‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু
আমরা এখনোন চারকোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো’
আজ ২০১০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী যখন স্বাধীন দেশের মাটিতে স্মৃতির মিনার যখন ভাঙ্গা হয় তখন আমরাও কি আলাউদ্দিন আল আজাদের মত লিখতে পারি, 'আমরা এখনো পনের কোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো' ??
স্কুলে পড়ার সময় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে নিজের বাসার দুয়ারে শহীদ মিনার বানিয়েছিলাম। সাদা রঙ কিনতে না পেরে এটেল মাটি লেপে কঞ্চির রঙ ধুসর করেছিলাম আর পেছনে মাটির ঢাকনিতে পুঁই গাছের ফলের রস লেপে দিয়ে বানিয়েছিলাম লাল সূর্য্য। পাশের বাসার দুষ্ট ছেলেটা আগের দিন বল খেলতে যেয়ে ঝগড়ার প্রতিশোধ নেবার জন্য আমার বানানো মিনারটা রাতে ভেঙ্গে দিয়েছিল।সাত সকালে ফুল দিতে এসে ভাঙ্গা মিনার দেখে আমার কান্না আজো মনে পড়ে, বাবা নিজের হাত দিয়ে আবার সব কিছু ঠিক করে দিয়েছিলেন।
প্রানী মাত্রই তার উত্তরাধিকার রেখে যেতে চায়। একাত্তরে হানাদাররা চলে গিয়েছে ঠিকই কিন্তু রেখে গেছে ওদের উত্তরাধিকারদের। তাই বাহান্নতে কবি যেমন গর্ব করে বলতে পেরেছিলেন 'আমরা চার কোটি পরিবার খাড়া রয়েছি তো', আজ আমরা তেমন পারিনা কারন জানি আমাদের পনের কোটি পরিবারে রয়েছে কিছু জারজ সন্তান যাদের জন্ম দিয়েছে বা দিয়ে যাচ্ছে কিছু দূষিত বীর্য। আসুন আমরা এতে লজ্জিত হই, আমরা লজ্জিত হই কারন আমরা এখনো ঐ দূষিত বীর্যগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছি, আমরা লজ্জিত হই কারন আমাদের সন্তানেরা ঐ বীর্যগুলোকে ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবকিছুর যোগান দিয়ে যাচ্ছে, আমরা লজ্জিত হই কারন আজও ঐ বীর্যগুলোকে মেরে ফেলাটা আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজের মধ্যে পড়েনা, আমরা লজ্জিত হই কারন আমাদের লজ্জা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই খবরটি খুব সাধারণ ভাবে আসলেও এই ঘটনাটি আসলে সাধারণ নয়।
মন্তব্য
দুষিত = দূষিত।
==============================
সাহস কতো! সরকার আছে নামপাল্টানোর নেশায়। না জানি সামনে এসব বেজন্মারা কী না কী করে বসে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
ধন্যবাদ আশরাফ ভাই। প্রথমে দীর্ঘ ঊ কার দিলাম পরে কি মনে কইরা আবার সবগুলারে হ্রস্ব উ কার করলাম। এখন দেখি আগেরটাই ঠিক ছিল।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সহমত।
খবরটা আসলেও সাধারণ নয়। ধন্যবাদ জাহিদ এ বিষয়ে লেখার জন্য। এদের প্রতিহত করা অনেক আগেই উচিত ছিল, কাজটা হয়নি দেখেই আজকে এমন বাড় বেড়েছে।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
পত্রিকায় যেভাবে খবরগুলো আসে মূল ঘটনা সেটা হলে তার প্রতিবাদ অবশ্যই করি। এ বিষয়ে আমার কিছু স্মৃতি স্মরণে আসছে।
ছোটবেলায় ইট দিয়ে শহীদ মিনার বানানো হতো এবং যথারীতি কে বা কারা সেটা ভেঙেও ফেলত। পরে দেখা গেল আমাদের মধ্যেই দুয়েকজন ছিল যারা এ কাজ করতো। সবসময়ই একধরনের ছেলেপেলে থাকে যারা যেকোন কিছুতেই ভিন্নরকম কিছু করে মজা পেতো। আমি বলবোনা তারা দেশের শত্রু বা ভাষা আন্দোলন বিরোধী, কারণ তাদের মধ্যে এসব ভাবনার বয়স তখনো হয়নি বলেই ধারণা করি।
পিপিদা ধন্যবাদ আপনার স্মৃতিচারন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমার ধারনা ঘটনাটি সাধারন নয়। এইখানে বিস্তারিত দেখা যাবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
হুমম, তাইতো দেখছি। প্রথম লিংকে বিস্তারিত বোঝা যাচ্ছিলনা।
খবরটা পড়লাম। প্রকৃতিপ্রেমিক যেমনটা ভাবছেন ব্যাপারটি ঠিক তেমন হয়তো নয়। কারণ স্কুল-কলেজের শহীদ মিনার সাধারণত কংক্রিটের তৈরী শক্তপোক্ত স্তম্ভই থাকে। সেটাকে তিনজন যুবক মিলে ভেঙে ফেলবে ততটা ভঙ্গুর হওয়ার কথা নয়। এর পেছনে আরো বেশি লোক থাকার কথা। তবে সবচেয়ে বড় কথা এখনও অনেক লোকই শহীদ মিনার ব্যাপারটি বুঝতে পারে না।
১৯৭৯ সালে শহর থেকে সপরিবারে আমরা গ্রামে চলে যাই। তখন ১৯৮০সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমাদের গুমতা হাই স্কুলের শহীদ মিনারে প্রথম ফুল দিয়েছিলাম। মুসুল্লীরা এটাকে বেদ'আত বলে ভাবতেন। যে কারণে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আমি সমালোচিত হয়েছিলাম। তবে আমার আনন্দ তারপর থেকেই শহীদ মিনারে প্রতিবছরই আমি ছাড়াও আরো অনেকে ফুল দিতো। স্কুলে শোকসভা হতো। এর উদ্যোক্তা থাকতেন আমাদের প্রিয় শিক্ষক প্রয়াত নজীর আহমেদ মুন্সী।
যুবক বয়সে যারা শহীদ মিনার ভাঙার মত দুষ্কর্ম করে তারা অবশ্যই জেনে বুঝে এবং প্রভাবিত হয়েই কাজটি করেছে। ধিক তাদের। তাদের মুরুব্বীদের। ধিক তাদের শিক্ষকদের। ধিক আমাদের সমাজ মানসিকতাকে।
.
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
বিদ'আ শব্দের মানে (আমি যা জানি) হলো ধর্মে ইনোভেশন। মানে ইসলাম ধর্মে ইনোভেশন। আমার মতে, এটা শুধুমাত্র ধর্ম সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন কেউ যদি বলে বেশী সাওয়াবের জন্য আজ থেকে ৬ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো, সেটা বিদ'আ। আবার কেউ যদি কবরে ফুলের মালা দিয়ে মনে করে সওয়াব কামাবো তাহলে অবশ্যই বিদ'আ।
শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার সাথে ধর্মের কোন সংশ্লিষ্টতা আছে বলে আমার মনে হয়না। যে কারণে, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা প্রকাশে আমার কোন সমস্যা নাই। তবে আমি কারো কবরে ফুল দেয়ার চেয়ে তার জন্য দোয়া করা প্রেফার করি। শহীদ মিনার যেহেতু কারো কবর নয় সেহেতু সেখানে ফুল দেয়া শরীয়তের কোন কিছুর সাথে সাংঘর্ষিক মনে হয়না। পুরা ব্যাপারটাই ইনটেনশনের উপর নির্ভর করে।
মুসলমান নামধারী অনেক ধর্ম ব্যবসায়ী আছে যারা সবসময়ই সুযোগ খোঁজে কিভাবে ধর্মকে (বিশেষত ইসলাম কে) বাঁশ দেয়া যাবে। আমি তাদের থেকে দূরে থাকি। যেকোন এক্সট্রিমিটিই আমার অপছন্দ। সেটা ডানে হোক আর বামেই হোক।
পোকাগুলোকে পিষে মারা হোক
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উদ্ধৃতি
"পোকাগুলোকে পিষে মারা হোক"
সহমত!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
"আসুন আমরা লজ্জিত হই!"
সেটাই...
কিন্তু শুধুই লজ্জাবোধ নয়, দরকার এইসব তেলাপোকাদের উপযুক্ত শলাকাঘাতও!!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
শলাকাঘাত করতে হলে আইন প্রয়োগ লাগবে সেটা করতে হবে সরকারকে, আমরা সধারন জনগন দাবি করতে পারি যা করে আসছি, কিন্তু সরকারের কাছে এর থেকে অনেক গুরুত্ত্বপূর্ন কাজ পড়ে রয়েছে। সরকারের এই কালক্ষেপন আর আমাদের অক্ষমতার কারনে নিজে লজ্জিত হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সহমত
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
@প্রকৃতিপ্রেমিক,
সহমত।
আমার বন্ধুরা যারা (এখন অতীত ধারণা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছে) একুশে ফেব্রুয়ারির দিনে শহীদদের ফুল দিয়ে স্মরণ করার চেয়ে মিলাদ পড়ানোর পক্ষপাতি ছিলো। এ উপলক্ষ্যে মসজিদে একবার মিলাদের আয়োজনও করেছিলো ক'জন। কিন্তু আমাদের স্কুলের হুজুর স্যার(টাইটেল পাশ মাওলানা) শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দেয়া হারাম মনে করতেন।
___________________________________________
ভাগ্যিস, আমার মনের ব্যাপারগুলো কেউ দেখতে পায় না!
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
এটা কোনক্রমেই সাধারণ ঘটনা নয়! ভবিষ্যতে না জানি আরও কতরকম, নিত্যনতুন এরকম বিজাতীয় ঘটনা ঘটবে!
এটাই একমাত্র দাবী।
কাকুল কায়েশ
মিনার ভাঙ্গার পরে সর্বস্তরের মানুষদের প্রতিবাদ দেখে খুব ভাল লেগেছে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
- এই বরাহদের সাহস হয়েছিলো লালন ভাস্কর্য ভেঙে, 'বলাকা'য় আক্রমন করে। আজকে শুরু করেছে বরিশালের কোনো এক স্কুল/কলেজে'র শহীদ মিনার দিয়ে। কালকে যে এই বরাহরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাদের নোংরা নখের আঁচর দিতে চাইবে না, সেটা কে বলতে পারে!
একটা প্রচলিত কথা আছে না? "কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাশ ঠাশ!"
লালন ভাস্কর্য, বলাকা— আক্রমনের পরেই এদেরকে পিডাইয়া পাছার ছাল তুলে ফেলা উচিৎ ছিলো। তাইলে আর আজকে এতো সাহস হতো না। তবে এখনো দেরি হয়ে যায়নি। এখনই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কয়দিন পর এরা নিরাময়ের বাইরে চলে যেতে পারে। এই বোধটা যতো তাড়াতাড়ি আমরা বুঝতে পারবো, ততোই মঙ্গল।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মন্তব্যে
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
এটা আমাদের জন্য একটা সতর্ক সঙ্কেত। আজ আঁচড় দিয়েছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভেবে গা বাঁচিয়ে গেলে কাল খুবলে খাবে।
শৈশবে রূপকথার গল্পে পড়তাম, রাক্ষসের রক্তের প্রতিটি বিন্দু থেকে নতুন একটি রাক্ষসের জন্ম হয়। তাই রাক্ষসবধের সময় লক্ষ্য রাখতে হয় যেন রক্তপাত না হয়। আমরা তবুও শিখি না।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
রাক্ষসের রক্ত থেকে যে নতুন রাক্ষস জন্ম নিচ্ছে আমরা তাকে লালন পালন করছি পরম আদরে অথচ কখনই ভাবিনা এরা একদিন আমাদেরই ঘাড় মটকাবে।
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
দুঃখজনক। কী আছে আমাদের ভবিষ্যতে?
সর্বশেষ খবর দেখে তাও একটু স্বস্তি পেলাম।
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পরেও যদি আমরা মনে করি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উপযুক্ত সময় এখনো আসেনি তাহলে ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা কতটুকু চিন্তা করি !!!
----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
অত্যন্ত লজ্জার কথা।
প্রসঙ্গক্রমে মনে পড়ল, কলেজে পড়বার সময়কার কথা। চিটাগং কলেজ আর মহসীন কলেজে দুটো শহীদ মিনার ছিল; অত্যন্ত যত্ন সহকারে রাখা। এত যত্নে যে সেগুলো কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করা! যেন কেউ প্রবেশও করতে না পারে!
বরিশালের ঘটনায় লজ্জ্বিত, যারা একাজ করেছে তাদের চিহ্নিত করা হোক, শাস্তি দেয়া হোক।
---
তবে আমি স্কুল কলেজের টাকা খরচ করে শহীদ মিনার বানানোর পক্ষপাতি নই। আমার নিজের ঢাকা গভ ল্যাব স্কুল বা ঢাকা কলেজেই দেখেছি খেলার মাঠের একাংশকে গ্রীলে আটকে ফেলে একটা শহীদ মিনারের রেপ্লিকা বানিয়ে রাখা হয়েছে। বছরে একদিন হয়তো এখানে ফুল পড়ে গান হয়, আর সারা বছর এখানে ঘাস ওঠে, শেওলা জমে। আবার ফেব্রুয়ারী মাসে টেন্ডার ওঠে, লাখটাকা খরচা করে গ্রীলে রং লাগে, চুনকাম করা হয়। সেই টেন্ডার নিয়েও আবার নানা হুজ্জত। এতে কি স্কুল কলেজের পোলাপানের বাংলাভাষার প্রতি টান বাড়ে?
যা বলতে চাইছি। উদযাপনের প্রয়োজন আছে। ঢাকা থেকে যারা দুরে আছেন, শহীদ মিনারে আসতে পারছেন না, তারাও উদযাপন করুন। জেলা বা থানা ভিত্তিক উদযাপন হতেই পারে। শিশুরা নিজ মমতায় অস্থায়ী শহীদ মিনার অবশ্যই গড়বে। কিন্তু ২১শে ফেব্রুয়ারীর মহত্বকে শুধু শহীদমিনার বানানো, ভোরবেলা ফুল দেবার মধ্যে রেখে দিলে, এই মহান দিনটি তার সাথে ভ্যালেন্টাইন্স-ডে বা নিউ ইয়ারস-ডে এর মত সাথে পার্থক্য হারাতে থাকে। গলিতে গলিতে মসজিদ বানানোর মত করে জায়গায় জায়গায় শহীদ মিনার আমাদের বিভাজিত করে। কেন একটি থানা বা পাড়ার সবগুলি স্কুল একসাথে এই দিনটি উদযাপন করবে না? কেন 'আমাদের শহীদ মিনার তোদের টার চাইতে বড়' এই অফলদায়ক প্রতিযোগীতায় আমাদের শিশু কিশোরেরা রত থাকবে? ২১ তারিখ সকালে স্কুল কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দেয়া হল কি না হল, এতে বাংলাভাষার বা ভাষাসৈনিকের কিছুই আসে যায় না। তার চাইতে বরং যে প্রীয় বাংলাভাষার জন্য লোকে প্রান দিল, সেই ভাষাকে উদযাপন করি। যদি সারা ফেব্রুয়ারী মাস ধরে করা সম্ভব না হয়, অন্তত ২১ ফেব্রুয়ারীর সপ্তাহে দেশের সবগুলো স্কুলে যদি শুধু বাংলা ভাষাতেই ক্লাস নেয়া যায়, এই সপ্তাহে ছাত্র-শিক্ষক শুধুই বাংলায় কথা বলে, ক্লাসে মাঠে ৫২'র আন্দোলন নিয়ে কথা বলে, তাহলে আমার তো মনে সেটা ১০০টি স্কুল কলেজের শহীদ মিনারের চাইতে বেশী কার্যকরি।
এইটা নিয়া আর কি বলবো ?? এটা তো বিচ্ছিন্ন বলা যাবে না, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারীতেই এরকম ঘটনা শুনা যায়...
_________________________________________
সেরিওজা
ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছে আমরা কেবল তাদের এ মাসটাতেই মনে করি । আর আধুনিকতার নামে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির কি অবস্থা, তা মনে হয় কারো অজানা নয় ।।
নতুন মন্তব্য করুন