনাগুলো বাস্তবের দেখা মিলছে জেনে ভাল লাগল।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সময়ের সাথে রুচির পরিবর্তন স্বাভাবিক ব্যাপার - এক কালে চকলেট খাবার জন্য পাগল ছিলাম - ইদানীং দুরে থাকি একটা মজার কার্টুনের কথা মনে পড়ল:
জটিল কার্টুন স্কোপ ভায়া ...
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
নতুন মন্তব্য করুন